Back
আল জিন
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
قُلۡ اُوۡحِیَ اِلَیَّ اَنَّہُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الۡجِنِّ فَقَالُوۡۤا اِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡاٰنًا عَجَبًا ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘আমার প্রতি ওহী হয়েছে যে, কিছু সংখ্যক জিন্‌ আমার পাঠ করা কান লাগিয়ে শ্রবণ করলো; অতঃপর বললো, ‘আমরা এক আশ্চর্যজনক ক্বোরআন শুনেছি,
ইরফানুল কুরআন
১. বলে দিন, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, জ্বিনদের একটি দল মনোযোগ দিয়ে (আমার তেলাওয়াত) শ্রবণ করেছে। অতঃপর (ফিরে গিয়ে তাদের সম্প্রদায়কে) বলেছে, ‘নিশ্চয়ই আমরা এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।
Play Share Copy
یَّہۡدِیۡۤ اِلَی الرُّشۡدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنۡ نُّشۡرِکَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যা মঙ্গলের পথ বাতলিয়ে দেয়। অতঃপর আমরা সেটার উপর ঈমান এনেছি এবং আমরা কখনো কাউকে আপন রবের শরীক করবো না;
ইরফানুল কুরআন
২. এটি হোদায়াতের পথ দেখায়, সুতরাং আমরা তাতে ঈমান আনয়ন করেছি, আর আমাদের প্রতিপালকের সাথে কখনো কাউকে শরীক করবো না।
Play Share Copy
وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَۃً وَّ لَا وَلَدًا ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং এ যে, আমাদের রবের মর্যাদা বহু ঊর্ধ্বে; না তিনি স্ত্রী গ্রহণ করেছেন এবং না সন্তান;
ইরফানুল কুরআন
৩. আর এই যে, আমাদের প্রতিপালকের শান সমুচ্চ, সমুন্নত। তিনি না কোনো স্ত্রী গ্রহণ করেছেন, আর না কোনো সন্তান-সন্ততি।
Play Share Copy
وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوۡلُ سَفِیۡہُنَا عَلَی اللّٰہِ شَطَطًا ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং এ যে, আমাদের মধ্যেকার নির্বোধ লোকই আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সীমালঙ্গন করে কথা বলতো।
ইরফানুল কুরআন
৪. আরো এ যে, আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ্‌র ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে কথা বলতো যা সত্য থেকে দূরে।
Play Share Copy
وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنۡ لَّنۡ تَقُوۡلَ الۡاِنۡسُ وَ الۡجِنُّ عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং এ যে, আমাদের ধারণা ছিলো যে, কখনো মানুষ ও জিন্‌ আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করবে না;
ইরফানুল কুরআন
৫. আরো এ যে, আমরা মনে করতাম মানুষ এবং জ্বিন আল্লাহ্ সম্পর্কে কখনো মিথ্যা বলবে না।
Play Share Copy
وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الۡاِنۡسِ یَعُوۡذُوۡنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الۡجِنِّ فَزَادُوۡہُمۡ رَہَقًا ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং এ যে, মানুষের মধ্যে কিছু পুরুষ জিন্‌দের কিছু পুরুষের আশ্রয় নিতো, অতঃপর এর ফলে তাদের অহঙ্কার আরো বৃদ্ধি পেলো;
ইরফানুল কুরআন
৬. আরো এ যে, মানুষের মধ্যে কিছু লোক কিছু জ্বিনের আশ্রয় নিতো, ফলে তারা সেসব জ্বিনদের অবাধ্যতা ও আত্মম্ভরিতাকে বাড়িয়ে দিতো।
Play Share Copy
وَّ اَنَّہُمۡ ظَنُّوۡا کَمَا ظَنَنۡتُمۡ اَنۡ لَّنۡ یَّبۡعَثَ اللّٰہُ اَحَدًا ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং এ যে, তারা ধারণা করলো যেমনি তোমাদের ধারণা রয়েছে যে, আল্লাহ্‌ কখনো কোন রসূল প্রেরণ করবেন না।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর (হে জ্বিনের দল!) এসব মানুষও এমনই ধারণা করতো যেমন তোমরা ধারণা করো যে, আল্লাহ্ (মৃত্যুর পর) কাউকে কখনো পুনরুত্থিত করবেন না।
