بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
ہَلۡ اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ حِیۡنٌ مِّنَ الدَّہۡرِ لَمۡ یَکُنۡ شَیۡئًا مَّذۡکُوۡرًا ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. নিশ্চয় মানুষের উপর এক সময় এমনও অতিবাহিত হয়েছে যে, কোথাও তার নাম পর্যন্ত ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১. নিশ্চিত কালপ্রবাহে মানুষের এমন এক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।
اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ اَمۡشَاجٍ ٭ۖ نَّبۡتَلِیۡہِ فَجَعَلۡنٰہُ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্রিত বীর্য থেকে (এজন্য) যে, আমি তাকে পরীক্ষা করবো অতঃপর তাকে শ্রবণকারী, দর্শনকারী করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
২. নিশ্চয়ই আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, যা আমরা (এক স্তর থেকে অন্য স্তরের দিকে জন্ম পর্যন্ত) পরিবর্তন এবং পরীক্ষা করি। অতঃপর (পর্যায়ক্রমে) আমরা তাকে শ্রবণ, (এরপর) দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন করেছি।
اِنَّا ہَدَیۡنٰہُ السَّبِیۡلَ اِمَّا شَاکِرًا وَّ اِمَّا کَفُوۡرًا ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিশ্চয় আমি তাকে পথ বাতলিয়ে দিয়েছি হয়তো সে কৃতজ্ঞ হবে, অথবা অকৃতজ্ঞ।
ইরফানুল কুরআন
৩. নিশ্চয়ই আমরা তাকে (সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করার উপলদ্ধি ও অন্তর্দৃষ্টির) পথও দেখিয়েছি। (এখন) চাই সে কৃতজ্ঞ হোক অথবা অকৃতজ্ঞ।
اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ سَلٰسِلَا۠ وَ اَغۡلٰلًا وَّ سَعِیۡرًا ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শৃঙ্খলসমূহ, বেড়ী এবং জ্বলন্ত আগুন।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই আমরা কাফেরদের জন্যে প্রস্তুত করে রেখেছি (পায়ের) শৃঙ্খল, (ঘাড়ের) বেড়ী এবং (জাহান্নামের) লেলিহান অগ্নি।
اِنَّ الۡاَبۡرَارَ یَشۡرَبُوۡنَ مِنۡ کَاۡسٍ کَانَ مِزَاجُہَا کَافُوۡرًا ۚ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণ লোকেরা পান করবে ওই পাত্র থেকে, যার মিশ্রণ হচ্ছে কাফুর। (ওই কাফুর কি?)
ইরফানুল কুরআন
৫. নিশ্চয়ই একনিষ্ঠ অনুগত বান্দাগণ পানপাত্র থেকে পান করবেন (পবিত্র পানীয়), যাতে থাকবে (সুগন্ধ, রং এবং স্বাদ বৃদ্ধির জন্যে) কাফুরের মিশ্রণ।
عَیۡنًا یَّشۡرَبُ بِہَا عِبَادُ اللّٰہِ یُفَجِّرُوۡنَہَا تَفۡجِیۡرًا ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. একটা ঝর্ণা, যা থেকে আল্লাহ্র অত্যন্ত খাস বান্দাগণ পান করবে আপন আপন প্রাসাদসমূহে, সেটাকে যেখানে ইচ্ছা প্রবাহিত করে নিয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৬. (কাফুর হলো জান্নাতের) একটি প্রস্রবণ, যা থেকে আল্লাহ্র (বিশিষ্ট) বান্দাগণ (অর্থাৎ আল্লাহ্র অলিগণ) পান করবেন, (এবং) যেখানে চাইবেন (অন্যদেরকে পান করানোর জন্যে) ছোটো ছোটো প্রস্রবণাকারে প্রবাহিত করবেন।
یُوۡفُوۡنَ بِالنَّذۡرِ وَ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا کَانَ شَرُّہٗ مُسۡتَطِیۡرًا ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. তারা আপন মান্নতসমূহ পূর্ণ করে এবং ওই দিনকে ভয় করে, যে দিনের অমঙ্গল সর্বব্যাপী।
ইরফানুল কুরআন
৭. (আল্লাহ্র বিশিষ্ট বান্দা তাঁরা) যাঁরা (নিজেদের) মান্নত পূর্ণ করেন এবং সে দিনের ভয় করেন, যে দিনের অনিষ্ট হবে ব্যাপক।
