بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
ہَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ الۡغَاشِیَۃِ ؕ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. নিশ্চয় আপনার নিকট ওই বিপদের সংবাদ এসেছে, যা ছেয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
১. আপনার নিকট কি (সবকিছুকে) আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের সংবাদ পৌঁছেছে?
وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ خَاشِعَۃٌ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. সেদিন কত মুখ অপমানিত হবে,
ইরফানুল কুরআন
২. সেদিন অনেক মুখমন্ডল অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে,
عَامِلَۃٌ نَّاصِبَۃٌ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. কাজ করবে, কষ্ট ভোগ করবে,
ইরফানুল কুরআন
৩. (আল্লাহ্কে ভুলে পার্থিব লাভের আশায়) পরিশ্রমী, (অল্প কিছু দিনের আরাম-আয়েশের জন্যে দুঃসহ) কষ্ট সহনশীল,
تَصۡلٰی نَارًا حَامِیَۃً ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. যাবে জ্বলন্ত আগুনে;
ইরফানুল কুরআন
৪. তারা নিক্ষিপ্ত হবে প্রজ্বলিত আগুনে।
تُسۡقٰی مِنۡ عَیۡنٍ اٰنِیَۃٍ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. অত্যন্ত উত্তপ্ত ঝরণার পানিপান করানো হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫. (তাদেরকে) ফুটন্ত পানির ঝরনা থেকে (পানি) পান করানো হবে।
لَیۡسَ لَہُمۡ طَعَامٌ اِلَّا مِنۡ ضَرِیۡعٍ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তাদের জন্য কোন খাদ্য নেই, কিন্তু আগুনের কাঁটা;
ইরফানুল কুরআন
৬. তাদের জন্যে কণ্টকযুক্ত, শুষ্ক ও বিষাক্ত লতা-পাতা ছাড়া কোনো খাবার থাকবে না।
لَّا یُسۡمِنُ وَ لَا یُغۡنِیۡ مِنۡ جُوۡعٍ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যা না হৃষ্টপুষ্টতা আনয়ন করবে এবং না ক্ষুধা নিবারণ করবে।
ইরফানুল কুরআন
৭. (এ খাবার) না পুষ্টিসাধন করবে, আর না ক্ষুধা নিবারণ করবে।
وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاعِمَۃٌ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. কত মুখই সেদিন শান্তিতে থাকবে,
ইরফানুল কুরআন
৮. (অপরদিকে) সেদিন অনেক মুখমন্ডলই থাকবে (নয়নাভিরাম) উজ্জ্বলতায় সতেজ-সজীব।
لِّسَعۡیِہَا رَاضِیَۃٌ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আপন চেষ্টার উপর সন্তুষ্ট,
ইরফানুল কুরআন
৯. নিজেদের (সৎ) কর্মপ্রচেষ্টার কারণে সন্তুষ্ট ও আনন্দিত হবে,
فِیۡ جَنَّۃٍ عَالِیَۃٍ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. সমুন্নত বাগানের মধ্যে-
ইরফানুল কুরআন
১০. উচ্চ মর্যাদার জান্নাতে (অবস্থান করতে) থাকবে,
لَّا تَسۡمَعُ فِیۡہَا لَاغِیَۃً ﴿ؕ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. যে, তাতে কোন অযথা কথাবার্তা শুনবে না,
ইরফানুল কুরআন
১১. সেখানে তারা কোনো অনর্থক আলাপচারিতা শুনবেনা (যেমনটি অবিশ্বাসীরা দুনিয়াতে তাদেরকে শোনাতো)।
فِیۡہَا عَیۡنٌ جَارِیَۃٌ ﴿ۘ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. তাতে প্রবাহিত প্রস্রবণ রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১২. তথায় থাকবে প্রবাহিত প্রস্রবণ,
فِیۡہَا سُرُرٌ مَّرۡفُوۡعَۃٌ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. সেটার মধ্যে উচ্চ আসন রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১৩. সেখানে থাকবে সুউচ্চ (বিছানো) আসন,
وَّ اَکۡوَابٌ مَّوۡضُوۡعَۃٌ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং সুবিন্যস্থরূপে সাজানো পান-পাত্রসমূহ রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১৪. এবং থাকবে পানপাত্রগুলো (খুবই সুসজ্জিত করে) পরিবেশিত,
وَّ نَمَارِقُ مَصۡفُوۡفَۃٌ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং সুসমঞ্জসভাবে গালিচা বিছানো রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর থাকবে সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত পশমী তাকিয়া,
وَّ زَرَابِیُّ مَبۡثُوۡثَۃٌ ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং বিস্তৃত সাদা চাদর (রয়েছে);
ইরফানুল কুরআন
১৬. এবং থাকবে সিংহাসন ও (জাঁকজমকপূূর্ণভাবে) বিছানো নরম, কোমল গালিচা।
اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ ﴿ٝ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. তবে কি তার উট দেখে না যে, কীভাবে (তা) সৃষ্টি করা হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
১৭. (অবিশ্বাসীরা বিস্মিত হয় যে কেমন করে জান্নাতে এসব কিছু তৈরী হবে! তবে) তারা কি উটের দিকে দেখে না, কিভাবে একে (এক অদ্ভুত গড়নে) সৃষ্টি করা হয়েছে?
