Back
আল আম্বিয়া
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
اِقۡتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُہُمۡ وَ ہُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ مُّعۡرِضُوۡنَ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. মানুষের হিসাব নিকাস আসন্ন এবং তারা অলসতায় মুখফিরিয়ে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১. মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন; কিন্তু তারা অলসতায় (আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।
Play Share Copy
مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ مُّحۡدَثٍ اِلَّا اسۡتَمَعُوۡہُ وَ ہُمۡ یَلۡعَبُوۡنَ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যখন তাদের রবের নিকট থেকে তাদের নিকট কোন উপদেশ আসে, তখন সেটা তারা শুনে না, কিন্তু ক্রীড়া কৌতুকচ্ছলে।
ইরফানুল কুরআন
২. তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যখনোই নতুন কোনো উপদেশ আসে, তখনই তারা তা খেল-তামাশায় নিমজ্জিত অবস্থায় (বেপরোয়াভাবে) শ্রবণ করে।
Play Share Copy
لَاہِیَۃً قُلُوۡبُہُمۡ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوَی ٭ۖ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ٭ۖ ہَلۡ ہٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۚ اَفَتَاۡتُوۡنَ السِّحۡرَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. তাদের অন্তর খেলাধূলায় পড়ে রয়েছে; এবং যালিমগণ পরস্পরের মধ্যে গোপনে পরামর্শ করেছে, ‘ইনি কে? একজন তোমাদেরই মত মানুষ মাত্র। তোমরা কি দেখেশুনে যাদুর নিকট যাচ্ছো?’
ইরফানুল কুরআন
৩. তাদের অন্তর উদাসীন হয়ে গিয়েছে, আর (এসব) যালিম লোকেরা (আপনার বিরুদ্ধে) গোপনে কানাঘুষা করে, ‘এ লোক তো কেবল তোমাদেরই মতো একজন মানুষ। এরপর(ও) কি তোমরা দেখেশুনেই (তার) যাদুর কবলে পড়ছো?’
Play Share Copy
قٰلَ رَبِّیۡ یَعۡلَمُ الۡقَوۡلَ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ۫ وَ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নবী বললেন, ‘আমার রব আসমানসমূহ ও যমীনের প্রতিটি কথাই জানেন, এবং তিনিই হন শ্রোতা, জ্ঞাতা।
ইরফানুল কুরআন
৪. (সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আমার প্রতিপালক আসমান-জমিনে উচ্চারিত (সকল) কথা জানেন এবং তিনি সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত’।
Play Share Copy
بَلۡ قَالُوۡۤا اَضۡغَاثُ اَحۡلَامٍۭ بَلِ افۡتَرٰىہُ بَلۡ ہُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلۡیَاۡتِنَا بِاٰیَۃٍ کَمَاۤ اُرۡسِلَ الۡاَوَّلُوۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. বরং তারা বললো, ‘(এ হচ্ছে) উদ্বেগপূর্ণ স্বপ্নসমূহ; বরং তাঁরই মনগড়া; বরং তিনি একজন কবি। সুতরাং আমাদের নিকট কোন নিদর্শন নিয়ে আসুক যেমন পূর্ববর্তীগণ প্রেরিত হয়েছিলেন।
ইরফানুল কুরআন
৫. বরং (যালিমেরা এ কথাও) বলে, ‘এ (কুরআন) তো বিভ্রান্ত স্বপ্ন (যোগে দেখা বিষয়), বরং তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম নিজেই) এটি উদ্ভাবন করেছেন, না হয় (এই যে,) তিনি কবি। (যদি তিনি সত্য রাসূল হন) তবে তিনিও যেন আমাদের নিকট কোনো নিদর্শন নিয়ে আসেন, যেরূপ পূর্ববর্তী (রাসূল)-গণকে (নিদর্শনাবলী সহকারে) প্রেরণ করা হয়েছিল।’
Play Share Copy
مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَہُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَہۡلَکۡنٰہَا ۚ اَفَہُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তাদের পূর্বে যে জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, তারা ঈমান আনে নি, তবে কি তারা ঈমান আনবে?
ইরফানুল কুরআন
৬. তাদের পূর্বে আমরা যে জনপদকেই ধ্বংস করেছি তারা (এ সকল নিদর্শনাবলীর উপর) ঈমান আনয়ন করতো না। সুতরাং তারা কি ঈমান আনয়ন করবে?
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَہۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং আমি আপনার পূর্বে কেবল পুরুষগণকে প্রেরণ করেছি, যাদেরকে আমি ওহী করতাম; সুতরাং হে লোকেরা! জ্ঞানবানদেরকে জিজ্ঞাসা করো যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনার পূর্বে(ও) আমরা পুরুষদেরকেই (রাসূলরূপে) প্রেরণ করেছিলাম, তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করতাম। (হে মানুষ সকল!) তোমরা আহলে কিতাবকে জিজ্ঞেস করো, যদি তোমরা (নিজেরা) না জানো।
Play Share Copy
وَ مَا جَعَلۡنٰہُمۡ جَسَدًا لَّا یَاۡکُلُوۡنَ الطَّعَامَ وَ مَا کَانُوۡا خٰلِدِیۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং আমি তাদেরকে এমন নিছক দেহ তৈরী করি নি যে, খাদ্য আহার করবে না আর না তারা দুনিয়ার মধ্যে সর্বদা থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর আমরা তাদেরকে (অর্থাৎ নবীগণকে) এমন দেহবিশিষ্ট্য করিনি যে, তারা খাবার গ্রহণ করবেন না, আর তারা (দুনিয়ায় বাহ্যিক জীবনে) চিরস্থায়ীও ছিলেন না।
Play Share Copy
ثُمَّ صَدَقۡنٰہُمُ الۡوَعۡدَ فَاَنۡجَیۡنٰہُمۡ وَ مَنۡ نَّشَآءُ وَ اَہۡلَکۡنَا الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. অতঃপর আমি তাদেরকে আমার প্রতিশ্রুতি সত্য করে দেখিয়েছি, অতঃপর তাদেরকে উদ্ধার করেছি এবং যাদেরকে ইচ্ছা করেছি তাদেরকেও! আর সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৯. অতঃপর তাদের প্রতি আমরা আমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করেছিলাম। সুতরাং আমরা তাদেরকে এবং যাদেরকে ইচ্ছা রক্ষা করেছিলাম এবং সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।
১০
Play Share Copy
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ کِتٰبًا فِیۡہِ ذِکۡرُکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি একটা কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমাদের খ্যাতির উল্লেখ রয়েছে, তবে কি তোমাদের বিবেক নেই?
ইরফানুল কুরআন
১০. নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমাদের জন্যে রয়েছে উপদেশ (-পূর্ণ উপকরণ)। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
১১
Play Share Copy
وَ کَمۡ قَصَمۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ کَانَتۡ ظَالِمَۃً وَّ اَنۡشَاۡنَا بَعۡدَہَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আর কত জনপদই আমি ধ্বংস করেছি; যারা অত্যাচারী ছিলো; এবং তাদের পর অপর সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর আমরা কতোই না জনপদ ধ্বংস ও বিনাশ করে দিয়েছি, যারা ছিল যালিম। আর তাদের পর আমরা অন্যান্য সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছি।
১২
Play Share Copy
فَلَمَّاۤ اَحَسُّوۡا بَاۡسَنَاۤ اِذَا ہُمۡ مِّنۡہَا یَرۡکُضُوۡنَ ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি পেলো, তখনই তারা তা থেকে পলায়ন করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
১২. অতঃপর, তারা যখন আমাদের শাস্তি (আগমন) উপলব্ধি করলো, তখন তারা সেখান থেকে দ্রুত পলায়ন করতে লাগলো।
১৩
Play Share Copy
لَا تَرۡکُضُوۡا وَ ارۡجِعُوۡۤا اِلٰی مَاۤ اُتۡرِفۡتُمۡ فِیۡہِ وَ مَسٰکِنِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. ‘পলায়ন করো না এবং ফিরে যাও সেসব ভোগ বিলাসের দিকে, যা তোমাদেরকে প্রদান করা হয়েছিলো এবং তোমাদের বাসগৃহসমূহের দিকে, হয়তো তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে’।
ইরফানুল কুরআন
১৩. (তাদেরকে বলা হলো:) ‘তাড়াহুড়া করে পলায়ন করো না এবং সেখানে ফিরে এসো যেখানে তোমাদেরকে ভোগ-বিলাস দেয়া হয়েছিল। আর (ফিরে এসো) তোমাদের (বিলাসবহুল) আবাসস্থলের দিকে (হয়তো তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে)।’
১৪
Play Share Copy
قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তারা বললো, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! নিশ্চয় আমরা অত্যাচারী ছিলাম’।
ইরফানুল কুরআন
১৪. তারা বলতে লাগলো, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরা তো ছিলাম যালিম।’
১৫
Play Share Copy
فَمَا زَالَتۡ تِّلۡکَ دَعۡوٰىہُمۡ حَتّٰی جَعَلۡنٰہُمۡ حَصِیۡدًا خٰمِدِیۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সুতরাং তারা এ আর্তনাদই করতে থাকলো, যতক্ষণ না আমি তাদেরকে করেছি কর্তিত, নির্বাপিত।
ইরফানুল কুরআন
১৫. সুতরাং সর্বদা তাদের এই আর্তনাদ, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তাদেরকে মাটিতে পরিণত হয়ে যাওয়া শস্যক্ষেত্র (এবং) নিভে যাওয়া অগ্নি (-স্তূপের ন্যায়) করে দিলাম।
১৬
Play Share Copy
وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا لٰعِبِیۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. আর আমি আসমান ও যমীন এবং যা কিছু সেগুলোর মধ্যখানে রয়েছে অনর্থক সৃষ্টি করি নি।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর আমরা আসমান ও জমিন এবং যা কিছু এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে ক্রীড়াচ্ছলে (অনর্থক) সৃষ্টি করিনি।
১৭
Play Share Copy
لَوۡ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ لَہۡوًا لَّاتَّخَذۡنٰہُ مِنۡ لَّدُنَّاۤ ٭ۖ اِنۡ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. যদি আমি কোন ক্রীড়া উপকরণ অবলম্বন করতে চাইতাম, তবে আমার নিকট থেকেই অবলম্বন করতাম; যদি আমায় করতেই হতো।
ইরফানুল কুরআন
১৭. যদি আমরা কোনো চিত্তবিনোদনের উপকরণ গ্রহণ করতে চাইতাম তবে তা নিজেরই নিকট থেকে গ্রহণ করতাম যদি আমরা (এমন) কর্মসম্পাদনকারী হতাম।
১৮
Play Share Copy
بَلۡ نَقۡذِفُ بِالۡحَقِّ عَلَی الۡبَاطِلِ فَیَدۡمَغُہٗ فَاِذَا ہُوَ زَاہِقٌ ؕ وَ لَکُمُ الۡوَیۡلُ مِمَّا تَصِفُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর ছুড়ে মারি; ফলে, তা সেটার মস্তিষ্ক বের করে দেয়, অতঃপর তখনি তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং তোমাদের দুর্ভোগ ওই সব উক্তির কারণে যেগুলো তোমরা রচনা করছো।
ইরফানুল কুরআন
১৮. বরং আমরা সত্যের দ্বারা মিথ্যাকে পূর্ণশক্তি দিয়ে আঘাত করি, সুতরাং সত্য একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং তা (মিথ্যা) ধ্বংস হয়ে যায়। আর তোমাদের ধ্বংস অনিবার্য সেসব কথার কারণে যা তোমরা বর্ণনা করো।
১৯
Play Share Copy
وَ لَہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَنۡ عِنۡدَہٗ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِہٖ وَ لَا یَسۡتَحۡسِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তাঁরই, যতো কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে এবং তাঁর নিকটবর্তীগণ তাঁর ইবাদত থেকে অহঙ্কারবশত? না বিমুখ হয় এবং না ক্লান্ত হয়।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে রয়েছে, তাঁরই (বান্দা এবং দাস)। আর যে সকল (ফেরেশতা) তাঁর নিকটে (রয়েছেন) তারা না তাঁর ইবাদত করতে অহঙ্কার করে, আর না তারা (তাঁর আনুগত্য করতে) পরিশ্রান্ত হয়।
২০
Play Share Copy
یُسَبِّحُوۡنَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ لَا یَفۡتُرُوۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. দিনরাত তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং আলস্য করে না।
ইরফানুল কুরআন
২০. তারা রাতদিন (তাঁর) তাসবীহ্ পাঠ করতে থাকে এবং ক্ষণিকের জন্যেও বিরতি দেয় না।
২১
Play Share Copy
اَمِ اتَّخَذُوۡۤا اٰلِہَۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ ہُمۡ یُنۡشِرُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. তারা কী যমীনে কিছু সংখ্যক এমন খোদা তৈরী করেছে, যেগুলো কিছু সৃষ্টিও করে?
ইরফানুল কুরআন
২১. সেসব (কাফের) কি মাটি থেকে এমন কোনো উপাস্য বানিয়েছে, যে (মৃতদেরকে) জীবিত করতে সক্ষম?
২২
Play Share Copy
لَوۡ کَانَ فِیۡہِمَاۤ اٰلِہَۃٌ اِلَّا اللّٰہُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰہِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. যদি আসমান ও যমীনের মধ্যে আল্লাহ্‌ ব্যতীত আরো খোদা থাকতো, তবে অবশ্যই উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেতো; সুতরাং পবিত্রতা আল্লাহ্‌ আরশাধিপতির ওই সব উক্তি থেকে যেগুলো এরা রচনা করছে।
ইরফানুল কুরআন
২২. যদি (জমিন ও আসমান) এ দু’য়ের মধ্যে আল্লাহ্ ব্যতীত আরো উপাস্য(ও) হতো, তবে তা ধ্বংস হয়ে যেতো। অতঃপর আল্লাহ্, যিনি আরশের অধিপতি, সেসব (বিষয়াদি) থেকে পূতঃপবিত্র, যা এরা (এ মুশরিকেরা) বর্ণনা করে।
২৩
Play Share Copy
لَا یُسۡـَٔلُ عَمَّا یَفۡعَلُ وَ ہُمۡ یُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. তাকে প্রশ্ন করা যায়না ওই বিষয়ে, যা তিনি করেন এবং তাদের সবাইকে প্রশ্ন করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. তিনি যা কিছুই করেন তাঁকে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা যায় না। বরং তাদেরকে (সকল কাজ সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করা হবে।
২৪
Play Share Copy
اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً ؕ قُلۡ ہَاتُوۡا بُرۡہَانَکُمۡ ۚ ہٰذَا ذِکۡرُ مَنۡ مَّعِیَ وَ ذِکۡرُ مَنۡ قَبۡلِیۡ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ۙ الۡحَقَّ فَہُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. তারা কি আল্লাহ্‌ ব্যতীত আরো খোদা বানিয়ে রেখেছে? আপনি বলুন, ‘নিজেদের প্রমাণ উপস্থিত করো। এ ক্বোরআন আমার সাথে যারা আছে তাদের স্মরণ এবং আমার পূর্ববর্তীদের আলোচনা; বরং তাদের মধ্যে অধিকাংশ সত্যকে জানে না, ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
২৪. এরা (এ কাফেরেরা) কি তাঁকে ছেড়ে অন্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলে দিন, ‘নিজেদের প্রমাণ পেশ করো। এ (কুরআন) সেসব লোকের আলোচনা যারা আমার সাথে রয়েছে এবং তাদের(ও) আলোচনা যারা আমার পূর্বে ছিল।’ বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না। এ জন্যে তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২৫
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং আমি আপনার পূর্বে যে রসূলই প্রেরণ করেছি তাকে এ মর্মে ওহী প্রেরণ করি যে, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো’।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর আমরা আপনার পূর্বে এমন কোনো রাসূল প্রেরণ করিনি তাঁর নিকট এ প্রত্যাদেশ ব্যতীত যে, ‘আমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; সুতরাং আমার(ই) ইবাদত করো’।
২৬
Play Share Copy
وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا سُبۡحٰنَہٗ ؕ بَلۡ عِبَادٌ مُّکۡرَمُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং তারা বললো, ‘রাহমান পুত্রসন্তান গ্রহণ করেছেন’। তিনি পবিত্র; বরং তারা হচ্ছে সম্মানিত বান্দা।
ইরফানুল কুরআন
২৬. তারা বলে, ‘দয়াময় (আল্লাহ্ ফেরেশতাদেরকে নিজের) সন্তান (হিসেবে) গ্রহণ করেছেন’, তিনি পূতঃপবিত্র; বরং (যে ফেরেশতাদের তারা তাঁর সন্তান মনে করে) তারা (আল্লাহ্‌র) সম্মানিত বান্দা।
২৭
Play Share Copy
لَا یَسۡبِقُوۡنَہٗ بِالۡقَوۡلِ وَ ہُمۡ بِاَمۡرِہٖ یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. তারা আগে বেড়ে কথা বলে না এবং তারা তাঁরই আদেশ অনুসারে কাজ করে।
ইরফানুল কুরআন
২৭. তারা (কথা বলার সময়ে) কোনো কথায় তাঁর অগ্রবর্তী হয় না এবং তারা শুধু তাঁরই নির্দেশ পালন করে।
২৮
Play Share Copy
یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ وَ لَا یَشۡفَعُوۡنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارۡتَضٰی وَ ہُمۡ مِّنۡ خَشۡیَتِہٖ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. তিনি জানেন যা তাদের সম্মুখে রয়েছে এবং যা তাদের পেছনে রয়েছে, আর তারা সুপারিশ করে না কিন্তু তাঁরই পক্ষে, যাকে তিনি পছন্দ করেন এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত।
ইরফানুল কুরআন
২৮. তিনি (আল্লাহ্) সেসব বিষয় অবগত যা তাদের সামনে এবং যা তাদের পশ্চাতে রয়েছে। আর তারা (তাঁর সমীপে) কেবল তার জন্যেই সুপারিশ করে যার উপর তিনি সন্তুষ্ট। আর তারা তাঁর ভয়ে ও মহত্তে ভীত।
২৯
Play Share Copy
وَ مَنۡ یَّقُلۡ مِنۡہُمۡ اِنِّیۡۤ اِلٰہٌ مِّنۡ دُوۡنِہٖ فَذٰلِکَ نَجۡزِیۡہِ جَہَنَّمَ ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এবং তাদের মধ্যে যে কেউ বলে, ‘আমি আল্লাহ্‌ ব্যতীত উপাস্য হই,’ তবে তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেবো। আমি এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি যালিমদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আর তাদের মধ্যে কে আছে যে বলে, ‘আমিই উপাস্য তিনি (আল্লাহ্) ব্যতীত?’ সুতরাং তাকেই আমরা প্রতিফল দেবো জাহান্নাম। এভাবেই আমরা যালিমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি।
৩০
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. কাফিররা কি এ কথা ভাবে নি যে, আসমান ও যমীন বন্ধ ছিলো, অতঃপর আমি সেগুলোকে খুলেছি এবং আমি প্রত্যেক জীবনবিশিষ্ট বস্তুকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছি। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর কাফেরেরা কি ভেবে দেখে না যে, সমস্ত ঊর্ধ্বস্থ মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী (সবকিছু) একটি এককের আকারে যুক্ত ছিল; অতঃপর আমরা তাদেরকে পৃথক করে দিয়েছি? আর আমরা (পৃথিবীতে) প্রতিটি (জীবন্ত) প্রাণ সৃষ্টি করেছি পানি থেকে। তো তারা কি (কুরআনে বর্ণিত এ সকল সত্য অবগত হওয়ার পরও) ঈমান আনয়ন করে না?
