بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اَتٰۤی اَمۡرُ اللّٰہِ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡہُ ؕ سُبۡحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. এখন আসছে আল্লাহ্র নির্দেশ, সুতরাং সেটা ত্বরান্বিত করতে চাইবে না; পবিত্রতা তাঁরই এবং তিনি ঊর্ধ্বে ওই সব শরীক থেকে।
ইরফানুল কুরআন
১. আল্লাহ্র অঙ্গীকার নিকটবর্তী, সুতরাং তোমরা তা কামনায় তাড়াহুড়ো করো না। তিনি পূতঃপবিত্র, আর তিনি পবিত্র ও সমুন্নত তা থেকে কাফেরেরা (তাঁর) যে অংশীদার সাব্যস্ত করে।
یُنَزِّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃَ بِالرُّوۡحِ مِنۡ اَمۡرِہٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖۤ اَنۡ اَنۡذِرُوۡۤا اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا فَاتَّقُوۡنِ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. ফিরিশ্তাদেরকে ঈমানের প্রাণ অর্থাৎ ওহী নিয়ে স্বীয় যেসব বান্দার উপর চান অবতরণ করেন। সতর্কবাণী শুনাও যে, আমি ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী নেই। সুতরাং আমাকে ভয় করো।
ইরফানুল কুরআন
২. তিনিই ফেশেতাদেরকে (দ্বীনি শিক্ষার রূহ এবং প্রাণ) ওহী সহকারে নিজের নির্দেশে অবতীর্ণ করেন স্বীয় বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান তার প্রতি, ‘(মানুষকে) সতর্ক করো যে, আমি ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই, সুতরাং আমার ভীতি ধারণ করো’।
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ؕ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. তিনি আসমান ও যমীন যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন; তিনি তাদের শির্কের বহু ঊর্ধ্বে।
ইরফানুল কুরআন
৩. তিনিই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। তিনি এমন কিছু থেকে সমুন্নত, যা কিছু কাফেরেরা (তাঁর সাথে) অংশীদার সাব্যস্ত করে।
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ فَاِذَا ہُوَ خَصِیۡمٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. (তিনি) মানুষকে এক ফোটা শুক্র থেকে সৃষ্টি করেছেন; সুতরাং তখনই সে প্রকাশ্য ঝগড়াটে।
ইরফানুল কুরআন
৪. তিনি মানুষকে জন্মদায়ক শুক্রানু থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপরও তারা (আল্লাহ্র সমীপে আনুগত্যশীল হওয়ার পরিবর্তে) প্রকাশ্য বিবাদকারী হয়ে গিয়েছে।
وَ الۡاَنۡعَامَ خَلَقَہَا ۚ لَکُمۡ فِیۡہَا دِفۡءٌ وَّ مَنَافِعُ وَ مِنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿۪۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং তিনি চতুষ্পদ প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, সেগুলোর মধ্যে তোমাদের জন্য গরম পোশাক ও বহু উপকার রয়েছে এবং সেগুলো থেকে তোমরা আহার করছো।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর তিনিই তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন। এগুলোতে তোমাদের জন্যে রয়েছে উষ্ণ পোষাকের উৎস এবং (অপরাপর) উপকারিতা। আর এ থেকে কিছু তোমরা ভক্ষণ(ও) করো।
وَ لَکُمۡ فِیۡہَا جَمَالٌ حِیۡنَ تُرِیۡحُوۡنَ وَ حِیۡنَ تَسۡرَحُوۡنَ ﴿۪۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং ওই গুলোর মধ্যে তোমাদের শোভা রয়েছে যখন ওই গুলোকে সন্ধ্যায় ফিরিয়ে আনো এবং যখন চরার জন্য ছেড়ে দাও।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর এতে তোমাদের জন্যে সৌন্দর্য (এবং অন্তরের আকর্ষণও) রয়েছে, যখন তোমরা সন্ধায় চারণক্ষেত্র থেকে (ফিরে) আসো এবং যখন তোমরা সকালে (চরানোর জন্যে) গমন করো।
وَ تَحۡمِلُ اَثۡقَالَکُمۡ اِلٰی بَلَدٍ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا بٰلِغِیۡہِ اِلَّا بِشِقِّ الۡاَنۡفُسِ ؕ اِنَّ رَبَّکُمۡ لَرَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং ওই গুলো তোমাদের ভার বহন করে নিয়ে যায় এমন সব শহরের দিকে, যেখানে তোমরা পৌছতে পারো না, কিন্তু আধমরা হয়ে। নিশ্চয় তোমাদের রব অত্যন্ত দয়ার্দ্র, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর এসব (প্রাণী দূরবর্তী অঞ্চলে এবং) শহরে তোমাদের বোঝা(ও) বহন করে নিয়ে যায়, যেখানে তোমরা প্রাণপণ কষ্ট ব্যতীত পৌঁছতে পারতে না। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক অতিশয় মমতাশীল ও অসীম দয়ালু।
وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡکَبُوۡہَا وَ زِیۡنَۃً ؕ وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং ঘোড়া, খচ্ছর ও গাধা; যাতে তোমরা সেগুলোর উপর আরোহণ করো এবং শোভার জন্য। আর তিনি তা সৃষ্টি করবেন যে সম্পর্কে তোমরা অবগত নও।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর (তিনিই) ঘোড়া, খচ্চর এবং গাধা (সৃষ্টি করেছেন) যাতে তোমরা এগুলোতে আরোহণ করতে পারো এবং এগুলো (তোমাদের জন্যে) সৌন্দর্যেরও কারণ। আর তিনি এগুলো (ছাড়াও সুসজ্জিত বাহনও) সৃষ্টি করবেন, যেগুলো সম্পর্কে (আজ) তোমরা জানো না।
وَ عَلَی اللّٰہِ قَصۡدُ السَّبِیۡلِ وَ مِنۡہَا جَآئِرٌ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ لَہَدٰىکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আর মধ্যবর্তী পথ ঠিক আল্লাহ্ পর্যন্ত এবং কোন কোন পথ রয়েছে বক্র। আর তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে সরল পথে নিয়ে আসতেন।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর মধ্যমপথ আল্লাহ্র (দরোজার) নিকটে গিয়ে পৌঁছে; এবং এর মধ্যে কিছু বক্র পথও (নির্গত হয়ে) থাকে। আর যদি তিনি চাইতেন, তবে তোমাদের সকলকে হেদায়াত দান করতেন।
ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً لَّکُمۡ مِّنۡہُ شَرَابٌ وَّ مِنۡہُ شَجَرٌ فِیۡہِ تُسِیۡمُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তিনিই হন, যিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তাতে রয়েছে তোমাদের পানীয় এবং তা থেকেই রয়েছে বৃক্ষ, যা থেকে তোমরা চরিয়ে থাকো।
ইরফানুল কুরআন
১০. তিনিই তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেছেন, এ থেকে (কিছু) পান করার জন্যে আর এরই থেকে (কিছু) গাছপালা জন্মানোর জন্যে (যেগুলোর মাঝে তৃণলতা, সবজি এবং চারণভুমি উদ্গত হয়), যাতে তোমরা (তোমাদের গবাদিপশু) চরাও।
یُنۡۢبِتُ لَکُمۡ بِہِ الزَّرۡعَ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ النَّخِیۡلَ وَ الۡاَعۡنَابَ وَ مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. ওই পানি দ্বারা তোমাদের জন্য শস্য জন্মান এবং যায়তূন, খেজুর ও আংগুর এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল। নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১১. এ পানি থেকেই তিনি তোমাদের জন্যে শস্য, যয়তূন, খেজুর, আঙ্গুর এবং সকল প্রকারের ফলমূল উদ্গত করেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ سَخَّرَ لَکُمُ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ ۙ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ وَ النُّجُوۡمُ مُسَخَّرٰتٌۢ بِاَمۡرِہٖ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং তিনি তোমাদের জন্য অনুগত করেছেন রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র এবং নক্ষররাজিকে, তাঁরই নির্দেশাধীন রয়েছে। নিশ্চয় এ আয়াতের মধ্যে নিদর্শনাদি রয়েছে বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য;
ইরফানুল কুরআন
১২. আর তিনিই রাত ও দিনকে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। আর সকল তারকাও তাঁরই পরিচালনার (কারণে নিয়মের) অধীন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ مَا ذَرَاَ لَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ مُخۡتَلِفًا اَلۡوَانُہٗ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّذَّکَّرُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং তিনি যা তোমাদের জন্য যমীনে সৃষ্টি করেছেন রং-বেরং এর। নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে স্মরণকারীদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর (প্রাণী, তৃণলতা, খনিজসম্পদ ও অন্যান্য অবশিষ্ট) যা কিছুই তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন, যার রং (অর্থাৎ জাত, প্রজাতি, শ্রেণী, বৈশিষ্ট্য এবং উপকারিতা) ভিন্ন ভিন্ন (সবকিছু তোমাদের সেবার অধীনস্ত)। নিশ্চয়ই এতে উপদেশগ্রহণকারী লোকদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন ।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ سَخَّرَ الۡبَحۡرَ لِتَاۡکُلُوۡا مِنۡہُ لَحۡمًا طَرِیًّا وَّ تَسۡتَخۡرِجُوۡا مِنۡہُ حِلۡیَۃً تَلۡبَسُوۡنَہَا ۚ وَ تَرَی الۡفُلۡکَ مَوَاخِرَ فِیۡہِ وَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِہٖ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং তিনিই হন, যিনি তোমাদের জন্য সমুদ্রকে অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাংস আহার করো, এবং তা থেকে গয়না আহরণ করো, যা তোমরা পরিধান করো; এবং তুমি তাতে দেখতে পাও নৌযানগুলোকে, যেগুলো পানির বুক চিরে চলাচল করে, এবং এজন্য যে, তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করবে আর যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর তিনিই (বায়ুমন্ডল ও ভুপৃষ্ঠ ব্যতীত) সমুদ্রকেও (অর্থাৎ নদীনালা ও মহাসাগরকে) বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা তা থেকে তাজা (ও পছন্দনীয়) মাংস খেতে পারো এবং তোমরা তা থেকে মুক্তা (ও অন্যান্য কিছু) বের করে নিতে পারো, যেগুলোকে তোমরা অলঙ্কার হিসাবে পরিধান করো। আর (হে মানুষ!) তোমরা দেখতে পাও নৌকা (এবং জাহাজ নদীনালা ও মহাসাগরের) পানি ভেদ করে তাতে চলাফেরা করে। আর (এ সকল কিছু এ জন্যে করা হয়েছে) যাতে তোমরা (দূর-দূরান্ত পর্যন্ত) তাঁর অনুগ্রহ (অর্থাৎ রিযিক) অন্বেষণ করো; আর এ জন্যে যে তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায়কারী হও।
وَ اَلۡقٰی فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِکُمۡ وَ اَنۡہٰرًا وَّ سُبُلًا لَّعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং তিনি পৃথিবীতে নোঙ্গর স্থাপন করেছেন, যাতে কখনো তোমাদের নিয়ে কম্পিত না হয় এবং নদীসমূহ ও পথ, যাতে তোমরা রাস্তা পাও;
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর তিনিই পৃথিবীতে (বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে) সুদৃঢ় পর্বত স্থাপন করেছেন, যাতে এমন যেন না হয় যে, কখনো এটি (স্বীয় কক্ষপথে পরিভ্রমণ করতে করতে) তোমাদেরকে নিয়ে কম্পন শুরু করে দেয়; আর নদীনালা এবং (প্রাকৃতিক) পথও তৈরি করেছেন যাতে তোমরা (অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে) পথ পেতে পারো।
وَ عَلٰمٰتٍ ؕ وَ بِالنَّجۡمِ ہُمۡ یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং চিহ্নসমূহও। আর নক্ষত্রসমূহের সাহায্যেও তারা পথ পায়।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর (তিনি দিনকে পথ অন্বেষণের জন্যে) চিহ্ন বানিয়েছেন, এবং তারা (রাতে) তারকার মাধ্যমে(ও) পথ খুঁজে পায়।
اَفَمَنۡ یَّخۡلُقُ کَمَنۡ لَّا یَخۡلُقُ ؕ اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. তবে কি যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাঁরই মতো হয়ে যাবেন, যে সৃষ্টি করে না? তবে কি তোমরা উপদেশ মানবে না?