Play Share Copy
وَّ اَنَّا لَمَسۡنَا السَّمَآءَ فَوَجَدۡنٰہَا مُلِئَتۡ حَرَسًا شَدِیۡدًا وَّ شُہُبًا ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং এ যে, আমরা আস্‌মানকে স্পর্শ করেছি, অতঃপর সেটাকে (এমতাবস্থায়) পেয়েছি যে, কঠোর পাহারা ও উল্কাপিণ্ডে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর এ যে, আমরা আকাশ স্পর্শ করেছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি কঠোর প্রহরী এবং (অঙ্গারের ন্যায়) প্রজ্বলিত উল্কাপিন্ড দ্বারা তা পরিপূর্ণ।
Play Share Copy
وَّ اَنَّا کُنَّا نَقۡعُدُ مِنۡہَا مَقَاعِدَ لِلسَّمۡعِ ؕ فَمَنۡ یَّسۡتَمِعِ الۡاٰنَ یَجِدۡ لَہٗ شِہَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এ যে, আমরা পূর্বে আস্‌মানে (সংবাদ) শুনার জন্য কিছু স্থানে (ঘাটিতে) বসতাম। অতঃপর এখন যে কেউ শুনতে চায় সে আপন তাকের মধ্যে উল্কা-পিণ্ড পায়;
ইরফানুল কুরআন
৯. আর এ যে, আমরা (পূর্বে ঐশী সংবাদ সংগ্রহের জন্যে) এর বিভিন্ন ঘাঁটিতে বসতাম, কিন্তু এখন কেউ যদি শুনতে চায়, তখন সে তার জন্যে ওঁৎ পেতে থাকা (অপেক্ষমান) জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের সম্মুখীন হয়।
১০
Play Share Copy
وَّ اَنَّا لَا نَدۡرِیۡۤ اَشَرٌّ اُرِیۡدَ بِمَنۡ فِی الۡاَرۡضِ اَمۡ اَرَادَ بِہِمۡ رَبُّہُمۡ رَشَدًا ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং এ যে, আমাদের জানা নেই যে, পৃথিবীবাসীদের কোন অমঙ্গলের ইচ্ছা করা হয়েছে কিংবা তাদের রব তাদের কোন মঙ্গল চেয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর এ যে, আমরা জানি না (আমাদের প্রতি বিধিনিষেধের মাধ্যমে) পৃথিবীবাসীর অনিষ্ট সাধন অভিপ্রেত, নাকি তাদের প্রতিপালক তাদের মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করেন।
১১
Play Share Copy
وَّ اَنَّا مِنَّا الصّٰلِحُوۡنَ وَ مِنَّا دُوۡنَ ذٰلِکَ ؕ کُنَّا طَرَآئِقَ قِدَدًا ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং এ যে, আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সৎকর্মপরায়ণ রয়েছে, আর কিছু সংখ্যক রয়েছে অন্য ধরনের; আমরা ছিলাম কয়েক পথে বিভক্ত;
ইরফানুল কুরআন
১১. আর এ যে, আমাদের মাঝে কতিপয় সৎকর্মপরায়ণ রয়েছে এবং আমাদের(ই) মাঝে কতিপয় ব্যতীক্রমধর্মী (মন্দ লোকও) রয়েছে। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের (অনুসারী)।
১২
Play Share Copy
وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنۡ لَّنۡ نُّعۡجِزَ اللّٰہَ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَنۡ نُّعۡجِزَہٗ ہَرَبًا ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং এ যে, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, কখনো পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র আয়ত্ব থেকে বের হতে পারবো না এবং না পালিয়ে তার করায়ত্বের বাইরে থাকতে পারবো।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর আমরা বুঝতে পেরেছি যে, পৃথিবীতে (বেঁচে থাকতে) আমরা কখনো আল্লাহ্কে অক্ষম করতে পারবো না। আর আমরা (পৃথিবী থেকে) পলায়ন করেও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারবো না।
১৩
Play Share Copy
