Back
আল মুমিনূন
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. নিশ্চয় সফলকাম হয়েছে ঈমানদারগণ;
ইরফানুল কুরআন
১. অবশ্যই ঈমানদারগণ লক্ষ্য অর্জন করেছে,
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ ہُمۡ فِیۡ صَلَاتِہِمۡ خٰشِعُوۡنَ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যারা নিজেদের নামাযের মধ্যে বিনীত নম্র হয়,
ইরফানুল কুরআন
২. যারা স্বীয় নামাযে বিনীত ও আত্মনিবেদিত,
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ ﴿ۙ۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং যারা অনর্থক কথার দিকে দৃষ্টিপাত করে না,
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যারা (সর্বদা) অনর্থক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকে,
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِلزَّکٰوۃِ فٰعِلُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং যারা যাকাত প্রদান করে থাকে,
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যারা (সর্বদা) যাকাত আদায় (করে নিজের জীবন ও সম্পদ পবিত্র) করে,
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِفُرُوۡجِہِمۡ حٰفِظُوۡنَ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং যারা যৌনাঙ্গগুলোকে সংযত রাখে,
ইরফানুল কুরআন
৫. আর যারা (সর্বদা) নিজের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে,
Play Share Copy
اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِہِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَاِنَّہُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ ۚ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. নিজেদের পত্নীগণ অথবা তাদের ওই শরীয়তসম্মত দাসীদের নিকট ব্যতীত যারা তাদের হাতের মালিকাধীন। এতে তাদেরকে তিরষ্কার করা হবে না,
ইরফানুল কুরআন
৬. নিজেদের স্ত্রী অথবা ঐ সব বাঁদী ব্যতীত যারা তাদের অধিকারভুক্ত। নিশ্চয়ই (শরীয়তের বিধানানুযায়ী এদের নিকট গমনে) তাদের প্রতি কোনো তিরস্কার নেই।
Play Share Copy
فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡعٰدُوۡنَ ۚ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. সুতরাং যারা এ দু’প্রকার ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী;
ইরফানুল কুরআন
৭. অতঃপর যে এসকল (বৈধ নারীদের) ব্যতীত অন্যদের অন্বেষণ করে, তারাই সীমা অতিক্রমকারী (অবাধ্য)।
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِاَمٰنٰتِہِمۡ وَ عَہۡدِہِمۡ رٰعُوۡنَ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং ওই সব লোক, যারা তাদের আমানতগুলো ও নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে;
ইরফানুল কুরআন
৮. আর যারা নিজেদের আমানত এবং নিজেদের অঙ্গীকারের প্রতি লক্ষ্য রাখে,
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَلٰی صَلَوٰتِہِمۡ یُحَافِظُوۡنَ ۘ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং যারা নিজ নিজ নামাযের প্রতি যত্নবান হয়
ইরফানুল কুরআন
৯. আর যারা নিজেদের নামাযে (সার্বক্ষণিকভাবে) যত্নবান,
১০
Play Share Copy
اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡوٰرِثُوۡنَ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এসব লোকেই উত্তরাধিকারী;
ইরফানুল কুরআন
১০.এ লোকেরাই (জান্নাতের) উত্তরাধিকারী।
১১
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ یَرِثُوۡنَ الۡفِرۡدَوۡسَ ؕ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. যারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার পাবে; তারা তাতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১১.তারা জান্নাতের উচু মর্যাদাসম্পন্ন উদ্যানেরও উত্তরাধিকার লাভ করবে (যেখানে অধিক পরিমাণে সমস্ত নিয়ামত, শান্তি ও আল্লাহ্‌র নৈকট্যের স্বাদ থাকবে)। তারা সেখানে থাকবে চিরদিন।
১২
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ ﴿ۚ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং নিশ্চয় আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর নিশ্চয়ই আমরা মাটির (রাসায়নিক উপাদানের) নির্যাস থেকে মানুষ সৃষ্টি (সূচনা) করেছি।
১৩
Play Share Copy
ثُمَّ جَعَلۡنٰہُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ ﴿۪۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. অতঃপর সেটাকে পানির ফোটারূপে স্থাপন করেছি একটা মজবুত আধারের মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. অতঃপর তাকে (জন্মদায়ক বিন্দু) বীর্যরূপে স্থাপন করেছি (মায়ের জরায়ু নামক) এক নিরাপদ আধারে।
১৪
Play Share Copy
ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭ ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰہُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ فَتَبٰرَکَ اللّٰہُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. অতঃপর আমি উক্ত পানির ফোটাকে রক্ত-পিণ্ডে পরিণত করেছি; অতঃপর ওই রক্তপিণ্ডকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি; অতঃপর মাংসপিণ্ডকে অস্থিতে পরিণত করেছি; অতঃপর উক্ত অস্থিগুলোর উপর মাংস পরিয়েছি; তারপর সেটাকে অন্য আকৃতিতে গড়ে তুলেছি; অতএব, মহা মঙ্গলময় হন আল্লাহ্‌, সর্বোত্তম স্রষ্টা।
ইরফানুল কুরআন
১৪. অতঃপর আমরা এ বীর্যকে (মায়ের জরায়ুতে জোঁকের আকৃতিতে) ঝুলন্ত বস্তু বানিয়েছি। এরপর আমরা এ ঝুলন্ত বস্তুকে (এমন) এক পিন্ড বানিয়েছি যা দেখতে দন্তচর্বিত। অতঃপর আমরা এ পিন্ডকে পরিণত করেছি অস্থিপিঞ্জরে। তারপর আমরা এ অস্থিপিঞ্জরকে মাংস (এবং পেশী) দ্বারা ঢেকে দিয়েছি। অবশেষে আমরা তাকে সৃষ্টির অন্য আকারে (পরিবর্তন করে) ক্রমবিকশিত করেছি। অতঃপর আল্লাহ্ (তাকে সুদৃঢ় শরীরে) বৃদ্ধি করেছেন, যিনি সবচেয়ে সুনিপুণ সৃষ্টিকর্তা।
১৫
Play Share Copy
ثُمَّ اِنَّکُمۡ بَعۡدَ ذٰلِکَ لَمَیِّتُوۡنَ ﴿ؕ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. অতঃপর তোমরা এরপরে অবশ্যই মরণশীল।
ইরফানুল কুরআন
১৫. অতঃপর তোমরা এরপর (অর্থাৎ এ জীবনের পর) অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে।
১৬
Play Share Copy
ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تُبۡعَثُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. অতঃপর তোমরা সবাই ক্বিয়ামতের দিন পুনরুত্থিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. অতঃপর অবশ্যই তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন পুনরুত্থিত করা হবে।
১৭
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَکُمۡ سَبۡعَ طَرَآئِقَ ٭ۖ وَ مَا کُنَّا عَنِ الۡخَلۡقِ غٰفِلِیۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের ঊর্ধ্বে সাতটা পথ সৃষ্টি করেছি; এবং আমি সৃষ্টি সম্পর্কে অনবগত নই।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের ঊর্ধ্বে (ভু-পৃষ্ঠের চার পাশে বিস্তৃত শূন্যমন্ডলে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাতটি চৌম্বকীয় ময়দান বা) সপ্তপথ বানিয়েছি। আর আমরা (বিশ্বজগতের) সৃষ্টি (ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা) সম্পর্কে অনবহিত ছিলাম না।
১৮
Play Share Copy
وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَاَسۡکَنّٰہُ فِی الۡاَرۡضِ ٭ۖ وَ اِنَّا عَلٰی ذَہَابٍۭ بِہٖ لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং আমি আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেছি একটা পরিমাণ মতো; অতঃপর তা যমীনের মধ্যে সংরক্ষিত করেছি এবং নিশ্চয় আমি তা অপসারিত করতেও সক্ষম।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর আমরা (দীর্ঘ সময় পর্যন্ত) পরিমিতভাবে মেঘমালা থেকে বারি বর্ষণ করেছি। অতঃপর (ভু-পৃষ্ঠ শীতল হলে) আমরা একে মৃত্তিকায় (নিম্ন ভাগে) সংরক্ষিত করেছি। (যার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সৃষ্টি হয় সাগর) আর নিশ্চয়ই আমরা একে (বাষ্পীভুত করে) অপসারিত করতেও ক্ষমতা রাখি।
১৯
Play Share Copy
فَاَنۡشَاۡنَا لَکُمۡ بِہٖ جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ ۘ لَکُمۡ فِیۡہَا فَوَاکِہُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. অতঃপর তা দ্বারা আমি তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করেছি-খেজুর ও আঙ্গুরের, তোমাদের জন্য সেগুলোর মধ্যে প্রচুর ফল রয়েছে এবং সেগুলোর থেকে তোমরা আহার করে থাকো;
ইরফানুল কুরআন
১৯. অতঃপর আমরা তোমাদের জন্যে এর দ্বারা (স্তরে স্তরে অর্থাৎ প্রথমে তৃণলতা, অতঃপর চারাগাছ, এরপর বৃক্ষে) খেজুর এবং আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। (এ ছাড়াও) তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে (আরো) অনেক ফলমূল (সৃষ্টি করেছি)। আর (এখন) তোমরা তা থেকে ভক্ষণ করো।
২০
Play Share Copy
وَ شَجَرَۃً تَخۡرُجُ مِنۡ طُوۡرِ سَیۡنَآءَ تَنۡۢبُتُ بِالدُّہۡنِ وَ صِبۡغٍ لِّلۡاٰکِلِیۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং ওই বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বত থেকে বের হয়, যা তৈল সহকারে জন্মায় এবং ভোজনকারীদের জন্য ব্যঞ্জন।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর এ (যায়তূন) বৃক্ষও (আমরা সৃষ্টি করেছি) যা সিনাই উপত্যকায় বেড়ে উঠে, (আর) তেল এবং ভক্ষণকারীর জন্যে ব্যঞ্জন নিয়ে উদ্গত হয়।
