Back
আল হাককাহ
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
اَلۡحَآقَّۃُ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. তা সত্যই ঘটমান;
ইরফানুল কুরআন
১. অবশ্যম্ভাবী মুহূর্ত!
Play Share Copy
مَا الۡحَآقَّۃُ ۚ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. কেমনই তা ঘটমান!
ইরফানুল কুরআন
২. অবশ্যম্ভাবী মুহূর্ত কী?
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡحَآقَّۃُ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং আপনি কি জেনেছেন তা কেমন সত্য ঘটমান!
ইরফানুল কুরআন
৩. আর কিসে আপনাকে সতর্ক করলো, অবশ্যম্ভাবী (কিয়ামত) কী?
Play Share Copy
کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ وَ عَادٌۢ بِالۡقَارِعَۃِ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. সামূদ ও ‘আদ কঠোর কষ্টদায়ককে অস্বীকার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৪. সামূদ এবং ’আদ অস্বীকার করেছিল (সমস্ত অস্তিত্বশীল মহাজাগতিক বস্তুকে) পরস্পর মহাকর্ষীয় সংঘর্ষের মাধ্যমে চূর্ণ-বিচূর্ণকারী (মহাপ্রলয়)।
Play Share Copy
فَاَمَّا ثَمُوۡدُ فَاُہۡلِکُوۡا بِالطَّاغِیَۃِ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. অতঃপর সামূদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করা হয়েছে সীমা অতিক্রমকারী বিকট শব্দ দ্বারা।
ইরফানুল কুরআন
৫. অতঃপর সামূদ সম্প্রদায়! তাদেরকে তো ধ্বংস করা হয়েছিল বধির করা বিকট শব্দ বিস্ফোরণ দ্বারা।
Play Share Copy
وَ اَمَّا عَادٌ فَاُہۡلِکُوۡا بِرِیۡحٍ صَرۡصَرٍ عَاتِیَۃٍ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. বাকী রইলো ‘আদ’ তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে অতি বিকটভাবে গর্জনকারী ঝঞ্ঝা বায়ু দ্বারা;
ইরফানুল কুরআন
৬. আর ’আদ সম্প্রদায়! তাদেরকে(ও) তো ধ্বংস করা হয়েছিল এরূপ প্রচন্ড ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা, যা ছিল প্রচন্ড ঠান্ডা, গর্জনশীল।
Play Share Copy
سَخَّرَہَا عَلَیۡہِمۡ سَبۡعَ لَیَالٍ وَّ ثَمٰنِیَۃَ اَیَّامٍ ۙ حُسُوۡمًا ۙ فَتَرَی الۡقَوۡمَ فِیۡہَا صَرۡعٰی ۙ کَاَنَّہُمۡ اَعۡجَازُ نَخۡلٍ خَاوِیَۃٍ ۚ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. তা তাদের উপর সজোরে প্রবাহিত করলেন সাত রাত ও আট দিন লাগাতার; অতঃপর ওই সব লোককে সেগুলোতে দেখবেন ভূপাতিত, যেমন খেজুর গাছের পতিত কাণ্ড।
ইরফানুল কুরআন
৭. আল্লাহ্ একে (এ ঝঞ্ঝাবায়ুকে) তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন অবিরামভাবে সাত রাত এবং আট দিনব্যাপী। সুতরাং আপনি তাদেরকে দেখবেন (সেসময়) এতে (এমনভাবে) মরে পড়ে আছে (মনে হবে) যেন ভূপাতিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।
Play Share Copy
فَہَلۡ تَرٰی لَہُمۡ مِّنۡۢ بَاقِیَۃٍ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. অতঃপর আপনি কি তাদের মধ্যে কাউকেও অবশিষ্ট দেখতে পাচ্ছেন?
ইরফানুল কুরআন
৮. সুতরাং আপনি কি তাদের মধ্যে কাউকেও অবশিষ্ট দেখতে পাচ্ছেন?