وَّ اَنَّا لَمَّا سَمِعۡنَا الۡہُدٰۤی اٰمَنَّا بِہٖ ؕ فَمَنۡ یُّؤۡمِنۡۢ بِرَبِّہٖ فَلَا یَخَافُ بَخۡسًا وَّ لَا رَہَقًا ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং এ যে, আমরা যখন হিদায়ত শুনেছি তখন সেটার প্রতি ঈমান এনেছি। অতঃপর যে কেউ আপন রবের উপর ঈমান এনেছে; তখন তার না আছে কোন হ্রাস পাবার ভয় এবং না বৃদ্ধি পাবার।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর এ যে, যখন আমরা হেদায়েত (-এর কিতাব) শ্রবণ করলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতঃপর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তবে সে না লোকসানের আশংকা করে, আর না যুলুমের।
১৪
Play Share Copy
وَّ اَنَّا مِنَّا الۡمُسۡلِمُوۡنَ وَ مِنَّا الۡقٰسِطُوۡنَ ؕ فَمَنۡ اَسۡلَمَ فَاُولٰٓئِکَ تَحَرَّوۡا رَشَدًا ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং এ যে, আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক রয়েছে মুসলমান এবং কিছু সংখ্যক যালিম। সুতরাং যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারা কল্যাণকেই চিন্তা করে বেছে নিয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর এ যে, আমাদের মাঝে (কিছু) আজ্ঞাবহও রয়েছে এবং আমাদের মাঝে (কিছু) অন্যায়কারীও রয়েছে। অতঃপর যে আজ্ঞাবহ হয়েছে, তারাই তো ন্যায়পরায়ণতা অন্বেষণ করেছে।
১৫
Play Share Copy
وَ اَمَّا الۡقٰسِطُوۡنَ فَکَانُوۡا لِجَہَنَّمَ حَطَبًا ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আর বাকী রইলো যালিম, তারা জাহান্নামের ইন্ধন হয়েছে’।
ইরফানুল কুরআন
১৫. অপরদিকে যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন হবে।’
১৬
Play Share Copy
وَّ اَنۡ لَّوِ اسۡتَقَامُوۡا عَلَی الطَّرِیۡقَۃِ لَاَسۡقَیۡنٰہُمۡ مَّآءً غَدَقًا ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং (বলুন, ‘আমার নিকট এ ওহী হয়েছে যে,) যদি তারা সঠিক পথে স্থির থাকতো, তবে অবশ্য আমি তাদেরকে প্রচুর পানি দিতাম;
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর এ (ওহীও আমার নিকট এসেছে) যে, তারা যদি (সত্যের পথে, আল্লাহ্‌র স্মরণের) পথে অবিচল থাকতো, তবে আমরা তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম,
১৭
Play Share Copy
لِّنَفۡتِنَہُمۡ فِیۡہِ ؕ وَ مَنۡ یُّعۡرِضۡ عَنۡ ذِکۡرِ رَبِّہٖ یَسۡلُکۡہُ عَذَابًا صَعَدًا ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. যাতে তাদেরকে আমি এর উপর পরীক্ষা করি; এবং যে ব্যক্তি আপন রবের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবে, তাকে তিনি ক্রমবর্দ্ধমান শাস্তির মধ্যে নিক্ষেপ করবেন;
ইরফানুল কুরআন
১৭. যাতে আমরা এ (নিয়ামত) দ্বারা তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারি। আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে দুঃসহ কঠিন শাস্তিতে প্রবিষ্ট করাবেন।
১৮
Play Share Copy
وَّ اَنَّ الۡمَسٰجِدَ لِلّٰہِ فَلَا تَدۡعُوۡا مَعَ اللّٰہِ اَحَدًا ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং এ যে, মসজিদগুলো আল্লাহ্‌রই। সুতরাং আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কারো ইবাদত করো না;
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর এ যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ্‌রই জন্যে (নির্ধারিত)। অতএব তোমরা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কারো ইবাদত করো না।
১৯
Play Share Copy
وَّ اَنَّہٗ لَمَّا قَامَ عَبۡدُ اللّٰہِ یَدۡعُوۡہُ کَادُوۡا یَکُوۡنُوۡنَ عَلَیۡہِ لِبَدًا ﴿ؕ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং এ যে, যখন আল্লাহ্‌র বান্দা তার ইবাদত করার জন্য দণ্ডায়মান হয়েছে, তখন এরই উপক্রম ছিলো যে, ওই সমস্ত জিন্‌ তার নিকট প্রচণ্ড ভিড় জমাবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর এ যে, যখন আল্লাহ্‌র বান্দা (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তাঁর ইবাদতে দন্ডায়মান হলেন, তখন তারা তাঁর চারপাশে ভীড় জমালো (যাতে তারা তাঁর তিলাওয়াত শুনতে পায়)।