ইরফানুল কুরআন
১৭. তিনি স্রষ্টা যিনি (এসব) সৃষ্টি করেছেন, তাঁর মতো কি সে হতে পারে যে (কিছুই) সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করো না?
وَ اِنۡ تَعُدُّوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ لَا تُحۡصُوۡہَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং যদি আল্লাহ্র অনুগ্রহসমূহ গণনা করো, তবে সেগুলোর সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না; নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর যদি তোমরা আল্লাহ্র নিয়ামত গণনা করতে চাও তবে সেগুলো পুরো গণনা করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تُسِرُّوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং আল্লাহ্ জানেন যা তোমরা গোপন করো এবং প্রকাশ করো।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর আল্লাহ্ জানেন, যা কিছু তোমরা গোপন করো এবং যা কিছু তোমরা প্রকাশ করো।
وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ لَا یَخۡلُقُوۡنَ شَیۡئًا وَّ ہُمۡ یُخۡلَقُوۡنَ ﴿ؕ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তারা যেগুলোর পূজা করে সেগুলো কিছুই সৃষ্টি করে না এবং সেগুলো নিজেরাই সৃষ্ট।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর এ (মুশরিক) লোকগুলো আল্লাহ্ ব্যতীত যে সবের পূজা করে সেসব (মূর্তি) কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট।
اَمۡوَاتٌ غَیۡرُ اَحۡیَآءٍ ۚ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ۙ اَیَّانَ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. নিষ্প্রাণ, জীবিত নয় এবং তাদের খবর নেই লোকদেরকে কবে উঠানো হবে।
ইরফানুল কুরআন
২১. (তারা) মৃত, জীবিত নয়। আর (তাদের এতটুকুও) চেতনা নেই যে (মানুষকে) কখন উত্থিত করা হবে।
اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَالَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ مُّنۡکِرَۃٌ وَّ ہُمۡ مُّسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তোমাদের মা’বূদ একই মা’বূদ; সুতরাং ওই সব লোক, যারা আখিরাতের উপর ঈমান আনে না, তাদের অন্তর অস্বীকারকারী এবং তারা হচ্ছে অহঙ্কারী।
ইরফানুল কুরআন
২২. তোমাদের ইলাহ্ একক ইলাহ্। সুতরাং যারা আখেরাতে বিশ্বাস স্থাপন করে না তাদের অন্তর অস্বীকারকারী, তারা অবাধ্য ও অহঙ্কারী।
لَاجَرَمَ اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡتَکۡبِرِیۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. বাস্তবক্ষেত্রে আল্লাহ্ জানেন যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে; নিঃসন্দেহে তিনি অহঙ্কারীদের পছন্দ করেন না।
ইরফানুল কুরআন
২৩. এ বিষয়টি সত্য ও সুদৃঢ় যে, আল্লাহ্ অবগত আছেন যা কিছু তারা লুকিয়ে রাখে এবং যা কিছু তারা প্রকাশ করে। নিশ্চয়ই তিনি অবাধ্য ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ مَّا ذَاۤ اَنۡزَلَ رَبُّکُمۡ ۙ قَالُوۡۤا اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং যখন তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমাদের রব কী অবতাঁরণ করেছেন? তারা বলবে, ‘পূর্ববর্তীদের উপকথা’।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর যখন তাদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ (তখন) তারা বলে, ‘পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মিথ্যা কাহিনী (অবতীর্ণ করেছেন)’।
لِیَحۡمِلُوۡۤا اَوۡزَارَہُمۡ کَامِلَۃً یَّوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ۙ وَ مِنۡ اَوۡزَارِ الَّذِیۡنَ یُضِلُّوۡنَہُمۡ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَزِرُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. যেন রোজ-ক্বিয়ামতে নিজেদের বোঝা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে এবং কিছু বোঝা তাদেরও, যাদেরকে নিজ অজ্ঞতা হেতু পথভ্রষ্ট করে। শুনে নাও! ‘তারা কতোই নিকৃষ্ট বোঝা বহন করে!’
ইরফানুল কুরআন
২৫. (এসব কিছু এ জন্যে বলে যে,) যাতে কিয়ামত দিবসে তারা নিজেদের (খারাপ কাজের) সম্পূর্ণ বোঝা বহন করে এবং সেসব লোকদেরও কিছু বোঝা (বহন করে) যাদেরকে (নিজেদের) অজ্ঞতার মাধ্যমে তারা গোমরাহ্ করছে। জেনে রেখো, এ খুবই মন্দ বোঝা যা তারা বহন করছে।
قَدۡ مَکَرَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَاَتَی اللّٰہُ بُنۡیَانَہُمۡ مِّنَ الۡقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَیۡہِمُ السَّقۡفُ مِنۡ فَوۡقِہِمۡ وَ اَتٰىہُمُ الۡعَذَابُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. নিশ্চয় তাদের পূর্ববর্তীরা প্রতাঁরণা করেছিলো; তখন আল্লাহ্ তাদের দেয়ালগুলোকে ভিত্তি থেকে (অপসারণ করে) নিলেন, তখন উপর থেকে তাদের উপর ছাদ ধ্বসে পড়লো এবং শাস্তি তাদের উপর সেখান থেকেই এলো যেখানকার খবর তাদের ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
২৬. নিশ্চয়ই যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা(ও) চক্রান্ত করেছিল; তখন আল্লাহ্ তাদেরকে (তাদের চক্রান্ত ও প্রতারণাসহ) প্রাসাদের মূলভিত্তি থেকে উপড়ে দিয়েছিলেন এবং তাদের উপর ছাদ ধ্বসে পড়েছিল। আর তাদের উপর এমন সব দিক থেকে শাস্তি এসে পৌঁছলো যা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না।
ثُمَّ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یُخۡزِیۡہِمۡ وَ یَقُوۡلُ اَیۡنَ شُرَکَآءِیَ الَّذِیۡنَ کُنۡتُمۡ تُشَآقُّوۡنَ فِیۡہِمۡ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ اِنَّ الۡخِزۡیَ الۡیَوۡمَ وَ السُّوۡٓءَ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿ۙ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর রোজ-ক্বিয়ামত তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং বলবেন, ‘কোথায় আমার ওই সব শরীক যাদের সম্বন্ধে তোমরা বাক-বিতণ্ডা করছিলে’? জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্নরা বলবে, ‘আজ সমস্ত লাঞ্ছনা ও অমঙ্গল কাফিরদের উপর’;
ইরফানুল কুরআন
২৭. অতঃপর তিনি তাদেরকে কিয়ামত দিবসে অপদস্ত করবেন আর বলবেন, ‘কোথায় আমার সেসব অংশীদার যাদের ব্যাপারে তোমরা (মুমিনদের সাথে) ঝগড়া করতে?’ যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা বলবে, ‘নিশ্চয়ই আজ কাফেরদের জন্যে (সকল প্রকারের) অপমান এবং ধ্বংস’,
الَّذِیۡنَ تَتَوَفّٰىہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ظَالِمِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ ۪ فَاَلۡقَوُا السَّلَمَ مَا کُنَّا نَعۡمَلُ مِنۡ سُوۡٓءٍ ؕ بَلٰۤی اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. ওই সব লোক, যাদের প্রাণ ফিরিশ্তাগণ বের করে নেয় এমতাবস্থায় যে, তারা নিজেদের অমঙ্গল করছিলো। এখন তারা আত্নসমর্পণ করবে (এ বলে) যে, ‘আমরা তো কোন মন্দ কর্ম করতাম না’। হা, কেন নয়, নিশ্চয় আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত সে সম্পর্কে, যা তোমাদের কৃতকর্ম ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
২৮. যাদের রূহ ফেরেশতাগণ এমন অবস্থায় হরণ করবে যখন তারা নিজেদের প্রাণের উপর (অবিরাম) যুলুমরত। সুতরাং তারা (কিয়ামত দিবসে) নতি স্বীকার ও আনুগত্য প্রকাশ করবে। (আর বলবে,) ‘আমরা (দুনিয়াতে) কোনো মন্দ কাজ করতাম না’। কেন নয়! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ খুবই অবগত, যা কিছু তোমরা করতে।
فَادۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ فَلَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এখন জাহান্নামের দ্বারগুলোতে প্রবেশ করো, সেখানে সর্বদা থাকো। সুতরাং কতোই নিকৃষ্ট ঠিকানা অহঙ্কারীদের!
ইরফানুল কুরআন
২৯. অতঃপর তোমরা জাহান্নামের ফটকে প্রবেশ করো। তোমরা তাতে চিরকাল অবস্থানকারী। সুতরাং অহঙ্কারকারীদের কতোই না মন্দ ঠিকানা!
وَ قِیۡلَ لِلَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا مَاذَاۤ اَنۡزَلَ رَبُّکُمۡ ؕ قَالُوۡا خَیۡرًا ؕ لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا فِیۡ ہٰذِہِ الدُّنۡیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ لَدَارُ الۡاٰخِرَۃِ خَیۡرٌ ؕ وَ لَنِعۡمَ دَارُ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং খোদাভীরুদেরকে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের রব কি অবতীর্ন করেছেন?’ বললো, ‘মহাকল্যাণ’। যারা এ পৃথিবীতে সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে এবং নিশ্চয় পরকালীন আবাস সর্বাধিক উত্তম। আর নিশ্চয় কতই উৎকৃষ্ট আবাস পরহেয্গারদের!
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর পরহেযগারগণকে বলা হবে, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ তারা বলবে, ‘(দুনিয়া ও আখিরাতের) কল্যাণ (অবতীর্ণ করেছেন)’। যারা নেক কাজ করছে তাদের জন্যে রয়েছে এ দুনিয়াতে(ও) কল্যাণ; আর পরকালের গৃহ তো অবশ্যই উত্তম। আর পরহেযগারদের গৃহ কতোই না উৎকৃষ্ট!
