Back
আল মুজাদালাহ
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
قَدۡ سَمِعَ اللّٰہُ قَوۡلَ الَّتِیۡ تُجَادِلُکَ فِیۡ زَوۡجِہَا وَ تَشۡتَکِیۡۤ اِلَی اللّٰہِ ٭ۖ وَ اللّٰہُ یَسۡمَعُ تَحَاوُرَکُمَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌۢ بَصِیۡرٌ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শুনেছেন তার কথা, যে আপনার সাথে তার স্বামীর ব্যাপারে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহ্‌ দরবারে ফরিয়াদ করছে; আর আল্লাহ্‌ তোমাদের উভয়ের বাদানুবাদ শুনছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শুনেন, দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
১. আল্লাহ্ অবশ্যই শুনেছেন সে নারীর কথা, যে আপনার নিকট তার স্বামীর ব্যাপারে বাদানুবাদ করছিল এবং আল্লাহ্‌র নিকট অভিযোগ পেশ করছিল। আল্লাহ্ আপনাদের উভয়ের প্রশ্নোত্তর শুনছিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
Play Share Copy
اَلَّذِیۡنَ یُظٰہِرُوۡنَ مِنۡکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِہِمۡ مَّا ہُنَّ اُمَّہٰتِہِمۡ ؕ اِنۡ اُمَّہٰتُہُمۡ اِلَّا الّٰٓیِٴۡ وَلَدۡنَہُمۡ ؕ وَ اِنَّہُمۡ لَیَقُوۡلُوۡنَ مُنۡکَرًا مِّنَ الۡقَوۡلِ وَ زُوۡرًا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَعَفُوٌّ غَفُوۡرٌ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. ওই সব লোক, যারা তোমাদের মধ্যে নিজ স্ত্রীদেরকে নিজ মায়ের স্থলে বলে বসে; তারা তাদের মা নয়। তাদের মায়েরা তো হচ্ছে তারাই, যাদের থেকে তারা জন্মলাভ করেছে। এবং নিঃসন্দেহে, তারা মন্দ ও নিরেট মিথ্যা কথা বলছে। এবং নিশ্চয় আল্লাহ্‌ অবশ্য পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।
ইরফানুল কুরআন
২. তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে ‘যিহার’ করে (অর্থাৎ বলে, ‘তুমি আমার নিকট আমার মায়ের মতো’), তবে (এ কথার দ্বারা) তারা তাদের মাতা (হয়ে যায়) না। তাদের মাতা তো কেবল তারাই যারা তাদেরকে জন্ম দেয়। নিশ্চয়ই তারা মন্দ এবং মিথ্যা কথা বলে। আর আল্লাহ্ অবশ্যই পাপমোচনকারী, ক্ষমাশীল।
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ یُظٰہِرُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ ثُمَّ یَعُوۡدُوۡنَ لِمَا قَالُوۡا فَتَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّتَمَآسَّا ؕ ذٰلِکُمۡ تُوۡعَظُوۡنَ بِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং ওই সব লোক, যারা আপন স্ত্রীদেরকে আপন মায়ের স্থলে বলে বসে অতঃপর তারা তাদের ওই জঘন্য উক্তি প্রত্যাহার করতে চায়, যা তারা বলেছে, তবে তাদের উপর অপরিহার্য- একটা ক্রীতদাস মুক্ত করা এর পূর্বে যে, একে অপরকে স্পর্শ করবে। এটা হচ্ছে- যে উপদেশ তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্বন্ধে অবহিত।
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ‘যিহার’ করে ফেলেছে, অতঃপর তাদের উক্তি প্রত্যাহার করতে চায়, তবে তারা একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস (বা দাসী) মুক্ত করবে। তোমাদেরকে এ বিষয়ের উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে খবর রাখেন যা তোমরা করো।
Play Share Copy
فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ شَہۡرَیۡنِ مُتَتَابِعَیۡنِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّتَمَآسَّا ۚ فَمَنۡ لَّمۡ یَسۡتَطِعۡ فَاِطۡعَامُ سِتِّیۡنَ مِسۡکِیۡنًا ؕ ذٰلِکَ لِتُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ ؕ وَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. অতঃপর যে ব্যক্তি ক্রীতদাস পায় না তবে সে লাগাতার দু’মাসের রোযা রাখবে এর পূর্বে যে, একে অপরের গায়ে হাত লাগাবে। অতঃপর যার দ্বারা রোযা রাখাও সম্ভবপর নয়, তবে তাকে ষাটজন মিসকীনকে পেট ভরে আহার করাতে হবে। এটা এ জন্য যে, তোমরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের উপর ঈমান রাখবে। এবং এগুলো আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
৪. কিন্তু যার (দাস-দাসীর) সামর্থ্য নেই, একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে সে একাধিক্রমে দুই মাস (বাধ্যতামুলক) রোজা রাখবে। অতঃপর যে ব্যক্তি এতেও অসামর্থ্য, সে ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াবে। তা এ জন্যে যে, তোমরা যেন আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি ঈমান রাখো। এটি আল্লাহ্‌র (নির্ধারিত) সীমানা; আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحَآدُّوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ کُبِتُوۡا کَمَا کُبِتَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ وَ قَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ ؕ وَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ۚ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা বিরুদ্ধাচরণ করে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের, তাদেরকে অপমানিত করা হয়েছে যেমন অপমানিত করা হয়েছিলো তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং নিশ্চয় আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি; আর কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাদেরকে অপদস্ত করা হবে যেমন অপদস্ত করা হয়েছে তাদের পূর্ববর্তীদেরকে। আর নিশ্চয়ই আমরা অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ; আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।
Play Share Copy
یَوۡمَ یَبۡعَثُہُمُ اللّٰہُ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُہُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ؕ اَحۡصٰہُ اللّٰہُ وَ نَسُوۡہُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَہِیۡدٌ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. যে দিন আল্লাহ্‌ তাদের সবাইকে পুনরুত্থিত করবেন অতঃপর তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত করবেন। আল্লাহ্‌ সেগুলোর গণনা করে রেখেছেন আর তারা তা ভুলে গেছে এবং প্রত্যেক কিছু আল্লাহ্‌র সম্মুখে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৬. যে দিন আল্লাহ্ তাদের সকলকে একত্রে (পুনর্জীবিত করে) উত্থিত করবেন, অতঃপর তাদেরকে তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করবেন; আল্লাহ্ (তাদের) সমস্ত কর্মকান্ডের হিসেব রেখেছেন, অথচ তারা তা ভুলে(ও) গিয়েছে। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সাক্ষী (এবং সম্যক অবগত)।
