بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اِذَا السَّمَآءُ انۡشَقَّتۡ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. যখন আস্মান বিদীর্ণ হবে,
ইরফানুল কুরআন
১. যখন (সমস্ত) আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হবে,
وَ اَذِنَتۡ لِرَبِّہَا وَ حُقَّتۡ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং স্বীয় রবের আদেশ শুনবে এবং তার জন্য উচিতও হচ্ছে এটাই।
ইরফানুল কুরআন
২. এবং আপন প্রতিপালকের (বিদীর্ণতার) হুকুম পালন করবে, আর (এ সে আদেশ পালন) যা তারা করতে বাধ্য।
وَ اِذَا الۡاَرۡضُ مُدَّتۡ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং যখন যমীনকে প্রসারিত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যখন পৃথিবীকে (চূর্ণ-বিচূর্ণ করে) সম্প্রসারিত করা হবে,
وَ اَلۡقَتۡ مَا فِیۡہَا وَ تَخَلَّتۡ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আর যা কিছু এর মধ্যে রয়েছে ঢেলে দেবে এবং শূন্য হয়ে যাবে,
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যা কিছু তার অভ্যন্তরে রয়েছে, সবই সে বের করে বাইরে নিক্ষেপ করবে এবং খালি হয়ে যাবে।
وَ اَذِنَتۡ لِرَبِّہَا وَ حُقَّتۡ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং স্বীয় রবের নির্দেশ শুনবে এবং তার জন্য উচিতও হচ্ছে এটাই।
ইরফানুল কুরআন
৫. এবং (সেও) স্বীয় প্রতিপালকের (মহাপ্রলয় সংক্রান্ত বিদীর্ণ হওয়ার বিষয়ে) আদেশ পালন করবে যা (পালনে আনুগত্য করাই) তার জন্যে যথাযথ।
یٰۤاَیُّہَا الۡاِنۡسَانُ اِنَّکَ کَادِحٌ اِلٰی رَبِّکَ کَدۡحًا فَمُلٰقِیۡہِ ۚ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. হে মানব! নিশ্চয় তোমাকে আপন রবের প্রতি অবশ্য দৌঁড়াতে হবে। অতঃপর তার সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৬. হে মানুষ! তুমি আপন প্রতিপালক পর্যন্ত পৌঁছুতে কঠোর প্রচেষ্টায় মগ্ন হও, পরিশেষে তুমি তাঁরই সাথে মিলিত হবে।
فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِیَمِیۡنِہٖ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. অতঃপর ওই ব্যক্তি, যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭. অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে,
فَسَوۡفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیۡرًا ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. অতিসত্বর তার থেকে সহজ হিসাব গ্রহণ করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৮. তবে অচিরেই তার কাছ থেকে সহজ হিসাব গ্রহণ করা হবে,
وَّ یَنۡقَلِبُ اِلٰۤی اَہۡلِہٖ مَسۡرُوۡرًا ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং আপন পরিবার-পরিজনের প্রতি আনন্দিত অবস্থায় ফিরবে।
ইরফানুল কুরআন
৯. এবং সে তার পরিবার পরিজনের কাছে প্রফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে।
وَ اَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ وَرَآءَ ظَہۡرِہٖ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং ওই ব্যক্তি, যার কর্মলিপি তার পিঠের পেছন দিকে দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর নিশ্চয়ই সে ব্যক্তি, যার আমলনামা তাকে তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে,
فَسَوۡفَ یَدۡعُوۡا ثُبُوۡرًا ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. ওই ব্যক্তি অচিরেই মৃত্যু প্রার্থনা করবে;
ইরফানুল কুরআন
১১. শীঘ্রই সে চিৎকার করে মৃত্যুকে ডাকবে,
وَّ یَصۡلٰی سَعِیۡرًا ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে;
ইরফানুল কুরআন
১২. এবং সে প্রবেশ করবে জাহান্নামের প্রজ্বলিত অগ্নিতে।
اِنَّہٗ کَانَ فِیۡۤ اَہۡلِہٖ مَسۡرُوۡرًا ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. নিশ্চয় সে আপন ঘরে আনন্দিত ছিলো;
