Back
আদ দুখান
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
حٰمٓ ﴿ۚۛ۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হা-মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. হা-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
Play Share Copy
وَ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
কানযুল ঈমান
২. শপথ এ সুস্পষ্ট কিতাবের;
ইরফানুল কুরআন
২. শপথ এ আলোকোজ্জ্বল কিতাবের!
Play Share Copy
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিশ্চয় আমি সেটাকে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
ইরফানুল কুরআন
৩. অবশ্যই আমরা তা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রজনীতে, নিশ্চয় আমরা সতর্ককারী।
Play Share Copy
فِیۡہَا یُفۡرَقُ کُلُّ اَمۡرٍ حَکِیۡمٍ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. তাতে বন্টন করে দেওয়া হয় প্রত্যেক হিকমতময় কাজ;
ইরফানুল কুরআন
৪. এতে (এ রজনীতে) প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ের (পৃথক পৃথক) ফায়সালা করা হয়,
Play Share Copy
اَمۡرًا مِّنۡ عِنۡدِنَا ؕ اِنَّا کُنَّا مُرۡسِلِیۡنَ ۚ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. নির্দেশক্রমে আমার নিকট থেকে। নিশ্চয় আমি প্রেরণকারী-
ইরফানুল কুরআন
৫. আমাদের নির্দেশে, অবশ্য আমরাই প্রেরণকারী।
Play Share Copy
رَحۡمَۃً مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আপনার রবের নিকট থেকে অনুগ্রহ। নিশ্চয় তিনিই শুনেন, জানেন;
ইরফানুল কুরআন
৬. (এ) আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ; নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ,
Play Share Copy
رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ۘ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّوۡقِنِیۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যিনি রব আস্‌মানগুলো ও যমীনের এবং যা কিছু উভয়ের মধ্যখানে রয়েছে; যদি তোমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৭. যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে তার প্রতিপালক, যদি তোমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হও।
Play Share Copy
لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ؕ رَبُّکُمۡ وَ رَبُّ اٰبَآئِکُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত নেই, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তোমাদের রব এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষের রব।
ইরফানুল কুরআন
৮. তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান; তিনি তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও প্রতিপালক।
Play Share Copy
بَلۡ ہُمۡ فِیۡ شَکٍّ یَّلۡعَبُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. বরং তারা সন্দেহের মধ্যে পড়ে খেলা করছে।
ইরফানুল কুরআন
৯. তবুও তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে খেল-তামাশায় মত্ত।
১০
Play Share Copy
فَارۡتَقِبۡ یَوۡمَ تَاۡتِی السَّمَآءُ بِدُخَانٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. সুতরাং তোমরা ওই দিনের অপেক্ষায় থাকো, যেদিন আস্‌মান এক প্রকাশ্য ধোঁয়া আনবে,
ইরফানুল কুরআন
১০. সুতরাং, অপেক্ষা করো সে দিনের জন্যে যেদিন আকাশ স্পষ্টভাবে ধুম্রাচ্ছন্ন হবে,
১১
Play Share Copy
یَّغۡشَی النَّاسَ ؕ ہٰذَا عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. যা লোকজনকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। এটা হচ্ছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১১. যা মানুষকে আবৃত করে ফেলবে (অর্থাৎ চতুর্দিক থেকে বেষ্টন করে ফেলবে)। তা হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১২
Play Share Copy
رَبَّنَا اکۡشِفۡ عَنَّا الۡعَذَابَ اِنَّا مُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. ওই দিন বলবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের উপর থেকে শাস্তি অপসারিত করে দাও! আমরা ঈমান আনছি।
ইরফানুল কুরআন
১২. (সে সময় তারা বলবে:) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে (এ) শাস্তি দূর করে দাও, আমরা অবশ্যই ঈমান আনয়ন করছি।’
১৩
Play Share Copy
اَنّٰی لَہُمُ الذِّکۡرٰی وَ قَدۡ جَآءَہُمۡ رَسُوۡلٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. কোথা থেকে হবে তাদের উপদেশ মান্য করা! অথচ তাদের নিকট সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল তাশরীফ এনেছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৩. এখন তাদের উপদেশ মানা কিরূপ (উপকারী) হবে, অথচ তাদের নিকট তো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাদাতা রাসূল আগমন করেছিলেন?