وَ اِلَی السَّمَآءِ کَیۡفَ رُفِعَتۡ ﴿ٝ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং আস্মানকে, কীভাবে উচু করা হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর আসমানের দিকে (দৃষ্টিপাত করে না), কীভাবে একে (এর সীমাহীন প্রশস্ততায়) উত্তোলন করা হয়েছে?
وَ اِلَی الۡجِبَالِ کَیۡفَ نُصِبَتۡ ﴿ٝ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং পাহাড়গুলোকে কীভাবে দণ্ডায়মান করা হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর পর্বতমালাকে (কি তারা দেখে না), কীভাবে এগুলোকে (ভূমি থেকে উত্থিত করে) দাঁড় করানো হয়েছে?
وَ اِلَی الۡاَرۡضِ کَیۡفَ سُطِحَتۡ ﴿ٝ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. আর যমীনকে, কীরূপে বিছানো হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
২০. আর পৃথিবীর দিকে (কি দেখে না), কীভাবে একে (গোলাকার হওয়া সত্বেও) বিছানো হয়েছে?
فَذَکِّرۡ ۟ؕ اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُذَکِّرٌ ﴿ؕ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. সুতরাং আপনি উপদেশ শুনান; বস্তুতঃ আপনিই তো এ উপদেশদাতা;
ইরফানুল কুরআন
২১. অতঃপর আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, আপনিই তো উপদেশ দানকারী,
لَسۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِمُصَۜیۡطِرٍ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. আপনি তো তাদের কোন দারোগা নন।
ইরফানুল কুরআন
২২. আপনি তাদের প্রতি অত্যাচারী শাসক ও নিপীড়নকারী (হিসেবে) আরোপিত হননি।
اِلَّا مَنۡ تَوَلّٰی وَ کَفَرَ ﴿ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. হাঁ, যে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং কুফর করে,
ইরফানুল কুরআন
২৩. কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং কুফরী করে,
فَیُعَذِّبُہُ اللّٰہُ الۡعَذَابَ الۡاَکۡبَرَ ﴿ؕ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. তা হলে আল্লাহ্ তাকে বড় শাস্তি দেবেন।
ইরফানুল কুরআন
২৪. তবে আল্লাহ্ তাকে সবচেয়ে ভয়ংকর শাস্তি দেবেন।
اِنَّ اِلَیۡنَاۤ اِیَابَہُمۡ ﴿ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. নিশ্চয় আমার প্রতিই তাদের প্রত্যাবর্তন হবে;
ইরফানুল কুরআন
২৫. নিশ্চয়ই, (পরিশেষে) আমাদেরই দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন;
ثُمَّ اِنَّ عَلَیۡنَا حِسَابَہُمۡ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অতঃপর নিশ্চয় আমারই দিকে তাদের হিসাব রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৬. তারপর নিঃসন্দেহে আমাদেরই দায়িত্বে তাদের হিসাব (গ্রহণ)।