بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
سَبِّحِ اسۡمَ رَبِّکَ الۡاَعۡلَی ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আপন রবের নামের পবিত্রতা বর্ণনা করো, যিনি সবার ঊর্ধ্বে,
ইরফানুল কুরআন
১. আপনার প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, যিনি সর্বোচ্চ মহিমাময়,
الَّذِیۡ خَلَقَ فَسَوّٰی ۪ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যিনি সৃষ্টি করে সুঠাম করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
২. তিনিই (বিশ্বজগতের সকল কিছু) সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর (সকল প্রয়োজনানুসারে) এর সঠিক আনুপাতিক ভারসাম্য সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন।
وَ الَّذِیۡ قَدَّرَ فَہَدٰی ۪ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং যিনি নির্দিষ্ট পরিমাপের উপর রেখে পথ প্রদর্শন করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যিনি (প্রত্যেক সৃষ্টির জন্যে) নীতি নির্ধারণ করেছেন, তারপর (তাদেরকে নিজ নিজ বিধান অনুযায়ী থাকার এবং পরিচালিত হবার) পথ দেখিয়েছেন,
وَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الۡمَرۡعٰی ۪ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং যিনি চারা বের করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যিনি (ভূমি থেকে) সবুজ কিশলয় উদগত করেছেন,
فَجَعَلَہٗ غُثَآءً اَحۡوٰی ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তারপর সেটাকে শুষ্ক কালো করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৫. তারপর একে শুষ্ক কালো খড়ে পরিণত করেছেন।
سَنُقۡرِئُکَ فَلَا تَنۡسٰۤی ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এখন আমি আপনাকে পড়াবো; ফলে আপনি ভুলবেন না,
ইরফানুল কুরআন
৬. (হে মহিমান্বিত হাবীব!) আমরা আপনাকে (এমন পদ্ধতিতে) শিখিয়ে দেবো যা আপনি (কখনো) বিস্মৃত হবেন না,
اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّہٗ یَعۡلَمُ الۡجَہۡرَ وَ مَا یَخۡفٰی ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. কিন্তু আল্লাহ্ যা চান। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রত্যেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যকে।
ইরফানুল কুরআন
৭. কেবল আল্লাহ্ যা চান তা ব্যতীত। নিশ্চয়ই তিনি সে সবই অবগত, যা কিছু গোপন ও প্রকাশিত (অর্থাৎ মানুষের বোধশক্তিতে যা প্রকাশিত ও অবগুন্ঠিত এবং যা শ্রুত ও অশ্রুত)।
وَ نُیَسِّرُکَ لِلۡیُسۡرٰی ۚ﴿ۖ۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং আমি আপনার জন্য সহজের সামগ্রীসমূহ যোগাড় করে দেবো।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর আমরা আপনার জন্যে (শরীয়তের বিধি বিধানের উপর চলাও) সহজ করে দেবো।
فَذَکِّرۡ اِنۡ نَّفَعَتِ الذِّکۡرٰی ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. অতএব, আপনি উপদেশ দান করুন, যদি উপদেশ ফলপ্রসূ হয়;
ইরফানুল কুরআন
৯. অতঃপর আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, যদি উপদেশ (শ্রবণকারীকে) উপকৃত করে।
سَیَذَّکَّرُ مَنۡ یَّخۡشٰی ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. অতিসত্ত্বর উপদেশ গ্রহণ করবে যে ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
১০. তবে যে আল্লাহ্কে ভয় করবে সেই উপদেশ গ্রহণ করবে।
وَ یَتَجَنَّبُہَا الۡاَشۡقَی ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং তা থেকে দূরে থাকবে ওই বড় হতভাগা,
ইরফানুল কুরআন
১১. আর হতভাগ্য এ (উপদেশ) এড়িয়ে চলবে,
الَّذِیۡ یَصۡلَی النَّارَ الۡکُبۡرٰی ﴿ۚ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. যে সবচেয়ে বড় আগুনে প্রবেশ করবে;
ইরফানুল কুরআন
১২. যে (কেয়ামতের দিন) মহাঅগ্নিতে প্রবেশ করবে।
ثُمَّ لَا یَمُوۡتُ فِیۡہَا وَ لَا یَحۡیٰی ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. অতঃপর না তাতে মৃত্যুবরণ করবে এবং না জীবিত থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. অতঃপর সে তাতে মরবেও না, আবার বাঁচবেও না।
قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ تَزَکّٰی ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. নিশ্চয় লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌঁছেছে, যে পবিত্র হয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১৪. নিশ্চয়ই সেই সফলকাম হবে, যে (দুরাত্মার তাড়না এবং গোনাহর পঙ্কিলতা থেকে) পবিত্রতা অর্জন করে।
وَ ذَکَرَ اسۡمَ رَبِّہٖ فَصَلّٰی ﴿ؕ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং আপন রবের নাম নিয়ে নামায পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর সে আপন প্রতিপালকের নাম স্মরণ করতে থাকে এবং (অধিক পরিমাণে ও আত্মনিবেদিত হয়ে) নামায আদায় করে।
بَلۡ تُؤۡثِرُوۡنَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ﴿۫ۖ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো,
ইরফানুল কুরআন
১৬. বরং তোমরা (আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তনের পরিবর্তে) পার্থিব জীবন (-এর ভোগ-বিলাস)-কে অগ্রাধিকার দাও,
وَ الۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ وَّ اَبۡقٰی ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং পরকাল উত্তম ও চিরস্থায়ী।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অথচ পরকাল (-এর পরিতৃপ্তি ও প্রশান্তি) শ্রেয়তর এবং চিরস্থায়ী।
اِنَّ ہٰذَا لَفِی الصُّحُفِ الۡاُوۡلٰی ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. নিশ্চয় এটা পূর্ববর্তী সহীফাগুলোতে রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৮. নিশ্চয়ই এই (দীপ্তিময় জ্ঞান) পূর্ববর্তী সহীফাসমূহে (উল্লিখিত) রয়েছে,
صُحُفِ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ مُوۡسٰی ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. ইব্রাহীম ও মূসার সহীফাগুলোতে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. (যা) ইবরাহীম ও মুসা (আলাইহিমুস সালাম)-এঁর সহীফাদ্বয়।