وَ یُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ یَتِیۡمًا وَّ اَسِیۡرًا ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং আহার করায় তার ভালোবাসার উপর মিসকীন, এতিম ও বন্দীকে।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর আল্লাহ্র ভালোবাসায় (নিজেদের চাহিদা ও প্রয়োজন থাকা সত্বেও উৎসর্গ করার নিমিত্তে নিজেদের) আহার্য দান করেন অভাবগ্রস্তকে, এতিমকে এবং বন্দীকে।
اِنَّمَا نُطۡعِمُکُمۡ لِوَجۡہِ اللّٰہِ لَا نُرِیۡدُ مِنۡکُمۡ جَزَآءً وَّ لَا شُکُوۡرًا ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তাদেরকে বলে, ‘আমরা একমাত্র আল্লাহ্রই (সন্তুষ্টির) জন্য তোমাদেরকে আহার্য প্রদান করছি, তোমাদের নিকট থেকে কোন বিনিময় কিংবা কৃতজ্ঞতা চাই না’।
ইরফানুল কুরআন
তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।
اِنَّا نَخَافُ مِنۡ رَّبِّنَا یَوۡمًا عَبُوۡسًا قَمۡطَرِیۡرًا ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. নিশ্চয় আমাদের আপন রবের নিকট থেকে এমন একদিনের ভয় রয়েছে যা অতি মাত্রায় ভীতিপদ, অত্যন্ত কঠোর।
ইরফানুল কুরআন
আমরা আমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি।
فَوَقٰہُمُ اللّٰہُ شَرَّ ذٰلِکَ الۡیَوۡمِ وَ لَقّٰہُمۡ نَضۡرَۃً وَّ سُرُوۡرًا ﴿ۚ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. সুতরাং তাদেরকে আল্লাহ্ ওই দিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন এবং তাদেরকে সজীবতা ও আনন্দ দান করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।
وَ جَزٰىہُمۡ بِمَا صَبَرُوۡا جَنَّۃً وَّ حَرِیۡرًا ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং তাদের ধৈর্যের উপর তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী পোশাক পুরস্কাররূপে দান করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।
مُّتَّکِـِٕیۡنَ فِیۡہَا عَلَی الۡاَرَآئِکِ ۚ لَا یَرَوۡنَ فِیۡہَا شَمۡسًا وَّ لَا زَمۡہَرِیۡرًا ﴿ۚ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. জান্নাতের মধ্যে আসনগুলোর উপর হেলান দিয়ে উপবিষ্ট থাকবে- তাতে না রোদ দেখবে, না অতি শীত।
ইরফানুল কুরআন
তারা সেখানে সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে রৌদ্র ও শৈত্য অনুভব করবে না।
وَ دَانِیَۃً عَلَیۡہِمۡ ظِلٰلُہَا وَ ذُلِّلَتۡ قُطُوۡفُہَا تَذۡلِیۡلًا ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং সেটার ছায়াগুলো তাদের উপর সন্নিহিত থাকবে এবং সেটার গুচ্ছগুলো ঝুলিয়ে নিচে এনে দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
তার বৃক্ষছায়া তাদের উপর ঝুঁকে থাকবে এবং তার ফলসমূহ তাদের আয়ত্তাধীন রাখা হবে।
وَ یُطَافُ عَلَیۡہِمۡ بِاٰنِیَۃٍ مِّنۡ فِضَّۃٍ وَّ اَکۡوَابٍ کَانَتۡ قَؔوَارِیۡرَا۠ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং তাদের সম্মুখে রূপার পাত্রসমূহ ও পান-পাত্রাদি (পরিবেশনের জন্য) ঘুরানো ফেরানো হবে, যেগুলো স্ফটিকের ন্যায় পরিস্কার হবে।
ইরফানুল কুরআন
তাদেরকে পরিবেশন করা হবে রূপার পাত্রে এবং স্ফটিকের মত পানপাত্রে।
قَؔوَارِیۡرَا۠ مِنۡ فِضَّۃٍ قَدَّرُوۡہَا تَقۡدِیۡرًا ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. কেমন স্ফটিক? রূপারই। সাক্বীগণ সেগুলোকে পূর্ণ পরিমাণে ভর্তি করে রেখেছে- এমন হবে।
ইরফানুল কুরআন
রূপালী স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা তা পরিমাপ করে পূর্ণ করবে।