৩১
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنَا فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِہِمۡ ۪ وَ جَعَلۡنَا فِیۡہَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّہُمۡ یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং যমীনে আমি নোঙ্গর ফেলেছি, যাতে সেগুলো নিয়ে প্রকম্পিত না হয় আর আমি তাতে বহু প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা সঠিক পথ পায়।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর আমরা পৃথিবীতে স্থাপন করেছি সুদৃঢ় পর্বতমালা যাতে এটি তাদেরকে নিয়ে (আপন কক্ষপথে পরিভ্রমণে) কম্পমান না হয়। আর আমরা এতে প্রশস্ত পথ করে দিয়েছি যাতে মানুষ (বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছতে) পথ পেতে পারে।
৩২
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنَا السَّمَآءَ سَقۡفًا مَّحۡفُوۡظًا ۚۖ وَّ ہُمۡ عَنۡ اٰیٰتِہَا مُعۡرِضُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং আমি আসমানকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি, আরা তারা তাঁর নিদর্শনসমূহ থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর আমরা আকাশকে (অর্থাৎ পৃথিবীর উপরের মন্ডলকে) বানিয়েছি সংরক্ষিত ছাদ (যাতে তা পৃথিবীর অধিবাসীদেরকে শূন্যমন্ডল থেকে আগমনকারী ধ্বংসাত্মক শক্তি এবং আঘাতকারী তরঙ্গের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।) আর তারা এ সকল (মহাবিশ্বের স্তরের) নিদর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৩৩
Play Share Copy
وَ ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. আর তিনিই হন, যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকটি একেকটি কক্ষপথে বিচরণ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর তিনিই (আল্লাহ্) যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র; (আকাশমন্ডলীর) প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।
৩৪
Play Share Copy
وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَہُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং আমি তোমাদের পূর্বে কোন মানুষের জন্য পৃথিবীতে অনন্ত জীবন সৃষ্টি করি নি। সুতরাং যদি আপনি ইন্‌তিকাল করেন তবে এরা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর আমরা আপনার পূর্বে কোনো মানুষকে (দুনিয়ার বাহ্যিক জীবনে) চির স্থায়িত্ব দান করিনি। যদি আপনি (এখান থেকে) ইন্তেকাল করেন, তখন তারা কি চিরকাল অবস্থান করবে?
৩৫
Play Share Copy
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. প্রত্যেক প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করি মন্দ ও ভাল দ্বারা পরখ করার জন্য এবং আমার প্রতি তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর আমরা তোমাদেরকে পরীক্ষার জন্যে কল্যাণ ও অকল্যাণে নিমজ্জিত করি এবং তোমরা আমাদেরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
৩৬
Play Share Copy
وَ اِذَا رَاٰکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّتَّخِذُوۡنَکَ اِلَّا ہُزُوًا ؕ اَہٰذَا الَّذِیۡ یَذۡکُرُ اٰلِہَتَکُمۡ ۚ وَ ہُمۡ بِذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ ہُمۡ کٰفِرُوۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং কাফিরগণ যখন আপনাকে দেখে তখন আপনাকে সাব্যস্ত করে না, কিন্তু ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্ররূপে। ‘ইনিই কি ওই ব্যক্তি, যিনি তোমাদের উপাস্যগুলোকে মন্দ বলে?’ এবং তারা পরম করুণাময়েরই স্মরণকে অস্বীকার করে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর যখন কাফেরেরা আপনাকে দেখে, তখন আপনাকে কেবল ঠাট্টাই করতে শুরু করে (আর বলে), ‘এই কি সে ব্যক্তি, যে তোমাদের উপাস্যদের (প্রত্যাখান ও অস্বীকৃতি দিয়ে) সমালোচনা করে?’ আর তারা নিজেরাই তো (প্রতিপালক) ‘রহমান’-এঁর উল্লেখের বিরোধিতা করে।
৩৭
Play Share Copy
خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. মানুষকে ত্বরাপ্রবণ করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন আমি তোমাদেরকে আপন নিদর্শনসমূহ দেখাব; সুতরাং ত্বরা করো না।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. মানুষকে (স্বভাবজাতভাবে) তাড়াহুড়াপ্রবণ করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে শীঘ্রই আমার নিদর্শনাবলী দেখাবো। সুতরাং তোমরা তাড়াহুড়া কামনা করো না।
৩৮
Play Share Copy
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی ہٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং বলে, ‘কখন পূর্ণ হবে এ প্রতিশ্রুতি যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর তারা বলে, ‘এ (শাস্তির) অঙ্গীকার কখন (পূর্ণ) হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
৩৯
Play Share Copy
لَوۡ یَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا حِیۡنَ لَا یَکُفُّوۡنَ عَنۡ وُّجُوۡہِہِمُ النَّارَ وَ لَا عَنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. যদি কাফিরগণ কোনমতে জানতো ওই সময়ের কথা, যখন তারা না তাদের মুখমণ্ডল থেকে আগুনকে প্রতিহত করতে পারবে এবং না নিজেদের পৃষ্ঠগুলো থেকে আর না তাদেরকে সাহায্য করা হবে!
ইরফানুল কুরআন
৩৯. যদি কাফেরেরা সে সময়ের কথা জানতো, যখন তারা (দোযখের) অগ্নিকে না নিজেদের চেহারা থেকে প্রতিহত করতে পারবে, আর না তাদের পৃষ্ঠ থেকে, আর না তাদেরকে সাহায্য করা হবে। (তখন শাস্তি অন্বেষণে দ্রুততার জন্যে হম্বিতম্বি করতো না।)
৪০
Play Share Copy
بَلۡ تَاۡتِیۡہِمۡ بَغۡتَۃً فَتَبۡہَتُہُمۡ فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ رَدَّہَا وَ لَا ہُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. বরং তা তাদের উপর হঠাৎ করে এসে পড়বে, তখন তা তাদেরকে হতভম্ভ করে দেবে; অতঃপর না তারা সেটা রোধ করতে পারবে এবং না তাদেরকে অবকাশ দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. প্রকৃতপক্ষে, এ (কিয়ামত) তাদের নিকট অকস্মাৎ এসে পৌঁছুবে, তখন তাদেরকে হতবুদ্ধি করে দেবে। সুতরাং তারা না একে প্রতিরোধ করতে পারবে, আর না তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে।
৪১
Play Share Copy
وَ لَقَدِ اسۡتُہۡزِئَ بِرُسُلٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیۡنَ سَخِرُوۡا مِنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং নিশ্চয় আপনার পূর্ববর্তী রসূলগণের প্রতি বিদ্রূপ করা হয়েছে, তখন ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীদের ঠাত্তা-বিদ্রুপ তাদেরকেই পেয়ে বসেছে।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর নিশ্চয়ই আপনার পূর্বেও রাসূলগণের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়েছিল। সুতরাং তাদের মধ্যে যারা ঠাট্টা করতো, (শাস্তিরূপে) তা-ই তাদেরকে বেষ্টন করে নিয়েছে, যা নিয়ে তারা ঠাট্টা করতো।
৪২
Play Share Copy
قُلۡ مَنۡ یَّکۡلَؤُکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّہَارِ مِنَ الرَّحۡمٰنِ ؕ بَلۡ ہُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ رَبِّہِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. আপনি বলুন, ‘রাত ও দিনে পরম করুণাময় থেকে তোমাদেরকে কে রক্ষা করছে? বরং তারা আপন রবের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে।
ইরফানুল কুরআন
৪২. বলে দিন, ‘রাতে ও দিনে করুণাময় (আল্লাহ্‌র শাস্তি) থেকে তোমাদেরকে কে রক্ষা করতে পারে?’ বরং তারা তাদের (এ) প্রতিপালকের স্মরণ থেকে পলায়নপর।
৪৩
Play Share Copy
اَمۡ لَہُمۡ اٰلِہَۃٌ تَمۡنَعُہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِنَا ؕ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَ اَنۡفُسِہِمۡ وَ لَا ہُمۡ مِّنَّا یُصۡحَبُوۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তাদের কি এমন কিছু খোদা রয়েছে, যারা তাদেরকে আমার (পাকড়াও) থেকে রক্ষা করে? সেগুলো নিজেরা নিজেদেরকেও রক্ষা করতে পারে না এবং না আমার নিকট থেকে তাদেরকে কোন সাহায্য করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. আমরা ব্যতীত তাদের কি আরো কোনো উপাস্য রয়েছে, যারা তাদেরকে (শাস্তি থেকে) রক্ষা করতে পারে? তারা না নিজেরা নিজেদেরকে সাহায্যের শক্তি রাখে, আর না আমাদের নিকট থেকে তাদের জন্যে কোনো সমর্থন ও সাহচর্য থাকবে।
৪৪
Play Share Copy
بَلۡ مَتَّعۡنَا ہٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَہُمۡ حَتّٰی طَالَ عَلَیۡہِمُ الۡعُمُرُ ؕ اَفَلَا یَرَوۡنَ اَنَّا نَاۡتِی الۡاَرۡضَ نَنۡقُصُہَا مِنۡ اَطۡرَافِہَا ؕ اَفَہُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষকে ভোগ-সম্ভার প্রদান করেছি, এমন কি তাদের আয়ুষ্কালও দীর্ঘ হয়েছে, তবে কি তারা দেখতে পাচ্ছে না যে, আমি যমীনকে সেটার প্রান্তগুলো থেকে সঙ্কুচিত করে আনছি? তবুও কি এরা বিজয়ী হবে?’
