بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا عَدُوِّیۡ وَ عَدُوَّکُمۡ اَوۡلِیَآءَ تُلۡقُوۡنَ اِلَیۡہِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ وَ قَدۡ کَفَرُوۡا بِمَا جَآءَکُمۡ مِّنَ الۡحَقِّ ۚ یُخۡرِجُوۡنَ الرَّسُوۡلَ وَ اِیَّاکُمۡ اَنۡ تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ رَبِّکُمۡ ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ خَرَجۡتُمۡ جِہَادًا فِیۡ سَبِیۡلِیۡ وَ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِیۡ ٭ۖ تُسِرُّوۡنَ اِلَیۡہِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ ٭ۖ وَ اَنَا اَعۡلَمُ بِمَاۤ اَخۡفَیۡتُمۡ وَ مَاۤ اَعۡلَنۡتُمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡہُ مِنۡکُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হে ঈমানদারগণ! আমার ও তোমাদের শত্রুকে মিত্ররূপে গ্রহণ করো না! তোমরা তাদের নিকট খবরাদি পৌঁছাচ্ছো বন্ধুত্বের কারণে; অথচ তারা অস্বীকারকারী ওই সত্যের, যা তোমাদের নিকট এসেছে; ঘর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় রসূলকে ও তোমাদেরকে এ কারণে যে, তোমরা আপন রব আল্লাহ্র উপর ঈমান এনেছো। যদি তোমরা বের হয়ে থাকো আমার পথে জিহাদ করার ও আমার সন্তষ্টি তালাশ করারা জন্য, (তা’হলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না।) তোমরা তাদের নিকট গোপনে ভালোবাসার বার্তা প্রেরণ করছো; এবং আমি ভালোভাবেই জানি যা তোমরা গোপন করো এবং যা প্রকাশ করো এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এমন করে, নিশ্চয় সে সোজা পথ থেকে বিচ্যুত।
ইরফানুল কুরআন
১. হে ঈমানদারগণ! আমার এবং তোমাদের শত্রুকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা (তোমাদের) বন্ধুত্বের কারণে তাদের নিকট সংবাদ প্রেরণ করছো, অথচ তারা এ সত্যকেই অস্বীকার করছে, যা তোমাদের নিকট এসেছে। তারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে এবং তোমাদেরকে (তোমাদের স্বদেশ থেকে) বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস রাখো। যদি তোমরা আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে এবং আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে বের হয়ে থাকো (তবে, পুনরায় তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে না)। তোমরা তাদেরকে বন্ধুত্বের খাতিরে গোপন সংবাদ প্রেরণ করো, অথচ আমি খুব ভালোভাবে জানি, যা কিছু তোমরা গোপন করো এবং যা কিছু তোমরা প্রকাশ করো। আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এরূপ (অপরাধ) করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুৎ হয়েছে।
اِنۡ یَّثۡقَفُوۡکُمۡ یَکُوۡنُوۡا لَکُمۡ اَعۡدَآءً وَّ یَبۡسُطُوۡۤا اِلَیۡکُمۡ اَیۡدِیَہُمۡ وَ اَلۡسِنَتَہُمۡ بِالسُّوۡٓءِ وَ وَدُّوۡا لَوۡ تَکۡفُرُوۡنَ ؕ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. তারা যদি তোমাদেরকে পায় তবে তোমাদের শত্রু হবে এবং তোমাদের প্রতি তাদের হাত ও তাদের রসনাগুলো অনিষ্ট সহকারেই প্রসারিত করবে এবং তাদের কামনা হচ্ছে যে, কোন মতে তোমরা কাফির হয়ে যাও!