১৪
Play Share Copy
ثُمَّ تَوَلَّوۡا عَنۡہُ وَ قَالُوۡا مُعَلَّمٌ مَّجۡنُوۡنٌ ﴿ۘ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. অতঃপর তার দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং বলেছে, ‘শিক্ষাপ্রাপ্ত উন্মাদ’।
ইরফানুল কুরআন
১৪. অতঃপর তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এবং (অবজ্ঞাভরে) বলেছিল, ‘(সে) শিখিয়ে দেয়া এক পাগল’।
১৫
Play Share Copy
اِنَّا کَاشِفُوا الۡعَذَابِ قَلِیۡلًا اِنَّکُمۡ عَآئِدُوۡنَ ﴿ۘ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আমি কিছুদিনের জন্য শাস্তি অপসারণ করছি, তোমরা পুনরায় তাই করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আমরা অবশ্য সামান্য কিছু শাস্তি রহিত করবো, তোমরা তো পূর্বাবস্থায় (সেই কুফরীতে) ফিরে যাবে।
১৬
Play Share Copy
یَوۡمَ نَبۡطِشُ الۡبَطۡشَۃَ الۡکُبۡرٰی ۚ اِنَّا مُنۡتَقِمُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যে দিন আমি সর্বাপেক্ষা বড় ধরনের পাকড়াও করবো, নিশ্চয় আমি প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৬. যেদিন আমরা প্রবলভাবে পাকড়াও করবো, সেদিন অবশ্যই প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।
১৭
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ فَتَنَّا قَبۡلَہُمۡ قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ وَ جَآءَہُمۡ رَسُوۡلٌ کَرِیۡمٌ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং নিশ্চয় আমি তাদের পূর্বে ফির’আউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের নিকট একজন সম্মানিত রসূল তাশরীফ এনেছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর প্রকৃতপক্ষে তাদের পূর্বে আমরা ফেরাউনের সম্প্রদায়কেও পরীক্ষা করেছিলাম এবং তাদের নিকট আগমন করেছিলেন সম্মানিত এক রাসূল (মূসা আলাইহিস সালাম)।
১৮
Play Share Copy
اَنۡ اَدُّوۡۤا اِلَیَّ عِبَادَ اللّٰہِ ؕ اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. যে, আল্লাহ্‌র বান্দাদেরকে আমার নিকট সোপর্দ করে দাও! নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রসূল।
ইরফানুল কুরআন
১৮. (তিনি বলেছিলেন,) ‘তোমরা আল্লাহ্‌র বান্দাদেরকে (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে) আমার নিকট হস্তান্তর করো। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে দিকনির্দেশায় ও পথপ্রদর্শনে বিশ্বস্ত এক রাসূল।
১৯
Play Share Copy
وَّ اَنۡ لَّا تَعۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ ۚ اِنِّیۡۤ اٰتِیۡکُمۡ بِسُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۚ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং আল্লাহ্‌র মোকাবেলায় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। আমি তোমাদের নিকট এক সুস্পষ্ট সনদ নিয়ে এসেছি।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর তোমরা আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে উদ্ধত হয়ো না, আমি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছি।
