بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اِذَا السَّمَآءُ انۡفَطَرَتۡ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. যখন আস্মান ফেটে পড়বে,
ইরফানুল কুরআন
১. যখন (সমস্ত) আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হবে,
وَ اِذَا الۡکَوَاکِبُ انۡتَثَرَتۡ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. আর যখন তারকাপুঞ্জ ঝরে পড়বে,
ইরফানুল কুরআন
২. এবং যখন গ্রহগুলো নিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে,
وَ اِذَا الۡبِحَارُ فُجِّرَتۡ ﴿ۙ۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. আর যখন সমুদ্র প্রবাহিত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যখন সমূদ্রসমূহ (এবং নদীগুলো) প্লাবিত হয়ে উপচে পড়বে,
وَ اِذَا الۡقُبُوۡرُ بُعۡثِرَتۡ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং যখন কবরগুলো উন্মোচিত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যখন কবরগুলো উন্মোচন করা হবে,
عَلِمَتۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ وَ اَخَّرَتۡ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তখন প্রত্যেক আত্না অবগত হবে সে সম্পর্কে, যা সে পূর্বে প্রেরণ করেছে এবং পশ্চাতে (রেখে এসেছে)।
ইরফানুল কুরআন
৫. তখন সবাই জেনে যাবে কী আমল সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং (কী) সে পশ্চাতে ফেলে এসেছে।
یٰۤاَیُّہَا الۡاِنۡسَانُ مَا غَرَّکَ بِرَبِّکَ الۡکَرِیۡمِ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. হে মানুষ! তোমাকে কোন জিনিস ধোঁকা দিয়েছে (ভুলিয়ে রেখেছে) আপন করুণাময় রব থেকে?
ইরফানুল কুরআন
৬. হে মানুষ! কীসে তোমাকে তোমার মহিমান্বিত প্রতিপালক সম্পর্কে বিভ্রান্ত করলো?
الَّذِیۡ خَلَقَکَ فَسَوّٰىکَ فَعَدَلَکَ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন অতঃপর সুসমঞ্জস করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
৭. যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন (মাতৃগর্ভে একটি উর্বর ভ্রূণকোষ হতে), তারপর (সূচনাতে তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গঠনের জন্যে) তিনি তোমাকে যথাযথ ও সুষম করেছেন, অতঃপর তোমার গঠনে সমানুপাতিক পরিবর্তন আনয়ন করেছেন,
فِیۡۤ اَیِّ صُوۡرَۃٍ مَّا شَآءَ رَکَّبَکَ ؕ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. যে আকৃতিতেই চেয়েছেন, তোমাকে গঠন করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৮. যে রূপেই তিনি চেয়েছেন, সে রূপেই তোমাকে গড়েছেন।
کَلَّا بَلۡ تُکَذِّبُوۡنَ بِالدِّیۡنِ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. কিছুই নয়, বরং তোমরা বিচার হওয়াকে অস্বীকার করছো;
ইরফানুল কুরআন
৯. প্রকৃত সত্য তো এই যে, (আর) পক্ষান্তরে তোমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করো।
وَ اِنَّ عَلَیۡکُمۡ لَحٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং নিশ্চয় তোমাদের উপর কিছু সংখ্যক রক্ষনাবেক্ষণকারী রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১০. অথচ তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাগণ নিযুক্ত আছেন,
کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. সম্মানিত লিখকগণ;
ইরফানুল কুরআন
১১. (যারা) অধিক সম্মানিত, (তোমাদের আমলনামার) লিপিকার।
یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. তারা জানে যা কিছু তোমরা করো।
ইরফানুল কুরআন
১২. তাঁরা সে (সব কর্মকান্ড) সম্পর্কে জানেন, যা তোমরা করো।
اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ ﴿ۚ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. নিশ্চয় পূণ্যবান তো অবশ্য শান্তিতে থাকবে;
ইরফানুল কুরআন
১৩. নিশ্চয়ই, পূণ্যবানেরা থাকবেন নেয়ামতের উদ্যানে।
وَ اِنَّ الۡفُجَّارَ لَفِیۡ جَحِیۡمٍ ﴿ۚۖ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং নিশ্চয় পাপীরা অবশ্য জাহান্নামে যাবে;
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর পাপাচারীরা তো থাকবে (প্রজ্বলিত অগ্নির) জাহান্নামে।
یَّصۡلَوۡنَہَا یَوۡمَ الدِّیۡنِ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. ইনসাফের দিন তাতে গমন করবে;
ইরফানুল কুরআন
১৫. তারা কিয়ামতের দিন তাতে প্রবেশ করবে,
وَ مَا ہُمۡ عَنۡہَا بِغَآئِبِیۡنَ ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং তা থেকে কোথাও লুকাতে পারবে না।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর তারা তা থেকে (অর্থাৎ দোযখ থেকে কখনোই) অন্তর্হিত হতে পারবে না।
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا یَوۡمُ الدِّیۡنِ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. আর তুমি কি জানো ইনসাফের দিন কেমন?
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর আপনি কী মনে করেন, প্রতিদান দিবস কী?
ثُمَّ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا یَوۡمُ الدِّیۡنِ ﴿ؕ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. অতঃপর তুমি কি জানো বিচারের দিন কেমন?
ইরফানুল কুরআন
১৮. অতঃপর আপনি কী জানলেন যে, প্রতিদান দিবস কী?
یَوۡمَ لَا تَمۡلِکُ نَفۡسٌ لِّنَفۡسٍ شَیۡئًا ؕ وَ الۡاَمۡرُ یَوۡمَئِذٍ لِّلّٰہِ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. যেদিন কোন আত্না অপর কোন আত্নার উপর কোন অধিকারই রাখবে না এবং সেদিন সমস্ত হুকুম আল্লাহ্রই হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. (এটি) সে দিন যখন কোনো সত্তাই কারো জন্যে কিছু করতে সমর্থ হবে না, আর সেদিন কর্তৃত্ব হবে শুধু আল্লাহ্ তা’আলারই।