২১
Play Share Copy
وَ اِنَّ لَکُمۡ فِی الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَۃً ؕ نُسۡقِیۡکُمۡ مِّمَّا فِیۡ بُطُوۡنِہَا وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَنَافِعُ کَثِیۡرَۃٌ وَّ مِنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿ۙ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং নিশ্চয় তোমাদের জন্য চতুষ্পদ পশুগুলোর মধ্যে উপলব্ধি করার ক্ষেত্র রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তা থেকেই, যা সেগুলোর উদরে রয়েছে এবং তোমাদের জন্য সেগুলোর মধ্যে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে, আর সেগুলোর থেকে তোমাদের খোরাক রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
২১. আর নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ প্রাণীতে(ও) চিন্তার উপকরণ রয়েছে। যা কিছু এদের উদরে থাকে তা থেকে (কিছু অংশ দুগ্ধ হিসেবে) আমরা তোমাদেরকে পান করাই। আর তোমাদের জন্যে এতে (আরো) অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং তোমরা এগুলো থেকে (কিছু অংশ) ভক্ষণ(ও) করো।
২২
Play Share Copy
وَ عَلَیۡہَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং সেগুলোর উপর ও নৌযানের উপর তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর এদের উপর এবং জলযানে তোমাদেরকেও আরোহণ করানো হয়।
২৩
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰی قَوۡمِہٖ فَقَالَ یٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰہٍ غَیۡرُہٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. নিশ্চয় আমি নূহকে তাঁর সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছি; সুতরাং সে বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ্‌র ইবাদত করো! তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন খোদা নেই। তবে কি তোমাদের ভয় নেই?’
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর নিশ্চয়ই আমরা নূহ (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর তিনি বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করো, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য নেই। তোমরা কি ভয় করো না?’
২৪
Play Share Copy
فَقَالَ الۡمَلَؤُا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ قَوۡمِہٖ مَا ہٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یُرِیۡدُ اَنۡ یَّتَفَضَّلَ عَلَیۡکُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَاَنۡزَلَ مَلٰٓئِکَۃً ۚۖ مَّا سَمِعۡنَا بِہٰذَا فِیۡۤ اٰبَآئِنَا الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿ۚ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. অতঃপর তাঁর সম্প্রদায়ের যে সব সরদার কুফর করেছে তারা বললো, ‘এ’তো নয়, কিন্তু তোমাদের মতো মানুষ, তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠ হতে চায়, আর আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে ফিরিশ্‌তা অবতাঁরণ করতেন, আমরা তো এ কথা পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষের মধ্যে শুনিনি।
ইরফানুল কুরআন
২৪. অতঃপর তাদের সম্প্রদায়ের সর্দারগণ (এবং নৃপতিরা), যারা কুফরী করেছিল, তারা বলতে লাগলো, ‘এ ব্যক্তি তো কেবল তোমাদেরই মতো একজন মানুষ (ব্যতীত আর কিছুই নয়)। সে তোমাদের উপর (নিজের) মর্যাদা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর যদি আল্লাহ্ (হেদায়াতের জন্যে কোনো পয়গম্বর প্রেরণ করতে) চাইতেন, তবে ফেরেশতাই প্রেরণ করতেন। আমরা তো এরূপ কথা (অর্থাৎ আমাদের মতোই কারো রাসূল হিসেবে আগমন) আমাদের পূর্বপুরুষগণের নিকট (কখনো) শুনিনি।
২৫
Play Share Copy
اِنۡ ہُوَ اِلَّا رَجُلٌۢ بِہٖ جِنَّۃٌ فَتَرَبَّصُوۡا بِہٖ حَتّٰی حِیۡنٍ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. সেতো নয়, কিন্তু একজন উন্মাদ পুরুষ; সুতরাং কিছুকাল যাবৎ তাঁর অপেক্ষা করে থাকো’।
ইরফানুল কুরআন
২৫. এ ব্যক্তি তো (সাময়িক) উন্মাদ ব্যতীত কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা কিছু কাল অপেক্ষা করো। (দেখো পরবর্তীতে সে কি করে।)’
২৬
Play Share Copy
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. নূহ আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমাকে সাহায্য করুন কারণ, তারা আমাকে অস্বীকার করেছে’।
ইরফানুল কুরআন
২৬. নূহ (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য করো, কেননা তারা আমাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে’।
২৭
Play Share Copy
فَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡہِ اَنِ اصۡنَعِ الۡفُلۡکَ بِاَعۡیُنِنَا وَ وَحۡیِنَا فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوۡرُ ۙ فَاسۡلُکۡ فِیۡہَا مِنۡ کُلٍّ زَوۡجَیۡنِ اثۡنَیۡنِ وَ اَہۡلَکَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَیۡہِ الۡقَوۡلُ مِنۡہُمۡ ۚ وَ لَا تُخَاطِبۡنِیۡ فِی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ۚ اِنَّہُمۡ مُّغۡرَقُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর আমি তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করেছি, ‘আমার দৃষ্টির সামনে এবং আমার নির্দেশে কিশতী তৈরী করো; অতঃপর যখন আমার নির্দেশ আসবে এবং উনুন উথলে উঠবে তখন তাতে তুলে নিও প্রত্যেক জোড়া থেকে দু’টি করে এবং নিজ পরিবার-পরিজনকে; তাদের মধ্য থেকে ওই সব লোক ব্যতীত, যাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পূর্বেই হয়ে গেছে; এবং ওই সব যালিমের ব্যাপারে আমাকে কোন কথাই বলবে না; এদেরকে অবশ্যই নিমজ্জিত করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
২৭. অতঃপর আমরা তাঁর নিকট প্রত্যাদেশ করলাম, ‘তুমি আমাদের তত্ত্বাবধানে এবং আমাদের নির্দেশ অনুযায়ী এক নৌকা নির্মাণ করো। অতঃপর যখন আমাদের (শাস্তির) নির্দেশ আসবে এবং ভু-পৃষ্ঠ (ঊর্ধ্বমুখী প্রস্রবনের মতো) প্রবল বেগে উথলে উঠতে থাকবে, তখন তুমি তাতে সকল প্রকারের প্রাণীদের মধ্য থেকে দু-জোড়ায় (নর ও মাদি) তুলে নিও, আর যাদের (ধ্বংসের) পূর্ব-সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তারা ব্যতীত তোমার পরিবারকেও (এতে আরোহণ করিয়ে নিও)। আর আমার নিকট সেসব লোকদের ব্যাপারে কিছুই আরয করবে না, যারা (তোমাদেরকে অস্বীকার ও ঠাট্টা করার মাধ্যমে) যুলুম করেছে। তাদেরকে (অবশ্যই) ডুবিয়ে দেয়া হবে।
২৮
Play Share Copy
فَاِذَا اسۡتَوَیۡتَ اَنۡتَ وَ مَنۡ مَّعَکَ عَلَی الۡفُلۡکِ فَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡ نَجّٰنَا مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. অতঃপর যখন ঠিকভাবে বসে পড়বে কিশতীর উপর তুমি এবং তোমার সঙ্গীরা, তখন বলো-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি আমাদেরকে এ যালিমদের থেকে উদ্ধার করেছেন’।
ইরফানুল কুরআন
২৮. অতঃপর যখন তুমি এবং তোমার সঙ্গীরা নৌকায় অবস্থান নেবে, তখন বলবে, সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌রই জন্যে, যিনি আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
২৯
Play Share Copy
وَ قُلۡ رَّبِّ اَنۡزِلۡنِیۡ مُنۡزَلًا مُّبٰرَکًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡمُنۡزِلِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এবং আরয করো, ‘হে আমার রব! আমাকে কল্যাণকর স্থানে অবতরণ করাও এবং তুমি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ অবতাঁরণকারী’।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আর বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কল্যাণময় স্থানে অবতরণ করাও, আর অবতরণ করানোতে তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ।’
৩০
Play Share Copy
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ وَّ اِنۡ کُنَّا لَمُبۡتَلِیۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শনাদি রয়েছে এবং নিশ্চয় নিশ্চয় আমি পরীক্ষাকারী ছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৩০. নিশ্চয়ই এতে (এ ঘটনায় অনেক) নিদর্শনাবলী রয়েছে, আর আমরা তো পরীক্ষা গ্রহণকারী।
৩১
Play Share Copy
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ قَرۡنًا اٰخَرِیۡنَ ﴿ۚ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. অতঃপর, তাদের পর আমি অন্য মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৩১. অতঃপর আমরা অপর সম্প্রদায়কে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছিলাম।
৩২
Play Share Copy
فَاَرۡسَلۡنَا فِیۡہِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡہُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰہٍ غَیۡرُہٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. অতঃপর তাদের মধ্যে এক রসূল তাদেরই মধ্য থেকে প্রেরণ করেছি, ‘আল্লার ইবাদত করো। তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন খোদা নেই। তবে কি তোমাদের ভয় নেই?’