২০
Play Share Copy
وَ اِنِّیۡ عُذۡتُ بِرَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ اَنۡ تَرۡجُمُوۡنِ ﴿۫۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং আমি আশ্রয় নিচ্ছি আপন রব ও তোমাদের রবের এ থেকে যে, তোমরা আমাকে প্রস্তরাঘাত করবে।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর অবশ্যই আমি আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালকের আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তা থেকে যে, তোমরা আমাকে প্রস্তর নিক্ষেপ করবে।
২১
Play Share Copy
وَ اِنۡ لَّمۡ تُؤۡمِنُوۡا لِیۡ فَاعۡتَزِلُوۡنِ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করো তাহলে আমার নিকট থেকে সরে পড়ো।
ইরফানুল কুরআন
২১. যদি তোমরা আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করো তবে আমার নিকট থেকে দূরে থাকো।’
২২
Play Share Copy
فَدَعَا رَبَّہٗۤ اَنَّ ہٰۤؤُلَآءِ قَوۡمٌ مُّجۡرِمُوۡنَ ﴿ؓ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. সুতরাং সে আপন রবের নিকট এ প্রার্থনা করলো যে, এরা অপরাধী লোক।
ইরফানুল কুরআন
২২. অতঃপর তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট দোয়া করলেন, ‘নিশ্চয়ই এ লোকেরা অপরাধী সম্প্রদায়’।
২৩
Play Share Copy
فَاَسۡرِ بِعِبَادِیۡ لَیۡلًا اِنَّکُمۡ مُّتَّبَعُوۡنَ ﴿ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আমি নির্দেশ দিলাম, ‘আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাতারাতি বের হয়ে পড়ো। অবশ্য তোমাদের পিছু ধাওয়া করা হবে’।
ইরফানুল কুরআন
২৩. (এরশাদ হলো:) ‘অতঃপর তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে পড়ো, অবশ্যই তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৪
Play Share Copy
وَ اتۡرُکِ الۡبَحۡرَ رَہۡوًا ؕ اِنَّہُمۡ جُنۡدٌ مُّغۡرَقُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং সমুদ্রকে এভাবে স্থানে স্থানে উন্মুক্ত ছেড়ে দাও। নিশ্চয় ওই বাহিনীকে নিমজ্জিত করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর (তোমরা অতিক্রম করার পর) সাগরকে স্থির ও উন্মুক্ত রেখে দাও, নিশ্চয়ই তারা এমন এক বাহিনী যাদেরকে ডুবিয়ে দেয়া হবে।’
২৫
Play Share Copy
کَمۡ تَرَکُوۡا مِنۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ ﴿ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. তারা কত বাগান ও প্রস্রবণ ছেড়ে গেছে।
ইরফানুল কুরআন
২৫. তারা পশ্চাতে রেখে গিয়েছিল কতোই না উদ্যান এবং প্রস্রবণ !
২৬
Play Share Copy
وَّ زُرُوۡعٍ وَّ مَقَامٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং ক্ষেত ও উত্তম বাসস্থান;
ইরফানুল কুরআন
২৬. কতো শষ্যক্ষেত্র এবং সুরম্য অট্টালিকা!
২৭
Play Share Copy
وَّ نَعۡمَۃٍ کَانُوۡا فِیۡہَا فٰکِہِیۡنَ ﴿ۙ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং নি’মাতগুলো, যেগুলোর মধ্যে তারা সুখী ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
২৭. কতো বিলাস-উপকরণ (এবং স্বাচ্ছন্দ্য), যেগুলোতে তারা আনন্দ পেতো!
