Back
আল হাশর
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
سَبَّحَ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করে যা কিছু আস্‌মানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১. যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে (সমস্তই) আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
Play Share Copy
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَخۡرَجَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ مِنۡ دِیَارِہِمۡ لِاَوَّلِ الۡحَشۡرِ ؕؔ مَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا وَ ظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ مَّانِعَتُہُمۡ حُصُوۡنُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ فَاَتٰىہُمُ اللّٰہُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوۡا ٭ وَ قَذَفَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الرُّعۡبَ یُخۡرِبُوۡنَ بُیُوۡتَہُمۡ بِاَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَیۡدِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ٭ فَاعۡتَبِرُوۡا یٰۤاُولِی الۡاَبۡصَارِ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. তিনিই, যিনি ওই সব কাফির কিতাবীকে তাদের ঘরগুলো থেকে বহিষ্কার করেছেন তাদের প্রথম সমাবেশের জন্য। তোমাদের ধারণা ছিলো না যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করতো যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহ্‌ (এর শাস্তি) থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহ্‌র নির্দেশ তাদের নিকট এসেছে যেখান থেকে তাদের নিকট ধারণাও ছিলো না। এবং তিনি তাদের অন্তরগুলোতে আতঙ্কের সঞ্চার করলেন। তারা আপন ঘরগুলো ধ্বংস করছে নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতেও; সুতরাং শিক্ষা গ্রহণ করো হে দৃষ্টিশক্তিসম্পন্নরা!
ইরফানুল কুরআন
২. তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে (অর্থাৎ বনু নযীরকে) প্রথমবার তাদের আবাসভূমি হতে সমবেতভাবে (মদীনা থেকে সিরিয়ায়) বিতাড়িত করেছিলেন। তোমরা এ ধারণা(ও) করোনি যে, তারা নির্বাসিত হবে। আর তারা মনে করেছিল তাদের সুদৃঢ় দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহ্‌র (পাকড়াওয়ের) বিরুদ্ধে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহ্‌র শাস্তি তাদের নিকট এমন এক দিক থেকে আগত হলো যা তাদের ধারণায়ও ছিল না, আর তিনি (আল্লাহ্) তাদের অন্তরে ভীতি ও আতঙ্কের সঞ্চার করলেন। তারা স্বহস্তে এবং ঈমানদারগণের হস্তে নিজেদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে ফেললো। সুতরাং হে চক্ষুষ্মান! (এ থেকে) উপদেশ গ্রহণ করো।
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ کَتَبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمُ الۡجَلَآءَ لَعَذَّبَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا ؕ وَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابُ النَّارِ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং যদি এটা না হতো যে, আল্লাহ্‌ তাদের জন্য ঘরবাড়ী থেকে উৎখাত হওয়া লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, তবে পৃথিবীতেই তাদের উপর শাস্তি আপতিত করতেন এবং তাদের জন্য আখিরাতে আগুনের শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যদি আল্লাহ্ তাদের ব্যাপারে দেশান্তর লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে (আরো কঠিন) শাস্তি দিতেন এবং আখেরাতেও তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি।
Play Share Copy
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ شَآقُّوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ۚ وَ مَنۡ یُّشَآقِّ اللّٰہَ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এটা এ জন্য যে, তারা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে রয়েছে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌র শাস্তি বড়ই কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
