بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হা-মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. হা-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَکِیۡمِ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. কিতাবের অবতারণ হচ্ছে আল্লাহ্, সম্মান ও প্রজ্ঞাময়ের নিকট থেকে।
ইরফানুল কুরআন
২. (এ) কিতাব অবতীর্ণ আল্লাহ্র নিকট থেকে, যিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
اِنَّ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ لَاٰیٰتٍ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিশ্চয় আস্মানসমূহ ও যমীনের মধ্যে নিদর্শনগুলো রয়েছে ঈমানদারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩. নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে মুমিনদের জন্যে।
وَ فِیۡ خَلۡقِکُمۡ وَ مَا یَبُثُّ مِنۡ دَآبَّۃٍ اٰیٰتٌ لِّقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং তোমাদের সৃষ্টিতে আর যে যে প্রাণীকে তিনি ছড়িয়ে দেন, সেগুলোর মধ্যে নিদর্শনসমূহ রয়েছে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য;
ইরফানুল কুরআন
৪. আর তোমাদের (নিজেদের) সৃজনে এবং বিচরণশীল জীবজন্তুর মাঝে যেগুলোর বিস্তার তিনি ঘটিয়েছেন তাতে নিদর্শনাবলী রয়েছে বিশ্বাস স্থাপনকারীদের জন্যে।
وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّہَارِ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ رِّزۡقٍ فَاَحۡیَا بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا وَ تَصۡرِیۡفِ الرِّیٰحِ اٰیٰتٌ لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনগুলোর মধ্যে; এবং এ’তে যে, আল্লাহ্ আস্মান থেকে জীবিকার উপকরণস্বরূপ বারি বর্ষণ করেছেন। অতঃপর তা দ্বারা যমীনকে সেটার মৃত্যুর পর জীবিত করেছেন; এবং বায়ুগুলোর অবস্থাদির পরিবর্তনের মধ্যে নিদর্শনাদি রয়েছে বিবেকবানদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর রাত্রি এবং দিবসের অগ্র-পশ্চাত পরিবর্তনে এবং আকাশ থেকে (বৃষ্টির আকারে) আল্লাহ্ যে জীবিকা প্রেরণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা পৃথিবীকে এর মৃতাবস্থার পর পুনর্জীবিত করেন তাতে এবং (একইভাবে) বায়ুর দিক পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেসব লোকের জন্যে যারা বুদ্ধি রাখে ও উপলব্ধি করে।
تِلۡکَ اٰیٰتُ اللّٰہِ نَتۡلُوۡہَا عَلَیۡکَ بِالۡحَقِّ ۚ فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَ اللّٰہِ وَ اٰیٰتِہٖ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এগুলো আল্লাহ্র নিদর্শন, আমি আপনার উপর সত্য সহকারে পাঠ করছি। অতঃপর আল্লাহ্ ও তার নিদর্শনগুলো ছেড়ে কোন কথার উপর ঈমান আনবে?
ইরফানুল কুরআন
৬. এগুলো আল্লাহ্র নিদর্শনাবলী যা আমরা আপনার প্রতি সম্পূর্ণ সত্য সহকারে পাঠ করি। অতঃপর আল্লাহ্ এবং তাঁর আয়াতসমূহের পর এ লোকেরা কোনো বাণীতে বিশ্বাস করবে?
وَیۡلٌ لِّکُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیۡمٍ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. দুর্ভোগ রয়েছে প্রত্যেক বড় অপবাদ রচনাকারী, পাপীর জন্য;
ইরফানুল কুরআন
৭. দুর্ভোগ প্রত্যেক জঘন্য মিথ্যা অপবাদ রটনাকারী (এবং) ঘোর পাপীর,
یَّسۡمَعُ اٰیٰتِ اللّٰہِ تُتۡلٰی عَلَیۡہِ ثُمَّ یُصِرُّ مُسۡتَکۡبِرًا کَاَنۡ لَّمۡ یَسۡمَعۡہَا ۚ فَبَشِّرۡہُ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আল্লাহ্র আয়াতসমূহ শুনে, যেগুলো তার উপর পাঠ করা হয়, অতঃপর একগুয়েমী করে বসে থাকে, অহঙ্কার করে, যেন সেগুলো শুনেই নি। সুতরাং তাকে সুসংবাদ শুনান বেদনাদায়ক শাস্তির!