২৮
Play Share Copy
کَذٰلِکَ ۟ وَ اَوۡرَثۡنٰہَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. আমি অনুরূপই করেছি; এবং সেগুলোর উত্তরাধিকারী অন্য সম্প্রদায়কে করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
২৮. এরূপই ঘটেছিল এবং আমরা এসবের উত্তরাধিকারী বানিয়েছিলাম অন্য সম্প্রদায়কে।
২৯
Play Share Copy
فَمَا بَکَتۡ عَلَیۡہِمُ السَّمَآءُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَا کَانُوۡا مُنۡظَرِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. সুতরাং তাদের জন্য আস্‌মান ও যমীণ ক্রন্দন করে নি এবং তাদেরকে অবকাশ দেওয়া হয় নি।
ইরফানুল কুরআন
২৯. অতঃপর তাদের জন্যে না আকাশ এবং পৃথিবী অশ্রুপাত করেছে, আর না তাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়েছে।
৩০
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ نَجَّیۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ مِنَ الۡعَذَابِ الۡمُہِیۡنِ ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং নিশ্চয় আমি বনী ইস্রাঈলকে লাঞ্ছনার শাস্তি থেকে মুক্তি দান করেছি-
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর প্রকৃতপক্ষে আমরা বনী ইসরাঈলকে উদ্ধার করেছিলাম অপমানজনক শাস্তি থেকে,
৩১
Play Share Copy
مِنۡ فِرۡعَوۡنَ ؕ اِنَّہٗ کَانَ عَالِیًا مِّنَ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. ফির’আউন থেকে, নিশ্চয় সে অহঙ্কারী, সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৩১. ফেরাউন থেকে, নিশ্চয়ই সে ছিল অত্যন্ত অবাধ্য, সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৩২
Play Share Copy
وَ لَقَدِ اخۡتَرۡنٰہُمۡ عَلٰی عِلۡمٍ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۚ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং নিশ্চয় আমি তাদেরকে জ্ঞাতসারে বেছে নিয়েছি ওই যুগবাসীদের মধ্য থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর আমরা তো এদেরকে (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে) জ্ঞানের ভিত্তিতে সমগ্র পৃথিবীর (সমসাময়িক সভ্যতার) উপর নির্বাচিত করেছিলাম।
৩৩
Play Share Copy
وَ اٰتَیۡنٰہُمۡ مِّنَ الۡاٰیٰتِ مَا فِیۡہِ بَلٰٓـؤٌا مُّبِیۡنٌ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং আমি তাদেরকে ওই সব নিদর্শন দান করেছি, যেগুলোর মধ্যে সুস্পষ্ট পুরস্কার ছিলো
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর আমরা তাদেরকে দিয়েছিলাম নিদর্শনাবলী, যাতে ছিল প্রকাশ্য অনুগ্রহ (এবং সুস্পষ্ট পরীক্ষা)।
৩৪
Play Share Copy
اِنَّ ہٰۤؤُلَآءِ لَیَقُوۡلُوۡنَ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. নিশ্চয় এরা বলে-
ইরফানুল কুরআন
৩৪. নিশ্চয়ই তারা বলে থাকে,
৩৫
Play Share Copy
اِنۡ ہِیَ اِلَّا مَوۡتَتُنَا الۡاُوۡلٰی وَ مَا نَحۡنُ بِمُنۡشَرِیۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. ‘তা তো নয়, কিন্তু আমাদের একবারের মৃত্যুবরণ এবং আমাদেরকে উঠানো হবে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. ‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত (পরবর্তীতে) কিছুই নেই এবং আমরা (দ্বিতীয়বার) উত্থিত হবো না।
৩৬
Play Share Copy
فَاۡتُوۡا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সুতরাং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে এসো যদি তোমরা সত্য বাদী হও’।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. সুতরাং তোমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে (জীবিত) উপস্থিত করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’
৩৭
Play Share Copy
اَہُمۡ خَیۡرٌ اَمۡ قَوۡمُ تُبَّعٍ ۙ وَّ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ اَہۡلَکۡنٰہُمۡ ۫ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا مُجۡرِمِیۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. শ্রেষ্ঠ কি তারা, না তুব্বা’ সম্প্রদায় ও তারা, যারা তাদের পূর্বে ছিলো? আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। নিশ্চয় তারা অপরাধী লোক ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. বেশ, এরা উত্তম নাকি (ইয়ামানের বাদশাহ আস’আদ আবু কুরাইব) তুব্বা (আল-হিমইয়ারী)-এঁর সম্প্রদায় এবং যারা তাদের পূর্বে ছিল? আমরা তাদেরকে ধ্বংস করেছিলাম, নিশ্চয় তারা ছিল অপরাধী।
