بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
تَبٰرَکَ الَّذِیۡ نَزَّلَ الۡفُرۡقَانَ عَلٰی عَبۡدِہٖ لِیَکُوۡنَ لِلۡعٰلَمِیۡنَ نَذِیۡرَا ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. বড় মঙ্গলময় তিনি, যিনি অবতীর্ণ করেছেন ক্বোরআন আপন বান্দার প্রতি, যাতে তিনি সমগ্র জগতের জন্য সতর্ককারী হন।
ইরফানুল কুরআন
১. (সেই আল্লাহ্) অসীম বরকতের অধিকারী যিনি স্বীয় (প্রিয়তম ও নৈকট্যপ্রাপ্ত) বান্দার প্রতি (সত্য মিথ্যার পার্থক্য এবং) ফায়সালাকারী (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। আর তা এজন্যে যে, তিনি সমস্ত জগতের জন্যে সতর্ককারী হবেন।
ۣالَّذِیۡ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لَمۡ یَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّ لَمۡ یَکُنۡ لَّہٗ شَرِیۡکٌ فِی الۡمُلۡکِ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیۡءٍ فَقَدَّرَہٗ تَقۡدِیۡرًا ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. তিনিই, যার জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের বাদশাহী এবং তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি এবং তার সাম্রাজ্যের মধ্যে কোন অংশীদার নেই, তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করে সঠীক পরিমাণে রেখেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২. তিনি, (আল্লাহ্) যাঁর জন্যে সমস্ত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব। আর যিনি (নিজের জন্যে) কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর রাজত্বে তাঁর কোনো শরীক নেই। আর তিনি সৃষ্টি করেছেন সবকিছু। অতঃপর প্রত্যেককে (বেঁচে থাকা ও সমৃদ্ধি, সকল পর্যায়ে তার বৈশিষ্ট্য, কার্যাবলী ও সময়, মোটকথা সবকিছুকে) একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
وَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً لَّا یَخۡلُقُوۡنَ شَیۡئًا وَّ ہُمۡ یُخۡلَقُوۡنَ وَ لَا یَمۡلِکُوۡنَ لِاَنۡفُسِہِمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا وَّ لَا یَمۡلِکُوۡنَ مَوۡتًا وَّ لَا حَیٰوۃً وَّ لَا نُشُوۡرًا ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং লোকেরা তিনি ব্যতীত অন্যান্য খোদা স্থির করে নিয়েছে, যারা কিছু সৃষ্টি করে না এবং নিজেরাই সৃষ্ট হয়েছে আর নিজেরাই নিজেদের প্রাণের উপকার-অপকারের মালিক নয় এবং না মৃত্যুবরণ করার ক্ষমতা রাখে, না বেচের থাকার এবং না উঠার।
ইরফানুল কুরআন
৩. আর সে সকল (মুশরিক) লোকেরা আল্লাহ তা’আলাকে ছেড়ে এমন সত্তাদেরকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং নিজেরাই সৃষ্ট। আর তারা না নিজেদের অকল্যাণের অধিকার রাখে, আর না কল্যাণের। আবার না তারা মৃত্যুর উপর ক্ষমতা রাখে আর না জীবনের এবং না (মৃত্যুর পর) পুনরুত্থানের (এখতিয়ার বা স্বাধীনতা রাখে)।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفۡکُۨ افۡتَرٰىہُ وَ اَعَانَہٗ عَلَیۡہِ قَوۡمٌ اٰخَرُوۡنَ ۚۛ فَقَدۡ جَآءُوۡ ظُلۡمًا وَّ زُوۡرًا ۚ﴿ۛ۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং কাফিরগণ বললো, ‘এ’তো নয়, কিন্তু এক মিথ্যাপবাদ, যা তারা রচনা করে নিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে অন্যান্য লোকেরা তাকে সাহায্য করেছে। নিঃসন্দেহে তারা যুল্ম ও মিথ্যায় উপনীত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪. আর অবিশ্বাসীরা বলে, ‘এ (কুরআন) মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয় যা এ (রিসালাতের দাবীদার) ব্যক্তি উদ্ভাবন করেছেন এবং এতে ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁকে সহযোগিতা করেছে’। নিশ্চয়ই কাফেরেরা জুলুম ও মিথ্যায় (নেমে) এসেছে।
وَ قَالُوۡۤا اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ اکۡتَتَبَہَا فَہِیَ تُمۡلٰی عَلَیۡہِ بُکۡرَۃً وَّ اَصِیۡلًا ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং বললো, ‘পূর্ববর্তীদের কিচ্ছা-কাহিনী তিনি লিখে নিয়েছেন; অতঃপর সেগুলো তার নিকট সকান-সন্ধ্যায় পাঠ করা হয়’।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর তারা বলে, ‘এ (কুরআন) পূর্ববর্তীদের মনগড়া উপকথা, যা এ ব্যক্তি লিখিয়ে নিয়েছেন। অতঃপর এ (মনগড়া উপকথা) গুলো সকাল-সন্ধায় তাঁকে পাঠ করে শুনানো হয়। (যাতে তা মনে রেখে পরবর্তীতে শুনাতে পারেন।)’
قُلۡ اَنۡزَلَہُ الَّذِیۡ یَعۡلَمُ السِّرَّ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّہٗ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আপনি বলুন, ‘সেটা তো তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের প্রত্যেক গোপন বিষয় জানেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু’।
ইরফানুল কুরআন
৬. আপনি বলে দিন: ‘এ (এ কুরআন) তিনিই (আল্লাহ্ তা’আলা) অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (মাঝে বিদ্যমান) সমস্ত গোপন বিষয় সম্পর্কে অবগত। অবশ্যই তিনি মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
وَ قَالُوۡا مَالِ ہٰذَا الرَّسُوۡلِ یَاۡکُلُ الطَّعَامَ وَ یَمۡشِیۡ فِی الۡاَسۡوَاقِ ؕ لَوۡ لَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡہِ مَلَکٌ فَیَکُوۡنَ مَعَہٗ نَذِیۡرًا ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং বললো, ‘ওই রসূলের কি হলো যিনি আহার করেন ও হাট-বাজারে চলাফেরা করেন? কেন অবতীর্ণ করা হলো না তার সাথে কোন ফিরিশ্তা যে তার সাথে সতর্কবাণী শুনাতো?
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তারা বলে, ‘এ রাসূলের কী হয়েছে? তিনি খাবার গ্রহণ করেন এবং বাজারে চলাফেরা করেন। তাঁর নিকট কেন কোনো ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় না, যাতে তাঁর সাথে (মিলেমিশে) সতর্ককারী হতে পারে?