ইরফানুল কুরআন
১৩. নিশ্চয়ই সে (পার্থিব জীবনে) তার পরিবার পরিজনের সাথে আনন্দিত ও প্রফুল্ল থাকতো।
اِنَّہٗ ظَنَّ اَنۡ لَّنۡ یَّحُوۡرَ ﴿ۚۛ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. সে মনে করলো যে, তাকে ফিরতে হবে না;
ইরফানুল কুরআন
১৪. নিঃসন্দেহে সে এ ভেবে নিয়েছিল যে, হিসাবের জন্যে (আল্লাহ্র কাছে) সে কখনোই ফিরে যাবেনা।
بَلٰۤی ۚۛ اِنَّ رَبَّہٗ کَانَ بِہٖ بَصِیۡرًا ﴿ؕ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. হাঁ, কেন নয়? নিশ্চয় তার রব তাকে দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৫. কেন নয়! অবশ্যই তার প্রতিপালক তার প্রতি সতত দৃষ্টিশীল।
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالشَّفَقِ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. অতঃপর শপথ আমায়, সন্ধ্যালোকের ঔজ্জ্বল্যের
ইরফানুল কুরআন
১৬. অতঃপর আমি শপথ করছি সন্ধ্যালোকের (অর্থাৎ গোধূলিবেলার অথবা তারপরের ক্ষীণ আলোক আভার),
وَ الَّیۡلِ وَ مَا وَسَقَ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. ও রাতের এবং ওই সমস্ত বস্তুর (শপথ) যেগুলো তন্মধ্যে একত্রিত হয়,
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর শপথ রাতের এবং যা কিছু তা (তার আলিঙ্গনে) জড়িয়ে নেয়,
وَ الۡقَمَرِ اِذَا اتَّسَقَ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং চাদের, যখন পূর্ণাঙ্গ হয়-
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর শপথ চাঁদের, যখন তা পরিপূর্ণ অবয়বে দৃশ্যমান হয়,
لَتَرۡکَبُنَّ طَبَقًا عَنۡ طَبَقٍ ﴿ؕ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. অবশ্য তোমরা স্তরের পর স্তর উত্তীর্ণ হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. তোমরা অবশ্য অবশ্যই স্তরের পর স্তরে আরোহণ করে গমন করবে।
فَمَا لَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. সুতরাং তাদের কী হয়েছে তারা ঈমান আনছে না
ইরফানুল কুরআন
২০. তবে তাদের কী হলো যে, (কুরআনের পূর্বাভাসে সত্য প্রত্যক্ষ করার পরেও) তারা ঈমান আনয়ন করে না?
وَ اِذَا قُرِئَ عَلَیۡہِمُ الۡقُرۡاٰنُ لَا یَسۡجُدُوۡنَ ﴿ؕٛ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. আর যখন ক্বোরআন পড়া হয় সাজদা করে না?
ইরফানুল কুরআন
২১. আর যখন তাদের নিকট কুরআন তেলায়াত করা হয়, তারা (আল্লাহ্র সমীপে) সিজদাবনত হয় না?
بَلِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُکَذِّبُوۡنَ ﴿۫ۖ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. বরং কাফির অস্বীকার করছে।
ইরফানুল কুরআন
২২. বরং, কাফেরেরা (একে আরও) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে।
وَ اللّٰہُ اَعۡلَمُ بِمَا یُوۡعُوۡنَ ﴿۫ۖ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং আল্লাহ্ ভালোভাবে জানেন, যা তারা তাদের মনে পোষণ করছে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর আল্লাহই্ ভালো জানেন (কুফরী ও শত্রুতার সে উপকরণ) যা তারা সঞ্চয় করছে।
فَبَشِّرۡہُمۡ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. সুতরাং আপনি তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন;
ইরফানুল কুরআন
২৪. অতএব আপনি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন।
اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ اَجۡرٌ غَیۡرُ مَمۡنُوۡنٍ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. কিন্তু, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের জন্য ওই সাওয়াব রয়েছে, যা কখনো শেষ হবে না।
ইরফানুল কুরআন
২৫. কিন্তু যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে সীমাহীন (চিরকালীন) পুরষ্কার।