بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
سَاَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَّاقِعٍ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. একজন প্রার্থী, ওই শাস্তি প্রার্থনা করে, যা ঘটমান-
ইরফানুল কুরআন
১. এক প্রশ্নকারী জিঙ্গেস করল সে আযাব সম্পর্কে যা অবশ্যই সংঘটিত হবে,
لِّلۡکٰفِرِیۡنَ لَیۡسَ لَہٗ دَافِعٌ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. কাফিরদের উপর, সেটার রোধকারী কেউ নেই।
ইরফানুল কুরআন
২. কাফেরদের উপর, যা প্রতিহত করার কেউ নেই।
مِّنَ اللّٰہِ ذِی الۡمَعَارِجِ ؕ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. তা হবে আল্লাহ্র নিকট থেকে, যিনি সমুচ্চ মর্যাদাদির মালিক।
ইরফানুল কুরআন
৩. (তা নেমে আসবে) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে, যিনি স্বর্গীয় সোপানসমূহের (এবং উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন স্তরসমূহের) অধিকারী।
تَعۡرُجُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ اِلَیۡہِ فِیۡ یَوۡمٍ کَانَ مِقۡدَارُہٗ خَمۡسِیۡنَ اَلۡفَ سَنَۃٍ ۚ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. ফিরিশ্তাগণ ও জিবরাঈল তার দরবারের দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়; ওই শাস্তি সেদিনই হবে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
ইরফানুল কুরআন
৪. ফেরেশতাগণ এবং ‘রূহুল আমীন’ তাঁর (আরশের) দিকে ঊর্ধ্বগমন করেন এক দিনে, যার পরিমাণ (সৌরজগতের হিসাব অনুযায়ী) পঞ্চাশ হাজার বছর।*
* ‘ফি ইয়াওমিন’ যদি ‘ওয়াকি’র সিলাহ্ হয় তবে অর্থ হবে, এর বিচার দিবসের সময়কাল হবে ৫০ হাজার বছর। আর যদি এটি ‘তা’রুজু’র সিলাহ্ হয় তবে অর্থ হবে, ফেরেশতা এবং মুমিনদের রূহ যারা আল্লাহ্র আরশের দিকে আরোহণ করে, তাদের আরোহণের গতি দৈনিক হাজার বছর। এরপরও তাঁরা কত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছেন তা আল্লাহ্ই সম্যক অবগত। (এ থেকে আলোক বর্ষের ধারণা গ্রহণ করা যায়।)
فَاصۡبِرۡ صَبۡرًا جَمِیۡلًا ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. সুতরাং আপনি উত্তম রূপে ধৈর্য ধারণ করুন!
ইরফানুল কুরআন
৫. সুতরাং (হে হাবীব!) আপনি (কাফেরদের কথায়) ধৈর্য ধারণ করুন, অভিযোগবিহীন পরম ধৈর্য।
اِنَّہُمۡ یَرَوۡنَہٗ بَعِیۡدًا ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তারা সেটাকে সুদূর ভাবছে;
ইরফানুল কুরআন
৬. নিশ্চয়ই তারা এ দিনকে মনে করছে সুদূর,
وَّ نَرٰىہُ قَرِیۡبًا ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং আমি তা সন্নিকটে দেখছি।
ইরফানুল কুরআন
৭. কিন্তু আমরা দেখছি তা আসন্ন।
یَوۡمَ تَکُوۡنُ السَّمَآءُ کَالۡمُہۡلِ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. যেদিন আস্মান হবে- যেমন গলিত রূপা;
ইরফানুল কুরআন
৮. যেদিন আকাশ হবে গলিত তামার ন্যায়,
وَ تَکُوۡنُ الۡجِبَالُ کَالۡعِہۡنِ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং পাহাড় এমন হালকা হয়ে যাবে রেশমের পশম।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর পর্বতসমূহ হবে (ধুনিত) রঙিন তুলার ন্যায়,
وَ لَا یَسۡـَٔلُ حَمِیۡمٌ حَمِیۡمًا ﴿ۚۖ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং কোন বন্ধু অন্য কোন বন্ধুর কথা জিজ্ঞাসা করবে না;
ইরফানুল কুরআন
১০. আর কোনো বন্ধু কোনো বন্ধুর খোঁজ-খবর নেবে না,
یُّبَصَّرُوۡنَہُمۡ ؕ یَوَدُّ الۡمُجۡرِمُ لَوۡ یَفۡتَدِیۡ مِنۡ عَذَابِ یَوۡمِئِذٍۭ بِبَنِیۡہِ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. অথচ তারা হবে তাদেরকে প্রত্যক্ষকারী অবস্থায়। অপরাধী কামনা করবে- ‘হায়, যদি সেদিনের শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার জন্য বিনিময় হিসেবে দিতে পারতাম আপন পুত্র সন্তানদেরকে,
ইরফানুল কুরআন
১১. (যদিও) তাদেরকে (একে অপরের) দৃষ্টিগোচর করানো হবে। অপরাধী এ দিনের শাস্তির (মুক্তিপণের) জন্যে দিতে চাইবে নিজ সন্তান-সন্ততি,