ইরফানুল কুরআন
৮. যে আল্লাহ্র আয়াতসমূহ শোনে যা তার প্রতি পাঠ করা হয় অথচ ঔদ্ধত্যের সাথে (স্বীয় কুফরীতে) অটল থাকে যেন সে তা শুনেইনি। তবে তাকে সংবাদ দিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির।
وَ اِذَا عَلِمَ مِنۡ اٰیٰتِنَا شَیۡئَۨا اتَّخَذَہَا ہُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং যখন আমার আয়াতগুলোর মধ্য থেকে কোন একটা সম্পর্কে অবগত হয়, তখন সে তা নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। তাদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর যখন সে আমাদের (কুরআনের) কোনো আয়াত অবগত হয় তখন সে তা নিয়ে উপহাস করে। এসব লোকদের জন্যেই রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।
مِنۡ وَّرَآئِہِمۡ جَہَنَّمُ ۚ وَ لَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُمۡ مَّا کَسَبُوۡا شَیۡئًا وَّ لَا مَا اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তাদের পেছনে রয়েছে জাহান্নাম; এবং তাদের কোন কাজে আসবে না তাদের উপার্জন আর না তাই, যাকে তারা আল্লাহ্ ব্যতীত সাহায্যকারী স্থির করে রেখেছিলো এবং তাদের জন্য মহা শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১০. তাদের (এ পার্থিব সময়কালের) পশ্চাতে রয়েছে জাহান্নাম, আর তারা (পার্থিব সম্পদের) যা কিছু অর্জন করেছে তা তাদের কোনো কাজে আসবে না এবং সেসবও (কাজে আসবে) না যেগুলোকে তারা আল্লাহ্র পরিবর্তে অভিভাবক নির্ধারণ করেছে। আর তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি।
ہٰذَا ہُدًی ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ لَہُمۡ عَذَابٌ مِّنۡ رِّجۡزٍ اَلِیۡمٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এ হচ্ছে পথ দেখানো এবং যারা আপন রবের আয়াত গুলোকে অমান্য করেছে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি থেকে কঠিনতম শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১১. এ (কুরআন) সৎপথের দিশারী। আর যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
اَللّٰہُ الَّذِیۡ سَخَّرَ لَکُمُ الۡبَحۡرَ لِتَجۡرِیَ الۡفُلۡکُ فِیۡہِ بِاَمۡرِہٖ وَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِہٖ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿ۚ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. আল্লাহ্ যিনি সমুদ্রকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণে করে দিয়েছেন, যাতে এর মধ্যে তার নির্দেশে নৌযানগুলো চলাচল করে এবং এ জন্য যে, তোমরা তার অনুগ্রহ সন্ধান করবে, আর এজন্য যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
ইরফানুল কুরআন
১২. আল্লাহই তো সমুদ্রকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন, যাতে তাঁর নির্দেশে তাতে জাহাজ ও নৌকাসমূহ চলাচল করতে পারে এবং যাতে তোমরা (সমুদ্র পথেও) তাঁর অনুগ্রহ (অর্থাৎ রিযিক) অন্বেষণ করতে পারো এবং এ জন্যে যে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
وَ سَخَّرَ لَکُمۡ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا مِّنۡہُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং তোমাদের জন্য কাজে লাগিয়েছেন যা কিছু আস্মানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে স্বীয় নির্দেশে। নিশ্চয় তাতে নিদর্শনাদি রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর তিনি তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে তার সবকিছু, তাঁর পক্ষ থেকে (শৃঙ্খলার অধীনে)। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে তাদের জন্যে যারা গভীর চিন্তা-ভাবনা করে।
قُلۡ لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یَغۡفِرُوۡا لِلَّذِیۡنَ لَا یَرۡجُوۡنَ اَیَّامَ اللّٰہِ لِیَجۡزِیَ قَوۡمًۢا بِمَا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. ঈমানদারদেরকে বলুন, ‘তারা যেন ক্ষমা করে দেয় তাদেরকে, যারা আল্লাহ্র দিনগুলোর আশা রাখে না, যাতে আল্লাহ্ তা’আলা এক সম্প্রদায়কে তার উপার্জনের বিনিময় দেন।
ইরফানুল কুরআন
১৪. ঈমানদারগণকে বলে দিন, তারা যেন সেসব লোককে উপেক্ষা করে যারা আল্লাহ্র দিবসগুলোর (আগমনের) প্রত্যাশা এবং ভয় করে না; যাতে তিনি তাদের কর্মের প্রতিদান দিতে পারেন যা তারা অর্জন করতো।
مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفۡسِہٖ ۚ وَ مَنۡ اَسَآءَ فَعَلَیۡہَا ۫ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. যে ব্যক্তি সৎকাজ করে তবে তা নিজের জন্য; আর মন্দ কাজ করলে তা হবে তার নিজের ক্ষতির জন্য। অতঃপর তোমরা তোমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. যে সৎকর্ম করে সে তার নিজের (উপকারের) জন্যেই করে, আর যে মন্দকর্ম করে (এর পরিণতিও) তার জন্যেই। অতঃপর তোমরা সকলে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে।
