بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
تَبٰرَکَ الَّذِیۡ بِیَدِہِ الۡمُلۡکُ ۫ وَ ہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرُۨ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. বড়ই কল্যাণময় তিনি, যার মুঠোর মধ্যে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব-রাজ্য; এবং তিনি প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান;
ইরফানুল কুরআন
১. অতীব কল্যাণময় সেই সত্তা, যার (কুদরতী) হাতে (বিশ্ব জগতের) রাজত্ব; তিনি সকল কিছুর উপর নিরংকুশ ক্ষমতাবান;
الَّذِیۡ خَلَقَ الۡمَوۡتَ وَ الۡحَیٰوۃَ لِیَبۡلُوَکُمۡ اَیُّکُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفُوۡرُ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. তিনি, যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যায়- তোমাদের মধ্যে কার কর্ম অধিক উত্তম। এবং তিনিই মহা সম্মানিত, ক্ষমাশীল।
ইরফানুল কুরআন
২. যিনি মৃত্যু এবং জীবন (এ জন্যে) সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে আমলে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, মহাক্ষমাশীল;
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ ہَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. যিনি সপ্ত আস্মান সৃষ্টি করেছেন একটার উপর অপরটা; তুমি রহমানের সৃষ্টিতে কি পার্থক্য দেখছো? সুতরাং দৃষ্টি উঠিয়ে দেখো তুমি কি কোন ফাটল দেখতে পাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
৩. যিনি সপ্তাকাশ (অথবা অসংখ্য আকাশমন্ডলী) সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে। দয়াময় আল্লাহ্র সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় তুমি কোনো অনিয়ম এবং অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। সুতরাং তুমি (গভীর মনোযোগ ও ভাবনার) দৃষ্টিতে ফিরে দেখো, তুমি কি এর মাঝে কোনো ত্রুটি বা অসঙ্গতি (অর্থাৎ পতন বা বিচ্ছিন্নতা) দেখতে পাও?
ثُمَّ ارۡجِعِ الۡبَصَرَ کَرَّتَیۡنِ یَنۡقَلِبۡ اِلَیۡکَ الۡبَصَرُ خَاسِئًا وَّ ہُوَ حَسِیۡرٌ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. অতঃপর আবার দৃষ্টি উঠাও, দৃষ্টি তোমার দিকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে ক্লান্ত ও হতভম্ভ অবস্থায়।
ইরফানুল কুরআন
৪. অতঃপর তুমি আবার (অনুসন্ধানী) দৃষ্টিতে (বিভিন্ন আঙিকে এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে) ফিরে দেখো, (প্রত্যেকবার) সেই দৃষ্টি (কোনো ত্রুটি অন্বেষণে) ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
وَ لَقَدۡ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلۡنٰہَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ وَ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং নিশ্চয় আমি নিম্নতম আস্মানকে প্রদীপমালা দ্বারা সজ্জিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ করেছি এবং তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি প্রস্তুত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর আমরা নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি (তারকা, গ্রহ, অপরাপর গ্রহাণু ও উল্কাপিন্ডের আকারে) প্রদীপমালা দ্বারা এবং এগুলোকে করেছি শয়তানদের (নেতিবাচক প্রভাব নিঃশেষ করার এবং অবাধ্য শক্তির) প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ হিসেবে। আর আমরা এদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি প্রজ্বলিত অগ্নির শাস্তি।
وَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمۡ عَذَابُ جَہَنَّمَ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং যারা আপন রবের সাথে কুফর করেছে তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে এবং কতোই মন্দ পরিণতি!
ইরফানুল কুরআন
৬. আর যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। আর কতোই না নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল!
اِذَاۤ اُلۡقُوۡا فِیۡہَا سَمِعُوۡا لَہَا شَہِیۡقًا وَّ ہِیَ تَفُوۡرُ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যখন (তাদেরকে) তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেটার চিৎকারের শব্দ শুনবে- তা জোশ্ মারছে।
ইরফানুল কুরআন
৭. যখন এদেরকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন এরা এর ভয়ানক গর্জন শুনবে এবং তা (ক্রোধে) উদ্বেলিত হয়ে উঠবে,
تَکَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الۡغَیۡظِ ؕ کُلَّمَاۤ اُلۡقِیَ فِیۡہَا فَوۡجٌ سَاَلَہُمۡ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمۡ یَاۡتِکُمۡ نَذِیۡرٌ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. মনে হবে যে ভীষণ ক্রোধে ফেটে পড়ছে। যখনই কোন দলকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে তখন সেটার দারোগা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসে নি?’