ইরফানুল কুরআন
৩২. সুতরাং আমরা তাদের মাঝে(ও) তাদের মধ্য থেকে রাসূল প্রেরণ করেছিলাম, ‘তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করো। আর তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং তোমরা কি ভয় করো না?’
৩৩
Play Share Copy
وَ قَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِہِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِلِقَآءِ الۡاٰخِرَۃِ وَ اَتۡرَفۡنٰہُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۙ مَا ہٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۙ یَاۡکُلُ مِمَّا تَاۡکُلُوۡنَ مِنۡہُ وَ یَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং বললো ওই সম্প্রদায়ের সর্দারগণ, যারা কুফর করেছে ও আখিরাতে হাযির হওয়াকে অস্বীকার করেছে এবং আমি তাদেরকে পার্থিব জীবনে আরাম দিয়েছি, ‘এতো নয়, কিন্তু তোমাদের মতো মানুষ; তোমরা যা আহার করো তা থেকেই আহার করে এবং যা তোমরা পান করো, তা থেকেই পান করে;
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর তাঁর সম্প্রদায়ের(ও) সর্দারগণ (ও নৃপতিরা), যারা কুফরী করেছিল এবং পরকালের সাক্ষাৎকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল এবং যাদেরকে আমরা দুনিয়ার জীবনে (ধন-সম্পদের আধিক্যতায়) সমৃদ্ধি(ও) দান করেছিলাম, তারা (মানুষকে) বলতে লাগলো, ‘এ ব্যক্তি তো কেবল তোমাদেরই মতো একজন মানুষ। সে এমন কিছুই খায় যা তোমরা খাও এবং এমন কিছুই পান করে যা তোমরা পান করো।
৩৪
Play Share Copy
وَ لَئِنۡ اَطَعۡتُمۡ بَشَرًا مِّثۡلَکُمۡ اِنَّکُمۡ اِذًا لَّخٰسِرُوۡنَ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং যদি তোমরা তোমাদের মতো মানুষের আনুগত্য করো, তবে তো তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে;
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর যদি তোমরা তোমাদেরই মতো একজন মানুষের আনুগত্য করো, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩৫
Play Share Copy
اَیَعِدُکُمۡ اَنَّکُمۡ اِذَا مِتُّمۡ وَ کُنۡتُمۡ تُرَابًا وَّ عِظَامًا اَنَّکُمۡ مُّخۡرَجُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. সে কি তোমাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, তোমরা যখন মরে যাবে এবং মাটি ও অস্থিতে পরিণত হবে তারপর আবারও তোমাদেরকে বের করে আনা হবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৫. এ (ব্যক্তি) কি তোমাদেরকে এ অঙ্গীকার করে যে, যখন তোমরা মারা যাবে এবং তোমরা মাটি ও (পঁচে যাওয়া) অস্থিতে পরিণত হবে, তখন তোমাদেরকে (জীবিত) পুনরুত্থিত করা হবে?
৩৬
Play Share Copy
ہَیۡہَاتَ ہَیۡہَاتَ لِمَا تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. কতই দূরে! কতই দূরে! যা তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে;
ইরফানুল কুরআন
৩৬. (উপলব্ধির চেয়ে) দূরে, (বাস্তবতা থেকে) দূরে সে বিষয় যার অঙ্গীকার তোমাদেরকে করা হচ্ছে।
৩৭
Play Share Copy
اِنۡ ہِیَ اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا نَمُوۡتُ وَ نَحۡیَا وَ مَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِیۡنَ ﴿۪ۙ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তাতো নয়, কিন্তু আমাদের পার্থিব জীবনই যে, আমরা মরি ও বাচি এবং আমাদেরকে উঠতে হবে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. সে (পরকালের জীবন কিছু) নয়, আমাদের জীবন তো এ পার্থিব জগৎ, আমরা মরি বাঁচি (এখানেই শেষ) এবং আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে না।
৩৮
Play Share Copy
اِنۡ ہُوَ اِلَّا رَجُلُۨ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا وَّ مَا نَحۡنُ لَہٗ بِمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. সে তো নয়, কিন্তু এমন এক পুরুষ, যে আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করেছে এবং আমরা তাকে মান্য করার নই’।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. সে তো কেবল এমন ব্যক্তি যে আল্লাহ্‌র ব্যাপারে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে। আর আমরা আদৌ তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করার নই।’
৩৯
Play Share Copy
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا کَذَّبُوۡنِ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমাকে সাহায্য করুন! কারণ, তারা আমাকে অস্বীকার করেছে’।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. (রাসূল) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য করো, কারণ, তারা আমাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে।’
৪০
Play Share Copy
قَالَ عَمَّا قَلِیۡلٍ لَّیُصۡبِحُنَّ نٰدِمِیۡنَ ﴿ۚ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. আল্লাহ্‌ বলেন, ‘কিছু সময় অতিবাহিত হতেই তারা ভোর করবে অনুতপ্ত অবস্থায়’।
ইরফানুল কুরআন
৪০. (আল্লাহ্) বললেন, ‘অচিরেই তারা অনুতপ্ত হতে থাকবে’।
৪১
Play Share Copy
فَاَخَذَتۡہُمُ الصَّیۡحَۃُ بِالۡحَقِّ فَجَعَلۡنٰہُمۡ غُثَآءً ۚ فَبُعۡدًا لِّلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. অতঃপর তাদেরকে সত্য-সত্যই এক বিকট আওয়াজ পেয়ে বসেছে, অতঃপর আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করে দিলাম, সুতরাং ধ্বংস হোক যালিম লোকেরা!
ইরফানুল কুরআন
৪১. সুতরাং সত্য অঙ্গীকার অনুসারে তাদেরকে ভয়ানক ধ্বনি পাকড়াও করলো এবং আমরা তাদেরকে শুষ্ক খড়কুটো বানিয়ে দিলাম। অতঃপর যালিম সম্প্রদায়ের জন্যে (আমাদের রহমত থেকে) দূরত্ব ও বঞ্চনা রয়েছে।
৪২
Play Share Copy
ثُمَّ اَنۡشَاۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ قُرُوۡنًا اٰخَرِیۡنَ ﴿ؕ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. অতঃপর আমি তাদের পর অন্যান্য বহু মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৪২. অতঃপর তাদের পর আমরা (একে একে) অন্যান্য সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছি।
৪৩
Play Share Copy
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّۃٍ اَجَلَہَا وَ مَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ ﴿ؕ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. কোন উম্মত আপন নির্ধারিত মেয়াদকাল থেকে না পূর্বে যাবে; না পেছনে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. কোনো জাতিই তাদের নির্ধারিত সময় থেকে না সামনে অগ্রসর হতে পারে আর না তারা পিছনে হঠতে পারে।
৪৪
Play Share Copy
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡرَا ؕ کُلَّمَا جَآءَ اُمَّۃً رَّسُوۡلُہَا کَذَّبُوۡہُ فَاَتۡبَعۡنَا بَعۡضَہُمۡ بَعۡضًا وَّ جَعَلۡنٰہُمۡ اَحَادِیۡثَ ۚ فَبُعۡدًا لِّقَوۡمٍ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. অতঃপর আমি আপন রসূল প্রেরণ করেছি একের পর এক। যখন কোন উম্মতের নিকট তাঁর রসূল এসেছেন তখন তারা তাকে অস্বীকার করেছে; অতঃপর আমি পূর্ববর্তীদের সাথে পরবর্তীদেরকে মিলিয়ে দিয়েছি এবং তাদেরকে কাহিনীতে পরিণত করে দিয়েছি; সুতরাং ওই সব লোক, যারা ঈমান আনে না!