৩৮
Play Share Copy
وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا لٰعِبِیۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করি নি আস্‌মান ও যমীনকে এবং যা কিছু উভয়ের মধ্যখানে আছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর আমরা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে এর কোনো কিছুই ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
৩৯
Play Share Copy
مَا خَلَقۡنٰہُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. আমি এ দু’টিকে সৃষ্টি করি নি, কিন্তু সত্য সহকারে। কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশই জানে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আমরা এ দু’টো যথাযথ (উদ্দেশ্যে এবং কৌশলের সাথে) সৃষ্টি করেছি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
৪০
Play Share Copy
اِنَّ یَوۡمَ الۡفَصۡلِ مِیۡقَاتُہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. নিশ্চয় মীমাংসার দিন ওই সবের মেয়াদকাল।
ইরফানুল কুরআন
৪০. নিশ্চয়ই ফায়সালার দিবস হচ্ছে নির্ধারিত সময় তাদের সকলের জন্যে;
৪১
Play Share Copy
یَوۡمَ لَا یُغۡنِیۡ مَوۡلًی عَنۡ مَّوۡلًی شَیۡئًا وَّ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. যে দিন কোন বন্ধু কোন বন্ধুর কোন কাজে আসবে না এবং না তাদের সাহায্য করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৪১. যেদিন এক বন্ধু অন্য বন্ধুর কোনো কাজে আসবে না এবং তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না,
৪২
Play Share Copy
اِلَّا مَنۡ رَّحِمَ اللّٰہُ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. কিন্তু যাকে আল্লাহ্‌ দয়া করেন। নিশ্চয় তিনি মহা সম্মানিত, দয়াবান।
ইরফানুল কুরআন
৪২. তবে তাদের ব্যতীত যাদের প্রতি আল্লাহ্ তা’আলা অনুগ্রহ করেছেন (তারা একে অপরকে সুপারিশ করবে)। নিশ্চয়ই তিনি মহাপরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
৪৩
Play Share Copy
اِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّوۡمِ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষ-
ইরফানুল কুরআন
৪৩. নিশ্চয়ই কাঁটাযুক্ত ফলের গাছ হবে-
৪৪
Play Share Copy
طَعَامُ الۡاَثِیۡمِ ﴿ۖۛۚ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. পাপীদের খাদ্য;
ইরফানুল কুরআন
৪৪. গুরুতর পাপীর খাদ্য।
৪৫
Play Share Copy
کَالۡمُہۡلِ ۚۛ یَغۡلِیۡ فِی الۡبُطُوۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. গলিত তামার ন্যায় পেটগুলোর মধ্যে ফুটতে থাকবে,
ইরফানুল কুরআন
৪৫. গলিত তামার ন্যায় তা উদরে ফুটতে থাকবে,
৪৬
Play Share Copy
کَغَلۡیِ الۡحَمِیۡمِ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. যেমন উত্তপ্ত পানি ফুটে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. ফুটন্ত পানির মতো।
৪৭
Play Share Copy
خُذُوۡہُ فَاعۡتِلُوۡہُ اِلٰی سَوَآءِ الۡجَحِیۡمِ ﴿٭ۖ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. ‘তাকে ধরো, ঠিক জ্বলন্ত আগুনের দিকে সজোরে টানা হিচড়া করে নিয়ে যাও।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. (নির্দেশ হবে,) ‘তাকে পাকড়াও করো এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে তাকে সজোরে টেনে নিয়ে যাও,
৪৮
Play Share Copy
ثُمَّ صُبُّوۡا فَوۡقَ رَاۡسِہٖ مِنۡ عَذَابِ الۡحَمِیۡمِ ﴿ؕ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢালো’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে শাস্তি দাও।
৪৯
Play Share Copy
ذُقۡ ۚۙ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡکَرِیۡمُ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. ‘আস্বাদন করো! হাঁ, হাঁ, তুমিই বড় সম্মানিত, দয়ালু!’