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَا یَکُوۡنُ مِنۡ نَّجۡوٰی ثَلٰثَۃٍ اِلَّا ہُوَ رَابِعُہُمۡ وَ لَا خَمۡسَۃٍ اِلَّا ہُوَ سَادِسُہُمۡ وَ لَاۤ اَدۡنٰی مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡثَرَ اِلَّا ہُوَ مَعَہُمۡ اَیۡنَ مَا کَانُوۡا ۚ ثُمَّ یُنَبِّئُہُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. ওহে শ্রোতা! তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্‌ জানেন যা কিছু আস্‌মানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে। যে কোন স্থানে তিন ব্যক্তির কানাঘুষা হয়, সেখানে চতুর্থ তিনি বিরাজমান থাকেন এবং পাচজনের হলে, তবে ‘ষষ্ঠ’ তিনি এবং না তা থেকে কম এবং তা তদপেক্ষা বেশীর, কিন্তু তিনি তাদের সাথে থাকেন তারা যেখানেই থাকুক না কেন। অতঃপর তাদেরকে ক্বিয়ামত- দিবসে বলে দেবেন যা কিছু তারা করেছে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৭. (হে মানুষ!) তুমি কি জ্ঞাত নও, আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে আল্লাহ্ সব জানেন? তিন ব্যক্তির এমন কোনো কানাঘুষা হয় না যাতে তিনি (নিজ পরিবেষ্টিত জ্ঞান ও অবগতির দ্বারা) তাদের চতুর্থজন হন না এবং পাঁচজনের মধ্যেও এমন হয় না যাতে তিনি (স্বীয় পরিবেষ্টিত জ্ঞান ও অবগতির দ্বারা) তাদের ষষ্ঠজন হন না। আর এরচেয়েও কম হোক বা বেশী, তিনি (সর্বদা) তাদের সাথেই আছেন, তারা যেখানেই থাকুক। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে সমস্ত কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করবেন যা তারা করতো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত।
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ نُہُوۡا عَنِ النَّجۡوٰی ثُمَّ یَعُوۡدُوۡنَ لِمَا نُہُوۡا عَنۡہُ وَ یَتَنٰجَوۡنَ بِالۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ وَ مَعۡصِیَتِ الرَّسُوۡلِ ۫ وَ اِذَا جَآءُوۡکَ حَیَّوۡکَ بِمَا لَمۡ یُحَیِّکَ بِہِ اللّٰہُ ۙ وَ یَقُوۡلُوۡنَ فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ لَوۡ لَا یُعَذِّبُنَا اللّٰہُ بِمَا نَقُوۡلُ ؕ حَسۡبُہُمۡ جَہَنَّمُ ۚ یَصۡلَوۡنَہَا ۚ فَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি, যাদেরকে মন্দ পরামর্শ করতে নিষেধ করা হয়েছিলো, অতঃপর তা-ই করে, যা করতে নিষেধ করা হয়েছিলো এবং পরস্পরের মধ্যে পাপ ও সীমালঙ্ঘন এবং রসূলের বিরুদ্ধাচরণের ব্যাপারে পরামর্শ করে। আর যখন আপনার সম্মুখে উপস্থিত হয় তখন এমন বাক্য দ্বারা আপনাকে অভিবাদন জানায়, যেসব শব্দ আল্লাহ্‌ আপনার সম্মানের ক্ষেত্রে বলেন নি আর তাদের মনে মনে বলে, ‘আমাদেরকে আল্লাহ্‌ কেন শাস্তি প্রদান করেন না আমাদের এ কথা বলার উপর?’ তাদের জন্য জাহান্নাম যথেষ্ট। তারা তাতে বিধ্বস্ত হবে। সুতরাং কতই মন্দ পরিণতি।
ইরফানুল কুরআন
৮. আপনি কি তাদেরকে লক্ষ্য করেননি যাদেরকে কানাঘুষা করতে নিষেধ করা হয়েছিল? অতঃপর তারা সে কাজই করতে লাগলো যা করতে নিষেধ করা হয়েছিল এবং তারা পাপাচার, সীমালঙ্ঘন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বিরুদ্ধাচারণের বিষয়ে কানাঘুষা করে। আর তারা যখন আপনার নিকট উপস্থিত হয়, তখন আপনাকে এমন (অশোভন) কথার দ্বারা অভিবাদন করে, যা দ্বারা আল্লাহ্ আপনাকে অভিবাদন করেননি। তারা মনে মনে বলে, ‘(যদি এ রাসূল সত্য হোন তবে) আমরা যা বলি তার জন্যে আল্লাহ্ আমাদেরকে শাস্তি দেন না কেন?’ তাদের জন্যে জাহান্নাম (-এর শাস্তি)-ই যথেষ্ট। তারা তাতেই প্রবেশ করবে, কতো মন্দ সেই ঠিকানা!
