بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
یٰۤاَیُّہَا الۡمُدَّثِّرُ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হে উপর-আবরণী (চাদর) আবৃতকারী!
ইরফানুল কুরআন
১. হে চাদরাবৃত (হাবীব!)
قُمۡ فَاَنۡذِرۡ ۪ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. দণ্ডায়মান হয়ে যান। অতঃপর সতর্ক করুন।
ইরফানুল কুরআন
২. উঠুন এবং (মানুষকে আল্লাহ্র ব্যাপারে) সতর্ক করুন,
وَ رَبَّکَ فَکَبِّرۡ ۪﴿ۙ۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং আপন রবেরই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন।
ইরফানুল কুরআন
৩. এবং আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব (ও মাহাত্ম্য) ঘোষণা করুন,
وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং আপন পোশাক পবিত্র রাখুন।
ইরফানুল কুরআন
৪. এবং আপনার (বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ) পরিচ্ছদ (পূর্বের ন্যায় সর্বদা) পবিত্র রাখুন,
وَ الرُّجۡزَ فَاہۡجُرۡ ۪﴿ۙ۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং প্রতিমাগুলো থেকে দূরে থাকুন।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর (যথারীতি পাপ এবং) মূর্তি থেকে দূরে থাকুন।
وَ لَا تَمۡنُنۡ تَسۡتَکۡثِرُ ۪﴿ۙ۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং অধিক নেওয়ার উদ্দেশ্যে কারো প্রতি অনুগ্রহ করবেন না।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর অধিক পাবার প্রত্যাশায় (কারো প্রতি) অনুগ্রহ করবেন না।
وَ لِرَبِّکَ فَاصۡبِرۡ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং আপন রবের জন্য ধৈর্য ধারণ করে থাকুন।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ করুন।
فَاِذَا نُقِرَ فِی النَّاقُوۡرِ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৮. অতঃপর যখন (দ্বিতীয়বার) সিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে,
فَذٰلِکَ یَوۡمَئِذٍ یَّوۡمٌ عَسِیۡرٌ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তবে ওই দিন সংকটময় দিন;
ইরফানুল কুরআন
৯. তখন (কিয়ামতের) সে দিন হবে খুবই কঠিন দিন,
عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ غَیۡرُ یَسِیۡرٍ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. কাফিরদের জন্য সহজ নয়।
ইরফানুল কুরআন
১০. কাফেরদের জন্যে কখনোই সহজ হবে না।
ذَرۡنِیۡ وَ مَنۡ خَلَقۡتُ وَحِیۡدًا ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. তাকে আমার উপর ছেড়ে দাও আমি একাই যাকে সৃষ্টি করেছি;
ইরফানুল কুরআন
১১. তার (প্রতিশোধ গ্রহণ) আমার উপর ছেড়ে দিন যাকে আমিই সৃষ্টি করেছি,
وَّ جَعَلۡتُ لَہٗ مَالًا مَّمۡدُوۡدًا ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং তাকে প্রশস্ত (প্রচুর) সম্পদ দিয়েছি;
ইরফানুল কুরআন
১২. আর আমি তাকে দিয়েছিলাম অঢেল সম্পদ,
وَّ بَنِیۡنَ شُہُوۡدًا ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং পুত্র-সন্তান দিয়েছি-সম্মুখে উপস্থিত থাকে;
ইরফানুল কুরআন
১৩. এবং (তার সামনে) নিত্যসঙ্গী পুত্রবর্গ (দিয়েছিলাম),
وَّ مَہَّدۡتُّ لَہٗ تَمۡہِیۡدًا ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং আমি তার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি;
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর আমি তাকে (ভোগ-বিলাসের সামগ্রীতে) স্বচ্ছলতা দিয়েছিলাম।
