Back
আল ওয়াকি’আ
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
اِذَا وَقَعَتِ الۡوَاقِعَۃُ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. যখন সংঘটিত হবে ওই ঘটমান;
ইরফানুল কুরআন
১. যখন (কিয়ামতের) ঘটনা ঘটবে,
Play Share Copy
لَیۡسَ لِوَقۡعَتِہَا کَاذِبَۃٌ ۘ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. ওই সময় তা সংঘটিত হবার বিষয়ে কারো অস্বীকার করার অবকাশ থাকবে না।
ইরফানুল কুরআন
২. এর সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোনো মিথ্যাচার নেই।
Play Share Copy
خَافِضَۃٌ رَّافِعَۃٌ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. কাউকে নিচুকারী, কাউকে সমুন্নতকারী;
ইরফানুল কুরআন
৩. (এ কিয়ামত কাউকে) করে দেবে নীচু, (কাউকে) করবে সমুন্নত।
Play Share Copy
اِذَا رُجَّتِ الۡاَرۡضُ رَجًّا ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. যখন যমীন কাঁপবে থরথর করে;
ইরফানুল কুরআন
৪. যখন প্রচন্ডভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী,
Play Share Copy
وَّ بُسَّتِ الۡجِبَالُ بَسًّا ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং পর্বতমালা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে যাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর পর্বতমালা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে,
Play Share Copy
فَکَانَتۡ ہَبَآءً مُّنۡۢبَثًّا ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তখন হয়ে যাবে শূন্য ময়দানে রোদের মধ্যে ধূলাবালির বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মতো।
ইরফানুল কুরআন
৬. অতঃপর তা পরিণত হবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণায়,
Play Share Copy
وَّ کُنۡتُمۡ اَزۡوَاجًا ثَلٰثَۃً ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং তোমরা তিন শ্রেণীর হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তোমরা বিভক্ত হবে তিন শ্রেণীতে।
Play Share Copy
فَاَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ۬ۙ مَاۤ اَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ؕ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. সুতরাং ডান পার্শ্বস্থ দল; কেমনই (ভাগ্যবান) ডান পার্শ্বস্থ দল!
ইরফানুল কুরআন
৮. অতঃপর (প্রথম) ডানদিকের দল, কতোই না চমৎকার ডানদিকের দল!
Play Share Copy
وَ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ۬ۙ مَاۤ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং বাম পার্শ্বস্থ দল; কেমনি (হতভাগা) বাম পার্শ্বস্থ দল!
ইরফানুল কুরআন
৯. আর (দ্বিতীয়) বামদিকের দল, কতো হতভাগ্য বামদিকের দল!
১০
Play Share Copy
وَ السّٰبِقُوۡنَ السّٰبِقُوۡنَ ﴿ۚۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং যারা অগ্রবর্তী হয়েছে তারা তো অগ্রবর্তীই হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর (তৃতীয়) অগ্রবর্তীগণ, (এঁরা তো) অগ্রবর্তীই,
১১
Play Share Copy
اُولٰٓئِکَ الۡمُقَرَّبُوۡنَ ﴿ۚ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. তারাই (আল্লাহ্‌র) দরবারের নৈকট্যপ্রাপ্ত;
ইরফানুল কুরআন
১১. তারাই হবে (আল্লাহ্‌র) নৈকট্যপ্রাপ্ত।
১২
Play Share Copy
فِیۡ جَنّٰتِ النَّعِیۡمِ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. শান্তির বাগানসমূহে।
ইরফানুল কুরআন
১২. (তারা থাকবে) নিয়ামতপূর্ণ উদ্যানে।
১৩
Play Share Copy
ثُلَّۃٌ مِّنَ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে একদল;
ইরফানুল কুরআন
১৩. (এ নৈকট্যপ্রাপ্তদের মাঝে) বৃহত্তর দল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
১৪
Play Share Copy
وَ قَلِیۡلٌ مِّنَ الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং পরবর্তীদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর (এদের মাঝে) অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