اَوۡ یُلۡقٰۤی اِلَیۡہِ کَنۡزٌ اَوۡ تَکُوۡنُ لَہٗ جَنَّۃٌ یَّاۡکُلُ مِنۡہَا ؕ وَ قَالَ الظّٰلِمُوۡنَ اِنۡ تَتَّبِعُوۡنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسۡحُوۡرًا ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. অথবা অদৃশ্য থেকে কোন ধন ভাণ্ডার তিনি প্রাপ্ত হতেন কিংবা তার কোন বাগান থাকতো, যা থেকে আহার করতেন?’ এবং যালিমগণ বললো, ‘তোমরা তো অনুসরণ করছো না, কিন্তু একজন এমন ব্যক্তির যার উপর যাদু করা হয়েছে’।
ইরফানুল কুরআন
৮. অথবা তাঁর নিকট কোনো ধন-ভান্ডার অবতীর্ণ হতো অথবা (কমপক্ষে) তাঁর একটি বাগান থাকতো যার (আয়) থেকে তিনি খেতে পারতেন।’ আর জালিমেরা (মুসলমানদেরকে) বলে যে, ‘তোমরা তো কেবল একজন যাদুগ্রস্ত লোকের আনুগত্য করছো’।
اُنۡظُرۡ کَیۡفَ ضَرَبُوۡا لَکَ الۡاَمۡثَالَ فَضَلُّوۡا فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ سَبِیۡلًا ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. হে মাহবুব! দেখুন, কেমন সব উপমা আপনার জন্য রচনা করছে, অতঃপর তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা কোন পথ পাচ্ছে না।
ইরফানুল কুরআন
৯. (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনি লক্ষ্য করুন, এরা আপনার জন্যে কী রকম উপমা বর্ণনা করে। অতঃপর তারা গোমরাহ্ বা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং তারা (হেদায়াতের) কোনো পথ পাবে না।
تَبٰرَکَ الَّذِیۡۤ اِنۡ شَآءَ جَعَلَ لَکَ خَیۡرًا مِّنۡ ذٰلِکَ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۙ وَ یَجۡعَلۡ لَّکَ قُصُوۡرًا ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. মহা মঙ্গলময় তিনিই, যদি তিনি চান তবে আপনার জন্য তদপেক্ষা বহু উৎকৃষ্ট করে দিতে পারেন জান্নাতসমূহকে, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান এবং আপনার জন্য উচু উচু প্রাসাদ করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
১০. তিনি অতিশয় বরকতের অধিকারী। যদি তিনি চান তবে আপনার জন্যে (দুনিয়াতে) এরচেয়েও উত্তম উদ্যান তৈরী করে দিতে পারেন যার তলদেশে স্রোতধারাসমূহ প্রবাহিত হবে এবং আপনার জন্যে আলীশান প্রাসাদ বানিয়ে দিতে পারেন (কিন্তু নবী ও রাসূল হওয়ার জন্যে এগুলো শর্ত নয়।)
بَلۡ کَذَّبُوۡا بِالسَّاعَۃِ ۟ وَ اَعۡتَدۡنَا لِمَنۡ کَذَّبَ بِالسَّاعَۃِ سَعِیۡرًا ﴿ۚ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. বরং এরা তো ক্বিয়ামতকে অস্বীকার করছে; এবং যে ক্বিয়ামতকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য তৈরী করে রেখেছি প্রজ্জ্বলিত আগুন।
ইরফানুল কুরআন
১১. বরং তারা কিয়ামতকে(ও) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে। আর কিয়ামতকে মিথ্যাপ্রতিপন্নকারী (প্রত্যেক) ব্যক্তির জন্যে আমরা (দোযখের) প্রজ্বলিত আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি।
اِذَا رَاَتۡہُمۡ مِّنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ سَمِعُوۡا لَہَا تَغَیُّظًا وَّ زَفِیۡرًا ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. যখন সেটা তাদেরকে দূরবর্তী স্থান থেকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পাবে সেটার ক্রব্ধ গর্জন ও চিৎকার।
ইরফানুল কুরআন
১২. যখন এ (দোযখের আগুন) দূর থেকে(ই) তাদের সামনে দৃশ্যমান হবে তখন তারা এর ক্রুদ্ধ গর্জন এবং হুঙ্কার শুনতে পাবে।
وَ اِذَاۤ اُلۡقُوۡا مِنۡہَا مَکَانًا ضَیِّقًا مُّقَرَّنِیۡنَ دَعَوۡا ہُنَالِکَ ثُبُوۡرًا ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং যখন তাদেরকে সেটার কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে লৌহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ অবস্থায়, তখন তারা সেখানে মৃত্যু কামনা করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর যখন তাদেরকে কোনো সংকীর্ণ স্থান থেকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় (অথবা তাদের শয়তানদের সাথে বেঁধে) নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা (নিজেদের) ধ্বংস কামনা করবে।
لَا تَدۡعُوا الۡیَوۡمَ ثُبُوۡرًا وَّاحِدًا وَّ ادۡعُوۡا ثُبُوۡرًا کَثِیۡرًا ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এরশাদ করা হবে, ‘আজ এক মৃত্যু কামনা করো না, আরো বহু মৃত্যু কামনা করো’।
ইরফানুল কুরআন
১৪. (তাদেরকে বলা হবে,) ‘আজ কেবল এক ধ্বংসকে ডেকো না বরং আরো অনেক ধ্বংসকে ডাকো’।
قُلۡ اَذٰلِکَ خَیۡرٌ اَمۡ جَنَّۃُ الۡخُلۡدِ الَّتِیۡ وُعِدَ الۡمُتَّقُوۡنَ ؕ کَانَتۡ لَہُمۡ جَزَآءً وَّ مَصِیۡرًا ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আপনি বলুন, ‘এটাই কি শ্রেয়, না ওই স্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি খোদাভীরুদেরকে দেওয়া হয়েছে। সেটা তাদের পুরস্কার ও পরিণামস্থল।
ইরফানুল কুরআন
১৫. বলে দিন, ‘এ (অবস্থা) উত্তম নাকি চিরস্থায়ী জান্নাত (-এর জীবন), যার ব্যাপারে খোদাভীরুদের জন্যে অঙ্গীকার করা হয়েছে?’ এ হলো তাদের (কৃতকর্মের) প্রতিদান এবং তাদের ঠিকানা।
لَہُمۡ فِیۡہَا مَا یَشَآءُوۡنَ خٰلِدِیۡنَ ؕ کَانَ عَلٰی رَبِّکَ وَعۡدًا مَّسۡـُٔوۡلًا ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তাদের জন্য সেখানে রয়েছে যা তাদের মন চাইবে। সেগুলোতে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে; আপনার রবের দায়িত্বে ওই প্রতিশ্রুতি রয়েছে যার কামনা করা হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তাদের জন্যে (জান্নাতে) তারা তা (সবকিছুই বিদ্যমান) পাবে যা তারা কামনা করে। (এতে) তারা চিরদিন অবস্থান করবে। আর তা আপনার প্রতিপালকের (উদার) দায়বদ্ধ অঙ্গীকার (যা পূর্ণ করা হবে)।
وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ وَ مَا یَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَیَقُوۡلُ ءَاَنۡتُمۡ اَضۡلَلۡتُمۡ عِبَادِیۡ ہٰۤؤُلَآءِ اَمۡ ہُمۡ ضَلُّوا السَّبِیۡلَ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. আর যেদিন একত্র করবেন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের পূজা করতো তাদেরকে, অতঃপর উক্ত সব উপাস্যকে বলবেন, ‘তোমরাই কি পথভ্রষ্ট করেছিলে আমার এ বান্দাদেরকে, না এরা নিজেরাই পথ ভুলে গিয়েছে’?
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর সেদিন আল্লাহ্ একত্রিত করবেন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের উপাসনা করতো তাদেরকে। অতঃপর বলবেন, ‘তোমরাই কি আমার ঐ সকল বান্দাদের গোমরাহ্ করেছিলে নাকি তারা (নিজেরাই) পথচ্যুত হয়েছিল?’