ثُمَّ یَطۡمَعُ اَنۡ اَزِیۡدَ ﴿٭ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. অতঃপর সে এ কামনা করছে যেন আমি আরো অধিক প্রদান করি।
ইরফানুল কুরআন
১৫. এরপর(ও) সে কামনা করে যে, আমি তাকে অধিক দেই।
کَلَّا ؕ اِنَّہٗ کَانَ لِاٰیٰتِنَا عَنِیۡدًا ﴿ؕ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. না, কখনো তা হবে না, সে তো আমার নিদর্শনসমূহের প্রতি বৈরীভাব পোষণ করে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. কখনো (এরূপ) হবে না, সে তো আমাদের আয়াতসমূহের বিরুদ্ধাচারণকারী।
سَاُرۡہِقُہٗ صَعُوۡدًا ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. অবিলম্বে, আমি তাকে আগুনের পর্বত ‘সা’ঊদ’ এর উপর আরোহণ করাবো।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অচিরেই আমি তাকে কঠোর পরিশ্রমের (শাস্তির) দন্ড দেবো।
اِنَّہٗ فَکَّرَ وَ قَدَّرَ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. নিশ্চয় সে চিন্তা-ভাবনা করেছে এবং অন্তরে কিছু কথা স্থির করেছে;
ইরফানুল কুরআন
১৮. নিশ্চয়ই সে চিন্তা-ভাবনা করেছে এবং (মনে মনে) এর পরিকল্পনা ঠিক করেছে।
فَقُتِلَ کَیۡفَ قَدَّرَ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. অতঃপর তার উপর অভিসম্পাত হোক! কীভাবে স্থির করলো?
ইরফানুল কুরআন
১৯. অতঃপর তার উপর (আল্লাহ্র) অভিসম্পাত, সে কীভাবে পরিকল্পনা করলো?
ثُمَّ قُتِلَ کَیۡفَ قَدَّرَ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. আবার, তার উপর অভিসম্পাত হোক কীভাবে স্থির করলো?
ইরফানুল কুরআন
২০. তার উপর আবার (আল্লাহ্র) অভিসম্পাত, সে কীভাবে পরিকল্পনা করলো?
ثُمَّ نَظَرَ ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অতঃপর দৃষ্টি উঠিয়ে দেখলো;
ইরফানুল কুরআন
২১. অতঃপর সে (নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে দ্বিতীয়বার) চিন্তা করলো।
ثُمَّ عَبَسَ وَ بَسَرَ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. অথবা ভ্রূ-কুঞ্চিত করলো ও চেহারা পরিবর্তিত করলো।
ইরফানুল কুরআন
২২. এরপর সে ভ্রু কুঞ্চিত করলো এবং মুখ বিকৃত করলো।
ثُمَّ اَدۡبَرَ وَ اسۡتَکۡبَرَ ﴿ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এরপর পৃষ্ঠ ফিরিয়ে নিলো ও অহঙ্কার করলো;
ইরফানুল কুরআন
২৩. পরে (সত্য থেকে) পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো এবং অহঙ্কার করলো।
فَقَالَ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ یُّؤۡثَرُ ﴿ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. অতঃপর বললো, ‘এ তো ওই যাদু, যা পূর্ববর্তীদের নিকট শিখেছে;
ইরফানুল কুরআন
২৪. অতঃপর বলতে লাগলো, ‘এ (কুরআন) তো যাদু ব্যতীত কিছুই নয়, যা (পূর্ববর্তী যাদুকরদের থেকে) পরম্পরায় প্রাপ্ত।
اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا قَوۡلُ الۡبَشَرِ ﴿ؕ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এটা তো নয়, কিন্তু মানুষের উক্তি’।
ইরফানুল কুরআন
২৫. এ (কুরআন) তো মানুষেরই কথা।’
سَاُصۡلِیۡہِ سَقَرَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অবিলম্বে আমি তাকে দোযখে ধ্বসাচ্ছি।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আমি অচিরেই তাকে নিক্ষেপ করবো সাকারে (জাহান্নামে),
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا سَقَرُ ﴿ؕ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং আপনি কি জেনেছেন দোযখ কি?