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا تَنَاجَیۡتُمۡ فَلَا تَتَنَاجَوۡا بِالۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ وَ مَعۡصِیَتِ الرَّسُوۡلِ وَ تَنَاجَوۡا بِالۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡۤ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন পরস্পর পরামর্শ করো তখন পাপ, সীমালঙ্ঘন ও রসূলের বিরুদ্ধাচরণের পরমার্শ করো না আর সৎকাজ ও খোদাভীরুতার পরামর্শ করো। এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো, যার প্রতি উত্থিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা পরস্পরে কানাঘুষা করো, তখন পাপাচার, সীমালঙ্ঘন এবং রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর অবাধ্যতায় তা করো না। বরং কল্যাণকর কাজ ও তাক্বওয়া অবলম্বনের কথা পরামর্শ করো, এবং ভয় করতে থাকো আল্লাহ্কে যাঁর নিকট তোমাদের সকলকে সমবেত করা হবে।
১০
Play Share Copy
اِنَّمَا النَّجۡوٰی مِنَ الشَّیۡطٰنِ لِیَحۡزُنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ لَیۡسَ بِضَآرِّہِمۡ شَیۡئًا اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ عَلَی اللّٰہِ فَلۡیَتَوَکَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. ওই পরামর্শ তো শয়তানেরই নিকট থেকে এ জন্য যে, ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেবে। এবং তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না আল্লাহ্‌র নির্দেশ ব্যতীত। এবং মুসলমানদের আল্লাহ্‌রই উপর ভরসা করা চাই।
ইরফানুল কুরআন
১০. (নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক) কানাঘুষা শয়তানের প্ররোচনাতেই হয়ে থাকে, ঈমানদারগণকে দুঃখ দেয়ার জন্যে। তবে সে (শয়তান) তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহ্‌র অনুজ্ঞা ব্যতীত। আর আল্লাহ্‌র প্রতিই মুমিনগণের ভরসা রাখা উচিত।
১১
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قِیۡلَ لَکُمۡ تَفَسَّحُوۡا فِی الۡمَجٰلِسِ فَافۡسَحُوۡا یَفۡسَحِ اللّٰہُ لَکُمۡ ۚ وَ اِذَا قِیۡلَ انۡشُزُوۡا فَانۡشُزُوۡا یَرۡفَعِ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ ۙ وَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ دَرَجٰتٍ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদেরকে বলা হয় ‘মজলিসসমূহে জায়গা দাও! তবে জায়গা দাও। আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে জায়গা দেবেন। আর যখন বলা হয়, ‘উঠে দাড়াও!’ তখন উঠে দাড়াও। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যাদেরকে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে, আল্লাহ্‌ তাদের মর্যাদা সমুন্নত করবেন। এবং আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের কর্মগুলোর খবর আছে।
ইরফানুল কুরআন
১১. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘(স্বীয়) মজলিসে স্থান প্রশস্ত করো’, তখন তা প্রশস্ত করো। তাহলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে প্রশস্ততা দান করবেন। আর যখন তোমাদেকে বলা হয়, ‘উঠে যাও’, তখন তোমরা উঠে যেও। আল্লাহ্ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন, তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে। আর তোমরা যে কার্যসম্পাদন করো সে সম্পর্কে আল্লাহ্ সম্যক অবগত।
১২
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نَاجَیۡتُمُ الرَّسُوۡلَ فَقَدِّمُوۡا بَیۡنَ یَدَیۡ نَجۡوٰىکُمۡ صَدَقَۃً ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ وَ اَطۡہَرُ ؕ فَاِنۡ لَّمۡ تَجِدُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা রসূলের নিকট কোন ক্ষমা গোপনে আরয করতে চাও, তবে আপন আরয করার পূর্বে কিছু সাদক্বাহ প্রদান করো! এটা তোমাদের জন্য উত্তম ও খুব পবিত্র। অতঃপর যদি তোমাদের সামর্থ্য না থাকে, তবে আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১২. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সমীপে একান্তে গোপন কিছু পেশ করতে চাও, তখন নিজের গোপন কথা বলার আগে কিছু সাদকা দাও। এ (কাজ) তোমাদের জন্যে শ্রেয় এবং পবিত্র, কিন্তু তোমরা যদি (সাদকাহ দেওয়ায়) অক্ষম হও, তবে আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
১৩
Play Share Copy