ইরফানুল কুরআন
২. যদি তারা তোমাদেরকে করতলগত করতে পারে, (দেখবে) তারা হবে তোমাদের (প্রকাশ্য) শত্রু এবং তারা তাদের বাহু ও জিহ্বা তোমাদের দিকে মন্দ উদ্দেশ্যে প্রসারিত করবে, আর কামনা করবে যে, তোমরা (কোনোভাবে) কুফরী করো।
لَنۡ تَنۡفَعَکُمۡ اَرۡحَامُکُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ ۚۛ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ۚۛ یَفۡصِلُ بَیۡنَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. কখনো তোমাদের কাজে আসবে না তোমাদের আত্নীয়তা এবং না তোমাদের সন্তানগণ ক্বিয়ামত দিবসে। (তিনি) তোমাদেরকে তাদের নিকট থেকে পৃথক করে দেবেন। এবং আল্লাহ্ তোমাদের কর্ম প্রত্যক্ষ করছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩. তোমাদের (কাফের ও মুশরিক) আত্মীয়-স্বজন এবং তোমাদের (কাফের ও মুশরিক) সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন তোমাদের কোনো উপকারে আসবে না। (সে দিন আল্লাহ্) তোমাদের মাঝে পরিপূর্ণ পৃথকীকরণ করে দেবেন (মুমিনগণকে জান্নাতে এবং কাফেরদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন)। আর আল্লাহ্ সমস্ত কার্যাবলী দেখেন যা তোমরা করছো।
قَدۡ کَانَتۡ لَکُمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ فِیۡۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ الَّذِیۡنَ مَعَہٗ ۚ اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِہِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡکُمۡ وَ مِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ۫ کَفَرۡنَا بِکُمۡ وَ بَدَا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَ الۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَحۡدَہٗۤ اِلَّا قَوۡلَ اِبۡرٰہِیۡمَ لِاَبِیۡہِ لَاَسۡتَغۡفِرَنَّ لَکَ وَ مَاۤ اَمۡلِکُ لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَ اِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় তোমাদের জন্য উত্তম অনুসরণ (আদর্শ) ছিলো ইব্রাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে; যখন তারা আপন সম্প্রদায়কে বললো, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি নারায এবং সেগুলোর প্রতিও, যেগুলোর তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত পূজা করছো; আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ও তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষভাব প্রকাশিত হয়ে গেছে চিরকালের জন্য, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এক আল্লাহ্র উপর ঈমান আনবে না। কিন্তু ইব্রাহীমের আপন পিতাকে একথা বলা, ‘আমি অবশ্য তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবো এবং আমি আল্লাহ্র সম্মুখে তোমার কোন উপকারের মালিক নই!’ হে আমাদের রব! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করেছি আর তোমারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছি এবং প্রত্যাবর্তন তো তোমার প্রতিই।
ইরফানুল কুরআন
৪. প্রকৃতপক্ষে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর অনুসারীদের মাঝে তোমাদের জন্যে রয়েছে (অনুসরণের) উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যখন তাঁরা তাদের সম্প্রদায়কে বললেন, ‘তোমাদের সাথে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাদের উপাসনা করো তাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের সবাইকে প্রকাশ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি এবং আমাদের এবং তোমাদের মাঝে শত্রুতা, ঘৃণা এবং আক্রোশ চিরকালের জন্যে সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহ্র উপর ঈমান আনয়ন করো।’ তবে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁর (লালন-পালনকারী) পিতাকে বললেন, ‘আমি তোমার জন্যে অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবো’ (এ ছিল পূর্বের অঙ্গীকার, যা তিনি পূর্ণ করলেন এবং সাথে সাথে এ সতর্কবাণীও জানালেন:) ‘আর আমি (তোমার কুফর ও শিরকের কারণে) তোমার জন্যে আল্লাহ্র সমীপে কোনো অধিকার রাখি না’। (অতঃপর তিনি এ দোয়া করে সম্প্রদায় থেকে পৃথক হয়ে গেলেন) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার উপরই ভরসা করি এবং আমরা তোমারই অভিমুখী হয়েছি এবং (সবার) প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে।
رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَۃً لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ اغۡفِرۡ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. হে আমাদের রব! আমাদেরকে কাফিরদের পরীক্ষার মধ্যে নিক্ষেপ করো না! এবং আমাদেরকে ক্ষমা করো! হে আমাদের রব! নিশ্চয় তুমিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়’।
ইরফানুল কুরআন
৫. হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্যে পরীক্ষার উপলক্ষ করো না (অর্থাৎ তাদেরকে আমাদের উপর কর্তৃত্বপরায়ণ করো না) এবং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও, হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি আধিপত্য ও সম্মানের অধিকারী, প্রজ্ঞাবান।’
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡہِمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّ فَاِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡغَنِیُّ الۡحَمِیۡدُ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. নিশ্চয় তোমাদের জন্য তাদের মধ্যে উত্তম অনুসরণ (আদর্শ) ছিলো তাঁরই জন্য, যে আল্লাহ্ ও সর্বশেষ দিনের আশাবাদী আর যে মুখ ফেরায়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ই অভাবমুক্ত সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিত।
ইরফানুল কুরআন
৬. নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে তাদের মাঝে রয়েছে (অনুসরণের) উৎকৃষ্ট উদাহরণ, (বিশেষ করে) সেসব ব্যক্তির জন্যে যারা প্রত্যাশা রাখে আল্লাহ্র (সমীপে উপস্থিতির) এবং শেষদিবসের। আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অমুখাপেক্ষী এবং সমস্ত প্রশংসা ও গুণগানের উপযুক্ত।
عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّجۡعَلَ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَ الَّذِیۡنَ عَادَیۡتُمۡ مِّنۡہُمۡ مَّوَدَّۃً ؕ وَ اللّٰہُ قَدِیۡرٌ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. অদূর ভবিষ্যতে আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে, যারা তাদের মধ্যে শত্রু, বন্ধুত্ব সৃষ্টি করবেন! এবং আল্লাহ্ শক্তিমান; আর আল্লাহ্, ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৭. সম্ভবত আল্লাহ্ তোমাদের এবং যাদের সাথে তোমাদের শত্রুতা রয়েছে তাদের কিছু লোকের মাঝে (পরবর্তী কোনো সময়ে) বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আর আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান এবং আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
لَا یَنۡہٰىکُمُ اللّٰہُ عَنِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یُقَاتِلُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ وَ لَمۡ یُخۡرِجُوۡکُمۡ مِّنۡ دِیَارِکُمۡ اَنۡ تَبَرُّوۡہُمۡ وَ تُقۡسِطُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে ও তাদের প্রতি সুবিচার করতে বারণ করেন না, যারা তোমাদের সাথে দ্বীনের কারণে যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে নি, নিশ্চয় ন্যায়বিচারকগণ আল্লাহ্র প্রিয়।
ইরফানুল কুরআন
৮. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সাথে উত্তম আচরণ ও ন্যায়বিচার করতে নিষেধ করেন না, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে দ্বীনের ব্যাপার যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে ঘরবাড়ি থেকে (অর্থাৎ স্বদেশ থেকে) বহিষ্কারও করেনি। নিশ্চয় আল্লাহ্ ন্যায় ও সমতা বিধানকারীদেরকে পছন্দ করেন।