ইরফানুল কুরআন
৪৪. বরং আমরা তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে (জীবন যাপনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়ে) পরিতৃপ্ত করেছিলাম, এমনকি তাদের বয়সও দীর্ঘ হয়েছিল। সুতরাং তারা কি দেখে না যে, আমরা (এখন ইসলামী বিজয়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাধীন) এলাকাসমূহকে সকল দিক থেকে সঙ্কুচিত করে নিয়ে যাচ্ছি? কাজেই তারা কি (এখন) বিজয়ী হবে?
৪৫
Play Share Copy
قُلۡ اِنَّمَاۤ اُنۡذِرُکُمۡ بِالۡوَحۡیِ ۫ۖ وَ لَا یَسۡمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا یُنۡذَرُوۡنَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. আপনি বলুন, ‘আমি তোমাদেরকে শুধু ওহী দ্বারা সতর্ক করি; এবং বধিরগণ আহ্বান শুনে না যখন সতর্ক করা হয়’।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. বলে দিন, ‘আমি তো তোমাদেরকে কেবল ওহীর মাধ্যমেই সতর্ক করি’। আর বধিরেরা আহ্বান শুনতে পায় না যখনই তাদেরকে সতর্ক করা হয়।
৪৬
Play Share Copy
وَ لَئِنۡ مَّسَّتۡہُمۡ نَفۡحَۃٌ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّکَ لَیَقُوۡلُنَّ یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং যদি তাদেরকে আপনার রবের শাস্তির বাতাস স্পর্শ করে যায়, তবে অবশ্যই বলবে, ‘হায় দুর্ভোগ আমাদের! নিশ্চয় আমরা যালিম ছিলাম’।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. যদি (প্রকৃতপক্ষে) তাদেরকে আপনার প্রতিপালকের নিকট থেকে সামান্যতম শাস্তি(ও) স্পর্শ করে, তবে তারা অবশ্যই বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! নিশ্চয়ই আমরাই ছিলাম যালিম।’
৪৭
Play Share Copy
وَ نَضَعُ الۡمَوَازِیۡنَ الۡقِسۡطَ لِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ فَلَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ اَتَیۡنَا بِہَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং আমি ক্বিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারের মানদণ্ডসমূহ স্থাপন করবো। সুতরাং কারো আত্নার প্রতি কোন অবিচল করা হবে না। এবং যদি কোন বস্তু তিল-বীজের পরিমাণও হয়, তবে আমি তাও নিয়ে আসবো; আর আমি যথেষ্ট হিসাব গ্রহণে।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর আমরা কিয়ামতের দিন স্থাপন করবো ন্যায়বিচারের মানদন্ড। সুতরাং কোনো প্রাণের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। আর যদি (কারো কর্ম) সরিষার দানা পরিমাণও হয় (তবে) আমরা তাও উপস্থিত করবো। আর আমরাই হিসাব গ্রহণকারীরূপে যথেষ্ট।
৪৮
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং নিশ্চয় আমি মূসা ও হারূনকে ‘মীমাংসার মাপকাঠি’ প্রদান করেছি ও উজ্জ্বল আলো আর খোদাভীরুদের জন্য উপদেশ।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর নিশ্চয়ই আমরা মূসা এবং হারুন (আলাইহিমাস সালাম)-কে (সত্য-মিথ্যার) পার্থক্যকারী এবং (আপাদমস্তক) আলো এবং পরহেযগারদের জন্যে উপদেশ (-নির্ভর কিতাব তাওরাত) দান করেছিলাম।
৪৯
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ ہُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. ওই সব লোক, যারা না দেখেও আপন রবকে ভয় করে এবং ক্বিয়ামতের ভয় তাদের মধ্যে লেগেই রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে এবং যারা কিয়ামত (দিবসের ভয়াবহতা) থেকে ভীত থাকে।
৫০
Play Share Copy
وَ ہٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰہُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَہٗ مُنۡکِرُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং এটা হচ্ছে কল্যাণময় উপদেশ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি। তবুও কি তোমরা সেটার অস্বীকারকারী হও?
ইরফানুল কুরআন
৫০. এ (কুরআন) কল্যাণময় উপদেশ, যা আমরা অবতীর্ণ করেছি। তোমরা কি একে অস্বীকার করো?
৫১
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اِبۡرٰہِیۡمَ رُشۡدَہٗ مِنۡ قَبۡلُ وَ کُنَّا بِہٖ عٰلِمِیۡنَ ﴿ۚ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. আর নিশ্চয় আমি ইব্রাহীমকে পূর্ব থেকেই তাঁর সৎপথ দান করেছি এবং আমি তাঁর সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত ছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর আমরা তো পূর্ব থেকেই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর (মর্যাদা অনুসারে) উপলব্ধি ও হেদায়াত দান করেছিলাম, আর আমরা (সক্ষমতা ও উপযুক্ততা বিবেচনায়) তাঁর সর্ম্পকে ছিলাম সম্পুর্ণ পরিজ্ঞাত।
৫২
Play Share Copy
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡہِ وَ قَوۡمِہٖ مَا ہٰذِہِ التَّمَاثِیۡلُ الَّتِیۡۤ اَنۡتُمۡ لَہَا عٰکِفُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. যখন সে তাঁর পিতা ও সম্প্রদায়কে বললো, ‘এ মূর্তিগুলো কী, যেগুলোর সম্মুখে তোমরা আসন পেতে বসে আছো?’
ইরফানুল কুরআন
৫২. যখন তিনি তাঁর পিতা (অর্থাৎ চাচা) এবং নিজ সম্প্রদায়কে বললেন, ‘এ কেমন মূর্তি, যাতে তোমরা (উপাসনায়) মগ্ন রয়েছো?’
৫৩
Play Share Copy
قَالُوۡا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا لَہَا عٰبِدِیۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. তারা বললো, ‘আমরা আপন পিতৃপুরুষকে সেগুলোর পূজা করতে (দেখতে) পেয়েছি’।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. তারা বললো, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষগণকে এগুলোর উপাসনা করতে দেখেছি’।
৫৪
Play Share Copy
قَالَ لَقَدۡ کُنۡتُمۡ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. বললো, ‘নিশ্চয় তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষ সবাই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছো’।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা এবং তোমাদের পিতৃপুরুষগণ (সবাই) স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিলে’।
৫৫
Play Share Copy
قَالُوۡۤا اَجِئۡتَنَا بِالۡحَقِّ اَمۡ اَنۡتَ مِنَ اللّٰعِبِیۡنَ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. তারা বললো, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছো, না এভাবেই খেলা করছো’?
ইরফানুল কুরআন
৫৫. তারা বললো, ‘(কেবল) তুমিই কি সত্য নিয়ে এসেছো, নাকি তুমি (কেবল) বিনোদনকারীদের একজন?’
৫৬
Play Share Copy
قَالَ بَلۡ رَّبُّکُمۡ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الَّذِیۡ فَطَرَہُنَّ ۫ۖ وَ اَنَا عَلٰی ذٰلِکُمۡ مِّنَ الشّٰہِدِیۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. বললো, ‘বরং তোমাদের রব তিনিই, যিনি রব হন আসমানসমূহ ও যমীনের, যিনি সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, এবং এ বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী হই।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘বরং তোমাদের প্রতিপালক আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি এসব (কিছু) সৃষ্টি করেছেন আর আমি এ (সত্য বিষয়) সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছি।
৫৭
Play Share Copy
وَ تَاللّٰہِ لَاَکِیۡدَنَّ اَصۡنَامَکُمۡ بَعۡدَ اَنۡ تُوَلُّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. এবং আমার আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ধ্বংস কামনা করবো এরপর যে, তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে ফিরে যাবে’।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর আল্লাহ্‌র শপথ! যখন তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে ফিরে যাবে, তখন আমি তোমাদের মূর্তিদের সাথে অবশ্যই এক কৌশল অবলম্বন করবো।’
৫৮
Play Share Copy
فَجَعَلَہُمۡ جُذٰذًا اِلَّا کَبِیۡرًا لَّہُمۡ لَعَلَّہُمۡ اِلَیۡہِ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. অতঃপর সে সবকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলো, কিন্তু একটাকে, যেটা ওই সবের মধ্যে বড় ছিলো এ জন্য যে, সম্ভবতঃ তারা তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. অতঃপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এ গুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেললেন, বড়টি ব্যতীত, যাতে তারা এর শরণাপন্ন হতে পারে।
৫৯
Play Share Copy
قَالُوۡا مَنۡ فَعَلَ ہٰذَا بِاٰلِہَتِنَاۤ اِنَّہٗ لَمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. তারা বললো, ‘আমাদের খোদাগুলোর সাথে কে এমন আচরণ করলো? নিশ্চয় সে যালিম’।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. তারা বলতে লাগলো, ‘কে আমাদের উপাস্যদের এ অবস্থা করেছে? নিশ্চয়ই সে যালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’
৬০
Play Share Copy
قَالُوۡا سَمِعۡنَا فَتًی یَّذۡکُرُہُمۡ یُقَالُ لَہٗۤ اِبۡرٰہِیۡمُ ﴿ؕ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোক বললো, ‘আমরা এক যুবককে সেগুলকে মন্দ বলতে শুনেছি, যাকে ইব্রাহীম বলা হয়’।
ইরফানুল কুরআন
৬০. (কিছু) লোক বললো, ‘আমরা এক যুবকের কথা শুনেছি, যে (অস্বীকার ও কটাক্ষের সাথে) এগুলোর আলোচনা করে, তাঁকে ইবরাহীম নামে ডাকা হয়’।
৬১
Play Share Copy
قَالُوۡا فَاۡتُوۡا بِہٖ عَلٰۤی اَعۡیُنِ النَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَشۡہَدُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. তারা বললো, ‘সুতরাং লোকসম্মুখে তাকে উপস্থিত করো, হয়তো তারা সাক্ষ্য দেবে’।
ইরফানুল কুরআন
৬১. তারা বললো, ‘তাঁকে লোক সম্মুখে উপস্থিত করো, যাতে তারা (তাঁকে) দেখতে পায়’।
৬২
Play Share Copy
قَالُوۡۤا ءَاَنۡتَ فَعَلۡتَ ہٰذَا بِاٰلِہَتِنَا یٰۤـاِبۡرٰہِیۡمُ ﴿ؕ۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. তারা বললো, ‘তুমি কি আমাদের খোদাগুলোর সাথে এ আচরণ করেছো, হে ইব্রাহীম’।
ইরফানুল কুরআন
৬২. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এলে) তারা বলতে লাগলো, ‘তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের এ অবস্থা করেছো? হে ইবরাহীম!’