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর আপনাকে কে জানিয়েছে সাকার (জাহান্নাম) কী?
لَا تُبۡقِیۡ وَ لَا تَذَرُ ﴿ۚ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. (তা তাদেরকে) না ছেড়ে দেয়, না লেগে থাকতে দেয়;
ইরফানুল কুরআন
২৮. তা (অগ্নি যা) অক্ষতও রাখবে না, আবার ছেড়েও দেবে না।
لَوَّاحَۃٌ لِّلۡبَشَرِ ﴿ۚۖ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. মানুষের চামড়া খুলে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
২৯. (তা) দেহের চামড়া ঝলসে কালো করে দেবে।
عَلَیۡہَا تِسۡعَۃَ عَشَرَ ﴿ؕ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. সেটার উপর ঊনিশ জন দারোগা রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. এতে (প্রহরীরূপে) থাকবে উনিশজন (ফেরেশতা)।
وَ مَا جَعَلۡنَاۤ اَصۡحٰبَ النَّارِ اِلَّا مَلٰٓئِکَۃً ۪ وَّ مَا جَعَلۡنَا عِدَّتَہُمۡ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ۙ لِیَسۡتَیۡقِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ وَ یَزۡدَادَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِیۡمَانًا وَّ لَا یَرۡتَابَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ وَ لِیَقُوۡلَ الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ وَّ الۡکٰفِرُوۡنَ مَاذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِہٰذَا مَثَلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰہُ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ مَا یَعۡلَمُ جُنُوۡدَ رَبِّکَ اِلَّا ہُوَ ؕ وَ مَا ہِیَ اِلَّا ذِکۡرٰی لِلۡبَشَرِ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং আমি ফিরিশ্তাদেরকেই দোযখের দারোগা (নিয়োজিত) করেছি; এবং আমি তাদের এ সংখ্যা কেবল কাফিরদের পরীক্ষার নিমিত্ত রেখেছি, এ জন্য যে, কিতাবীদের মনে দৃঢ় বিশ্বাস আসবে এবং ঈমানদারদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে আর কিতাবীগণ ও মুসলমানদের নিকট কোন সন্দেহ থাকবে না। অন্তরের ব্যাধিগ্রস্ত লোকেরা ও কাফিরগণ বলে, ‘এ অভিনব বাণীতে আল্লাহ্র উদ্দেশ্য কি?’ এভাবেই আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেন যাকে চান এবং হিদায়ত করেন যাকে চান। আর আপনার রবের বাহিনী সম্বন্ধে তিনি ব্যতীত অন্য কেউ জানে না এবং তা তো মানুষের জন্য উপদেশই।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর আমরা জাহান্নামের প্রহরী কেবল ফেরেশতাদেরকেই নিযুক্ত করেছি এবং কাফেরদেরকে কেবল পরীক্ষা করার জন্যেই এদের সংখ্যা নির্ধারণ করেছি; যাতে আহলে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে (যে, কুরআন এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম সত্য, কেননা তাদের কিতাবেও এ সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে)। (এ সত্যায়নের মাধ্যমে) ঈমানদারগণের ঈমান আরো বৃদ্ধি পাবে। আহলে কিতাব এবং মুমিনগণ (এর সত্যতার ব্যাপারে) সন্দেহ পোষণ করে না; আর যাতে যাদের অন্তরে (কপটতার) ব্যাধি রয়েছে এবং যারা কাফের তারা বলে, ‘এ (সংখ্যার) দৃষ্টান্ত দ্বারা আল্লাহ্র উদ্দেশ্য কী?’ এভাবে আল্লাহ্ (একই বিষয়ের মাধ্যমে) যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন। আর আপনার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই অবগত এবং (জাহান্নামের) এ (বর্ণনা) মানুষের উপদেশের জন্যেই।
کَلَّا وَ الۡقَمَرِ ﴿ۙ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. হাঁ, হা! চাঁদের শপথ!