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ مَا کَانَ یَنۡۢبَغِیۡ لَنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ مِنۡ دُوۡنِکَ مِنۡ اَوۡلِیَآءَ وَ لٰکِنۡ مَّتَّعۡتَہُمۡ وَ اٰبَآءَہُمۡ حَتّٰی نَسُوا الذِّکۡرَ ۚ وَ کَانُوۡا قَوۡمًۢا بُوۡرًا ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. তারা আরয করবে, ‘পবিত্রতা তোমরাই! আমাদের জন্য শোভা পেতো না তোমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করা ; কিন্তু তুমি তাদেরকে ও তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগ বিলাসের সুযোগ দিয়েছো, শেষ পর্যন্ত তারা তোমার স্মরণ ভুলে গেছে; এবং এসব ছিলোই ধ্বংসশীল।
ইরফানুল কুরআন
১৮. তারা বলবে, ‘আপনার সত্তা পবিত্র! আমাদের জন্যে (তো) এ কথা(ও) সমীচিন নয় যে, আমরা আপনাকে ছাড়া অন্যদেরকে বন্ধু বানিয়ে নেব (এ তো অসম্ভব যে, আপনি ছাড়া তাদেরকে অন্য কারো ইবাদত করতে বলবো)। তবে (হে মাওলা!) আপনি তাদের এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে (পার্থিব ঐশ্বর্য ও উপকরণের মাধ্যমে) এমন সুপ্রসন্ন করেছিলেন যে, তারা আপনার স্মরণও বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল। আর এ সকল (দুর্ভাগা) লোকেরা(ই) ধ্বংস হওয়ার লোক।’
فَقَدۡ کَذَّبُوۡکُمۡ بِمَا تَقُوۡلُوۡنَ ۙ فَمَا تَسۡتَطِیۡعُوۡنَ صَرۡفًا وَّ لَا نَصۡرًا ۚ وَ مَنۡ یَّظۡلِمۡ مِّنۡکُمۡ نُذِقۡہُ عَذَابًا کَبِیۡرًا ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. অতঃপর এখন উপাস্যগুলো তোমাদের উক্তিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং এখন তোমরা না শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারো, না নিজেদের সাহায্য করতে পারো এবং তোমাদের মধ্যে যে যালিম তাকে আমি মহাশাস্তির আস্বাদ করাবো।
ইরফানুল কুরআন
১৯. সুতরাং (হে কাফেরেরা!) তারা (তো) তোমরা যা বলতে তাতে তোমাদেরকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে। কাজেই (এখন) তোমরা না শাস্তিকে প্রতিহত করতে পারবে, আর না (নিজেদেরকে) সাহায্য করতে পারবে। আর (শুনো!) তোমাদের মধ্যে যে-ই সীমালঙ্ঘন করবে আমরা তাকেই মহাশাস্তি আস্বাদন করাবো।
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ مِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ اِلَّاۤ اِنَّہُمۡ لَیَاۡکُلُوۡنَ الطَّعَامَ وَ یَمۡشُوۡنَ فِی الۡاَسۡوَاقِ ؕ وَ جَعَلۡنَا بَعۡضَکُمۡ لِبَعۡضٍ فِتۡنَۃً ؕ اَتَصۡبِرُوۡنَ ۚ وَ کَانَ رَبُّکَ بَصِیۡرًا ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং আমি আপনার পূর্বে যতো রসূল প্রেরণ করেছি সবাই তো এমনই ছিলো-আহার করতো, হাট-বাজারে চলাফেরা করতো এবং আমি তোমাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। আর হে মানবকূল! তোমরা কি ধৈর্য ধারণ করবে? এবং হে মাহবূব! আপনার রব দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর আমরা আপনার পূর্বে যতো রাসূলই প্রেরণ করেছি (এমন হয়েছে যে,) তারা অবশ্যই খাবারও খেয়েছেন এবং (প্রয়োজনে) বাজারেও চলাফেরা করেছেন। আর আমরাতো তোমাদেরকে একে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। তোমরা কি (পরীক্ষায়) ধৈর্য ধারণ করবে? আপনার প্রতিপালক সর্বদ্রষ্টা।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَرۡجُوۡنَ لِقَآءَنَا لَوۡ لَاۤ اُنۡزِلَ عَلَیۡنَا الۡمَلٰٓئِکَۃُ اَوۡ نَرٰی رَبَّنَا ؕ لَقَدِ اسۡتَکۡبَرُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ وَ عَتَوۡ عُتُوًّا کَبِیۡرًا ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং তারা বললো, যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না, ‘আমাদের প্রতি ফিরিশ্তা কেন অবতারণ করা হলো না? অথবা আমরা স্বয়ং আমাদের রবকে দেখতাম!’ নিশ্চয় তারা আপন অন্তরে বড়ই অহঙ্কার করেছে এবং গুরুতর অবাধ্যতায় এসেছে।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর যারা আমাদের সাথে সাক্ষাতের আশা করে না তারা বলে, ‘কেন আমাদের নিকট ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় না? অথবা যদি আমরা আমাদের প্রতিপালককে (নিজের চোখে) দেখতাম (তবে অবশ্যই ঈমান আনয়ন করতাম)।’ প্রকৃতপক্ষে এরা নিজেরা (নিজেদেরকে) অনেক বড় মনে করে থাকে এবং এরা সীমাহীন অবাধ্যতায় লিপ্ত রয়েছে।
یَوۡمَ یَرَوۡنَ الۡمَلٰٓئِکَۃَ لَا بُشۡرٰی یَوۡمَئِذٍ لِّلۡمُجۡرِمِیۡنَ وَ یَقُوۡلُوۡنَ حِجۡرًا مَّحۡجُوۡرًا ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. যেদিন ফিরিশ্তাদেরকে দেখবে সেদিন অপরাধীদের কোন খুশীর দিন হবে না, এবং বলবে, ‘হে আল্লাহ্! আমাদের ও তাদের মধ্যে এমন কোন আড়াল করে দাও, যা অন্তরায় হয়’।
ইরফানুল কুরআন
২২. যে দিন তারা ফেরেশতাদেরকে দেখবে, সে দিন অপরাধীদের জন্যে কোনো সুসংবাদ থাকবে না বরং তারা (তাদেরকে দেখে ভয়ে) বলবে, ‘যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকতো (যা আমাদেরকে বাঁচাতো’। অথবা ফেরেশতারা তাদেরকে দেখে বলবে, ‘তোমাদের জন্যে জান্নাতে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ’)।
وَ قَدِمۡنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوۡا مِنۡ عَمَلٍ فَجَعَلۡنٰہُ ہَبَآءً مَّنۡثُوۡرًا ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং যা কিছু তারা কাজ করেছিলো। আমি ইচ্ছা করে সেগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণার বিক্ষিপ্ত অণু-পরমাণু করে দিয়েছি, যা ভেন্টিলেটরের মধ্য দিয়ে পতিত আলোকরশ্মিতে দৃষ্টিগোচর হয়।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর আমরা (আবার) সেসব আমলমুখী হবো যা তারা (নিজেদের ধারণা অনুযায়ী জীবনে) সম্পাদন করেছে। অতঃপর আমরা তাকে পরিণত করবো ছড়ানো বিক্ষিপ্ত ধুলিকণায়।
اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ یَوۡمَئِذٍ خَیۡرٌ مُّسۡتَقَرًّا وَّ اَحۡسَنُ مَقِیۡلًا ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. জান্নাতবাসীদের সেদিন উৎকৃষ্ট ঠিকানা এবং হিসাবের দ্বি প্রহরের পর উৎকৃষ্ট আরামস্থল (হবে)।
ইরফানুল কুরআন
২৪. সে দিন জান্নাতবাসীদের অবস্থানস্থল হবে উত্তম এবং তাদের বিশ্রামস্থলও হবে চমৎকার। (যেখানে তারা হিসাব-কিতাবের মধ্যাহ্নের পর বিশ্রাম গ্রহণ করবে।)
وَ یَوۡمَ تَشَقَّقُ السَّمَآءُ بِالۡغَمَامِ وَ نُزِّلَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ تَنۡزِیۡلًا ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. আর যেদিন বিদীর্ন হবে আসমান মেঘপুঞ্জসহ এবং ফিরিশ্তাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হবে পরিপূর্ণভাবে-
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর সে দিন আকাশ বিদীর্ণ হবে (ধূলার ন্যায়) মেঘপুঞ্জসহ এবং দলে দলে ফেরেশতারা অবতরণ করবে।
اَلۡمُلۡکُ یَوۡمَئِذِۣ الۡحَقُّ لِلرَّحۡمٰنِ ؕ وَ کَانَ یَوۡمًا عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ عَسِیۡرًا ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. সেদিন প্রকৃত বাদশাহী রহমানের এবং সেদিনটি কাফিরদের জন্য কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
২৬. সে দিন নিরেট সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবেন কেবল পরম করুণাময় (আল্লাহ্ তা‘আলা)। আর সেদিনটি কাফেরদের জন্যে হবে কঠিন (সমস্যাপূর্ণ)।
وَ یَوۡمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰی یَدَیۡہِ یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِی اتَّخَذۡتُ مَعَ الرَّسُوۡلِ سَبِیۡلًا ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং যেদিন যালিম নিজ হাত দু’টি চিবিয়ে ফেলবে, বলবে, ‘হায়, যদি কোন প্রকারে আমি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম!