ইরফানুল কুরআন
৮. যেন (এখনি) তা প্রচন্ড ক্রোধে ফেটে পড়বে। যখনই এতে কোনো দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখনই এর প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোনো সতর্ককারী আসেনি?’
قَالُوۡا بَلٰی قَدۡ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبۡنَا وَ قُلۡنَا مَا نَزَّلَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তারা বলবে, ‘কেন নয়? নিশ্চয় আমাদের নিকট সতর্ককারী তাশরীফ এনেছেন অতঃপর আমরা অস্বীকার করেছি এবং বলেছি, ‘আল্লাহ্ কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা তো নও, কিন্তু জঘন্য পথভ্রষ্টতাঁর মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
৯. তারা বলবে, ‘হ্যাঁ! অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী আগমন করেছিলেন, তবে আমরা তাঁকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ্ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো কেবল প্রচন্ড গোমরাহীতে (পড়ে) রয়েছো।’
وَ قَالُوۡا لَوۡ کُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا کُنَّا فِیۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তবে দোযখবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না’।
ইরফানুল কুরআন
১০. তারা আরো বলবে, ‘যদি আমরা (সত্য) শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না’।
فَاعۡتَرَفُوۡا بِذَنۡۢبِہِمۡ ۚ فَسُحۡقًا لِّاَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এখন তারা নিজেদের পাপ স্বীকার করলো। সুতরাং দোযখীদের প্রতি ধিক্কার!
ইরফানুল কুরআন
১১. অতঃপর তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে, সুতরাং জাহান্নামীরা (আল্লাহ্র রহমত থেকে) দূর হোক।
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা না দেখে আপন রবকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
ইরফানুল কুরআন
১২. নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার।
وَ اَسِرُّوۡا قَوۡلَکُمۡ اَوِ اجۡہَرُوۡا بِہٖ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং তোমরা নিজেদের কথা নীরবে বলো কিংবা সরবে, তিনি তো অন্তর্যামী।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বলো অথবা সশব্দে বলো, নিশ্চয়ই তিনি অন্তরের (অব্যক্ত) কথাও সম্যক অবগত।
اَلَا یَعۡلَمُ مَنۡ خَلَقَ ؕ وَ ہُوَ اللَّطِیۡفُ الۡخَبِیۡرُ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তিনি কি জানেন না, যিনি সৃষ্টি করেছেন? এবং তিনিই হন প্রত্যেক সূক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাতা, অবহিত।
ইরফানুল কুরআন
১৪. যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানেন না? প্রকৃতপক্ষে তিনি সূক্ষ্মদর্শী, (সকল কিছুই) অবগত।
ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ ذَلُوۡلًا فَامۡشُوۡا فِیۡ مَنَاکِبِہَا وَ کُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِہٖ ؕ وَ اِلَیۡہِ النُّشُوۡرُ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. তিনিই, যিনি তোমাদের জন্য ভূ-পৃষ্ঠকে সুগম করে দিয়েছেন সুতরাং সেটার রাস্তাগুলো দিয়ে চলো এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবিকাগুলোর থেকে আহার করো। আর তাঁরই দিকে উত্থিত হতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. তিনিই তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন সুগম এবং অধীনস্ত। সুতরাং এর পথেই চলো। আর তাঁর (দেয়া) রিযিক থেকে খাও। আর (মৃত্যুর পর) তাঁরই দিকে পুনরুত্থান।
ءَاَمِنۡتُمۡ مَّنۡ فِی السَّمَآءِ اَنۡ یَّخۡسِفَ بِکُمُ الۡاَرۡضَ فَاِذَا ہِیَ تَمُوۡرُ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তোমরা কি নির্ভিক হয়ে গেছো তাঁরই থেকে, যার বাদশাহী আস্মানে রয়েছে, এ থেকে যে, তিনি তোমাদেরকে ভূ-গর্ভে ধ্বসিয়ে ফেলবেন। তখনই তা কাঁপতে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তোমরা কি নির্ভয় হয়ে গিয়েছো আসমানের অধিপতি (প্রতিপালক) থেকে যে তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে (এমনভাবে) ধ্বসিয়ে দেবেন না, অতঃপর তা অকস্মাৎ কেঁপে উঠবে?