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحُکۡمَ وَ النُّبُوَّۃَ وَ رَزَقۡنٰہُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰہُمۡ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۚ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং নিশ্চয় আমি বনী ইস্রাঈলকে কিতাব, শাসন ক্ষমতা ও নুবূয়ত দান করেছি এবং আমি তাদেরকে পবিত্র জীবিকা প্রদান করেছি; এবং তাদেরকে তাদের যুগের লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর আমরা তো বনী ইসরাঈলকে কিতাব, শাসনক্ষমতা এবং নবুয়্যত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে জীবনোপকরণ দিয়েছিলাম উত্তম বস্তু থেকে। আর আমরা তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম সমগ্র জাহানের (সমসাময়িক কালের জাতি এবং সভ্যতাগুলোর) উপর।
وَ اٰتَیۡنٰہُمۡ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡاَمۡرِ ۚ فَمَا اخۡتَلَفُوۡۤا اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَہُمُ الۡعِلۡمُ ۙ بَغۡیًۢا بَیۡنَہُمۡ ؕ اِنَّ رَبَّکَ یَقۡضِیۡ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فِیۡمَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং আমি তাদেরকে এ কাজের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি প্রদান করেছি। সুতরাং তারা মতভেদ করে নি কিন্তু এর পর যে, জ্ঞান তাদের নিকট এসেছে, পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশতঃ নিশ্চয় আপনার রব ক্বিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন যে বিষয়ে তারা মতভেদ করে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর আমরা তাদেরকে প্রদান করেছিলাম দ্বীনের (এবং নবুয়্যতের) সুস্পষ্ট প্রমাণাদি ও নিদর্শনাবলী। কিন্তু তাদের নিকট (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের আবির্ভাবের) জ্ঞান আসার পর তারা (এ বিষয়ে) মতবিরোধ করেছিল, কেবল পারস্পরিক হিংসা ও শত্রুতাবশত। নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মাঝে সেসব বিষয়ের মীমাংসা করবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো।
ثُمَّ جَعَلۡنٰکَ عَلٰی شَرِیۡعَۃٍ مِّنَ الۡاَمۡرِ فَاتَّبِعۡہَا وَ لَا تَتَّبِعۡ اَہۡوَآءَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. অতঃপর, আমি ওই কাজের উত্তম পথের উপর আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, সুতরাং ওই পথে চলুন এবং অজ্ঞলোকদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করবেন না।
ইরফানুল কুরআন
১৮. এরপর আমরা আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি দ্বীনের উন্মুক্ত পথ (শরীয়ত)-এর উপর। সুতরাং আপনি এ পথেই চলতে থাকুন এবং সেসব লোকের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করবেন না যারা (আপনার এবং আপনার দ্বীনের মহত্ব ও সত্যতার) জ্ঞানই রাখে না।
اِنَّہُمۡ لَنۡ یُّغۡنُوۡا عَنۡکَ مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا ؕ وَ اِنَّ الظّٰلِمِیۡنَ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ۚ وَ اللّٰہُ وَلِیُّ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. নিশ্চয় তারা আল্লাহ্র মোকাবেলায় আপনার কোন কাজে আসবে না এবং নিশ্চয় যালিমগণ একে অপরের বন্ধু। আর খোদাভীরুদের বন্ধু হচ্ছেন আল্লাহ্।
ইরফানুল কুরআন
১৯. নিশ্চয়ই (ইসলামের পথে আসার কষ্টের মুহূর্তে) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে (অঙ্গীকার সত্তেও) তারা কখনোই আপনার কাজে আসবে না এবং নিশ্চয়ই অত্যাচারীরা (দুনিয়াতে) একে অপরেরই বন্ধু ও সাহায্যকারী হয়ে থাকে; আর আল্লাহ্ তো পরহেযগারদের বন্ধু ও সাহায্যকারী।
ہٰذَا بَصَآئِرُ لِلنَّاسِ وَ ہُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এটা হচ্ছে লোকজনের চক্ষু খোলা এবং ঈমানদারদের জন্য হিদায়ত ও দয়া।
ইরফানুল কুরআন
২০. এ (কুরআন) মানবজাতির জন্যে অন্তর্দৃষ্টি ও উপদেশের প্রমাণস্বরূপ এবং নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্যে হেদায়াত এবং রহমত।
اَمۡ حَسِبَ الَّذِیۡنَ اجۡتَرَحُوا السَّیِّاٰتِ اَنۡ نَّجۡعَلَہُمۡ کَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ سَوَآءً مَّحۡیَاہُمۡ وَ مَمَاتُہُمۡ ؕ سَآءَ مَا یَحۡکُمُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. যারা পাপকার্যাদি সম্পন্ন করেছে তারা কি এটা মনে করে যে, আমি তাদেরকে তাদের মত করে দেবো, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, যাতে এদের-ওদের জীবন ও মৃত্যু এক সমান হয়ে যায়? কতোই মন্দ ফয়সালা করছে!