Play Share Copy
وَ جَآءَ فِرۡعَوۡنُ وَ مَنۡ قَبۡلَہٗ وَ الۡمُؤۡتَفِکٰتُ بِالۡخَاطِئَۃِ ۚ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং ফির’আঊন ও তার পূর্ববর্তীগণ এবং উল্টিয়ে দেওয়া জনপদগুলো অপরাধ সম্পুন্ন করলো।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর ফেরাউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং (লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের) উল্টে দেয়া জনপদ (-বাসীরা) গুরুতর পাপ করেছিল।
১০
Play Share Copy
فَعَصَوۡا رَسُوۡلَ رَبِّہِمۡ فَاَخَذَہُمۡ اَخۡذَۃً رَّابِیَۃً ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. অতঃপর তারা আপন রবের রসূলগণের নির্দেশ অমান্য করলো। তখন তিনি তাদেরকে বড়সড় পাকড়াও দ্বারা ধরলেন।
ইরফানুল কুরআন
১০. অতঃপর তারা(ও) তাদের প্রতিপালকের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে আল্লাহ্ তাদেরকে গ্রাস করলেন, অত্যন্ত কঠিন গ্রাস।
১১
Play Share Copy
اِنَّا لَمَّا طَغَا الۡمَآءُ حَمَلۡنٰکُمۡ فِی الۡجَارِیَۃِ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. নিশ্চয় যখন পানি মাথাচাড়া দিয়েছিলো তখন আমি তোমাদেরকে নৌযানে আরোহণ করিয়েছি;
ইরফানুল কুরআন
১১. নিশ্চয়ই যখন (নূহ আলাইহিস সালামের তুফানে) জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল, তখন আমরা তোমাদেরকে আরোহণ করিয়েছিলাম ভাসমান নৌযানে,
১২
Play Share Copy
لِنَجۡعَلَہَا لَکُمۡ تَذۡکِرَۃً وَّ تَعِیَہَاۤ اُذُنٌ وَّاعِیَۃٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. সেটাকে তোমাদের জন্য স্মরণীয় করার নিমিত্ত এবং এ জন্য যে, সেটাকে সংরক্ষণ করবে ওই কান, যা শুনে সংরক্ষন করে।
ইরফানুল কুরআন
১২. যাতে আমরা এ ঘটনা তোমাদের জন্যে (স্মরণীয়) উপদেশ করি এবং শ্রুতিধর কর্ণ তা স্মরণে রাখে।
১৩
Play Share Copy
فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ نَفۡخَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার করা হবে একবার,
ইরফানুল কুরআন
১৩. অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, একটিমাত্র ফুৎকার,
১৪
Play Share Copy
وَّ حُمِلَتِ الۡاَرۡضُ وَ الۡجِبَالُ فَدُکَّتَا دَکَّۃً وَّاحِدَۃً ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং যমীন ও পাহাড়সমূহ উত্তোলন করে একবারেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে;
ইরফানুল কুরআন
১৪. এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা (স্ব স্ব স্থান থেকে) উৎক্ষিপ্ত হবে, তখন তারা এক ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
১৫
Play Share Copy
فَیَوۡمَئِذٍ وَّقَعَتِ الۡوَاقِعَۃُ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সেদিন যে, সংঘটিত হয়ে যাবে যা সংঘটিত হবার;
ইরফানুল কুরআন
১৫. সুতরাং তখন সংঘটিত হবে অবশ্যম্ভাবী (কিয়ামত)।
১৬
Play Share Copy
وَ انۡشَقَّتِ السَّمَآءُ فَہِیَ یَوۡمَئِذٍ وَّاہِیَۃٌ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং আস্‌মান ফেটে যাবে; অতঃপর সেদিন সেটার অবস্থা দুর্বল হবে;
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর (সমস্ত) আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং এ জগত (শৃঙ্খলায় চলমান রাখা ও সমন্বয় করার শক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণ) গহ্বরের* অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। * -ওয়াহিয়া শব্দের অর্থ চামড়া, কাপড় অথবা এ ধরণের অন্যান্য কিছুর ফেটে যাওয়া এবং এতে গর্ত তৈরী হওয়া। এ জন্যে এরূপ বলা হয় যে, কাপড় ফেটে গিয়ে এতে গর্ত সৃষ্টি হয়। আলোচ্য আয়াত দ্বারা এরূপ ঘটনাকে বুঝায় যা আধুনিক বিজ্ঞান ’ব্ল্যাক হোল’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। আল-মুফরাদাত, লিসান আল-আরব, ক্বামুস আল-মুহিত, আল-মুনজিদ, ইত্যাদি।
১৭
Play Share Copy
وَّ الۡمَلَکُ عَلٰۤی اَرۡجَآئِہَا ؕ وَ یَحۡمِلُ عَرۡشَ رَبِّکَ فَوۡقَہُمۡ یَوۡمَئِذٍ ثَمٰنِیَۃٌ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং ফিরিশ্‌তাগণ সেটার কিনারাসমূহে দণ্ডায়মান হবে, এবং সেদিন আপনার রবের আরশকে আটজন ফিরিশ্‌তা তাদের উপর বহন করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর ফেরেশতাগণ এর প্রান্তদেশে দন্ডায়মান হবে এবং সেদিন আটজন (ফেরেশতা অথবা ফেরেশতাদের দল) আপনার প্রতিপালকের আরশকে তাদের ঊর্ধ্বে বহন করবে।
১৮
Play Share Copy
یَوۡمَئِذٍ تُعۡرَضُوۡنَ لَا تَخۡفٰی مِنۡکُمۡ خَافِیَۃٌ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. সেদিন তোমরা সবাই উপস্থিত হবে যে, তোমাদের মধ্যে কোন গোপনীয় সত্তা গোপন থাকতে পারবে না।
ইরফানুল কুরআন
১৮. সে দিন তোমাদেরকে (হিসাবের জন্যে) উপস্থিত করা হবে, তোমাদের গোপনীয় কোনো কিছুই গোপন থাকবে না।
১৯
Play Share Copy
فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِیَمِیۡنِہٖ ۙ فَیَقُوۡلُ ہَآؤُمُ اقۡرَءُوۡا کِتٰبِیَہۡ ﴿ۚ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. সুতরাং ওই ব্যক্তি, যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পাঠ করো!
ইরফানুল কুরআন
১৯. সুতরাং যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে (আনন্দে) বলে ওঠবে, ‘এসো! আমার আমলনামা পড়ে দেখো।
২০
Play Share Copy
اِنِّیۡ ظَنَنۡتُ اَنِّیۡ مُلٰقٍ حِسَابِیَہۡ ﴿ۚ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হবো’।
ইরফানুল কুরআন
২০. আমার তো দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, আমি (সহজে) আমার হিসাবের মুখোমুখি হবো।’
২১
Play Share Copy
فَہُوَ فِیۡ عِیۡشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. সুতরাং সে মনোরম শান্তিতে রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
২১. অতঃপর সে সুখকর জীবন যাপন করবে,
২২
Play Share Copy
فِیۡ جَنَّۃٍ عَالِیَۃٍ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. উচ্চ বাগানে;
ইরফানুল কুরআন
২২. সমুন্নত ও সুউচ্চ জান্নাতে।
২৩
Play Share Copy
قُطُوۡفُہَا دَانِیَۃٌ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. যার ফলের গুচ্ছ ঝুকে পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. যার ফলরাশি (অধিক ফলের কারণে) অবনমিত থাকবে।
২৪
Play Share Copy
کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا ہَنِیۡٓـئًۢا بِمَاۤ اَسۡلَفۡتُمۡ فِی الۡاَیَّامِ الۡخَالِیَۃِ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. আহার করো এবং পান করো তৃপ্তি সহকারে- পুরস্কার সেটারই, যা তোমরা বিগত দিনগুলোতে আগে প্রেরণ করেছো।
ইরফানুল কুরআন
২৪. (তাদেরকে বলা হবে,) ‘পরিতৃপ্তি সহকারে খাও এবং পান করো, সেসব (আমল)-এর পরিবর্তে, অতীত (জীবনের) দিনে যা তোমরা অগ্রে প্রেরণ করেছিলে।’
২৫
Play Share Copy
وَ اَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِشِمَالِہٖ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِیۡ لَمۡ اُوۡتَ کِتٰبِیَہۡ ﴿ۚ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং ওই ব্যক্তি, যার আপন আমলনামা বাম হাতে দেওয়া হবে, বলবে, ‘হায়, কোন মতে আমাকে আমার আমলনামা না দেওয়া হতো!