ইরফানুল কুরআন
২৭. সেদিন অত্যাচারী (ক্রোধ এবং হতাশায়) নিজের হস্ত দংশন করতে করতে বলবে, ‘হায়! যদি আমি রাসূল (আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সাথে (হেদায়াতের) পথ অনুসরণ করতাম!’
یٰوَیۡلَتٰی لَیۡتَنِیۡ لَمۡ اَتَّخِذۡ فُلَانًا خَلِیۡلًا ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. হায়, দুর্ভোগ আমার! হায়, কোনমতে আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!
ইরফানুল কুরআন
২৮. ‘হায় আফসোস! যদি আমি অমুক ব্যক্তিকে বন্ধু না বানাতাম!’
لَقَدۡ اَضَلَّنِیۡ عَنِ الذِّکۡرِ بَعۡدَ اِذۡ جَآءَنِیۡ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِلۡاِنۡسَانِ خَذُوۡلًا ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. নিশ্চয় সে আমাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে আমার নিকট আগত উপদেশ থেকে’। এবং শয়তান মানুষকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেয়।
ইরফানুল কুরআন
২৯. ‘নিশ্চয়ই আমার নিকট উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিপথগামী করেছিল’। আর শয়তান মানুষকে (মুসিবতের সময়ে) বন্ধুহীন ও সাহায্যহীন অবস্থায় ছেড়ে দেয়।
وَ قَالَ الرَّسُوۡلُ یٰرَبِّ اِنَّ قَوۡمِی اتَّخَذُوۡا ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ مَہۡجُوۡرًا ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং রসূল আরয করলেন, ‘হে আমার রব, এ ক্বোরআনকে আমার সম্প্রদায় পরিত্যাজ্যরূপে স্থির করে নিয়েছে’।
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) আরয করবেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় তো এ কুরআনকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করেছিল’।
وَ کَذٰلِکَ جَعَلۡنَا لِکُلِّ نَبِیٍّ عَدُوًّا مِّنَ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ؕ وَ کَفٰی بِرَبِّکَ ہَادِیًا وَّ نَصِیۡرًا ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. আর এভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শত্রু করে দিয়েছিলাম অপরাধী লোকদেরকে এবং আপনার রব যথেষ্ট হিদায়ত করা ও সাহায্য দানের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর এভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্যে অপরাধী লোকদেরকে শত্রু বানিয়ে দিয়েছিলাম। (যারা তাদের নবুয়্যতের দায়িত্ব পালনে বিরোধিতা করতো, আর এভাবে হক্ব ও বাতিলের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হতো যার মাধ্যমে বিপ্লবের উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত হতো।) আর আপনার প্রতিপালক হেদায়াতদাতা ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ لَا نُزِّلَ عَلَیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ جُمۡلَۃً وَّاحِدَۃً ۚۛ کَذٰلِکَ ۚۛ لِنُثَبِّتَ بِہٖ فُؤَادَکَ وَ رَتَّلۡنٰہُ تَرۡتِیۡلًا ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং কাফিরগণ বললো, ‘ক্বোরআন তার উপর একবারে কেন অবতারণ করা হলো না?’ আমি এভাবেই ক্রমশ? সেটা অবতীর্ণ করেছি এ জন্য যে, তা’দ্বারা আপনার হৃদয়কে মজবুত করবো এবং আমি সেটাকে থেমে থেমে পাঠ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর কাফেরেরা বলে, ‘এ (রাসূল) সত্তার উপর একবারে (একত্রিত আকারে) কেন কুরআন অবতীর্ণ হলো না?’ এভাবে (অল্প অল্প করে) পর্যায়ক্রমে এজন্যে অবতীর্ণ করা হয়েছে যাতে আমি এর মাধ্যমে আপনার (পবিত্রতম) অন্তরকে সুদৃঢ় করতে পারি। আর (এ কারণেই) আমি একে ধীরে ধীরে পাঠ করেছি।
وَ لَا یَاۡتُوۡنَکَ بِمَثَلٍ اِلَّا جِئۡنٰکَ بِالۡحَقِّ وَ اَحۡسَنَ تَفۡسِیۡرًا ﴿ؕ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং তারা কোন উপমা আপনার নিকট আনবে না, কিন্তু আমি সত্য ও তার চেয়ে উত্তম বিবরণ নিয়ে আসবো।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর এরা (এ কাফেরেরা) আপনার নিকট (এমন) যে কোনো উপমা (প্রশ্নাকারে বা মতবিরোধ আকারে) উপস্থাপন করুক না কেন আমি আপনাকে (এর জবাবে) সত্য এবং (এর চেয়ে) উত্তম ব্যাখ্যা এনে দেই।
اَلَّذِیۡنَ یُحۡشَرُوۡنَ عَلٰی وُجُوۡہِہِمۡ اِلٰی جَہَنَّمَ ۙ اُولٰٓئِکَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. ওই সব লোক, যাদেরকে মুখের উপর ভর করে জাহান্নামের দিকে হাকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তাদের ঠিকানা সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট এবং তারা হচ্ছে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. (এরা) সেসব লোক যাদেরকে মুখে ভর দিয়ে জাহান্নামে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরা সেসব লোক যাদের ঠিকানা হবে খুবই মন্দ এবং যারা পথ থেকে(ও) বিচ্যুত থাকবে।
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ جَعَلۡنَا مَعَہٗۤ اَخَاہُ ہٰرُوۡنَ وَزِیۡرًا ﴿ۚۖ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. আর নিশ্চয় আমি মূসাকে কিতাব দান করেছি এবং তার ভাই হারূনকে উযীর করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আমরা তো মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে প্রদান করেছিলাম কিতাব এবং (তাঁকে সহযোগিতার জন্যে) তাঁর সাথে তাঁর ভাই হারুন (আলাইহিস সালাম)-কে করেছিলাম পরামর্শক।