ইরফানুল কুরআন
২১. যারা মন্দকর্ম সম্পন্ন করেছে তারা কি মনে করে যে, আমরা তাদেরকে তাদের জীবন ও তাদের মৃত্যুর দিক দিয়ে সেসব লোকের ন্যায় একই রকম করে দেবো যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে? যে দাবী এরা (এ কাফেরেরা) করে থাকে তা অতি নিকৃষ্ট।
وَ خَلَقَ اللّٰہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ وَ لِتُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا کَسَبَتۡ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং আল্লাহ্ আস্মানসমূহ ও যমীনকে সত্য সহকারে সৃষ্টি করেছেন আর এ জন্য যে, প্রত্যেক সত্তা আপন কৃতকর্মের ফল পাবে এবং তাদের প্রতি যুল্ম হবে না।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সত্য সহকারে (সত্যের উপর কৌশলের ভিত্তিতে); এবং এ জন্যে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রতিদান দেয়া হবে তার কর্মানুযায়ী যা সে অর্জন করেছে, আর তাদের প্রতি কোনো যুলুম করা হবে না।
اَفَرَءَیۡتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـہَہٗ ہَوٰىہُ وَ اَضَلَّہُ اللّٰہُ عَلٰی عِلۡمٍ وَّ خَتَمَ عَلٰی سَمۡعِہٖ وَ قَلۡبِہٖ وَ جَعَلَ عَلٰی بَصَرِہٖ غِشٰوَۃً ؕ فَمَنۡ یَّہۡدِیۡہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اللّٰہِ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. ভালো, দেখেতো! ওই ব্যক্তি, যে আপন খেয়াল খুশীকে আপন খোদা স্থির করে নিয়েছে এবং আল্লাহ্ তাকে জ্ঞান-গুণ সহকারেই পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কান ও হৃদয়ের উপর মোহর করে দিয়েছেন এবং তার চক্ষুদ্বয়ের উপর পর্দা স্থাপন করেছেন; সুতরাং আল্লাহ্র পর তাকে কে পথ দেখাবে? তবে কি তোমরা ধ্যান করছো না?
ইরফানুল কুরআন
২৩. আপনি কি দেখেছেন তাকে যে নিজের প্রবৃত্তিকে উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে? আর আল্লাহ্ তাকে জেনেশুনেই বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার কর্ণ ও হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন। আর তার চোখের উপর রেখেছেন আবরণ। অতএব আল্লাহ্র পর তাকে কে হেদায়াত দান করবে? তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
وَ قَالُوۡا مَا ہِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا نَمُوۡتُ وَ نَحۡیَا وَ مَا یُہۡلِکُنَاۤ اِلَّا الدَّہۡرُ ۚ وَ مَا لَہُمۡ بِذٰلِکَ مِنۡ عِلۡمٍ ۚ اِنۡ ہُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং বললো, ‘তাতো নয়, কিন্তু এ আমাদের পার্থিব জীবন- মৃত্যুবরণ করি ও জীবিত হই’। এবং আমাদেরকে ধ্বংস করে- কেবল মহাকালই; এবং তাদের নিকট সেটার জ্ঞান নেই। তারা তো নিছক অনুমান করে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তারা বলে, ‘পার্থিব জীবন ব্যতীত আমাদের (আর) কিছুই নেই। আমরা (কেবল) এখানেই মরি ও বাঁচি এবং আমাদেরকে ধ্বংস করে কেবল মহাকালই’ (অর্থাৎ যুগের অবস্থা এবং ঘটনাবলী। তারা আল্লাহ্ এবং পরকালকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছে)। আর তাদের (এ প্রকৃত সত্য)-এর কোনোই জ্ঞান নেই। তারা তো কেবল খেয়াল এবং ধারণা থেকে কার্য সম্পাদন করে।
وَ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ مَّا کَانَ حُجَّتَہُمۡ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوا ائۡتُوۡا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন ব্যাস, তাদের এ যুক্তি থাকে যে, তারা বলে, ‘আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে এসো! যদি তোমরা সত্যবাদী হও!’