৪. তা এ জন্যে যে, তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সাথে ঘোর শত্রুতা পোষণ করেছিল। (তাদের প্রধান হোতা কুখ্যাত কা’ব বিন আশরাফ রাসূলের শানে বেয়াদবীমূলক কবিতা রচনা করতো।) আর যে আল্লাহ্‌র (এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) বিরুদ্ধাচারণ করে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তিদানে আরো কঠোর।
Play Share Copy
مَا قَطَعۡتُمۡ مِّنۡ لِّیۡنَۃٍ اَوۡ تَرَکۡتُمُوۡہَا قَآئِمَۃً عَلٰۤی اُصُوۡلِہَا فَبِاِذۡنِ اللّٰہِ وَ لِیُخۡزِیَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. যেই বৃক্ষগুলো তোমরা কেটেছো অথবা সেগুলোর মূলের উপর দণ্ডায়মান অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছো? এ সবই আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে ছিলো এবং এ জন্য যে, ফাসিক্বগণকে অপমানিত করবেন।
ইরফানুল কুরআন
৫. (হে ঈমানদারগণ! ইহুদী বনু নযীরকে অবরোধের সময়) তোমরা যেসব খর্জুর বৃক্ষ কর্তন করেছো অথবা যেগুলো তাদের কান্ডের উপর স্থির রেখেছো এসব (কিছুই) ছিল আল্লাহ্‌রই অনুমতিক্রমে, আর এ জন্যে যে, তিনি নাফরমানদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَفَآءَ اللّٰہُ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ مِنۡہُمۡ فَمَاۤ اَوۡجَفۡتُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ خَیۡلٍ وَّ لَا رِکَابٍ وَّ لٰکِنَّ اللّٰہَ یُسَلِّطُ رُسُلَہٗ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং আল্লাহ্‌ আপন রসুলকে তাদের নিকট থেকে যেই গনীমত প্রদান করিয়েছেন, অতঃপর তোমরা তো তাদের উপর না নিজেদের অশ্ব পরিচালনা করেছো এবং না উষ্ট্র। হাঁ, আল্লাহ্‌ আপন রসূলগণের আয়ত্বে দিয়ে দেন যাকে চান। এবং আল্লাহ্‌ সব কিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর আল্লাহ্ তাদের থেকে যে ফাই ((অর্থাৎ যুদ্ধ ছাড়াই প্রাপ্ত সম্পদ) স্বীয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে দিয়েছেন, তার জন্যে তোমরা না অশ্ব দৌঁড়িয়েছিলে, আর না উষ্ট্রে আরোহণ করেছিলে। হ্যাঁ! আল্লাহ্ যার উপর ইচ্ছা তাঁর রাসূলগণকে আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রদান করেন। আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
Play Share Copy
مَاۤ اَفَآءَ اللّٰہُ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ مِنۡ اَہۡلِ الۡقُرٰی فَلِلّٰہِ وَ لِلرَّسُوۡلِ وَ لِذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ کَیۡ لَا یَکُوۡنَ دُوۡلَۃًۢ بَیۡنَ الۡاَغۡنِیَآءِ مِنۡکُمۡ ؕ وَ مَاۤ اٰتٰىکُمُ الرَّسُوۡلُ فَخُذُوۡہُ ٭ وَ مَا نَہٰىکُمۡ عَنۡہُ فَانۡتَہُوۡا ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ۘ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. আল্লাহ্‌ আপন রসূলকে নগরবাসীর নিকট থেকে যেই গণীমত প্রদান করিয়েছেন, তা আল্লাহ্‌ ও রসূলের এবং নিকট আত্নীয়দের আর এতিম, মিসকীন ও মুসাফিরদের; যাতে তা তোমাদের ধনীদের সম্পদ না হয়ে যায় এবং যা কিছু তোমাদেরকে রসুল দান করেন তা গ্রহন করো। আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো। এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো! নিশ্চয় আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।
ইরফানুল কুরআন
৭. আল্লাহ্ (কুরাইযা, নযীর, উরাইনাসহ অন্যান্য যুদ্ধবিহীন বিজিত) জনপদবাসী থেকে যা কিছু (ফাই সম্পদ এনে) স্বীয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে দিয়েছেন, তা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর জন্যে, (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) নিকটাত্মীয় (অর্থাৎ বনু হাশীম এবং বনু মুত্তালিব)-এর জন্যে এবং (সমাজের সাধারণ) এতিম, অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরদের জন্যে। (এ বন্টনের বিধান এ জন্যে যে,) যাতে (সমস্ত সম্পদ কেবল) তোমাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের মাঝেই আবর্তিত না হয় (বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে)। আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) যা কিছু তোমাদেরকে দেন তা গ্রহণ করো এবং যা তোমাদেরকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো (অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের বন্টন ও দানের ব্যাপারে কখনো সমালোচনামুখর হয়ো না)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তি দানে কঠোর।
Play Share Copy
لِلۡفُقَرَآءِ الۡمُہٰجِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ اُخۡرِجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ وَ اَمۡوَالِہِمۡ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنَ اللّٰہِ وَ رِضۡوَانًا وَّ یَنۡصُرُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصّٰدِقُوۡنَ ۚ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. ওই দরিদ্র হিজরতকারীদের জন্য (এ সম্পদ) যাদেরকে আপন ঘরবাড়ি ও সম্পদ থেকে উৎখাত করা হয়েছে। তারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর সন্তুষ্টি চায় এবং আল্লাহ্‌ ও রসূলের সাহায্য করে। তারাই সত্যবাদী।
ইরফানুল কুরআন
৮. (উপরোল্লেখিত ফাই সম্পদ) গরীব মুহাজিরদের জন্যেও, যারা তাদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি (এবং ভূমি) থেকে উৎখাত হয়েছে। তারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ, তাঁর সন্তুষ্টি এবং আনুকূল্য কামনা করে এবং (নিজেদের সম্পদ ও স্বদেশ ত্যাগের মাধ্যমে) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যিকারের মুমিন।
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ تَبَوَّؤُ الدَّارَ وَ الۡاِیۡمَانَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ یُحِبُّوۡنَ مَنۡ ہَاجَرَ اِلَیۡہِمۡ وَ لَا یَجِدُوۡنَ فِیۡ صُدُوۡرِہِمۡ حَاجَۃً مِّمَّاۤ اُوۡتُوۡا وَ یُؤۡثِرُوۡنَ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ وَ لَوۡ کَانَ بِہِمۡ خَصَاصَۃٌ ؕ۟ وَ مَنۡ یُّوۡقَ شُحَّ نَفۡسِہٖ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ۚ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং যারা প্রথম থেকে এ শহর ও ঈমানের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করেছে, তারা ভালোবাসে তাদেরকে, যারা তাদের প্রতি হিজরত করে গেছে এবং নিজেদের অন্তগুলোর মধ্যে কোন প্রয়োজন খুজে পায় না ওই বস্তুর, যা তাদেরকে প্রদান করা হয়েছে এবং নিজেদের প্রাণের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দেয় যদিও তাদের অভাব অত্যন্ত প্রকট হয়, এবং যাকে আপন প্রবৃত্তির লোভ থেকে রক্ষা করা হয়েছে, সুতরাং তারাই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর (এ সম্পদ আনসারদের জন্যেও) যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজিরদের) আগমনের পূর্বেই এ শহর (মদীনা) এবং ঈমানকে আবাসরূপে নিয়েছে। তারা ভালোবাসে তাদেরকে যারা তাদের নিকট হিজরত করে এসেছে এবং তাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তার জন্যে তারা নিজেদের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না, এবং তারা তাদেরকে নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়, যদিও নিজেরা অভাবগ্রস্ত। আর যারা নিজ সত্তাকে কৃপণতা থেকে রক্ষা করেছে তারাই সফল ও বিজয়ী।
১০