اِنَّمَا یَنۡہٰىکُمُ اللّٰہُ عَنِ الَّذِیۡنَ قٰتَلُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ وَ اَخۡرَجُوۡکُمۡ مِّنۡ دِیَارِکُمۡ وَ ظٰہَرُوۡا عَلٰۤی اِخۡرَاجِکُمۡ اَنۡ تَوَلَّوۡہُمۡ ۚ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّہُمۡ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদেরই সাথে বন্ধুত্ব করতে বারণ করছেন, যারা তোমাদের সাথে ধর্মের কারণে যুদ্ধ করেছে, অথবা তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে অথবা তোমাদেরকে বহিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। আর যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে, সুতরাং তারাই যালিম।
ইরফানুল কুরআন
৯. আল্লাহ্ তো তোমাদেরকে কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা থেকে বাধা প্রদান করেন যারা তোমাদের সাথে দ্বীনের ব্যাপারে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদেরকে বহিষ্করণে (শত্রুদেরকে) সাহায্য করেছে। আর যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে, তবে তারাই অত্যাচারী।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا جَآءَکُمُ الۡمُؤۡمِنٰتُ مُہٰجِرٰتٍ فَامۡتَحِنُوۡہُنَّ ؕ اَللّٰہُ اَعۡلَمُ بِاِیۡمَانِہِنَّ ۚ فَاِنۡ عَلِمۡتُمُوۡہُنَّ مُؤۡمِنٰتٍ فَلَا تَرۡجِعُوۡہُنَّ اِلَی الۡکُفَّارِ ؕ لَا ہُنَّ حِلٌّ لَّہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحِلُّوۡنَ لَہُنَّ ؕ وَ اٰتُوۡہُمۡ مَّاۤ اَنۡفَقُوۡا ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اَنۡ تَنۡکِحُوۡہُنَّ اِذَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ ؕ وَ لَا تُمۡسِکُوۡا بِعِصَمِ الۡکَوَافِرِ وَ سۡـَٔلُوۡا مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ وَ لۡیَسۡـَٔلُوۡا مَاۤ اَنۡفَقُوۡا ؕ ذٰلِکُمۡ حُکۡمُ اللّٰہِ ؕ یَحۡکُمُ بَیۡنَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদের নিকট মুসলিম নারীগণ কুফরস্তান থেকে আপন ঘর-বাড়ী ছেড়ে আসে তখন তাদেরকে পরীক্ষা করো; আল্লাহ্ তাদের ঈমানের অবস্থা সম্পর্কে ভালো জানেন। অতঃপর যদি তোমরা জানতে পারো যে, তারা ঈমানদার, তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত দিও না। না এরা তাদের জন্য হালাল, না তারা এদের জন্য হালাল। এবং তাদের কাফির স্বামীদেরকে দিয়ে দাও যা তাদের ব্যয় হয়েছে। এবং তোমাদের উপর কোন গুণাহ নেই তাদেরকে বিবাহ করে নিলে, যখন তাদের মহর তাদেরকে দিয়ে দাও আর কাফির নারীদের সাথে বিবাহের উপর চেয়ে নাও যা তোমাদের খরচ হয়েছে। এবং কাফিররাও চেয়ে নেবে যা তারা খরচ করেছে। এটা আল্লাহ্র হুকুম। তিনি তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করেন এবং আল্লাহ্ জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১০. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের নিকট যখন মুমিন নারীগণ হিজরত করে আসে তখন তাদেরকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিও। আল্লাহ্ তাদের ঈমানের (প্রকৃত অবস্থার) ব্যাপারে সম্যক অবগত। অতঃপর যদি তোমরা তাদের মুমিন হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হও, তবে তাদেরকে কাফেরদের নিকট ফিরিয়ে দিও না। এরা (এ মুমিন নারীরা) তাদের জন্যে বৈধ নয় এবং তারাও এদের জন্যে বৈধ নয়। আর তারা (দেনমোহর হিসেবে এদের জন্যে) যা কিছু খরচ করেছে তা তাদেরকে ফিরিয়ে দিও। তোমাদের জন্যে কোনো অপরাধ হবে না যদি তোমরা তাদের প্রাপ্য দেনমোহর আদায় করে তাদেরকে বিবাহ করো। আর (হে মুসলমানগণ!) তোমরাও অবিশ্বাসী নারীদেরকে (তোমাদের সাথে) বিবাহ বন্ধনে আটকে রেখো না। তোমরা (কাফেরদের কাছ থেকে) সে পরিমাণ (সম্পদ) চেয়ে নিও, যা তোমরা (এ নারীদের জন্যে দেনমোহর হিসেবে) ব্যয় করেছিলে এবং তারাও (তোমাদের কাছ থেকে) তা চেয়ে নিবে যা তারা (ওই নারীদের জন্যে দেনমোহর হিসেবে) ব্যয় করেছিল। এটাই আল্লাহ্র বিধান; আর তিনি তোমাদের মাঝে ফায়সালা করেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।