جَنّٰتُ عَدۡنٍ یَّدۡخُلُوۡنَہَا تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ لَہُمۡ فِیۡہَا مَا یَشَآءُوۡنَ ؕ کَذٰلِکَ یَجۡزِی اللّٰہُ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. বসবাস করার বাগান, যেগুলোতে তারা প্রবেশ করবে; সেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান; সেখানে তারা পাবে যা চাইবে। আল্লাহ্ এমনই পুরস্কার দেন পরহেয্গারদেরকে;
ইরফানুল কুরআন
৩১. চিরসবুজ বাগান যাতে তারা প্রবেশ করবে, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা যা কিছু চাইবে তাদের জন্যে তা (প্রাপ্য) হবে। এভাবে আল্লাহ্ পরহেযগারদের প্রতিদান প্রদান করেন,
الَّذِیۡنَ تَتَوَفّٰىہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ طَیِّبِیۡنَ ۙ یَقُوۡلُوۡنَ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمُ ۙ ادۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. ওই সব লোক, যাদের প্রাণ বের করে ফিরিশ্তাগণ পবিত্র থাকা অবস্থায়, একথা বলতে বলতে যে ‘শান্তি বর্ষিত হোক তোমাদের উপর, জান্নাতে প্রবেশ করো আপন কৃতকর্মের প্রতিদান হিসেবে!’
ইরফানুল কুরআন
৩২. যাদের রূহ ফেরেশতাগণ এমন অবস্থায় হরণ করবে যখন তারা (নেকী ও আনুগত্যের কারণে) পূতঃপবিত্র, আনন্দিত ও প্রফুল্লিত। (তাদেরকে ফেরেশতারা রূহ হরণ করার সময়েই বলে দেবে,) ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো, সে (নেক আমলের) কারণে যা তোমরা করতে।’
ہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ تَاۡتِیَہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ اَوۡ یَاۡتِیَ اَمۡرُ رَبِّکَ ؕ کَذٰلِکَ فَعَلَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ وَ مَا ظَلَمَہُمُ اللّٰہُ وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. তারা কিসের প্রতীক্ষায় রয়েছে? কিন্তু এরই যে, ফিরিশ্তাগণ তাদের নিকট আসবে, অথবা আপনার রবের শাস্তি আসবে। তাদের পূর্ববর্তীরা এরূপই করেছে। এবং আল্লাহ্ তাদের উপর কোন যুল্ম করেন নি। হাঁ, তারা নিজেরাই নিজেদের আত্নাগুলোর উপর যুলুম করতো।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. তারা আর কোন্ বস্তুর জন্যে অপেক্ষা করছে, এ ছাড়া যে, তাদের নিকট ফেরেশতারা আসে অথবা আপনার প্রতিপালকের (শাস্তির) নির্দেশ এসে পৌঁছে? যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা(ও) এমন কিছুই করতো। আর আল্লাহ্ তাদের উপর যুলুম করেননি; বরং তারা নিজেরাই নিজেদের আত্মার উপর যুলুম করতো।
فَاَصَابَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا عَمِلُوۡا وَ حَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. সুতরাং তাদের মন্দ উপার্জনগুলো তাদের উপর আপতিত হলো এবং তাদেরকে পরিবেষ্টিন করলো তা, যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতো।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. সুতরাং যে আমল তারা করেছিল, তারই শাস্তি তাদের উপর এসেছিল। আর এটাই (এ শাস্তিই) তাদেরকে বেষ্টন করেছিল যা নিয়ে তারা উপহাস করতো।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ مَا عَبَدۡنَا مِنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ شَیۡءٍ نَّحۡنُ وَ لَاۤ اٰبَآؤُنَا وَ لَا حَرَّمۡنَا مِنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ کَذٰلِکَ فَعَلَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ۚ فَہَلۡ عَلَی الرُّسُلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. এবং মুশরিকরা বললো, ‘আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে পূজা করতাম না; না আমরা, না আমাদের পিতৃপুরুষ এবং না তাঁর থেকে পৃথক হয়ে (আমরা) কোন বস্তুকে হারাম স্থির করতাম’। অনুরূপই তাদের পূর্ববর্তীরা করেছে; সুতরাং রসূলগণের কর্তব্য কি? কিন্তু সুস্পষ্টরূপে পৌছিয়ে দেওয়া।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আর মুশরিকেরা বলে, ‘যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ব্যতীত কোনো কিছুর উপাসনা করতাম না। না আমরা, আর না আমাদের পিতৃপুরুষেরা; আর না আমরা সে সত্তা (-এঁর নির্দেশ) ব্যতীত কোনো কিছু হারাম করতাম।’ যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা(ও) এমন কিছুই করেছিল। অতঃপর (আল্লাহ্র বার্তা ও বিধানাবলী) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়াও রাসূলগণের কি আর কিছু দায়িত্ব আছে?
وَ لَقَدۡ بَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ وَ اجۡتَنِبُوا الطَّاغُوۡتَ ۚ فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ ہَدَی اللّٰہُ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَیۡہِ الضَّلٰلَۃُ ؕ فَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُکَذِّبِیۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন রসূল প্রেরণ করেছি (একথা বলতে) ‘আল্লাহ্রই ইবাদত করো এবং শয়তান থেকে বাঁচো’। অতঃপর তাদের মধ্যে কাউকে আল্লাহ্ পথ প্রদর্শন করেছেন এবং কারো উপর গোমরাহী সঠিকই অবতীর্ণ হয়েছে সুতরাং পৃথিবীতে ঘুরেফিরে দেখো কেমন পরিণতি হয়েছে অস্বীকারকারীদের!
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর আমরা তো প্রত্যেক উম্মতের মাঝেই একজন রাসূল পাঠিয়েছি, ‘(হে মানুষ!) তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত করো আর তাগূত (অর্থাৎ শয়তান এবং মূর্তির আনুগত্য ও উপাসনা) থেকে বিরত থাকো।’ সুতরাং তাদের মধ্যে কতিপয় সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ্ হেদায়াত দান করেছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যকিছু লোক যাদের জন্যে গোমরাহী (যথাযথভাবে) সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো এবং দেখো যে, মিথ্যাবাদীদের পরিণতি কেমন হয়েছে!
اِنۡ تَحۡرِصۡ عَلٰی ہُدٰىہُمۡ فَاِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِیۡ مَنۡ یُّضِلُّ وَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. যদি আপনি তাদেরকে হিদায়াত করার আগ্রহ করেন, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ সৎপথ প্রদান করেন না যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. যদি আপনি তাদের হেদায়াতের উপর আগমনের জন্যে প্রচন্ড আগ্রহী হন, তবে (আপনি আপনার পবিত্র স্বভাবের উপর এ পরিমাণ বোঝা নিবেন না) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যাদেরকে গোমরাহ্ করেন, তাদের হেদায়াত দান করেন না এবং তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারীও নেই।
وَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰہِ جَہۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ ۙ لَا یَبۡعَثُ اللّٰہُ مَنۡ یَّمُوۡتُ ؕ بَلٰی وَعۡدًا عَلَیۡہِ حَقًّا وَّ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং তারা আল্লাহ্র নামে শপথ করেছে আপন শপথের মধ্যে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা সহকারে এ মর্মে যে, আল্লাহ্ মৃতকে উঠাবেন না’। হাঁ, কেন নয়, সত্য প্রতিশ্রুতি তাঁরই দায়িত্বে; কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না;
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর তারা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহ্র নামে শপথ করে যে, যে মৃত্যুবরণ করে আল্লাহ্ তাকে (দ্বিতীয়বার) উঠাবেন না। কেন নয়! তাঁর পবিত্রতম দায়িত্বে সত্যিকারের অঙ্গীকার। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।
لِیُبَیِّنَ لَہُمُ الَّذِیۡ یَخۡتَلِفُوۡنَ فِیۡہِ وَ لِیَعۡلَمَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّہُمۡ کَانُوۡا کٰذِبِیۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এজন্য যে, তাদেরকে সুস্পষ্টরূপে বলে দেবেন যে বিষয়ে তারা বিতণ্ডা করতো; এবং এজন্য যে, কাফিরগণ জেনে নেবে যে, তারা মিথ্যুক ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. (মৃতদের উঠানো হবে এ জন্যে যে,) যাতে তিনি তাদের জন্যে সে (সত্য) বিষয় সুস্পষ্ট করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো। আর এ জন্যে যে, যাতে কাফেরেরা জানতে পারে যে, প্রকৃতপক্ষে তারাই মিথ্যাবাদী।
اِنَّمَا قَوۡلُنَا لِشَیۡءٍ اِذَاۤ اَرَدۡنٰہُ اَنۡ نَّقُوۡلَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. যা কিছু আমি ইচ্ছা করি সেটার উদ্দেশে আমার নির্দেশ এটাই হয় যে, আমি বলি, ‘হয়ে যাও!’ (ফলে), তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৪০. আমাদের নির্দেশ তো কোনো কিছুর জন্যে কেবল এমনই হয় যে, যখন আমরা একে (অস্তিত্বে আনয়নের) ইচ্ছা করি, তখন আমরা একে বলি, ‘হও’ তখন তা হয়ে যায়।
وَ الَّذِیۡنَ ہَاجَرُوۡا فِی اللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُوۡا لَـنُبَوِّئَنَّہُمۡ فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً ؕ وَ لَاَجۡرُ الۡاٰخِرَۃِ اَکۡبَرُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং যারা অত্যাচারিত হয়ে আল্লাহ্র পথে আপন ঘর-বাড়ী ছেড়ে দেয়, অবশ্যই আমি তাদেরকে দুনিয়ার মধ্যে উত্তম আবাস দেবো; এবং নিশ্চয় আখিরাতের সাওয়াব খুব বড়; কোনো প্রকারে লোকেরা জান্তো!
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর যারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করেছে (বিভিন্ন ধরণের) অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতার স্বীকার হবার পর, আমরা অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতে(ই) উত্তম ঠিকানা দান করবো। আর পরকালের প্রতিদান তো অবশ্যই অনেক বড়। হায়! যদি তারা (এ গোপন রহস্য) জানতো --
الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا وَ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. ওই সব লোক, যারা ধৈর্যধারণ করেছে এবং আপন রবেরই উপর নির্ভর করে।
ইরফানুল কুরআন
৪২. যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং স্বীয় প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখে!
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَہۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. এবং আমি আপনার পূর্বে কেবল পুরুষকেই প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহী করতাম সুতরাং হে লোকেরা! জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে;
ইরফানুল কুরআন
৪৩. আর আমরা আপনার পূর্বেও পুরুষদেরকেই রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমরা ওহী প্রেরণ করেছি। সুতরাং স্মরণকারীগণ (অর্থাৎ জিকিরকারীগণ)-এঁর নিকট জিজ্ঞেস করো, যদি তোমরা নিজেরা (কিছু) না জানো।
بِالۡبَیِّنٰتِ وَ الزُّبُرِ ؕ وَ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ الذِّکۡرَ لِتُبَیِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ اِلَیۡہِمۡ وَ لَعَلَّہُمۡ یَتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. স্পষ্ট নিদর্শন ও কিতাবসমূহ সহকারে। এবং হে মাহবূব! আমি আপনার প্রতি এ স্মৃতি অবতীর্ণ করেছি যেন আপনি লোকদের নিকট বর্ণনা করেন, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. (তাদেরকেও) সুস্পষ্ট দলিল ও কিতাব সহকারে ( (প্রেরণ করা হয়েছিল)। আর (হে সম্মানিত নবী!) আমরা আপনার নিকট মহাস্মারক (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি যাতে আপনি মানুষের নিকট সেসব (বার্তা ও বিধান) সুস্পষ্ট করে দেন, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
اَفَاَمِنَ الَّذِیۡنَ مَکَرُوا السَّیِّاٰتِ اَنۡ یَّخۡسِفَ اللّٰہُ بِہِمُ الۡاَرۡضَ اَوۡ یَاۡتِیَہُمُ الۡعَذَابُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. তবে কি যারা মন্দ প্রতাঁরণা করেছে তারা এ থেকে ভয় করছে না যে, আল্লাহ্ তাদেরকে ভূ-গর্ভে ধ্বসিয়ে দেবেন, কিংবা তাদের প্রতি সেখান থেকেই শাস্তি আসবে, যে স্থান থেকে (শাস্তি আসার) তাদের খবরই থাকে না?