اَمۡ اَمِنۡتُمۡ مَّنۡ فِی السَّمَآءِ اَنۡ یُّرۡسِلَ عَلَیۡکُمۡ حَاصِبًا ؕ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ کَیۡفَ نَذِیۡرِ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. অথবা তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছো তাঁর থেকে, যার বাদশাহী আস্মানে রয়েছে, এ থেকে যে তোমাদের প্রতি তিনি কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন? সুতরাং এখন জানতে পারবে কেমন ছিলো আমার ভয় প্রদর্শন।
ইরফানুল কুরআন
১৭. নাকি তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গিয়েছো আসমানের অধিপতি (প্রতিপালক) থেকে যে তিনি তোমাদের প্রতি কঙ্করবর্ষী বায়ু প্রেরণ করবেন না? অতঃপর তোমরা অচিরেই জানতে পারবে আমার ভীতিপ্রদর্শন কেমন ছিল?
وَ لَقَدۡ کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَکَیۡفَ کَانَ نَکِیۡرِ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং নিশ্চয় তাদের পূর্ববর্তীগণ অস্বীকার করেছে। সুতরাং কেমন হয়েছে আমাকে অস্বীকার করা?’
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর অবশ্যই তারাও মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল যারা তাদের পূর্বে ছিল। সুতরাং আমার অস্বীকার কেমন (ভয়ানক তা প্রমাণিত)!
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اِلَی الطَّیۡرِ فَوۡقَہُمۡ صٰٓفّٰتٍ وَّ یَقۡبِضۡنَ ؔۘؕ مَا یُمۡسِکُہُنَّ اِلَّا الرَّحۡمٰنُ ؕ اِنَّہٗ بِکُلِّ شَیۡءٍۭ بَصِیۡرٌ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তারা কি নিজেদের উপরে পাখীগুলোকে দেখে নি? সেগুলো পাখা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে। সেগুলোকে কেউ স্থির রাখে না রহমান ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি সবকিছু দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
১৯. তারা কি তাদের ঊর্ধ্বে পাখা বিস্তারকারী এবং (কখনো) পাখা সংকোচনকারী বিহঙ্গকুলের প্রতি লক্ষ্য করেনি? তাদেরকে (শূন্যমন্ডলে পতন থেকে) কেউ রুখতে পারেনা, অসীম দয়ালু (-এঁর নির্ধারিত বিধান) ছাড়া। নিশ্চয়ই তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।
اَمَّنۡ ہٰذَا الَّذِیۡ ہُوَ جُنۡدٌ لَّکُمۡ یَنۡصُرُکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ الرَّحۡمٰنِ ؕ اِنِ الۡکٰفِرُوۡنَ اِلَّا فِیۡ غُرُوۡرٍ ﴿ۚ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. অথবা তোমাদের সে কোন্ বাহিনী আছে, যা রহমানের মোকাবেলায় তোমাদের সাহায্য করবে? কাফিররা তো ধোকার মধ্যেই রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২০. বেশ, অতীব দয়াময় (আল্লাহ্)-এঁর বিপরীতে কেউ এমন আছে কি যে তোমাদের বাহিনী হয়ে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফেরেরা তো কেবল প্রবঞ্চনায় (লিপ্ত) রয়েছে।
اَمَّنۡ ہٰذَا الَّذِیۡ یَرۡزُقُکُمۡ اِنۡ اَمۡسَکَ رِزۡقَہٗ ۚ بَلۡ لَّجُّوۡا فِیۡ عُتُوٍّ وَّ نُفُوۡرٍ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অথবা কে এমন আছে, যে তোমাদেরকে জীবিকা দেবে যদি তিনি আপন জীবিকা বন্ধ রাখেন? বরং তারা অবাধ্য এবং ঘৃণার মধ্যে অবিচল হয়ে আছে।
ইরফানুল কুরআন
২১. বেশ, কেউ এমন আছে কি, যে তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দান করবে যদি (আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে) তাঁর জীবনোপকরণ বন্ধ করে দেন? বস্তুত তারা অবাধ্যতা এবং (সত্য থেকে) বিমুখতায় দৃঢ়ভাবে অবিচল রয়েছে।
اَفَمَنۡ یَّمۡشِیۡ مُکِبًّا عَلٰی وَجۡہِہٖۤ اَہۡدٰۤی اَمَّنۡ یَّمۡشِیۡ سَوِیًّا عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তবে কি ওই ব্যক্তি যে আপন মুখমণ্ডলের উপর ভর করে ঋজু হয়ে চলে সে অধিক সরল পথে রয়েছে, না ওই ব্যক্তি, যে সোজা হয়ে চলে, সরল পথের উপর?
ইরফানুল কুরআন
২২. যে উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলছে, সে সৎপথে রয়েছে, নাকি যে সোজা হয়ে সঠিক পথে চলে?
قُلۡ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَکُمۡ وَ جَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আপনি বলুন! ‘তিনিই, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও অন্তর সৃষ্টি করেছেন। কত কম লোকই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছো!’