ءَاَشۡفَقۡتُمۡ اَنۡ تُقَدِّمُوۡا بَیۡنَ یَدَیۡ نَجۡوٰىکُمۡ صَدَقٰتٍ ؕ فَاِذۡ لَمۡ تَفۡعَلُوۡا وَ تَابَ اللّٰہُ عَلَیۡکُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. তোমরা কি এতে ভয় পেয়েছো যে, তোমরা স্বীয় আবেদনের পূর্বে কিছু সাদক্বাহ দেবে? অতঃপর যখন তোমরা এটা করো নি এবং আল্লাহ্‌ স্বীয়করুণা সহকারে তোমাদের প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছেন; সুতরাং নামায ক্বায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের অনুগত থাকো। আর আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্মগুলো সম্পর্কে জানেন।
ইরফানুল কুরআন
১৩. তোমরা কি (রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের সমীপে) গোপনে এবং বিশ্বস্ততার সাথে কথা বলার পূর্বে সাদকা ও খায়রাত দেয়ার ক্ষেত্রে ঘাবড়ে গিয়েছো? অতঃপর যখন তোমরা (তা) দিতে পারলে না এবং আল্লাহ্ তোমাদের থেকে তা তুলে নিলেন (অর্থাৎ সাদকা দেয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দিলেন), তখন তোমরা নামায কায়েম রাখো, যাকাত আদায় করতে থাকো এবং আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করতে থাকো। আর আল্লাহ্ তোমাদের সকল কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্যক অবগত।
১৪
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ تَوَلَّوۡا قَوۡمًا غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ ؕ مَا ہُمۡ مِّنۡکُمۡ وَ لَا مِنۡہُمۡ ۙ وَ یَحۡلِفُوۡنَ عَلَی الۡکَذِبِ وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি, যারা এমন লোকদের বন্ধু হয়েছে, যাদের উপর আল্লাহ্‌র ক্রোধ রয়েছে? তারা না তোমাদের অন্তর্ভুক্ত, না তাদের অন্তর্ভুক্ত, তারা জ্ঞাতসারেই মিথ্যা শপথ করে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আপনি কি তাদেরকে লক্ষ্য করেননি যারা সেসব দলের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখে যাদের উপর আল্লাহ্ ক্রোধান্বিত হয়েছেন? তারা তোমাদের দলভুক্ত নয়, এবং তাদের দলভুক্তও নয়। তারা মিথ্যা শপথ করে, অথচ তারা জানে।
১৫
Play Share Copy
اَعَدَّ اللّٰہُ لَہُمۡ عَذَابًا شَدِیۡدًا ؕ اِنَّہُمۡ سَآءَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আল্লাহ্‌ তাদের জন্য কঠিন শাস্তি তৈরি করে রেখেছেন। নিশ্চয় তারা অতি মন্দ কাজই করে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আল্লাহ্ তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন কঠিন শাস্তি। নিশ্চয়ই তা মন্দ (কাজ) যা তারা করে।
১৬
Play Share Copy
اِتَّخَذُوۡۤا اَیۡمَانَہُمۡ جُنَّۃً فَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ فَلَہُمۡ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তারা আপন শপথগুলোকে ঢালস্বরূপ গ্রহণ করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ্‌র পথে বাধা দিয়েছে সুতরাং তাদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তারা তাদের (মিথ্যা) শপথকে ঢাল স্বরূপ ব্যবহার করেছে, সুতরাং তারা (অপরকে) আল্লাহ্‌র পথ থেকে নিবৃত্ত করে। কাজেই তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।
১৭
Play Share Copy
لَنۡ تُغۡنِیَ عَنۡہُمۡ اَمۡوَالُہُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ شَیۡئًا ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ؕ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. তাদের ধন-সম্পদ ও তাদের সন্তানগণ আল্লাহ্‌র সম্মুখে তাদের কোন কাজে আসবে না। তারা দোযখবাসী। তাদেরকে তাতে স্থায়ীভাগে থাকতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আল্লাহ্‌র (শাস্তির) মুকাবিলায়, না তাদের সম্পদ তাদেরকে কখনো বাঁচাতে পারবে, আর না তাদের সন্তান-সন্ততি (তাদেরকে বাঁচাতে পারবে)। তারা জাহান্নামের অধিবাসী, তাতে তারা চিরকাল থাকবে।
১৮
Play Share Copy
یَوۡمَ یَبۡعَثُہُمُ اللّٰہُ جَمِیۡعًا فَیَحۡلِفُوۡنَ لَہٗ کَمَا یَحۡلِفُوۡنَ لَکُمۡ وَ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّہُمۡ عَلٰی شَیۡءٍ ؕ اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. যে দিন ওই সব লোককে পুনরুত্থিত করবেন, তখন তার সম্মুখেও তেমনই শপথ করবে, যেমন তোমাদের সামনে করছে। এবং তারা একথা মনে করছে যে, তারা কিছু করেছে। ওহে, শুনছো! নিশ্চয়, তারাই মিথ্যুক।
ইরফানুল কুরআন
১৮. যে দিন আল্লাহ্ তাদেরকে (পুনর্জীবিত করে) উত্থিত করবেন, তখন তারা তাঁর সমীপে(ও) অনুরূপ শপথ করবে, যেরূপ শপথ তোমাদের সাথে করছে। আর তারা মনে করে যে, এতে তারা ভালো কিছুর (অর্থাৎ উত্তম পথের) উপর রয়েছে। জেনে রাখো, তারা মিথ্যাবাদী।