ইরফানুল কুরআন
৪৫. সেসব নিকৃষ্ট চক্রান্ত ও প্রতারণাকারীরা কি এ বিষয় থেকে নিরাপদ হয়ে গিয়েছে যে, আল্লাহ্ তাদেরকে ভুপৃষ্ঠে ধ্বসিয়ে দেবেন অথবা এমন (কোনো) স্থান থেকে তাদের উপর শাস্তি পাঠিয়ে দেবেন, যে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাও নেই?
اَوۡ یَاۡخُذَہُمۡ فِیۡ تَقَلُّبِہِمۡ فَمَا ہُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ ﴿ۙ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. অথবা তাদেরকে চলাফেরা করা অবস্থায় পাকড়াও করে নেবেন কারণ, তারা ব্যর্থ করতে পারবে না।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. অথবা তাদের স্থানান্তর ও চলাফেরায় (অর্থাৎ ভ্রমণ ও বাণিজ্যিক সফরেই) তাদেরকে পাকড়াও করবেন। সুতরাং তারা আল্লাহ্কে প্রতিহত করতে পারবে না।
اَوۡ یَاۡخُذَہُمۡ عَلٰی تَخَوُّفٍ ؕ فَاِنَّ رَبَّکُمۡ لَرَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. অথবা তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে করতে গ্রেফতাঁর করে নেবেন? নিশ্চয় তোমাদের রব অত্যন্ত দয়ার্দ্র, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. অথবা তাদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় পাকড়াও করবেন। বস্তুত আপনার প্রতিপালক বড়ই মমতাবান, পরম দয়ালু।
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اِلٰی مَا خَلَقَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ یَّتَفَیَّؤُا ظِلٰلُہٗ عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ الشَّمَآئِلِ سُجَّدًا لِّلّٰہِ وَ ہُمۡ دٰخِرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং তারা কি দেখে নি যে বস্তু আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেটার ছায়া ডানে ও বামে ঢলে পড়ে আল্লাহ্কে সিজদা করে এবং তারা তাঁর সম্মুখে হীন?
ইরফানুল কুরআন
৪৮. তারা কি এমন (ছায়াদানকারী) বস্তুর দিকে লক্ষ্য করে না, যা আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন (যে,) এর ছায়া ডানে ও বামে আল্লাহ্র জন্যে সেজদাবনত অবস্থায় ঢলে পড়ে? আর তারা (প্রকৃতপক্ষে) আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশ করে।
وَ لِلّٰہِ یَسۡجُدُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ ہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং আল্লাহ্কেই সাজদা করে যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে বিচরণকারী রয়েছে আর ফিরিশ্তাগণ; এবং তারা অহঙ্কার করে না’।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে, সমস্ত প্রাণী ও ফেরেস্তা, আল্লাহ্কে(ই) সেজদা করে, আর তারা (সামান্যতমও) ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কার করে না।
یَخَافُوۡنَ رَبَّہُمۡ مِّنۡ فَوۡقِہِمۡ وَ یَفۡعَلُوۡنَ مَا یُؤۡمَرُوۡنَ ﴿ٛ۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. নিজেদের উপর আপন রবের ভয় রাখে এবং তাই করে, যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইরফানুল কুরআন
৫০. তারা তাদের প্রতিপালককে, যিনি তাদের উপরে রয়েছেন, ভয় করতে থাকে। আর যে নির্দেশ তাদেরকে দেয়া হয় (তা) পালন করে।
وَ قَالَ اللّٰہُ لَا تَتَّخِذُوۡۤا اِلٰـہَیۡنِ اثۡنَیۡنِ ۚ اِنَّمَا ہُوَ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَاِیَّایَ فَارۡہَبُوۡنِ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং আল্লাহ্ বলে দিয়েছেন, ‘দু’ খোদা স্থির করো না। তিনি তো একমাত্র মা’বূদ। সুতরাং আমাকেই ভয় করো।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর আল্লাহ্ বলেন, ‘তোমরা দুই ইলাহ্ বানিও না। নিশ্চয়ই তিনিই (আল্লাহ্,) একক ইলাহ্। আর তোমরা আমাকেই ভয় করতে থাকো।’
وَ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لَہُ الدِّیۡنُ وَاصِبًا ؕ اَفَغَیۡرَ اللّٰہِ تَتَّقُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং তাঁরই, যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে আর তাঁরই আনুগত্য করা আবশ্যকীয়। তবে কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে রয়েছে (সবকিছু) তাঁরই। আর (সকলের জন্যে) তাঁরই আনুগত্য বাধ্যতামূলক। কাজেই তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত (কাউকে) ভয় করো?
وَ مَا بِکُمۡ مِّنۡ نِّعۡمَۃٍ فَمِنَ اللّٰہِ ثُمَّ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فَاِلَیۡہِ تَجۡـَٔرُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং তোমাদের নিকট যতো নি’মাত রয়েছে সবই আল্লাহ্র তরফ থেকে। অতঃপর যখন তোমাদেরকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে তখন তাঁরই দিকে আশ্রয় নিয়ে যাও।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর তোমাদের নিকট যে নিয়ামতই রয়েছে, তা আল্লাহ্রই নিকট থেকে। অতঃপর যখন তোমরা কষ্টে পতিত হও, তখন তোমরা তাঁরই সমীপে বিলাপ ও আহাজারি করতে থাকো।
ثُمَّ اِذَا کَشَفَ الضُّرَّ عَنۡکُمۡ اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡکُمۡ بِرَبِّہِمۡ یُشۡرِکُوۡنَ ﴿ۙ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. অতঃপর যখন তিনি তোমাদের নিকট থেকে দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দেন, তখন তোমাদের মধ্যে একটা দল আপন রবের শরীক দাঁড় করাতে থাকে;
ইরফানুল কুরআন
৫৪. অতঃপর যখন আল্লাহ্ তোমাদের থেকে এ কষ্ট দূরীভুত করে দেন, তোমাদের একদল সে সময় স্বীয় প্রতিপালকের সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে শুরু করে দেয়।
لِیَکۡفُرُوۡا بِمَاۤ اٰتَیۡنٰہُمۡ ؕ فَتَمَتَّعُوۡا ۟ فَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এজন্য যে, আমার প্রদত্ত অনুগ্রহগুলোর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সুতরাং কিছু ভোগ করে নাও অবিলম্বে জেনে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. (এ কুফর ও শিরক এ জন্যে যে,) যাতে তারা এমন (নিয়ামতের) অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যা আমরা তাদেরকে দান করে রেখেছি। অতঃপর (হে মুশরিকেরা! কিছু দিন) উপভোগ করে নাও, অতএব তোমরা অচিরেই (নিজেদের পরিণতি) জানবে।
وَ یَجۡعَلُوۡنَ لِمَا لَا یَعۡلَمُوۡنَ نَصِیۡبًا مِّمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ ؕ تَاللّٰہِ لَتُسۡـَٔلُنَّ عَمَّا کُنۡتُمۡ تَفۡتَرُوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এবং তারা জ্ঞানহীন বস্তুসমূহের জন্য আমার প্রদত্ত জীবিকা থেকে অংশ নির্ধারণ করে। আল্লাহ্র শপথ! তোমাদেরকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে সে সম্পর্কে, যা কিছু মিথ্যা রচনা করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর যেসব (মূর্তির প্রকৃত অবস্থা) তারা নিজেরাও জানে না সে সবের জন্যে রিযিক থেকে তারা অংশ নির্ধারণ করে রাখে, যা আমরা তাদেরকে দান করেছি। আল্লাহ্র শপথ! তোমাদেরকে এ মিথ্যা অপবাদের বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে, যা তোমরা উদ্ভাবন করে থাকো।
وَ یَجۡعَلُوۡنَ لِلّٰہِ الۡبَنٰتِ سُبۡحٰنَہٗ ۙ وَ لَہُمۡ مَّا یَشۡتَہُوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. এবং তারা আল্লাহ্র জন কন্যা সন্তান স্থির করে। পবিত্রতা তাঁরই জন্য। এবং নিজেদের জন্য তাই (স্থির করে), যা তাদের মন চায়।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর এরা (এ কাফের ও মুশরিকেরা) আল্লাহ্র জন্যে কন্যা সন্তান নির্ধারণ করে, তিনি (এ থেকে) পূতঃপবিত্র। আর তাদের নিজেদের জন্যে এমন কিছু রয়েছে (অর্থাৎ পুত্র) যার কামনা তারা করে।
وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُہُمۡ بِالۡاُنۡثٰی ظَلَّ وَجۡہُہٗ مُسۡوَدًّا وَّ ہُوَ کَظِیۡمٌ ﴿ۚ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং যখন তাদের মধ্যে কাউকে কন্যা সন্তান হবার সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন সারাদিন তাঁর মুখমণ্ডল কালো থাকে এবং সে ক্রোধকে হজম করে।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের (জন্মের) সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং সে ক্রোধে ক্লিষ্ট হয়।
یَتَوَارٰی مِنَ الۡقَوۡمِ مِنۡ سُوۡٓءِ مَا بُشِّرَ بِہٖ ؕ اَیُمۡسِکُہٗ عَلٰی ہُوۡنٍ اَمۡ یَدُسُّہٗ فِی التُّرَابِ ؕ اَلَا سَآءَ مَا یَحۡکُمُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. লোকদের নিকট থেকে আত্নগোপন করে বেড়ায় এ সুসংবাদের গ্লানি হেতু; তাকে কি লাঞ্ছনা সহকারে রাখবে কিংবা তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে? ওহে! তারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত করে।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. সে মানুষজন থেকে আত্মগোপন করে বেড়ায় (নিজের ধারণায়) এমন মন্দ সংবাদের কারণে, যা তাকে প্রদান করা হয়েছে। (এখন চিন্তা করে) সে একে অপমান ও অপদস্ত করে (বাঁচিয়ে) রাখবে নাকি একে মাটিতে পুঁতে ফেলবে (অর্থাৎ জীবন্ত কবর দিয়ে দেবে)। সাবধান! কতোই না নিকৃষ্ট ফায়সালা যা সে করছে!
لِلَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ مَثَلُ السَّوۡءِ ۚ وَ لِلّٰہِ الۡمَثَلُ الۡاَعۡلٰی ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. যারা পরকালের উপর ঈমান আনে না তাদের অবস্থা নিকৃষ্ট; এবং আল্লাহ্র মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে, আর তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৬০. যারা পরকালে ঈমান রাখে না (এটি) তাদের অতিশয় মন্দ বৈশিষ্ট্য, এবং সমুন্নত বৈশিষ্ট্য আল্লাহ্রই। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
وَ لَوۡ یُؤَاخِذُ اللّٰہُ النَّاسَ بِظُلۡمِہِمۡ مَّا تَرَکَ عَلَیۡہَا مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ لٰکِنۡ یُّؤَخِّرُہُمۡ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُہُمۡ لَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ سَاعَۃً وَّ لَا یَسۡتَقۡدِمُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এবং যদি আল্লাহ্ মানুষকে তাদের যুল্মের উপর পাকড়াও করতেন, তবে ভূ-পৃষ্ঠে কোন বিচরণকারীকে ছাড়তেন না; কিন্তু তাদেরকে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের প্রতিশ্রুতি আসবে তখন না এক মুহূর্তকাল পেছনে হটবে, না সম্মুখে বাড়বে।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আর যদি আল্লাহ্ মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্যে (তাৎক্ষণিকভাবে) পাকড়াও করতেন, তবে (এ ভুপৃষ্ঠ)-এর উপর বিচরণশীল কোনো প্রাণীকেই ছেড়ে দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তাদের নির্ধারিত সময় এসে যায়, তখন তারা না এক মুহূর্ত পশ্চাতে থাকতে পারে আর না অগ্রসর হতে পারে।
وَ یَجۡعَلُوۡنَ لِلّٰہِ مَا یَکۡرَہُوۡنَ وَ تَصِفُ اَلۡسِنَتُہُمُ الۡکَذِبَ اَنَّ لَہُمُ الۡحُسۡنٰی ؕ لَا جَرَمَ اَنَّ لَہُمُ النَّارَ وَ اَنَّہُمۡ مُّفۡرَطُوۡنَ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং আল্লাহ্র জন্য তাই স্থির করে যা (তাঁর) নিজেদের জন্য অপছন্দ করে এবং তাদের জিহ্বাগুলো মিথ্যাসমূহ বর্ণনা করে যে, তাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। তবে একথা নিশ্চিত যে, তাদের জন্য রয়েছে আগুন, এবং তাদেরকে সীমা থেকে অতিক্রম করানো হবে।
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর তারা আল্লাহ্র জন্যে এমন কিছু নির্ধারণ করে, যা (নিজেদের জন্যে) অপছন্দ করে। আর তাদের জিহ্বা মিথ্যা দাবী করে যে, তাদের জন্যে রয়েছে কল্যাণ। (কখনোই নয়!) প্রকৃত সত্য এ যে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। আর তাদেরকে (জাহান্নামে) সর্বাগ্রে প্রেরণ করা হবে (এবং তাতে তাদেরকে চিরদিনের জন্যে ছেড়ে দেয়া হবে)।
تَاللّٰہِ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰۤی اُمَمٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَزَیَّنَ لَہُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَہُمۡ فَہُوَ وَلِیُّہُمُ الۡیَوۡمَ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. আল্লাহ্র শপথ! আমি আপনার পূর্বে বহু উম্মতের প্রতি রসূল প্রেরণ করেছি; তখন শয়তান তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে দেখিয়েছে; সুতরাং সে-ই আজ তাদের সাথী এবং তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. আল্লাহ্র শপথ! অবশ্যই আমরা আপনার পূর্বেও (বহু) জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছিলাম, তখন শয়তান তাদের জন্যে তাদের (মন্দ) কর্মগুলো সুসজ্জিত ও সুশোভিত করে দেখিয়েছিল। সুতরাং সেই (শয়তান) আজ তাদের বন্ধু এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
وَ مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ اِلَّا لِتُبَیِّنَ لَہُمُ الَّذِی اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ ۙ وَ ہُدًی وَّ رَحۡمَۃً لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. এবং আমি আপনার উপর এ কিতাব অবতীর্ণ করি নি, কিন্তু এজন্য যে, আপনি লোকদের নিকট সুস্পষ্ট করে দেবেন যে কথায় তারা মতভেদ করে এবং হিদায়াত ও দয়া ঈমানদারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর আমরা তো আপনার প্রতি এ জন্যেই কিতাব অবতীর্ণ করেছি যে, আপনি তাদের নিকট সেসব (বিষয়) সুস্পষ্ট করবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে। আর (এ জন্যে যে, এ কিতাব) বিশ্বাস স্থাপনকারী সম্প্রদায়ের জন্যে হেদায়াত এবং রহমত।
وَ اللّٰہُ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحۡیَا بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّسۡمَعُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. এবং আল্লাহ্ আকাশ থেকে বারি বর্ষন করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে সেটার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করে দেন। নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা (সত্য গ্রহণের) কান রাখে।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. আর আল্লাহ্ আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা তিনি ভুমিকে এর মৃতবৎ (অর্থাৎ বিরান ও অনুর্বর) অবস্থার পর জীবিত (অর্থাৎ উর্বর ও সবুজ-শ্যামল) করেন। নিশ্চয়ই এতে (উপদেশ) শ্রবণকারীদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ اِنَّ لَکُمۡ فِی الۡاَنۡعَامِ لَعِبۡرَۃً ؕ نُسۡقِیۡکُمۡ مِّمَّا فِیۡ بُطُوۡنِہٖ مِنۡۢ بَیۡنِ فَرۡثٍ وَّ دَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشّٰرِبِیۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. এবং নিশ্চয় তোমাদের জন চতুষ্পদ প্রাণীগুলোর মধ্যে (গাভীর) দৃষ্টি অর্জিত হবার ক্ষেত্র রয়েছে। আমি তোমাদেরকে সেগুলোর উদরস্থ গোবর ও রক্তের মাঝখান থেকে বিশুদ্ধ দুধ পান করাই, যা পানকারীদের জন্য গলা দিয়ে সহজে নেমে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. আর নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে গবাদিপশুতে(ও) চিন্তার বিষয় রয়েছে। আমরা এদের উদরের ভেতরে অন্ত্রের অভ্যন্তরভাগের (কিছু) এবং রক্তের মিশ্রণ থেকে (সৃষ্টি হওয়া) খাটি দুগ্ধ নির্গত করে তোমাদেরকে পান করাই; (যা) পানকারীদের জন্যে উপাদেয়।
وَ مِنۡ ثَمَرٰتِ النَّخِیۡلِ وَ الۡاَعۡنَابِ تَتَّخِذُوۡنَ مِنۡہُ سَکَرًا وَّ رِزۡقًا حَسَنًا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. এবং খেজুর ও আঙ্গুর ফলের মধ্য থেকে যে, সেটা থেকে নেশামুক্ত পানীয় তৈরী করছো এবং উত্তম জীবিকা। নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. আর খেজুর ও আঙ্গুর থেকে তোমরা চিনি ও (অন্যান্য) উৎকৃষ্ট খাদ্য তৈরী করো। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ اَوۡحٰی رَبُّکَ اِلَی النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِیۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا وَّ مِنَ الشَّجَرِ وَ مِمَّا یَعۡرِشُوۡنَ ﴿ۙ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. এবং আপনার রব মৌমাছিকে ‘ইলহা’ (প্রেরণা দান) করেছেন- ‘পাহাড় গুলোতে ঘর নির্মাণ করো এবং বৃক্ষসমূহে ও ছাদগুলোতে।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. আর আপনার প্রতিপালক মৌমাছির অন্তরে (অভিপ্রায়) বপন করে দিয়েছেন যে, তুমি কোনো পর্বতে নিজের গৃহ নির্মাণ করো এবং কোনো গাছে এবং কোনো মাচায়(ও), যা মানুষ (ছাদের ন্যায়) উঁচু করে তৈরি করে।
ثُمَّ کُلِیۡ مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسۡلُکِیۡ سُبُلَ رَبِّکِ ذُلُلًا ؕ یَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِہَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہٗ فِیۡہِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. অতঃপর প্রত্যেক প্রকারের ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো এবং আপন রবের পথসমূহে চলো, যে গুলো তোমার জন্য নরম ও সহজ’। সেটার উদর থেকে এক পানিয় বস্তু রং-বেরং-এর নির্গত হয়, যার মধ্যে মানুষের জন্য আরোগ্য রয়েছে। নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৬৯. তারপর তুমি সকল প্রকার ফল থেকে রস চুষে নাও; অতঃপর স্বীয় প্রতিপালকের (দেখানো) পথ অনুসরণ করো (যা এসব ফুল ও ফলে বিদ্যমান এবং যা থেকে তুমি রস চুষে নাও, অন্যান্য মৌমাছির জন্যেও) তাদের সুবিধার্থে। তার পেট থেকে পানীয় এক পদার্থ বের হয় (এটি মধু), যার রং ভিন্ন ভিন্ন হয়। এতে মানুষের জন্যে রয়েছে নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ اللّٰہُ خَلَقَکُمۡ ثُمَّ یَتَوَفّٰىکُمۡ ۟ۙ وَ مِنۡکُمۡ مَّنۡ یُّرَدُّ اِلٰۤی اَرۡذَلِ الۡعُمُرِ لِکَیۡ لَا یَعۡلَمَ بَعۡدَ عِلۡمٍ شَیۡئًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ قَدِیۡرٌ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. এবং আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট বয়সের দিকে ফেরানো হচ্ছে, যাতে জানার পরে কিছুই না জানে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবকিছু জানেন। সবকিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৭০. আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান (অর্থাৎ তোমাদের রূহ হরণ করেন)। আর তোমাদের কাউকে জরাগ্রস্ত বার্ধক্যের দিকে ফিরিয়ে নেন, যাতে (জীবনে অনেক কিছু) জানার পর এখন কিছুই না জানে (অর্থাৎ মানুষ মারা যাওয়ার পূর্বে নিজের অসহায়ত্ব ও অভাব-অনটনের দৃশ্যও দেখে যায়)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সম্যক অবগত, মহাক্ষমতাবান।
وَ اللّٰہُ فَضَّلَ بَعۡضَکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ فِی الرِّزۡقِ ۚ فَمَا الَّذِیۡنَ فُضِّلُوۡا بِرَآدِّیۡ رِزۡقِہِمۡ عَلٰی مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَہُمۡ فِیۡہِ سَوَآءٌ ؕ اَفَبِنِعۡمَۃِ اللّٰہِ یَجۡحَدُوۡنَ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে এককে অপরের উপর জীবিকার মধ্যে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। অতঃপর যাদেরকে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন তারা আপন জীবিকা আপন দাস দাসীদেরকে ফিরিয়ে দেবে না, যাতে তারা সবাই এর মধ্যে সমান হয়ে যায়। তবে কি তারা আল্লাহ্র অনুগ্রহ অস্বীকার করছে?
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর আল্লাহ্ তোমাদের কাউকে কারো উপর রিযিকে (স্তর বিশেষে) মর্যাদা দান করেছেন (যাতে তিনি তোমাদেরকে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়ে পরীক্ষা করেন)। কিন্তু যেসব লোককে মর্যাদা দেয়া হয়েছে, তারা নিজেদের দৌলত (এর কিছু অংশও) নিজেদের অধীনস্তদেরকে ফিরিয়ে দেয় না (অর্থাৎ খরচ করে না)। অথচ তারা সকলে এতে (মৌলিক প্রয়োজনীয়তার সীমা পর্যন্ত) সমান সমান। তারা কি আল্লাহ্র নিয়ামতকে অস্বীকার করে?