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, ‘হায় আফসোস! যদি আমাকে আমার আমলনামা দেয়াই না হতো!
২৬
Play Share Copy
وَ لَمۡ اَدۡرِ مَا حِسَابِیَہۡ ﴿ۚ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং আমি কি জানতাম যে, আমার হিসাব কি!
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব!
২৭
Play Share Copy
یٰلَیۡتَہَا کَانَتِ الۡقَاضِیَۃَ ﴿ۚ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. হায়, কোন মতে মৃত্যুই কিস্‌সার সমাপ্তি হতো!
ইরফানুল কুরআন
২৭. হায়! এ (মৃত্যু) যদি হতো একেবারে সমাপ্তি!
২৮
Play Share Copy
مَاۤ اَغۡنٰی عَنِّیۡ مَالِیَہۡ ﴿ۚ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. আমার কোন কাজে আসলো না আমার ধন-সম্পদ।
ইরফানুল কুরআন
২৮. (আজ) আমার সম্পদ আমার (শাস্তি দূর করতে) সামান্যতমও কাজে আসলো না।
২৯
Play Share Copy
ہَلَکَ عَنِّیۡ سُلۡطٰنِیَہۡ ﴿ۚ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আমার সমস্ত ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আমার শক্তি ও রাজত্ব(ও) চলে গিয়েছে।’
৩০
Play Share Copy
خُذُوۡہُ فَغُلُّوۡہُ ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. তাকে ধরো! অতঃপর তার গলায় রশি লাগাও!
ইরফানুল কুরআন
৩০. (নির্দেশ হবে) ‘তাকে পাকড়াও করো, অতঃপর তার গলায় বেড়ি পরিয়ে দাও।
৩১
Play Share Copy
ثُمَّ الۡجَحِیۡمَ صَلُّوۡہُ ﴿ۙ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. অতঃপর তাকে জ্বলন্ত আগুনে ধ্বসিয়ে দাও!
ইরফানুল কুরআন
৩১. এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।
৩২
Play Share Copy
ثُمَّ فِیۡ سِلۡسِلَۃٍ ذَرۡعُہَا سَبۡعُوۡنَ ذِرَاعًا فَاسۡلُکُوۡہُ ﴿ؕ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. অতঃপর এমন শিকলে, যার দৈর্ঘ্য সত্তর হাত, তাকে শৃঙ্খলিত করে নাও!
ইরফানুল কুরআন
৩২. পুনরায় তাকে শৃঙ্খলিত করো সত্তর গজ দীর্ঘ শিকলে।
৩৩
Play Share Copy
اِنَّہٗ کَانَ لَا یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. নিশ্চয় সে মহান আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনতো না।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. নিশ্চয়ই সে মহান আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস রাখতো না।
৩৪
Play Share Copy
وَ لَا یَحُضُّ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ﴿ؕ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং মিসকীনকে খাদ্য দানের প্রতি উৎসাহ দিতো না।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর অভাবগ্রস্তকেও আহার্য দিতে উদ্ধুদ্ধ করতো না।
৩৫
Play Share Copy
فَلَیۡسَ لَہُ الۡیَوۡمَ ہٰہُنَا حَمِیۡمٌ ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. সুতরাং আজ এখানে তার কোন বন্ধু নেই;
ইরফানুল কুরআন
৩৫. সুতরাং আজ এখানে তার কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু নেই,
৩৬
Play Share Copy
وَّ لَا طَعَامٌ اِلَّا مِنۡ غِسۡلِیۡنٍ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং না কোন খাদ্য, কিন্তু দোযখীদের পুঁজ।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর (তার জন্যে) কোনো খাবারও থাকবে না, ক্ষত-নিঃসৃত পূঁজ ব্যতীত,
৩৭
Play Share Copy
لَّا یَاۡکُلُہٗۤ اِلَّا الۡخَاطِـُٔوۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তা আহার করবে কেবল পাপীগণই।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. যা অপরাধী ব্যতীত কেউ খাবে না।’
৩৮
Play Share Copy
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. সুতরাং আমায় শপথ রইলো ওই সব বস্তুর, যেগুলো তোমরা দেখতে পাচ্ছো;
ইরফানুল কুরআন
৩৮. সুতরাং আমি শপথ করছি সেসবের যা তোমরা দেখতে পাও,
৩৯
Play Share Copy
وَ مَا لَا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং যেগুলো তোমরা দেখতে পাও না;
ইরফানুল কুরআন
৩৯. এবং সেগুলোর যা তোমরা দেখতে পাও না।
৪০
Play Share Copy
اِنَّہٗ لَقَوۡلُ رَسُوۡلٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۚۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. নিশ্চয় ওই ক্বোরআন একজন সম্মানিত রসূল- এর সাথে বলা বাণীসমূহ;
ইরফানুল কুরআন
৪০. নিশ্চয়ই এ (কুরআন আল্লাহ্‌র নিকট থেকে অবতীর্ণ) সম্মানিত ও মহান রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বাণী (যা তিনি রাসূল এবং প্রতিনিধি হিসেবে বর্ণনা করেন)।
৪১
Play Share Copy
وَّ مَا ہُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٍ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং তা কোন কবির বাণী হয়। কত কম বিশ্বাসই রাখছো!