১৯
Play Share Copy
اِسۡتَحۡوَذَ عَلَیۡہِمُ الشَّیۡطٰنُ فَاَنۡسٰہُمۡ ذِکۡرَ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ حِزۡبُ الشَّیۡطٰنِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزۡبَ الشَّیۡطٰنِ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. তাদের উপর শয়তান বিজয়ী হয়ে গেছে, সুতরাং সে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহ্‌র স্মরণ। তারা শয়তানের দল। শুনছো! নিশ্চয় শয়তানেরই দল ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. শয়তান তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে, সুতরাং সে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহ্‌র স্মরণ। এরাই শয়তানের বাহিনী। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।
২০
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحَآدُّوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗۤ اُولٰٓئِکَ فِی الۡاَذَلِّیۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সর্বাধিক লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
২০. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তারাই চরম লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত।
২১
Play Share Copy
کَتَبَ اللّٰہُ لَاَغۡلِبَنَّ اَنَا وَ رُسُلِیۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ عَزِیۡزٌ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. আল্লাহ্‌ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, ‘অবশ্য আমি বিজয়ী হবো এবং আমার রসূল’। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শক্তিমান, মহা সম্মানিত।
ইরফানুল কুরআন
২১. আল্লাহ্ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি এবং আমার রাসূলই বিজয়ী হয়ে থাকবো’। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী।
২২
Play Share Copy
لَا تَجِدُ قَوۡمًا یُّؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ یُوَآدُّوۡنَ مَنۡ حَآدَّ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اٰبَآءَہُمۡ اَوۡ اَبۡنَآءَہُمۡ اَوۡ اِخۡوَانَہُمۡ اَوۡ عَشِیۡرَتَہُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ کَتَبَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الۡاِیۡمَانَ وَ اَیَّدَہُمۡ بِرُوۡحٍ مِّنۡہُ ؕ وَ یُدۡخِلُہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ رَضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَ رَضُوۡا عَنۡہُ ؕ اُولٰٓئِکَ حِزۡبُ اللّٰہِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزۡبَ اللّٰہِ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. আপনি পাবেন না ওই সব লোককে, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের উপর এমনি যে, তারা বন্ধুত্ব রাখে ওই সব লোকের সাথে, যারা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে, যদিও তারা তাদের পিতা অথবা পুত্র, অথবা ভাই কিংবা নিজ জ্ঞাতি-গোত্রের লোক হয়। এরা হচ্ছে ওই সব লোক, যাদের অন্তরগুলোতে আল্লাহ্‌ ঈমান অঙ্কিত করে দিয়েছেন এবং তাঁর নিকট থেকে রূহ দ্বারা তাঁদের সাহায্য করেছেন এবং তাদেরকে বাগানসমূহে নিয়ে যাবেন; যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান, সেগুলোর মধ্যে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহ্‌র প্রতি সন্তুষ্ট। এটা আল্লাহ্‌র দল। শুনছো! আল্লাহ্‌রই দল সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
২২. আপনি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায় পাবেন না যারা বন্ধুত্ব স্থাপন করে সেসব ব্যক্তির সাথে যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, হোক তারা তাদের পিতা (এবং দাদা) অথবা পুত্র (এবং পৌত্র) অথবা তাদের ভাই অথবা নিকটাত্মীয়। তাদের অন্তরেই তিনি (অর্থাৎ আল্লাহ্) অঙ্কিত করে দিয়েছেন ঈমান, আর তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন স্বীয় রূহ (অর্থাৎ বিশেষ অনুগ্রহ) দ্বারা। আর তাদেরকে প্রবিষ্ট করাবেন জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে স্রোতধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহ্‌র প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। এটিই আল্লাহ্‌র (অর্থাৎ আল্লাহ্-ওয়ালা লোকের) দল। মনে রেখো! নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র দলই লক্ষ্য অর্জনকারী।