২০
Play Share Copy
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَدۡعُوۡا رَبِّیۡ وَ لَاۤ اُشۡرِکُ بِہٖۤ اَحَدًا ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. আপনি বলুন, ‘আমি তো আপন রবেরই ইবাদত করি এবং কাউকেও তার শরীক স্থির করি না।
ইরফানুল কুরআন
২০. বলে দিন, ‘আমি তো কেবল আমার প্রতিপালকেরই ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না’।
২১
Play Share Copy
قُلۡ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ لَکُمۡ ضَرًّا وَّ لَا رَشَدًا ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. আপনি বলুন, ‘আমি তোমাদের কারো ভালো-মন্দের মালিক নই।
ইরফানুল কুরআন
২১. বলে দিন, ‘আমি তোমাদের অনিষ্টের (অর্থাৎ কুফরীর) কিংবা কল্যাণের (অর্থাৎ ঈমানের) মালিক নই (অর্থাৎ প্রকৃত মালিক আল্লাহ্, আমি তো কেবল উপলক্ষ ও ওসিলা মাত্র)’।
২২
Play Share Copy
قُلۡ اِنِّیۡ لَنۡ یُّجِیۡرَنِیۡ مِنَ اللّٰہِ اَحَدٌ ۬ۙ وَّ لَنۡ اَجِدَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مُلۡتَحَدًا ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. আপনি বলুন, ‘অবশ্য আল্লাহ্‌ থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করবে না এবং নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয় পাবো না;
ইরফানুল কুরআন
২২. বলে দিন, ‘আল্লাহ্‌র (নির্দেশের বিপরীতে) শাস্তি থেকে আমাকে না কখনো কেউ আশ্রয় দিতে পারবে, আর না আমি কখনো তাঁকে ব্যতীত কোনো আশ্রয়স্থল পাবো।
২৩
Play Share Copy
اِلَّا بَلٰغًا مِّنَ اللّٰہِ وَ رِسٰلٰتِہٖ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَاِنَّ لَہٗ نَارَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ﴿ؕ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. কিন্তু আল্লাহ্‌র পয়গাম পৌঁছানো এবং তার রিসালতের বাণীসমূহ। এবং যে আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের নির্দেশ অমান্য করে, তবে নিশ্চয় তার জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে, যাতে সদা-সর্বদা থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. কেবল আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে বিধিবিধান এবং তাঁর বাণী পৌঁছানোই (আমার দায়িত্ব)। আর যে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে অমান্য করে, নিশ্চয়ই তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি, যাতে সে চিরকাল অবস্থান করবে।’
২৪
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَا رَاَوۡا مَا یُوۡعَدُوۡنَ فَسَیَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ اَضۡعَفُ نَاصِرًا وَّ اَقَلُّ عَدَدًا ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. শেষ পর্যন্ত, যখন দেখবে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, তখনই তারা জেনে যাবে কার সাহায্যকারী দুর্বল এবং কার সংখ্যা কম।
ইরফানুল কুরআন
২৪. অবশেষে যখন তারা (শাস্তি) প্রত্যক্ষ করবে যার অঙ্গীকার তাদেরকে করা হচ্ছে, তখন তারা বুঝতে পারবে, কে সাহায্যকারী হিসেবে দুর্বল এবং সংখ্যায় স্বল্প।
২৫
Play Share Copy
قُلۡ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ اَمۡ یَجۡعَلُ لَہٗ رَبِّیۡۤ اَمَدًا ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. আপনি বলুন, ‘আমি জানি না তা কি সন্নিকটে, যার তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, না আমার রব তাকে কোন অবকাশ দেবেন?’
