بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ الضُّحٰی ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. চাশ্ত (পূর্বাহ্ন) এর শপথ,
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ উদীয়মান প্রভাতের (যখন সূর্য উপরে উঠে স্বীয় আলো ছড়ায়),
অথবা:
(হে সম্মানিত হাবীব!) শপথ উদীয়মান প্রভাতের (ন্যায় আপনার সর্বাধিক আলোকোজ্জ্বল চেহারার, যার দ্যুতি অন্ধকার রূহসমূহকে আলোকিত করেছে),
অথবা:
শপথ উদীয়মান প্রভাতের (ন্যায় আপনার রেসালাতের সূর্য্য উপরে উঠার, যার নূর গোমরাহীর অন্ধকারকে আলোয় পরিবর্তন করে দিয়েছে,
وَ الَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং রাতের, যখন পর্দা-আবৃত করে,
ইরফানুল কুরআন
২. আর শপথ রাতের যখন তা ছেয়ে যায়, অথবা: (হে সম্মানিত হাবীব!) শপথ অন্ধকার রাতের (ন্যায় আপনার স্বর্ণালী কেশগুচ্ছের), যখন তা (আপনার কমনীয় চেহারায় অথবা কাঁধের উপর) ছেয়ে যায়, অথবা: শপথ রাতের (ন্যায় আপনার সত্তার আচ্ছাদনীর), যখন তা (আপনার নূরের প্রকৃতিকে একাধিক পর্দায়) আচ্ছাদিত করে রাখে,
অথবা:
(হে সম্মানিত হাবীব!) শপথ অন্ধকার রাতের (ন্যায় আপনার স্বর্ণালী কেশগুচ্ছের), যখন তা (আপনার কমনীয় চেহারায় অথবা কাঁধের উপর) ছেয়ে যায়,
অথবা:
শপথ রাতের (ন্যায় আপনার সত্তার আচ্ছাদনীর), যখন তা (আপনার নূরের প্রকৃতিকে একাধিক পর্দায়) আচ্ছাদিত করে রাখে,
مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَ مَا قَلٰی ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং না অপছন্দ করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩. আপনার প্রতিপালক (যখন থেকে আপনাকে নির্বাচিত করেছেন) আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং (যখন থেকে আপনাকে প্রিয়তম বানিয়েছেন) আপনার প্রতি অসন্তুষ্টও হননি।
وَ لَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং নিশ্চয় পরবর্তী জীবন আপনার জন্য পূর্ববর্তী জীবন অপেক্ষা উত্তম।
ইরফানুল কুরআন
৪. আর আপনার জন্যে তো (প্রতিটি) পরবর্তী মুহূর্ত পূর্ববর্তীর চেয়ে উত্তম (অর্থাৎ শ্রেষ্ঠত্ব এবং উচ্চ মর্যাদার কারণ)।
وَ لَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং নিশ্চয় অচিরে আপনার রব আপনাকে এ পরিমাণ দেবেন যে, আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর আপনার প্রতিপালক শীঘ্রই আপনাকে (এতো বেশি) প্রদান করবেন যে, আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।
اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তিনি কি আপনাকে এতিম পাননি? অতঃপর আশ্রয় দিয়েছেন!
ইরফানুল কুরআন
৬. (হে প্রিয়তম!) তিনি কি আপনাকে এতিমরূপে পাননি, অতঃপর (আপনাকে মর্যাদাসম্পন্ন ও মাধুর্যমন্ডিত) আশ্রয় দেননি?
অথবা:
তিনি কি আপনাকে (দয়ালু) পাননি, অতঃপর তিনি (আপনার মাধ্যমে) এতিমদের আশ্রয় দেননি?*
* এ অনুবাদে ‘এতিম’ শব্দটি ‘ফাআওয়া’ শব্দের মাফউলে মুকাদ্দাম (অর্থাৎ ক্রিয়ার পূর্বে কর্মের উল্লেখ) নির্ধারণ করা হয়েছে। (দেখুন তাফসীরে কাবীর, কুরতুবী, বাহরে মুহীত, রূহুল বায়ান, শিফা এবং শরহে খুফাজী।)
وَ وَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং আপনাকে স্বীয় প্রেমে আত্নহারা পেয়েছেন, তখন নিজের দিকে পথ দেখিয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তিনি আপনাকে পেয়েছেন তাঁর ভালোবাসায় নিমগ্ন ও আত্মহারা, অতঃপর তিনি আপনাকে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করিয়েছেন।
অথবা:
তিনি আপনাকে বিপথগামী সম্প্রদায়ের মধ্যে (পথপ্রদর্শনকারী) পেয়েছেন, অতঃপর তিনি (তাদেরকে আপনার মাধ্যমে) হেদায়াত দিয়েছেন।*
* এ অনুবাদে ‘দ্বাল্লান’ শব্দটিকে ‘ফাহাদা’ এর মাফউল মুকাদ্দাম (অর্থাৎ ক্রিয়ার পূর্বে কর্মের উল্লেখ) নির্ধারণ করা হয়েছে। (দেখুন, তাফসীরে কাবীর, কুরতুবী, বাহরে মুহীত, রূহুল বায়ান, শিফা এবং শরহে খুফাজী।)
وَ وَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং আপনাকে অভাবগ্রস্ত পেয়েছেন, অতঃপর ধনী করে দিয়েছেন;
ইরফানুল কুরআন
৮. আর তিনি আপনাকে পেয়েছেন (হক্বে বারি তা’আলার সাথে মিলিত হবার) মুখাপেক্ষী, অতঃপর তিনি (স্বীয় দর্শনের সুখানুভবে অনুগ্রহ করে চিরদিনের সকল চাহিদা থেকে) অমুখাপেক্ষী করেছেন।
অথবা:
তিনি আপনাকে পেয়েছেন (অতিশয় দানশীল ও কল্যাণময়), অতঃপর তিনি (আপনার মাধ্যমে) মুখাপেক্ষীদের অমুখাপেক্ষী করেছেন।*
* এ তিনটি অনুবাদে ‘ইয়াতিমান’কে ‘ফাআওয়া’র, ‘দ্বাল্লান’কে ‘ফাহাদা’র এবং ‘আয়িলান’কে ‘ফাআগনা’-এর মাফউলে মুকাদ্দাম (অর্থাৎ ক্রিয়ার পূর্বে কর্মের উল্লেখ) নির্ধারণ করা হয়েছে। (দেখুন: তাফসীরে কাবীর, কুরতুবী, বাহরে মুহীত, রূহুল বায়ান, শিফা ও শরহে খুফাজী।)
فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. সুতরাং এতিমের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না;
ইরফানুল কুরআন
৯. সুতরাং আপনিও কোনো এতিমের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করবেন না,
وَ اَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং ভিক্ষুককে ধমকাবেন না।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর (আপনার কাছে সাহায্যপ্রার্থী) কোনো ভিক্ষুককে ভর্ত্সনা করবেন না,
وَ اَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং আপন রবের নি’মাতের খুব চর্চা করুন।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর আপনার প্রতিপালকের অনুগ্রহের আলোচনা করুন (উত্তমরূপে)।