وَ صَاحِبَتِہٖ وَ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. আপন স্ত্রী ও আপন ভাইকে
ইরফানুল কুরআন
১২. নিজের স্ত্রী এবং নিজের ভাইকে,
وَ فَصِیۡلَتِہِ الَّتِیۡ تُــٔۡوِیۡہِ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং আপন জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যা’তে তার আশ্রয়স্থল রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর নিজের (পুরো) জ্ঞাতি-গোষ্ঠি, যারা তাকে আশ্রয় দিতো,
وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ۙ ثُمَّ یُنۡجِیۡہِ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং যা কিছু যমীনে রয়েছে সবই; অতঃপর (যাতে) এসব বিনিময় প্রদান করা তাকে রক্ষা করে নেয়!
ইরফানুল কুরআন
১৪. এবং পৃথিবীর সকলকে (নিজের বিনিময়ে দিতে চাইবে), যাতে এ (মুক্তিপণ) তাকে (আল্লাহ্র শাস্তি হতে) মুক্তি দেয়।
کَلَّا ؕ اِنَّہَا لَظٰی ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. না, কখনো নয়। তাতো লেলিহান আগুন;
ইরফানুল কুরআন
১৫. এরূপ কখনো হবে না, এটা তো লেলিহান অগ্নি,
نَزَّاعَۃً لِّلشَّوٰی ﴿ۚۖ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেয় এমন;
ইরফানুল কুরআন
১৬. আপাদমস্তকের চামড়া খসিয়ে দেবে।
تَدۡعُوۡا مَنۡ اَدۡبَرَ وَ تَوَلّٰی ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. ডাকছে তাকে, যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে এবং বিমুখ হয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৭. এটি তাকে ডাকছে, যে (সত্য থেকে) পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে,
وَ جَمَعَ فَاَوۡعٰی ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং পুঞ্জীভূত করে সংরক্ষিত করে রেখেছে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর (যে) সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছে, অতঃপর (তা বন্টন না করে) সংরক্ষিত রেখেছে।
اِنَّ الۡاِنۡسَانَ خُلِقَ ہَلُوۡعًا ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে বড় অবৈধ লোভী করে;
ইরফানুল কুরআন
১৯. নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থিরচিত্ত ও লোভী রূপে।
اِذَا مَسَّہُ الشَّرُّ جَزُوۡعًا ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. যখন তার অমঙ্গল ঘটে তখন খুব হা-হুতাশকারী;
ইরফানুল কুরআন
২০. যখন বিপদ (অথবা আর্থিক ক্ষতি) তাকে স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে,
وَّ اِذَا مَسَّہُ الۡخَیۡرُ مَنُوۡعًا ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং যখন মঙ্গল হয়, তখন কার্পণ্যকারী।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর যখন কল্যাণ (অথবা আর্থিক স্বচ্ছলতা) তাকে স্পর্শ করে, তখন সে কৃপণ হয়ে যায়,
اِلَّا الۡمُصَلِّیۡنَ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. কিন্তু নামাযীগণ,
ইরফানুল কুরআন
২২. তবে তারা ব্যতীত যারা নামায আদায় করে,
الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ دَآئِمُوۡنَ ﴿۪ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. যারা আপন নামাযগুলোর পাবন্দ থাকে;
ইরফানুল কুরআন
২৩. যারা তাদের নামাযে সদা প্রতিষ্ঠিত থাকে,
وَ الَّذِیۡنَ فِیۡۤ اَمۡوَالِہِمۡ حَقٌّ مَّعۡلُوۡمٌ ﴿۪ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং ওই সমস্ত লোক, যাদের সম্পদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট প্রাপ্য আছে;
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর সেসব (উৎসর্গপ্রবণ) লোক যাদের সম্পদে নির্ধারিত অংশ রয়েছে,
لِّلسَّآئِلِ وَ الۡمَحۡرُوۡمِ ﴿۪ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. তারই জন্য, যে প্রার্থী হয় এবং যে চাইতেও পারে না, ফলে বঞ্চিত থাকে-
ইরফানুল কুরআন
২৫. যাচ্ঞাকারীর এবং সে অভাবগ্রস্তের যে যাচ্ঞাকারী নয়,
