بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. পড়ুন! আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন-
ইরফানুল কুরআন
১. (হে হাবীব!) পড়ুন আপনার প্রতিপালকের নামে (শুরু করে), যিনি (সকল কিছু) সৃষ্টি করেছেন।
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ ۚ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. মানুষকে রক্তপিণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (মায়ের জরায়ুতে) জোঁকের ন্যায় ঝুলন্ত পিন্ড থেকে।
اِقۡرَاۡ وَ رَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. পড়ুন! এবং আপনার রবই সর্বাপেক্ষা বড় দাতা,
ইরফানুল কুরআন
৩. পড়ুন, আর আপনার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত,
الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. যিনি কলম দ্বারা লিখন শিক্ষা দিয়েছেন-
ইরফানুল কুরআন
৪. যিনি (লেখা-পড়ার) জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন কলমের মাধ্যমে,
عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَمۡ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানতো না।
ইরফানুল কুরআন
৫. যিনি মানুষকে (এছাড়াও) সেসব (কিছু) শিখিয়েছেন যা সে জানতো না।
অথবা:
যিনি (সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার) মানব (মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম)-কে (কলমের সাহায্য ছাড়াই) ঐ সমস্ত জ্ঞান দান করেছেন, যা তিনি পূর্বে জানতেন না।
کَلَّاۤ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَیَطۡغٰۤی ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. হাঁ, হাঁ, নিশ্চয় মানুষ ঔদ্ধত্য করে,
ইরফানুল কুরআন
৬. (কিন্তু) প্রকৃত সত্য এই যে, (অবাধ্য) মানুষ বিরোধিতা করে,
اَنۡ رَّاٰہُ اسۡتَغۡنٰی ﴿ؕ۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এজন্য যে, সে নিজেকে নিজে অভাবমুক্ত মনে করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৭. এ কারণে যে, সে (আপাতদৃষ্টিতে দুনিয়াতে) নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে।
اِنَّ اِلٰی رَبِّکَ الرُّجۡعٰی ؕ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. নিশ্চয় তোমার রবেরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৮. নিশ্চয়ই (প্রত্যেক মানুষকে) আপন প্রতিপালকের দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
اَرَءَیۡتَ الَّذِیۡ یَنۡہٰی ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আচ্ছা, দেখোতো, যে বাধা প্রদান করে
ইরফানুল কুরআন
৯. আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে বাধা দেয়,
عَبۡدًا اِذَا صَلّٰی ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. বান্দাকে- যখন সে নামায পড়ে!
ইরফানুল কুরআন
১০. (আল্লাহ্র) বান্দাকে যখন সে নামায আদায় করে?
অথবা:
(আল্লাহ্র প্রিয়তম এবং মনোনীত) বান্দা (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম)-কে যখন তিনি নামায আদায় করেন?
اَرَءَیۡتَ اِنۡ کَانَ عَلَی الۡہُدٰۤی ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আচ্ছা, দেখোতো, যদি সে হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিত হতো,
ইরফানুল কুরআন
১১. আচ্ছা ভাবুন তো, সে যদি হেদায়াতের উপর থাকতো!
اَوۡ اَمَرَ بِالتَّقۡوٰی ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. অথবা খোদাভীরুতার কথা বলতো, তবে কত ভালোই ছিলো!
ইরফানুল কুরআন
১২. অথবা সে (মানুষকে) পরহেযগারীর নির্দেশ দিতো, (তবে কতোই না উত্তম হত)!
اَرَءَیۡتَ اِنۡ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. আচ্ছা, দেখোতো, যদি সে অস্বীকার করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে কি অবস্থা হবে!
ইরফানুল কুরআন
১৩. এখন বলুন! যদি সে (সত্য দ্বীনকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে এবং (আপনার থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয় (তবে তার কী পরিণতি হবে)?
اَلَمۡ یَعۡلَمۡ بِاَنَّ اللّٰہَ یَرٰی ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. সে কি জানে নি যে, আল্লাহ্ দেখছেন?
ইরফানুল কুরআন
১৪. সে কি জানে না যে, আল্লাহ্ (তার সকল কর্মকান্ড) দেখছেন?
کَلَّا لَئِنۡ لَّمۡ یَنۡتَہِ ۬ۙ لَنَسۡفَعًۢا بِالنَّاصِیَۃِ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. হাঁ, হাঁ, যদি সে বিরত না হয়, তবে নিশ্চয় আমি (তার) কপালের চুল ধরে টেনে আনবো।
ইরফানুল কুরআন
১৫. সাবধান! যদি সে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের অবমাননা এবং সত্য দ্বীনের বিরোধিতায়) বিরত না হয় তবে অবশ্যই আমরা (তাকে) কপালের কেশগুচ্ছ ধরে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাবো।
نَاصِیَۃٍ کَاذِبَۃٍ خَاطِئَۃٍ ﴿ۚ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. কেমন কপাল? মিথ্যুক, গুনাহ্গার।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তার মিথ্যাচারী (ও) পাপিষ্ঠ কপাল!
فَلۡیَدۡعُ نَادِیَہٗ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এখন আহ্বান করুক আপন মজলিসকে!
ইরফানুল কুরআন
১৭. অতঃপর সে (সাহায্যের জন্যে) তার সঙ্গীদেরকে আহ্বান করুক।
سَنَدۡعُ الزَّبَانِیَۃَ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এখনই আমি সৈন্যদেরকে আহ্বান করছি।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আমরাও শীঘ্রই (আমাদের) প্রহরীদেরকে (অর্থাৎ জাহান্নামে শাস্তির জন্যে নিয়োজিত ফেরেশতাদেরকে) আহ্বান করবো।
کَلَّا ؕ لَا تُطِعۡہُ وَ اسۡجُدۡ وَ اقۡتَرِبۡ ﴿ٛ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. হাঁ, হাঁ, তার কথা শুনবেন না এবং সাজদা করুন আর আমার নিকটবর্তী হয়ে যান।
ইরফানুল কুরআন
১৯. কখনোই নয়! আপনি তার কৃতকর্মের দিকে মনোযোগ দেবেন না এবং (হে মহিমান্বিত হাবীব!) আপনি সিজদাবনত থাকুন আর (অধিকন্তু আমাদের) নিকটবর্তী হতে থাকুন। (সেজদা)