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর যখন তাদের নিকট আমাদের সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের কোনো অজুহাত থাকে না এ উক্তি ব্যতীত যে, ‘আমাদের পিতৃপুরুষদের (জীবিত) উপস্থিত করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
قُلِ اللّٰہُ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یَجۡمَعُکُمۡ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. আপনি বলুন,! ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে জীবিত করেন, অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তোমাদের সবাইকে একত্রিত করবেন ক্বিয়ামত দিবসে, যাতে কোন সন্দেহ নেই; কিন্তু বহু লোক জানে না।
ইরফানুল কুরআন
২৬. বলে দিন, ‘আল্লাহ্ই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, এরপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটান, অতঃপর তিনি তোমাদের সবাইকে কিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।’
وَ لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یَوۡمَئِذٍ یَّخۡسَرُ الۡمُبۡطِلُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং আল্লাহ্রই আস্মানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব এবং যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে বাতিলপন্থীরা ওই দিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহ্রই এবং যেদিন কিয়ামত সংগঠিত হবে সেদিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে (সমস্ত) মিথ্যাশ্রয়ীরা।
وَ تَرٰی کُلَّ اُمَّۃٍ جَاثِیَۃً ۟ کُلُّ اُمَّۃٍ تُدۡعٰۤی اِلٰی کِتٰبِہَا ؕ اَلۡیَوۡمَ تُجۡزَوۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং আপনি প্রত্যেক দলকে দেখবেন- তারা হাটুর উপর ভয় করে পতিত অবস্থায় আছে। প্রত্যেক দলকে আপন আপন আমলনামার দিকে ডাকা হবে, আজ তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর আপনি দেখবেন (কাফের ও মিথ্যাবাদীদের) প্রত্যেক সম্প্রদায় নতজানু হয়ে বসে থাকবে, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের আমলনামার প্রতি আহ্বান করা হবে, ‘আজ তোমাদের সেসব আমলের প্রতিদান দেয়া হবে যা তোমরা সম্পাদন করতে।
ہٰذَا کِتٰبُنَا یَنۡطِقُ عَلَیۡکُمۡ بِالۡحَقِّ ؕ اِنَّا کُنَّا نَسۡتَنۡسِخُ مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আমার এ লিপিকা তোমাদের উপর সত্য বলছে। আমি লিপিবদ্ধ করছিলাম যা তোমরা করেছো।
ইরফানুল কুরআন
২৯. এটি আমাদের বিবরণ যা তোমাদের ব্যাপারে চরম সত্য বর্ণনা করবে। নিশ্চয়ই আমরা সেসব কিছু (সংরক্ষণ করে) লিপিবদ্ধ করেছিলাম যা তোমরা করতে।’
فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَیُدۡخِلُہُمۡ رَبُّہُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِہٖ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَوۡزُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. সুতরাং ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের রব তাদেরকে আপন দয়ার মধ্যে নিয়ে নেবেন; এটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।
ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর যারা ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালক প্রবেশ করাবেন স্বীয় রহমতে। এটাই তো সুস্পষ্ট সাফল্য।
وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ۟ اَفَلَمۡ تَکُنۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَاسۡتَکۡبَرۡتُمۡ وَ کُنۡتُمۡ قَوۡمًا مُّجۡرِمِیۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং যারা কাফির হয়েছে তাদেরকে বলা হবে, ‘এমনই কি ছিলো না যে, আমার আয়াতসমূহ তোমাদের নিকট পাঠ করা হতো? তখন তোমরা অহঙ্কার করছিলে আর তোমরা ছিলে অপরাধী লোক।
ইরফানুল কুরআন
৩১. পক্ষান্তরে যারা কুফরী করেছে (তাদেরকে বলা হবে), ‘তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়নি? কিন্তু তোমরা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিলে এবং তোমরা ছিলে অপরাধী সম্প্রদায়।’