৬৩
Play Share Copy
قَالَ بَلۡ فَعَلَہٗ ٭ۖ کَبِیۡرُہُمۡ ہٰذَا فَسۡـَٔلُوۡہُمۡ اِنۡ کَانُوۡا یَنۡطِقُوۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. তিনি বললেন, ‘বরং সেগুলোর মধ্যে সম্ভবতঃ ওই বড়টাই করেছে। সুতরাং সেগুলোকে জিজ্ঞাসা করো যদি সেগুলো কথা বলে’।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. তিনি বললেন, ‘বরং এ (কাজ) তাদের এ বড় (মূর্তি)-টি করে থাকবে, সুতরাং এদেরকেই (এ মূর্তিগুলোকে) জিজ্ঞেস করো, যদি তারা বলতে পারে’।
৬৪
Play Share Copy
فَرَجَعُوۡۤا اِلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ فَقَالُوۡۤا اِنَّکُمۡ اَنۡتُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿ۙ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. সুতরাং তারা নিজেদের মনের প্রতি প্রত্যাবর্তন করলো, (মনে মনে ভাবতে লাগলো) এবং বললো, ‘নিশ্চয়, তোমরাই যালিম’।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. অতঃপর তারা তাদের (বিবেচনায়) পরস্পরের দিকে ফিরল এবং বলতে লাগলো, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নিজেরাই (এ পরাধীন ও অসার মূর্তির উপাসনা করে) যালিম (হয়ে গিয়েছো)।’
৬৫
Play Share Copy
ثُمَّ نُکِسُوۡا عَلٰی رُءُوۡسِہِمۡ ۚ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَا ہٰۤؤُلَآءِ یَنۡطِقُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. অতঃপর তাদেরকে তাদের মস্তকের উপর ভয় করে অবনত করানো হলো (আর বলতে লাগলো) যে, ‘আপনি ভালভাবে জানেন এরা কথা বলে না’।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. অতঃপর তাদের মস্তক অবনত হয়ে গেল (অর্থাৎ নিজেদের বিবেক বুদ্ধি ঘুরে গেল এবং বলতে লাগলো:) ‘নিশ্চয়ই (হে ইবরাহীম!) তুমি তো নিজেই জানো যে, এরা কথা বলে না।’
৬৬
Play Share Copy
قَالَ اَفَتَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَنۡفَعُکُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا یَضُرُّکُمۡ ﴿ؕ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. বললো, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত এমন সবের পূজা করছো, যেগুলো না তোমাদের উপকার করতে পারে এবং না ক্ষতি করতে পারে?
ইরফানুল কুরআন
৬৬. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্কে ছেড়ে এসবের (এ মূর্তির) উপাসনা করছো যারা না তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে, আর না তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে?
৬৭
Play Share Copy
اُفٍّ لَّکُمۡ وَ لِمَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. ধিক্কার তোমাদের প্রতি এবং ওই মূর্তিগুলোর প্রতি, যেগুলোকে তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত পূজা করছো! তবে কি তোমাদের বিবেক নেই’?
ইরফানুল কুরআন
৬৭. ধিক্ তোমাদের প্রতি এবং এসবের প্রতি, আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাদের উপাসনা করছো। তোমাদের কি কান্ডজ্ঞান নেই?’
৬৮
Play Share Copy
قَالُوۡا حَرِّقُوۡہُ وَ انۡصُرُوۡۤا اٰلِہَتَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ فٰعِلِیۡنَ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. তারা বললো, ‘তাকে জ্বালিয়ে দাও এবং নিজেদের খোদাগুলোকে সাহায্য করো। যদি তোমাদের কিছু করার থাকো!’
ইরফানুল কুরআন
৬৮. তারা বললো, ‘তাকে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের (ধ্বংসপ্রাপ্ত) উপাস্যদেরকে সাহায্য করো, যদি তোমরা (কিছু) সম্পাদনকারী হও’।
৬৯
Play Share Copy
قُلۡنَا یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ ﴿ۙ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. আমি বললাম, ‘হে আগুন! ইব্রাহীমের উপর হয়ে যাও শীতল ও নিরাপদ!’
ইরফানুল কুরআন
৬৯. আমরা বললাম, ‘হে অগ্নি! তুমি ইবরাহীমের জন্যে শীতল ও পূর্ণ শান্তিময় হও।’
৭০
Play Share Copy
وَ اَرَادُوۡا بِہٖ کَیۡدًا فَجَعَلۡنٰہُمُ الۡاَخۡسَرِیۡنَ ﴿ۚ۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. এবং তারা তাঁর ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করলো। তখন আমি তাদেরকে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৭০. আর তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর বিরুদ্ধে মন্দ চালের ইচ্ছা করেছিল; কিন্তু আমরা তাদেরকে চরমভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছিলাম।
৭১
Play Share Copy
وَ نَجَّیۡنٰہُ وَ لُوۡطًا اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡہَا لِلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং আমি তাকে ও লূতকে নাজাত দান করে নিয়ে গেলাম ওই ভূমির দিকে যাতে আমি বিশ্ববাসীদের জন্য কল্যাণ রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর আমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে এবং (তাঁর ভাতিজা অর্থাৎ স্বীয় ভাই হারুনের পুত্র) লূত (আলাইহিস সালাম)-কে উদ্ধার করে (ইরাক থেকে) এ অঞ্চলে (সিরিয়ায়) নিয়ে গেলাম যেখানে আমরা জগতবাসীর জন্যে কল্যাণ রেখেছি।
৭২
Play Share Copy
وَ وَہَبۡنَا لَہٗۤ اِسۡحٰقَ ؕ وَ یَعۡقُوۡبَ نَافِلَۃً ؕ وَ کُلًّا جَعَلۡنَا صٰلِحِیۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. এবং আমি তাকে দান করেছি ইসহাক্বকে আর ইয়া’ক্বুবকে পৌত্ররূপে এবং আমি তাদের সবাইকে আমার বিশেষ নৈকট্যের উপযোগী করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর আমরা তাঁকে (পুত্র সন্তান) ইসহাক (আলাইহিস সালাম) দান করলাম এবং আরো দান করলাম (পৌত্র) ইয়াকুব (আলাইহিস সালামকে, তাঁর দোয়ার কারণে)। আর আমরা তাঁদের সকলকে করেছিলাম সৎকর্মপরায়ণ;
৭৩
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنٰہُمۡ اَئِمَّۃً یَّہۡدُوۡنَ بِاَمۡرِنَا وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡہِمۡ فِعۡلَ الۡخَیۡرٰتِ وَ اِقَامَ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءَ الزَّکٰوۃِ ۚ وَ کَانُوۡا لَنَا عٰبِدِیۡنَ ﴿ۚۙ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং আমি তাদেরকে ‘ইমাম’ করেছি, যারা আমার নির্দেশে আহ্বান করে আর আমি তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি- সৎকর্ম করতে, নামায প্রতিষ্ঠিত রাখতে এবং যাকাত প্রদান করতে; আর তারা আমার ইবাদত করতো।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর আমরা তাদেরকে করেছিলাম (মানবজাতির) নেতা, তাঁরা (মানুষকে) আমাদের নির্দেশে হেদায়াত দান করতো। আর আমরা তাদেরকে কল্যাণকর কাজ ও নামায কায়েম করার এবং যাকাত আদায়ের (বিধান) প্রত্যাদেশ করেছিলাম। আর তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের নিবেদিতপ্রাণ ইবাদতকারী।
৭৪
Play Share Copy
وَ لُوۡطًا اٰتَیۡنٰہُ حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا وَّ نَجَّیۡنٰہُ مِنَ الۡقَرۡیَۃِ الَّتِیۡ کَانَتۡ تَّعۡمَلُ الۡخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. আর লূতকে আমি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও জ্ঞান প্রদান করেছি এবং তাকে এমন এক জনপদ থেকে উদ্ধার করেছি, যারা অশ্লীল কাজ করতো; নিশ্চয় তারা মন্দলোক, নির্দেশ অমান্যকারী ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর লূত (আলাইহিস সালাম)-কে(ও) আমরা প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়ে অনুগ্রহ করেছিলাম। আর আমরা তাকে সে জনপদ থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম, যার অধিবাসীরা ছিল অশ্লীল কাজে লিপ্ত। নিশ্চয়ই তারা ছিল অত্যন্ত খারাপ (এবং) দূরাচারী সম্প্রদায়।
৭৫
Play Share Copy
وَ اَدۡخَلۡنٰہُ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّہٗ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এবং আমি তাকে আপনার করুণার মধ্যে প্রবেশ করিয়েছি। নিঃসন্দেহে, সে আমার একান্ত নৈকট্যের উপযোগীদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আর আমরা লূত (আলাইহিস সালাম)-কে আমাদের অনুগ্রহাঙ্গনে প্রবেশ করিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
৭৬
Play Share Copy