১৫
Play Share Copy
عَلٰی سُرُرٍ مَّوۡضُوۡنَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. কারুকার্য খচিত আসনসমূহের উপর হবে;
ইরফানুল কুরআন
১৫. (এ নৈকট্যপ্রাপ্তগণ) থাকবেন স্বর্ণখচিত সিংহাসনে,
১৬
Play Share Copy
مُّتَّکِـِٕیۡنَ عَلَیۡہَا مُتَقٰبِلِیۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সেগুলোর উপর হেলান দিয়ে (বসবে) পরস্পর সামনাসামনি হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. এগুলোতে হেলান দিয়ে বসবেন, পরস্পর মুখোমুখী হয়ে।
১৭
Play Share Copy
یَطُوۡفُ عَلَیۡہِمۡ وِلۡدَانٌ مُّخَلَّدُوۡنَ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. তাদের চতুর্পার্শ্বে প্রদক্ষিত করবে চির-কিশোররা-
ইরফানুল কুরআন
১৭. তাদের সেবায় চারপাশে বিচরণ করতে থাকবে চির-কিশোরেরা,
১৮
Play Share Copy
بِاَکۡوَابٍ وَّ اَبَارِیۡقَ ۬ۙ وَ کَاۡسٍ مِّنۡ مَّعِیۡنٍ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. কুজা ও জলপাত্র (বদনা) এবং পানপাত্র ও চোখের সামনে প্রবাহমান শরাব নিয়ে;
ইরফানুল কুরআন
১৮. (সেবায় নিয়োজিত থাকবে) পানপাত্র, জগ আর প্রস্রবণ নিঃসৃত ( নৈকট্যের স্বচ্ছ) সূরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে।
১৯
Play Share Copy
لَّا یُصَدَّعُوۡنَ عَنۡہَا وَ لَا یُنۡزِفُوۡنَ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. যা দ্বারা না তাদের মাথা ব্যথা হবে, না তাদের হুশ-জ্ঞানে কোন পার্থক্য আসবে;
ইরফানুল কুরআন
১৯. (এ সূরাপানে) তাদের না শিরঃপীড়া হবে, আর না তারা জ্ঞানহারা (এবং বিকারগ্রস্ত) হবে।
২০
Play Share Copy
وَ فَاکِہَۃٍ مِّمَّا یَتَخَیَّرُوۡنَ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং ফলমূল (নিয়ে), যা তারা পছন্দ করবে;
ইরফানুল কুরআন
২০. আর (জান্নাতে পরিবেশনকারীরা) ফল-মূল (নিয়েও বিচরণ করতে থাকবে) যা তারা (অর্থাৎ নৈকট্যবানেরা) পছন্দ করবে।
২১
Play Share Copy
وَ لَحۡمِ طَیۡرٍ مِّمَّا یَشۡتَہُوۡنَ ﴿ؕ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং পক্ষীমাংস (থাকবে), যা তারা চাইবে।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর (থাকবে) পাখির গোশতও, যা তারা (অর্থাৎ নৈকট্যবানেরা) কামনা করবে।
২২
Play Share Copy
وَ حُوۡرٌ عِیۡنٌ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং বড় বড় চোখসম্পন্না হূরেরা;
ইরফানুল কুরআন
২২. আর (তাদের সাহচর্যে থাকবে) সুদর্শনা আয়তনয়না হুরেরাও,
২৩
Play Share Copy
کَاَمۡثَالِ اللُّؤۡلُوَٴ الۡمَکۡنُوۡنِ ﴿ۚ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. (তারা) যেমন গোপন করে রাখা মুক্তা;
ইরফানুল কুরআন
২৩. যেন সুরক্ষিত, লুকিয়ে রাখা মুক্তা।
২৪
Play Share Copy
جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. পুরস্কারস্বরূপ তাদের কৃতকর্মগুলোর।
ইরফানুল কুরআন
২৪. (এটি সৎ) কর্মের প্রতিদানস্বরূপ, যা তারা করতো।
২৫
Play Share Copy
لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا وَّ لَا تَاۡثِیۡمًا ﴿ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. তাতে শুনবে না কোন অনর্থক কথাবার্তা, না (থাকবে) পাপাচার;
ইরফানুল কুরআন
২৫. তারা এতে না কোনো অনর্থক বিষয় শুনবে, আর না কোনো পাপবাক্য,
২৬
Play Share Copy
اِلَّا قِیۡلًا سَلٰمًا سَلٰمًا ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. হাঁ একথা বলা হবে- ‘সালাম! সালাম!’
ইরফানুল কুরআন
২৬. তবে (এ শান্তিকামীরা সকল দিক থেকে) কেবল একই কথা শুনবেঃ ‘সালাম’, ‘সালাম’।
২৭
Play Share Copy
وَ اَصۡحٰبُ الۡیَمِیۡنِ ۬ۙ مَاۤ اَصۡحٰبُ الۡیَمِیۡنِ ﴿ؕ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং ডান পার্শ্বস্থ দল; কেমন (সৌভাগ্যবান) ডান পার্শ্বস্থ দল!