ইরফানুল কুরআন
৩২. হ্যাঁ! শপথ চন্দ্রের! (যার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং অদৃশ্য হওয়াই প্রমাণ),
وَ الَّیۡلِ اِذۡ اَدۡبَرَ ﴿ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং রাতের, যখন পিঠ ফেরায়;
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর শপথ রাত্রির, যখন তা পশ্চাতে ফিরে ফুরিয়ে যেতে থাকে,
وَ الصُّبۡحِ اِذَاۤ اَسۡفَرَ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং প্রভাতের, যখন আলো বিচ্ছুরিত করে-
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর শপথ প্রভাতের, যখন তা আলোকোজ্জ্বল হয়,
اِنَّہَا لَاِحۡدَی الۡکُبَرِ ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. নিশ্চয় দোযখ খুব বড় বস্তুগুলোর অন্যতম;
ইরফানুল কুরআন
৩৫. নিশ্চয়ই এ (জাহান্নাম) ভয়াবহ দুর্দশাগুলোর একটি।
نَذِیۡرًا لِّلۡبَشَرِ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. মানুষকে সতর্ক করুন!
ইরফানুল কুরআন
৩৬. মানুষের জন্যে সতর্ককারী,
لِمَنۡ شَآءَ مِنۡکُمۡ اَنۡ یَّتَقَدَّمَ اَوۡ یَتَاَخَّرَ ﴿ؕ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তাকেই, যে তোমাদের মধ্যে চায় অগ্রসর হতে অথবা পেছনে থাকতে।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. (অর্থাৎ) তার জন্যে, তোমাদের মধ্যে যে (সৎকর্মে) সামনে অগ্রসর হতে চায় অথবা (মন্দকর্মে ফেঁসে) পিছিয়ে পড়তে চায়।
کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا کَسَبَتۡ رَہِیۡنَۃٌ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. প্রত্যেকে আপন কৃতকর্মের মধ্যে বন্ধকীকৃত;
ইরফানুল কুরআন
৩৮. প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্যে দায়বদ্ধ,
اِلَّاۤ اَصۡحٰبَ الۡیَمِیۡنِ ﴿ؕۛ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. কিন্তু ডান পার্শ্বস্থগণ।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. ডানপাশ্বর্স্থগণ ব্যতীত।
فِیۡ جَنّٰتٍ ۟ؕۛ یَتَسَآءَلُوۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. জান্নাতগুলোর মধ্যে জিজ্ঞাসা করে,
ইরফানুল কুরআন
৪০. (তারা) থাকবে উদ্যানসমূহে এবং পরস্পরে জিজ্ঞেস করবে,
عَنِ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. অপরাধীদেরকে-
ইরফানুল কুরআন
৪১. অপরাধীদের ব্যাপারে।
مَا سَلَکَکُمۡ فِیۡ سَقَرَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. ‘তোমাদেরকে কিসে দোযখে নিয়ে গেছে?’
ইরফানুল কুরআন
৪২. (আর বলবে,) ‘তোমাদের কিসে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে?’