وَ یُسۡقَوۡنَ فِیۡہَا کَاۡسًا کَانَ مِزَاجُہَا زَنۡجَبِیۡلًا ﴿ۚ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং তাতে ওই পাত্র থেকে পান করানো হবে, যার মিশ্রণ হবে আদা।
ইরফানুল কুরআন
তাদেরকে সেখানে পান করানো হবে ‘যানজাবীল’ মিশ্রিত পানপাত্র।
عَیۡنًا فِیۡہَا تُسَمّٰی سَلۡسَبِیۡلًا ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. ওই আদা কি? জান্নাতের একটা ঝর্ণা, যাকে ‘সালসাবীল’ বলা হয়।
ইরফানুল কুরআন
এটা জান্নাতস্থিত ‘সালসাবীল’ নামক একটি ঝরণা।
وَ یَطُوۡفُ عَلَیۡہِمۡ وِلۡدَانٌ مُّخَلَّدُوۡنَ ۚ اِذَا رَاَیۡتَہُمۡ حَسِبۡتَہُمۡ لُؤۡلُؤًا مَّنۡثُوۡرًا ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তাদের চতুর্পাশে সেবার নিমিত্ত প্রদক্ষিণ করবে চির কিশোররা; যখন তুমি তাদেরকে দেখবে তখন তাদেরকে মনে করবে বিক্ষিপ্ত মুক্তারাজি।
ইরফানুল কুরআন
তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরগণ। আপনি তাদেরকে দেখে মনে করবেন যেন বিক্ষিপ্ত মনি-মুক্তা।
وَ اِذَا رَاَیۡتَ ثَمَّ رَاَیۡتَ نَعِیۡمًا وَّ مُلۡکًا کَبِیۡرًا ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং যখন তুমি এদিক-সেদিক তাকাবে তখন এক মহা শান্তি দেখবে এবং মহা বাদশাহী।
ইরফানুল কুরআন
আপনি যখন সেখানে দেখবেন, তখন নেয়ামতরাজি ও বিশাল রাজ্য দেখতে পাবেন।
عٰلِیَہُمۡ ثِیَابُ سُنۡدُسٍ خُضۡرٌ وَّ اِسۡتَبۡرَقٌ ۫ وَّ حُلُّوۡۤا اَسَاوِرَ مِنۡ فِضَّۃٍ ۚ وَ سَقٰہُمۡ رَبُّہُمۡ شَرَابًا طَہُوۡرًا ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. তাদের গায়ে রয়েছে পাতলা রেশমের সবুজ বস্ত্র এবং মোটা রেশমের। আর তাদেরকে রূপার কঙ্কণ পরানো হবে; এবং তাদেরকে তাদের রব পবিত্র পানীয় পান করাবেন।
ইরফানুল কুরআন
তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা সবুজ রেশম এবং তাদেরকে পরিধান করোনো হবে রৌপ্য নির্মিত কংকণ এবং তাদের পালনকর্তা তাদেরকে পান করাবেন ‘শরাবান-তহুরা’।
اِنَّ ہٰذَا کَانَ لَکُمۡ جَزَآءً وَّ کَانَ سَعۡیُکُمۡ مَّشۡکُوۡرًا ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তাদেরকে বলা হবে, ‘এটা হচ্ছে তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের পরিশ্রম যথাস্থানে পৌঁছেছে।
ইরফানুল কুরআন
এটা তোমাদের প্রতিদান। তোমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি লাভ করেছে।
اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡقُرۡاٰنَ تَنۡزِیۡلًا ﴿ۚ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি ক্বোরআন ক্রমান্বয়ে অবতীর্ণ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
আমি আপনার প্রতি পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি।
فَاصۡبِرۡ لِحُکۡمِ رَبِّکَ وَ لَا تُطِعۡ مِنۡہُمۡ اٰثِمًا اَوۡ کَفُوۡرًا ﴿ۚ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. সুতরাং আপন রবের নির্দেশের উপর ধৈর্যশীল থাকুন; এবং তাদের মধ্যে কোন পাপী অথবা অকৃতজ্ঞের কথা শ্রবণ করবেন না।
ইরফানুল কুরআন
অতএব, আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের জন্যে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন এবং ওদের মধ্যকার কোন পাপিষ্ঠ কাফেরের আনুগত্য করবেন না।
وَ اذۡکُرِ اسۡمَ رَبِّکَ بُکۡرَۃً وَّ اَصِیۡلًا ﴿ۖۚ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং আপন রবের নাম সকাল ও সন্ধ্যায় স্মরণ করুন!
