بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ الَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰی ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. রাতের শপথ যখন ছেয়ে যায়,
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ রজনীর যখন তা ছেয়ে যায় (এবং সবকিছুকে তার অন্ধকারে লুকিয়ে ফেলে),
وَ النَّہَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং দিনের যখন আলোকোজ্জ্বল হয়,
ইরফানুল কুরআন
২. আর শপথ দিবসের যখন তা উদ্ভাাসিত হয়,
وَ مَا خَلَقَ الذَّکَرَ وَ الۡاُنۡثٰۤی ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং তারই, যিনি নর-নারী সৃষ্টি করেছেন-
ইরফানুল কুরআন
৩. আর (শপথ) সে সত্তার যিনি (সব কিছুতে) নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন,
اِنَّ سَعۡیَکُمۡ لَشَتّٰی ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় তোমাদের চেষ্টা ভিন্ন ভিন্ন।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই তোমাদের প্রচেষ্টা ভিন্ন ভিন্ন (এবং পৃথক পৃথক)।
فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی وَ اتَّقٰی ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. সুতরাং ওই ব্যক্তি, যে দান করেছে এবং পরহেয্গারী অবলম্বন করেছে,
ইরফানুল কুরআন
৫. সুতরাং যে (তার সম্পদ আল্লাহ্র পথে) ব্যয় করলো এবং পরহেযগারীতা অবলম্বন করলো,
وَ صَدَّقَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং সবচেয়ে উত্তমকে সত্য মেনেছে,
ইরফানুল কুরআন
৬. এবং (দানশীলতা ও তাক্বওয়ার মাধ্যমে) যা উত্তম তা (অর্থাৎ সত্য দ্বীন এবং পরকাল) সত্যায়ণ করলো,
فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡیُسۡرٰی ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. অতঃপর অতিসত্বর আমি তাকে সহজের পথ সুগম করে দেবো।
ইরফানুল কুরআন
৭. তাই আমরা অচিরেই তার জন্যে সুগম করে দেবো (আল্লাহ্র সন্তুষ্টির) সহজ পথ।
وَ اَمَّا مَنۡۢ بَخِلَ وَ اسۡتَغۡنٰی ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আর ওই ব্যক্তি যে কার্পণ্য করেছে ও বেপরোয়া হয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
৮. আর যে কার্পণ্য করলো এবং (সত্যের পথে ব্যয় করতে) অগ্রাহ্য করলো,
وَ کَذَّبَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে,
ইরফানুল কুরআন
৯. এবং (সত্য দ্বীন এবং পরকালের) কল্যাণকে অস্বীকার করলো,
فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡعُسۡرٰی ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. অতঃপর অচিরেই আমি তাকে কষ্টের পথ তার জন্য সহজ করে দেবো।
ইরফানুল কুরআন
১০. নিশ্চয়ই আমরা তার জন্যে সহজতর করে দেবো কষ্টে অবতরণ (ফলে শাস্তির দিকে অগ্রসর হওয়া তার ন্যায্য পাওনা হবে)।
وَ مَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُ مَا لُہٗۤ اِذَا تَرَدّٰی ﴿ؕ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং তার সম্পদ তার কাজে আসবে না যখন ধ্বংসে পতিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর তার সম্পদ তার কোনো কাজেই আসবেনা যখন সে ধ্বংসের (গহ্বরে) পতিত হবে।
اِنَّ عَلَیۡنَا لَلۡہُدٰی ﴿۫ۖ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. নিশ্চয় পথ প্রদর্শন করা আমার দায়িত্ব,
ইরফানুল কুরআন
১২. নিশ্চয়ই আমাদের দায়িত্ব (সত্যের) পথপ্রদর্শন।
وَ اِنَّ لَنَا لَلۡاٰخِرَۃَ وَ الۡاُوۡلٰی ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং নিশ্চয় পরকাল ও ইহকাল উভয়ই আমার মালিকানায়।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর নিঃসন্দেহে আমরাই পরকাল এবং দুনিয়ার মালিক।
فَاَنۡذَرۡتُکُمۡ نَارًا تَلَظّٰی ﴿ۚ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. সুতরাং আমি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করছি ওই আগুন থেকে, যা প্রজ্জ্বলিত হচ্ছে;
ইরফানুল কুরআন
১৪. সুতরাং আমি তোমাকে (জাহান্নামের) প্রচন্ড অগ্নির ব্যপারে সতর্ক করে দিয়েছি।
لَا یَصۡلٰىہَاۤ اِلَّا الۡاَشۡقَی ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এতে প্রবেশ করবে না, কিন্ত বড় হতভাগাই,
ইরফানুল কুরআন
১৫. যাতে চূড়ান্ত হতভাগ্য ছাড়া কেউই প্রবেশ করবে না,
الَّذِیۡ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যে অস্বীকার করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৬. যে (সত্য দ্বীনকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে এবং (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
وَ سَیُجَنَّبُہَا الۡاَتۡقَی ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং তা থেকে অনেক দূরে রাখা হবে যে সর্বাধিক পরহেয্গার,
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর এ (আগুন) থেকে বাঁচানো হবে সবচেয়ে পরহেযগার ব্যক্তিকে,
الَّذِیۡ یُؤۡتِیۡ مَالَہٗ یَتَزَکّٰی ﴿ۚ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. যে নিজ সম্পদ প্রদান করে, যাতে পবিত্র হয়,
ইরফানুল কুরআন
১৮. যে স্বীয় সম্পদ (আল্লাহ্র রাস্তায়) দান করে (নিজের জীবন ও সম্পদের) পবিত্রতা অর্জনের জন্যে,
وَ مَا لِاَحَدٍ عِنۡدَہٗ مِنۡ نِّعۡمَۃٍ تُجۡزٰۤی ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তার উপর কারো (এমন) কোন অনুগ্রহ নেই, যার প্রতিদান দিতে হবে,
ইরফানুল কুরআন
১৯. এবং তার উপর কারো কোনো প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।
اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡہِ رَبِّہِ الۡاَعۡلٰی ﴿ۚ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. শুধু আপন রবের সন্তুষ্টি কামনা করে, যিনি সবচেয়ে মহান;
ইরফানুল কুরআন
২০. বরং শুধুমাত্র তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির জন্যে (সে ধন-সম্পদ ব্যয় করে)।
وَ لَسَوۡفَ یَرۡضٰی ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং নিশ্চয় অচিরেই সে সন্তুষ্ট হবে।
ইরফানুল কুরআন
২১. এবং শীঘ্রই সে পরিতুষ্ট হবে (তার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্যে এবং আল্লাহ্র প্রতি তার বিশ্বস্ততার জন্যে)।