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর ডানদিকের দল, কতোই না চমৎকার ডানদিকের দল!
২৮
Play Share Copy
فِیۡ سِدۡرٍ مَّخۡضُوۡدٍ ﴿ۙ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. কাটাহীন কুলগাছগুলোর মধ্যে
ইরফানুল কুরআন
২৮. কাটাবিহীন কূলবৃক্ষে,
২৯
Play Share Copy
وَّ طَلۡحٍ مَّنۡضُوۡدٍ ﴿ۙ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এবং কলা-গুচ্ছগুলোর মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
২৯. এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
৩০
Play Share Copy
وَّ ظِلٍّ مَّمۡدُوۡدٍ ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং চিরস্থায়ী ছায়ার মধ্যে;
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর (বিস্তৃত) সূদীর্ঘ ছায়ায়,
৩১
Play Share Copy
وَّ مَآءٍ مَّسۡکُوۡبٍ ﴿ۙ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং সর্বদা প্রবহমান পানির মধ্যে;
ইরফানুল কুরআন
৩১. প্রবল বেগে প্রবাহমান পানিতে,
৩২
Play Share Copy
وَّ فَاکِہَۃٍ کَثِیۡرَۃٍ ﴿ۙ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং প্রচুর ফলমূলের মধ্যে;
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর (আমোদিত হবে) প্রচুর পরিমাণে ফলমূলে,
৩৩
Play Share Copy
لَّا مَقۡطُوۡعَۃٍ وَّ لَا مَمۡنُوۡعَۃٍ ﴿ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. যেগুলো না নিঃশেষ হবে, না নিষিদ্ধ করা হবে;
ইরফানুল কুরআন
৩৩. যা (কখনো) শেষ হবে না, আর এগুলো (খাওয়া) নিষিদ্ধও হবে না।
৩৪
Play Share Copy
وَّ فُرُشٍ مَّرۡفُوۡعَۃٍ ﴿ؕ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং সমুচ্চ বিছানাগুলোর মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর (তাঁরা) থাকবে উঁচু (জমকালো) শয্যায়।
৩৫
Play Share Copy
اِنَّاۤ اَنۡشَاۡنٰہُنَّ اِنۡشَآءً ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. নিশ্চয় আমি ওই সব স্ত্রীলোককে উত্তম বিকাশে বিকশিত করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৩৫. নিশ্চয়ই আমরা এদেরকে (অর্থাৎ সৌন্দর্য ও কমনীয়তার প্রতিচ্ছবি হুরদেরকে) বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
৩৬
Play Share Copy
فَجَعَلۡنٰہُنَّ اَبۡکَارًا ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সুতরাং তাদেরকে আমি কুমারী করেছি, আপন আপন স্বামীর নিকট প্রিয়া;
ইরফানুল কুরআন
৩৬. অতঃপর তাদেরকে করেছি কুমারী,
৩৭
Play Share Copy
عُرُبًا اَتۡرَابًا ﴿ۙ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. তাদের প্রতি সোহাগিনী, সমবয়স্কা;
ইরফানুল কুরআন
৩৭. যারা হবেন সোহাগিনী, সমবয়স্কা (স্ত্রী)।
৩৮
Play Share Copy
لِّاَصۡحٰبِ الۡیَمِیۡنِ ﴿ؕ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. ডান পার্শ্বস্থদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. এসব (হুর এবং অন্যান্য নিয়ামতরাজি) ডানদিকের দলের জন্যে।
৩৯
Play Share Copy
ثُلَّۃٌ مِّنَ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে একদল;
ইরফানুল কুরআন
৩৯. (এ নৈকট্যপ্রাপ্তদের মাঝে) বৃহত্তর দল হবে পূর্ববর্তী লোকদের মধ্য থেকে।
৪০
Play Share Copy
وَ ثُلَّۃٌ مِّنَ الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿ؕ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. এবং পরবর্তীদের মধ্য থেকে একদল।
ইরফানুল কুরআন
৪০. আর (তাদের মাঝে) বড় দল থাকবে পরবর্তী লোকদের মধ্য থেকে(ও)।
৪১
Play Share Copy
وَ اَصۡحٰبُ الشِّمَالِ ۬ۙ مَاۤ اَصۡحٰبُ الشِّمَالِ ﴿ؕ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং বাম পার্শ্বস্থগণ; কেমন (হতভাগ্য) বাম পার্শ্বস্থগণ।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর বামদিকের দল, কতো হতভাগা (মন্দ লোক) বামদিকের দল!