ইরফানুল কুরআন
৪৪. অতঃপর আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ করলাম। যখনই কোনো জাতির নিকট তাদের রাসূল আগমন করতেন, তখন তারা তাঁকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতো। তখন আমরা(ও) তাদেরকে একের পর এক (পর্যায়ক্রমে) ধ্বংস করলাম এবং তাদেরকে উপাখ্যান বানিয়ে দিলাম। অতঃপর ধ্বংস তাদের জন্যে যারা ঈমান আনয়ন করে না।
৪৫
Play Share Copy
ثُمَّ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی وَ اَخَاہُ ہٰرُوۡنَ ۬ۙ بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. অতঃপর আমি মূসা ও তাঁর ভাই হারূনকে আমার নিদর্শনাদি ও সুস্পষ্ট সনদ সহকারে প্রেরণ করেছি-
ইরফানুল কুরআন
৪৫. অতঃপর আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর ভাই হারুন (আলাইহিস সালাম)-কে আমাদের নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করলাম,
৪৬
Play Share Copy
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِہٖ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَ کَانُوۡا قَوۡمًا عَالِیۡنَ ﴿ۚ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. ফির’আউন ও তাঁর সভাসদবর্গের প্রতি। অতঃপর তারা অহঙ্কার করলো এবং ওই সব লোক আধিপত্যপ্রাপ্ত ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. ফেরাউন এবং তার (সম্প্রদায়ের) পরিষদবর্গের প্রতি; কিন্তু তারাও ঔদ্ধত্য ও অহংকার করলো। আর তারা ছিল (চরম) যালিম ও অবাধ্য সম্প্রদায়।
৪৭
Play Share Copy
فَقَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَیۡنِ مِثۡلِنَا وَ قَوۡمُہُمَا لَنَا عٰبِدُوۡنَ ﴿ۚ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. সুতরাং তারা বললো, ‘আমরা কি ঈমান নিয়ে আসবো আমাদেরই মতো দু’জন লোকের উপর, অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদের দাসত্ব করছে?’
ইরফানুল কুরআন
৪৭. সুতরাং তারাও (একই কথা) বললো, ‘আমরা কি আমাদের মতো দু’জন মানুষের উপর ঈমান আনয়ন করবো, অথচ তাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের উপাসনা করে?’
৪৮
Play Share Copy
فَکَذَّبُوۡہُمَا فَکَانُوۡا مِنَ الۡمُہۡلَکِیۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. অতঃপর তারা তাদের দু’জনকে অস্বীকার করলো; ফলে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. অতঃপর তারা(ও) এ দু’জনকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করলো। সুতরাং তারাও ধ্বংসপ্রাপ্তদের মধ্যে পরিগণিত হলো।
৪৯
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ لَعَلَّہُمۡ یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং নিশ্চয় আম মূসাকে কিতাব দান করেছি যাতে তারা হিদায়তপ্রাপ্ত হয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর আমরা বস্তুত মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে কিতাব প্রদান করেছিলাম যাতে তারা হেদায়াত লাভ করে।
৫০
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنَا ابۡنَ مَرۡیَمَ وَ اُمَّہٗۤ اٰیَۃً وَّ اٰوَیۡنٰہُمَاۤ اِلٰی رَبۡوَۃٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَّ مَعِیۡنٍ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং আমি মরিয়’ম ও তাঁর পুত্রকে নিদর্শন করছি আর তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি একটা উচ্চ ভূমিতে, যেখানে রয়েছে বসবাসের উপযুক্ত স্থান এবং চোখের সামনে প্রবহমান পানি।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর আমরা মারইয়াম-তনয় (ঈসা আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর মাতাকে আমাদের (মহান) নিদর্শন করেছিলাম এবং আমরা এ দু’জনকে উচ্চ ভুমিতে আশ্রয় দান করেছিলাম যা ছিল আরামপ্রদ এবং সেখানে ছিল মনোমুগ্ধকর প্রবাহিত জলধারা (অর্থাৎ নদী, জলপ্রপাত এবং ঝরনা) ।
৫১
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الرُّسُلُ کُلُوۡا مِنَ الطَّیِّبٰتِ وَ اعۡمَلُوۡا صَالِحًا ؕ اِنِّیۡ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ ﴿ؕ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. হে পয়গাম্বরগণ! পবিত্র বস্তু আহার করো এবং সৎকর্ম করো। আমি তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবগত আছি।
ইরফানুল কুরআন
৫১. হে (সম্মানিত) রাসূলগণ! তোমরা পূতঃপবিত্র বস্তু আহার করো (যেমন তোমাদের অভ্যাস) এবং নেক আমল করতে থাকো। তোমরা যে আমলই করো নিশ্চয়ই আমি সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।
৫২
Play Share Copy
وَ اِنَّ ہٰذِہٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاتَّقُوۡنِ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং নিশ্চয় এ যে তোমাদের দ্বীন-একই দ্বীন এবং আমি তোমাদের রব হই; অতএব আমাকে ভয় করো।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর নিশ্চয়ই তোমাদের এই যে জাতি (যা প্রকৃতপক্ষে) একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, সুতরাং আমাকে ভয় করো।
৫৩
Play Share Copy
فَتَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَہُمۡ بَیۡنَہُمۡ زُبُرًا ؕ کُلُّ حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡہِمۡ فَرِحُوۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. অতঃপর তাদের উম্মতগণ নিজেদের কাজ (ধর্ম) কে পরস্পরের মধ্যে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে; প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. অতঃপর তারা পরস্পরে মতবিরোধ করে নিজেদের (ধর্মের) আদেশকে বহুধা বিভক্ত করে ফেলেছে; প্রত্যেক দল নিজ (দ্বীনের) মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট।
৫৪
Play Share Copy
فَذَرۡہُمۡ فِیۡ غَمۡرَتِہِمۡ حَتّٰی حِیۡنٍ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. সুতরাং আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন তাদের নেশার মধ্যে একটা সময়সীমা পর্যন্ত।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. সুতরাং আপনি তাদেরকে কিছু কালের জন্যে তাদের অজ্ঞতা ও গোমরাহীতে ছেড়ে দিন।
৫৫
Play Share Copy
اَیَحۡسَبُوۡنَ اَنَّمَا نُمِدُّہُمۡ بِہٖ مِنۡ مَّالٍ وَّ بَنِیۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. তারা কি একথা মনে করেছে যে, আমি তাদেরকে ধনৈশ্বর্য ও সন্তানদের দ্বারা যে সাহায্য করেছি,
ইরফানুল কুরআন
৫৫. তারা কি এ মনে করে যে, আমরা (দুনিয়াতে) যে সম্পদ ও সন্তানাদির মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য করছি,
৫৬
Play Share Copy
