Back
আল বালাদ
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
لَاۤ اُقۡسِمُ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আমায় এ শহরের শপথ,
ইরফানুল কুরআন
১. আমি শপথ করছি এ (মক্কা) নগরীর,
Play Share Copy
وَ اَنۡتَ حِلٌّۢ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যেহেতু হে মাহবূব! আপনি এ শহরে তাশরীফ রাখছেন,
ইরফানুল কুরআন
২. (হে মহিমান্বিত হাবীব) এ জন্যে যে, আপনি এ নগরীর অধিবাসী।* * এ অনুবাদ দ্বিতীয় লা শব্দটিকে ‘লা যায়েদা’ অর্থাৎ অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য করার কারণে। যদি `লা’ শব্দটি বিশুদ্ধ না-বোধক হয় তবে অনুবাদ হবে এ রকম, ‘(হে হাবীব!) আমি (সে সময়) এ শহরের শপথ করবো না, যখন আপনি এ শহর ত্যাগ করবেন।’
Play Share Copy
وَ وَالِدٍ وَّ مَا وَلَدَ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং আপনার পিতা (পিতৃ-পুরুষ) ইব্রাহীমের শপথ এবং তার বংশধরের, অর্থাৎ আপনিই।
ইরফানুল কুরআন
৩. (হে আমার মহিমান্বিত হাবীব!) শপথ (আপনার) পিতা (আদম অথবা ইবরাহীম আলাইহিমাস সালাম)-এঁর এবং শপথ (তাঁদের), যারা জন্মগ্রহণ করেছেন।* * অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালামের সৎকর্মশীল সন্তান-সন্ততি অথবা আপনারই মহিমান্বিত সত্তা, যাঁর কারণে এ মক্কা নগরীও শপথের যোগ্য হয়েছে।
Play Share Copy
لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় আমি মানুষকে কষ্টের মধ্যে থাকাবস্থায় সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট-ক্লেশের মধ্যে (নিয়ত আবর্তিত করে)।
Play Share Copy
اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّنۡ یَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ اَحَدٌ ۘ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. মানুষ কি এ কথা মনে করে যে কখনো তার উপর কেউ ক্ষমতা পাবে না?
ইরফানুল কুরআন
৫. সে কি ধারণা করে যে, তাকে কখনোই কেউ পরাভূত করতে পারবেনা?
Play Share Copy
یَقُوۡلُ اَہۡلَکۡتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. সে বলে, ‘আমি যথেষ্ট সম্পদ উজাড় করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৬. সে (খুব দম্ভভরে) বলে, ‘আমি সম্পদের স্তুপ ব্যয় করেছি’।।
Play Share Copy
اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّمۡ یَرَہٗۤ اَحَدٌ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. মানুষ কি একথা মনে করে যে, তাকে কেউ দেখে নি?
ইরফানুল কুরআন
৭. সে কি মনে করে যে, তাকে (এরূপ অমিতব্যয়ী হতে) কেউ দেখেনি?
Play Share Copy
اَلَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ عَیۡنَیۡنِ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আমি কি তার দু’টি চক্ষু সৃষ্টি করি নি?
ইরফানুল কুরআন
৮. আমরা কি সৃষ্টি করিনি তার চক্ষুযুগল?
Play Share Copy
وَ لِسَانًا وَّ شَفَتَیۡنِ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং জিহ্বা ও দু’ট ওষ্ঠ?
ইরফানুল কুরআন
৯. এবং (তাকে কি দেইনি) জিহ্বা এবং ওষ্ঠদ্বয়?
১০
Play Share Copy
وَ ہَدَیۡنٰہُ النَّجۡدَیۡنِ ﴿ۚ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং তাকে দু’টি উত্থিত বস্তুর পথ বাত্‌লিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর আমরা তাকে (ভালো এবং মন্দেরও) সুস্পষ্ট দুটো পথ দেখিয়েছি।
১১
Play Share Copy
فَلَا اقۡتَحَمَ الۡعَقَبَۃَ ﴿۫ۖ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. অতঃপর নিদ্বির্ধায় গিরিপথে লম্ফ দেয় নি।
ইরফানুল কুরআন
১১. সে তো (সত্য দ্বীন এবং কল্যাণকর কাজের) দুর্গম গিরিপথে আরোহণই করেনি।
১২
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡعَقَبَۃُ ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং তুমি কি জেনেছো ওই গিরিপথ কি?
ইরফানুল কুরআন
১২. আর আপনি কি জানেন, (সত্য দ্বীনের কষ্টসাধ্য) গিরিপথ কী?
১৩
Play Share Copy
فَکُّ رَقَبَۃٍ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. কোন বান্দার গর্দান ছাড়ানো।
ইরফানুল কুরআন
১৩. তা হলো (দাসত্ব এবং পরাধীন জীবন থেকে) মুক্তিদান,
১৪
Play Share Copy
اَوۡ اِطۡعٰمٌ فِیۡ یَوۡمٍ ذِیۡ مَسۡغَبَۃٍ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. কিংবা ক্ষুধার দিনে খাবার দেওয়া-
ইরফানুল কুরআন
১৪. অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে (দরিদ্র ও জীবিকা বঞ্চিত মানুষকে) আহার্যদান (অর্থাৎ তাদের অর্থনৈতিক অচলাবস্থা এবং ভোগান্তি দূর করার নিমিত্তে পরিশ্রম করা।),
১৫
Play Share Copy
یَّتِیۡمًا ذَا مَقۡرَبَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আত্নীয় এতিমকে,
ইরফানুল কুরআন
১৫. নিকটাত্মীয় এতিমকে,
১৬
Play Share Copy
اَوۡ مِسۡکِیۡنًا ذَا مَتۡرَبَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. অথবা মাটিতে উপবিষ্ট মিসকীনকে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. অথবা চরম দারিদ্র্যপীড়িত অসহায় লোকেদেরকে, যারা নিতান্তই ভগ্নস্বাস্থ্য (এবং আশ্রয়হীন)।
১৭
Play Share Copy
ثُمَّ کَانَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡمَرۡحَمَۃِ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. অতঃপর হয় তাদের থেকে, যারা ঈমান এনেছে; এবং তারা পরস্পরের মধ্যে ধৈর্যধারণের উপদেশ প্রদান করেছে; এবং পরস্পরের মধ্যে সদয় হবার উপদেশ দিয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অতঃপর (শর্ত এ যে, এরূপ সচেষ্ট) সে ব্যক্তি তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে যারা ঈমান আনয়ন করে, পরস্পরে উপদেশ দেয় ধৈর্য ও সহনশীলতার এবং উৎসাহ দেয় পারস্পরিক অনুগ্রহ ও স্নেহ-মমতার।
১৮
Play Share Copy
اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ﴿ؕ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এরা হচ্ছে ডান দিকের।
ইরফানুল কুরআন
১৮. এরাই ডানপার্শ্বস্থ দল (অর্থাৎ সৌভাগ্যবান এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত)।
১৯
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا ہُمۡ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ﴿ؕ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, তারা হচ্ছে বাম দিকের।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর যারা আমাদের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে, তারা হলো বামপার্শ্বস্থ দল (অর্থাৎ দুর্ভাগা ও শাস্তিপ্রাপ্ত)।
২০
Play Share Copy
عَلَیۡہِمۡ نَارٌ مُّؤۡصَدَۃٌ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. তাদের উপর এমন আগুন রয়েছে যে, তাতে নিক্ষেপ করে উপরের দিক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২০. তাদের উপর (চতুর্দিক থেকে) (ছেয়ে) থাকবে অবরুদ্ধ অগ্নি।