وَ اِذَا قِیۡلَ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ السَّاعَۃُ لَا رَیۡبَ فِیۡہَا قُلۡتُمۡ مَّا نَدۡرِیۡ مَا السَّاعَۃُ ۙ اِنۡ نَّظُنُّ اِلَّا ظَنًّا وَّ مَا نَحۡنُ بِمُسۡتَیۡقِنِیۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং যখন বলা হতো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য এবং ক্বিয়ামতের সন্দেহ নেই! তখন তোমরা বলতে, ‘আমরা জানি না ক্বিয়ামত কি জিনিষ; আমরা মনে করি এটা একটা ধারণা মাত্র; এবং আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস নেই’।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর যখন বলা হতো, ‘আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য এবং কিয়ামতের (আগমনের) বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই’; তখন তোমরা বলতে, ‘আমরা জানি না কিয়ামত কী। আমরা একে কেবল অনুমান ও ধারণা মনে করি। আর আমরা (এতে) বিশ্বাসীও নই।’
وَ بَدَا لَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا عَمِلُوۡا وَ حَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়েছে তাদের কৃতকর্মের মন্দ পরিণামগুলো এবং তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে ওই শাস্তি, যা নিয়ে তারা হাসি ঠাট্টা করতো।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর তাদের মন্দকর্মগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে যা তারা সম্পাদন করতো এবং তাদেরকে (শাস্তি) পরিবেষ্টন করবে যা নিয়ে তারা উপহাস করতো।
وَ قِیۡلَ الۡیَوۡمَ نَنۡسٰکُمۡ کَمَا نَسِیۡتُمۡ لِقَآءَ یَوۡمِکُمۡ ہٰذَا وَ مَاۡوٰىکُمُ النَّارُ وَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং বলা হবে, ‘আজ আমি তোমাদেরকে বর্জন করবো যেভাবে তোমরা তোমাদের এ দিনের সাক্ষাতকে ভুলে বসেছিলে আর তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে আগুন এবং তোমাদের কোন সাহায্যকারী নেই’।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর (তাদেরকে) বলা হবে, ‘আজ আমরা তোমাদেরকে বিস্মৃত হবো যেভাবে তোমরা তোমাদের এদিনের সাক্ষাতকে বিস্মৃত হয়েছিলে। আর তোমাদের আবাসস্থল জাহান্নাম এবং তোমাদের কোনোই সাহায্যকারী থাকবে না।
ذٰلِکُمۡ بِاَنَّکُمُ اتَّخَذۡتُمۡ اٰیٰتِ اللّٰہِ ہُزُوًا وَّ غَرَّتۡکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ۚ فَالۡیَوۡمَ لَا یُخۡرَجُوۡنَ مِنۡہَا وَ لَا ہُمۡ یُسۡتَعۡتَبُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. এটা এ জন্য যে, তোমরা আল্লাহ্র আয়াতগুলোকে বিদ্রূপের বস্তু করেছো এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছে। সুতরাং আজ না তাদেরকে আগুন থেকে বের করা হবে, না তাদের থেকে কোন ওযর গৃহীত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. তা এ কারণে (হচ্ছে) যে, তোমরা আল্লাহ্র আয়াতসমূহকে ঠাট্টার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল’। সুতরাং আজ তাদেরকে এ (জাহান্নাম) থেকে বেরও করা হবে না এবং তাদের থেকে তওবার মাধ্যমে (আল্লাহ্র) সন্তুষ্টিও গ্রহণ করা হবে না।
فَلِلّٰہِ الۡحَمۡدُ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ رَبِّ الۡاَرۡضِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সুতরাং আল্লাহ্রই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আস্মানসমূহের রব ও যমীনের রব এবং সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. সুতরাং সকল প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আকাশমন্ডলীর প্রতিপালক, পৃথিবীর অধিপতি এবং সমগ্র জাহানেরও পালনকর্তা।
وَ لَہُ الۡکِبۡرِیَآءُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۪ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং তাঁরই জন্য মহত্ব আস্মানগুলো ও যমীনের মধ্যে এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে সমস্ত গৌরব-গরিমা তাঁরই এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।