قَالُوۡا لَمۡ نَکُ مِنَ الۡمُصَلِّیۡنَ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তারা বলে, ‘আমরা নামায পড়তাম না;
ইরফানুল কুরআন
৪৩. তারা বলবে, ‘আমরা নামায আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না,
وَ لَمۡ نَکُ نُطۡعِمُ الۡمِسۡکِیۡنَ ﴿ۙ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং মিসকীনকে আহার্য দিতাম না;
ইরফানুল কুরআন
৪৪. এবং আমরা অভাবগ্রস্তকেও আহার্য দিতাম না।
وَ کُنَّا نَخُوۡضُ مَعَ الۡخَآئِضِیۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং অনর্থক চিন্তাভাবনা কারীদের সাথে অনর্থক চিন্তা করতাম;
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর নিরর্থক কার্যকলাপে মগ্নদের সাথে (মিলে) আমরাও নিরর্থক কার্যকলাপে মগ্ন থাকতাম।
وَ کُنَّا نُکَذِّبُ بِیَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿ۙ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং আমরা বিচার দিবসকে অস্বীকার করতাম;
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর আমরা প্রতিদান দিবসকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতাম,
حَتّٰۤی اَتٰىنَا الۡیَقِیۡنُ ﴿ؕ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. শেষ পর্যন্ত, আমাদের নিকট মৃত্যু এসে পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. যতক্ষণ না (সে মৃত্যু) আমাদের নিকট এসে পৌঁছল, যার আগমন নিশ্চিত ছিল।’
فَمَا تَنۡفَعُہُمۡ شَفَاعَۃُ الشّٰفِعِیۡنَ ﴿ؕ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. সুতরাং তাদেরকে সুপারিশ কারীদের সুপারিশ কোন কাজ দেবে না।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. সুতরাং (এখন) সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোনো কাজে আসবে না।
فَمَا لَہُمۡ عَنِ التَّذۡکِرَۃِ مُعۡرِضِیۡنَ ﴿ۙ۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. সুতরাং তাদের কি হলো, উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে?
ইরফানুল কুরআন
৪৯. তারপর এদের (এ কাফেরদের) কী হলো যে, তারা (আবারও) উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়?
کَاَنَّہُمۡ حُمُرٌ مُّسۡتَنۡفِرَۃٌ ﴿ۙ۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. যেন তার ভীত-সন্ত্রস্ত গর্দভ-
ইরফানুল কুরআন
৫০. যেন তারা ভীত-ত্রস্ত (বন্য) গাধা,
فَرَّتۡ مِنۡ قَسۡوَرَۃٍ ﴿ؕ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. যা বাঘ থেকে পলায়ন করেছে;
ইরফানুল কুরআন
৫১. যারা সিংহ থেকে পলায়নপর।
بَلۡ یُرِیۡدُ کُلُّ امۡرِیًٴ مِّنۡہُمۡ اَنۡ یُّؤۡتٰی صُحُفًا مُّنَشَّرَۃً ﴿ۙ۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. বরং তাদের মধ্যেকার প্রত্যেকে চায় যে, উন্মুক্ত পুস্তিকা তার হাতে প্রদান করা হোক!
ইরফানুল কুরআন
৫২. বস্তুত তাদের প্রত্যেকেই চায় যে, তাকে (সরাসরি) উন্মুক্ত (ঐশী) সহীফা দেয়া হোক।
کَلَّا ؕ بَلۡ لَّا یَخَافُوۡنَ الۡاٰخِرَۃَ ﴿ؕ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. কখনো হবে না, বরং তাদের মধ্যে আখিরাতের ভয় নেই।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. এরূপ কখনো সম্ভব নয়,বরং (প্রকৃত ব্যাপার এই যে,) তারা পরকালের ভয়ই করে না।
کَلَّاۤ اِنَّہٗ تَذۡکِرَۃٌ ﴿ۚ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. হাঁ, হাঁ! নিশ্চয় তা হচ্ছে উপদেশ।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. কোনো সন্দেহ নেই যে, এ (কুরআন) উপদেশ।
فَمَنۡ شَآءَ ذَکَرَہٗ ﴿ؕ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. সুতরাং যে চায় সে যেন তা থেকে উপদেশ অর্জন করে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. সুতরাং যে চায়, তা স্মরণে রাখুক।
وَ مَا یَذۡکُرُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ ؕ ہُوَ اَہۡلُ التَّقۡوٰی وَ اَہۡلُ الۡمَغۡفِرَۃِ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এবং তারা কী উপদেশ মান্য করবে, কিন্তু যখন আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন; তিনিই হচ্ছেন ভয় করার উপযোগী এবং তারই মর্যাদা হচ্ছে ক্ষমা করা।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর আল্লাহ্ না চাইলে তারা কেউ (তা) ম্মরণে রাখবে না। শুধু তিনিই খোদাভীতির (ও পরহেযগারীর) যোগ্য এবং কেবল তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।