৪২
Play Share Copy
فِیۡ سَمُوۡمٍ وَّ حَمِیۡمٍ ﴿ۙ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. অত্যুষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানির মধ্যে;
ইরফানুল কুরআন
৪২. তারা থাকবে জাহান্নামের প্রচন্ড উষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে,
৪৩
Play Share Copy
وَّ ظِلٍّ مِّنۡ یَّحۡمُوۡمٍ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. জ্বলন্ত ধোঁয়ার ছায়ার মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. আর কালো ধোঁয়ার ছায়ায়।
৪৪
Play Share Copy
لَّا بَارِدٍ وَّ لَا کَرِیۡمٍ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. যা না শীতল, না সম্মানের।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. যা না (কখনো) ঠান্ডা হবে, আর না আরামদায়ক।
৪৫
Play Share Copy
اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَبۡلَ ذٰلِکَ مُتۡرَفِیۡنَ ﴿ۚۖ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. নিশ্চয় তারা এর পূর্বে নি’মাতগুলোর মধ্যে ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে এরা (এ জাহান্নামবাসীরা পৃথিবীতে) মগ্ন ছিল ভোগ-বিলাসে,
৪৬
Play Share Copy
وَ کَانُوۡا یُصِرُّوۡنَ عَلَی الۡحِنۡثِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ۚ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং ওই মহাপাপের উপর একগুঁয়ে হয়ে থাকতো।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর তারা লিপ্ত থাকতো ঘোরতর পাপকর্মে (অর্থাৎ কুফর ও শিরকে)।
৪৭
Play Share Copy
وَ کَانُوۡا یَقُوۡلُوۡنَ ۬ۙ اَئِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ ﴿ۙ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং বলতো, ‘যখন আমরা মরে যাবে এবং হাড়গুলো মাটি হয়ে যাবে তখনও কি আমরা অবশ্য পুনরুত্থিত হবো?
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর তারা বলতো, ‘যখন আমরা মরে যাবো এবং পরিণত হবো মৃত্তিকায় ও (পঁচা) অস্থিতে, তখনো কি আমাদেরকে (পুনরায়) উত্থিত করা হবে?
৪৮
Play Share Copy
اَوَ اٰبَآؤُنَا الۡاَوَّلُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং আমাদের পূর্ববর্তী বাপদাদাও কি?’
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও (জীবিত করা হবে)?’
৪৯
Play Share Copy
قُلۡ اِنَّ الۡاَوَّلِیۡنَ وَ الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿ۙ۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. আপনি বলুন, ‘নিশ্চয় সব পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকে-
ইরফানুল কুরআন
৪৯. বলে দিন, ‘অবশ্যই পূর্ববর্তীগণকে এবং পরবর্তীগণকে,
৫০
Play Share Copy
لَمَجۡمُوۡعُوۡنَ ۬ۙ اِلٰی مِیۡقَاتِ یَوۡمٍ مَّعۡلُوۡمٍ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. অবশ্যই একত্রি করা হবে একটা পরিজ্ঞাত দিনের মেয়াদকালের উপর’।
ইরফানুল কুরআন
৫০. (সকলকে) এক নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সময়ে একত্রিত করা হবে।
৫১
Play Share Copy
ثُمَّ اِنَّکُمۡ اَیُّہَا الضَّآلُّوۡنَ الۡمُکَذِّبُوۡنَ ﴿ۙ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. অতপর নিশ্চয় তোমরা, হে পথভ্রষ্টরা, অস্বীকারকারীরা!
ইরফানুল কুরআন
৫১. অতঃপর নিশ্চয়ই তোমরা, হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যাপ্রতিপন্নকারীরা,
৫২
Play Share Copy
لَاٰکِلُوۡنَ مِنۡ شَجَرٍ مِّنۡ زَقُّوۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. অবশ্যই তোমরা যাক্কুমের গাছ থেকে আহার করবে;
ইরফানুল কুরআন
৫২. তোমরা অবশ্যই আহার করবে কাঁটাযুক্ত (যাক্কুম) বৃক্ষ থেকে,
৫৩
Play Share Copy
فَمَالِـُٔوۡنَ مِنۡہَا الۡبُطُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. অতঃপর তা থেকে পেট ভর্তি করবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
৫৪
Play Share Copy
فَشٰرِبُوۡنَ عَلَیۡہِ مِنَ الۡحَمِیۡمِ ﴿ۚ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. অতঃপর এর উপর উত্তপ্ত-ফুটন্ত পানি পান করবে;
ইরফানুল কুরআন
৫৪. অতঃপর এর উপর পান করবে প্রচন্ড উত্তপ্ত পানি,
৫৫
Play Share Copy
فَشٰرِبُوۡنَ شُرۡبَ الۡہِیۡمِ ﴿ؕ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. অতঃপর এমনভাবে পান করবে যেভাবে অতি পিপাসায় কাতর উট পান করে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. আর পান করবে প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়।’
৫৬
Play Share Copy
ہٰذَا نُزُلُہُمۡ یَوۡمَ الدِّیۡنِ ﴿ؕ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এটা তাদের আতিথ্য বিচারের দিনে।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
৫৭
Play Share Copy
نَحۡنُ خَلَقۡنٰکُمۡ فَلَوۡ لَا تُصَدِّقُوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। সুতরাং তোমরা কেন সত্য স্বীকার করছো না?
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আমরাই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন (দ্বিতীয়বার সৃষ্টিকে) তোমরা বিশ্বাস করো না?
৫৮
Play Share Copy
اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تُمۡنُوۡنَ ﴿ؕ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. সুতরাং ভালো দেখোতো- ওই বীর্য, যার তোমরা পতন ঘটাচ্ছো!
ইরফানুল কুরআন
৫৮. বেশ, ভেবে দেখেছো কি, তোমরা (জরায়ূতে) যে বীর্য (শুক্রবিন্দু) নির্গত করো-
৫৯
Play Share Copy
ءَاَنۡتُمۡ تَخۡلُقُوۡنَہٗۤ اَمۡ نَحۡنُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. তোমরাই কি সেটা থেকে মানুষ সৃষ্টি করছো, না আমি সৃষ্টিকারী?
ইরফানুল কুরআন
৫৯. তা (হে মানুষ) তোমরা সৃষ্টি করো, নাকি আমরা সৃষ্টি করি?
৬০
Play Share Copy
نَحۡنُ قَدَّرۡنَا بَیۡنَکُمُ الۡمَوۡتَ وَ مَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوۡقِیۡنَ ﴿ۙ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারিত করেছি এবং আমি তাতে হেরে যাই নি-
ইরফানুল কুরআন
৬০. আমরাই তোমাদের মাঝে মৃত্যু নির্ধারিত করেছি এবং আমরা (পুনরায় জীবিত করতেও) অক্ষম নই।
৬১
Play Share Copy
عَلٰۤی اَنۡ نُّبَدِّلَ اَمۡثَالَکُمۡ وَ نُنۡشِئَکُمۡ فِیۡ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. তোমাদের মতো অন্যান্যদেরকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে এবং তোমাদের আকৃতিগুলোকে তা-ই করে দিতে, যার তোমাদের খবর নেই।
ইরফানুল কুরআন
৬১. ব্যাপার এই যে, (আমরা অক্ষম নই) তোমাদের স্থলে তোমাদের ন্যায় আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমন আকৃতিতে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জানতেই না।
৬২
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ عَلِمۡتُمُ النَّشۡاَۃَ الۡاُوۡلٰی فَلَوۡ لَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং নিশ্চয় তোমরা জেনে নিয়েছো প্রথম বারের উত্থান সম্পর্কে। সুতরাং কেন চিন্তা ভাবনা করছো না?
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টির (বাস্তবতার) ব্যাপারে অবগত হয়েছো, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছো না?
৬৩
Play Share Copy
اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَحۡرُثُوۡنَ ﴿ؕ۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. সুতরাং ভালো, বলোতো! যা তোমরা বপন করছো,
ইরফানুল কুরআন
৬৩. বেশ, ভেবে দেখেছো কি, যা কিছু (বীজ) তোমরা বপন করো-
৬৪
Play Share Copy
ءَاَنۡتُمۡ تَزۡرَعُوۡنَہٗۤ اَمۡ نَحۡنُ الزّٰرِعُوۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. তোমরা কি সেই ক্ষেত সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টিকারী?
ইরফানুল কুরআন
৬৪. (এ শষ্য) কি তোমরা উদ্গত করো, নাকি আমরা উদ্গত করি?