نُسَارِعُ لَہُمۡ فِی الۡخَیۡرٰتِ ؕ بَلۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. তা তাদেরকে শিগগির শিগগির কল্যাণসমূহই প্রদান করছি? বরং তাদের খবর নেই।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আমরা তাদের কল্যাণ (সরবরাহ) করার ক্ষেত্রে ত্বরান্বিত করছি? (এমন নয়) বরং তারা বুঝতেই পারছে না।
৫৭
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ ہُمۡ مِّنۡ خَشۡیَۃِ رَبِّہِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَ ﴿ۙ۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা তাদের রবের ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
৫৭. নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রতিপালকের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,
৫৮
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۙ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং ওই সব লোক, যারা আপন রবের আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে,
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করে,
৫৯
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ بِرَبِّہِمۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿ۙ۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. এবং ওই সব লোক যারা আপন রবের সাথে কোন শরীক স্থির করে না,
ইরফানুল কুরআন
৫৯. আর যারা তাদের প্রতিপালকের সাথে (কাউকে) শরীক করে না,
৬০
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡتُوۡنَ مَاۤ اٰتَوۡا وَّ قُلُوۡبُہُمۡ وَجِلَۃٌ اَنَّہُمۡ اِلٰی رَبِّہِمۡ رٰجِعُوۡنَ ﴿ۙ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং ওই সব লোক, যারা প্রদান করে যা কিছু প্রদান করে থাকে এবং তাদের অন্তর ভয় করতে থাকে এতে যে, তাদেরকে আপন রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে-
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর যারা (আল্লাহ্‌র পথে এ পরিমাণ) দান করে যা করতে তারা সক্ষম এবং (এ ছাড়াও) তাদের অন্তর ভীত-কম্পিত যে, তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, (কখনো যেন তা প্রত্যাখ্যাত না হয়ে যায়)।
৬১
Play Share Copy
اُولٰٓئِکَ یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ ہُمۡ لَہَا سٰبِقُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এসব লোক কল্যাণকর কার্যাদি দ্রুত সম্পাদন করে এবং এরাই সর্বপ্রথম সেগুলোর নিকট পৌছে।
ইরফানুল কুরআন
৬১. এসব লোকেরাই কল্যাণকর (সংগ্রহের) ক্ষেত্রে দ্রুত ধাবমান এবং তারাই এতে অগ্রগামী।
৬২
Play Share Copy
وَ لَا نُکَلِّفُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَہَا وَ لَدَیۡنَا کِتٰبٌ یَّنۡطِقُ بِالۡحَقِّ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং আমি কোন প্রাণের উপর বোঝা অর্পণ করি না, কিন্তু তাঁর সাধ্যমতো আর আমার নিকট একটা কিতাব আছে যা সত্য ব্যক্ত করে এবং তাদের প্রতি যুলম হবে না;
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর আমরা কাউকে তার সামর্থ্যরে বেশী দায়িত্ব অর্পণ করি না। আর আমাদের নিকট (বিদ্যমান) রয়েছে আমলনামা যা সত্য প্রকাশ করবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।
৬৩
Play Share Copy
بَلۡ قُلُوۡبُہُمۡ فِیۡ غَمۡرَۃٍ مِّنۡ ہٰذَا وَ لَہُمۡ اَعۡمَالٌ مِّنۡ دُوۡنِ ذٰلِکَ ہُمۡ لَہَا عٰمِلُوۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. বরং তাদের অন্তর এ বিষয়ে অলসতাঁর মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কাজ ওই সব কাজ থেকে ভিন্ন, যেগুলো তারা করছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. বরং তাদের অন্তর এ (কুরআনের বার্তা) থেকে উদাসীন (হয়ে) রয়েছে এবং এছাড়া(ও) তাদের আরো কিছু (মন্দ) আমল রয়েছে যা তারা সম্পাদন করছে।
৬৪
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَخَذۡنَا مُتۡرَفِیۡہِمۡ بِالۡعَذَابِ اِذَا ہُمۡ یَجۡـَٔرُوۡنَ ﴿ؕ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. শেষ পর্যন্ত, যখন আমি তাদের ঐশ্বর্যশালী লোকদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করি, তখনই তারা ফরিয়াদ করতে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. যখন আমরা তাদের ধনী ও সম্পদশালী লোকদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করবো, তখন তারা চিৎকার করে উঠবে।
৬৫
Play Share Copy
لَا تَجۡـَٔرُوا الۡیَوۡمَ ۟ اِنَّکُمۡ مِّنَّا لَا تُنۡصَرُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. ‘আজ ফরিয়াদ করো না! আমার পক্ষ থেকে তোমাদের সাহায্য করা হবে না’।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. (তাদেরকে বলা হবে:) ‘আজ আর্তনাদ করো না। নিশ্চয়ই তোমরা আমাদের কোনো সাহায্য পাবে না।’
৬৬
Play Share Copy
قَدۡ کَانَتۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ تَنۡکِصُوۡنَ ﴿ۙ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. নিশ্চয় আমার আয়াতসমূহ তোমাদের নিকট পাঠ করা হতো, তখন তোমরা তোমাদের পায়ের গোড়ালীর উপর ভর করে পেছনে সরে পড়তে,
ইরফানুল কুরআন
৬৬. আমার আয়াতসমূহ তো তোমাদের নিকট পাঠ করা হতো, কিন্তু তোমরা পিছন ফিরে সরে পড়তে।
৬৭
Play Share Copy
مُسۡتَکۡبِرِیۡنَ ٭ۖ بِہٖ سٰمِرًا تَہۡجُرُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. হেরমের সেবার উপর দম্ভভরে; রাতে সেখানে অর্থহীন গল্পগুজব করতে করতে সত্যকে বর্জন করতে।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. এতে ঔদ্ধত্য ও দম্ভভরে রাতের আঁধারে অর্থহীন কথা বলতে।
৬৮
Play Share Copy
اَفَلَمۡ یَدَّبَّرُوا الۡقَوۡلَ اَمۡ جَآءَہُمۡ مَّا لَمۡ یَاۡتِ اٰبَآءَہُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۫۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. তবে কি তারা এ বাণীর মধ্যে গভীর চিন্তা করে নি, অথবা তাদের নিকট কি তাই এসেছে, যাদের পূর্বপুরষদের নিকট আসে নি?
ইরফানুল কুরআন
৬৮. সুতরাং তারা কি (আল্লাহ্‌র) এ বার্তায় গভীর চিন্তা ও ধ্যান করেনি? অথবা তাদের নিকট কি এমন কোনো কিছু এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসেনি?
৬৯
Play Share Copy
اَمۡ لَمۡ یَعۡرِفُوۡا رَسُوۡلَہُمۡ فَہُمۡ لَہٗ مُنۡکِرُوۡنَ ﴿۫۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. অথবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনে নি, অতঃপর তারা তাকে অপরিচিত মনে করছে?
ইরফানুল কুরআন
৬৯. অথবা তারা কি তাদের রাসূলকে চিনেনি বলে তাঁকে অস্বীকার করেছে?
৭০
Play Share Copy
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ بِہٖ جِنَّۃٌ ؕ بَلۡ جَآءَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اَکۡثَرُہُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِہُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. অথবা তারা কি বলে যে, তাঁর মধ্যে উন্মাদনা রয়েছে? বরং তিনি তো তাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছেন এবং সত্য তাদের মধ্যে অধিকাংশের ভালো লাগে না।
ইরফানুল কুরআন
৭০. অথবা তারা কি বলে, ‘তিনি (অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) উন্মাদ?’ (এমনটি কখনোই নয়) বরং তিনি তাদের নিকট সত্য নিয়ে আগমন করেছেন এবং তাদের অধিকাংশ সত্যকে অপছন্দ করে।
৭১
Play Share Copy
وَ لَوِ اتَّبَعَ الۡحَقُّ اَہۡوَآءَہُمۡ لَفَسَدَتِ السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡہِنَّ ؕ بَلۡ اَتَیۡنٰہُمۡ بِذِکۡرِہِمۡ فَہُمۡ عَنۡ ذِکۡرِہِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿ؕ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং যদি সত্য তাদের কামনা বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আসমান ও যমীন এবং যা কিছু সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেতো; বরং আমি তো তাদের নিকট এমন জিনিষ এনেছি যাতে তাদের খ্যাতি ছিলো। অতঃপর তারা নিজেদের সম্মান থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর যদি হক্ব (তা’আলা) তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করতেন তবে (সমস্ত) আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং যেসব (সৃষ্টি ও অস্তিত্বশীল বস্তু) এসবের মধ্যে রয়েছে, সবকিছু ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে যেতো। পক্ষান্তরে, আমরা তাদের প্রদান করেছি (কুরআন) যাতে রয়েছে তাদের সম্মান ও মর্যাদা (আর রয়েছে খ্যাতির রহস্য)। সুতরাং তারা তাদের সম্মান থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
৭২
Play Share Copy
اَمۡ تَسۡـَٔلُہُمۡ خَرۡجًا فَخَرَاجُ رَبِّکَ خَیۡرٌ ٭ۖ وَّ ہُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. অথবা আপনি কি তাদের নিকট কোন প্রতিদান চাচ্ছেন? সুতরাং আপনার রবের প্রতিদানই সর্বাপেক্ষা উত্তম এবং তিনি সর্বাধিক উত্তম জীবিকাদাতা।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আপনি কি তাদের নিকট (রিসালাত প্রচারে) কোনো বিনিময় প্রার্থনা করেন? (এমনটিও নয়) আপনার জন্যে তো প্রতিপালকের বিনিময়ই (অতি) উত্তম এবং তিনি সবচেয়ে উত্তম রিযিকদাতা।
৭৩
Play Share Copy
وَ اِنَّکَ لَتَدۡعُوۡہُمۡ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং নিশ্চয় আপনি তাদেরকে সরল পথের দিকে আহ্বান করছেন।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর নিশ্চয়ই আপনি তো (তাদের কল্যাণের জন্যেই) তাদেরকে সরলপথে আহ্বান করেন।
৭৪
Play Share Copy
وَ اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنٰکِبُوۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং নিশ্চয় যারা আখিরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তারা অবশ্যই সরল পথ থেকে সরে পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর নিশ্চয়ই যারা পরকালে বিশ্বাস রাখে না, (তারা) তো (সরল) পথ থেকে বিচ্যুৎ।
৭৫
Play Share Copy
وَ لَوۡ رَحِمۡنٰہُمۡ وَ کَشَفۡنَا مَا بِہِمۡ مِّنۡ ضُرٍّ لَّلَجُّوۡا فِیۡ طُغۡیَانِہِمۡ یَعۡمَہُوۡنَ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এবং যদি আমি তাদের উপর দয়া করি এবং যে বিপদ তাদের উপর আপতিত হয়েছে, তা দূর করে দিই, তবুও তারা অবশ্যই অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আর যদি আমরা তাদের প্রতি দয়া করি এবং তাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করি তবুও তারা বিপথগামী হয়ে নিজেদের অবাধ্যতায় আরও সুদৃঢ় হয়ে ঘুরতে থাকবে।
৭৬
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَخَذۡنٰہُمۡ بِالۡعَذَابِ فَمَا اسۡتَکَانُوۡا لِرَبِّہِمۡ وَ مَا یَتَضَرَّعُوۡنَ ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং নিশ্চয় আমি তাদেরকে শাস্তির মধ্যে পাকড়াও করেছি, অতঃপর না তারা আপন রবের সম্মুখে বিনত হয়েছে এবং না কাতর হয়ে প্রার্থনা করে।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর প্রকৃতপক্ষে আমরা তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম। এরপরও তারা তাদের প্রতিপালকের জন্যে বিনয় অবলম্বন করলো না এবং তারা (তার সমীপে) লুটিয়েও পড়লো না।
৭৭
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَا فَتَحۡنَا عَلَیۡہِمۡ بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِیۡدٍ اِذَا ہُمۡ فِیۡہِ مُبۡلِسُوۡنَ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. অবশেষে যখন আমি তাদের জন্য কঠিন শাস্তির দ্বার খুলে দিই, তখনই তারা তাতে হতাশ হয়ে পড়ে।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. যখন আমরা তাদের উপর কঠিন শাস্তির দরজা খুলে দেই, তখনই তাতে তারা চূড়ান্তরূপে নিরাশ হয়ে (পড়ে) থাকবে।
৭৮
Play Share Copy
وَ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং তিনিই হন যিনি তোমাদের জন্য কান ও চোখগুলো এবং অন্তঃকরণ সৃষ্টি করেছেন। তোমরা খুব কমই সত্য মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর তিনিই তোমাদেরকে পর্যায়ক্রমে কর্ণ, চক্ষু এবং অন্তঃকরণ (ও মস্তিস্ক) দিয়েছেন। (কিন্তু) তোমরা খুব অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
৭৯
Play Share Copy
وَ ہُوَ الَّذِیۡ ذَرَاَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. এবং তিনিই হন, যিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করেছেন এবং তাঁরই প্রতি উঠতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. আর তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তোমাদেরকে তাঁরই সমীপে একত্রিত করা হবে।
৮০
Play Share Copy
وَ ہُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ وَ لَہُ اخۡتِلَافُ الَّیۡلِ وَ النَّہَارِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং তিনিই জীবিত রাখেন ও মৃত্যু ঘটান এবং তাঁরই অধিকারে রাত ও দিনের পরিবর্তনসমূহ। তবুও কি তোমাদের বুঝ নেই?
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। আর রাত-দিনের পরিক্রমণও তাঁরই নিয়ন্ত্রনাধীন। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
৮১
Play Share Copy
بَلۡ قَالُوۡا مِثۡلَ مَا قَالَ الۡاَوَّلُوۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. বরং তারা ওই কথা বলেছে, যা পূর্ববর্তীরা বলতো।
ইরফানুল কুরআন
৮১. বরং তারা(ও) এভাবে কথা বলে, যেভাবে পূর্ববর্তী (কাফের) সম্প্রদায় বলতো।
৮২
Play Share Copy
قَالُوۡۤا ءَ اِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. তারা বললো, ‘যখন আমরা মরে যাবো এবং মাটি ও অস্থিতে পরিণোত হয়ে যাবো, তারপরও কি আমরা পুনরুত্থিত হবো?
ইরফানুল কুরআন
৮২. তারা বলে, ‘যখন আমরা মারা যাবো এবং মাটি ও (পঁচা) অস্থিতে পরিণত হবো, তখনো কি আমাদেরকে (জীবিত) পুনরুত্থিত করা হবে?
৮৩
Play Share Copy
لَقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَ اٰبَآؤُنَا ہٰذَا مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. নিশ্চয় এ প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে এবং আমাদের পূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদের দেওয়া হয়েছে। এতো নয়, কিন্তু ওই পুরানো কাহিনী।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. আমাদের সাথে এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথেও তো অতীতে এ অঙ্গীকার করা হয়েছিল। এ (কথাগুলো) তো কেবল পূর্ববর্তী লোকদের উপাখ্যান।’
৮৪
Play Share Copy
قُلۡ لِّمَنِ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡہَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. আপনি বলুন, ‘কার সম্পদ পৃথিবী ও যা কিছু তাতে রয়েছে যদি তোমরা জানো?’
ইরফানুল কুরআন
৮৪. (তাদেরকে) বলুন, ‘পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা কিছু (বিদ্যমান) রয়েছে, (এসব) কার রাজত্ব, যদি তোমরা (কিছু) জানো?’
৮৫
Play Share Copy
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰہِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এখন তারা বলবে, ‘আল্লাহ্‌রই’। আপনি বলুন, ‘অতঃপর কেন চিন্তা-ভাবনা করছো না?’
ইরফানুল কুরআন
৮৫. তারা ততক্ষণাৎ বলে উঠবে, ‘(সবকিছু) আল্লাহ্‌র’। (তখন) আপনি বলুন, ‘তবুও তোমরা কেন উপদেশ গ্রহণ করো না?’
৮৬
Play Share Copy
قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ السَّبۡعِ وَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. আপনি বলুন, ‘কে সপ্ত আসমানের মালিক এবং মহান আরশের মালিক?’
ইরফানুল কুরআন
৮৬. (তাদেরকে) জিজ্ঞেস করুন, ‘কে সপ্তাকাশ এবং মহান আরশের (অর্থাৎ সমস্ত জগতের শীর্ষ ক্ষমতার) অধিপতি?’
৮৭
Play Share Copy
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰہِ ؕ قُلۡ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. এখন বলবে, ‘এটা আল্লাহ্‌রই মহিমা’। আপনি বলুন, ‘তারপরও কেন ভয় করছো না?’
ইরফানুল কুরআন
৮৭. তারা ততক্ষণাৎ বলে উঠবে, ‘(সবকিছু) আল্লাহ্‌র’। (তখন) আপনি বলুন, ‘তবুও তোমরা কেন ভয় করো না?’
৮৮
Play Share Copy
قُلۡ مَنۡۢ بِیَدِہٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ ہُوَ یُجِیۡرُ وَ لَا یُجَارُ عَلَیۡہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. আপনি বলুন, ‘কার হাতে প্রত্যেক কিছুর কর্তৃত্ব এবং তিনি আশ্রয় দেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কেউ আশ্রয় দিতে পারে না, যদি তোমাদের জ্ঞান থাকে?’
ইরফানুল কুরআন
৮৮. আপনি (তাদেরকে) বলুন, ‘তিনি কে, যার হাতে সবকিছুর ক্ষমতার পূর্ণ কর্তৃত্ব, আর যিনি আশ্রয় দেন এবং যার উপর (কেউ) রক্ষক নেই, যদি তোমরা (কিছু) জানো?’
৮৯
Play Share Copy
سَیَقُوۡلُوۡنَ لِلّٰہِ ؕ قُلۡ فَاَنّٰی تُسۡحَرُوۡنَ ﴿۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. এখন বলবে, ‘এটা আল্লাহ্‌রই মহিমা’। আপনি বলুন, ‘অতঃপর কোন ধরনের যাদুর ধোকায় পড়ে রয়েছো?’