ইরফানুল কুরআন
এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপন পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন।
وَ مِنَ الَّیۡلِ فَاسۡجُدۡ لَہٗ وَ سَبِّحۡہُ لَیۡلًا طَوِیۡلًا ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং রাতের কিছু অংশে তাকে সাজদা করুন; আর দীর্ঘ রাত পর্যন্ত তার পবিত্রতা ঘোষনা করুন।
ইরফানুল কুরআন
রাত্রির কিছু অংশে তাঁর উদ্দেশে সিজদা করুন এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
اِنَّ ہٰۤؤُلَآءِ یُحِبُّوۡنَ الۡعَاجِلَۃَ وَ یَذَرُوۡنَ وَرَآءَہُمۡ یَوۡمًا ثَقِیۡلًا ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. নিশ্চয় এসব লোক পদতলের পৃথিবীকে ভালোবাসে এবং নিজেদের পেছনের এক ভারী (কঠিন) দিনকে বর্জন করে বসেছে।
ইরফানুল কুরআন
নিশ্চয় এরা পার্থিব জীবনকে ভালবাসে এবং এক কঠিন দিবসকে পশ্চাতে ফেলে রাখে।
نَحۡنُ خَلَقۡنٰہُمۡ وَ شَدَدۡنَاۤ اَسۡرَہُمۡ ۚ وَ اِذَا شِئۡنَا بَدَّلۡنَاۤ اَمۡثَالَہُمۡ تَبۡدِیۡلًا ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং তাদের সন্ধিস্থলকে মজবুত করেছি। এবং আমি যখনই চাই তাদের মতো অন্যান্যদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারি।
ইরফানুল কুরআন
আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং মজবুত করেছি তাদের গঠন। আমি যখন ইচ্ছা করব, তখন তাদের পরিবর্তে তাদের অনুরূপ লোক আনব।
اِنَّ ہٰذِہٖ تَذۡکِرَۃٌ ۚ فَمَنۡ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰی رَبِّہٖ سَبِیۡلًا ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. নিশ্চয় এটা হচ্ছে উপদেশ। সুতরাং যার ইচ্ছা হয় যে যেন আপন রবের দিকে রাস্তা ধরে।
ইরফানুল কুরআন
এটা উপদেশ, অতএব যার ইচ্ছা হয় সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক।
وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿٭ۖ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং তোমরা কি চাও? কিন্তু তাই হয় যা আল্লাহ্ চান। নিশ্চয় তিনি জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময়;
ইরফানুল কুরআন
আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
یُّدۡخِلُ مَنۡ یَّشَآءُ فِیۡ رَحۡمَتِہٖ ؕ وَ الظّٰلِمِیۡنَ اَعَدَّ لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. আপন করুণার মধ্যে শামিল করে নেন যাকে চান; এবং যালিমদের জন্য তিনি বেদনাদায়ক শাস্তি তৈরি করে রেখেছেন।
ইরফানুল কুরআন
তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁর রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের জন্যে তো প্রস্তুত রেখেছেন মর্মন্তুদ শাস্তি।