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ جَآءُوۡ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّکَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং ওই সব লোক, যারা তাদের পরে এসেছে তারা আরয করে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের ভাইদেরকেও, যারা আমাদের পূর্বে ঈমান এনেছে আর আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের দিক থেকে হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না! হে আমাদের রব! নিশ্চয় তুমিই অতি দয়ার্দ্র, দয়াময়।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর যারা এদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে (এবং) বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং ঈমান আনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রণী ভ্রাতাগণকেও, আর আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের জন্যে কোনো বিদ্বেষ ও ক্রোধ বিদ্যমান রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি অতি দয়ার্দ্র, পরম অনুগ্রহশীল।’
১১
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ نَافَقُوۡا یَقُوۡلُوۡنَ لِاِخۡوَانِہِمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ لَئِنۡ اُخۡرِجۡتُمۡ لَنَخۡرُجَنَّ مَعَکُمۡ وَ لَا نُطِیۡعُ فِیۡکُمۡ اَحَدًا اَبَدًا ۙ وَّ اِنۡ قُوۡتِلۡتُمۡ لَنَنۡصُرَنَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَشۡہَدُ اِنَّہُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আপনি কি মুনাফিক্বদেরকে দেখেন নি, যারা তাদের কিতাবি কাফির ভাইদেরকে বলে, ‘যদি তোমরা নির্বাসিত হও তবে অবশ্য আমরাও তোমাদের সাথে বের হয়ে যাবো এবং অবশ্য তোমাদের ব্যাপারে কারো কথা মানবো না; আর তোমাদের সাথে যুদ্ধ বাধলে সাহায্য করবো? এবং আল্লাহ্‌ সাক্ষী রয়েছেন এ মর্মে যে, ‘তারা মিথ্যুক’।
ইরফানুল কুরআন
১১. আপনি কি মুনাফেকদেরকে দেখেননি? তারা আহলে কিতাবের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদের সেসব ভাইদেরকে বলে, ‘যদি তোমরা (এখান থেকে) বহিষ্কৃত হও, তবে আমরাও তোমাদের সাথেই বের হয়ে যাবো এবং আমরা তোমাদের ব্যাপারে কখনোই কারো কথা মানবো না। আর যদি তোমরা আক্রান্ত হও, তবে আমরা অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করবো।’ কিন্তু আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
১২
Play Share Copy
لَئِنۡ اُخۡرِجُوۡا لَا یَخۡرُجُوۡنَ مَعَہُمۡ ۚ وَ لَئِنۡ قُوۡتِلُوۡا لَا یَنۡصُرُوۡنَہُمۡ ۚ وَ لَئِنۡ نَّصَرُوۡہُمۡ لَیُوَلُّنَّ الۡاَدۡبَارَ ۟ ثُمَّ لَا یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. যদি তারা নির্বাসিত হয় তবে এরা তাদের সাথে বের হবে না এবং তাদের সাথে যুদ্ধ বাধলে, তবে এরা তাদের সাহায্য করবে না, যদি তাদের সাহায্যও করতে আসে, তবে অবশ্য পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করবে। অতঃপর সাহায্য পাবে না।
ইরফানুল কুরআন
১২. যদি তারা (মদীনার অবিশ্বাসী ইহুদীরা) বহিষ্কৃত হয়, তবে এরা (এ মুনাফেকেরা কখনো) তাদের সাথে বের হয়ে যাবে না। আর যদি তারা আক্রান্ত হয়, তবে তারা তাদেরকে সাহায্য করবে না। আর তারা তাদেরকে সাহায্য করতে এলেও অবশ্যই তারা পশ্চাতে ফিরে পলায়ন করবে। অতঃপর তাদেরকে (কোথাও থেকেই) সাহায্য করা হবে না।
১৩
Play Share Copy
لَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ رَہۡبَۃً فِیۡ صُدُوۡرِہِمۡ مِّنَ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. নিশ্চয় তাদের অন্তরে আল্লাহ্‌র চেয়ে তোমাদের ভয় অধিক রয়েছে। এটা এ জন্য যে, তারা বোধশক্তিহীন লোক।
ইরফানুল কুরআন
১৩. (হে মুসলামানগণ!) প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে আল্লাহ্ অপেক্ষা তোমাদের ভয়ই অধিকতর। তা এ জন্যে যে, তারা সেসব লোক যারা নির্বোধ।
১৪
Play Share Copy
لَا یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ جَمِیۡعًا اِلَّا فِیۡ قُرًی مُّحَصَّنَۃٍ اَوۡ مِنۡ وَّرَآءِ جُدُرٍ ؕ بَاۡسُہُمۡ بَیۡنَہُمۡ شَدِیۡدٌ ؕ تَحۡسَبُہُمۡ جَمِیۡعًا وَّ قُلُوۡبُہُمۡ شَتّٰی ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿ۚ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এরা সবাই মিলেও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে না; কিন্তু দূর্গ-ঘেরা নগরসমূহে অথবা প্রাচীরের পেছনে। পরস্পরের মধ্যে তাদের যুদ্ধ ভীষণ। তোমরা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করবে এবং তাদের অন্তরসমূহ পৃথক পৃথক। এটা এ জন্য যে, তারা বিবেকহীন লোক।
