Back
আল আনফাল
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡاَنۡفَالِ ؕ قُلِ الۡاَنۡفَالُ لِلّٰہِ وَ الرَّسُوۡلِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَصۡلِحُوۡا ذَاتَ بَیۡنِکُمۡ ۪ وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হে মাহবূব! আপনাকে গনীমতসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে; আপনি বলুন, গনীমত সমূহের মালিক আল্লাহ্‌ ও তার রসূল; সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব রাখো আর আল্লাহ্‌ ও রসূলের নির্দেশ পালন করো, যদি ঈমান রাখো’।
ইরফানুল কুরআন
১. (হে সম্মানিত নবী!) তারা আপনার নিকট যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, ‘যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অধিকারী তো আল্লাহ্ এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং পরস্পরে সদ্ভাব স্থাপন করো; আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করো; যদি তোমরা ঈমানদার হও।’
Play Share Copy
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَ اِذَا تُلِیَتۡ عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُہٗ زَادَتۡہُمۡ اِیۡمَانًا وَّ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚ﴿ۖ۲﴾
কানযুল ঈমান
২. ঈমানদার তারাই যে, যখন আল্লাহ্‌কে স্মরন করা হয় তখন তাদের হৃদয় ভয়ে প্রকম্পিত হয় এবং যখন তাদের নিকট তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমানের উন্নতি হয় এবং নিজেদের রবের উপরই নির্ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
২. ঈমানদার (তো) কেবল তারাই, যখন (তাদের সম্মুখে) আল্লাহ্‌র স্মরণ করা হয় (তখন) তাদের অন্তর (আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্বের অনুভুতিতে) ভীতসন্ত্রস্ত হয়। আর যখন তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয় তখন তা (অর্থাৎ প্রিয়তমের পরমানন্দদায়ক, সুমধুর আর মহিমান্বিত বাণীসমুহ) তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে। আর তারা (সর্বাবস্থায়) তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা (বহাল) রাখে। (অন্য কারো দিকে মনোনিবেশ করে না।)
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. ওইসব লোক, যারা নামায প্রতিষ্ঠি রাখে এবং আমার প্রদত্ত (সম্পদ) থেকে কিছু আমার পথে ব্যয় করে।
ইরফানুল কুরআন
৩. (তারা) ঐসব লোক যারা নামায কায়েম রাখে এবং আমরা তাদেরকে যা কিছু প্রদান করেছি তা থেকে (আল্লাহ্‌র পথে) খরচ করে।
Play Share Copy
اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ حَقًّا ؕ لَہُمۡ دَرَجٰتٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ وَ مَغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ۚ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এরাই প্রকৃত মুসলমান। তাদের জন্য মর্যাদাসমূহ রয়েছে তাদের রবের নিকট, আর রয়েছে ক্ষমা এবং সম্মানের জীবিকা।
ইরফানুল কুরআন
৪. (প্রকৃতপক্ষে) এ লোকেরাই যথাযথ মুমিন। তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের সমীপে রয়েছে (উচ্চ) মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রিযিক।
Play Share Copy
کَمَاۤ اَخۡرَجَکَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَیۡتِکَ بِالۡحَقِّ ۪ وَ اِنَّ فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ لَکٰرِہُوۡنَ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. যেভাবে হে মাহবূব! আপনাকে আপনার রব আপনার ঘর থেকে সত্য সহকারে বের করেছেন এবং নিশ্চয় মুসলমানদের একটা দল তাঁতে অসন্তুষ্ট ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৫. (হে হাবীব!) যেভাবে আপনার প্রতিপালক আপনাকে আপনার গৃহ থেকে সত্য (নির্ভর মহান উদ্দেশ্য) সহকারে (জিহাদের জন্যে) বের করেছেন, অথচ মুসলমানদের একদল (এতে) অসন্তুষ্ট ছিল,
Play Share Copy
یُجَادِلُوۡنَکَ فِی الۡحَقِّ بَعۡدَ مَا تَبَیَّنَ کَاَنَّمَا یُسَاقُوۡنَ اِلَی الۡمَوۡتِ وَ ہُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ ؕ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. সত্য কথার মধ্যে আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতো, এর পর যে, তা প্রকাশিত হয়েছে; তারা যেন চোখদেখা মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে।
ইরফানুল কুরআন
৬. (আল্লাহ্‌র সাহায্য আসবে আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের বাহিনী বিজয়ী হবে এ সুসংবাদ) প্রকাশিত হবার পরও তারা আপনার সাথে সত্যের ব্যাপারে মতবিরোধ শুরু করছিল, যেন তাদেরকে মৃত্যুর দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আর তারা (মৃত্যুকে স্বচক্ষে) প্রত্যক্ষ করছে।
Play Share Copy
وَ اِذۡ یَعِدُکُمُ اللّٰہُ اِحۡدَی الطَّآئِفَتَیۡنِ اَنَّہَا لَکُمۡ وَ تَوَدُّوۡنَ اَنَّ غَیۡرَ ذَاتِ الشَّوۡکَۃِ تَکُوۡنُ لَکُمۡ وَ یُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّحِقَّ الۡحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَ یَقۡطَعَ دَابِرَ الۡکٰفِرِیۡنَ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং স্মরণ করো! যখন আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ওই দু’দলের মধ্যে একটা তোমাদের জন্য; আর তোমরা এটা চাচ্ছিলে যে, তোমরা সেটাই লাভ করবে যার মধ্যে কাটার সংকট নেই; এবং আল্লাহ্‌ এটা চাচ্ছিলেন যে, তিনি নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে সত্য করে দেখাবেন এবং কাফিরদেরকে নির্মূল করে দেবেন;
ইরফানুল কুরআন
৭. আর (স্মরণ করো সে সময়ের কথা) যখন আল্লাহ্ তোমাদেরকে (মক্কার কাফেরদের) দুই দলের মধ্যে এক দলের উপর তোমাদের নিশ্চিত আধিপত্য ও বিজয়ের অঙ্গীকার করেছিলেন। তোমরা কামনা করছিলে যেন নিরস্ত্র (দুর্বল) দলটি তোমাদের অধিকারে চলে আসে। আর আল্লাহ্‌র ইচ্ছে ছিল যে, তিনি স্বীয় বাণীর দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং (শত্রুদের বৃহত্তর সশস্ত্র বাহিনীর উপর মুসলমানদের বিজয়ের মাধ্যমে) কাফেরদের (শক্তি ও শান-শওকতের) শিকড় কেটে দেবেন।
Play Share Copy
لِیُحِقَّ الۡحَقَّ وَ یُبۡطِلَ الۡبَاطِلَ وَ لَوۡ کَرِہَ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ۚ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. (এটা এ জন্য) যে, তিনি সত্যকে সত্য প্রমাণ করবেন এবং মিথ্যাকে মিথ্যা, যদিও অপছন্দ করে অপরাধীরা।
ইরফানুল কুরআন
৮. যাতে (বদর যুদ্ধ, এ মহান বিজয়ের মাধ্যমে) সত্যকে সত্য সাব্যস্ত করে এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, যদিও দুষ্টরা (সত্যের সাথে মিথ্যার সশস্ত্র যুদ্ধের এ পরিণতি) অপছন্দই করে থাকে।
Play Share Copy
اِذۡ تَسۡتَغِیۡثُوۡنَ رَبَّکُمۡ فَاسۡتَجَابَ لَکُمۡ اَنِّیۡ مُمِدُّکُمۡ بِاَلۡفٍ مِّنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ مُرۡدِفِیۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. যখন তোমরা আপন রবের নিকট সাহায্যে প্রার্থনা করছিলে, তখন তিনি তোমাদের প্রার্থনা ক্ববূল করেছেন (আর বলেছেন), ‘আমি তোমাদের সাহায্যকারী হাজার সারিবদ্ধ ফিরিশ্‌তা দ্বারা’।
ইরফানুল কুরআন
৯. (স্মরণ করো সে সময়ের কথা,) যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট (সাহায্যের জন্যে) প্রার্থনা করছিলে, তখন তিনি তোমাদের প্রার্থনা কবুল করলেন (আর বললেন), ‘আমি ধারাবাহিকভাবে আগমনকারী এক হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে তোমাদেরকে সাহায্য করতে যাচ্ছি’।
১০
Play Share Copy
وَ مَا جَعَلَہُ اللّٰہُ اِلَّا بُشۡرٰی وَ لِتَطۡمَئِنَّ بِہٖ قُلُوۡبُکُمۡ ۚ وَ مَا النَّصۡرُ اِلَّا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং এটা তো আল্লাহ্‌ কেবল তোমাদের খুশীর জন্যই করেছেন এবং এজন্য যে, তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে; আর সাহায্য তো শুধু আল্লাহ্‌রই নিকট থেকে আসে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর একে (এ সাহায্যের পদ্ধতিকে) আল্লাহ্ কেবল সুসংবাদ বানিয়েছিলেন যেন এর মাধ্যমে তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। আর (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে সাহায্য ব্যতীত (আর) কোনোই সাহায্য নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্(ই) মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
১১
Play Share Copy
اِذۡ یُغَشِّیۡکُمُ النُّعَاسَ اَمَنَۃً مِّنۡہُ وَ یُنَزِّلُ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّیُطَہِّرَکُمۡ بِہٖ وَ یُذۡہِبَ عَنۡکُمۡ رِجۡزَ الشَّیۡطٰنِ وَ لِیَرۡبِطَ عَلٰی قُلُوۡبِکُمۡ وَ یُثَبِّتَ بِہِ الۡاَقۡدَامَ ﴿ؕ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. যখন তিনি তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করে দিলেন, তখন তারই পক্ষ থেকে স্বস্তি ছিলো এবং আসমান থেকে তোমাদের উপর পানি বর্ষণ করলেন, যাতে তা দ্বারা তোমাদেরকে পবিত্র করে দেন আর শয়তানদের অপবিত্রতা তোমাদের থেকে দূর করে দেন এবং তোমাদের হৃদয়গুলোকে দৃঢ় করে দেন আর এটা দ্বারা তোমাদের পাগুলো অটল রাখেন।