وَ الَّذِیۡنَ یُصَدِّقُوۡنَ بِیَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿۪ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং ওই সব লোক, যারা বিচারের দিনকে সত্য জ্ঞান করে।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর যারা প্রতিদান দিবসকে সত্য বলে জানে,
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّہِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَ ﴿ۚ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং ওই সব লোক যারা আপন রবের শাস্তিকে ভয় করতে থাকে;
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর যারা স্বীয় প্রতিপালকের শাস্তি সর্ম্পকে ভীত-সন্ত্রস্ত;
اِنَّ عَذَابَ رَبِّہِمۡ غَیۡرُ مَاۡمُوۡنٍ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. নিশ্চয় তাদের রবের শাস্তি ভয়শূন্য হয়ে থাকার বস্তু নয়।
ইরফানুল কুরআন
২৮. নিশ্চয়ই তাদের প্রতিপালকের শাস্তি থেকে নিঃশঙ্ক হওয়া যায় না;
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِفُرُوۡجِہِمۡ حٰفِظُوۡنَ ﴿ۙ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এবং ওই সব লোক, যারা আপন লজ্জাস্থানগুলোকে রক্ষা করে,
ইরফানুল কুরআন
২৯. আর যারা তাদের লজ্জাস্থানকে সংযত রাখে,
اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِہِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَاِنَّہُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ ﴿ۚ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. আপন বিবিগণ অথবা আপন হাতের মাল দাসীগণ ব্যতীত, তাতে তারা নিন্দনীয় হবে না-
ইরফানুল কুরআন
৩০. তাদের স্ত্রী অথবা নিজেদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত। সুতরাং (এতে) তাদের জন্যে কোনো তিরস্কার নেই।
فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡعٰدُوۡنَ ﴿ۚ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. অতঃপর যে কেউ এ দু’টি ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করবে, তবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩১. তবে যারা তাদের ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِاَمٰنٰتِہِمۡ وَ عَہۡدِہِمۡ رٰعُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং ওই সব লোক, যারা আপন আমানতগুলো ও আপন অঙ্গীকার রক্ষা করে।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর যারা নিজেদের আমানত এবং নিজেদের অঙ্গীকার রক্ষা করে,
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ بِشَہٰدٰتِہِمۡ قَآئِمُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং ওই সব লোক, যারা আপন সাক্ষ্যগুলোর উপর অবিচল থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর যারা নিজেদের সাক্ষ্যদানে অটল থাকে,
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ یُحَافِظُوۡنَ ﴿ؕ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং ওই সব লোক, যারা স্বীয় নামাযের ব্যাপারে যত্নবান হয়।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর যারা নিজেদের নামাযে যত্নবান,
اُولٰٓئِکَ فِیۡ جَنّٰتٍ مُّکۡرَمُوۡنَ ﴿ؕ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. এরাই হচ্ছে, যাদের জন্য বাগানসমূহে সম্মান হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. তারাই জান্নাতে মর্যাদাবান ও সম্মানিত হবে।
فَمَالِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا قِبَلَکَ مُہۡطِعِیۡنَ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সুতরাং ওই কাফিরদের কি হলো- আপনার প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে?
ইরফানুল কুরআন
৩৬. সুতরাং কাফেরদের কী হলো যে, তারা আপনার দিকে ছুটে আসছে?
عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ عِزِیۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. ডানে বামে, দলে দলে!