وَ اِنۡ فَاتَکُمۡ شَیۡءٌ مِّنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ اِلَی الۡکُفَّارِ فَعَاقَبۡتُمۡ فَاٰتُوا الَّذِیۡنَ ذَہَبَتۡ اَزۡوَاجُہُمۡ مِّثۡلَ مَاۤ اَنۡفَقُوۡا ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡۤ اَنۡتُمۡ بِہٖ مُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং যদি মুসলমানদের হাত থেকে কিছু সংখ্যক নারী কাফিরদের দিকে বের হয়ে যায় অতঃপর তোমরা কাফিরদেরকে শাস্তি দাও, তবে যাদের স্ত্রীরা চলে যাচ্ছিলো তাদেরকে গনীমতের মাল থেকে এতটুকু দিয়ে দাও যতটূকু তাদের ব্যয় হয়েছিলো। এবং আল্লাহ্কে ভয় করো, যার উপর তোমাদের ঈমান আছে।
ইরফানুল কুরআন
১১.আর যদি তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে কেউ তোমাদের হাতছাড়া হয়ে কাফেরদের নিকট থেকে যায়, অতঃপর (যখন) তোমরা যুদ্ধে বিজয়ী হও এবং গণিমতের সম্পদ লাভ করো, তবে (তা থেকে) যাদের স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তাদেরকে (দেনমোহর হিসেবে) তাদের ব্যয়কৃত অর্থের সমপরিমাণ প্রদান করো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাস রাখো।
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ اِذَا جَآءَکَ الۡمُؤۡمِنٰتُ یُبَایِعۡنَکَ عَلٰۤی اَنۡ لَّا یُشۡرِکۡنَ بِاللّٰہِ شَیۡئًا وَّ لَا یَسۡرِقۡنَ وَ لَا یَزۡنِیۡنَ وَ لَا یَقۡتُلۡنَ اَوۡلَادَہُنَّ وَ لَا یَاۡتِیۡنَ بِبُہۡتَانٍ یَّفۡتَرِیۡنَہٗ بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِنَّ وَ اَرۡجُلِہِنَّ وَ لَا یَعۡصِیۡنَکَ فِیۡ مَعۡرُوۡفٍ فَبَایِعۡہُنَّ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَہُنَّ اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. হে নবী! যখন আপনার সম্মুখে মুসলমান নারীরা হাযির হয় বায়’আত গ্রহণের জন্য এ মর্মে যে, তারা আল্লাহ্র সাথে কাউকেও শরীক স্থির করবে না এবং না চুরি করবে, না যিনা করবে, না আপন সন্তানদেরকে হত্যা করবে এবং না তারা ওই অপবাদ আনবে, যাকে আপন হাত ও পাগুলোর মধ্যখানে (প্রজনন স্থানে) রচনা করে রটাবে এবং কোন সৎকাজে আপনার নির্দেশ অমান্য করবে না, তখন তাদের নিকট থেকে বায়’আত গ্রহণ করুন। এবং আল্লাহ্র নিকট তাদের ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১২. হে নবী! যখন মুমিন নারীরা আপনার নিকট এসে এ মর্মে আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহণ করে যে, তারা আল্লাহ্র সাথে কোনো অংশীদার সাব্যস্ত করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, নিজেদের হস্ত ও পদযুগলের মধ্যস্থান থেকে কোনো মিথ্যা অপবাদ রচনা করবে না (অর্থাৎ অপরের সন্তানকে স্বামীর ঔরসজাত বলে ধোঁকা দেবে না) এবং শরীয়ত সম্মত (কোনোও) বিষয়ে আপনার অবাধ্যতা করবে না; তবে আপনি তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَوَلَّوۡا قَوۡمًا غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ قَدۡ یَئِسُوۡا مِنَ الۡاٰخِرَۃِ کَمَا یَئِسَ الۡکُفَّارُ مِنۡ اَصۡحٰبِ الۡقُبُوۡرِ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. হে ঈমানদারগণ! ওই সব লোকের সাথে বন্ধুত্ব করো না, যাদের উপর আল্লাহ্র ক্রোধ আপতিত, তারা পরকাল সম্বন্ধে নিরাশ হয়ে পড়েছে, যেভাবে কাফিরগণ নিরাশ হয়ে পড়েছে কবরবাসীদের থেকে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. হে ঈমানদারগণ! তোমরা সেসব লোকের সাথে বন্ধুত্ব রেখো না, যাদের উপর আল্লাহ্ রুষ্ট হয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গিয়েছে যেমন কবরস্থ কাফেরেরা নিরাশ হয়ে পড়েছে।