ইরফানুল কুরআন
১১. যখন তিনি (তোমাদেরকে) তাঁর পক্ষ থেকে প্রশান্তি ও নিরাপত্তার জন্যে তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্নতা বয়ে এনেছিলেন এবং তোমাদের উপর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছিলেন, তা এজন্যে, যাতে এর মাধ্যমে তোমাদেরকে (বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ) পবিত্রতা দান করেন, আর তোমাদের থেকে শয়তানের (বাতিল কুমন্ত্রণার) অপবিত্রতাকে দূর করে দেন এবং তোমাদের অন্তরকে (বিশ্বাসের শক্তি দিয়ে) সুদৃঢ় করে দেন। আর এর মাধ্যমে তোমাদেরকে (খুবই) দৃঢ়পদ করেন।
১২
Play Share Copy
اِذۡ یُوۡحِیۡ رَبُّکَ اِلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ اَنِّیۡ مَعَکُمۡ فَثَبِّتُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ سَاُلۡقِیۡ فِیۡ قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا الرُّعۡبَ فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَ اضۡرِبُوۡا مِنۡہُمۡ کُلَّ بَنَانٍ ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. যখন হে মাহবূব! আপনার রব ফিরিশ্‌তাদের নিকট ওহী প্রেরণ করতেন, ‘আমি তোমাদের সাথে আছি। তোমরা মুসলমানদেরকে অবিচলিত রাখো; অবিলম্বে আমি কাফিরদের হৃদয়গুলোতে ভয়-ভীতির সঞ্চার করবো, সুতরাং কাফিরদের গর্দানসমূহের উপর আঘাত করো এবং আঘাত করো তাদের একেকটা জোড়ার উপর’।
ইরফানুল কুরআন
১২. (হে সম্মানিত হাবীব! আপনি সে গৌরবোজ্জ্বল দৃশ্যও স্মরণ করুন) যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বার্তা পাঠালেন, ‘(রাসূলের সাহাবীদের সাহায্যের জন্যে) আমিও তোমাদের সাথে রয়েছি। সুতরাং তোমরা (সুসংবাদ ও সাহায্যের মাধ্যমে) ঈমানদারদের দৃঢ়পদ রাখো। আমি এখনই কাফেরদের অন্তরে (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের বাহিনীর) ভয় ও আতঙ্ক সঞ্চার করছি। সুতরাং তোমরা (কাফেরদের) ঘাড়ে আঘাত করো এবং তাদের সমস্ত হাড়-গোড় ভেঙ্গে চূরমার করে দাও।’
১৩
Play Share Copy
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ۚ وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের বিরোধিতা করেছে; এবং যে আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের বিরুদ্ধাচরন করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
১৩. তা এ জন্যে যে, তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বিরোধীতা করেছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বিরোধীতা করে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (তাকে) কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করেন।
১৪
Play Share Copy
ذٰلِکُمۡ فَذُوۡقُوۡہُ وَ اَنَّ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابَ النَّارِ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এটার আস্বাদ তো গ্রহণ করো এবং সেটার সাথে এটাও আছে যে, কাফিরদের জন্য রয়েছে আগুনের শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১৪. এটি (পার্থিব শাস্তি), সুতরাং তোমরা (প্রথমে) এটি আস্বাদন করো, আর নিশ্চয়ই কাফেরদের জন্যে (পরকালে) দোযখের (অপর) শাস্তি(ও) রয়েছে।
১৫
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا زَحۡفًا فَلَا تُوَلُّوۡہُمُ الۡاَدۡبَارَ ﴿ۚ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. হে ঈমানদারগণ! যখন কাফির বাহিনীর সাথে তোমাদের দ্বন্দ হয়, তখন তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করো না।
ইরফানুল কুরআন
১৫. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা (যুদ্ধের ময়দানে) কাফেরদের মুখোমুখি হও; (যদিও তারা) বিশাল বাহিনী, তবুও তাদেরকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করো না।
১৬
Play Share Copy
وَ مَنۡ یُّوَلِّہِمۡ یَوۡمَئِذٍ دُبُرَہٗۤ اِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ اَوۡ مُتَحَیِّزًا اِلٰی فِئَۃٍ فَقَدۡ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ مَاۡوٰىہُ جَہَنَّمُ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং যে ব্যক্তি সেদিন তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন করা কিংবা স্বীয় দলের সাথে একত্রিত হবার লক্ষ্যে ব্যতীত, তবে সে আল্লাহ্‌র ক্রোধের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করলো এবং তার ঠিকানা হচ্ছে দোযখ; আর তা কতোই নিকৃষ্ট স্থান প্রত্যাবর্তন করার!
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর সেদিন যে ব্যক্তি রণকৌশল অথবা (সাহায্যের জন্যে) নিজের(ই) কোনো বাহিনীর সাথে যুক্ত হতে চাওয়া ব্যতীত তাদেরকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে, তবে নিশ্চয় সে আল্লাহ্‌র ক্রোধ নিয়ে ফিরে যায় এবং তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর তা (সবচেয়ে) নিকৃষ্ট ঠিকানা।
১৭
Play Share Copy
فَلَمۡ تَقۡتُلُوۡہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ قَتَلَہُمۡ ۪ وَ مَا رَمَیۡتَ اِذۡ رَمَیۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی ۚ وَ لِیُبۡلِیَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡہُ بَلَآءً حَسَنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. অতঃপর তাদেরকে তোমরা হত্যা করো নি, বরং আল্লাহ্‌ তাদেরকে হত্যা করেছেন এবং হে মাহবূব! ওই মাটি, যা আপনি নিক্ষেপ করেছেন, তা আপনি নিক্ষেপ করেন নি, বরং আল্লাহ্‌ নিক্ষেপ করেছেন এবং এ জন্য যে, মুসলমানদেরকে তা থেকে উত্তম পুরস্কার দান করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
ইরফানুল কুরআন
১৭. (হে ইসলামী বাহিনীর সৈনিকেরা!) তোমরা এ সকল কাফেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহ্ তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর (হে মহিমান্বিত হাবীব!) যখন আপনি (তাদের প্রতি নুড়ি পাথর) নিক্ষেপ করেছিলেন, (তা) আপনি নিক্ষেপ করেননি বরং (তা তো) আল্লাহ্ নিক্ষেপ করেছিলেন। আর তা (এ জন্যে) যে, যাতে তিনি ঈমানদারদেরকে নিজের পক্ষ থেকে উত্তম পুরস্কার দিয়ে ধন্য করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।
১৮
Play Share Copy
ذٰلِکُمۡ وَ اَنَّ اللّٰہَ مُوۡہِنُ کَیۡدِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এ তো নাও! এবং এর সাথে এও রয়েছে যে, আল্লাহ্‌ কাফিরদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৮. তা (তো করুণা ও অনুগ্রহ) আর (অপরটি) এরূপ যে আল্লাহ্ কাফেরদের চক্রান্ত ও ছলনার কৌশলকে দুর্বল করে দেন।
১৯
Play Share Copy
اِنۡ تَسۡتَفۡتِحُوۡا فَقَدۡ جَآءَکُمُ الۡفَتۡحُ ۚ وَ اِنۡ تَنۡتَہُوۡا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ اِنۡ تَعُوۡدُوۡا نَعُدۡ ۚ وَ لَنۡ تُغۡنِیَ عَنۡکُمۡ فِئَتُکُمۡ شَیۡئًا وَّ لَوۡ کَثُرَتۡ ۙ وَ اَنَّ اللّٰہَ مَعَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. হে কাফিরগণ! যদি তোমরা মীমাংসা চাও, তবে এ মীমাংসা তোমাদের নিকট এসে গেছে আর যদি বিরত হও, তবে তোমাদের জন্য মঙ্গল; এবং যদি তোমরা পুনরায় দুষ্টামী করো তবে আমি পুনরায় শাস্তি দেবো; আর তোমাদের দল তোমাদের কোন কাজে আসবে না, সংখ্যায় যতই বেশি হোক না কেন এবং এর সাথে এও রয়েছে যে, আল্লাহ্‌ মুসলমানদের সাথে আছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৯. (হে কাফেরেরা!) যেহেতু তোমরা নিষ্পত্তিমূলক বিজয় প্রার্থনা করেছিলে, তবে অবশ্যই তোমাদের নিকট (সত্যের) বিজয় এসে পড়েছে, আর যদি তোমরা (এখনও) বিরত থাকো, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আর (হে কাফেররা!) যদি তোমরা অনুরূপ (দুষ্কর্ম) করো (তবে) আমরা(ও) আবার অনুরূপ (শাস্তি) প্রদান করবো। আর তোমাদের বাহিনী যতো বড়ই হোক না কেন তা তোমাদের কোনো কাজেই আসবে না। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুমিনদের সাথে রয়েছেন।
২০
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ لَا تَوَلَّوۡا عَنۡہُ وَ اَنۡتُمۡ تَسۡمَعُوۡنَ ﴿ۚۖ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের নির্দেশ মান্য করো এবং শুনার পর তার নিকট থেকে ফিরে যেও না।
ইরফানুল কুরআন
২০. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করো। আর তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না যখন তোমরা শুনছো।
২১
Play Share Copy
وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ ہُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং তাদের মতো হয়ো না, যারা বলেছে, ‘আমরা শুনেছি’; বস্তুতঃ তারা শুনে না।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর সেসব লোকদের মতো হয়ো না যারা (প্রতারণা করে) বলেছে, ‘আমরা শুনলাম’, অথচ তারা শুনছে না।
২২
Play Share Copy
اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنۡدَ اللّٰہِ الصُّمُّ الۡبُکۡمُ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট সমস্ত জীবের মধ্যে নিকৃষ্টতম তারাই, যারা বধির মূক, যাদের বিবেক নেই।
ইরফানুল কুরআন
২২. নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র নিকট নিকৃষ্টতম প্রাণী হলো সেই বধির-বোবা যারা (সত্য শুনে না, সত্য বলে না আর সত্যকে সত্য) বুঝেও না।