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর এটি কোনো কবির রচনা নয় (যে, সাহিত্যিক দক্ষতায় তা রচিত হয়েছে); তোমরা খুব অল্পই বিশ্বাস রাখো।
৪২
Play Share Copy
وَ لَا بِقَوۡلِ کَاہِنٍ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿ؕ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. এবং না কোন জ্যোতিষীর কথা। কত কম মনোযোগই দিচ্ছো!
ইরফানুল কুরআন
৪২. আর (এটি) কোনো গণকের কথাও নয় (যে, অভিজ্ঞতা প্রসূত অনুমান থেকে তা তৈরি করা হয়েছে); তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করো।
৪৩
Play Share Copy
تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি সমগ্র বিশ্বের রব!
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (এটি) বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
৪৪
Play Share Copy
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং যদি তিনি আমার নামে একটা কথাও বানিয়ে বলতেন;
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আর তিনি যদি আমাদের নামে কোনো (একটি) বিষয়ও রচনার চেষ্টা করতেন,
৪৫
Play Share Copy
لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. তবে অবশ্য আমি তার নিকট থেকে সজোরে বদলা নিতাম,
ইরফানুল কুরআন
৪৫. তবে অবশ্যই আমরা তাঁকে পূর্ণ শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে ধরে ফেলতাম,
৪৬
Play Share Copy
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. অতঃপর তাঁর হৃদয় শিরা কেটে দিতাম।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. অতঃপর অবশ্যই কেটে দিতাম তাঁর জীবন ধমনী,
৪৭
Play Share Copy
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ তাকে রক্ষাকারী থাকতো না।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. অতঃপর তোমাদের কেউই (আমাদেরকে) এ থেকে বিরত রাখতে পারতে না।
৪৮
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَتَذۡکِرَۃٌ لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং নিশ্চয় এ ক্বোরআন ভীতিসম্পন্নদের জন্য উপদেশ।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর নিঃসন্দেহে এ (কুরআন) পরহেযগারদের জন্যে উপদেশ।
৪৯
Play Share Copy
وَ اِنَّا لَنَعۡلَمُ اَنَّ مِنۡکُمۡ مُّکَذِّبِیۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং অবশ্য আমি জানি, তোমাদের মধ্যে কিছু লোক অস্বীকারকারী রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর অবশ্যই আমরা জানি যে, তোমাদের মধ্যে কিছু লোক (এ সুস্পষ্ট সত্যকে) মিথ্যাপ্রতিপন্নকারী।
৫০
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَحَسۡرَۃٌ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং নিশ্চয় তা কাফিরদের উপর অনুশোচনা।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর এটি বাস্তবিকই কাফেরদের জন্যে অনুতাপের কারণ।
৫১
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَحَقُّ الۡیَقِیۡنِ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং নিশ্চয় তা নিশ্চিত সত্য।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর অবশ্যই এটি পরম সত্য।
৫২
Play Share Copy
فَسَبِّحۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الۡعَظِیۡمِ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. সুতরাং হে মাহবূব! আপনি আপন রবের পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
ইরফানুল কুরআন
৫২.সুতরাং (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনি আপনার মহিমান্বিত প্রতিপালকের মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকুন।