بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اِقۡتَرَبَتِ السَّاعَۃُ وَ انۡشَقَّ الۡقَمَرُ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. নিকটে এসেছে ক্বিয়ামত এবং দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে চাঁদ।
ইরফানুল কুরআন
১. কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে।
وَ اِنۡ یَّرَوۡا اٰیَۃً یُّعۡرِضُوۡا وَ یَقُوۡلُوۡا سِحۡرٌ مُّسۡتَمِرٌّ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং যদি তারা কোন নিদর্শন দেখে, তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর বলে, ‘এ তো যাদু, যা (শাশ্বতরূপে) চলে আসছে।’
ইরফানুল কুরআন
২. আর যদি এরা (এ কাফেরেরা) কোনো নিদর্শন (অর্থাৎ মুজিযা) দেখতো তারা মুখ ফিরিয়ে নিতো এবং বলতো, ‘(এ তো) চিরাচরিত শক্তিধর যাদু’।
وَ کَذَّبُوۡا وَ اتَّبَعُوۡۤا اَہۡوَآءَہُمۡ وَ کُلُّ اَمۡرٍ مُّسۡتَقِرٌّ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং তারা অস্বীকার করেছে এবং নিজেদের কুপ্রবৃত্তিগুলোর পেছনে পড়েছে আর প্রত্যেক কাজই নিরূপিত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩. আর তারা (এখনও) সত্য প্রত্যাখ্যান করে এবং নিজেদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে, আর (অঙ্গীকারের) সব কিছুই নির্ধারিত সময়ে সংঘটিত হবে।
وَ لَقَدۡ جَآءَہُمۡ مِّنَ الۡاَنۡۢبَآءِ مَا فِیۡہِ مُزۡدَجَرٌ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং নিশ্চয় তাদের নিকট ওই সব সংবাদ এসেছে, যেগুলোতে যথেষ্ট বাধা ছিলো;
ইরফানুল কুরআন
৪. আর নিশ্চয়ই তাদের নিকট এসেছে (পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের) সংবাদ, যাতে আছে (কুফরী ও অবাধ্যতার) উপদেশ ও তিরস্কার।
حِکۡمَۃٌۢ بَالِغَۃٌ فَمَا تُغۡنِ النُّذُرُ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এমন হিকমত (প্রজ্ঞা), অতঃপর কি কাজে আসবে ভীতি প্রদর্শনকারীরা।
ইরফানুল কুরআন
৫. (এ কুরআন) পরিপূর্ণ বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞা, এরপরও কি সতর্ককারী কোনো উপকার দেবে না?
فَتَوَلَّ عَنۡہُمۡ ۘ یَوۡمَ یَدۡعُ الدَّاعِ اِلٰی شَیۡءٍ نُّکُرٍ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. সুতরাং আপনি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন, যে দিন আহ্বানকারী এক অতি অপরিচিত বিষয়ের দিকে আহ্বান করবে;
ইরফানুল কুরআন
৬. সুতরাং আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করে চলুন। যে দিন আহ্বানকারী (ফেরেশতা) আহ্বান করবে চরম এক অপছন্দনীয় বিষয় (হাশরের ময়দান)-এর দিকে,
خُشَّعًا اَبۡصَارُہُمۡ یَخۡرُجُوۡنَ مِنَ الۡاَجۡدَاثِ کَاَنَّہُمۡ جَرَادٌ مُّنۡتَشِرٌ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. অবনমতি দৃষ্টি সহকারে কবরগুলো থেকে বের হবে, যেন ওরা বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল;
ইরফানুল কুরআন
৭. তারা কবর থেকে বের হবে অপমানে অবনমিত নেত্রে, বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায়,
مُّہۡطِعِیۡنَ اِلَی الدَّاعِ ؕ یَقُوۡلُ الۡکٰفِرُوۡنَ ہٰذَا یَوۡمٌ عَسِرٌ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আহ্বানকারীর প্রতি দৌড়াতে দৌড়াতে। কাফিরগণ বলবে, ‘এ দিন কঠিন।’
ইরফানুল কুরআন
৮. তারা ছুটে যাবে আহ্বানকারীর দিকে। কাফেরেরা বলবে, ‘এ বড়ই কঠিন দিন’।
کَذَّبَتۡ قَبۡلَہُمۡ قَوۡمُ نُوۡحٍ فَکَذَّبُوۡا عَبۡدَنَا وَ قَالُوۡا مَجۡنُوۡنٌ وَّ ازۡدُجِرَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় অস্বীকার করেছে; সুতরাং আমার বান্দাকে মিথ্যুক বলেছে আর বলেছে, ‘সে উন্মাদ’ এবং তাকে তিরস্কার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৯. তাদের পূর্বে নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায়ও মিথ্যারোপ করেছিল। তারা মিথ্যারোপ করেছিল আমাদের বান্দা (নূহ আলাইহিস সালাম)-কে এবং বলেছিল, ‘(এ তো) পাগল’ এবং তাকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল।
فَدَعَا رَبَّہٗۤ اَنِّیۡ مَغۡلُوۡبٌ فَانۡتَصِرۡ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তখন সে আপন রবের দরবারে প্রার্থণা করলো, ‘আমি পরাস্ত, তুমি আমার বদলা নাও!’
ইরফানুল কুরআন
১০. সুতরাং তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট দোয়া করলেন, ‘আমি (আমার সম্প্রদায়ের অত্যাচারে) অক্ষম, অতঃপর তুমি প্রতিবিধান করো’।
فَفَتَحۡنَاۤ اَبۡوَابَ السَّمَآءِ بِمَآءٍ مُّنۡہَمِرٍ ﴿۫ۖ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. অতঃপর আমি আস্মানের দরজা খুলে দিলাম মুষলধারে বৃষ্টি দ্বারা;
ইরফানুল কুরআন
১১. তখন আমরা আকাশের দ্বার উন্মুক্ত করে দিলাম প্রবল বারি বর্ষণের সাথে।
وَّ فَجَّرۡنَا الۡاَرۡضَ عُیُوۡنًا فَالۡتَقَی الۡمَآءُ عَلٰۤی اَمۡرٍ قَدۡ قُدِرَ ﴿ۚ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং যমীনকে ঝর্ণা করে প্রবাহিত করে দিলাম, সুতরাং উভয় পানি মিলিত হয়েছে ওই পরিমানে যা নির্ধারিত ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর আমরা ভূমি থেকে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ। সুতরাং (ভূমি ও আকাশের) সব পানি একই পরিকল্পনা অনুসারে (তাদের ধ্বংসের জন্যে) মিলিত হলো।
وَ حَمَلۡنٰہُ عَلٰی ذَاتِ اَلۡوَاحٍ وَّ دُسُرٍ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং আমি নূহকে আরোহণ করালাম তক্তা ও পেরেকসম্পন্ন বস্তুর উপর;
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর আমরা তাঁকে (অর্থাৎ নূহ আলাইহিস সালামকে) আরোহণ করালাম কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত নৌযানে।
تَجۡرِیۡ بِاَعۡیُنِنَا ۚ جَزَآءً لِّمَنۡ کَانَ کُفِرَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. যা আমার দৃষ্টিরই সামনাসামনি ভাসমান; তাঁরই জন্য পুরস্কাররূপ, যাঁর সাথে কুফর করা হয়েছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১৪. যা চলছিল আমাদের দৃষ্টির সম্মুখে (প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে)। এ (সব কিছু) ছিল (নূহ আলাইহিস সালামের) প্রতিশোধের জন্যে, যাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
وَ لَقَدۡ تَّرَکۡنٰہَاۤ اٰیَۃً فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং আমি সেটাকে নিদর্শনস্বরূপ রেখেছি; সুতরাং কেউ আছে কি ধ্যানকারী?
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর অবশ্যই আমরা একে (নূহের মহাপ্রলয়ের চিহ্নকে) নিদর্শনরূপে অবশিষ্ট রেখেছি, কাজেই উপদেশগ্রহণকারী (এবং চিন্তাশীল) কেউ আছে কি?
فَکَیۡفَ کَانَ عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সুতরাং কেমন হলো আমার শাস্তি ও আমার সতর্কবাণীগুলো?
ইরফানুল কুরআন
১৬. সুতরাং কেমন ছিল আমার শাস্তি এবং আমার সতর্কবাণী?
وَ لَقَدۡ یَسَّرۡنَا الۡقُرۡاٰنَ لِلذِّکۡرِ فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং নিশ্চয় আমি ক্বোরআনকে স্মরণ রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি। সুতরাং অন্তরস্থকারী কেউ আছে কি?