ইরফানুল কুরআন
১৪. তারা (মদীনার ইহুদী ও মুনাফেকেরা) সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম হবে না, কেবল সুরক্ষিত শহর অথবা দেয়ালের আড়াল ব্যতীত। তাদের পারস্পরিক যুদ্ধই তীব্রতর। তুমি তাদেরকে সংঘবদ্ধ মনে করো, অথচ তাদের অন্তর শতধাবিচ্ছিন্ন। তা এ জন্যে যে, এরা নির্বোধ সম্প্রদায়।
১৫
Play Share Copy
کَمَثَلِ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ قَرِیۡبًا ذَاقُوۡا وَبَالَ اَمۡرِہِمۡ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿ۚ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. তাদের দৃষ্টান্ত ওই সমস্ত লোকের মতো, যারা তাদের অব্যবহিত পূর্বে ছিলো; তারা আপন কৃতকর্মের অশুভ পরিণতি ভোগ করেছে এবং তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. (তাদের অবস্থা) সেসব লোকের ন্যায় যারা তাদের পূর্বে নিকট অতীতে নিজেদের কৃতকর্মের পরিণতি আস্বাদন করেছে (অর্থাৎ বদরে মক্কার মুশরিকেরা, ইহুদীদের মাঝে বনী নাযীর, বনু কাইনুকা, বনু কুরাইযা ও অন্যান্য দল ও গোষ্ঠী) আর তাদের জন্যে (পরকালেও) রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১৬
Play Share Copy
کَمَثَلِ الشَّیۡطٰنِ اِذۡ قَالَ لِلۡاِنۡسَانِ اکۡفُرۡ ۚ فَلَمَّا کَفَرَ قَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰہَ رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. শয়তানের দৃষ্টান্ত; যখন সে মানুষকে বললো,, ‘কুফর করো!’ অতঃপর যখন সে কুফর করে ফেলেছে, তখন বললো, ‘আমি তোমাদের নিকট থেকে পৃথক। আমি আল্লাহ্‌কে ভয় করি, যিনি সমগ্র বিশ্বের রব’।
ইরফানুল কুরআন
১৬. (মুনাফেকদের দৃষ্টান্ত) শয়তানের মতো, যখন সে মানুষকে বলে, ‘কুফরী করো’; অতঃপর যখন সে কুফরী করে তখন সে (শয়তান) বলে, ‘তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি অবশ্যই ভয় করি আল্লাহ্কে যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক’।
১৭
Play Share Copy
فَکَانَ عَاقِبَتَہُمَاۤ اَنَّہُمَا فِی النَّارِ خَالِدَیۡنِ فِیۡہَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. সুতরাং ওই দু’জনের পরিণতি এ হলো যে, তারা উভয়ে আগুনের মধ্যে রয়েছে, তাতেই তারা স্থায়ী হবে এবং যালিমদের এ শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অতঃপর উভয়ের পরিণতি হবে জাহান্নাম, তাতেই চিরকাল অবস্থান করবে। আর জালিমদের এটিই শাস্তি।
১৮
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ لۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌কে ভয় করো, এবং প্রত্যেকের দেখা উচিত যে, আগামীকালের জন্য সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে, এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবহিত আছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৮. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। প্রত্যেক ব্যক্তির লক্ষ্য রাখা উচিত, আগামীকালের (অর্থাৎ কিয়ামতের) জন্যে সে কী প্রেরণ করেছে। আর তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত যা তোমরা করছো।
১৯
Play Share Copy
وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ نَسُوا اللّٰہَ فَاَنۡسٰہُمۡ اَنۡفُسَہُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহ্‌কে ভুলে বসেছে, অতঃপর আল্লাহ্‌ তাদেরকে বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন। ফলে নিজ প্রাণের কথাও তাদের স্মরণ নেই। তারাই ফাসিক্ব।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর তাদের মতো হয়ো না যারা আল্লাহ্কে ভুলে গিয়েছে। ফলে আল্লাহ্ তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দেন (যে, তারা নিজেদের জন্যে কোনো কল্যাণ সামনে প্রেরণ করবে)। তারাই নাফরমান।
২০
Play Share Copy
لَا یَسۡتَوِیۡۤ اَصۡحٰبُ النَّارِ وَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ؕ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ہُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. দোযখবাসীগণ এবং জান্নাতবাসীগণ এক সমান নয়। জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
২০. জাহান্নামের অধিবাসী ও জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতের অধিবাসীরাই সফলকাম ও বিজয়ী।
২১
Play Share Copy
لَوۡ اَنۡزَلۡنَا ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰی جَبَلٍ لَّرَاَیۡتَہٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡیَۃِ اللّٰہِ ؕ وَ تِلۡکَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُہَا لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. যদি আমি এ ক্বোরআনকে কোন পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে অবশ্যই তুমি সেটাকে দেখতে অবনত, টুকরো টুকরো অবস্থায়, আল্লাহ্‌র ভয়ে। এবং এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য আমি বর্ণনা করি, যেন তারা চিন্তা ভাবনা করে।
ইরফানুল কুরআন
২১. যদি আমরা এ কুরআন কোনো পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে (হে শ্রোতা!) তুমি এটিকে দেখতে, তা আল্লাহ্‌র ভয়ে বিনীত-কম্পিত হতো ও বিদীর্ণ হয়ে যেতো। আর এসব উপমা আমরা মানুষের জন্যে বর্ণনা করি যাতে তারা চিন্তা করে।
২২
Play Share Copy
ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ ۚ ہُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِیۡمُ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তিনিই আল্লাহ্‌, যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই; প্রত্যেক অপ্রকাশ্য ও প্রকাশ্যের জ্ঞাতা। তিনিই হন মহা দয়ালু, করুণাময়।
ইরফানুল কুরআন
২২. তিনিই আল্লাহ্, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনিই অসীম অনুগ্রহকারী, পরম দয়ালু।
২৩
Play Share Copy
ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ اَلۡمَلِکُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُہَیۡمِنُ الۡعَزِیۡزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَکَبِّرُ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. তিনিই আল্লাহ্‌, যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই; বাদশাহ, অতি পবিত্র শান্তিদাতা, নিরাপত্তা প্রদানকারী, রক্ষাকারী, পরম সম্মানিত, মহত্বের অধিকারী, দম্ভশীল; আল্লাহ্‌ পবিত্র তাদের শির্ক থেকে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. তিনিই আল্লাহ্, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি (প্রকৃত) বাদশাহ, সমস্ত দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তা বিধায়ক, রক্ষাকারী ও পাহারাদার (মুজিযার মাধ্যমে রাসূলগণকে সত্যায়নকারী), পরাক্রমশালী ও সম্মানের অধিকারী, প্রবল, রাজত্ব ও অহঙ্কারের অধিকারী। আল্লাহ্ সেসব থেকে পূতঃপবিত্র, মহান, যাকে তারা তাঁর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে।
২৪
Play Share Copy
ہُوَ اللّٰہُ الۡخَالِقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَہُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. তিনিই আল্লাহ্‌, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা; প্রত্যেককে রূপদাতা; তারই রয়েছে সব ভালো নাম। তারই পবিত্রতা ঘোষণা করে যা কিছু আস্‌মানসমূহ ও যমীনে রয়েছে এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
২৪. তিনিই আল্লাহ্, সৃষ্টিকর্তা, অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী (অর্থাৎ উদ্ভাবনকর্তা), আকৃতি দানকারী, (মোটকথা) সকল সুন্দর নাম তাঁরই। আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।