Back
আল হুজুরাত
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُقَدِّمُوۡا بَیۡنَ یَدَیِ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের আগে বাড়বে না এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শুনেন, জানেন।
ইরফানুল কুরআন
১. হে ঈমানদারগণ! (কোনো বিষয়েই) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সামনে অগ্রগামী হয়ো না এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো (যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের সাথে আদবের বরখেলাপ না হয়)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ وَ لَا تَجۡہَرُوۡا لَہٗ بِالۡقَوۡلِ کَجَہۡرِ بَعۡضِکُمۡ لِبَعۡضٍ اَنۡ تَحۡبَطَ اَعۡمَالُکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. হে ঈমানদারগণ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উচু করো না ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)- এর কন্ঠস্বরের উপর এবং তার সামনে চিৎকার করে কথা বলো না যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো যেন কখনো তোমাদের কর্মসমূহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবে না।
ইরফানুল কুরআন
২. হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের কন্ঠস্বর সম্মানিত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর কন্ঠস্বরের উপর উচুঁ করো না এবং তাঁর সাথে সেরূপ উচ্চস্বরেও কথা বলো না যেরূপ উচ্চস্বরে তোমরা একে অপরের সাথে কথা বলো। (অন্যথায়) এতে তোমাদের (ঈমানসহ) সমস্ত আমলই নিষ্ফল হয়ে যাবে, অথচ তোমরা টেরও পাবে না (যে, তোমাদের ঈমান ও আমল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে)।
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَغُضُّوۡنَ اَصۡوَاتَہُمۡ عِنۡدَ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ امۡتَحَنَ اللّٰہُ قُلُوۡبَہُمۡ لِلتَّقۡوٰی ؕ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিশ্চয় ওই সমস্ত লোক, যারা আপন কন্ঠস্বরকে নিচুর রাখে আল্লাহ্‌র রসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ওই সব লোক, যাদের অন্তরকে আল্লাহ্‌ খোদাভীরূতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সম্মুখে (শিষ্টাচার ও নিবেদনের নিমিত্তে) তাদের কন্ঠস্বর নিচু রাখে তারাই সেসব লোক যাদের অন্তরকে আল্লাহ্ তাক্বওয়ার জন্যে মনোনীত করেছেন। তাদের জন্যেই রয়েছে ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার।
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُنَادُوۡنَکَ مِنۡ وَّرَآءِ الۡحُجُرٰتِ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আপনাকে হুজরাসমূহের (প্রকোষ্ঠ) বাইরে থেকে আহ্বান করে তাদের মধ্যে অধিকাংশই নির্বোধ।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই যারা প্রকোষ্ঠের বাইরে থেকে আপনাকে উচ্চস্বরে ডাকে তাদের অধিকাংশই (আপনার উচ্চ অবস্থান ও মর্যাদা এবং সম্মান প্রদর্শনের শিষ্টাচারের ব্যাপারে) নির্বোধ।
Play Share Copy
وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ صَبَرُوۡا حَتّٰی تَخۡرُجَ اِلَیۡہِمۡ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং যদি তারা ধৈর্যধারণ করতো যতক্ষণ না আপনি তাদের নিকট তাশরীফ আনতেন, তবে তা তাদের জন্য উত্তম ছিলো এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর যদি তারা ধৈর্য ধারণ করতো যতক্ষণ না আপনি নিজেই তাদের নিকট তাশরীফ আনতেন, তবে তা তাদের জন্যে কল্যাণকর হতো। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ جَآءَکُمۡ فَاسِقٌۢ بِنَبَاٍ فَتَبَیَّنُوۡۤا اَنۡ تُصِیۡبُوۡا قَوۡمًۢا بِجَہَالَۃٍ فَتُصۡبِحُوۡا عَلٰی مَا فَعَلۡتُمۡ نٰدِمِیۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক্ব তোমাদের নিকট কোন সংবাদ আনে, তবে তা যাচাই করে নাও যাতে কোথাও কোন সম্প্রদায়কে অজানাবশতঃ কষ্ট না দিয়ে বসো; অতঃপর আপন কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করতে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৬. হে ঈমানদারগণ! যদি তোমাদের নিকট কোনো পাপাচারী কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে নিও, যাতে না তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে অজ্ঞাতসারে (অনাকাঙ্ক্ষিত) কষ্ট দিয়ে ফেলো, এবং পরে তোমাদের নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত হতে হয়।