فَقُلۡنَا اذۡہَبَاۤ اِلَی الۡقَوۡمِ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا ؕ فَدَمَّرۡنٰہُمۡ تَدۡمِیۡرًا ﴿ؕ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. অতঃপর আমি বলেছি, ‘তোমরা দু’জন যাও ওই সম্প্রদায়ের প্রতি যারা আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে বিধ্বস্ত করে ধ্বংস করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. অতঃপর বলেছিলাম: ‘তোমরা দু’জন ঐ সম্প্রদায়ের কাছে যাও যারা আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে’। (যখন তারা এতদসত্তেও আমাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করা থেকে বিরত থাকেনি) সুতরাং আমি তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।
وَ قَوۡمَ نُوۡحٍ لَّمَّا کَذَّبُوا الرُّسُلَ اَغۡرَقۡنٰہُمۡ وَ جَعَلۡنٰہُمۡ لِلنَّاسِ اٰیَۃً ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلظّٰلِمِیۡنَ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿ۚۖ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং নূহের সম্প্রদায়কে, যখন তারা রসূলগণকে অস্বীকার করেছে, আমি তাদেরকে নিমজ্জিত করেছি এবং তাদেরকে মানবজাতির জন্য নিদর্শন করেছি আর আমি যালিমদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায়কে(ও); যখন তারা রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল (তখন) আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমি তাদেরকে (অন্যান্য) লোকদের জন্যে সতর্কতার নিদর্শন বানিয়ে দিলাম। আর আমি অত্যাচারীদের জন্যে কষ্টদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
وَّ عَادًا وَّ ثَمُوۡدَا۠ وَ اَصۡحٰبَ الرَّسِّ وَ قُرُوۡنًۢا بَیۡنَ ذٰلِکَ کَثِیۡرًا ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং ‘আদ, সামূদ ও কূপবাসীদেরকে এবং তাদের মধ্যবর্তীকালে বহু সম্প্রদায় রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর ’আদ, সামূদ এবং রাস্-অধিবাসীদেরকে এবং এদের মধ্যবর্তী (অপরাপর) অনেক সম্প্রদায়কেও (ধ্বংস করেছিলাম)।
وَ کُلًّا ضَرَبۡنَا لَہُ الۡاَمۡثَالَ ۫ وَ کُلًّا تَبَّرۡنَا تَتۡبِیۡرًا ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং আমি সবার জন্য দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেছি; আর সবাইকে ধ্বংস করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর আমরা (তাদের) প্রত্যেকের (উপদেশের) জন্যে দৃষ্টান্ত পেশ করেছিলাম এবং (যখন তারা সীমালঙ্ঘন থেকে ফিরে আসলো না তখন) তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিলীন করেছিলাম।
وَ لَقَدۡ اَتَوۡا عَلَی الۡقَرۡیَۃِ الَّتِیۡۤ اُمۡطِرَتۡ مَطَرَ السَّوۡءِ ؕ اَفَلَمۡ یَکُوۡنُوۡا یَرَوۡنَہَا ۚ بَلۡ کَانُوۡا لَا یَرۡجُوۡنَ نُشُوۡرًا ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. এবং নিশ্চয় এরা অতিক্রম করে এসেছে ওই জনপদকে যার উপর অকল্যানের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিলো, তবে কি তারা সেটা দেখতো না? বরং তাদের মধ্যে জীবিত হয়ে ওঠার আশাই ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
৪০. আর এরা (এ কাফেরেরা) তো সে জনপদ দিয়েই অতিক্রম করে যার উপর বর্ষণ করা হয়েছিল ধ্বংসাত্মক (পাথর)-বৃষ্টি। অতঃপর তারা কি তা (এ ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদ) দেখে না? বস্তুতঃ তারা তো (মৃত্যুর পর) পুনরুত্থানের আশাই করে না।
وَ اِذَا رَاَوۡکَ اِنۡ یَّتَّخِذُوۡنَکَ اِلَّا ہُزُوًا ؕ اَہٰذَا الَّذِیۡ بَعَثَ اللّٰہُ رَسُوۡلًا ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং যখন তারা আপনাকে দেখে তখন তারা আপনাকে কেবল ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্ররূপে, গণ্য করে-‘ইনিই কি তিনি, যাকে আল্লাহ্ রসূল করে প্রেরণ করেছেন?’
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর (হে মহিমান্বিত হাবীব!) যখনই তারা আপনাকে দেখে, আপনাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র রূপেই গণ্য করে। (আর তারা বলে:) ‘এই কি সে (ব্যক্তি) যাঁকে আল্লাহ রাসূল রূপে পাঠিয়েছেন?
اِنۡ کَادَ لَیُضِلُّنَا عَنۡ اٰلِہَتِنَا لَوۡ لَاۤ اَنۡ صَبَرۡنَا عَلَیۡہَا ؕ وَ سَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ حِیۡنَ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ مَنۡ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. এরই উপক্রম ছিলো যে, আমাদেরকে তিনি আমাদের উপাস্যগুলো থেকে দূরে সরিয়ে দিতেন, যদি আমরা সেগুলোর উপর অটল না থাকতাম; এবং তারা এখন জানতে চায় যেদিন শাস্তি দেখবে, কে পথভ্রষ্ট ছিলো!
ইরফানুল কুরআন
৪২. সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাদের হতে দূরে সরিয়েই দিতো যদি না আমরা তাদের (উপাসনার) উপর অটল থাকতাম।’ আর তারা অচিরেই জানবে কে সবচেয়ে বিপথগামী যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
اَرَءَیۡتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـہَہٗ ہَوٰىہُ ؕ اَفَاَنۡتَ تَکُوۡنُ عَلَیۡہِ وَکِیۡلًا ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে স্বীয় কামনা-বাসনাকেই আপন খোদা স্থির করে নিয়েছে? তবুও কি আপনি তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবেন?
ইরফানুল কুরআন
৪৩. আপনি কি তাকে দেখেছেন যে তার নিজের কুপ্রবৃত্তিকে উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে? সুতরাং আপনি কি তার অভিভাবক হবেন?