ইরফানুল কুরআন
২৩. বলে দিন, ‘তিনিই (আল্লাহ্) তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদেরকে দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু এবং অন্তঃকরণ। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’
قُلۡ ہُوَ الَّذِیۡ ذَرَاَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. আপনি বলুন! তিনিই, যিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তার করেছেন এবং তাঁরই প্রতি উত্থিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. বলে দিন, ‘তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করেছেন এবং তোমাদেরকে (কিয়ামতের দিন) তাঁরই নিকট সমবেত করা হবে’।
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی ہٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং বলে, ‘এ প্রতিশ্রুতি কবে আসবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর তারা বলে, ‘(কিয়ামতের) এ প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
قُلۡ اِنَّمَا الۡعِلۡمُ عِنۡدَ اللّٰہِ ۪ وَ اِنَّمَاۤ اَنَا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. আপনি বলুন, ‘এ জ্ঞান তো আল্লাহ্র নিকট রয়েছে এবং আমি তো এ-ই সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
ইরফানুল কুরআন
২৬. বলে দিন, ‘(এর সময়ের) জ্ঞান কেবল আল্লাহ্রই নিকট রয়েছে, আর আমি তো কেবল সুস্পষ্ট সতর্ককারী’ (সময় প্রকাশ করা হলে এর ভীতি দূর হয়ে যাবে)।
فَلَمَّا رَاَوۡہُ زُلۡفَۃً سِیۡٓـَٔتۡ وُجُوۡہُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ قِیۡلَ ہٰذَا الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ بِہٖ تَدَّعُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর যখন ওটা সন্নিকটে দেখতে পাবে তখন কাফিরদের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাবে এবং তাদেরকে বলে দেওয়া হবে, ‘এটাই হচ্ছে-যা তোমরা চাচ্ছিলে’।
ইরফানুল কুরআন
২৭. অতঃপর যখন তারা সেই (প্রতিশ্রুত) দিনকে আসন্ন দেখবে, তখন কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে যাবে এবং (তাদেরকে) বলা হবে, ‘এটিই তো (সেই প্রতিশ্রুতি) যা তোমরা (দ্রুত) কামনা করতে’।
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ اَہۡلَکَنِیَ اللّٰہُ وَ مَنۡ مَّعِیَ اَوۡ رَحِمَنَا ۙ فَمَنۡ یُّجِیۡرُ الۡکٰفِرِیۡنَ مِنۡ عَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. আপনি বলুন, ‘ভালো, দেখো তো! যদি আল্লাহ্ আমাকে ও আমার সঙ্গপ্রাপ্তদেরকে ধ্বংস করে দেন কিংবা আমাদের উপর দয়া করেন, তবে সে কে আছে, যে কাফিরদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’
ইরফানুল কুরআন
২৮. বলে দিন, ‘আচ্ছা বলো তো, (তোমরা যেমন কামনা করো) আল্লাহ্ যদি আমাকে এবং আমার সঙ্গীদেরকে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে নিয়ে যান অথবা আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন (অর্থাৎ আমাদের মৃত্যু বিলম্বিত করেন) তবে কে আছে, যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে কাফেরদেরকে রক্ষা করবে?’
قُلۡ ہُوَ الرَّحۡمٰنُ اٰمَنَّا بِہٖ وَ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡنَا ۚ فَسَتَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ ہُوَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আপনি বলুন, ‘তিনিই রহমান, আমরা তাঁর উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই উপর নির্ভর করেছি। সুতরাং এখন জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে’।
ইরফানুল কুরআন
২৯. বলে দিন, ‘তিনিই দয়াময় (আল্লাহ্), যার প্রতি আমরা ঈমান আনয়ন করেছি এবং তাঁরই উপর আমরা ভরসা করি। অতঃপর তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে রয়েছে।’
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ اَصۡبَحَ مَآؤُکُمۡ غَوۡرًا فَمَنۡ یَّاۡتِیۡکُمۡ بِمَآءٍ مَّعِیۡنٍ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. আপনি বলুন, ‘ভালো, দেখোতো! যদি সকালে তোমাদের পানি ভূ-গর্ভে ধ্বসে যায়, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের নিকট পানি এনে দেবে, যা চোখের সামনে প্রবহমান?’
ইরফানুল কুরআন
৩০.বলে দিন, ‘আচ্ছা বলো তো, যদি ভূগর্ভের পানি তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায় (অর্থাৎ শুকিয়ে যায়), তবে কে আছে যে তোমাদেরকে (ভূপৃষ্ঠের উপর) প্রবাহমান পানি এনে দেবে?’