وَ اللّٰہُ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ بَنِیۡنَ وَ حَفَدَۃً وَّ رَزَقَکُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ اَفَبِالۡبَاطِلِ یُؤۡمِنُوۡنَ وَ بِنِعۡمَتِ اللّٰہِ ہُمۡ یَکۡفُرُوۡنَ ﴿ۙ۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের জাতি থেকে নারীদের সৃষ্টি করেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের থেকে পুত্র ও পৌত্র-দৌহিত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র বস্তুসমূহ থেকে জীবিকা দান করেছেন। তবুও কি তারা মিথ্যা কথার উপর বিশ্বাস করছে এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহ অস্বীকার করছে?
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর আল্লাহ্ তোমাদের থেকেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের জোড়া (অর্থাৎ স্ত্রী) থেকে তোমাদের পুত্র এবং পৌত্র সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র রিযিক দান করেছেন। এরপরও কি তারা (সত্যকে ছেড়ে) বাতিলে বিশ্বাস রাখবে, আর আল্লাহ্র নিয়ামতে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে?
وَ یَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَمۡلِکُ لَہُمۡ رِزۡقًا مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ شَیۡئًا وَّ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ ﴿ۚ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং তারা আল্লাহ্ ব্যতীত এমন সবের পূজা করছে, যেগুলো তাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে কোন জীবিকা দেওয়ারই ইখতিয়ার রাখে না এবং না কিছু করতে পারে।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর তারা আল্লাহ্ ব্যতীত এসব (মূর্তি)-এর উপাসনা করে, যারা আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী থেকে তাদের জন্যে বিন্দু পরিমাণ রিযিক দেয়ারও মালিক নয়, আর তারা না কোনো ক্ষমতা রাখে।
فَلَا تَضۡرِبُوۡا لِلّٰہِ الۡاَمۡثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. সুতরাং আল্লাহ্র জন্য কোন সদৃশ স্থির করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ জানেন এবং তোমরা জানো না।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. অতঃপর তোমরা আল্লাহ্র জন্যে সাদৃশ্য নির্ধারণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জানেন আর তোমরা জানো না।
ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا عَبۡدًا مَّمۡلُوۡکًا لَّا یَقۡدِرُ عَلٰی شَیۡءٍ وَّ مَنۡ رَّزَقۡنٰہُ مِنَّا رِزۡقًا حَسَنًا فَہُوَ یُنۡفِقُ مِنۡہُ سِرًّا وَّ جَہۡرًا ؕ ہَلۡ یَسۡتَوٗنَ ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. আল্লাহ্ এক উপমা বর্ণনা করেছেন- একজন বান্দা রয়েছে অপর একজনের মালিকানাধীন, নিজে কোন কিছুর ক্ষমতা রাখে না আর একজন সে, যাকে আমি আমার নিকট থেকে উত্তম জীবিকা প্রদান করেছি, তখন সে তা প্রকাশ্যে; তারা কি পরস্পর সমান হয়ে যাবে? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই বরং তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই খবর নেই।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আল্লাহ্ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন (যে,) এক কৃতদাস (যে কারো) মালিকানায় রয়েছে, (নিজে) কোনো কিছুর উপর ক্ষমতা রাখে না। আর (দ্বিতীয়) ব্যক্তি, যাকে আমরা আমাদের নিকট থেকে উৎকৃষ্ট রিযিক দান করেছি; অতঃপর সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; তারা কি সমান সমান হতে পারে? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্যে। বরং তাদের অধিকাংশই (মৌলিক বাস্তবতাও) জানে না।
وَ ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا رَّجُلَیۡنِ اَحَدُہُمَاۤ اَبۡکَمُ لَا یَقۡدِرُ عَلٰی شَیۡءٍ وَّ ہُوَ کَلٌّ عَلٰی مَوۡلٰىہُ ۙ اَیۡنَمَا یُوَجِّہۡہُّ لَایَاۡتِ بِخَیۡرٍ ؕ ہَلۡ یَسۡتَوِیۡ ہُوَ ۙ وَ مَنۡ یَّاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ ۙ وَ ہُوَ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং আল্লাহ্ উপমা বর্ণনা করেছেন- দু’জন পুরুষ, তন্মধ্যে একজন মূক, যে কোন কাজ করতে পারে না এবং সে আপন মুনিবের উপর বোঝা স্বরূপ, তাকে যে দিকেই প্রেরণ করুক, কোন মঙ্গল নিয়ে আসে না; সে কি সমান হয়ে যাবে ওই ব্যক্তির, যে ন্যায়ের নির্দেশ দেয় এবং সে সরল পথেই রয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর আল্লাহ্ (এমন) দু’জন মানুষের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, যাদের একজন বধির, সে কোনো কিছুর উপর ক্ষমতাবান নয় এবং তার মালিকের উপর বোঝা। সে (মালিক) তাকে যেদিকেই প্রেরণ করে সে কোনো কল্যাণ নিয়ে আসে না। এ (বধির) এবং (দ্বিতীয়) সে ব্যক্তি, যে (এমন স্তরে আসীন যে,) মানুষকে ন্যায় ও সমতার নির্দেশ দেয় এবং সে নিজেও সরল পথের যাত্রী, (উভয়ে) কি সমান হতে পারে?
وَ لِلّٰہِ غَیۡبُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَاۤ اَمۡرُ السَّاعَۃِ اِلَّا کَلَمۡحِ الۡبَصَرِ اَوۡ ہُوَ اَقۡرَبُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. এবং আল্লাহ্রই আসমানসমূহ ও যমীনের গোপন বস্তুসমূহ এবং ক্বিয়ামতের ব্যাপার তো কেবল চক্ষুর এক পলক মারার মতোই; বরং তা অপেক্ষাও সত্বর। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবকিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (সকল) অদৃশ্য বিষয় আল্লাহ্রই জন্যে। আর কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ঘটনা এমন দ্রুত ঘটে যাবে, যেমন চোখের পলক অথবা এরচেয়ে দ্রুততর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর মহাক্ষমতাবান।
وَ اللّٰہُ اَخۡرَجَکُمۡ مِّنۡۢ بُطُوۡنِ اُمَّہٰتِکُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ۙ وَّ جَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ۙ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের মায়েদের গর্ভ থেকে সৃষ্টি করেছেন (এমন অবস্থায়) যে, তোমরা কিছুই জানতে না এবং তোমাদেরকে কান, চোখ ও হৃদয় দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার করো।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের উদর থেকে (এ অবস্থায়) বের করেছেন যে, তোমরা কিছুই জানতে না। আর তিনি তোমাদের জন্যে কান, চোখ ও অন্তর সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো।
اَلَمۡ یَرَوۡا اِلَی الطَّیۡرِ مُسَخَّرٰتٍ فِیۡ جَوِّ السَّمَآءِ ؕ مَا یُمۡسِکُہُنَّ اِلَّا اللّٰہُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. তারা কি পাখীগুলো দেখে নি নির্দেশের প্রতি বাধ্য, আসমানের শূন্যগর্ভে? তাদেরকে কেউ স্থির রাখেন না আল্লাহ্ ব্যতীত। নিশ্চয় এর মধ্যে ঈমানদারেদের জন্য নিদর্শনাদি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. তারা কি পাখিদের দেখেনি, যেগুলো আকাশে বায়ুমন্ডলে (গতি ও উড্ডয়নের নিয়মের) অনুগত (হয়ে উড়ে বেড়ায়)। এদেরকে আল্লাহ্ (-এঁর বিধান) ছাড়া কোনো কিছু ধরে রাখতে পারে না। নিশ্চয়ই এতে (এ উড্ডয়নের নিয়মে) ঈমানদারদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।
وَ اللّٰہُ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنۡۢ بُیُوۡتِکُمۡ سَکَنًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنۡ جُلُوۡدِ الۡاَنۡعَامِ بُیُوۡتًا تَسۡتَخِفُّوۡنَہَا یَوۡمَ ظَعۡنِکُمۡ وَ یَوۡمَ اِقَامَتِکُمۡ ۙ وَ مِنۡ اَصۡوَافِہَا وَ اَوۡبَارِہَا وَ اَشۡعَارِہَاۤ اَثَاثًا وَّ مَتَاعًا اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং আল্লাহ্ তোমাদেরকে বসবাস করার জন্য ঘর দিয়েছেন এবং তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তুগুলোর চামড়া থেকে কিছু ঘর নির্মাণ করেন, যে গুলো তোমাদের জন্য তোমাদের ভ্রমণের দিনে এবং ভ্রমণপথে গম্যস্থানসমূহে অবস্থান করার দিনে হালকা হয় এবং (দিয়েছেন) সেগুলোর পশম, বাবরি চুল ও লোম থেকে কিছু গৃহ-সামগ্রী এবং ব্যবহারের উপকরণাদি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তোমাদের গৃহকে (স্থায়ী) বসবাসের জায়গা বানিয়েছেন, আর তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ প্রাণীর চামড়া থেকে (অস্থায়ী) গৃহ (অর্থাৎ তাবু) বানিয়েছেন, যেগুলোকে তোমরা তোমাদের সফরের সময়ে এবং (সফরের মধ্যখানে বিরতিতে) তোমাদের অবস্থানের সময়ে হালকা-পাতলা পেয়ে থাকো, আর (আল্লাহ্ই তোমাদের জন্যে) ভেড়া ও দুম্বার লোম, উট এবং বকরির পশম থেকে গৃহস্থালির ব্যবহার্য এবং (জীবিকা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে) নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত উপকার গ্রহণের উপকরণ বানিয়েছেন।
وَ اللّٰہُ جَعَلَ لَکُمۡ مِّمَّا خَلَقَ ظِلٰلًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡجِبَالِ اَکۡنَانًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ سَرَابِیۡلَ تَقِیۡکُمُ الۡحَرَّ وَ سَرَابِیۡلَ تَقِیۡکُمۡ بَاۡسَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُتِمُّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُسۡلِمُوۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং আল্লাহ্ তোমাদেরকে স্বীয় সৃষ্ট বস্তুসমূহ থেকে ছায়া প্রদান করেছেন; এবং তোমাদের জন্য পাহাড়সমূহে গোপনে আশ্রয় নেওয়ার স্থান তৈরী করেছেন আর তোমাদের জন্য কিছু পরিধেয় সৃষ্টি করেন, যা তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করে, আর কিছু পরিধেয় বস্ত্র, যা যুদ্ধের মধ্যে তোমাদেরকে রক্ষা করে। এভাবে তিনি আপন অনুগ্রহ তোমাদের উপর পূর্ণ করেন, যাতে তোমরা নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর আল্লাহ্ই তোমাদের জন্যে নিজের সৃষ্ট কতিপয় বস্তুর ছায়া বানিয়েছেন। আর তিনি তোমাদের জন্যে পর্বতে আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে এমন (কিছু) পোশাক বানিয়েছেন যা তোমাদেরকে উত্তাপ থেকে রক্ষা করে এবং এমন (কিছু) পোশাক যা তোমাদেরকে প্রচন্ড যুদ্ধে (শত্রুর আক্রমণ থেকে) প্রতিরক্ষা করে। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের উপর স্বীয় (অভিভাবকত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণের) নিয়ামত পূর্ণ করেন, যাতে তোমরা (তাঁর সমীপে) নিবেদনে মস্তক অবনত করো।