ইরফানুল কুরআন
৩৭. ডানদিক থেকেও এবং বামদিক থেকেও, দলে দলে?
اَیَطۡمَعُ کُلُّ امۡرِیًٴ مِّنۡہُمۡ اَنۡ یُّدۡخَلَ جَنَّۃَ نَعِیۡمٍ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই কি এটা কামনা করে যে, তাকে শান্তির বাগানে প্রবেশ করানো হোক?
ইরফানুল কুরআন
৩৮. তাদের প্রত্যেকে কি এ আশা করে যে, তাকে (ঈমান ও আমল ব্যতীত) নিয়ামত বিশিষ্ট জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে?
کَلَّا ؕ اِنَّا خَلَقۡنٰہُمۡ مِّمَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. না, কখনো নয়; নিশ্চয় আমি তাদেরকে ওই বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছি যা তারা জানে।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. কক্ষনো নয়, নিশ্চয়ই আমরা তাদেরকে যা থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা(ও) জানে।
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِرَبِّ الۡمَشٰرِقِ وَ الۡمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. সুতরাং আমায় শপথ রইলো তারই নামে, যিনি সমগ্র পূর্ব ও পশ্চিমের মালিক যে, আমি নিশ্চয় শক্তিমান-
ইরফানুল কুরআন
৪০. সুতরাং আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের অধিপতির, নিশ্চয়ই আমরা পূর্ণ ক্ষমতা রাখি,
عَلٰۤی اَنۡ نُّبَدِّلَ خَیۡرًا مِّنۡہُمۡ ۙ وَ مَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوۡقِیۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. তাদের স্থলে তাদের চেয়ে উত্তম মানবগোষ্ঠীকে স্থলাভিষিক্ত করতো। এবং আমার আয়ত্ব থেকে কেউ বের হয়ে যেতে পারে না।
ইরফানুল কুরআন
৪১. তাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর মানবগোষ্ঠীকে তাদের স্থলাবিশিষ্ট করতে; আর আমরা তা করতে কখনো অক্ষম নই।
فَذَرۡہُمۡ یَخُوۡضُوۡا وَ یَلۡعَبُوۡا حَتّٰی یُلٰقُوۡا یَوۡمَہُمُ الَّذِیۡ یُوۡعَدُوۡنَ ﴿ۙ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. সুতরাং তাদেরকে ছেড়ে দাও তারা তাদের অনর্থক কার্যাদিতে পড়ে থাকুক এবং খেলা-তামাশা করতে থাকুক; শেষ পর্যন্ত তারা তাদের ওই দিনের সাক্ষাৎ পাবে, যার ওয়াদা তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।
ইরফানুল কুরআন
৪২. সুতরাং আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা তাদের বাক-বিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌতুকে মত্ত থাকুক সেদিনের সম্মুখীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যার অঙ্গীকার তাদেরকে করা হচ্ছে।
یَوۡمَ یَخۡرُجُوۡنَ مِنَ الۡاَجۡدَاثِ سِرَاعًا کَاَنَّہُمۡ اِلٰی نُصُبٍ یُّوۡفِضُوۡنَ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. যেদিন কবরগুলো থেকে বের হবে দৌড়িয়ে যেন তারা চিহ্নগুলোর দিকে ছুটছে;
ইরফানুল কুরআন
৪৩. যেদিন তারা কবর থেকে বের হবে দ্রুতবেগে, যেন তারা তাদের দেবদেবির মন্দিরের দিকে ছুটে যাচ্ছে,
خَاشِعَۃً اَبۡصَارُہُمۡ تَرۡہَقُہُمۡ ذِلَّۃٌ ؕ ذٰلِکَ الۡیَوۡمُ الَّذِیۡ کَانُوۡا یُوۡعَدُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. চক্ষুসমূহ অবনত অবস্থায়; তাদের উপর লাঞ্ছনা সাওয়ার থাকবে; এটা তাদের ওই দিন, যে দিনের তাদের সাথে ওয়াদা ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. (তাদের) অবস্থা এমন হবে যে, তাদের চক্ষু (লজ্জা ও ভয়ে) থাকবে অবনত, অপমান তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। এটিই সেদিন, যার অঙ্গীকার তাদেরকে করা হতো।