২৩
Play Share Copy
وَ لَوۡ عَلِمَ اللّٰہُ فِیۡہِمۡ خَیۡرًا لَّاَسۡمَعَہُمۡ ؕ وَ لَوۡ اَسۡمَعَہُمۡ لَتَوَلَّوۡا وَّ ہُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং যদি আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে ভালো কিছু জানতেন, তবে তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন এবং যদি শুনিয়ে দিতেন তবুও ফলশ্রুতিতে তারা মুখ ফিরিয়ে পাল্টে যেতো।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর যদি আল্লাহ্ তাদের মধ্যে সামন্যতমও কল্যাণে (আগ্রহ) দেখতেন তবে তিনি তাদেরকে (অবশ্যই) শুনিয়ে দিতেন। কিন্তু (তাদের অবস্থা এমন যে,) যদি তিনি তাদেরকে (সত্য) শুনিয়ে দেন, তবে (তবুও) তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তারাই (সত্য থেকে) বিমুখ।
২৪
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَجِیۡبُوۡا لِلّٰہِ وَ لِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاکُمۡ لِمَا یُحۡیِیۡکُمۡ ۚ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَحُوۡلُ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ وَ قَلۡبِہٖ وَ اَنَّہٗۤ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের আহ্বানে হাযির হও যখন রসূল তোমাদেরকে ওই বস্তুর জন্য আহ্বান করেন, যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে এবং জেনে রাখো যে, আল্লাহ্‌র নির্দেশ মানুষ ও তার মনের ইচ্ছাগুলোর মধ্যে অন্তরায় হয়ে যায় আর এ কথাও যে, তোমাদেরকে তার প্রতি উঠতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. হে ঈমানদারগণ! যখন(ই) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে কোনো প্রয়োজনে আহ্বান করেন, যা তোমাদেরকে (অনন্ত) জীবন সঞ্চার করে, তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম)-এঁর আহ্বানে বিনয় ও আনুগত্যের সাথে সাড়া দিতে (ততক্ষণাৎ) উপস্থিত হও। আর জেনে রেখো যে, (বিশেষ নৈকট্যের মহিমা নিয়ে) আল্লাহ্ মানুষ ও তার অন্তঃকরণের মধ্যস্থলে অবস্থান করেন এবং (পরিশেষে) তোমাদের সকলকে তাঁরই নিকট একত্রিত করা হবে।
২৫
Play Share Copy
وَ اتَّقُوۡا فِتۡنَۃً لَّا تُصِیۡبَنَّ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡکُمۡ خَآصَّۃً ۚ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং এমন ফিত্‌নাকে ভয় করতে থাকো, যা কখনো তোমাদের মধ্যে বিশেষ করে (শুধু) যালিমদেরকেই স্পর্শ করবে না আর জেনে রাখো যে, আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর সেসব ফিতনাকে ভয় করো, যা বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে কেবল যালিমদেরকেই ক্লিষ্ট করবে না (বরং যুলুমের সহায়তাকারী অথবা এ ব্যাপারে উদাসীনদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করবে)। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ শাস্তি আরোপে অত্যধিক কঠোর।
২৬
Play Share Copy
وَ اذۡکُرُوۡۤا اِذۡ اَنۡتُمۡ قَلِیۡلٌ مُّسۡتَضۡعَفُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ تَخَافُوۡنَ اَنۡ یَّتَخَطَّفَکُمُ النَّاسُ فَاٰوٰىکُمۡ وَ اَیَّدَکُمۡ بِنَصۡرِہٖ وَ رَزَقَکُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং স্মরণ করো! যখন তোমরা সংখ্যায় স্বল্প ছিলে, রাজ্যে দমিত অবস্থায়; আশঙ্কা করতে লোকেরা তোমাদেরকে কখনো অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে কিনা, তখন তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং স্বীয় সাহায্য দ্বারা শক্তি দান করেছেন আর পবিত্র বস্তুসমূহ তোমাদেরকে জীবিকারূপে প্রদান করেছেন যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর (স্মরণ করো সে সময়ের কথা) যখন তোমরা (মক্কার জীবনে সংখ্যায়) ছিলে স্বল্প (অর্থাৎ সংখালঘু), দেশে নির্যাতিত ছিলে (অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও শোষিত ছিলে)। তোমরা ভীতসন্ত্রস্ত(ও) থাকতে যে, (ক্ষমতাবান) লোকেরা তোমাদেরকে ছিনিয়ে নেবে (অর্থাৎ সামাজিকভাবেও তোমাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ছিল না)। অতঃপর (মদীনায় হিজরতের পর স্বীয় সাহায্যের মাধ্যমে) তিনি (অর্থাৎ আল্লাহ্) তোমাদেরকে (স্বাধীন ও নিরাপদ) ঠিকানা দান করেছেন। আর (ইসলামী শাসন ও ক্ষমতা দিয়ে) তোমাদেরকে স্বীয় সাহায্যের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছেন। আর (ভ্রাতৃত্ব, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ এবং স্বাধীন অর্থনৈতিক অবস্থার মাধ্যমে) তোমাদেরকে পবিত্র বস্তু দ্বারা জীবিকা দান করেছেন যাতে তোমরা (আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।
২৭
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَخُوۡنُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ وَ تَخُوۡنُوۡۤا اَمٰنٰتِکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌ ও রসূলের সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করো না এবং না আপন আমানতসমূহের মধ্যে জেনে শুনে অবিশ্বস্ততা করো।
ইরফানুল কুরআন
২৭. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর (অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে) বিশ্বাসঘাতকতা করো না। আর এমতাবস্থায় তোমাদের পরস্পরের আমানতের ব্যাপারে বিশ্বাস ভঙ্গ করো না যখন তোমরা (প্রকৃত সকল বিষয়ে) অবগত।
২৮
Play Share Copy
وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَاۤ اَمۡوَالُکُمۡ وَ اَوۡلَادُکُمۡ فِتۡنَۃٌ ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ عِنۡدَہٗۤ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং জেনে রেখো যে, তোমাদের ধন সম্পদ ও তোমাদের সন্তান সন্ততি সবই ফিত্‌না এবং আল্লাহ্‌র নিকট মহা পুরস্কার রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর জেনে রেখো, তোমাদের ধন-দৌলত এবং তোমাদের সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষামাত্র, আর মহাপ্রতিদান তো কেবল আল্লাহ্‌রই নিকট।
২৯
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَتَّقُوا اللّٰہَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ فُرۡقَانًا وَّ یُکَفِّرۡ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. হে ঈমানদারগণ! যদি আল্লাহ্‌কে ভয় করো তবে তোমাদেরকে তাই প্রদান করবেন, যা দ্বারা সত্যকে মিথ্যা থেকে পথিক করে নেবে আর তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন; আর আল্লাহ্‌ অতিশয় করুণাময়।
ইরফানুল কুরআন
২৯. হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহ্ভীতি অর্জন করো (তবে) তিনি তোমাদের জন্যে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী মানদন্ড (ও হেদায়াত) নির্ধারণ করে দেবেন। আর তোমাদের (আমলনামা থেকে) তোমাদের গোনাহ্সমূহ মুছে দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ্ বড়ই অনুগ্রহশীল।
৩০
Play Share Copy
وَ اِذۡ یَمۡکُرُ بِکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِیُثۡبِتُوۡکَ اَوۡ یَقۡتُلُوۡکَ اَوۡ یُخۡرِجُوۡکَ ؕ وَ یَمۡکُرُوۡنَ وَ یَمۡکُرُ اللّٰہُ ؕ وَ اللّٰہُ خَیۡرُ الۡمٰکِرِیۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং হে মাহবূব, স্মরণ করুন! যখন কাফির আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলো যে, আপনাকে বন্দী করে রাখবে কিংবা শহীদ করবে অথবা নির্বাসিত করবে এবং তারা নিজেদের মতো ষড়যন্ত্র করছিলো; আর আল্লাহ্‌ নিজের গোপন কৌশল করছিলেন; এবং আল্লাহ্‌র গোপন কৌশল সর্বাপেক্ষা উত্তম।
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর যখন কাফেরেরা আপনার বিরুদ্ধে গোপন চক্রান্ত করছিল যে, হয় তারা আপনাকে বন্দী করবে অথবা হত্যা করবে অথবা (স্বদেশ থেকে) নির্বাসিত করবে; আর (একদিকে) তারা এ চক্রান্ত করছিল এবং (অপরদিকে) আল্লাহ্ (তাদের চক্রান্তকে প্রতিহত করতে) স্বীয় কৌশল করছিলেন। আর আল্লাহ্ সবচেয়ে উত্তম গোপন কৌশলকারী।
৩১
Play Share Copy
وَ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُنَا قَالُوۡا قَدۡ سَمِعۡنَا لَوۡ نَشَآءُ لَقُلۡنَا مِثۡلَ ہٰذَاۤ ۙ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন (তারা) বলে, ‘হাঁ, আমরা শুনেছি। ইচ্ছা করলে আমরাও অনুরূপ বলে দিতাম। এগুলো তো পূর্ববর্তীদের কিচ্ছা কাহিনী মাত্র’।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর যখন তাদের উপর আমাদের আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয় (তখন) তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা শ্রবণ করেছি, যদি আমরা চাই তবে আমরাই (এ কালামের) অনুরূপ রচনা করতে পারি। এটি তো পূর্ববর্তীদের (কাল্পনিক) উপাখ্যান ছাড়া (কিছুই) নয়।’
৩২
Play Share Copy
وَ اِذۡ قَالُوا اللّٰہُمَّ اِنۡ کَانَ ہٰذَا ہُوَ الۡحَقَّ مِنۡ عِنۡدِکَ فَاَمۡطِرۡ عَلَیۡنَا حِجَارَۃً مِّنَ السَّمَآءِ اَوِ ائۡتِنَا بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং যখন (তারা) বললো, ‘হে আল্লাহ্‌! যদি এ (ক্বোরআন) তোমার নিকট থেকে সত্য হয়, তবে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ করো কিংবা কোন বেদনাদায়ক শাস্তি আমাদের উপর নিয়ে এসো!’