وَ نُوۡحًا اِذۡ نَادٰی مِنۡ قَبۡلُ فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ فَنَجَّیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗ مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ۚ۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং নূহকে; যখন সে ইতোপূর্বে আমাকে আহ্বান করেছে, তখন আমি তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি এবং তাকে ও তাঁর পরিজনবর্গকে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর নূহ (আলাইহিস সালামের কথাও স্মরণ করুন) যখন তিনি (অন্যান্য নবী আলাইহিমুস সালামগণের) পূর্বে (আমাদেরকে) ডেকেছিলেন, আর আমরা তাঁর দু’আ কবুল করেছিলাম। অতঃপর আমরা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারবর্গকে খুবই কঠিন দুঃখ-দুর্দশা থেকে উদ্ধার করেছিলাম।
৭৭
Play Share Copy
وَ نَصَرۡنٰہُ مِنَ الۡقَوۡمِ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فَاَغۡرَقۡنٰہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. এবং আমি ওই সব লোকের বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করেছি যারা আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করেছে; নিশ্চয় তারা মন্দলোক ছিলো; অতঃপর আমি তাদের সবাইকে নিমজ্জিত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. আর আমরা তাঁকে সাহায্য করেছিলাম সেই সম্প্রদায়ের (যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার) বিরুদ্ধে যারা আমাদের আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতো। নিশ্চয়ই তারা(ও) ছিল খুবই খারাপ সম্প্রদায়, সুতরাং আমরা তাদের সকলকে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
৭৮
Play Share Copy
وَ دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ اِذۡ یَحۡکُمٰنِ فِی الۡحَرۡثِ اِذۡ نَفَشَتۡ فِیۡہِ غَنَمُ الۡقَوۡمِ ۚ وَ کُنَّا لِحُکۡمِہِمۡ شٰہِدِیۡنَ ﴿٭ۙ۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং দাঊদ ও সুলায়মানকে স্মরণ করুন! যখন শস্যক্ষেত্রের এক বিবাদ মীমাংসা করছিলো, যখন রাতের বেলায় তাতে কিছুলোকের মেষসমূহ প্রবেশ করেছিলো এবং আমি তাদের বিচারের সময় উপস্থিত ছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর দাউদ ও সুলাইমান (আলাইহিমাস সালামের ঘটনাও স্মরণ করুন), যে সময় তাঁরা উভয়ে শস্যক্ষেত্রের ব্যাপারে (এক বিবাদের) ফায়সালা করছিলেন, যখন তাতে রাতের বেলা এক সম্প্রদায়ের রাখালবিহীন বকরীপাল প্রবেশ করেছিল (এবং শস্যক্ষেত্র ধ্বংস করে দিয়েছিল।) আর আমরা প্রত্যক্ষ করছিলাম তাদের বিচার।
৭৯
Play Share Copy
فَفَہَّمۡنٰہَا سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ کُلًّا اٰتَیۡنَا حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا ۫ وَّ سَخَّرۡنَا مَعَ دَاوٗدَ الۡجِبَالَ یُسَبِّحۡنَ وَ الطَّیۡرَ ؕ وَ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. আমি ওই বিষয় সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছি এবং উভয়কে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা ও জ্ঞান দান করেছি; আর দাঊদের সাথে পর্বতকে অনুগত ঘোষণা করতো; এবং পক্ষীকুলকেও। আর এসব আমার কাজ ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. সুতরাং আমরাই সুলাইমান (আলাইহিস সালাম)-কে তা (অর্থাৎ বিচারের পদ্ধতি) শিখিয়েছিলাম এবং তাদের সকলকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়ে অনুগ্রহ করেছিলাম। আর আমরা পর্বতমালা এবং পক্ষীকুলকে (পর্যন্ত) দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এঁর (নির্দেশের) অধীন করে দিয়েছিলাম। তারা (সকলে তাঁর সাথে মিলে) আমাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতো। আর আমরাই ছিলাম (এ সকল কিছু) সম্পাদনকারী।
৮০
Play Share Copy
وَ عَلَّمۡنٰہُ صَنۡعَۃَ لَبُوۡسٍ لَّکُمۡ لِتُحۡصِنَکُمۡ مِّنۡۢ بَاۡسِکُمۡ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ شٰکِرُوۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং আমি তাকে তোমাদের এক পরিধেয় (বর্ম) তৈরী করা শিক্ষা দিয়েছি, যাতে তোমাদেরকে তোমাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, অতঃপর তোমরা কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে?
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর আমরা দাউদ (আলাইহিস সালাম)-কে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মাণ নৈপূণ্য শিখিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে আঘাত থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করে। কাজেই তোমরা কি কৃতজ্ঞতা আদায়কারী?
৮১
Play Share Copy
وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ عَاصِفَۃً تَجۡرِیۡ بِاَمۡرِہٖۤ اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡہَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیۡءٍ عٰلِمِیۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং সুলায়মানের জন্য তীব্র বায়ুকে বশীভূত করে দিয়েছি; তা তাঁর নির্দেশে প্রবাহিত হতো ওই ভূমির প্রতি, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি এবং প্রত্যেকটা বিষয় আমার জানা আছে।
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর সুলাইমান (আলাইহিস সালাম)-এঁর জন্যে উদ্দাম বায়ুকে (অধীনস্থ করে দিয়েছিলাম) যা তাঁর নির্দেশে (সকল দিক থেকে সিরিয়া) ভুমির দিকে প্রবাহিত হতো, যাতে আমরা রেখেছিলাম কল্যাণ। আর আমরা সকল কিছু সম্পর্কে (সম্যক) পরিজ্ঞাত।
৮২
Play Share Copy
وَ مِنَ الشَّیٰطِیۡنِ مَنۡ یَّغُوۡصُوۡنَ لَہٗ وَ یَعۡمَلُوۡنَ عَمَلًا دُوۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَہُمۡ حٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. আর শয়তানের মধ্যে যেগুলো তাঁর জন্য ডুব দিতো এবং তা ব্যতীত অন্য কাজও করতো আর আমি তাদেরকে রুখে দিয়েছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৮২. আর কিছু (দানব এবং জ্বীন) শয়তানকেও (সুলাইমান আলাইহিস সালামের অনুগত করে দিয়েছিলাম) যারা তাঁর জন্যে (সাগরে) ডুবুরির এবং (তাঁর নির্দেশে) অন্যান্য কাজও করে দিতো। আর আমরাই সেসব (দানব)-এর উপর নজর রাখতাম।
৮৩
Play Share Copy
وَ اَیُّوۡبَ اِذۡ نَادٰی رَبَّہٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. এবং আইয়ূবকে (স্মরণ করুন) যখন সে আপন রবকে ডাকলো, ‘আমাকে দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করেছে এবং তুমি সমস্ত দয়ালুর মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু’।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. আর আইয়ুব (আলাইহিস সালামের ঘটনা স্মরণ করুন) যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে ডেকেছিলেন, ‘আমাকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করেছে এবং আপনি তো সকল দয়ালুগণের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
৮৪
Play Share Copy
فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ فَکَشَفۡنَا مَا بِہٖ مِنۡ ضُرٍّ وَّ اٰتَیۡنٰہُ اَہۡلَہٗ وَ مِثۡلَہُمۡ مَّعَہُمۡ رَحۡمَۃً مِّنۡ عِنۡدِنَا وَ ذِکۡرٰی لِلۡعٰبِدِیۡنَ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. অতঃপর আমি তাঁর প্রার্থনা শুনেছি। তখন আমি দূরীভূত করেছি যে দুঃখ-কষ্ট তাঁর ছিলো, এবং আমি তাকে তাঁর পরিজনবর্গ ও তাদের সাথে তদসংখ্যক আরো দান করলাম আমার নিকট থেকে দয়া করে এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশ স্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. সুতরাং আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম এবং তাঁর যতো দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম। আর আমরা তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তাঁর পরিবার-পরিজন এবং তাদের সাথে তাদের মতো আরো কিছু। এ ছিল আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশ (যে, আল্লাহ্ ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার কেমন পুরস্কার দিয়ে থাকেন)।
৮৫
Play Share Copy
وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِدۡرِیۡسَ وَ ذَاالۡکِفۡلِ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এবং ইসমাঈল, ইদ্‌রীস ও যুল্‌-কিফ্‌লকে (স্মরণ করুন)। তারা সবাই ধৈর্যশীল ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৮৫. আর ইসমাঈল, ইদরীস ও জুল-কিফল (আলাইহিমুস সালামকেও স্মরণ করুন)। তারা সকলে ছিলেন ধৈর্যশীল।
৮৬
Play Share Copy
وَ اَدۡخَلۡنٰہُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّہُمۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. এবং তাদেরকে আমি আপন অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। নিশ্চয় তারা আমার বিশেষ নৈকট্যের উপযোগীদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৮৬. আর আমরা তাঁদেরকে আমাদের অনুগ্রহে প্রবেশ করিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই তারা নেক্কারগণের অন্তর্ভুক্ত।
৮৭
Play Share Copy
وَ ذَاالنُّوۡنِ اِذۡ ذَّہَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنۡ لَّنۡ نَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنۡ لَّاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. এবং যুন্‌নূনকে (স্মরণ করুন); যখন ক্রোধভরে চললো, তখন মনে করলো যে, আমি তাঁর উপর প্রতিবন্ধকতা (বিপদ) সৃষ্টি করবো না। অতঃপর অন্ধকাররশির মধ্যে ডাকলো, ‘কোন উপাস্য নেই তুমি ব্যতীত; পবিত্রতা তোমারই, নিশ্চয় আমার দ্বারা অশোভন কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮৭. আর জুন-নূন (মাছের পেটে অবস্থানকারী নবী আলাইহিস সালামকেও স্মরণ করুন) যখন তিনি (নিজের সম্প্রদায়ের উপর) রাগান্বিত হয়ে চলে গিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি এ ধারণা করেছিলেন যে, আমরা তাঁকে (এ সফরে) কোনো সংকটে ফেলবো না। আর তিনি (সাগর, রাত এবং মাছের পেটে স্তরের পর স্তর) অন্ধকারে (ফেঁসে) ডাকলেন, ‘তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তোমার সত্তা পূতঃপবিত্র। নিশ্চয়ই আমিই (নিজের প্রতি) সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।’
৮৮
Play Share Copy
فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ ۙ وَ نَجَّیۡنٰہُ مِنَ الۡغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــۨۡجِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. তখন আমি তাঁর প্রার্থনা শুনেছি এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে উদ্ধার করেছি আর এভাবেই উদ্ধার করবো মুসলমানদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
৮৮. অতঃপর আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম এবং আমরা তাঁকে মর্মযন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিলাম। আর এমনিভাবে আমরা মুমিনদের উদ্ধার করে থাকি।
৮৯
Play Share Copy
وَ زَکَرِیَّاۤ اِذۡ نَادٰی رَبَّہٗ رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. এবং যাকারীয়াকে, যখন সে আপন রবকে আহ্বান করেছে, ‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না এবং তুমি সর্বাধিক উত্তম ওয়ারিস (মালিক)।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. আর যাকারিয়্যা (আলাইহিস সালামকে স্মরণ করুন) যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে ডাকলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নিঃসন্তান রেখো না, আর তুমি তো সকল উত্তরাধিকারী থেকে উত্তম।’
৯০
Play Share Copy
فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ ۫ وَ وَہَبۡنَا لَہٗ یَحۡیٰی وَ اَصۡلَحۡنَا لَہٗ زَوۡجَہٗ ؕاِنَّہُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَہَبًا ؕوَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ ﴿۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. তখন আমি তাঁর প্রার্থনা ক্ববূল করেছি এবং তাকে দান করেছি ইয়াহ্‌য়াকে এবং তাঁর জন্য তাঁর স্ত্রীকে যোগ্যতাসম্পন্ন করেছি। নিশ্চয় তারা সৎকর্মসমূহে ত্বরা করতো এবং আমাকে ডাকতো আশা ও ভীতির সাথে আর আমার দরবারে বিনীতভাবে প্রার্থনা করতো।
ইরফানুল কুরআন
৯০. সুতরাং আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দান করলাম ইয়াহ্ইয়া (আলাইহিস সালাম), এবং তাঁর কারণে তাঁর স্ত্রীকে (সন্তান ধারণের) উপযোগী করে দিলাম। নিশ্চয়ই তাঁরা (সকলে) পূণ্যকাজ (সম্পাদন) করতে দ্রুত অগ্রসর হতেন। আর আমাদেরকে উদ্দীপনা ও আগ্রহ এবং ভীতি ও ভয়ের (অবস্থার) সাথে ডাকতেন এবং আমাদের সমীপে অত্যন্ত নিবেদনের সাথে বিনয়াবনত হতেন।
৯১
Play Share Copy
وَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا فَنَفَخۡنَا فِیۡہَا مِنۡ رُّوۡحِنَا وَ جَعَلۡنٰہَا وَ ابۡنَہَاۤ اٰیَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. এবং ওই নারীকে, যে নিজ সতীত্বকে রক্ষা করেছে, অতঃপর তাঁর মধ্যে আমার ‘রূহ’ ফুঁকে দিয়েছি এবং তাকে ও তাঁর পুত্রকে সমগ্র বিশ্বের জন্য নিদর্শন করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৯১. সে (পূতঃপবিত্র) রমনী (মারইয়াম আলাইহাস সালাম)-কেও (স্মরণ করুন), যিনি নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিলেন। অতঃপর আমরা তাঁর মধ্যে আমাদের রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাঁকে ও তাঁর পুত্র (ঈসা আলাইহিস সালাম)-কে করেছিলাম জগতবাসীর জন্যে (আমার কুদরতের) নিদর্শন।
৯২
Play Share Copy
اِنَّ ہٰذِہٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۫ۖ وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. নিশ্চয় তোমাদের এ দ্বীন হচ্ছে একই দ্বীন; এবং আমি তোমাদের রব। অতএব, তোমরা আমার ইবাদত করো।
ইরফানুল কুরআন
৯২. নিশ্চয়ই তোমাদের এ জাতি (সকলে) তো একই জাতি। আর আমি তোমাদের প্রতিপালক, সুতরাং তোমরা আমার(ই) ইবাদত করো।
৯৩
Play Share Copy
وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَہُمۡ بَیۡنَہُمۡ ؕ کُلٌّ اِلَیۡنَا رٰجِعُوۡنَ ﴿۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. এবং অন্যান্য লোকেরা তাদের কার্যকলাপকে পরস্পরের মধ্যে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে; সবাইকে আমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৩. আর এরা (আহলে কিতাব) পরস্পরে নিজেদের ধর্মকে টুকরো টুকরো করেছে। এরা সকলে আমাদেরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
৯৪
Play Share Copy
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا کُفۡرَانَ لِسَعۡیِہٖ ۚ وَ اِنَّا لَہٗ کٰتِبُوۡنَ ﴿۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. সুতরাং যে কেউ কোন ভাল কাজ করে এবং হয় ঈমানদার, তবে তাঁর প্রচেষ্টার অবমূল্যায়ন করা হবে না আর আমি তা লিপিবদ্ধ করছি।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. অতঃপর যে নেক আমল করে এবং সে মুমিনও, তবে তাঁর কর্মপ্রচেষ্টা (-এর প্রতিদান) অস্বীকার করা হবে না। আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁর (সকল) আমল লিখে রাখছি।
৯৫
Play Share Copy
وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرۡیَۃٍ اَہۡلَکۡنٰہَاۤ اَنَّہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. এবং হারাম ওই জনপদের উপর, যাকে আমি ধ্বংস করেছি যে, তারা ফিরে আসবে,
ইরফানুল কুরআন
৯৫. আর এটা অসম্ভব যে, যে জনপদ আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি (মৃত্যুর পর) তার অধিবাসীবৃন্দ আমার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না,
৯৬
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتۡ یَاۡجُوۡجُ وَ مَاۡجُوۡجُ وَ ہُمۡ مِّنۡ کُلِّ حَدَبٍ یَّنۡسِلُوۡنَ ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. এ পর্যন্ত যে, যখন উন্মুক্ত করা হবে ইয়া’জূজ ও মা’জূজকে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভূমি থেকে ছুটে আসবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. অবশেষে যখন ই’য়াজুজ মা’জুজকে খুলে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উঁচু স্থান থেকে ছুটে আসবে,
৯৭
Play Share Copy
وَ اقۡتَرَبَ الۡوَعۡدُ الۡحَقُّ فَاِذَا ہِیَ شَاخِصَۃٌ اَبۡصَارُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ یٰوَیۡلَنَا قَدۡ کُنَّا فِیۡ غَفۡلَۃٍ مِّنۡ ہٰذَا بَلۡ کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. এবং সন্নিকটে এসেছে সত্য প্রতিশ্রুতি; সুতরাং তখনই কাফিরদের চক্ষুগুলো বিস্ফারিত হয়ে থেকে যাবে (আর বলবে,) ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! নিশ্চয় আমরা সে বিষয়ে উদাসীনতাঁর মধ্যে ছিলাম; বরং আমরা যালিম ছিলাম’।
ইরফানুল কুরআন
৯৭. আর (কিয়ামতের) সত্য প্রতিশ্রুতকাল নিকটবর্তী হবে, তখন অকস্মাৎ কাফেরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। (তারা চিৎকার করে উঠবে,) ‘হায় দুর্ভাগ্য আমাদের! আমরা এ (দিনের আগমন) থেকে উদাসীনতায় ছিলাম, প্রকৃত পক্ষে আমরা ছিলাম যালিম।’
৯৮
Play Share Copy
