بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
لَمۡ یَکُنِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ مُنۡفَکِّیۡنَ حَتّٰی تَاۡتِیَہُمُ الۡبَیِّنَۃُ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. কিতাবী কাফির এবং মুশরিক নিজ নিজ ধর্মে ত্যাগকারী ছিলো না, যে পর্যন্ত তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসে নি।
ইরফানুল কুরআন
১. আহলে কিতাবের মধ্যে যারা কাফের হয়ে গিয়েছে তারা এবং মুশরিকেরা সে সময় পর্যন্ত (কুফরী থেকে) বিরত ছিল না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের নিকট (সুস্পষ্ট) প্রমাণ আসলো।
رَسُوۡلٌ مِّنَ اللّٰہِ یَتۡلُوۡا صُحُفًا مُّطَہَّرَۃً ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. (তিনি কে?) তিনি আল্লাহ্র রসূল, যিনি পবিত্র সহীফাসমূহ পাঠ করেন;
ইরফানুল কুরআন
২. (এ দলিল হলেন) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে (সর্বশেষ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম), যিনি (তাদেরকে) পবিত্র গ্রন্থ (কুরআন) তিলাওয়াত করে শোনান।
فِیۡہَا کُتُبٌ قَیِّمَۃٌ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. ওইগুলোর মধ্যে সরল বাণীসমূহ লিপিবদ্ধ আছে।
ইরফানুল কুরআন
৩.যাতে (লিখিত) আছে নির্ভুল এবং সুদৃঢ় বিধিবিধান।
وَ مَا تَفَرَّقَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُمُ الۡبَیِّنَۃُ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং মতভেদ সৃষ্টি হয় নি কিতাবীদের মধ্যে; কিন্তু এরপর যে, ওই সুস্পষ্ট প্রমাণ তাদের নিকট শুভাগমন করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৪. এসব আহলে কিতাব সম্প্রদায় (সর্বশেষ যুগের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের নবুয়্যত ও রিসালাতের উপর ঈমান আনয়ন এবং তাঁর পবিত্রতম শান উপলব্ধির বিষয়ে পূর্বে বিভক্ত ছিল না। তারা) তো বিভক্ত হলো (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব এবং) তাদের নিকট সুস্পষ্ট দলিল আসার পর। (কতিপয় তাঁর উপর ঈমান আনলো এবং কতিপয় হিংসার কারণে অস্বীকার করলো ও কাফের হয়ে গেল)।
وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ ۬ۙ حُنَفَآءَ وَ یُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ذٰلِکَ دِیۡنُ الۡقَیِّمَۃِ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং ওই সব লোককে তো এ আদেশই দেওয়া হয়েছে যেন তারা আল্লাহর ইবাদত করে শুধু তাঁরই উপর বিশ্বাস রেখে এক তরফা হয়ে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দেয়। আর এটা হচ্ছে সরল দ্বীন।
ইরফানুল কুরআন
৫. অথচ তাদেরকে কেবল নির্দেশ দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র তাঁর জন্যেই নিজেদের দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে (অর্থাৎ ঈমান ও আন্তরিকতাকে বিশুদ্ধ করে) আল্লাহ্র ইবাদত করতে, (সকল মিথ্যা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে) সত্যের পথে একাগ্রতা সৃষ্টি করতে, নামায কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে। আর এটিই হলো সরল ও অবিচল দ্বীন।
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ فِیۡ نَارِ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ شَرُّ الۡبَرِیَّۃِ ؕ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. নিশ্চয় যত কাফির রয়েছে কিতাবী ও মুশরিক, সবাই জাহান্নামের আগুনে রয়েছে, সর্বদা তাতে থাকবে। তারাই সৃষ্টিকূলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
ইরফানুল কুরআন
৬. নিশ্চয়ই আহলে কিতাবের মধ্যে যারা কাফের হয়ে গিয়েছে তারা এবং মুশরিকেরা (সবাই) জাহান্নামের অগ্নিতে (পড়ে) থাকবে, তারা তাতে চিরকাল অবস্থান করবে। এরাই সৃষ্টিকুলের মধ্যে নিকৃষ্টতম।
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারাই সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ;
ইরফানুল কুরআন
৭. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম অব্যাহত রাখে, তারাই সৃষ্টিকুলের মধ্যে উৎকৃষ্টতম।
جَزَآؤُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ جَنّٰتُ عَدۡنٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ رَضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَ رَضُوۡا عَنۡہُ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ خَشِیَ رَبَّہٗ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. তাদের প্রতিদান তাদের রবের নিকট- বসবাস করার বাগান, যার নিচে নহরসমূহ প্রবাহিত সেগুলোর মধ্যে সদা-সর্বদা থাকবে। আল্লাহ্ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারা তার উপর সন্তুষ্ট । এটা তারই জন্য, যে আপন রবকে ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
৮. তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরস্থায়ী বসবাসের উদ্যানসমূহ, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর উপর সন্তুষ্ট। এ (মর্যাদাপূর্ণ স্থান) তার জন্যে, যে তার প্রতিপালককে ভয় করে।