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর যখন তারা (তিরস্কারের স্বরে) বললো, ‘হে আল্লাহ্! যদি এ (কুরআন) তোমার পক্ষ থেকে সত্যই হয়, তবে (তা না মানার কারণে) আমাদের উপর আসমান থেকে প্রস্তরবৃষ্টি বর্ষণ করো, অথবা আমাদের উপর কোনো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রেরণ করো।’
৩৩
Play Share Copy
وَ مَا کَانَ اللّٰہُ لِیُعَذِّبَہُمۡ وَ اَنۡتَ فِیۡہِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰہُ مُعَذِّبَہُمۡ وَ ہُمۡ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং আল্লাহ্‌র কাজ এ নয় যে, তাদেরকে শাস্তি দেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত হে মাহবূব, আপনি তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে শাস্তিদাতা নন যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ক্ষমা প্রার্থনারত থাকছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর (প্রকৃত কথা হলো,) আল্লাহ্‌র এ শান নয় যে, তিনি তাদেরকে এ অবস্থায় শাস্তি দেবেন যখন (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনিও তাদের মাঝে (বিদ্যমান) আছেন। আর আল্লাহ্ এ অবস্থায়ও তাদেরকে শাস্তি প্রদানকারী নন যখন তারা (এ থেকে) ক্ষমা প্রার্থনারত।
৩৪
Play Share Copy
وَ مَا لَہُمۡ اَلَّا یُعَذِّبَہُمُ اللّٰہُ وَ ہُمۡ یَصُدُّوۡنَ عَنِ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ وَ مَا کَانُوۡۤا اَوۡلِیَآءَہٗ ؕ اِنۡ اَوۡلِیَآؤُہٗۤ اِلَّا الۡمُتَّقُوۡنَ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং তাদের কী বা আছে যে, আল্লাহ্‌ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না? তারা তো ‘মসজিদে হারাম’ থেকে নিবৃত্ত করছে এবং তারা সেটার তত্বাবধায়কও নয়। সেটার তত্বাবধায়কগণ তো খোদাভীরুরাই; কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশের জ্ঞান নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর কি কারণ থাকতে পারে যে, (আপনার মদীনায় হিজরতের পর এখন) এদেরকে (মক্কার কাফেরদেরকে) আল্লাহ্ শাস্তি দেবেন না, যখন তারা (মানুষকে আল্লাহ্‌র কা’বা) মসজিদে হারামে বাধা দেয় এবং তারা এর অভিভাবক (অথবা তত্ত্বাবধায়ক) হবারও উপযুক্ত নয়? এর অভিভাবক (অথবা তত্ত্বাবধায়ক) তো কেবল পরহেযগারগণই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ (এ প্রকৃত বিষয়টি) জানেই না।
৩৫
Play Share Copy
وَ مَا کَانَ صَلَاتُہُمۡ عِنۡدَ الۡبَیۡتِ اِلَّا مُکَآءً وَّ تَصۡدِیَۃً ؕ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. এবং কা’বার নিকট তাদের নামায নেই, কিন্তু শিশ্‌ ও করতালি দেওয়াই। সুতরাং এখন শাস্তির স্বাদ গ্রহন করো স্বীয় কুফরের বদলাস্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আর আল্লাহ্‌র গৃহের (অর্থাৎ কা’বা গৃহের) নিকট তাদের (তথাকথিত) নামায শিষ দেয়া ও তালি বাজানো ব্যতীত আর কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা তোমাদের কুফরীর কারণে শাস্তির স্বাদ আস্বাদান করো।
৩৬
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ لِیَصُدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ فَسَیُنۡفِقُوۡنَہَا ثُمَّ تَکُوۡنُ عَلَیۡہِمۡ حَسۡرَۃً ثُمَّ یُغۡلَبُوۡنَ ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی جَہَنَّمَ یُحۡشَرُوۡنَ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. নিশ্চয় কাফিরগণ নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে (এ জন্য ) যে, আল্লাহ্‌র পথ থেকে নিবৃত্ত রাখবে; সুতরাং এখন তারা ধন সম্পদ ব্যয় করবে, অতঃপর তা তাদের উপর অনুতাপের কারণ হবে এরপর তাদেরকে পরাভূত করা হবে এবং কাফিরদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. নিশ্চয়ই কাফেরেরা (প্রভাব বিস্তার করতে এবং) মানুষকে আল্লাহ্‌র (দ্বীনের) পথ থেকে প্রতিহত করতে তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং এখনো তারা এগুলো ব্যয় করতে থাকবে, অতঃপর (এ ব্যয়) তাদের জন্যে অনুতাপের (অর্থাৎ আফসোস ও লজ্জার) কারণ হবে। অতঃপর তাদেরকে (আল্লাহ্‌র পাকড়াওয়ের মাধ্যমে) পরাজিত করা হবে। আর যারা কুফরীকে বেছে নিয়েছে তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে,
৩৭
Play Share Copy
لِیَمِیۡزَ اللّٰہُ الۡخَبِیۡثَ مِنَ الطَّیِّبِ وَ یَجۡعَلَ الۡخَبِیۡثَ بَعۡضَہٗ عَلٰی بَعۡضٍ فَیَرۡکُمَہٗ جَمِیۡعًا فَیَجۡعَلَہٗ فِیۡ جَہَنَّمَ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এ জন্য যে, আল্লাহ্‌ অপবিত্রকে পৃথক করে দেবেন পবিত্র থেকে এবং অপবিত্রগুলোকে নিচে উপরে রেখে সবই একস্তূপ করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন; তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. যাতে আল্লাহ্ (তা’আলা) অপবিত্রকে পবিত্র থেকে পৃথক করবেন এবং অপবিত্র (কর্মকান্ড)-কে একটির উপর অপরটি তুলে সবগুলোকে স্তুপীকৃত করবেন, অতঃপর একে (এ স্তুপ) দোযখে নিক্ষেপ করবেন। এসব তারাই যারা ক্ষতিগ্রস্ত।
৩৮
Play Share Copy
قُلۡ لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّنۡتَہُوۡا یُغۡفَرۡ لَہُمۡ مَّا قَدۡ سَلَفَ ۚ وَ اِنۡ یَّعُوۡدُوۡا فَقَدۡ مَضَتۡ سُنَّتُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. আপনি কাফিরদেরকে বলুন, ‘যদি তারা বিরত থাক, তবে যা গত হয়েছে তা তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; এবং যদি আবারো তাই করে, তবে পূর্ববর্তীদের অনুসৃত প্রথা তো অতিবাহিত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আপনি কাফেরদেরকে বলে দিন, ‘যদি তারা (তাদের কুফরী কর্মকান্ড থেকে) বিরত হয়, তবে তাদের অতীতের সব (গোনাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যদি তারা ওসবেরই পুনরাবৃত্তি করে, তবে নিশ্চিত (একাধিক শাস্তিপ্রাপ্ত) পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত তো রয়েছেই। (তাদের সাথেও এমনটিই করা হবে।)’
৩৯
Play Share Copy
وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ফ্যাসাদ অবশিষ্ট না থাকে এবং সমগ্র দ্বীন আল্লাহ্‌রই হয়ে যায়; আর যদি তারা বিরত থাকে, তবে আল্লাহ্‌ তাদের কাজ দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর (হে সত্যপন্থীরা!) তোমরা এদের বিরুদ্ধে (অর্থাৎ যুলুম ও সন্ত্রাসবাদের সর্দারদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্যে) যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ পর্যন্ত না (বিদ্যমান) ফিতনার অবসান হয় এবং সম্পূর্ণ দ্বীন (অর্থাৎ ইবাদত ও জীবন বিধান) আল্লাহ্‌রই হয়। অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে অবশ্যই তারা যা (আমল) করছে নিশ্চিত আল্লাহ্ তা দেখছেন।
৪০
Play Share Copy
وَ اِنۡ تَوَلَّوۡا فَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ مَوۡلٰىکُمۡ ؕ نِعۡمَ الۡمَوۡلٰی وَ نِعۡمَ النَّصِیۡرُ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. এবং যদি তারা মুখ ফেরায় তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের অভিভাবক; সুতরাং কতোই উত্তম অভিভাবক এবং কতোই উত্তম সাহায্যকারী!