اِنَّکُمۡ وَ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ حَصَبُ جَہَنَّمَ ؕ اَنۡتُمۡ لَہَا وٰرِدُوۡنَ ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. নিশ্চয় তোমরা এবং যা কিছুর আল্লাহ্‌ ব্যতীত তোমরা পূজা করছো সবই জাহান্নামের ইন্ধন। তোমাদেরকে সেটার মধ্যে যেতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৮. নিশ্চয়ই তোমরা, এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাদের উপাসনা করতে সেসব (মূর্তিসহ সবাই) জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা তাতে প্রবেশকারী।
৯৯
Play Share Copy
لَوۡ کَانَ ہٰۤؤُلَآءِ اٰلِہَۃً مَّا وَرَدُوۡہَا ؕ وَ کُلٌّ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۹۹﴾
কানযুল ঈমান
৯৯. যদি এ মূর্তিগুলো খোদা হতো, তবে জাহান্নামে যেতো না এবং তাদের সবাইকে সেটার মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৯. যদি তারা (সত্যই) উপাস্য হতো, তবে জাহান্নামে প্রবেশ করতো না। আর তারা সকলে তাতে চিরকাল অবস্থান করবে।
১০০
Play Share Copy
لَہُمۡ فِیۡہَا زَفِیۡرٌ وَّ ہُمۡ فِیۡہَا لَا یَسۡمَعُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾
কানযুল ঈমান
১০০. তারা সেটার মধ্যে আর্তনাদ করবে এবং তারা সেটার মধ্যে কিছুই শুনবে না।
ইরফানুল কুরআন
১০০. সেখানে থাকবে তাদের (দীর্ঘশ্বাসের শোরগোল,) চিৎকার ও আর্তনাদ। আর তারা তাতে (আর) কিছুই শুনতে পাবে না।
১০১
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ سَبَقَتۡ لَہُمۡ مِّنَّا الۡحُسۡنٰۤی ۙ اُولٰٓئِکَ عَنۡہَا مُبۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১০১. নিশ্চয় ওই সব লোক, যাদের জন্য আমার প্রতিশ্রুতি কল্যাণের হয়েছে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১০১. নিশ্চয়ই যাদের জন্যে প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে, তাদেরকে এ (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে।
১০২
Play Share Copy
لَا یَسۡمَعُوۡنَ حَسِیۡسَہَا ۚ وَ ہُمۡ فِیۡ مَا اشۡتَہَتۡ اَنۡفُسُہُمۡ خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০২. তারা সেটার ক্ষীন ধ্বনিও শুনবে না এবং তারা তাদের মন যেমন চায় তেমন ভোগ বিলাসের মধ্যে সর্বদা থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১০২. তারা এর ক্ষীণ ধ্বণিও শুনবে না এবং তারা এতে (এ নিয়ামতে) চিরকাল থাকবে, যার জন্যে তাদের হৃদয় আকাঙ্ক্ষা করবে।
১০৩
Play Share Copy
لَا یَحۡزُنُہُمُ الۡفَزَعُ الۡاَکۡبَرُ وَ تَتَلَقّٰہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ ہٰذَا یَوۡمُکُمُ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾
কানযুল ঈমান
১০৩. তাদেরকে বিষাদে ফেলবে না ওই সর্বাধিক মহাভীতি এবং ফিরিশ্‌তাগণ তাদের অভ্যর্থনা করার জন্য আসবে, ‘এটাই হচ্ছে তোমাদের ওই দিন, যার সম্পর্কে তোমাদের সাথে ওয়াদা ছিলো’।
ইরফানুল কুরআন
১০৩. (কিয়ামতের) সবচেয়ে বড় ভয়াবহতা(ও) তাদেরকে চিন্তান্বিত করবে না, আর ফেরেশতারা তাদেরকে অভিবাদন জানাবে (এবং বলবে) ‘এ তো তোমাদের(ই) দিবস যার অঙ্গীকার তোমাদেরকে করা হয়েছিল’।
১০৪
Play Share Copy
یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُہٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۱۰۴﴾
কানযুল ঈমান
১০৪. যেদিন আমি আসমানকে গুটিয়ে ফেলবো যেভাবে লেখক ফিরিশ্‌তাগণ আমলনামাসমূহ গুটায়; যেভাবে আমি সর্বপ্রথম সেটা সৃষ্টি করেছিলাম পুনরায় সেভাবেই করে দেবো। এটাহচ্ছে প্রতিশ্রুতি আমার দায়িত্বে; সেটা আমি অবশ্যই করবো।
ইরফানুল কুরআন
১০৪. সেদিন আমরা (সমগ্র) জগতকে এমনভাবে মুড়ে দিব যেভাবে লিখিত কাগজকে মুড়ে দেয়া হয়। যেভাবে আমরা (বিশ্বভ্রহ্মান্ডকে) প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম (তাদের নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পর) সেভাবে আমরা সৃষ্টির পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করবো। এ অঙ্গীকার পূর্ণ করা আমাদের কর্তব্য, আমরা (এ পুনরাবৃত্তি) অবশ্যই সম্পাদন করবো।
১০৫
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ کَتَبۡنَا فِی الزَّبُوۡرِ مِنۡۢ بَعۡدِ الذِّکۡرِ اَنَّ الۡاَرۡضَ یَرِثُہَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوۡنَ ﴿۱۰۵﴾
কানযুল ঈমান
১০৫. এবং নিশ্চয় আমি ‘যাবূর’ এর মধ্যে উপদেশের পর লিখে দিয়েছি যে, এ ভূমির অধিকারী আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০৫. আর সন্দেহাতীতভাবে যাবূরে উপদেশের (বর্ণনার) পর আমরা এ কথা লিখে দিয়েছিলাম যে, (পরকালে) পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে কেবল আমার নেক্কার বান্দাগণ।
১০৬
Play Share Copy
اِنَّ فِیۡ ہٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوۡمٍ عٰبِدِیۡنَ ﴿۱۰۶﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১০৬. নিশ্চয় এ ক্বোরআন যথেষ্ট ইবাদতকারীদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১০৬. নিশ্চয় এ (কুরআন) অঙ্গনে ইবাদতকারীদের জন্যে (উদ্দেশ্য হাসিলের নিমিত্তে) নিশ্চিত এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
১০৭
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾
কানযুল ঈমান
১০৭. এবং আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১০৭. আর (হে মহিমান্বিত রাসূল!) আমরা তো আপনাকে বিশ্বজগতের জন্যে রহমতস্বরূপই প্রেরণ করেছি।
১০৮
Play Share Copy
قُلۡ اِنَّمَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۰۸﴾
কানযুল ঈমান
১০৮. আপনি বলুন, ‘আমার প্রতি তো এ ওহী হয় যে, ‘তোমাদের উপাস্য নেই কিন্তু এক আল্লাহ্‌। তবে কি তোমরা মুসলমান হচ্ছো?’
ইরফানুল কুরআন
১০৮. আপনি বলে দিন, ‘আমার নিকটে তো এ প্রত্যাদেশই করা হয়েছে যে, তোমাদের ইলাহ্ই একমাত্র ইলাহ্। কাজেই তোমরা কি ইসলাম গ্রহণ করছো?’
১০৯
Play Share Copy
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ اٰذَنۡتُکُمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ وَ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ اَمۡ بَعِیۡدٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۹﴾
কানযুল ঈমান
১০৯. অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দিন, ‘আমি তোমাদেরকে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছি সমানভাবে; এবং আমি কি জানি তা নিকটে, না দূরে, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে?’
ইরফানুল কুরআন
১০৯. অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দিন, ‘আমি তোমাদের সকলকে একইভাবে অবগত করে দিয়েছি এবং আমি (আমার নিজ থেকে) জানিনা যে, তা (সে শাস্তি) নিকটবর্তী না দূরবর্তী যার অঙ্গীকার তোমাদেরকে করা হচ্ছে।
১১০
Play Share Copy
اِنَّہٗ یَعۡلَمُ الۡجَہۡرَ مِنَ الۡقَوۡلِ وَ یَعۡلَمُ مَا تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۱۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১১০. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জানেন সশব্দে ব্যক্ত কথা আর জানেন যা তোমরা গোপন করো।
ইরফানুল কুরআন
১১০. নিশ্চয়ই তিনি সে উচ্চ আওয়াজের কথাও জানেন এবং সেসব (কিছু)-ও জানেন, যা তোমরা গোপন করছো।
১১১
Play Share Copy
وَ اِنۡ اَدۡرِیۡ لَعَلَّہٗ فِتۡنَۃٌ لَّکُمۡ وَ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۱۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১১. এবং আমি কী জানি, হয়তো তা তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা এবং এককালের জন্য জীবনোপভোগ’।
ইরফানুল কুরআন
১১১. আর আমি জানি না, হয়তো এ (শাস্তি বিলম্বিত করা এবং তোমাদেরকে প্রদত্ত অবকাশ) তোমাদের জন্যে পরীক্ষা এবং (তোমাদেরকে) এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ প্রদান করা উদ্দেশ্য।’
১১২
Play Share Copy
قٰلَ رَبِّ احۡکُمۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ رَبُّنَا الرَّحۡمٰنُ الۡمُسۡتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১১২. নবী আরয করলেন, ‘হে আমার রব! ন্যায় মীমাংসা করে দিন এবং আমাদের রব রহমানেরই সাহায্য আবশ্যক ওই সব কথার উপর যা তোমরা বলছো।
ইরফানুল কুরআন
১১২. (আমাদের হাবীব) আরয করলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! (আমাদের মাঝে) ন্যায় সহকারে ফায়সালা করে দাও। আর আমাদের প্রতিপালক সীমাহীন অনুগ্রহকারী, তাঁর নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করা হয় সেসব (হৃদয় বিদারক) বিষয়ের যা (হে কাফেরেরা!) তোমরা বর্ণনা করো।’