Play Share Copy
وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ فِیۡکُمۡ رَسُوۡلَ اللّٰہِ ؕ لَوۡ یُطِیۡعُکُمۡ فِیۡ کَثِیۡرٍ مِّنَ الۡاَمۡرِ لَعَنِتُّمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ حَبَّبَ اِلَیۡکُمُ الۡاِیۡمَانَ وَ زَیَّنَہٗ فِیۡ قُلُوۡبِکُمۡ وَ کَرَّہَ اِلَیۡکُمُ الۡکُفۡرَ وَ الۡفُسُوۡقَ وَ الۡعِصۡیَانَ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الرّٰشِدُوۡنَ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং জেনে রেখো যে, তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্‌র রসূল রয়েছেন। অনেক বিষয়ে যদি তিনি তোমাদেরকে খুশী করেন, তবে তোমরা অবশ্যই কষ্টে পড়বে; কিন্তু আল্লাহ্‌ তোমাদের নিকট প্রিয় করে দিয়েছেন এবং সেটাকে তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দিয়েছেন আর কুফর ও নির্দেশ অমান্য করা এবং অবাধ্যতাকে তোমাদের নিকট অপছন্দীয় করে দিয়েছেন। এমন লোকেরাই সৎপথে রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
৭. আর জেনে রাখো যে, তোমাদের মাঝে রয়েছেন আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)। যদি তিনি অধিকাংশ বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নেন, তবে তোমরাই কষ্টে পড়বে। কিন্তু আল্লাহ্ ঈমানের ভালোবাসাকে তোমাদের নিকট প্রিয় করেছেন এবং এটি তোমাদের অন্তরে শোভিত করেছেন, আর কুফরি, অবাধ্যতা ও পাপকে তোমাদের নিকট করেছেন অপ্রিয়। এ ধরণের লোকেরাই দ্বীনের পথে থাকে অটল ও অবিচল।
Play Share Copy
فَضۡلًا مِّنَ اللّٰہِ وَ نِعۡمَۃً ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. (এটা) আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও বদান্যতা এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৮. (এটি) আল্লাহ্‌র দান এবং তাঁর অনুগ্রহের কারণ (অর্থাৎ তোমাদের মাঝে সৃষ্টির মূল রাসূলের আবির্ভাব ও উপস্থিতি)। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।
Play Share Copy
وَ اِنۡ طَآئِفَتٰنِ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اقۡتَتَلُوۡا فَاَصۡلِحُوۡا بَیۡنَہُمَا ۚ فَاِنۡۢ بَغَتۡ اِحۡدٰىہُمَا عَلَی الۡاُخۡرٰی فَقَاتِلُوا الَّتِیۡ تَبۡغِیۡ حَتّٰی تَفِیۡٓءَ اِلٰۤی اَمۡرِ اللّٰہِ ۚ فَاِنۡ فَآءَتۡ فَاَصۡلِحُوۡا بَیۡنَہُمَا بِالۡعَدۡلِ وَ اَقۡسِطُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং যদি মুসলামানদের দু’টি দল পরস্পর যুদ্ধ করে, তবে তাদের মধ্যে সন্ধি করাও। অতঃপর যদি একে অপরের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তবে ওই সীমালঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্‌র নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। অতঃপর যদি তারা ফিরে আসে, তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে সংশোধন করে দাও এবং সুবিচার করো। নিশ্চয় সুবিচারকগণ আল্লাহ্‌র প্রিয়।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর মুসলমানদের দু’দল যুদ্ধে লিপ্ত হলে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দাও। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি এবং সীমালঙ্ঘন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো যারা বাড়াবাড়ি করছে, যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্‌র নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। অতঃপর যদি তারা ফিরে আসে তবে উভয়ের মাঝে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করো এবং সুবিচার করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ন্যায়বিচারকারীদেরকে পচ্ছন্দ করেন।
১০
Play Share Copy