ইরফানুল কুরআন
৪০. আর যদি তারা (সত্যের আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই তোমাদের মাওলা (অর্থাৎ রক্ষাকারী)। (তিনিই) উত্তম রক্ষাকারী এবং উত্তম সাহায্যকারী।
৪১
Play Share Copy
وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰہِ خُمُسَہٗ وَ لِلرَّسُوۡلِ وَ لِذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ اِنۡ کُنۡتُمۡ اٰمَنۡتُمۡ بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا یَوۡمَ الۡفُرۡقَانِ یَوۡمَ الۡتَقَی الۡجَمۡعٰنِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং জেনে রেখো যে, তোমরা যা কিছু গনীমত হিসেবে লাভ করো, তবে তার এক পঞ্চমাংশ বিশেষ করে আল্লাহ্‌র, রসূলের, স্বজনদের, এতিমদের, দরিদ্রদের এবং মুসাফিরদের; যদি তোমরা ঈমান এনে থাকো আল্লাহ্‌র উপর এবং সেটার উপর, যা আমি আমার বান্দার প্রতি মীমাংসার দিন অবতীর্ণ করেছি; যেদিন উভয় সৈন্যদল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলো; এবং আল্লাহ্‌ সব কিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর জেনে রেখো, যে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ তোমরা পেয়েছো এর এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ্‌র জন্যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর জন্যে, (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) নিকটাত্মীয়ের জন্যে (নির্ধারিত), আর এতীম, অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরদের জন্যে; যদি তোমরা ঈমান রাখো আল্লাহ্‌র উপর এবং এর (অর্থাৎ ওহীর) উপর, যা আমরা স্বীয় (মনোনীত) বান্দার প্রতি (সত্য ও মিথ্যার মাঝে) ফায়সালার দিনে অবতীর্ণ করেছি, যেদিন (বদর প্রান্তে মুমিন ও কাফেরদের) উভয় বাহিনী পরস্পরে মুখোমুখি হয়েছিল। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
৪২
Play Share Copy
اِذۡ اَنۡتُمۡ بِالۡعُدۡوَۃِ الدُّنۡیَا وَ ہُمۡ بِالۡعُدۡوَۃِ الۡقُصۡوٰی وَ الرَّکۡبُ اَسۡفَلَ مِنۡکُمۡ ؕ وَ لَوۡ تَوَاعَدۡتُّمۡ لَاخۡتَلَفۡتُمۡ فِی الۡمِیۡعٰدِ ۙ وَ لٰکِنۡ لِّیَقۡضِیَ اللّٰہُ اَمۡرًا کَانَ مَفۡعُوۡلًا ۬ۙ لِّیَہۡلِکَ مَنۡ ہَلَکَ عَنۡۢ بَیِّنَۃٍ وَّ یَحۡیٰی مَنۡ حَیَّ عَنۡۢ بَیِّنَۃٍ ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَسَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۙ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. যখন তোমরা উপত্যকার নিকট প্রান্তে ছিলে এবং কাফিররা ছিলো দূরপ্রান্তে, আর কাফেলা (উষ্ট্রারোহী বণীকদল) ছিলো তোমাদের চেয়ে নিম্নভূমিতে; এবং যদি তোমরা পরস্পরের মধ্যে কোন অঙ্গীকার করতে, তবে অবশ্যই যথাসময়ে ঐকমত্যে পৌছতে পারতে না; কিন্তু এটা এ জন্য যে, আল্লাহ্‌ পূরণ করেন যে কাজ হবার ছিলো, যাতে সে ধ্বংস হবে সে যেন প্রমাণের আলোকে ধ্বংস হয় আর যে জীবিত থাকবে সে যেন প্রমাণের আলোকে জীবিত থাকে; এবং নিশ্চয় আল্লাহ্‌ অবশ্যই শুনেন, জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৪২. যখন তোমরা (মদীনার দিকে) উপত্যকার নিকট-প্রান্তে ছিলে এবং তারা (কাফেরেরা অপরদিকে) দূর-প্রান্তে ছিল; আর (বাণিজ্যিক) কাফেলা তোমাদের তুলনায় নিম্ন ভুমিতে ছিল। আর যদি তোমরা পরস্পরে (যুদ্ধের জন্যে) কোনো অঙ্গীকার করে নিতে তবে অবশ্যই (স্বীয়) অঙ্গীকার থেকে ভিন্ন ভিন্ন (সময়ে) পৌঁছতে। কিন্তু (আল্লাহ্ তোমাদেরকে অঙ্গীকার ছাড়া একই সময়ে একত্রিত করে দিয়েছেন) এ জন্যে যে, যা ঘটার ছিল আল্লাহ্ তা সম্পন্ন করে দিলেন, যাতে যার মারা যাবার - সে প্রমাণাদির (স্পষ্ট হওয়ার) মাধ্যমে মারা যায় আর যার জীবিত থাকার সে প্রমাণাদির (স্পষ্ট হওয়ার) মাধ্যমে জীবিত থাকে (অর্থাৎ প্রত্যেকের সামনে ইসলাম ও সত্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের সত্যতার প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়)। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।
৪৩
Play Share Copy
اِذۡ یُرِیۡکَہُمُ اللّٰہُ فِیۡ مَنَامِکَ قَلِیۡلًا ؕ وَ لَوۡ اَرٰىکَہُمۡ کَثِیۡرًا لَّفَشِلۡتُمۡ وَ لَتَنَازَعۡتُمۡ فِی الۡاَمۡرِ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ سَلَّمَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. হে মাহবূব! যখন আল্লাহ্‌ আপনাকে আপনার স্বপ্নে কাফিরদেরকে সংখ্যায় স্বল্প দেখাচ্ছিলেন এবং হে মুসলমানগণ! যদি তিনি তোমাদেরকে তাদের সংখ্যায় অধিক করে দেখাতেন, তবে অবশ্যই তোমরা সাহস হারাতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে; কিন্তু আল্লাহ্‌ রক্ষা করেছেন। নিশ্চয়, তিনি অন্তরসমূহের কথা জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (সে সময়ের কথা স্মরণ করুন) যখন আল্লাহ্ আপনাকে স্বপ্নযোগে কাফেরদের (বাহিনীর) সংখ্যা অল্প দেখিয়েছিলেন; আর যদি (আল্লাহ্) আপনাকে তাদের সংখ্যা অধিক দেখাতেন, তবে (হে মুসলমানেরা!) তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলতে আর তোমরা অবশ্যই এ (যুদ্ধের) ব্যাপারে পরস্পরে মতোবিরোধ করতে। কিন্তু আল্লাহ্ (মুসলমানদেরকে কাপুরুষত্ব ও পারস্পরিক বিবাদ থেকে) রক্ষা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি অন্তরের (লুকায়িত) বিষয় ভালোভাবেই অবগত।
৪৪
Play Share Copy
وَ اِذۡ یُرِیۡکُمُوۡہُمۡ اِذِ الۡتَقَیۡتُمۡ فِیۡۤ اَعۡیُنِکُمۡ قَلِیۡلًا وَّ یُقَلِّلُکُمۡ فِیۡۤ اَعۡیُنِہِمۡ لِیَقۡضِیَ اللّٰہُ اَمۡرًا کَانَ مَفۡعُوۡلًا ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং যখন যুদ্ধের সময় তোমাদেরকে কাফিরদের সংখ্যা স্বল্প করে দেখিয়েছেন আর তোমাদের সংখ্যাও তাদের দৃষ্টিতে স্বল্প করে দেখিয়েছেন, যাতে আল্লাহ্‌ সম্পন্ন করেন যে কাজ সম্পন্ন হবার ছিলো এবং আল্লাহ্‌র দিকেই সমস্ত কাজের প্রত্যাবর্তন।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আর (সে দৃশ্যের কথাও তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) যখন পরস্পরে মুখোমুখি হয়েছিলে, তিনি তোমাদের চোখে কাফেরদের (বাহিনীর) সংখ্যা কম করে দেখিয়েছিলেন এবং তোমাদেরকেও তাদের চোখে সংখ্যায় অল্প দেখিয়েছিলেন (যাতে উভয় বাহিনী যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত থাকে)। এটি এ জন্যে, যাতে আল্লাহ্ এ (প্রচন্ড যুদ্ধের মাধ্যমে কাফেরদের সম্পূর্ণ পরাজয়ের) বিষয়টি সম্পন্ন করে দেন, যা (আল্লাহ্‌র নিকট) নির্ধারিতই ছিল। আর (পরিশেষে) আল্লাহ্‌রই নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যাবর্তিত হয়।
৪৫
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمۡ فِئَۃً فَاثۡبُتُوۡا وَ اذۡکُرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿ۚ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. হে ঈমানদারগণ! যখন কোন সৈন্যদলের সাথে তোমাদের মোকাবেলা হয় তখন অবিচল থেকো এবং আল্লাহ্‌র স্মরণ অধিক পরিমাণে করো, যাতে তোমরা লক্ষ্যস্থলে পৌছতে পারো।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা (শত্রুদের) কোনো সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হও তখন দৃঢ়পদ থাকো। আর আল্লাহ্কে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলতা লাভ করো।
৪৬
Play Share Copy
وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ لَا تَنَازَعُوۡا فَتَفۡشَلُوۡا وَ تَذۡہَبَ رِیۡحُکُمۡ وَ اصۡبِرُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿ۚ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের নির্দেশ মেনে চলো আর পরস্পরের মধ্যে বিবাদ করো না। করলে পুনরায় সাহস হারাবে এবং তোমাদের সঞ্চিত বায়ু বিলুপ্ত হতে থাকবে আর ধৈর্যধারণ করো। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করো এবং পরস্পরে বিবাদ করো না, নচেৎ তোমরা (বিচ্ছিন্ন ও দুর্বল হয়ে শত্রুদের সামনে) ভীরু ও ক্ষমতাহারা হয়ে যাবে। আর ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
৪৭
Play Share Copy
وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ خَرَجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ بَطَرًا وَّ رِئَآءَ النَّاسِ وَ یَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ مُحِیۡطٌ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. আর তাদের মতো হবে না, যারা নিজেদের ঘর হতে বের হয়েছে দম্ভভরে ও লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহ্‌র পথ থেকে বিরত রাখতে; আর তাদের সমস্ত কাজ আল্লাহ্‌র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা নিজেদের গৃহ থেকে সদর্পে এবং লোক দেখানোর জন্যে বের হতো এবং (যারা মানুষকে) আল্লাহ্‌র পথ থেকে নিবৃত্ত করতো। আর তারা যা করছে (স্বীয় জ্ঞান ও ক্ষমতার মাধ্যমে) আল্লাহ্ তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
৪৮
Play Share Copy
وَ اِذۡ زَیَّنَ لَہُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَہُمۡ وَ قَالَ لَا غَالِبَ لَکُمُ الۡیَوۡمَ مِنَ النَّاسِ وَ اِنِّیۡ جَارٌ لَّکُمۡ ۚ فَلَمَّا تَرَآءَتِ الۡفِئَتٰنِ نَکَصَ عَلٰی عَقِبَیۡہِ وَ قَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکُمۡ اِنِّیۡۤ اَرٰی مَا لَا تَرَوۡنَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰہَ ؕ وَ اللّٰہُ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং যখন শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যাবলীকে শোভন করেছিলো আর বললো, ‘আজ তোমাদের উপর কেউ বিজয়ী হবার মতো নেই এবং তোমরা আমার আশ্রয়ে রয়েছো’। অতঃপর যখন উভয় সৈন্যবাহিনী পরস্পরের সম্মুখীন হলো, তখন সে উল্টো পায়ে পালিয়ে গেলো। আর বললো, ‘আমি তোমাদের থেকে পৃথক। আমি তা-ই দেখতে পাচ্ছি, যা তোমরা দেখছো না। আমি আল্লাহ্‌কে ভয় করি; এবং আল্লাহ্‌র শাস্তি খুবই কঠিন’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর যখন শয়তান তাদেরকে (কাফেরদেরকে) তাদের আমল সুশোভিত করে দেখালো এবং সে (তাদেরকে) বললো, ‘আজ মানুষের মধ্যে তোমাদের উপর আধিপত্যশীল (হতে পারে এমন) কেউই নেই। আর নিশ্চয়ই আমি তোমাদের আশ্রয়দানকারী (সাহায্যকারী)।’ অতঃপর যখন উভয় সৈন্যবাহিনী একে অপরকে (মুখোমুখি) দেখল তখন সে উল্টো পায়ে পলায়ন করলো আর বলতে লাগলো, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের থেকে বিমুখ। অবশ্যই আমি সেসব (কিছু) দেখছি, যা তোমরা দেখছো না। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ্কে ভয় করছি। আর আল্লাহ্ কঠোর শাস্তি প্রদানকারী।’
৪৯
Play Share Copy
اِذۡ یَقُوۡلُ الۡمُنٰفِقُوۡنَ وَ الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ غَرَّہٰۤؤُ لَآءِ دِیۡنُہُمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ فَاِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. যখন বলছিলো মুনাফিক্বগণ এবং ওই সব লোক, যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, ‘এসব মুসলমানকে তাদের দ্বীন প্রতারিত করেছে’। এবং যে আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করে, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। .
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর (সে সময়ের কথা স্মরণ করুন) যখন মুনাফিকেরা এবং অন্তরে (কুফরীর) ব্যাধিগ্রস্ত লোকেরা বলতো, ‘এদেরকে (এ মুসলমানদেরকে) তাদের দ্বীন বড়ই প্রতারিত করে রেখেছে’। (যখন প্রকৃত অবস্থা এমন) যে আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে, (আল্লাহ্ যাবতীয় বিষয়ের অভিভাবক হয়ে যান,) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
৫০
Play Share Copy
وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذۡ یَتَوَفَّی الَّذِیۡنَ کَفَرُوا ۙ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَ اَدۡبَارَہُمۡ ۚ وَ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং কখনো যদি তুমি দেখতে পেতে যখন ফিরিশ্‌তাগণ কাফিরদের প্রাণ হণন করছে, আঘাত করছে তাদের মুখমণ্ডলের উপর এবং তাদের পিঠের উপর; ‘এবং স্বাদ গ্রহন করো আগুনের শাস্তির’।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর যদি আপনি (সে দৃশ্য) দেখেন (তবে খুবই আশ্চর্য হবেন), যখন ফেরেশতারা কাফেরদের প্রাণ হরণ করে, তখন তারা তাদের চেহারা এবং তাদের পৃষ্ঠদেশে (হাতুড়ি) মারতে থাকে। আর (বলতে থাকে, ‘দোযখের) আগুনের শাস্তি আস্বাদন করো’।
৫১
Play Share Copy
ذٰلِکَ بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡکُمۡ وَ اَنَّ اللّٰہَ لَیۡسَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ ﴿ۙ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এটা হচ্ছে বদলা সেটারই, যা তোমাদের হাতগুলো আগে প্রেরণ করেছে এবং আল্লাহ্‌ বান্দাদের উপর যুলুম করেন না।
ইরফানুল কুরআন
৫১. এ (শাস্তি) সেসব (মন্দ কাজ)-এর বিনিময়ে, যা তোমাদের হস্তসমূহ অগ্রে প্রেরণ করেছে। আর আল্লাহ্ কখনো বান্দার উপর যুলুম করেন না।
৫২
Play Share Copy
کَدَاۡبِ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ ۙ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ فَاَخَذَہُمُ اللّٰہُ بِذُنُوۡبِہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. যেমন ফির’আউনের অনুসারী ও তাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাস, তারা তাদের রবের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে; অতঃপর আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাদের পাপের জম্য পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শক্তিমান, কঠিন শাস্তিদাতা।
ইরফানুল কুরআন
৫২. (সে সকল কাফেরের অবস্থাও) ফেরাউনের সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্ববর্তী লোকদের ন্যায়। তারা(ও) আল্লাহ্‌র নিদর্শনকে অস্বীকার করেছিলো। সুতরাং আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে (শাস্তির মাধ্যমে) পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিশালী, কঠিন শাস্তিদাতা।
৫৩
Play Share Copy
ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ لَمۡ یَکُ مُغَیِّرًا نِّعۡمَۃً اَنۡعَمَہَا عَلٰی قَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ۙ وَ اَنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۙ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এটা এজন্য যে, আল্লাহ্‌ কোন সম্প্রদায় থেকে, যে অনুগ্রহ তাদেরকে প্রদান করেছেন তা পরিবর্তন করেজ্ঞাতা।ক্ষন পর্যন্ত তারা নিজেরা বদলে না যায়; এবং নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. এ (শাস্তি) এই কারণে যে, আল্লাহ্ কখনো কোনো অনুগ্রহ পরিবর্তন করেন না যা তিনি কোনো সম্প্রদায়কে দান করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেরা নিজেদের অনুগ্রহপূর্ণ অবস্থা পরিবর্তন করে (অর্থাৎ নিয়ামত অস্বীকার করে এবং পাপাচার ও নাফরমানীতে নিমজ্জিত থাকে, এমনকি এসব হারানোর অনুভুতিও হারিয়ে ফেলে, তখন সে সম্প্রদায় ধ্বংস ও বরবাদের চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছে)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।
৫৪
Play Share Copy
کَدَاۡبِ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ ۙ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ فَاَہۡلَکۡنٰہُمۡ بِذُنُوۡبِہِمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤ اٰلَ فِرۡعَوۡنَ ۚ وَ کُلٌّ کَانُوۡا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. যেমন ফির’আউনের অনুসারী ও তাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাস, তারা তাদের রবের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি তাদের গুনাহ্‌র কারণে এবং আমি ফির’আউনের অনুসারীদেরকে নিমজ্জিত করেছি আর তারা সকলেই যালিম ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. এ (শাস্তিও) ফেরাউনের সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্ববর্তী লোকদের রীতির ন্যায়। তারা(ও) স্বীয় প্রতিপালকের নিদর্শনকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল। সুতরাং আমরা তাদের গোনাহের কারণে তাদেরকে ধ্বংস করেছিলাম এবং ফেরাউনের লোকদেরকে (সাগরে) ডুবিয়েছিলাম। আর তারা সবাই ছিল যালিম।
৫৫
Play Share Copy
اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنۡدَ اللّٰہِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۖۚ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. নিশ্চয় সমস্ত জীবের মধ্যে নিকৃষ্টতম জীব আল্লাহ্‌র নিকট তারাই, যারা কুফর করেছে এবং ঈমান আনে না।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র নিকট জন্তু-জানোয়ার থেকে(ও) নিকৃষ্ট সে সকল লোক যারা কুফরী করে। অতঃপর তারা ঈমান আনয়ন করে না।
৫৬
Play Share Copy
اَلَّذِیۡنَ عٰہَدۡتَّ مِنۡہُمۡ ثُمَّ یَنۡقُضُوۡنَ عَہۡدَہُمۡ فِیۡ کُلِّ مَرَّۃٍ وَّ ہُمۡ لَا یَتَّقُوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. ওই সব লোক, যাদের সাথে আপনি চুক্তি করেছিলেন, অতঃপর প্রত্যেকবার (তারা) তাদের চুক্তি ভঙ্গ করে এবং ভয় করে না ।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. এরা (বনু নাযির এবং বনু কুরাইজার) সেসব লোক যাদের থেকে আপনি (বারবার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার) অঙ্গীকার নিয়েছেন, অতঃপর তারা প্রত্যেকবার (মক্কার কাফেরগণ কর্তৃক মদীনা আক্রমণের সময় যুদ্ধাস্ত্র, সরঞ্জাম এবং তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে) অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। আর তারা (আল্লাহ্কে) ভয় করে না।
৫৭
Play Share Copy
فَاِمَّا تَثۡقَفَنَّہُمۡ فِی الۡحَرۡبِ فَشَرِّدۡ بِہِمۡ مَّنۡ خَلۡفَہُمۡ لَعَلَّہُمۡ یَذَّکَّرُوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. সুতরাং যদি তোমরা তাদেরকে কোন যুদ্ধের মধ্যে পাও, তবে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করো, যা দ্বারা তাদের পেছনে যারা আছে, তাদেরকে বিতাড়িত করো, এ আশায় যে, হয়তো তাদের শিক্ষা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. সুতরাং আপনি যদি তাদেরকে যুদ্ধের ময়দানে আয়ত্বে পেয়ে যান, তবে তাদের সাথে (এমন) আচরণ করুন যেন আপনি তাদের পেছনের লোকদেরকে(ও) হটে যেতে বাধ্য করেন, যাতে তারা শিক্ষা পায়।
৫৮
Play Share Copy
وَ اِمَّا تَخَافَنَّ مِنۡ قَوۡمٍ خِیَانَۃً فَانۡۢبِذۡ اِلَیۡہِمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡخَآئِنِیۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং যদি আপনি কোন সম্প্রদায় থেকে বিশ্বাস ভঙ্গের আশঙ্কা করেন তবে তাদের চুক্তি তাদের দিকে নিক্ষেপ করুন সমানভাবে। নিঃসন্দেহে, বিশ্বাসভঙ্গকারীগণ আল্লাহ্‌র নিকট পছন্দনীয় নয়।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর আপনি যদি কোনো সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ঘাতকতার আশঙ্কা করেন, তবে সমানভাবে তাদের অঙ্গীকার তাদের দিকে নিক্ষেপ করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বিশ্বাস ঘাতকদেরকে পছন্দ করেন না।
৫৯
Play Share Copy
وَ لَا یَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَبَقُوۡا ؕ اِنَّہُمۡ لَا یُعۡجِزُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. এবং কখনো কাফিরগণ যেন এ অহংকারের মধ্যে না থাকে যে, তারা হাতের নাগাল থেকে বের হয়ে গেছে, নিঃসন্দেহে তারা হতবল করতে পারে না।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. আর কাফেরেরা যেন কখনো মনে না করে যে, তারা কর্তৃত্ব নিয়ে নিয়েছে (কিংবা তারা ইচ্ছার উপর জয়ী হয়ে গেছে)। নিশ্চয়ই তারা (আল্লাহ্‌র ক্ষমতাকে) পরাজিত করতে পারে না।
৬০
Play Share Copy
وَ اَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّ مِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَ عَدُوَّکُمۡ وَ اٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ ۚ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. আর তাদের (মোকাবেলার) জন্য প্রস্তুত রাখো যে শক্তি তোমাদের সাধ্যে রয়েছে এবং যতসংখ্যক ঘোড়া বাধতে পারো, যা দ্বারা তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করো, যারা আল্লাহ্‌র শত্রু এবং তোমাদের শত্রু; এবং তারা ব্যতীত অন্যান্যদের অন্তরে, যাদেরকে তোমরা জানো না আল্লাহ্‌ তাদেরকে জানেন। আর আল্লাহ্‌র পথে যা কিছু ব্যয় করবে, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে এবং কোন প্রকার ক্ষতির মধ্যে থাকবে না।
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর (হে মুসলমানগণ!) তাদের (মোকাবেলার) জন্যে তোমাদের যে পরিমাণ সামর্থ্য রয়েছে, (হাতিয়ার ও যুদ্ধাস্ত্রের) শক্তি এবং সুসজ্জিত অশ্ববাহিনী (সহ অভিযান) প্রস্তুত রাখো; এ (যুদ্ধপ্রস্তুতি) দিয়ে তোমরা আল্লাহ্‌র শত্রু এবং নিজেদের শত্রুদেরকে ভীতিপ্রদর্শন করতে থাকো। এ ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদের (গোপন শত্রুতা)-কে তোমরা জানো না, আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন। আর তোমরা যা কিছু(ই) আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করবে, তোমাদেরকে এর পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে। আর তোমাদের উপর অবিচার করা হবে না।
৬১
Play Share Copy
وَ اِنۡ جَنَحُوۡا لِلسَّلۡمِ فَاجۡنَحۡ لَہَا وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এবং তারা যদি সন্ধির দিকে ঝুকে পড়ে, তবে তোমরাও ঝুকবে এবং আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখো। নিঃসন্দেহে, তিনিই শ্রোতা, জ্ঞাতা।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আর যদি তারা (তোমাদের সাথে যুদ্ধরত কাফেরেরা) সন্ধি এবং শান্তির দিকে ঝুঁকে, তবে আপনিও তার দিকে ধাবিত হোন এবং আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখুন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।
৬২
Play Share Copy
وَ اِنۡ یُّرِیۡدُوۡۤا اَنۡ یَّخۡدَعُوۡکَ فَاِنَّ حَسۡبَکَ اللّٰہُ ؕ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَیَّدَکَ بِنَصۡرِہٖ وَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং যদি তারা আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ই আপনার জন্য যথেষ্ট; তিনি ওই সত্তা, যিনি আপনাকে শক্তি প্রদান করেছেন স্বীয় সাহায্য এবং মু’মিনদের দ্বারা।
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর যদি তারা আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে নিশ্চয়ই আপনার জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তিনিই আপনাকে শক্তিশালী করেছেন স্বীয় (ত্বরিত) সাহায্য দ্বারা এবং ঈমানদারদের দ্বারা (যারা আপনার আনুগত্য করছে)।
৬৩
Play Share Copy
وَ اَلَّفَ بَیۡنَ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ لَوۡ اَنۡفَقۡتَ مَا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا مَّاۤ اَلَّفۡتَ بَیۡنَ قُلُوۡبِہِمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ اَلَّفَ بَیۡنَہُمۡ ؕ اِنَّہٗ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এবং তাদের হৃদয়ের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করেছেন। যদিও আপনি দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সবই ব্যয় করে ফেলতেন, তবুও তাদের অন্তরের মধ্যে ভালবাসা স্থাপন করতে পারতেন না; কিন্তু আল্লাহ্‌ তাদের অন্তর ভালবাসা দ্বারা মিলিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয় তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. আর (তিনিই মুসলমানদেরকে) তাদের অন্তরে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যা কিছু ভু-পৃষ্ঠে রয়েছে যদি এমন সকল কিছু আপনি ব্যয় করতেন, তবুও (এ সকল বস্তুগত উপকরণের মাধ্যমে) তাদের অন্তরে (এ) ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারতেন না। কিন্তু আল্লাহ্ তাদের মধ্যে (এক রূহানী সম্পর্কের মাধ্যমে) ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
৬৪
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَسۡبُکَ اللّٰہُ وَ مَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)! আল্লাহ্‌ আপনার জন্য যথেষ্ট এবং এ যতো সংখ্যক মুসলমান আপনার অনুসারী হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. হে (সম্মানিত) নবী! আপনার জন্যে এবং আপনার অনুগত মুসলমানদের জন্যে তো আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৬৫
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ عِشۡرُوۡنَ صٰبِرُوۡنَ یَغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفًا مِّنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা ! মুসলমানদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। যদি তোমাদের মধ্যে বিশ জন ধৈর্যশীল থাকে, তবে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে এবং যদি তোমাদের মধ্যে একশ’জন থাকে, তাহলে কাফিরদের এক হাজারের উপর বিজয়ী হবে; এ জন্য যে, তারা বোধশক্তি রাখে না।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. হে (সম্মানিত) নবী! আপনি ঈমানদারদেরকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করুন (অর্থাৎ সত্যের নিমিত্তে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করুন)। যদি তোমাদের মধ্য থেকে (যুদ্ধে) বিশজন দৃঢ় ও অবিচল থাকে, তবে তারা দুইশজন (কাফের) -এর উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে একশ (দৃঢ় ও অবিচল) থাকে, তবে কাফেরদের মধ্য থেকে (এক) হাজারের উপর বিজয়ী হবে; এ কারণে যে, তারা (পরকাল ও এর মহা প্রতিদানকে) উপলব্ধি করে না। (সুতরাং তারা এমন পরিমাণ উদ্দীপনা ও আগ্রহ নিয়ে লড়াই করতে পারে না, যে পরিমাণ সে সকল মুমিন করে, যারা স্বীয় প্রাণকে জান্নাত ও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে।)
৬৬
Play Share Copy
اَلۡـٰٔنَ خَفَّفَ اللّٰہُ عَنۡکُمۡ وَ عَلِمَ اَنَّ فِیۡکُمۡ ضَعۡفًا ؕ فَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ صَابِرَۃٌ یَّغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ اَلۡفٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفَیۡنِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. এখন আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর থেকে ভার লাঘব করেছেন এবং তিনি অবগত আছেন যে, তোমরা দুর্বল। সুতরাং যদি তোমাদের মধ্যে একশ’জন ধৈর্যশীল থাকে, তবে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকে, তবে তারা দু’হাজারের উপর বিজয়ী হবে- আল্লাহ্‌র নির্দেশক্রমে; এবং আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. এখন আল্লাহ্ তোমাদের উপর (স্বীয় নির্দেশের) বোঝা হালকা করে দিয়েছেন। তিনি জানেন যে, তোমাদের মাঝে (কী পরিমাণ) দুর্বলতা রয়েছে, সুতরাং (এখন সহজীকরণের পর নির্দেশ এরূপ যে,) যদি তোমাদের মধ্য থেকে এক শতজন (মানুষ) দৃঢ় ও অবিচল হয় (তবে) তারা দুইশত (কাফের)-এর উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে (এক) হাজার হয়, তবে তারা আল্লাহ্‌র নির্দেশে দুই হাজার (কাফের)-এর উপর বিজয়ী হবে। আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন। (এটি মুমিনদের জন্যে লক্ষ্য যে, জিহাদের ময়দানে তাদের ঈমানী উদ্দীপনার প্রভাব অন্তত এটুকু হওয়া চাই।)
৬৭
Play Share Copy
مَا کَانَ لِنَبِیٍّ اَنۡ یَّکُوۡنَ لَہٗۤ اَسۡرٰی حَتّٰی یُثۡخِنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ تُرِیۡدُوۡنَ عَرَضَ الدُّنۡیَا ٭ۖ وَ اللّٰہُ یُرِیۡدُ الۡاٰخِرَۃَ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. কোন নবীর সাথে সঙ্গত নয় যে, কাফিরদেরকে জীবিতাবস্থায় বন্দী করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যমীনে তাদের খুন প্রবাহিত করবেন না; তোমরা দুনিয়ার সম্পদ কামনা করে থাকো এবং আল্লাহ্‌ চান আখিরাত; আর আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. কোনো নবীর জন্যে (কাফের) যুদ্ধবন্দী শোভা পায় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ভু-পৃষ্ঠে ওইসব (যোদ্ধা কাফের) লোকদেরকে নির্মূল করা হয়। তোমরা কামনা করছো দুনিয়ার সম্পদ ও সামগ্রী আর আল্লাহ্ চান পরকাল (বিষয়ে কল্যাণ)। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান।
৬৮
Play Share Copy
لَوۡ لَا کِتٰبٌ مِّنَ اللّٰہِ سَبَقَ لَمَسَّکُمۡ فِیۡمَاۤ اَخَذۡتُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. যদি আল্লাহ্‌ পূর্বেই একটা কথা (বিধান) লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে হে মুসলমানগণ! তোমরা যা কাফিরদের নিকট থেকে ‘মুক্তিপণের মাল’ গ্রহণ করেছো, তজ্জন্য তোমাদের উপর মহা শাস্তি আসতো।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. যদি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে পূর্বেই (ক্ষমার নির্দেশ) লিপিবদ্ধ না হতো, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে এ (মুক্তিপণের) কারণে, যা তোমরা (বদরের বন্দীদের থেকে) লাভ করেছিলে, এক কঠিন শাস্তি পাকড়াও করতো।
৬৯
Play Share Copy
فَکُلُوۡا مِمَّا غَنِمۡتُمۡ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ وَّ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. সুতরাং তোমরা আহার করো যে-ই গনীমত তোমরা লাভ করেছো, বৈধ-পবিত্র; এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৬৯. সুতরাং এ থেকে খাও, যে বৈধ-পবিত্র যুদ্ধলব্ধ সম্পদ তোমরা লাভ করেছো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
৭০
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ قُلۡ لِّمَنۡ فِیۡۤ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنَ الۡاَسۡرٰۤی ۙ اِنۡ یَّعۡلَمِ اللّٰہُ فِیۡ قُلُوۡبِکُمۡ خَیۡرًا یُّؤۡتِکُمۡ خَیۡرًا مِّمَّاۤ اُخِذَ مِنۡکُمۡ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা! যে সব যুদ্ধবন্ধী আপনাদের করায়ত্বে রয়েছে তাদেরকে বলুন, ‘যদি আল্লাহ্‌ তোমাদের হৃদয়ে ভাল কিছু জানেন, তবে তোমাদের নিকট হেকে যা গ্রহণ করা হয়েছে তা অপেক্ষা উত্তম বস্তু তোমাদেরকে দান করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৭০. হে নবী! যারা আপনার হাতে বন্দী তাদেরকে বলে দিন, ‘যদি আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরে কল্যাণকর কিছু রয়েছে বলে অবগত হন, তবে তোমাদেরকে এ (সম্পদ) থেকেও উত্তম কিছু দান করবেন, যা (ফিদইয়াহ্ হিসেবে) তোমাদের থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
৭১
Play Share Copy
وَ اِنۡ یُّرِیۡدُوۡا خِیَانَتَکَ فَقَدۡ خَانُوا اللّٰہَ مِنۡ قَبۡلُ فَاَمۡکَنَ مِنۡہُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং হে মাহবূব! যদি তারা আপনার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চায়, তবে এর পূর্বে (তারা) আল্লাহ্‌রই সাথে বিশ্বাস্ব ভঙ্গ করেছে, যার ফলে তিনি ততো সংখ্যক আপনার করায়ত্বে দিয়ে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞাতা, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর (হে প্রিয়তম!) যদি তারা আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছে রাখে, তারা তো নিশ্চিতভাবে এরপূর্বে আল্লাহ্‌র সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। সুতরাং (একই কারণে) তিনি তাদের কতিপয়কে (আপনার) অধীন করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাবান।
৭২
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ ہَاجَرُوۡا وَ جٰہَدُوۡا بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الَّذِیۡنَ اٰوَوۡا وَّ نَصَرُوۡۤا اُولٰٓئِکَ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ لَمۡ یُہَاجِرُوۡا مَا لَکُمۡ مِّنۡ وَّلَایَتِہِمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ حَتّٰی یُہَاجِرُوۡا ۚ وَ اِنِ اسۡتَنۡصَرُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ فَعَلَیۡکُمُ النَّصۡرُ اِلَّا عَلٰی قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَہُمۡ مِّیۡثَاقٌ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ্‌র জন্য ঘরবাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহ্‌র পথে নিজ সম্পদ ও জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছে আর ওই সব লোক, যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারা পরস্পর পরস্পরের উত্তরাধিকারী। আর ওই সব লোক, যারা হিজরত করে নি তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির কিছুরই তোমরা মালিক হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা হিজরত না করে এবং যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করে, তবে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের উপর অপরিহার্য; কিন্তু এমন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয় যে, তোমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
৭২. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করেছে, যারা (আল্লাহ্‌র জন্যে) স্বদেশ ছেড়েছে, নিজেদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করেছে; আর যারা (মুহাজিরদেরকে) আশ্রয় দিয়েছে এবং (তাদেরকে) সাহায্য করেছে, তারাই একে অপরের প্রকৃত বন্ধু। আর যারা ঈমান আনয়ন করেছে, (কিন্তু আল্লাহ্‌র জন্যে) ঘর-বাড়ি ছাড়েনি, তবে তাদের বন্ধুত্বের সাথে তোমাদের কোনো সম্বন্ধ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা হিজরত করে। আর যদি তারা দ্বীনের (বিষয়াদির) ব্যাপারে তোমাদের নিকট সাহায্য কামনা করে, তাহলে তোমাদের জন্যে (তাদেরকে) সাহায্য করা আবশ্যক; তবে সেসব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে (সাহায্য) নয়, যাদের এবং তোমাদের মাঝে (সন্ধি ও নিরাপত্তার) অঙ্গীকার রয়েছে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড খুব ভালোভাবেই দেখছেন।
৭৩
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ اِلَّا تَفۡعَلُوۡہُ تَکُنۡ فِتۡنَۃٌ فِی الۡاَرۡضِ وَ فَسَادٌ کَبِیۡرٌ ﴿ؕ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং কাফিরগণ পরস্পর পরস্পরের উত্তরাধিকারী; এমন না করলে যমীনে ফিত্‌না ও বড় ফ্যাসাদ হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর যারা কাফের, তারা একে অপরের সাহায্যকারী। (হে মুসলমানগণ!) যদি তোমরা (একে অপরের সাথে) এমন (সহায়তা ও সাহায্য-সহযোগিতা) না করো, তবে ভু-পৃষ্ঠে (কুফর ও বাতিলের আধিপত্যের) ফিতনা ও ভয়ানক বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে।
৭৪
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ ہَاجَرُوۡا وَ جٰہَدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الَّذِیۡنَ اٰوَوۡا وَّ نَصَرُوۡۤا اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ حَقًّا ؕ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহ্‌র সাথে যুদ্ধ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানের জীবিকা।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং যারা হিজরত করেছে ও আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করেছে, আর যারা (আল্লাহ্‌র পথে ঘরবাড়ি ও স্বদেশ বিসর্জনকারীকে) আশ্রয় দিয়েছে আর (তাদেরকে) সাহায্য করেছে; তারাই প্রকৃতপক্ষে যথার্থ মুসলমান। তাদের জন্যেই রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
৭৫
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡۢ بَعۡدُ وَ ہَاجَرُوۡا وَ جٰہَدُوۡا مَعَکُمۡ فَاُولٰٓئِکَ مِنۡکُمۡ ؕ وَ اُولُوا الۡاَرۡحَامِ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এবং যারা পরে ঈমান এনেছে ও হিজরত করেছে এবং তোমাদের সাথী হয়ে যুদ্ধ করেছে তারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত; এবং আল্লাহ্‌র কিতাবের মধ্যে আত্নীয়গণ একে অপর অপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আর যারা এর পর ঈমান আনয়ন করেছে, যারা সত্যের পথে (সবকিছু বিসর্জন দিয়ে) ঘরবাড়ি ছেড়েছে, আর তোমাদের সাথে একত্রে জিহাদ করেছে, তবে সেসব লোক(ও) তোমাদেরই মধ্যে গণ্য। আর আত্মীয়গণ আল্লাহ্‌র কিতাবে (আত্মীয়তার সম্পর্ক ও উত্তরাধিকারের দিক থেকে) একে অপরের অধিক হক্বদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুই সম্যক অবগত।