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡکَ الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে হে মাহবূব! আপনার কর্তব্য নয়, কিন্তু সুস্পষ্টভাবে পৌছিয়ে দেয়া।
ইরফানুল কুরআন
৮২. সুতরাং যদি (আবারো) তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (হে সম্মানিত নবী!) আপনার দায়িত্ব তো কেবল (আমার বার্তা এবং বিধান) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।
یَعۡرِفُوۡنَ نِعۡمَتَ اللّٰہِ ثُمَّ یُنۡکِرُوۡنَہَا وَ اَکۡثَرُہُمُ الۡکٰفِرُوۡنَ ﴿۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. (তারা) আল্লাহ্র অনুগ্রহ চিনে, অতঃপর তা অস্বীকার করে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ কাফির।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. এ সকল লোক আল্লাহ্র নিয়ামত চিনে। অতঃপর এগুলো অস্বীকার করে। আর তাদের অধিকাংশ কাফের।
وَ یَوۡمَ نَبۡعَثُ مِنۡ کُلِّ اُمَّۃٍ شَہِیۡدًا ثُمَّ لَا یُؤۡذَنُ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ لَا ہُمۡ یُسۡتَعۡتَبُوۡنَ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. এবং যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উঠাবো, অতঃপর কাফিরদেরকে না অনুমতি দেওয়া হবে, না তাদেরকে রাজী করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. আর যেদিন আমরা প্রত্যেক উম্মত থেকে (তাদের রাসূলকে তাদের কৃতকর্মের) সাক্ষী বানিয়ে উঠাবো, তখন কাফেরদেরকে (কোনো অযুহাত পেশ করার) অনুমতি দেয়া হবে না; আর না (সে সময়) তাদের থেকে তওবাও কামনা করা হবে।
وَ اِذَا رَاَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوا الۡعَذَابَ فَلَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এবং যালিমরা যখন শাস্তি দেখবে তখন থেকেই তা না তাদের উপর লঘু করা হবে, না তারা অবকাশ পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৮৫. আর যখন যালিমেরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন না তাদের জন্যে (এ শাস্তি) হালকা করা হবে, আর না তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে।
وَ اِذَا رَاَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا شُرَکَآءَہُمۡ قَالُوۡا رَبَّنَا ہٰۤؤُلَآءِ شُرَکَآؤُنَا الَّذِیۡنَ کُنَّا نَدۡعُوۡا مِنۡ دُوۡنِکَ ۚ فَاَلۡقَوۡا اِلَیۡہِمُ الۡقَوۡلَ اِنَّکُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿ۚ۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. এবং মুশরিকরা যখন আপন শরীকদেরকে দেখবে, তখন বলবে, ‘হে আমাদের রব! এ গুলো হচ্ছে আমাদের শরীক, যেগুলোর আমরা আপনাকে ব্যতীত পূজা করতাম। অতঃপর তারা তাদের প্রতি কথা নিক্ষেপ করবে যে, ‘তোমরা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী’।
ইরফানুল কুরআন
৮৬. আর যখন মুশরিকেরা তাদের (নিজেদের সাব্যস্তকৃত) অংশীদারদেরকে দেখবে তখন তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এরাই আমাদের অংশীদার ছিল, তোমাকে ছেড়ে আমরা যাদের উপাসনা করতাম।’ অতঃপর সেসব (অংশীদার) তাদেরকে (প্রতিউত্তরে) বার্তা দিবে, ‘নিশ্চয়ই তোমরা মিথ্যাবাদী’।
وَ اَلۡقَوۡا اِلَی اللّٰہِ یَوۡمَئِذِۣ السَّلَمَ وَ ضَلَّ عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ ﴿۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. এবং সেদিন তারা আল্লাহ্র প্রতি বিনয় সহকারে পতিত হবে এবং তাদের নিকট থেকে হারিয়ে যাবে যা কিছু তারা মিথ্যা রচনা করতো।
ইরফানুল কুরআন
৮৭. আর এরা (এ মুশরিকেরা) সেদিন আল্লাহ্র সমীপে বিনয় ও আনুগত্য প্রকাশ করবে। আর তাদের থেকে সেসব মিথ্যাচার দূর হয়ে যাবে, যা তারা বানিয়ে নিত।
اَلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ صَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ زِدۡنٰہُمۡ عَذَابًا فَوۡقَ الۡعَذَابِ بِمَا کَانُوۡا یُفۡسِدُوۡنَ ﴿۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. যারা কুফর করেছে এবং আল্লাহ্র পথে বাধা দিয়েছে, আমি শাস্তির পর শাস্তি বৃদ্ধি করেছি তাদের ফ্যাসাদ সৃষ্টির পরিণাম স্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
৮৮. যারা কুফরী করেছে এবং (অন্যান্যদেরকে) আল্লাহ্র পথ থেকে প্রতিহত করেছে, আমরা তাদের জন্যে শাস্তির উপর শাস্তি যুক্ত করে দেবো; এ জন্যে যে, তারা বিপর্যয় সৃষ্টি করতো।
وَ یَوۡمَ نَبۡعَثُ فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ شَہِیۡدًا عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَ جِئۡنَا بِکَ شَہِیۡدًا عَلٰی ہٰۤؤُلَآءِ ؕ وَ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّکُلِّ شَیۡءٍ وَّ ہُدًی وَّ رَحۡمَۃً وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. এবং যে দিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন সাক্ষী তাদের মধ্য থেকে উঠাবো যে তাদেরই বিরুধে সাক্ষ্য দেবে, এবং হে মাহবূব! আপনাকে তাদের সবার উপর সাক্ষী বানিয়ে উপস্থিত করবো আর আমি আপনার উপর এ ক্বোরআন অবতীর্ণ করেছি, যা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বিবরণ, হিদায়ত, দয়া ও সুসংবাদ মুসলমানদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. আর (এটি) সে দিন সংঘটিত হবে, (যখন) আমরা প্রত্যেক উম্মতের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উত্তোলন করবো। আর (হে সম্মানিত হাবীব!) আমরা আপনাকে তাদের (উম্মত ও রাসূলগণের) উপর সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবো। আর আমরা আপনার প্রতি মহাগ্রন্থ প্রেরণ করেছি যা সকল কিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা এবং মুসলমানদের জন্যে হেদায়াত, রহমত ও সুসংবাদ।
اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَ الۡاِحۡسَانِ وَ اِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ یَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ وَ الۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. নিশ্চয় আল্লাহ্ নির্দেশ দেন ন্যায় বিচার পুণ্য ও আত্নীয় স্বজনকে দান করার এবং নিষেধ করেন অশ্লীলতা, মন্দ কথা ও অবাধ্যতা থেকে; তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা ধ্যান করো।
ইরফানুল কুরআন
৯০. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নির্দেশ দেন (প্রত্যেকের প্রতি) ন্যায় ও অনুগ্রহের এবং নিকটাত্মীয়ের প্রতি বদান্যতার, এবং অশ্লীলতা, মন্দ কাজ এবং অবাধ্যতা ও নাফরমানী করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা খুব ভালোভাবে স্মরণ রাখো।
وَ اَوۡفُوۡا بِعَہۡدِ اللّٰہِ اِذَا عٰہَدۡتُّمۡ وَ لَا تَنۡقُضُوا الۡاَیۡمَانَ بَعۡدَ تَوۡکِیۡدِہَا وَ قَدۡ جَعَلۡتُمُ اللّٰہَ عَلَیۡکُمۡ کَفِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا تَفۡعَلُوۡنَ ﴿۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. এবং আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূরণ করো যখন পরস্পর অঙ্গীকারবদ্ধ হও এবং শপথগুলোকে দৃঢ় করে ভঙ্গ করো না; এবং তোমরা আল্লাহ্কে নিজেদের উপর জামিন করেছো। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের কার্যাদি জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৯১. আর তোমরা আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূর্ণ করো, যখন তোমরা অঙ্গীকার করো। আর দৃঢ় শপথ করার পর তা ভঙ্গ করো না, যখন তোমরা আল্লাহ্কে তোমাদের নিজেদের উপর যিম্মাদার বানিয়েছো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সম্যক অবগত, যা তোমরা করছো।
وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّتِیۡ نَقَضَتۡ غَزۡلَہَا مِنۡۢ بَعۡدِ قُوَّۃٍ اَنۡکَاثًا ؕ تَتَّخِذُوۡنَ اَیۡمَانَکُمۡ دَخَلًۢا بَیۡنَکُمۡ اَنۡ تَکُوۡنَ اُمَّۃٌ ہِیَ اَرۡبٰی مِنۡ اُمَّۃٍ ؕ اِنَّمَا یَبۡلُوۡکُمُ اللّٰہُ بِہٖ ؕ وَ لَیُبَیِّنَنَّ لَکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ مَا کُنۡتُمۡ فِیۡہِ تَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. এবং ওই নারীর মত হায়ো না যে আপন সূতা মজবুত হবার পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা করে ছিড়ে ফেলেছে। তোমরা আপন শপথগুলোকে পরস্পরের মধ্যে একটা ভিত্তিহীন অজুহাত বানিয়ে নিয়ে থাকো যাতে একদল অপর দল অপেক্ষা অধিক না হও। আল্লাহ্ তো এটা দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন এবং অবশ্যই ক্বিয়ামত দিবসে তোমাদের সম্মুখে সুস্পষ্ট করে দেবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৯২. আর সে নারীর মত হয়ো না যে মজবুতভাবে পাকানোর পর নিজের কাটা সূতা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। তোমরা তোমাদের শপথকে নিজেদের মাঝে প্রতারণার উপলক্ষ বানিয়ে ফেলো, যাতে (এভাবে) এক দল অপর দল অপেক্ষা অতিরিক্ত উপকার গ্রহণ করতে পারে। ব্যাপার হলো, আল্লাহ্(ও) তোমাদেরকে এর মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। আর তিনি তোমাদের জন্যে কিয়ামতের দিন সেসব বিষয় সুস্পষ্ট করে দেবেন, যে বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।
وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَجَعَلَکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لٰکِنۡ یُّضِلُّ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ لَتُسۡـَٔلُنَّ عَمَّا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. এবং আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে একই উম্মত (জাতি) করতেন; কিন্তু আল্লাহ্ যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান প্রদান করেন; তোমাদেরকে অবশ্যই তোমাদের কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৩. আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে তোমাদের (সবাই)-কে একই উম্মত বানিয়ে দিতেন, কিন্তু তিনি যাকে চান, গোমরাহ্ করেন এবং যাকে চান হেদায়াত দান করেন। আর তোমাদেরকে সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে যা তোমরা সম্পাদন করতে।