ইরফানুল কুরআন
৮৯. তারা ততক্ষণাৎ বলে উঠবে, ‘এ (সকল মহিমা) আল্লাহ্‌রই জন্যে’, (তখন) আপনি বলুন, ‘তবুও তোমরা কীভাবে (যাদুর ন্যায়) বিভ্রান্ত হচ্ছো?’
৯০
Play Share Copy
بَلۡ اَتَیۡنٰہُمۡ بِالۡحَقِّ وَ اِنَّہُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. বরং আমি তাদের নিকট সত্য এনেছি এবং তারা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
৯০. বরং আমরা তাদেরকে সত্য পৌঁছে দিয়েছি। আর নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
৯১
Play Share Copy
مَا اتَّخَذَ اللّٰہُ مِنۡ وَّلَدٍ وَّ مَا کَانَ مَعَہٗ مِنۡ اِلٰہٍ اِذًا لَّذَہَبَ کُلُّ اِلٰہٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿ۙ۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. আল্লাহ্‌ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি এবং না তাঁর সাথে অন্য কোন খোদা আছে। যদি তেমন হতো, তবে প্রত্যেক খোদা আপন সৃষ্টি নিয়ে যেতো এবং অবশ্যই একে অপরের উপর আপন প্রাধান্য বিস্তার করতে চাইতো। পবিত্রতা আল্লাহ্‌রই ওই সব কথা থেকে যেগুলো এরা রচনা করছে;
ইরফানুল কুরআন
৯১. আল্লাহ্ (নিজে) কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অপর কোনো উপাস্যও নেই; যদি থাকতো তবে প্রত্যেক উপাস্য স্ব স্ব সৃষ্টি নিয়ে অবশ্যই পৃথক হয়ে পড়তো। আর অবশ্যই তারা একে অপরের উপর আধিপত্য বিস্তার করতো (ফলে সমস্ত সৃষ্টি জগতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তো)। আল্লাহ্ এমন কথা থেকে পূতঃপবিত্র, যা তারা বর্ণনা করে।
৯২
Play Share Copy
عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ فَتَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. পরিজ্ঞাতা প্রত্যেক অদৃশ্য ও দৃশ্যের; সুতরাং তিনি ঊর্ধ্বে তাদের শির্কের।
ইরফানুল কুরআন
৯২. (তিনি) লুকায়িত ও দৃশ্যমান (সকল কিছু) সম্পর্কে অবগত। সুতরাং তিনি সেসব কিছু থেকে সমুন্নত ও সমুচ্চ যাদেরকে তারা অংশীদার সাব্যস্ত করে।
৯৩
Play Share Copy
قُلۡ رَّبِّ اِمَّا تُرِیَنِّیۡ مَا یُوۡعَدُوۡنَ ﴿ۙ۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. আপনি আরয করুন, ‘হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে দেখাও যা তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে,
ইরফানুল কুরআন
৯৩. আপনি (নিবেদন করে) বলুন, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যদি আমাকে সেসব (শাস্তি) দেখাতে যা তাদেরকে অঙ্গীকার করা হচ্ছে,
৯৪
Play Share Copy
رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِیۡ فِی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. তবে হে আমার রব! আমাকে ওই সব যালিমের সাথী করো না’।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. হে আমার প্রতিপালক! (অতঃপর) আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না।’
৯৫
Play Share Copy
وَ اِنَّا عَلٰۤی اَنۡ نُّرِیَکَ مَا نَعِدُہُمۡ لَقٰدِرُوۡنَ ﴿۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. এবং নিশ্চয় আমি আপনাকে দেখাতে সক্ষম যা আমি তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
ইরফানুল কুরআন
৯৫. আর নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে তা দেখাতে সক্ষম, যে (শাস্তির) অঙ্গীকার আমরা তাদের সাথে করছি।
৯৬
Play Share Copy
اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. সর্বোত্তম পুণ্য দ্বারা মন্দের মুকাবেলা করো। আমি অবহিত সবিশেষ ওই সব উক্তি সম্বন্ধে যেগুলো এরা রচনা করছে।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. মন্দকে এমন পন্থায় প্রতিহত করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। আমরা সবিশেষ অবহিত যা তারা বর্ণনা করে।
৯৭
Play Share Copy
وَ قُلۡ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ ہَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ ﴿ۙ۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. এবং আপনি আরয করুন! ‘হে আমার রব! তোমারই আশ্রয় (প্রার্থনা করছি) শয়তানদের প্ররোচনা থেকে;
ইরফানুল কুরআন
৯৭. আর আপনি (নিবেদন করে) বলুন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৯৮
Play Share Copy
وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. এবং হে আমার রব! তোমারই আশ্রয় চাচ্ছি আমার নিকট তাদের উপস্থিত থেকে’।
ইরফানুল কুরআন
৯৮. আর, হে আমার প্রতিপালক! আমি তাদের থেকেও তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যারা আমার নিকট আসে।’
৯৯
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِ ﴿ۙ۹۹﴾
কানযুল ঈমান
৯৯. এমনকি, যখন তাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন বলে, ‘হে আমার রব! আমাকে পুনর্বার ফেরত পাঠান!
ইরফানুল কুরআন
৯৯. যতক্ষণ না তাদের কারো কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয় (তখন) সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় (পৃথিবীতে) প্রেরণ করুন,
১০০
Play Share Copy
لَعَلِّیۡۤ اَعۡمَلُ صَالِحًا فِیۡمَا تَرَکۡتُ کَلَّا ؕ اِنَّہَا کَلِمَۃٌ ہُوَ قَآئِلُہَا ؕ وَ مِنۡ وَّرَآئِہِمۡ بَرۡزَخٌ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾
কানযুল ঈমান
১০০. হয় তো আমি তখন কিছু পুণ্য অর্জন করবো তাতেই, যা আমি ছেড়ে এসেছি’। নিশ্চয় এটা তো একটা উক্তি মাত্র, যা সে আপন মুখে বলছে; আর তাদের সম্মুখে একটা আড়াল রয়েছে ওই দিন পর্যন্ত, যে দিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০০. যাতে আমি এতে (এ পৃথিবীতে) কিছু সৎকর্ম করতে পারি যা পূর্বে ছেড়ে এসেছি।’ কক্ষনো নয়, এতো সেকথা যা সে (আফসোসের স্বরে) বলতে থাকবে। আর তাদের সম্মুখে সেদিন পর্যন্ত এক (প্রতিবন্ধক) পর্দা থাকবে যেদিন তাদেরকে (কবর থেকে) পুনরুত্থিত করা হবে।
১০১
Play Share Copy
فَاِذَا نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَلَاۤ اَنۡسَابَ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَئِذٍ وَّ لَا یَتَسَآءَلُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান
১০১. অতঃপর যখন শিংগায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে, তখন না তাদের মধ্যে আত্নীয়তাঁর বন্ধন থাকবে এবং না একে অপরের কথা জিজ্ঞাসা করবে।
ইরফানুল কুরআন
১০১. অতঃপর যখন সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তাদের পরস্পরের মাঝে না কোনো সম্পর্ক (বিদ্যমান) থাকবে, আর না সেদিন তারা একে অপরের অবস্থা জিজ্ঞেস করতে পারবে।
১০২
Play Share Copy
فَمَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُہٗ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾
কানযুল ঈমান
১০২. সুতরাং যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই সফলকাম হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০২. সুতরাং যাদের পাল্লা (অধিক সৎকর্মে) ভারী হবে তারাই হবে স্বার্থক ও সফলকাম।
১০৩
Play Share Copy
وَ مَنۡ خَفَّتۡ مَوَازِیۡنُہٗ فَاُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ فِیۡ جَہَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০৩. এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই ওই সব লোক, যারা আপন প্রাণসমূহকে ক্ষতির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে, সর্বদা দোযখেই অবস্থান করবে।
ইরফানুল কুরআন
১০৩. আর যাদের পাল্লা (সৎকর্মের অভাবে) হালকা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতি করেছে; তারাই চিরকাল জাহান্নামে অবস্থানকারী।
১০৪
Play Share Copy
تَلۡفَحُ وُجُوۡہَہُمُ النَّارُ وَ ہُمۡ فِیۡہَا کٰلِحُوۡنَ ﴿۱۰۴﴾
কানযুল ঈমান
১০৪. লেলিহান আগুন তাদের মুখমণ্ডলকে বিদগ্ধ করবে আর তারা তাতে বীভৎস চেহারায় থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১০৪. তাদের চেহারা ঝলসে দেবে আগুন এবং তারা তাতে পড়ে থাকবে দাঁত বের হওয়া বীভৎস চেহারা নিয়ে।
১০৫
