بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الۡبُرُوۡجِ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. শপথ আস্মানের যার মধ্যে কক্ষপথ রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ জ্যোতিষ্কমন্ডলী (অর্থাৎ ছায়াপথ) সমৃদ্ধ আকাশের,
وَ الۡیَوۡمِ الۡمَوۡعُوۡدِ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং ওই দিনের যার প্রতিশ্রুতি রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
২. আর শপথ সে দিনের, যে দিনের অঙ্গীকার করা হয়েছে,
وَ شَاہِدٍ وَّ مَشۡہُوۡدٍ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং ওই দিনের, যে (দিন) টি সাক্ষী, এবং ওই দিনের, যাতে উপস্থিত হয়-
ইরফানুল কুরআন
৩. এবং শপথ তাঁর যিনি (সেদিন) উপস্থিত হবেন এবং শপথ সেসবের, যা কিছু উপস্থিত করা হবে,
قُتِلَ اَصۡحٰبُ الۡاُخۡدُوۡدِ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. কুণ্ড-অধিপতিদের উপর অভিশাপ হোক!
ইরফানুল কুরআন
৪. ধ্বংস করা হয়েছিল পরিখার অধিবাসীদের,
النَّارِ ذَاتِ الۡوَقُوۡدِ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. ওই প্রজ্জ্বলিত আগুনের অধিপতিগণ,
ইরফানুল কুরআন
৫. (অর্থাৎ) ওই ইন্ধনপূর্ণ ভয়ংকর (প্রজ্বলিত) অগ্নি (-এর অধিপতিগণ),
اِذۡ ہُمۡ عَلَیۡہَا قُعُوۡدٌ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. যখন তারা সেটার কিনারায় উপবিষ্ট ছিলো;
ইরফানুল কুরআন
৬. যখন তারা তার কিনারায় উপবিষ্ট ছিল,
وَّ ہُمۡ عَلٰی مَا یَفۡعَلُوۡنَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ شُہُوۡدٌ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং তারা নিজেরাই সাক্ষী রয়েছে (সে সম্পর্কে) যা কিছু তারা মুসলমানদের সাথে করছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তারা নিজেরা প্রত্যক্ষ করেছিল, যা কিছু তারা ঈমানদারদের সাথে করছিল (অর্থাৎ, তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করে দগ্ধ করছিল)।
وَ مَا نَقَمُوۡا مِنۡہُمۡ اِلَّاۤ اَنۡ یُّؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَمِیۡدِ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং তাদের নিকট মুসলমানদের খারাপ লেগেছে এটা নয় কি যে, তারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্ মহা সম্মানিত, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিতের উপর?
ইরফানুল কুরআন
৮. আর তাদেরকে (মুমিনদের বিষয়ে) ক্ষুব্ধ করেছিল কেবল এ কারণেই যে, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল আল্লাহ্র প্রতি, যিনি পরাক্রমশালী (এবং) সকল প্রশংসা ও স্তুতির অধিকারী,
الَّذِیۡ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَہِیۡدٌ ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. যারই আস্মানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব এবং আল্লাহ্ প্রত্যেক বস্তুর উপর সাক্ষী আছেন।
ইরফানুল কুরআন
৯. আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর (সর্বময়) রাজত্ব যাঁর, আর আল্লাহ্ সকল কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী।
اِنَّ الَّذِیۡنَ فَتَنُوا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَتُوۡبُوۡا فَلَہُمۡ عَذَابُ جَہَنَّمَ وَ لَہُمۡ عَذَابُ الۡحَرِیۡقِ ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. নিশ্চয় যারা কষ্ট দিয়েছে মুসলমান পুরুষদের ও মুসলমান নারীদেরকে অতঃপর তাওবা করে নি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং তাদের জন্য রয়েছে আগুনের শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১০. নিঃসন্দেহে যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে নির্যাতন করে, তারপর তওবা(ও) করে না, তবে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং (বিশেষভাবে) তাদের জন্যেই রয়েছে অগ্নিদগ্ধের যন্ত্রণা।
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕؑ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡکَبِیۡرُ ﴿ؕ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য এমন সব ‘বাগান’ রয়েছে, যেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। এটাই হলো বড় সফলতা।
ইরফানুল কুরআন
১১. এবং নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্মে নিয়োজিত থাকে, তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাতের উদ্যানসমূহ, যার তলদেশে প্রবাহিত স্রোতধারা; এটিই মহাসাফল্য।
اِنَّ بَطۡشَ رَبِّکَ لَشَدِیۡدٌ ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. অবশ্যই আপনার রবের পাকড়াও নিতান্ত কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
১২. অবশ্যই আপনার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন।
اِنَّہٗ ہُوَ یُبۡدِئُ وَ یُعِیۡدُ ﴿ۚ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. নিশ্চয় তিনি প্রথমে সৃষ্টি করেন এবং পুনরায় সৃষ্টি করেন,
ইরফানুল কুরআন
১৩. নিশ্চয়ই তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন এবং তিনিই দ্বিতীয়বার জীবন দান করবেন।
وَ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الۡوَدُوۡدُ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং তিনিই মার্জনাকারী, আপন নেককার বান্দাদের জন্য প্রেমময়,
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর তিনি মহাক্ষমাশীল, সর্বাধিক অনুগ্রহশীল,
ذُو الۡعَرۡشِ الۡمَجِیۡدُ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সম্মানিত আরশের অধিপতি;
ইরফানুল কুরআন
১৫. আরশের অধিপতি (অর্থাৎ সমস্ত বিশ্বজগতের সর্বময় নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকর্তা), মহামহিমান্বিত।
فَعَّالٌ لِّمَا یُرِیۡدُ ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সর্বদা তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা-ই সম্পন্নকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তিনি যা কিছুই ইচ্ছা করেন, (তাই পুরোপুরি) কার্যকর করেন।
ہَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ الۡجُنُوۡدِ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. আপনার নিকট কি ‘সৈন্যদের’ কথা এসেছে?
ইরফানুল কুরআন
১৭. আপনার কাছে কি সৈন্যবাহিনীর সংবাদ পৌঁছেছে?
فِرۡعَوۡنَ وَ ثَمُوۡدَ ﴿ؕ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. ওই সৈন্যদল কারা? ‘ফির’আঊন ও সামূদ।
ইরফানুল কুরআন
১৮. ফিরাউন ও সামূদের (সৈন্য বাহিনীর)?
بَلِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فِیۡ تَکۡذِیۡبٍ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. বরং কাফিরগণ অস্বীকারের মধ্যে রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৯. বরং এসব কাফের (সর্বদা সত্যকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতে (অবিচল প্রচেষ্টায়) নিয়োজিত।
وَّ اللّٰہُ مِنۡ وَّرَآئِہِمۡ مُّحِیۡطٌ ﴿ۚ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং আল্লাহ্ তাদের পেছনের দিক থেকে তাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর আল্লাহ্ (তাদেরকে) চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে আছেন।
بَلۡ ہُوَ قُرۡاٰنٌ مَّجِیۡدٌ ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. বরং তা পূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন ক্বোরআন,
ইরফানুল কুরআন
২১. বরং এটি মহা মহিমান্বিত কুরআন।
فِیۡ لَوۡحٍ مَّحۡفُوۡظٍ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. লওহ-ই মাহফূযের মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
২২. (যা লিখিত আছে) এক অতি সুরক্ষিত ফলক লাওহে মাহফুযে।