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ اِخۡوَۃٌ فَاَصۡلِحُوۡا بَیۡنَ اَخَوَیۡکُمۡ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. মুসলমান-মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং আপন দু’ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো যাতে তোমাদের উপর দয়া করা হয়।
ইরফানুল কুরআন
১০. সত্য এই যে, (সমস্ত) ঈমানদারগণ (পরস্পরে) ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মাঝে সমঝোতা করো এবং আল্লাহ্কে ভয় করো যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।
১১
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡہُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡہُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. হে ঈমানদারগণ! না পুরুষ পুরুষদেরকে বিদ্রূপ করবে; এটা বিচিত্র নয় যে, তারা ওই বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম হবে; এবং না নারীগণ নারীদেরকে (বিদ্রূপ করবে); এটাও বিচিত্র নয় যে, তারা এই বিদ্রূপকারীনীদের অপেক্ষা উত্তম হবে। এবং তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না আর একে অপরের মন্দ নাম রেখো না। কতই মন্দ নাম- মুসলমান হয়ে ‘ফাসিক্ব’ বলানো! এবং যারা তাওবা করে না, তবে তারাই যালিম।
ইরফানুল কুরআন
১১. হে ঈমানদারগণ! সমাজের কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে, হতে পারে সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম, আর না নারীদের কেউ অপর কোনো নারীকে (উপহাস করবে), হতে পারে সে নারীই (উপহাসকারীনী) নারী অপেক্ষা উত্তম। আর তোমরা একে অপরকে দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাস স্থাপনের পর কাউকে ফাসিক ও পাপিষ্ঠ বলা অতি মন্দ। অতঃপর যারা তওবা না করে তারাই অত্যাচারী।
১২
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡہِ مَیۡتًا فَکَرِہۡتُمُوۡہُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. হে ঈমানদারগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান পাপ হয়ে যায় এবং দোষ তালাশ করো না আর একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ এ কথা পছন্দ করবে যে, যে আপন মৃত ভাইয়ের গোশ্‌ত ভক্ষণ করবে? বস্তুত; এটা তোমাদের নিকট পছন্দীয় হবে না। এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ খুব তাওবা ক্ববূলকারী, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১২. হে ঈমানদারগণ! অধিক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো; নিশ্চয়ই কিছু কিছু ধারণা গোনাহ (যার কারণে পরকালে শাস্তি নির্ধারিত হয়ে যায়)। আর (কারো ত্রুটি এবং গোপন বিষয়ে) গুপ্তচরবৃত্তি করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণাই করবে। আর (এসব বিষয়ে) আল্লাহ্কে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
১৩
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ ذَکَرٍ وَّ اُنۡثٰی وَ جَعَلۡنٰکُمۡ شُعُوۡبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَکۡرَمَکُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ اَتۡقٰکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. হে মানবকূল! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে শাখা-প্রশাখা ও গোত্র-গোত্র করেছি, যাতে পরস্পরের মধ্যে পরিচয় রাখতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সেই, যে তোমাদের মধ্যে অধিক খোদাভীরু। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জানেন, খবর রাখেন।
ইরফানুল কুরআন
১৩. হে মানবসমাজ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন (বৃহৎ) সম্প্রদায় এবং গোত্রে (বিভক্ত) করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র কাছে তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বাধিক সম্মানিত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সমস্ত খবর রাখেন।
১৪
Play Share Copy