Play Share Copy
اَلَمۡ تَکُنۡ اٰیٰتِیۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فَکُنۡتُمۡ بِہَا تُکَذِّبُوۡنَ ﴿۱۰۵﴾
কানযুল ঈমান
১০৫. তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হতো না? অতঃপর তোমরা সেগুলোকে অস্বীকার করতে।
ইরফানুল কুরআন
১০৫. (তাদেরকে বলা হবে:) ‘তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হতো না? অতঃপর তোমরা তা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতে।’
১০৬
Play Share Copy
قَالُوۡا رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَیۡنَا شِقۡوَتُنَا وَ کُنَّا قَوۡمًا ضَآلِّیۡنَ ﴿۱۰۶﴾
কানযুল ঈমান
১০৬. তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের উপর আমাদের দুর্ভাগ্য প্রাধান্য বিস্তার করেছিলো এবং আমরা পথভ্রষ্ট লোক ছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
১০৬. তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। আর অবশ্যই আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়।
১০৭
Play Share Copy
رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡہَا فَاِنۡ عُدۡنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوۡنَ ﴿۱۰۷﴾
কানযুল ঈমান
১০৭. হে আমার রব! আমাদেরকে দোযখ থেকে বের করে দিন অতঃপর যদি আমরা অনুরূপ করি তবে আমরা অবশ্যই যালিম’।
ইরফানুল কুরআন
১০৭. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এখান থেকে বের করো। অতঃপর যদি আমরা (এ গোমরাহীর) পুনরাবৃত্তি করি তবে অবশ্যই আমরা হবো যালিম।’
১০৮
Play Share Copy
قَالَ اخۡسَـُٔوۡا فِیۡہَا وَ لَا تُکَلِّمُوۡنِ ﴿۱۰۸﴾
কানযুল ঈমান
১০৮. রব বলবেন, ‘এর মধ্যে তোমরা হীন অবস্থায় পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কোন কথা বলবে না’।
ইরফানুল কুরআন
১০৮. (আল্লাহ্) বলবেন, ‘(এখন) এতেই হীন অবস্থায় পড়ে থাকো আর আমার সাথে কথা বলো না।
১০৯
Play Share Copy
اِنَّہٗ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡ عِبَادِیۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿۱۰۹﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১০৯. নিশ্চয় আমার বান্দাদের মধ্যে একটা দল বলতো, ‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের উপর দয়া করো। আর তুমি সর্বাপেক্ষা অধিক দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১০৯. নিশ্চয়ই আমার বান্দাদের মধ্যে এক দল ছিল যারা (আমার সমীপে) আরয করতো, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনয়ন করেছি। অতঃপর তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর অনুগ্রহ করো। আর তুমি(ই) সর্বশ্রষ্ঠ দয়ালু।’
১১০
Play Share Copy
فَاتَّخَذۡتُمُوۡہُمۡ سِخۡرِیًّا حَتّٰۤی اَنۡسَوۡکُمۡ ذِکۡرِیۡ وَ کُنۡتُمۡ مِّنۡہُمۡ تَضۡحَکُوۡنَ ﴿۱۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১১০. ‘অতঃপর তোমরা তাদেরকে হাস্যস্পদ করে নিয়েছো, শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হাস্যস্পদ করার ব্যস্ততাঁর মধ্যে আমার স্মরণকেও ভুলে গিয়েছো; এবং তোমরা তাদেরকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে’।
ইরফানুল কুরআন
১১০. কিন্তু তোমরা তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টায় এতোই মশগুল ছিলে যে, তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল। আর তোমরা (কেবল) তাদেরকে নিয়ে হাসি ঠাট্টাই করতে।
১১১
Play Share Copy
اِنِّیۡ جَزَیۡتُہُمُ الۡیَوۡمَ بِمَا صَبَرُوۡۤا ۙ اَنَّہُمۡ ہُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ ﴿۱۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১১. ‘নিশ্চয় আজ আমি তাদেরকে তাদের ধৈর্যের এ পুরস্কারই দিলাম যে তারাই হচ্ছে সফলকাম’।
ইরফানুল কুরআন
১১১. নিশ্চয়ই আজ আমি তাদেরকে তাদের ধৈর্যের কারণে এমনভাবে পুরস্কৃত করেছি যে, তারাই হলো সফলকাম।
১১২
Play Share Copy
قٰلَ کَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ عَدَدَ سِنِیۡنَ ﴿۱۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১১২. বললেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে কতকাল অবস্থান করেছো বছরগুলো গণনায়?’
ইরফানুল কুরআন
১১২. (আল্লাহ্) বলবেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে কতো বছর অবস্থান করেছিলে?’
১১৩
Play Share Copy
قَالُوۡا لَبِثۡنَا یَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ یَوۡمٍ فَسۡـَٔلِ الۡعَآدِّیۡنَ ﴿۱۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১১৩. তারা বললো, ‘আমরা একদিন অবস্থান করেছি অথবা দিনের কিছু অংশ। সুতরাং আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।
ইরফানুল কুরআন
১১৩. তারা বলবে, ‘আমরা অবস্থান করেছিলাম একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ। আপনি না হয় পরিসংখ্যানবিদ ও গণনাকারীদের জিজ্ঞেস করুন।’
১১৪
Play Share Copy
قٰلَ اِنۡ لَّبِثۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا لَّوۡ اَنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১১৪. বললেন, ‘তোমরা অবস্থান করো নি, কিন্তু স্বল্পকাল, যদি তোমাদের জ্ঞান থাকতো’।
ইরফানুল কুরআন
১১৪. (আল্লাহ্) বলবেন, ‘তোমরা (সেখানে) খুবই অল্পকাল অবস্থান করেছিলে। হায়! যদি তোমরা (একথা তখন) জানতে!’
১১৫
Play Share Copy
اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰکُمۡ عَبَثًا وَّ اَنَّکُمۡ اِلَیۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১১৫. তবে তোমরা কি একথা মনে করছো যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে আমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে না?
ইরফানুল কুরআন
১১৫. তোমরা কি এ ধারণা করেছিলে যে, আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম অনর্থক (ও উদ্দেশ্যহীন) এবং তোমরা আমাদের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না?
১১৬
Play Share Copy
فَتَعٰلَی اللّٰہُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡکَرِیۡمِ ﴿۱۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১১৬. সুতরাং বহু উচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহ্‌, প্রকৃত বাদশাহ্‌। কোন মা’বূদ নেই তিনি ব্যতিত- সম্মানিত আরশের অধিপতি।
ইরফানুল কুরআন
১১৬. অতঃপর আল্লাহ্ সমুন্নত ও সমুচ্চ, যিনি প্রকৃত বাদশাহ। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; অভিজাত ও মর্যাদাসম্পন্ন (ক্ষমতার) সিংহাসনের (তিনিই) অধিপতি।
১১৭
Play Share Copy
وَ مَنۡ یَّدۡعُ مَعَ اللّٰہِ اِلٰـہًا اٰخَرَ ۙ لَا بُرۡہَانَ لَہٗ بِہٖ ۙ فَاِنَّمَا حِسَابُہٗ عِنۡدَ رَبِّہٖ ؕ اِنَّہٗ لَا یُفۡلِحُ الۡکٰفِرُوۡنَ ﴿۱۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১১৭. এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোন খোদার উপাসনা করে, যে বিষয়ে তাঁর নিকট কোন সনদ নেই, তবে তাঁর হিসাব তাঁর রবের নিকট রয়েছে। নিঃসন্দেহে, কাফিরদের কোন রেহাই নি।
ইরফানুল কুরআন
১১৭. আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে অন্য উপাস্যের উপাসনা করে, যার নিকট এর কোনো প্রমাণ নেই; অতঃপর তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকটই রয়েছে। নিশ্চয়ই কাফেরেরা সফলকাম হবে না।
১১৮
Play Share Copy
وَ قُلۡ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَ ارۡحَمۡ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿۱۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১১৮. এবং আপনি আরয করুন, ‘হে আমার রব! ক্ষমা করো ও দয়া করো এবং তুমি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
ইরফানুল কুরআন
১১৮. আর আপনি আরয করুন! ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি ক্ষমা করে দাও ও অনুগ্রহ করো। আর তুমি(ই) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট অনুগ্রহকারী।’