اَمۡ تَحۡسَبُ اَنَّ اَکۡثَرَہُمۡ یَسۡمَعُوۡنَ اَوۡ یَعۡقِلُوۡنَ ؕ اِنۡ ہُمۡ اِلَّا کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. অথবা একথা মনে করছেন যে, তাদের মধ্যে অনেক কিছু শুনে কিংবা বুঝে? তারা তো নয়, কিন্তু যেমন চতুষ্পদ পশু, বরং সেগুলোর চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট পথভ্রষ্ট।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ লোক শ্রবণ করে অথবা উপলদ্ধি করে? (না) তারা তো চতুষ্পদ জন্তুর মতো (হয়ে গিয়েছে); বরং এরা তার চেয়েও জঘন্য পথভ্রষ্ট।
اَلَمۡ تَرَ اِلٰی رَبِّکَ کَیۡفَ مَدَّ الظِّلَّ ۚ وَ لَوۡ شَآءَ لَجَعَلَہٗ سَاکِنًا ۚ ثُمَّ جَعَلۡنَا الشَّمۡسَ عَلَیۡہِ دَلِیۡلًا ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. হে মাহবূব! আপনি কি আপন রবকে দেখেন নি, তিনি কীভাবে সম্প্রসারিত করেছেন ছায়াকে? এবং তিনি যদি ইচ্ছা করতেন, তবে সেটাকে স্থির করে দিতেন; অতঃপর আমি সূর্যকে সেটার উপর দলীল করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আপনি কি আপনার প্রতিপালকের (ক্ষমতার দিকে) দৃষ্টি দেননি, কিভাবে তিনি (দ্বিপ্রহর পর্যন্ত) ছায়াকে দীর্ঘায়িত করেন? আর যদি তিনি চাইতেন, তবে তিনি তো একে স্থির রাখতে পারতেন। অতঃপর সূর্যকে আমরা এর (এ ছায়ার) নির্দেশক বানিয়েছি।
ثُمَّ قَبَضۡنٰہُ اِلَیۡنَا قَبۡضًا یَّسِیۡرًا ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. অতঃপর আমি ধীরে ধীরে সেটাকে নিজের দিকে গুটিয়ে নিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. অতঃপর আমরা ধীরে ধীরে একে (এ ছায়াকে) নিজের দিকে টেনে সঙ্কুচিত করে দেই।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الَّیۡلَ لِبَاسًا وَّ النَّوۡمَ سُبَاتًا وَّ جَعَلَ النَّہَارَ نُشُوۡرًا ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং তিনিই হন, যিনি রাতকে তোমাদের জন্য পর্দা করেছেন, নিদ্রাকে আরাম এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত হবার জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন (আচ্ছাদনকারী) পোশাক, নিদ্রাকে করেছেন (তোমাদের জন্যে) বিশ্রাম (-এর মাধ্যম) এবং দিবসকে করেছেন (কার্যাবলী সম্পাদনে) জেগে উঠার (উপলক্ষ)।
وَ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ الرِّیٰحَ بُشۡرًۢا بَیۡنَ یَدَیۡ رَحۡمَتِہٖ ۚ وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً طَہُوۡرًا ﴿ۙ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং তিনিই হন, যিনি বায়ু প্রেরণ করেছেন আপন অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহীরূপে; আর আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেছি, যা পবিত্রকারী;
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর তিনিই সে সত্তা যিনি তাঁর রহমতের (বৃষ্টির) অগ্রে বাতাসকে সুসংবাদবাহী রূপে প্রেরণ করেন। আর আমরাই আকাশ থেকে বিশুদ্ধ (ও পরিষ্কারক) বারি বর্ষণ করি,
لِّنُحۡیِۦَ بِہٖ بَلۡدَۃً مَّیۡتًا وَّ نُسۡقِیَہٗ مِمَّا خَلَقۡنَاۤ اَنۡعَامًا وَّ اَنَاسِیَّ کَثِیۡرًا ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. যাতে আমি তাদ্বারা জীবিত করি কোন মৃত শহরকে এবং তা পান করতে দিই স্বীয় সৃষ্টিকৃত বহু চতুষ্পদ জন্তু ও মানুষকে।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. যাতে এর মাধ্যমে আমরা (যে কোনো) মৃত শহরকে জীবন দিতে পারি এবং (এ ছাড়াও) এ (পানি) আমার সৃজিত অনেক চতুষ্পদ প্রাণী এবং (মরুচারী) মানুষকে পান করাই।
وَ لَقَدۡ صَرَّفۡنٰہُ بَیۡنَہُمۡ لِیَذَّکَّرُوۡا ۫ۖ فَاَبٰۤی اَکۡثَرُ النَّاسِ اِلَّا کُفُوۡرًا ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং নিশ্চয় আমি তাদের মধ্যে বৃষ্টি বর্ষণের পালা রেখেছি, যাতে তারা গভীরভাবে চিন্তা করে, অতঃপর অনেক লোক অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই মানে নি।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর আমি তো তা (এ বৃষ্টি) তাদের মাঝে (বিভিন্ন শহর এবং সময়ের বিবেচনায়) বিতরণ করে থাকি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। এরপরও অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া (কিছুই) গ্রহণ করেনি।
وَ لَوۡ شِئۡنَا لَبَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ قَرۡیَۃٍ نَّذِیۡرًا ﴿۫ۖ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক জনপদে একজন করে সতর্ককারী প্রেরণ করতাম।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর যদি আমরা ইচ্ছা করতাম তবে প্রত্যেক জনপদে একজন সতর্ককারী প্রেরণ করতাম।
فَلَا تُطِعِ الۡکٰفِرِیۡنَ وَ جَاہِدۡہُمۡ بِہٖ جِہَادًا کَبِیۡرًا ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. সুতরাং তুমি কাফিরদের কথা মান্য করো না এবং এ ক্বোরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করো-বড় জিহাদ।
ইরফানুল কুরআন
৫২. অতঃপর (হে মুমিন বান্দা!) তুমি কাফেরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি (এ কুরআনের দাওয়াত ও দলিল)-এর মাধ্যমে তাদের সাথে তীব্র সংগ্রাম করো।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ مَرَجَ الۡبَحۡرَیۡنِ ہٰذَا عَذۡبٌ فُرَاتٌ وَّ ہٰذَا مِلۡحٌ اُجَاجٌ ۚ وَ جَعَلَ بَیۡنَہُمَا بَرۡزَخًا وَّ حِجۡرًا مَّحۡجُوۡرًا ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং তিনিই হন, যিনি দু’টি সমুদ্রকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন- এটা মিষ্ট, অতি মধুর এবং এটা লোনা, অতি তিক্ত; এবং উভয়ের মধ্যখানে এক অন্তরায় রেখেছেন আর এক বাধা-প্রদানের অন্তরাল।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর তিনিই সেই সত্তা যিনি দুই সমুদ্রকে একত্রিত করেছেন। একটি সুমিষ্ট, সুপেয় আর অপরটি খর, অত্যধিক লবনাক্ত। আর তিনি এ দু’য়ের মাঝে রেখে দিয়েছেন এক আবরণ এবং মজবুত প্রতিবন্ধক।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ مِنَ الۡمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَہٗ نَسَبًا وَّ صِہۡرًا ؕ وَ کَانَ رَبُّکَ قَدِیۡرًا ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. এবং তিনিই হন, যিনি পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানুষ, অতঃপর তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন; এবং আপনার রব সর্বশক্তিমান।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. আর তিনিই সেই সত্তা যিনি পানি (সদৃশ একবিন্দু বীর্য) থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে বংশগত এবং বৈবাহিক (আত্মীয়তার) সম্পর্কের অধিকারী করেছেন। আর আপনার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।
وَ یَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَنۡفَعُہُمۡ وَ لَا یَضُرُّہُمۡ ؕ وَ کَانَ الۡکَافِرُ عَلٰی رَبِّہٖ ظَہِیۡرًا ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এবং আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কিছুর তারা পূজা করে, যা তাদের ভালমন্দ কিছুই করে না; আর কাফির আপন রবের বিরুদ্ধে শয়তানকে সাহায্য দেয়।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. আর তারা (কাফেরেরা) আল্লাহ্ ব্যতীত ঐ (মূর্তি) সকলের উপাসনা করে যা তাদের না (কোনো) উপকার করতে পারে আর না (কোনো) ক্ষতি করতে পারে। আর সত্য প্রত্যাখ্যানকারী তো আপন প্রতিপালকের বিরুদ্ধে (নাফরমানীতে শয়তানকে সর্বদা) সাহায্যকারী।
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّ نَذِیۡرًا ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. আর আমি আপনাকে সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী করেই প্রেরণ করেছি;।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর আমি তো আপনাকে প্রেরণ করেছি (আল্লাহ্র আনুগত্যশীল বান্দাদের জন্যে) সুসংবাদদাতা এবং (অবাধ্য লোকদের) সতর্ককারীরূপেই।
قُلۡ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ اِلَّا مَنۡ شَآءَ اَنۡ یَّتَّخِذَ اِلٰی رَبِّہٖ سَبِیۡلًا ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. আপনি বলুন, ‘আমি এর জন্য তোমাদের নিকট থেকে কোন বিনিময় চাই না, কিন্তু যে ইচ্ছা করে সে তার রবের পথ অবলম্বন করুক!’
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আপনি বলে দিন: ‘আমি এ (দ্বীন প্রচারের) জন্যে তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না, তবে যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের (কাছে পৌঁছার) পথ গ্রহণ করতে চায় (সে যেন তা গ্রহণ করে)’।
وَ تَوَکَّلۡ عَلَی الۡحَیِّ الَّذِیۡ لَا یَمُوۡتُ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِہٖ ؕ وَ کَفٰی بِہٖ بِذُنُوۡبِ عِبَادِہٖ خَبِیۡرَا ﴿ۚۛۙ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং আপনি নির্ভর করুন ওই চিরজীবী সত্তার উপর, যিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না এবং তার প্রশংসা করতে করতে তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন আর তিনিই যথেষ্ট, আপন বান্দাদের পাপসমূহ সম্পর্কে অবহিত;
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর আপনি এ চিরঞ্জীব (প্রতিপালক) সত্তার উপর ভরসা করুন যাঁর কখনো মৃত্যু নেই এবং প্রশংসার সাথে তাঁর মহিমা ঘোষণা করতে থাকুন। আর তিনি তাঁর বান্দাদের পাপ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত।
ۣالَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ ۚۛ اَلرَّحۡمٰنُ فَسۡـَٔلۡ بِہٖ خَبِیۡرًا ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. যিনি আসমান ও যমীন এবং যা কিছু ছয়ে দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশের উপর ‘ইস্তিওয়া’ করেছেন (সমাসীন হন) যেভাবে তার জন্য শোভা পায়; তিনি বড়ই দয়াবান; সুতরাং তিনি অবগতজনকে তার প্রশংসা জিজ্ঞাসা করো।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু বিদ্যমান (এ মহাবিশ্ব) ছয়টি সময়কালে সৃষ্টি করেছেন।* অতঃপর তিনি (মহাবিশ্বের সমস্ত ব্যবস্থাপনার উপরে শক্তি ও সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের) সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। (তিনি) রাহমান, (হে সত্যের মারিফাতের অনুসন্ধানী!) তুমি তাঁর ব্যাপারে অবগত কাউকে জিজ্ঞেস করো। (অজ্ঞাত কেউ তাঁর অবস্থা সম্পর্কে অবগত নয়।)* ‘সিত্তাতা আইয়্যাম’-এর অর্থ সৃষ্টির ছয়টি সময়কাল বা পর্যায়, ছয়দিন নয়; কেননা এখানে পৃথিবী এবং সমস্ত আকাশ মন্ডলী, ছায়াপথ, তারকারাজি, গ্রহরাজি, এবং শূন্যমন্ডলের সৃষ্টির কাল বর্ণিত হচ্ছে, সুতরাং তখন পৃথিবীর রাতদিন কীভাবে থাকবে?
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمُ اسۡجُدُوۡا لِلرَّحۡمٰنِ قَالُوۡا وَ مَا الرَّحۡمٰنُ ٭ اَنَسۡجُدُ لِمَا تَاۡمُرُنَا وَ زَادَہُمۡ نُفُوۡرًا ﴿ٛ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘রাহমানকে সাজদা করো’। তখন তারা বলে, ‘রাহমান কি? আমরা কি সাজদা করে নেবো যাকে আপনি সাজদা করতে বলেন? এবং এ নির্দেশ তাদের বিমুখতাকে আরো বৃদ্ধি করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা (দয়ালু) রাহমানকে সেজদা করো’ তখন এরা (এ সত্যের অস্বীকারকারীরা) বলে, ‘রাহমান কী (জিনিস)? আমরা কি তাকে সেজদা করবো যার হুকুম তুমি আমাদেরকে দিচ্ছো?’ আর এ (নির্দেশ) তাদের ঘৃনাকে আরো বৃদ্ধিই করলো।
تَبٰرَکَ الَّذِیۡ جَعَلَ فِی السَّمَآءِ بُرُوۡجًا وَّ جَعَلَ فِیۡہَا سِرٰجًا وَّ قَمَرًا مُّنِیۡرًا ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. বড় মঙ্গলময় তিনি, যিনি আসমানে কক্ষপথ সৃষ্টি করেছেন এবং সেগুলোর মধ্যে প্রদীপ স্থাপন করেছেন আর জ্যোতির্ময় চাঁদ।
ইরফানুল কুরআন
৬১. কতোই না কল্যাণ ও মহত্বের অধিকারী তিনি যিনি নভোমন্ডলে (ছায়াপথের আকারে) আকাশমন্ডলীর প্রশস্ত স্তরসমূহ সৃজন করেছেন এবং এতে (সূর্যকে আলো ও তাপ বিকিরণকারী) আলোকবর্তিকা করেছেন আর (এ সৌরজগতের অভ্যন্তরে) স্থাপন করেছেন আলোবিচ্ছুরণকারী চন্দ্রকে।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ خِلۡفَۃً لِّمَنۡ اَرَادَ اَنۡ یَّذَّکَّرَ اَوۡ اَرَادَ شُکُوۡرًا ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং তিনিই, যিনি রাত ও দিনের পরিবর্তন রেখেছেন, তারই জন্য, যে মনোযোগ দিতে চায় অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ইচ্ছা করে।
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর তিনিই সেই সত্তা যিনি রাত্রি এবং দিবসকে একে অপরের পশ্চাতে পরিভ্রমণকারী করেছেন তার জন্যে যে পর্যবেক্ষণে অথবা কৃতজ্ঞতা আদায়ে ইচ্ছুক। (এ সৃষ্টিগত সক্ষমতার মাঝে উপদেশ এবং হেদায়াত রয়েছে।)
وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ ہَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَہُمُ الۡجٰہِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এবং রাহমানের ওই বান্দাগণ, যারা ভূ-পৃষ্ঠে ধীরগতিতে চলাফেরা করে এবং যখন অজ্ঞব্যক্তিরা তাদের সাথে কথা বলে তখন বলে, ‘ব্যাস সালাম’।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. আর অসীম দয়াময় রহমান (আল্লাহ্)-এঁর (পছন্দনীয়) বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন তাদের সাথে (অসভ্য) মূর্খ লোকেরা (অপছন্দনীয়) কথা বলে তখন তারা ‘সালাম’ বলে (পৃথক হয়ে যায়)।
وَ الَّذِیۡنَ یَبِیۡتُوۡنَ لِرَبِّہِمۡ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. এবং ওই সব লোক, যারা রাত অতিবাহিত করে আপন রবের জন্য সাজদা ও ক্বিয়ামের মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর (তারা) ঐসব লোক যারা নিজেদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সেজদাবনত এবং (প্রার্থনায়) দন্ডায়মান থেকে রাত্রি অতিবাহিত করে।
وَ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اصۡرِفۡ عَنَّا عَذَابَ جَہَنَّمَ ٭ۖ اِنَّ عَذَابَہَا کَانَ غَرَامًا ﴿٭ۖ۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. এবং ওই সব লোক, যারা আরয করে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের দিকে থেকে ফিরিয়ে দিন জাহান্নামের শাস্তিকে; নিশ্চয় সেটার শাস্তি হচ্ছে গলার শৃঙ্খল’।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. আর (তারা) ঐসব লোক যারা (সর্বদা বারী তা’আলার দরবারে) প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের নিকট থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত করো, এর শাস্তি তো নিশ্চিত ধ্বংসাত্মক (এবং স্থায়ী)।’
اِنَّہَا سَآءَتۡ مُسۡتَقَرًّا وَّ مُقَامًا ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. নিশ্চয় সেটা অতি নিকৃষ্ট অবস্থানস্থল।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. নিশ্চয়ই এটি (অস্থায়ী বসবাসকারীদের জন্যে) কতো মন্দ অবস্থানস্থল এবং (স্থায়ী বসবাসকারীদের জন্যে) কতো মন্দ আবাসস্থল!
وَ الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَنۡفَقُوۡا لَمۡ یُسۡرِفُوۡا وَ لَمۡ یَقۡتُرُوۡا وَ کَانَ بَیۡنَ ذٰلِکَ قَوَامًا ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. আর ওই সব লোক যখন ব্যয় করে তখন তারা না সীমাতিক্রম করে না কার্পণ্য করে আর সে দু’টির মাঝখানে মধপন্থায় থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. আর (তারা) ঐসব লোক যখন তারা ব্যয় করে তখন অপচয় করে না এবং কৃপণতাও করে না। আর তাদের ব্যয় (অধিক ও স্বল্প) এ দুই সীমার মধ্যবর্তী ভারসাম্যের উপর স্থিতিশীল) হয়ে থাকে।
وَ الَّذِیۡنَ لَا یَدۡعُوۡنَ مَعَ اللّٰہِ اِلٰـہًا اٰخَرَ وَ لَا یَقۡتُلُوۡنَ النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰہُ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ لَا یَزۡنُوۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ یَلۡقَ اَثَامًا ﴿ۙ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. এবং ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্র সাথে অন্য কোন উপাস্যের পূজা করে না এবং ওই প্রাণকে, যার রক্তপাত আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন, অন্যায়ভাবে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না; আর যে এ কাজ করবে সে শাস্তি পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. আর (তারা) ঐসব লোক যারা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে দ্বিতীয় কোনো মাবুদের ইবাদত করে না, এমন কোনো প্রাণও হত্যা করে না যা অন্যায়ভাবে হত্যা করা আল্লাহ্ তা’আলা হারাম করে দিয়েছেন এবং ব্যভিচারেও লিপ্ত হয় না। আর যে ব্যক্তি এ কাজ করবে সে পাপের শাস্তি লাভ করবে।
یُّضٰعَفۡ لَہُ الۡعَذَابُ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ یَخۡلُدۡ فِیۡہٖ مُہَانًا ﴿٭ۖ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. বর্ধিত করা হবে তার উপর শাস্তিকে ক্বিয়ামতের দিনে এবং স্থায়ীভাবে সেটার মধ্যে লাঞ্ছনার সাথে থাকবে;
ইরফানুল কুরআন
৬৯. কিয়ামতের দিনে তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে। আর তাতে সে অপমান ও অপদস্ত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
اِلَّا مَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یُبَدِّلُ اللّٰہُ سَیِّاٰتِہِمۡ حَسَنٰتٍ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. কিন্তু যে ব্যক্তি তাওবা করবে এবং ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে তবে এমন লোকদের মন্দকাজগুলোকে আল্লাহ্ সৎকর্মসমূহে পরিবর্তিত করে দেবেন; এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৭০. তবে যারা তওবা করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে; তারা তো সেসব লোক আল্লাহ্ যাদের মন্দ কাজগুলোকে ভালো কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ্ তা’আলা মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু।
وَ مَنۡ تَابَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَاِنَّہٗ یَتُوۡبُ اِلَی اللّٰہِ مَتَابًا ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং যে তাওবা করে ও সৎকাজ করে, তবে সে আল্লাহ্র দিকেই তেমনিভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে যেমনভাবে করা উচিত ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর যে তওবা করে এবং সৎকর্ম করে, সে আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করে যথাযথ প্রত্যাবর্তনের ন্যায়।
وَ الَّذِیۡنَ لَا یَشۡہَدُوۡنَ الزُّوۡرَ ۙ وَ اِذَا مَرُّوۡا بِاللَّغۡوِ مَرُّوۡا کِرَامًا ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. এবং যেসব লোক মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না; আর যখন অনর্থক কার্যকলাপের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তারা স্বীয় সম্মানকে রক্ষা করে অতিক্রম করে।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর (তারা) ঐসব লোক যারা (কথা এবং কাজে কোনো ভাবেই) মিথ্যা এবং অসৎকর্মে অংশ নেয় না এবং যখন তারা অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হয় তখন (সাবধানতা অবলম্বন পূর্বক) অত্যধিক মহত্ব এবং গাম্ভীর্য্যরে সাথে পাশ কেটে চলে।
وَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِّرُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ لَمۡ یَخِرُّوۡا عَلَیۡہَا صُمًّا وَّ عُمۡیَانًا ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং ওই সব লোক যারা এমনি যে, যখন তাদেরকে তাদের রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তখন সেগুলোর উপর বধির অন্ধ হয়ে পতিত হয় না।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর (তারা) ঐসব লোক যখন তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহের মাধ্যমে উপদেশ প্রদান করা হয় তখন তারা তাতে অন্ধ ও বধির হয়ে পতিত হয় না। (বরং চিন্তা-ভাবনাও করে।)
وَ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং যারা আরয করে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দান করো- আমাদের স্ত্রীগণ এবং আমাদের সন্তান-সন্ততি থেকে চক্ষুসমূহের শান্তি এবং আমাদেরকে পরহেয্গারদের আদর্শ করুন!
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর (তারা) ঐসব লোক যারা (বারী তা’আলার সমীপে) আরয করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী সন্তানদেরকে আমাদের জন্যে নয়নপ্রীতিকর করো। আর আমাদেরকে পরহেযগারদের নেতা বানিয়ে দাও।’
اُولٰٓئِکَ یُجۡزَوۡنَ الۡغُرۡفَۃَ بِمَا صَبَرُوۡا وَ یُلَقَّوۡنَ فِیۡہَا تَحِیَّۃً وَّ سَلٰمًا ﴿ۙ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. তারা জান্নাতের সর্বাপেক্ষা উচ্চ প্রাসাদ পুরস্কারস্বরূপ লাভ করবে তাদের ধৈর্যের প্রতিদান স্বরূপ এবং সেখানে অভিবাদন ও সালাম সহকারে তাদের অভ্যর্থনা করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. এ সকল লোককে তাদের ধৈর্যের প্রতিদান হিসেবে (জান্নাতে) দেয়া হবে উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন প্রাসাদ। সেখানে তাদেরকে অভিবাদন জানানো হবে কল্যাণের দোয়া ও সালামের সাথে।
خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ حَسُنَتۡ مُسۡتَقَرًّا وَّ مُقَامًا ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. তারা সেটার মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে। কতই উৎকৃষ্ট অবস্থান ও বসবাসের স্থান!
ইরফানুল কুরআন
৭৬. তাতে তারা বসবাস করবে চিরদিন। সেসব (বেহেশতের আড়ম্বরপূর্ণ প্রাসাদসমূহ,) অবস্থান এবং বসবাসের স্থান অতি উৎকৃষ্ট।
قُلۡ مَا یَعۡبَؤُا بِکُمۡ رَبِّیۡ لَوۡ لَا دُعَآؤُکُمۡ ۚ فَقَدۡ کَذَّبۡتُمۡ فَسَوۡفَ یَکُوۡنُ لِزَامًا ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. আপনি বলুন, ‘তোমাদের কোন মর্যাদা নেই আমার রবের নিকট যদি তোমরা তার ইবাদত না করো; অতঃপর তোমরা তো অস্বীকার করেছিলে সুতরাং এখন হবে ওই শাস্তি যা জড়িয়ে থাকবে’।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. বলে দিন, ‘আমার প্রতিপালক তোমাদের কোনো পরওয়া করেন না, যদি তোমরা (তাঁর) ইবাদত না করো। অতঃপর তোমরা তো বাস্তবিকই (তাঁকে) অস্বীকার করেছো। কাজেই এখন এ (প্রত্যাখ্যান তোমাদের জন্যে) স্থায়ী শাস্তিতে পরিণত হবে।’