قَالَتِ الۡاَعۡرَابُ اٰمَنَّا ؕ قُلۡ لَّمۡ تُؤۡمِنُوۡا وَ لٰکِنۡ قُوۡلُوۡۤا اَسۡلَمۡنَا وَ لَمَّا یَدۡخُلِ الۡاِیۡمَانُ فِیۡ قُلُوۡبِکُمۡ ؕ وَ اِنۡ تُطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ لَا یَلِتۡکُمۡ مِّنۡ اَعۡمَالِکُمۡ شَیۡئًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. মরুবাসীরা বললো, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘তোমরা ঈমান তো আনো নি। হাঁ, এমনই বলো, ‘আমরা অনুগত হয়েছি’। এবং এখন ঈমান তোমাদের অন্তরগুলোতে কোথায় প্রবেশ করেছে? এবং যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের আনুগত্য করো, তবে তোমাদের কোন কর্মেরই কোন অংশ তোমাদেরকে কম দেবেন না, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৪. মরুবাসীরা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’, বলে দিন, ‘তোমরা ঈমান আনয়ন করোনি। হাঁ, বরং বলো, ‘আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি’, কারণ ঈমান এখনো তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি। আর যদি তোমরা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করো, তবে তিনি তোমাদের কর্ম (ও এর প্রতিফল) বিন্দুমাত্র লাঘব করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
১৫
Play Share Copy
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا وَ جٰہَدُوۡا بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصّٰدِقُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. ঈমানদারগণ তো তারাই, যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের উপর ঈমান এনেছে অতঃপর সন্দেহ করে নি এবং আপন প্রাণ ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করেছে। তারাই সত্যবাদী।
ইরফানুল কুরআন
১৫. ঈমানদার তো কেবল তারাই যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি ঈমান এনেছে, অতঃপর সন্দেহে পোষণ করেনি এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করে। তারাই (ঈমানের দাবীতে) সত্যনিষ্ঠ।
১৬
Play Share Copy
قُلۡ اَتُعَلِّمُوۡنَ اللّٰہَ بِدِیۡنِکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. আপনি বলুন! ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌কে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে অবহিত করছো?’ এবং আল্লাহ্‌ জানেন যা কিছু আস্‌মানসমূহে ও যা কিছু যমীনে রয়েছে আর আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
১৬. বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্কে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে অবহিত করছো? অথচ আল্লাহ্ (সবকিছুই) অবগত আছেন, যা কিছু আকাশমন্ডলীতে রয়েছে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে। আর আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত।’
১৭
Play Share Copy
یَمُنُّوۡنَ عَلَیۡکَ اَنۡ اَسۡلَمُوۡا ؕ قُلۡ لَّا تَمُنُّوۡا عَلَیَّ اِسۡلَامَکُمۡ ۚ بَلِ اللّٰہُ یَمُنُّ عَلَیۡکُمۡ اَنۡ ہَدٰىکُمۡ لِلۡاِیۡمَانِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. হে মাহবূব! তারা আপনাকে খোটা দিচ্ছে এ বলে যে, তারা মুসলমান হয়ে গেছে। আপনি বলুন, ‘তোমাদের ইসলাম গ্রহণ আমাকে ধন্য করেছে মনে করো না; বরং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ধন্য করেছেন যে, তিনি তোমাদেরকে ইসলামের দিকে পরিচালিত করেছেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
ইরফানুল কুরআন
১৭. তারা ইসলাম গ্রহণ করে আপনাকে ধন্য করেছে বলে মনে করে। বলে দিন, ‘তোমরা তোমাদের ইসলামকে আমার প্রতি আনুকূল্য মনে করো না, বরং আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তোমাদেরকে ঈমানের পথ দেখিয়েছেন, যদি তোমরা (ঈমানের ব্যাপারে) সত্যবাদী হও।’
১৮
Play Share Copy
اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ غَیۡبَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ بَصِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জানেন আস্‌মানসমূহ ও যমীনের সমস্ত অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম প্রত্যক্ষ করছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর সমস্ত অদৃশ্য বিষয় জানেন এবং আল্লাহ্ ভালোভাবেই দেখেন তোমরা যে আমলই করো।