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর নিশ্চয়ই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ ও হেদায়াতের জন্যে, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
کَذَّبَتۡ عَادٌ فَکَیۡفَ کَانَ عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. ‘আদ অস্বীকার করেছে। সুতরাং কেমন হলো আমার শাস্তি ও আমার সতর্কবাণী;
ইরফানুল কুরআন
১৮. ’আদ সম্প্রদায়ও (রাসূলগণকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল, সুতরাং (তাদের বিরুদ্ধে) কেমন (ভয়ানক) ছিল আমার শাস্তি ও আমার সতর্কবাণী!
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمۡ رِیۡحًا صَرۡصَرًا فِیۡ یَوۡمِ نَحۡسٍ مُّسۡتَمِرٍّ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. নিশ্চয় আমি তাদের উপর এক প্রবল ঝঞ্ঝাবায়ু প্রেরণ করলাম এমন দিনে, যার অমঙ্গল তাদের উপর স্থায়ী হয়ে রইলো;
ইরফানুল কুরআন
১৯. নিঃসন্দেহে আমরা তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু, নিরবচ্ছিন্ন অমঙ্গলের দিনে,
تَنۡزِعُ النَّاسَ ۙ کَاَنَّہُمۡ اَعۡجَازُ نَخۡلٍ مُّنۡقَعِرٍ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. লোকদেরকে এভাবেই ছুড়ে মারছিলো যেন তারা উৎপাটিত খেজুরবৃক্ষের কাণ্ড।
ইরফানুল কুরআন
২০. যা মানুষকে (এমনভাবে) উৎখাত করেছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।
فَکَیۡفَ کَانَ عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. সুতরাং কেমন হলো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী?
ইরফানুল কুরআন
২১. সুতরাং কেমন ছিল আমার শাস্তি এবং আমার সতর্কবাণী!
وَ لَقَدۡ یَسَّرۡنَا الۡقُرۡاٰنَ لِلذِّکۡرِ فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং নিশ্চয় আমি সহজ করেছি ক্বোরআনকে স্মরণ রাখার জন্য। সুতরাং অন্তরস্থকারী কেউ আছে কি?
ইরফানুল কুরআন
২২. আর অবশ্যই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ ও হেদায়াতের জন্যে, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ بِالنُّذُرِ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. সামূদ সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. সামূদ (সম্প্রদায়)ও সতর্ককারী রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
فَقَالُوۡۤا اَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُہٗۤ ۙ اِنَّاۤ اِذًا لَّفِیۡ ضَلٰلٍ وَّ سُعُرٍ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. সুতরাং তারা বললো, ‘আমরা কি নিজেদের মধ্য থেকে একজন মানুষের অনুসরণ করবো? তখন তো আমরা অবশ্য পথভ্রষ্ট ও উন্মাদ হবো।
ইরফানুল কুরআন
২৪. অতঃপর তারা বলেছিল, ‘যে আমাদেরই মধ্য থেকে একজন মানুষ, আমরা কি তাঁরই অনুসরণ করবো? তাহলে তো আমরা অবশ্যই গোমরাহী ও উন্মত্ততায় পতিত হবো।
ءَاُلۡقِیَ الذِّکۡرُ عَلَیۡہِ مِنۡۢ بَیۡنِنَا بَلۡ ہُوَ کَذَّابٌ اَشِرٌ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. আমাদের সবার মধ্যে কি তাঁরই উপর যিক্র অবতীর্ণ করা হয়েছে? বরং এ তো জঘন্য মিথ্যুক, দাম্ভিক’।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আমাদের সকলের মধ্যে কি তাঁরই প্রতি উপদেশ (অর্থাৎ ওহী) অবতীর্ণ হয়েছে? বরং সে দুর্দান্ত মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক (ও অহঙ্কারী)।’
سَیَعۡلَمُوۡنَ غَدًا مَّنِ الۡکَذَّابُ الۡاَشِرُ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অতি শীঘ্র আগামীকাল জেনে যাবে কে ছিলো বড় মিথ্যুক, দাম্ভিক।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আগামীকালই (কিয়ামতের দিন) তারা জানবে, কে দুর্দান্ত মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক (ও অহঙ্কারী)।
اِنَّا مُرۡسِلُوا النَّاقَۃِ فِتۡنَۃً لَّہُمۡ فَارۡتَقِبۡہُمۡ وَ اصۡطَبِرۡ ﴿۫۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. আমি উষ্ট্রী প্রেরণকারী তাদের পরীক্ষার জন্য। সুতরাং হে সালিহ্! তুমি রাস্তা দেখো এবং ধৈর্যধারণ করো!
ইরফানুল কুরআন
২৭. অবশ্যই আমরা তাদের পরীক্ষার জন্যে উষ্ট্রী প্রেরণকারী, অতঃপর (হে সালেহ!) তাদের (পরিণতির) জন্যে অপেক্ষা করুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন।
وَ نَبِّئۡہُمۡ اَنَّ الۡمَآءَ قِسۡمَۃٌۢ بَیۡنَہُمۡ ۚ کُلُّ شِرۡبٍ مُّحۡتَضَرٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং তাদেরকে সংবাদ দিয়ে দাও যে, পানি তাদের মধ্যে বন্টন করা হবে। প্রত্যেক অংশের উপর সে-ই উপস্থিত হবে, যার পালা আসবে।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর তাদেরকে জানিয়ে দিন যে, তাদের (এবং উষ্ট্রীর) মাঝে পানি বন্টন করা হয়েছে, প্রত্যেকে পানির অংশের জন্যে পালাক্রমে উপস্থিত হবে।
فَنَادَوۡا صَاحِبَہُمۡ فَتَعَاطٰی فَعَقَرَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. অতঃপর তারা আপন আপন সাথীকে ডাকলো, অতঃপর সে নিয়ে সেটার গোছগুলো কেটে ফেললো।
ইরফানুল কুরআন
২৯. অতঃপর তারা আহ্বান করলো (ক্বিদার নামক) তাদের এক সঙ্গীকে, সে (উষ্ট্রীকে তলোয়ার দিয়ে) আঘাত করলো এবং এর পা কেটে দিল।
فَکَیۡفَ کَانَ عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. অতঃপর কেমন হলো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী?
ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর কেমন (ভয়ানক) ছিল আমার শাস্তি ও আমার সতর্কবাণী!
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمۡ صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً فَکَانُوۡا کَہَشِیۡمِ الۡمُحۡتَظِرِ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. নিশ্চয় আমি তাদের উপর এক বিকট শব্দ প্রেরণ করেছি। তখন তারা পরিণত হলো পশুর ঘেরাও নির্মাণকারীর অবশিষ্ট ঘাসের ন্যায়, যা শুষ্ক, পদ-দলিত ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৩১. নিশ্চয়ই আমরা তাদের উপর প্রেরণ করলাম একটি ভয়ানক ধ্বণি, ফলে তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত খোয়ারের ন্যায়।
وَ لَقَدۡ یَسَّرۡنَا الۡقُرۡاٰنَ لِلذِّکۡرِ فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং নিশ্চয় আমি ক্বোরআনকে সহজ করেছি স্মরণ রাখার জন্য। সুতরাং কেউ স্মরণ রাখার আছে কি?
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর নিশ্চয়ই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ ও হেদায়াতের জন্যে, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
کَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوۡطٍۭ بِالنُّذُرِ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. লূত-সম্প্রদায়ের লোকেরা রসূলগণকে অস্বীকার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. লূতে (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায়ও সতর্ককারীদের মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمۡ حَاصِبًا اِلَّاۤ اٰلَ لُوۡطٍ ؕ نَجَّیۡنٰہُمۡ بِسَحَرٍ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. নিশ্চয় আমি তাদের উপর পাথর বর্ষণ করেছি, লূতের পরিবারবর্গ ব্যতীত। আমি তাদেরকে শেষ প্রহরে রক্ষা করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৩৪. নিশ্চয়ই আমরা তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী ঝঞ্ঝাবায়ু, তবে লূত (আলাইহিস সালাম)-এঁর পরিবারের উপর নয়; আমরা তাদেরকে (শাস্তি থেকে) উদ্ধার করেছিলাম রাত্রির শেষপ্রহরে,
نِّعۡمَۃً مِّنۡ عِنۡدِنَا ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ مَنۡ شَکَرَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. আমার নিকট থেকে নি’মাত প্রদান করে। আমি এভাবেই পুরস্কৃত করি তাকেই, যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহসহ। যে কৃতজ্ঞ তাকে আমরা এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
وَ لَقَدۡ اَنۡذَرَہُمۡ بَطۡشَتَنَا فَتَمَارَوۡا بِالنُّذُرِ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং নিশ্চয় সে তাদেরকে আমার পাকড়াও সম্পর্কে সতর্ক করেছে। অতঃপর তারা ভীতির ফরমানগুলোতে সন্দেহ করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর নিশ্চয়ই লূত (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে সতর্ক করেছিলেন আমার পাকড়াও সম্পর্কে, কিন্তু এরা সতর্কবাণীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
وَ لَقَدۡ رَاوَدُوۡہُ عَنۡ ضَیۡفِہٖ فَطَمَسۡنَاۤ اَعۡیُنَہُمۡ فَذُوۡقُوۡا عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তারা তার নিকট তার মেহমানদেরকে ফুসলাতে চাইলো, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিলাম। বললাম ‘আস্বাদন করো আমার শাস্তি এবং সতর্কবাণী’।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর এরা প্রকৃতপক্ষে লূত (আলাইহিস সালাম) থেকে তাঁর মেহমানদের ছিনিয়ে নেবার ইচ্ছা পোষণ করেছিল, সুতরাং আমরা তাদের দৃষ্টিশক্তি লোপ করে দিলাম। অতঃপর (তাদেরকে বললাম,) ‘আস্বাদন করো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণীর পরিণাম’।
وَ لَقَدۡ صَبَّحَہُمۡ بُکۡرَۃً عَذَابٌ مُّسۡتَقِرٌّ ﴿ۚ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং নিশ্চয় ভোর-সকালে তাদের উপর স্থায়ী শাস্তি আসলো।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর প্রত্যুষেই তাদের নিকট এসে পৌঁছল বিরামহীন শাস্তি।
فَذُوۡقُوۡا عَذَابِیۡ وَ نُذُرِ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. সুতরাং আস্বাদন করো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. অতঃপর (তাদেরকে বলা হলো:) ‘আস্বাদন করো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণীর পরিণাম’।
وَ لَقَدۡ یَسَّرۡنَا الۡقُرۡاٰنَ لِلذِّکۡرِ فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. এবং নিশ্চয় আমি সহজ করেছি ক্বোরআনকে স্মরণ রাখার জন্য। সুতরাং অন্তরস্থকারী কেউ আছে কি?
ইরফানুল কুরআন
৪০. আর নিশ্চয়ই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ ও হেদায়াতের জন্যে, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
وَ لَقَدۡ جَآءَ اٰلَ فِرۡعَوۡنَ النُّذُرُ ﴿ۚ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. নিশ্চয় ফির’আঊনীদের নিকট রসূলগণ এলো।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর নিশ্চয়ই ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট(ও) সতর্ককারী এসেছিল।
کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا کُلِّہَا فَاَخَذۡنٰہُمۡ اَخۡذَ عَزِیۡزٍ مُّقۡتَدِرٍ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. তারা আমার সমস্ত নিদর্শনকে অস্বীকার করলো। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি, যা এক মহাসম্মানিত ও মহা শক্তিমানের পক্ষেই শোভা পাচ্ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪২.তারা আমাদের সমস্ত নিদর্শনাবলীকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল, অতঃপর আমরা তাদেরকে পাকড়াও করলাম মহাপরাক্রমশালী, মহাক্ষমতাবান সত্তার পাকড়াওয়ের শান অনুযায়ী।
اَکُفَّارُکُمۡ خَیۡرٌ مِّنۡ اُولٰٓئِکُمۡ اَمۡ لَکُمۡ بَرَآءَۃٌ فِی الزُّبُرِ ﴿ۚ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তোমাদের কাফিরগণ কি তাদের চেয়ে অধিক উত্তম? না কিতাবসমূহে তোমাদের মুক্তি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (হে মক্কার কুরাইশ!) তোমাদের মধ্যকার কাফেরেরা কি এ (পূর্ববর্তী) লোকদের চেয়ে উত্তম? নাকি (আসমানী) কিতাবে তোমাদের জন্যে মুক্তি লিপিবদ্ধ রয়েছে?
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ نَحۡنُ جَمِیۡعٌ مُّنۡتَصِرٌ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. কিংবা (তারা কি) এ কথা বলে, ‘আমরা সবাই মিলে বদলা নিয়ে নেবো?
ইরফানুল কুরআন
৪৪. নাকি এরা (এ কাফেরা) বলে, ‘আমরা (নবী মুকাররম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের উপর) সংঘবদ্ধ বিজয়ী দল?’
سَیُہۡزَمُ الۡجَمۡعُ وَ یُوَلُّوۡنَ الدُّبُرَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এখন তাড়া করা হচ্ছে এ দলকে এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে;
ইরফানুল কুরআন
৪৫. এ দল তো অচিরেই (বদরের মাঠে) পরাজিত হবে এবং এরা পশ্চাতে ফিরে পলায়ন করবে।
بَلِ السَّاعَۃُ مَوۡعِدُہُمۡ وَ السَّاعَۃُ اَدۡہٰی وَ اَمَرُّ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. বরং তাদের প্রতিশ্রুতি ক্বিয়ামতের উপরই এবং ক্বিয়ামত অতি কঠিন ও অত্যন্ত তিক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. বরং কিয়ামত তো তাদের (প্রকৃত) অঙ্গীকার এবং কিয়ামতের মুহূর্ত হবে প্রচন্ড কঠিন এবং প্রচন্ড তিক্ত।
اِنَّ الۡمُجۡرِمِیۡنَ فِیۡ ضَلٰلٍ وَّ سُعُرٍ ﴿ۘ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. নিশ্চয় অপরাধী হচ্ছে পথভ্রষ্ট ও উন্মাদ।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. নিশ্চয়ই অপরাধীরা বিভ্রান্ত এবং বিকারগ্রস্ত (অথবা আগুনের ভাঁজের মধ্যে রয়েছে)।
یَوۡمَ یُسۡحَبُوۡنَ فِی النَّارِ عَلٰی وُجُوۡہِہِمۡ ؕ ذُوۡقُوۡا مَسَّ سَقَرَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. যেদিন আগুনের মধ্যে তাদের মুখমণ্ডলগুলোর উপর উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, আর বলা হবে, ‘আস্বাদন করো দোযখের ছোঁয়া’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. যে দিন তাদেরকে স্বীয় মুখমন্ডলের উপর ভর করে বরং দোযখে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে (তখন তাদেরকে বলা হবে:) ‘জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো’।
اِنَّا کُلَّ شَیۡءٍ خَلَقۡنٰہُ بِقَدَرٍ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. নিশ্চয় আমি প্রত্যেক বস্তুকে একটা নির্ধারিত পরিমাপে সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. নিশ্চয়ই আমরা সব কিছুই সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।
وَ مَاۤ اَمۡرُنَاۤ اِلَّا وَاحِدَۃٌ کَلَمۡحٍۭ بِالۡبَصَرِ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং আমার কাজ তো এক কথার কথা, যেমন –পলক মারা মাত্র।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর আমাদের নির্দেশ তো সংঘটিত হয় কেবল একবারেই, চোখের পলকের মতো।
وَ لَقَدۡ اَہۡلَکۡنَاۤ اَشۡیَاعَکُمۡ فَہَلۡ مِنۡ مُّدَّکِرٍ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের সমপন্থী দলগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছি। সুতরাং কেউ মনোযোগ দেওয়ার মতো আছে কি?
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর আমরা তো তোমাদের (অনেক) দলকে ধ্বংস করেছি, সুতরাং উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
وَ کُلُّ شَیۡءٍ فَعَلُوۡہُ فِی الزُّبُرِ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং তারা যা কিছুই করেছে সবই কিতাবগুলোর মধ্যে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর যা কিছু(ই) তারা করেছে, (লিপিবদ্ধ) আছে আমলনামায়।
وَ کُلُّ صَغِیۡرٍ وَّ کَبِیۡرٍ مُّسۡتَطَرٌ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং প্রত্যেক ছোট-বড় বস্তু লিপিবদ্ধ হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর প্রতিটি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ (সব আমলই) লিপিবদ্ধ।
اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ نَہَرٍ ﴿ۙ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. নিশ্চয় খোদাভীরুগণ বাগানসমূহ ও নহরে বিদ্যমান,
ইরফানুল কুরআন
৫৪. নিশ্চয়ই পরহেযগারগণ থাকবে জান্নাতে এবং স্রোতধারায় বিধৌত (হর্ষোৎফুল্ল)।
فِیۡ مَقۡعَدِ صِدۡقٍ عِنۡدَ مَلِیۡکٍ مُّقۡتَدِرٍ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. সত্যের মজলিসে মহা ক্ষমতাবান বাদশাহ (আল্লাহ্) এর সম্মুখে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. যোগ্য আসনে (উপবিষ্ট) থাকবে (প্রকৃত) সর্বাধিপতি সম্রাটের সান্নিধ্যে পবিত্র মজলিসে।