ইরফানুল কুরআন
৪৯. স্বাদ আস্বাদন করো! হ্যাঁ, (তোমার ধারণা এবং দাবী অনুসারে) তুমিই সম্মানিত ও মর্যাদাবান।
৫০
Play Share Copy
اِنَّ ہٰذَا مَا کُنۡتُمۡ بِہٖ تَمۡتَرُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. নিশ্চয় এটা তাই, যাতে তোমরা সন্দেহ করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৫০. নিশ্চয়ই এটি সেই (জাহান্নাম) যার ব্যাপারে তোমরা সন্দেহ পোষণ করতে।’
৫১
Play Share Copy
اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ مَقَامٍ اَمِیۡنٍ ﴿ۙ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. নিশ্চয় খোদাভীরুগণ নিরাপদ স্থানে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫১. নিশ্চয়ই পরহেযগার লোকেরা থাকবে নিরাপদ অবস্থানে,
৫২
Play Share Copy
فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ ﴿ۚۙ۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. বাগানসমূহে ও প্রস্রবণসমূহে;
ইরফানুল কুরআন
৫২. উদ্যান এবং ঝরনাধারার মাঝে,
৫৩
Play Share Copy
یَّلۡبَسُوۡنَ مِنۡ سُنۡدُسٍ وَّ اِسۡتَبۡرَقٍ مُّتَقٰبِلِیۡنَ ﴿ۚۙ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. পরিধান করবে মিহি ও পুরু রেশমী বস্ত্র, সামনা সামনি;
ইরফানুল কুরআন
৫৩. তারা পরিধান করবে মিহি এবং পুরু রেশমী পোশাক, বসবে মুখোমুখি হয়ে।
৫৪
Play Share Copy
کَذٰلِکَ ۟ وَ زَوَّجۡنٰہُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿ؕ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. এভাবে; এবং আমি তাদের সাথে বিয়ে করিয়েছি অতি কালো, উজ্জ্বল ও বড় বড় চক্ষু সম্পন্নাদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. এমনটি(ই) ঘটবে; এবং আমরা তাদেরকে বিবাহ দেবো গৌর বর্ণের, ডাগর চোখ বিশিষ্ট হুরদের সাথে।
৫৫
Play Share Copy
یَدۡعُوۡنَ فِیۡہَا بِکُلِّ فَاکِہَۃٍ اٰمِنِیۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. সেগুলোর মধ্যে প্রত্যেক প্রকারের ফলমূল চাইবে, নিরাপত্তা ও শান্তি সহকারে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫.তথায় (বসে) প্রশান্ত চিত্তে বিবিধ ফলমূল চাইবে।
৫৬
Play Share Copy
لَا یَذُوۡقُوۡنَ فِیۡہَا الۡمَوۡتَ اِلَّا الۡمَوۡتَۃَ الۡاُوۡلٰی ۚ وَ وَقٰہُمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ ﴿ۙ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. তাতে প্রথম মৃত্যু ব্যতীত পুনরায় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে না; এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
৫৬. (জান্নাতের) তথায় তারা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে না, কেবল (এ) প্রথম মৃত্যু ব্যতীত (যা অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে)। আর আল্লাহ্ তাদেরকে রক্ষা করবেন জাহান্নামের শাস্তি থেকে।
৫৭
Play Share Copy
فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکَ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. আপনার রবের অনুগ্রহক্রমে, এটাই মহা সাফল্য।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. এ আপনার প্রতিপালকের অনুগ্রহ (অর্থাৎ আপনার প্রতিপালক আপনার ওয়াসিলাতেই দান করবেন)। এটিই তো মহাসাফল্য।
৫৮
Play Share Copy
فَاِنَّمَا یَسَّرۡنٰہُ بِلِسَانِکَ لَعَلَّہُمۡ یَتَذَکَّرُوۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. অতঃপর, আমি আপনার ভাষায় এ ক্বোরআনকে সহজ করেছি, যাতে তারা বুঝতে পারে।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. সুতরাং, আমরা আপনার ভাষাতেই একে (এ কুরআনকে) সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
৫৯
Play Share Copy
فَارۡتَقِبۡ اِنَّہُمۡ مُّرۡتَقِبُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. সুতরাং আপনি অপেক্ষা করুন, তারাও কোন অপেক্ষায় রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. কাজেই আপনি(ও) প্রতীক্ষা করুন, নিশ্চয়ই তারা(ও) প্রতীক্ষমান। (আপনি তাদের হাশর এবং প্রতিশোধ দেখবেন এবং তারা আপনার শান ও আপনার বদৌলতে মুমিনদের প্রতি আমার অনুগ্রহ দেখতে পাবে।)