৬৫
Play Share Copy
لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنٰہُ حُطَامًا فَظَلۡتُمۡ تَفَکَّہُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. আমি ইচ্ছা করলে সেটাকে পদদিলত খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, অতঃপর তোমরা বাক্যাদি রচনা করতে থাকবে
ইরফানুল কুরআন
৬৫. আমরা চাইলে তাকে খড়কুটো করে দিতে পারি। অতঃপর তোমরা হতবাক ও লজ্জিতই হয়ে পড়বে।
৬৬
Play Share Copy
اِنَّا لَمُغۡرَمُوۡنَ ﴿ۙ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. যে, ‘আমাদের তো সর্বনাশ হয়েছে!
ইরফানুল কুরআন
৬৬. (আর বলতে থাকবে:) ‘আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে পড়েছি;
৬৭
Play Share Copy
بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُوۡمُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. বরং আমরা বঞ্চিত হয়ে আছি।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. বরং আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি।’
৬৮
Play Share Copy
اَفَرَءَیۡتُمُ الۡمَآءَ الَّذِیۡ تَشۡرَبُوۡنَ ﴿ؕ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. সুতরাং ভালো, বলোতো! ওই পানি, যা তোমরা পান করো,
ইরফানুল কুরআন
৬৮. বেশ, ভেবে দেখেছো কি, যে পানি তোমরা পান করো-
৬৯
Play Share Copy
ءَاَنۡتُمۡ اَنۡزَلۡتُمُوۡہُ مِنَ الۡمُزۡنِ اَمۡ نَحۡنُ الۡمُنۡزِلُوۡنَ ﴿۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. তোমরা কি তা মেঘ থেকে অবতীর্ণ করো, না আমিই অবতারণকারী?
ইরফানুল কুরআন
৬৯. তোমরা কি তা মেঘ থেকে নামিয়ে আনো নাকি আমরা বর্ষণ করি?
৭০
Play Share Copy
لَوۡ نَشَآءُ جَعَلۡنٰہُ اُجَاجًا فَلَوۡ لَا تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. আমি ইচ্ছা করলে সেটা লোনা করে দিতে পারি। অতঃপর কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছো না?
ইরফানুল কুরআন
৭০. আর আমরা চাইলে তা লবনাক্ত করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো না?
৭১
Play Share Copy
اَفَرَءَیۡتُمُ النَّارَ الَّتِیۡ تُوۡرُوۡنَ ﴿ؕ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. সুতরাং ভালো, বলোতো, ওই আগুন, যা তোমরা প্রজ্জ্বলিত করছো,
ইরফানুল কুরআন
৭১. বেশ, ভেবে দেখেছো কি, যে অগ্নি তোমরা প্রজ্বলিত করো-
৭২
Play Share Copy
ءَاَنۡتُمۡ اَنۡشَاۡتُمۡ شَجَرَتَہَاۤ اَمۡ نَحۡنُ الۡمُنۡشِـُٔوۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. তোমরা কি সেটার গাছ সৃষ্টি করেছো, না আমি সৃষ্টিকারী?
ইরফানুল কুরআন
৭২. তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছো, না আমরা (তা) সৃষ্টি করেছি?
৭৩
Play Share Copy
نَحۡنُ جَعَلۡنٰہَا تَذۡکِرَۃً وَّ مَتَاعًا لِّلۡمُقۡوِیۡنَ ﴿ۚ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. আমি সেটাকে জাহান্নামের স্মৃতি করেছি এবং জঙ্গলের মধ্যে মুসাফিরদের উপকারী বস্তু।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আমরাই একে (বৃক্ষের অগ্নিকে) করেছি (জাহান্নামের অগ্নির) স্মরণিকা (উপদেশ ও সতর্কবাণী) এবং অরণ্যচারীর জন্যে প্রয়োজনীয় উৎস।
৭৪
Play Share Copy
فَسَبِّحۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الۡعَظِیۡمِ ﴿ؓ۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. সুতরাং হে মাহবূব! আপনি পবিত্রতা ঘোষণা করুন আপন মহান রবের নামের।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. সুতরাং আপনার মহান প্রতিপালকের মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
৭৫
Play Share Copy
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوۡمِ ﴿ۙ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. সুতরাং আমায় শপথ রইলো ওই সব স্থানের, যেখানে তারকারাজি অস্তমিত হয়!
ইরফানুল কুরআন
৭৫. অতঃপর আমি শপথ করছি সেসব স্থানের যেসব স্থানে কুরআনের বিভিন্ন অংশ (রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের প্রতি) অবতীর্ণ হয়।* * এ অনুবাদ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনা অনুসারে করা হয়েছে। আরো হযরত ইকরামাহ্, হযরত মুজাহিদ, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে জুবাইর, হযরত সুদ্দী, হযরত ফাররা এবং হযরত যুজাজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং অন্যান্য মুফাসসির ওলামায়ে কেরামের বক্তব্যও। আর বাক্যের ভঙ্গিও একে সমর্থন করে। পূর্বে সূরা- নাজমে হুযুর নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালিহী ওয়াসাল্লামকে ‘তারকা’ বলা হয়েছে। এখানে কুরআনের সূরা-গুলোকে ‘নুজুম’ বলা হয়েছে। উদ্বৃতির জন্যে দেখুন, তাফসীরে বাগাভী, খাযিন, তাবারী, আদ-দুররুল মানছুর, আল-কাশ্শাফ, তাফসীরে আবী হাতীম, রূহুল মায়ানী, ইবনে কাছীর, আল-লুবাব, আল-বাহরুল মুহীত, জুমাল, যাদুল মুয়াস্সার, ফাতহুল কাদীর, আল-মাযহারী, আল-বায়যাবী, তাফসীরে আবি সুউদ এবং মাজমাউল বায়ান।
৭৬
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَقَسَمٌ لَّوۡ تَعۡلَمُوۡنَ عَظِیۡمٌ ﴿ۙ۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং যদি তোমরা অনুধাবন করো, তবে এটা হচ্ছে বড় শপথ;
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর যদি তোমরা বুঝতে, এ অবশ্যই এক মহাশপথ।
৭৭
Play Share Copy
اِنَّہٗ لَقُرۡاٰنٌ کَرِیۡمٌ ﴿ۙ۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. নিশ্চয় এটা সম্মানিত ক্বোরআন;
ইরফানুল কুরআন
৭৭. নিশ্চয়ই এটি মহাসম্মানিত কুরআন (যা অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ হয়)।
৭৮
Play Share Copy
فِیۡ کِتٰبٍ مَّکۡنُوۡنٍ ﴿ۙ۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. সংরক্ষিত লিপিতে।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. (এরপূর্বে এটি লিপিবদ্ধ) ছিল লাওহে মাহফুযে।
৭৯
Play Share Copy
لَّا یَمَسُّہٗۤ اِلَّا الۡمُطَہَّرُوۡنَ ﴿ؕ۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. সেটাকে যেন স্পর্শ না করে, কিন্তু ওযূ সম্পন্নরা।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. এটি কেউ স্পর্শ করবে না, তারা ব্যতীত যারা পাক-পবিত্র।
৮০
Play Share Copy
تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. তা অবতারণকৃত সমগ্র জাহানের রবের।
ইরফানুল কুরআন
৮০. এটি অবতীর্ণ বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।
৮১
Play Share Copy
اَفَبِہٰذَا الۡحَدِیۡثِ اَنۡتُمۡ مُّدۡہِنُوۡنَ ﴿ۙ۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. তবে কি তোমরা এ বিষয়ে আলস্য করছো?
ইরফানুল কুরআন
৮১. তবু কি তোমরা এ বাণীকে তুচ্ছ জ্ঞান করছো?
৮২
Play Share Copy
وَ تَجۡعَلُوۡنَ رِزۡقَکُمۡ اَنَّکُمۡ تُکَذِّبُوۡنَ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. এবং নিজেদের অংশ এটা রাখছো যে, ‘তোমরা অস্বীকার করছো?’
ইরফানুল কুরআন
৮২. আর তোমরা এ কথাকেই তোমাদের উপজীব্য (এবং ভাগ্যলিপি) করে নিয়েছো যে, তোমরা (তা) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতেই থাকবে!
৮৩
Play Share Copy
فَلَوۡ لَاۤ اِذَا بَلَغَتِ الۡحُلۡقُوۡمَ ﴿ۙ۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. অতঃপর কেন হবে না, যখন প্রাণ কণ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছবে,
ইরফানুল কুরআন
৮৩. অতঃপর কেন (রূহকে ফিরিয়ে নাও) না যখন তা (উড়ে যাওয়ার জন্যে) কন্ঠাগত হয়?
৮৪
Play Share Copy
وَ اَنۡتُمۡ حِیۡنَئِذٍ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿ۙ۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. আর তোমরা তখন তাকিয়ে থাকছো;
ইরফানুল কুরআন
৮৪. অথচ তোমরা তখন তাকিয়েই থাকো!
৮৫
Play Share Copy
وَ نَحۡنُ اَقۡرَبُ اِلَیۡہِ مِنۡکُمۡ وَ لٰکِنۡ لَّا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এবং আমি তার অধিক নিকটে থাকি তোমাদের চেয়েও, কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না,
ইরফানুল কুরআন
৮৫. আর আমরা তোমাদের অপেক্ষা এর (অর্থাৎ মৃত্যুবরণকারীর) অধিক নিকটবর্তী, কিন্তু তোমরা (আমাদেরকে) দেখতে পাও না।
৮৬
Play Share Copy
فَلَوۡ لَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ غَیۡرَ مَدِیۡنِیۡنَ ﴿ۙ۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. তবে, কেন এমন হলো না, যদি তোমাদের প্রতিদান পাবার না থাকে
ইরফানুল কুরআন
৮৬. অতঃপর কেন (এরকম করতে) পারো না, যদি তোমরা কারো নিয়ন্ত্রণাধীন না হও,
৮৭
Play Share Copy
تَرۡجِعُوۡنَہَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. যে, সেটা ফেরত আনতে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও!
ইরফানুল কুরআন
৮৭. তবে, একে (এ রূহকে) ফিরিয়ে নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?
৮৮
Play Share Copy
فَاَمَّاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡمُقَرَّبِیۡنَ ﴿ۙ۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. অতঃপর ওই মৃত্যুবরণকারী যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়,
ইরফানুল কুরআন
৮৮. আর যদি এ (মৃত্যুবরণকারী) ব্যক্তি নৈকট্যপ্রাপ্তদের একজন হয়,
৮৯
Play Share Copy
فَرَوۡحٌ وَّ رَیۡحَانٌ ۬ۙ وَّ جَنَّتُ نَعِیۡمٍ ﴿۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. তবে রয়েছে আরাম এবং ফুল ও শান্তির বাগান।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. তবে (তার জন্যে) রয়েছে আনন্দ ও খুশী, উত্তম রিযিক এবং নিয়ামতে ভরা উদ্যান।
৯০
Play Share Copy
وَ اَمَّاۤ اِنۡ کَانَ مِنۡ اَصۡحٰبِ الۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. এবং যদি ডান পার্শ্বস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়,
ইরফানুল কুরআন
৯০. আর যদি সে ডানপার্শ্বস্থদের একজন হয়,
৯১
Play Share Copy
فَسَلٰمٌ لَّکَ مِنۡ اَصۡحٰبِ الۡیَمِیۡنِ ﴿ؕ۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. তবে হে মাহবূব! আপনার উপর ‘সালাম’ হোক, ডান পার্শ্বস্থদের নিকট থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৯১. তবে (তাকে বলা হবে:) ‘আপনার জন্যে ডানপার্শ্বস্থদের পক্ষ থেকে সালাম (অথবা হে নবী! আপনার উপর ডানপার্শ্বস্থদের পক্ষ থেকে সালাম)’।
৯২
Play Share Copy
وَ اَمَّاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡمُکَذِّبِیۡنَ الضَّآلِّیۡنَ ﴿ۙ۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. এবং যদি অস্বীকারকারী পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়;
ইরফানুল কুরআন
৯২. আর যদি সে (মৃত্যুবরণকারী) মিথ্যাপ্রতিপন্নকারী পথভ্রষ্টদের একজন হয়,
৯৩
Play Share Copy
فَنُزُلٌ مِّنۡ حَمِیۡمٍ ﴿ۙ۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. তবে তার আতিথ্য-গরম পানি
ইরফানুল কুরআন
৯৩. তবে (তার) আপ্যায়ন হবে অতি উত্তপ্ত পানি দ্বারা।
৯৪
Play Share Copy
وَّ تَصۡلِیَۃُ جَحِیۡمٍ ﴿۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. এবং জ্বলন্ত আগুনে ধ্বসিয়ে দেওয়া।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. আর (তার পরিণতি) দোযখে প্রবেশ।
৯৫
Play Share Copy
اِنَّ ہٰذَا لَہُوَ حَقُّ الۡیَقِیۡنِ ﴿ۚ۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের নিশ্চিত কথা।
ইরফানুল কুরআন
৯৫. নিশ্চয়ই এটিই অকাট্যভাবে পরম সত্য।
৯৬
Play Share Copy
فَسَبِّحۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الۡعَظِیۡمِ ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. সুতরাং হে মাহবূব! আপনি আপন মহান রবের নামের পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. সুতরাং আপনি আপনার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন।