بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
عَبَسَ وَ تَوَلّٰۤی ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. (তিনি) ভ্রূ কুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন,
ইরফানুল কুরআন
১. তাঁর (পবিত্রতম) চেহারায় এক অস্বস্তি ছেয়ে গেল এবং তিনি তাঁর (সর্বাধিক দীপ্তিপূর্ণ) চেহারা মোবারক ফিরিয়ে নিলেন,
اَنۡ جَآءَہُ الۡاَعۡمٰی ؕ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এ কারনে যে, তার নিকট সেই অন্ধ ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২. কারণ একজন অন্ধ লোক তাঁর কাছে এসেছিল (যে তাঁর কথোপকথনে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল)।
وَ مَا یُدۡرِیۡکَ لَعَلَّہٗ یَزَّکّٰۤی ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং আপনি কি জানেন? হয় তো সে পবিত্র হতো,
ইরফানুল কুরআন
৩. এবং আপনি কি জানেন হয়তো সে (আপনার দৃষ্টি এবং মনোযোগের দ্বারা আরও) পবিত্র হয়ে যেতো,
اَوۡ یَذَّکَّرُ فَتَنۡفَعَہُ الذِّکۡرٰی ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. কিংবা সে উপদেশ গ্রহণ করতো, অতঃপর তাকে উপদেশ উপকৃত করতো।
ইরফানুল কুরআন
৪. অথবা যদি (আপনার) উপদেশ গ্রহণ করতো তবে সে উপদেশ তাকে (আরও) উপকৃত করতো।
اَمَّا مَنِ اسۡتَغۡنٰی ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. ওই ব্যক্তি, যে বে-পরোয়া হয়ে যায়,
ইরফানুল কুরআন
৫. কিন্তু যে ব্যক্তি (দ্বীনকে) উপেক্ষা করে,
فَاَنۡتَ لَہٗ تَصَدّٰی ؕ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আপনি তারই পেছনে লেগে আছেন।
ইরফানুল কুরআন
৬. তবে আপনি তার (ইসলাম কবুলের) জন্যে অনেক বেশী সচেষ্ট হন।
وَ مَا عَلَیۡکَ اَلَّا یَزَّکّٰی ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং সে পবিত্র না হলে তাতে আপনার কোন ক্ষতি নেই।
ইরফানুল কুরআন
৭. অথচ আপনার উপর এর কোনো দায় (ভার) নেই যদি সে (ঈমানের) পবিত্রতা অবলম্বন নাও করে।
وَ اَمَّا مَنۡ جَآءَکَ یَسۡعٰی ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং ওই ব্যক্তি যে আপনার দরবারে দৌঁড়ে এসেছে।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর সে, যে (নিজেই) আপনার কাছে (সত্যের অন্বেষণে) উদ্যোগী হয়ে এসেছে
وَ ہُوَ یَخۡشٰی ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং সে ভয়ও করেছে,
ইরফানুল কুরআন
৯. এবং সে (আপন প্রতিপালককে) ভয়ও করে।
فَاَنۡتَ عَنۡہُ تَلَہّٰی ﴿ۚ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. অতঃপর আপনি তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য দিকে মনোনিবেশ করছেন;
ইরফানুল কুরআন
১০. তবে আপনি তার দিকে মনোনিবেশ করছেন না।
کَلَّاۤ اِنَّہَا تَذۡکِرَۃٌ ﴿ۚ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এরূপ হতে পারে না। এটা তো বুঝানো (বা উপদেশ দেওয়া) মাত্র;
ইরফানুল কুরআন
১১. (হে আমার মহিমান্বিত হাবীব!) আসলে তা নয়! নিঃসন্দেহে এ (কুরআনের পবিত্র আয়াতসমূহ) তো উপদেশ।
فَمَنۡ شَآءَ ذَکَرَہٗ ﴿ۘ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. অতঃপর যার ইচ্ছা হয় সে এটা স্মরণ করবে।
ইরফানুল কুরআন
১২. যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, সে তা গ্রহণ করতে পারে (এবং আত্মস্থ করতে পারে)।
فِیۡ صُحُفٍ مُّکَرَّمَۃٍ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. ওই সমস্ত পুস্তকের (সহীফা) মধ্যে, যেগুলো সম্মানিত,
ইরফানুল কুরআন
১৩. (এটি লিপিবদ্ধ আছে) সম্মানিত ও মহিমান্বিত পৃষ্ঠাসমূহে,
مَّرۡفُوۡعَۃٍ مُّطَہَّرَۃٍۭ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. উচ্চস্থানীয়,পবিত্রতাময়,
ইরফানুল কুরআন
১৪. যা অতি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন (এবং) পূতঃপবিত্র,
بِاَیۡدِیۡ سَفَرَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এমনসব লেখকের হাতে লিখিত,
ইরফানুল কুরআন
১৫. এমন বার্তাবাহক (এবং লিপিকার) দূতদের হস্তসমূহের মাধ্যমে (সম্মুখে অগ্রসর হয়েছে),
کِرَامٍۭ بَرَرَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যারা মর্যাদাসম্পন্ন, পূণ্যবান।
ইরফানুল কুরআন
১৬. যারা বড়ই সম্মানের অধিকারী (এবং) আনুগত্যের মূর্ত প্রতীক।
قُتِلَ الۡاِنۡسَانُ مَاۤ اَکۡفَرَہٗ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. মানুষ নিহত হোক! সে কেমন অকৃতজ্ঞ!
ইরফানুল কুরআন
১৭. ধ্বংস হোক (সে দুর্ভাগা অস্বীকারকারী) মানুষের! সে কতোই না অকৃতজ্ঞ (যে এতো উচ্চ মর্যাদার নেয়ামত পাওয়ার পরেও তার মূল্যায়ন করে না)!
مِنۡ اَیِّ شَیۡءٍ خَلَقَہٗ ﴿ؕ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. তাকে কি উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন?
ইরফানুল কুরআন
১৮. আল্লাহ্ তাকে কোন্ বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ؕ خَلَقَہٗ فَقَدَّرَہٗ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. পানি-বিন্দু (বীর্য) থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তাকে বিভিন্ন অঙ্গ-সৌষ্ঠবের মধ্যে রেখেছেন,
ইরফানুল কুরআন
১৯. শুক্রানু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর একইসাথে (ক্রোমোসোমস এর জিন ও লিঙ্গের দিক বিবেচনায়) তার পরিমাপ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
ثُمَّ السَّبِیۡلَ یَسَّرَہٗ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. অতঃপর তার জন্য পথ সোজা করে দিয়েছেন;
ইরফানুল কুরআন
২০. তারপর (গঠন ও বিকাশ পূর্ণতার পর) তার জন্যে (মাতৃগর্ভ থেকে প্রসবের) পথ সহজ করে দিয়েছেন।
ثُمَّ اَمَاتَہٗ فَاَقۡبَرَہٗ ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অতঃপর তাকে মৃত্যু প্রদান করেছেন, তারপর কবরে রাখিয়েছেন;
ইরফানুল কুরআন
২১. অতঃপর তাকে মৃত্যু দিয়েছেন, তারপর তাকে কবরস্থ করে (দাফন করে) দেয়া হয়েছে।
ثُمَّ اِذَا شَآءَ اَنۡشَرَہٗ ﴿ؕ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. অতঃপর যখন ইচ্ছা করবেন, তখন তাকে বের করবেন।
ইরফানুল কুরআন
২২. এরপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন তাকে (পুনর্জীবিত করে) দাঁড় করাবেন।
کَلَّا لَمَّا یَقۡضِ مَاۤ اَمَرَہٗ ﴿ؕ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. কিছুই নয়, যে এখনো পর্যন্ত তা পূর্ণ করে নি, যা তার প্রতি হুকুম হয়েছিলো।
ইরফানুল কুরআন
২৩. নিঃসন্দেহে সে (অবাধ্য ব্যক্তি) সে (অধিকার) পূর্ণ করেনি যার হুকুম (আল্লাহ্) তাকে দিয়েছিলেন।
فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ اِلٰی طَعَامِہٖۤ ﴿ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. সুতরাং মানুষের উচিত যেন তার খাদ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করে
ইরফানুল কুরআন
২৪. সুতরাং মানুষের উচিত তার নিজের খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করা (এবং চিন্তা করা)।
اَنَّا صَبَبۡنَا الۡمَآءَ صَبًّا ﴿ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. যে, আমি ভালোভাবে পানি বর্ষণ করেছি;
ইরফানুল কুরআন
২৫. নিঃসন্দেহে আমরা মূষলধারে পানি বর্ষণ করি।
ثُمَّ شَقَقۡنَا الۡاَرۡضَ شَقًّا ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অতঃপর ভূমিকে খুব বিদীর্ণ করেছি;
ইরফানুল কুরআন
২৬. অতঃপর আমরা ভূমিকে বিভক্ত করে বিদীর্ণ করি।
فَاَنۡۢبَتۡنَا فِیۡہَا حَبًّا ﴿ۙ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য;
ইরফানুল কুরআন
২৭. এরপর আমরা এতে শস্য জন্মাই,
وَّ عِنَبًا وَّ قَضۡبًا ﴿ۙ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং আঙ্গুর ও চারা,
ইরফানুল কুরআন
২৮. এবং আঙ্গুর ও শাকসবজি,
وَّ زَیۡتُوۡنًا وَّ نَخۡلًا ﴿ۙ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আর যায়তূন ও খেজুর,
ইরফানুল কুরআন
২৯. এবং জয়তুন ও খেজুর,
وَّ حَدَآئِقَ غُلۡبًا ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং ঘন সন্নিবিষ্ট বাগানসমূহ,
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর ঘন উদ্যানসমূহ,
وَّ فَاکِہَۃً وَّ اَبًّا ﴿ۙ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং ফলমূল ও গবাদি খাদ্য;
ইরফানুল কুরআন
৩১. এবং (বিভিন্ন ধরণের) ফলমূল, আর (পশুর) চারণ,
مَّتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِاَنۡعَامِکُمۡ ﴿ؕ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. তোমাদের উপকারার্থে এবং তোমাদের পশুগুলোর।
ইরফানুল কুরআন
৩২. তোমাদের এবং তোমাদের গবাদিপশু উভয়ের জন্যে (জীবনধারণের) সংস্থান হিসাবে।
فَاِذَا جَآءَتِ الصَّآخَّۃُ ﴿۫۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. অতঃপর যখন আসবে ওই কর্ণবিদারক ধ্বনি,
ইরফানুল কুরআন
৩৩. অতঃপর যখন বধির করে দেয়া বিস্ফোরণধ্বনি আগমন করবে,
یَوۡمَ یَفِرُّ الۡمَرۡءُ مِنۡ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. সেদিন মানুষ পলায়ন করবে নিজ ভাই,
ইরফানুল কুরআন
৩৪. সেদিন মানুষ তার ভাইয়ের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে,
وَ اُمِّہٖ وَ اَبِیۡہِ ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. মাতা ও পিতা
ইরফানুল কুরআন
৩৫. এবং তার মা-পিতার কাছ থেকে(ও),
وَ صَاحِبَتِہٖ وَ بَنِیۡہِ ﴿ؕ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. এবং (এমনকি) তার স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে।
لِکُلِّ امۡرِیًٴ مِّنۡہُمۡ یَوۡمَئِذٍ شَاۡنٌ یُّغۡنِیۡہِ ﴿ؕ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তাদের মধ্যে প্রত্যেকের সেদিন একটা মাত্র ভাবনা থাকবে, যা-ই তাকে (অন্যের ভাবনা থেকে) বিরত রাখবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি এমন (উৎকণ্ঠিত) অবস্থায় থাকবে, যা তাকে (অন্য সবার থেকে) নির্লিপ্ত করে তুলবে।
وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ مُّسۡفِرَۃٌ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. কতগুলো চেহারা সেদিন উজ্জ্বল হবে,
ইরফানুল কুরআন
৩৮. সে দিন অনেক মুখমন্ডল (এমনও হবে যে নূরের উজ্জ্বলতায়) জ্বলজ্বল করবে।
ضَاحِکَۃٌ مُّسۡتَبۡشِرَۃٌ ﴿ۚ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. হাসবে খুশী উদযাপন করবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. (তারা) থাকবে স্মিত-প্রগাঢ় সহাস্য, (এবং) আনন্দে প্রফুল্ল।
وَ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ عَلَیۡہَا غَبَرَۃٌ ﴿ۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. এবং সেদিন কতগুলো চেহারার উপর ধূলিবালি পড়েছে- এমন হবে;
ইরফানুল কুরআন
৪০. এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধূলি-ধূসর।
تَرۡہَقُہَا قَتَرَۃٌ ﴿ؕ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. সেগুলোর উপর কালিমা ছেয়ে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৪১. সেগুলো হবে (আরো) কালিমাচ্ছন্ন।
اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکَفَرَۃُ الۡفَجَرَۃُ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. এরা হচ্ছে তারাই, (যারা) কাফির, পাপী।
ইরফানুল কুরআন
৪২. এ লোকেরাই হবে কাফের, (এবং অসৎ চরিত্রের) পাপাচারী।