ইরফানুল কুরআন
২৫. বলে দিন, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যে (কিয়ামতের দিনের) অঙ্গীকার করা হচ্ছে তা আসন্ন, নাকি আমার প্রতিপালক এর জন্যে দীর্ঘ মেয়াদ নির্ধারণ করে রেখেছেন’।
২৬
Play Share Copy
عٰلِمُ الۡغَیۡبِ فَلَا یُظۡہِرُ عَلٰی غَیۡبِہٖۤ اَحَدًا ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অদৃশ্যের জ্ঞাতা, সুতরাং আপন অদৃশ্যের উপর কাউকেও ক্ষমতাবান করেন না-
ইরফানুল কুরআন
২৬. (তিনি) অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। অতএব তিনি তাঁর অদৃশ্যের বিষয় (সাধারণ) কারো কাছে প্রকাশ করেন না,
২৭
Play Share Copy
اِلَّا مَنِ ارۡتَضٰی مِنۡ رَّسُوۡلٍ فَاِنَّہٗ یَسۡلُکُ مِنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَ مِنۡ خَلۡفِہٖ رَصَدًا ﴿ۙ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. আপন মনোনীত রসূলগণ ব্যতীত, যেহেতু তাদের অগ্রে-পশ্চাতে পাহারা নিয়োজিত করে দেন;
ইরফানুল কুরআন
২৭. তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত (যিনি তাঁদেরকে অদৃশ্য বিষয় অবগত করেন, কেননা এটি নবুয়্যতের বৈশিষ্ট্য এবং রিসালাতের মু’জিযা)। সুতরাং (অদৃশ্যের জ্ঞানকে সংরক্ষণের জন্যে) নিশ্চয়ই তিনি তাঁর (এ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন,
২৮
Play Share Copy
لِّیَعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ اَبۡلَغُوۡا رِسٰلٰتِ رَبِّہِمۡ وَ اَحَاطَ بِمَا لَدَیۡہِمۡ وَ اَحۡصٰی کُلَّ شَیۡءٍ عَدَدًا ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. যাতে (আল্লাহ্‌ প্রকাশ্যভাবে) দেখে নেন যে, তারা আপন রবের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিয়েছেন এবং যা কিছু তাদের নিকট আছে সবই তার জ্ঞানে রয়েছে এবং তিনি প্রত্যেক কিছুর সংখ্যা গণনা করে রেখেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২৮. যাতে আল্লাহ্ (এ বিষয়টি) প্রকাশ করেন যে, রাসূলগণ নিশ্চিত তাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। আর (আল্লাহ্‌র বিধিবিধান এবং অদৃশ্যের জ্ঞান থেকে) যা কিছু তাঁদের নিকট রয়েছে, (পূর্ব থেকেই) তা আল্লাহ্‌র জ্ঞানগোচর এবং তিনি সবকিছুর হিসেব রাখেন।