وَ لَا تَتَّخِذُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ دَخَلًۢا بَیۡنَکُمۡ فَتَزِلَّ قَدَمٌۢ بَعۡدَ ثُبُوۡتِہَا وَ تَذُوۡقُوا السُّوۡٓءَ بِمَا صَدَدۡتُّمۡ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ وَ لَکُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. এবং নিজেদের শপথগুলোকে পরস্পরের মধ্যে ভিত্তিহীন অজুহাত বানিয়ে নিও না, নিলে কখনো কোন পা স্থির হবার পর তা ফস্কে যাবে এবং আল্লাহ্র পথে তোমাদের বাধা দেওয়ার কারণে তোমরা ক্ষতির আস্বাদ গ্রহণ করবে; এবং তোমাদের জন্য মহাশাস্তি (অবধারিত)।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. আর তোমরা তোমাদের শপথকে নিজেদের মাঝে প্রতারণার উপলক্ষ বানিও না, নতুবা (ইসলামের উপর) সুদৃঢ় হয়ে যাওয়ার পর পদচ্যুত হয়ে যাবে। আর তোমরা যে কারণে আল্লাহ্র পথে বাধা দিতে তার খারাপ পরিণাম আস্বাদন করবে এবং তোমাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি।
وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِعَہۡدِ اللّٰہِ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ اِنَّمَا عِنۡدَ اللّٰہِ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. এবং আল্লাহ্র অঙ্গীকারের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করো না। নিশ্চয় তা, যা আল্লাহ্র নিকট রয়েছে, তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানো।
ইরফানুল কুরআন
৯৫. আর আল্লাহ্র অঙ্গীকারকে তুচ্ছ মূল্যে (অর্থাৎ দুনিয়ার ধন-দৌলতের) বিনিময়ে বিক্রি করে দিও না। নিশ্চয়ই যা (প্রতিদান) আল্লাহ্র নিকট রয়েছে তা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা (এ গোপন ভেদ) জানতে।
مَا عِنۡدَکُمۡ یَنۡفَدُ وَ مَا عِنۡدَ اللّٰہِ بَاقٍ ؕ وَ لَنَجۡزِیَنَّ الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡۤا اَجۡرَہُمۡ بِاَحۡسَنِ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. যা তোমাদের নিকট রয়েছে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং যা আল্লাহ্র নিকট আছে তা স্থায়ী হবারই; এবং নিশ্চয় আমি ধৈর্যধারণকারীদেরকে তাদের ওই পুরস্কার দেবো, যা তাদের সর্বাধিক উত্তম কাজের উপযোগী হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. (ধন-সম্পদ) যা তোমাদের নিকট রয়েছে তা বিলীন হয়ে যাবে এবং যা আল্লাহ্র নিকট রয়েছে তা বিদ্যমান থাকবে। আর যারা ধৈর্য ধারণ করেছে আমরা অবশ্যই তাদের প্রতিদান প্রদান করবো, তাদের ভালো কাজের বিনিময়ে যা তারা সম্পাদন করতো।
مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا مِّنۡ ذَکَرٍ اَوۡ اُنۡثٰی وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَنُحۡیِیَنَّہٗ حَیٰوۃً طَیِّبَۃً ۚ وَ لَنَجۡزِیَنَّہُمۡ اَجۡرَہُمۡ بِاَحۡسَنِ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. যে সৎকর্ম করে- পুরুষ হোক কিংবা নারী এবং হয় মুসলমান, তবে অবশ্যই আমি তাকে উত্তম জীবনে জীবিত রাখবো এবং অবশ্যই তাদেরকে তাদের কর্মের পুরস্কার দেবো, যা তাদের সর্বাপেক্ষা উত্তম কর্মের উপযোগী হয়।
ইরফানুল কুরআন
৯৭. যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করে (চাই) সে পুরুষ হোক বা নারী, আমরা তাকে অবশ্যই পবিত্র জীবনের সাথে জীবিত রাখবো। আর তাদেরকে অবশ্যই তাদের প্রতিদান(ও) প্রদান করবো তাদের ভালো কাজের বিনিময়ে, যা তারা সম্পাদন করতো।
فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. অতঃপর যখন তোমরা ক্বোরআন পড়ো, তখন আল্লাহ্র শরণ চাইবে বিতাড়িত শয়তান থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৯৮. সুতরাং যখন আপনি কুরআন পাঠ করতে শুরু করবেন তখন বিতাড়িত শয়তান (-এর কুমন্ত্রণা) থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন।
اِنَّہٗ لَیۡسَ لَہٗ سُلۡطٰنٌ عَلَی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ﴿۹۹﴾
কানযুল ঈমান
৯৯. নিশ্চয় তাঁর কোন আধিপত্য ওই সব লোকের উপর নেই, যারা ঈমান এনেছে এবং আপন রবেই উপর ভরসা রাখে।
ইরফানুল কুরআন
৯৯. নিশ্চয়ই সেসব লোকদের উপর তার কোনো(ই) আধিপত্য নেই যারা ঈমান আনয়ন করে এবং স্বীয় প্রতিপালকের উপর ভরসা করে।
اِنَّمَا سُلۡطٰنُہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ یَتَوَلَّوۡنَہٗ وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ بِہٖ مُشۡرِکُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾
কানযুল ঈমান
১০০. তাঁর আধিপত্য তো তাদেরই উপর, যারা তাঁর সাথে ভালবাসা স্থাপন করে, এবং তাকে শরীক স্থির করে।
ইরফানুল কুরআন
১০০. তার আধিপত্য তো কেবল তাদের উপর যারা তাকে বন্ধু বানায় এবং যারা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে।
وَ اِذَا بَدَّلۡنَاۤ اٰیَۃً مَّکَانَ اٰیَۃٍ ۙ وَّ اللّٰہُ اَعۡلَمُ بِمَا یُنَزِّلُ قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُفۡتَرٍ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান
১০১. এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত পরিবর্তন করি এবং আল্লাহ্ ভালভাবে জানেন যা তিনি অবতীর্ণ করেন, কাফিররা বলে ‘আপনি তো মন থেকে গড়ে নিয়ে আসছেন; বরং তাদের মধ্যে অধিকাংশের জ্ঞান নেই।
ইরফানুল কুরআন
১০১. আর যখন আমরা কোনো আয়াতের স্থলে অপর আয়াত প্রতিস্থাপন করি এবং আল্লাহ্(ই) ভালো জানেন যা (কিছু) তিনি নাযিল করেন; (তখন) কাফেরেরা বলে, ‘আপনি তো কেবল নিজ থেকে রচনাকারী’; বরং তাদের অধিকাংশ লোক (আয়াতসমূহের অবতরণ ও পরিবর্তনের হিকমত) জানে না।
قُلۡ نَزَّلَہٗ رُوۡحُ الۡقُدُسِ مِنۡ رَّبِّکَ بِالۡحَقِّ لِیُـثَبِّتَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ ہُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
কানযুল ঈমান
১০২. আপনি বলুন, ‘সেটাকে পবিত্রতাঁর আত্না অবতীর্ণ করেছে তোমার রবের নিকট থেকে ঠিক ঠিক, যাতে সেটা দ্বারা ঈমানদারকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠা রাখেন এবং হিদায়ত ও সুসংবাদ মুসলমানদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১০২. বলে দিন, ‘এ (কুরআন) রূহুলকুদুস (জিবরাঈল আলাইহিস সালাম) আপনার প্রতিপালকের নিকট থেকে সত্য সহকারে অবতীর্ণ করেছেন; যাতে ঈমানদারকে দৃঢ়পদ রাখেন, আর (এটি) মুসলমানদের জন্যে হেদায়াত এবং সুসংবাদ।’
وَ لَقَدۡ نَعۡلَمُ اَنَّہُمۡ یَقُوۡلُوۡنَ اِنَّمَا یُعَلِّمُہٗ بَشَرٌ ؕ لِسَانُ الَّذِیۡ یُلۡحِدُوۡنَ اِلَیۡہِ اَعۡجَمِیٌّ وَّ ہٰذَا لِسَانٌ عَرَبِیٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۰۳﴾
কানযুল ঈমান
১০৩. এবং নিশ্চয় আমি জানি যে, তারা বলে, ‘এটাতো কোন মানুষ শিক্ষা দেয়’। (তারা) যার প্রতি এটা নিক্ষেপ করে তাঁর ভাষা আরবী নয়; আর এটা হচ্ছে স্পষ্ট আরবী ভাষা।
ইরফানুল কুরআন
১০৩. আর নিশ্চয়ই আমরা জানি যে, এরা (কাফের ও মুশরিকেরা) বলে, ‘তাঁকে এ (কুরআন) কেবল কোনো মানুষই শিখিয়ে থাকেন’। সত্যকে হটিয়ে যে ব্যক্তির দিকে তারা বিষয়টিকে সম্বন্ধযুক্ত করে, তার ভাষা অনারবী আর এ কুরআন সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
اِنَّ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ ۙ لَا یَہۡدِیۡہِمُ اللّٰہُ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۰۴﴾
কানযুল ঈমান
১০৪. নিশ্চয় সেসব লোক, যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে না আল্লাহ্ তাদেরকে সরলপথ প্রদান করেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১০৪. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্র আয়াতে বিশ্বাস স্থাপন করে না, আল্লাহ্ তাদেরকে হেদায়াত (অর্থাৎ সঠিক বোধ ও অন্তর্দৃষ্টির তাওফীকও) প্রদান করেন না। আর তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
اِنَّمَا یَفۡتَرِی الۡکَذِبَ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۰۵﴾
কানযুল ঈমান
১০৫. মিথ্যা অপবাদ তারাই রচনা করে, যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহের উপর ঈমান রাখে না এবং তারাই মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
১০৫. নিশ্চয়ই মিথ্যা-রটনা(ও) তারাই করতো, যারা আল্লাহ্র আয়াতে বিশ্বাস স্থাপন করে না। আর তারাই মিথ্যাবাদী।
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾
কানযুল ঈমান
১০৬. যে ঈমান এনে আল্লাহ্কে অস্বীকার করে, সে ব্যতীত যাকে বাধ্য করা হয় এবং তাঁর অন্তর ঈমানের উপর অবিচলিত থাকে, হাঁ ওই ব্যক্তি, যে হৃদয়কে উন্মুক্ত করে কাফির হয়, তাদের উপর আল্লাহ্র গযব (আপতিত) হয় এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১০৬. যে ব্যক্তি স্বীয় ঈমান আনয়নের পর কুফরী করেছে, তাকে ব্যতীত যাকে চুড়ান্ত পর্যায়ে বাধ্য করা হয়েছে অথচ তার অন্তর (যথারীতি) ঈমানে পরিতৃপ্ত; কিন্তু (হ্যাঁ) সে ব্যক্তি যে (দ্বিতীয়বার) বক্ষ প্রশস্ততার সাথে কুফরী (গ্রহণ) করেছে, সুতরাং তাদের উপর আল্লাহ্র নিকট থেকে রয়েছে ক্রোধ এবং তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি।
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمُ اسۡتَحَبُّوا الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا عَلَی الۡاٰخِرَۃِ ۙ وَ اَنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾
কানযুল ঈমান
১০৭. এটা এজন্য যে, তারা পার্থিব জীবনকে আখিরাত অপেক্ষা প্রিয় মনে করেছে এবং এ জন্যে যে, আল্লাহ্ (এমন) কাফিরদেরকে সরল পথ প্রদান করেন না।
ইরফানুল কুরআন
১০৭. তা এ কারণে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের উপর প্রিয়তর রেখেছে, আর এ জন্যে যে, আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না।
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ طَبَعَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ سَمۡعِہِمۡ وَ اَبۡصَارِہِمۡ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ ﴿۱۰۸﴾
কানযুল ঈমান
১০৮. এরা হচ্ছে ওই সব লোক, যাদের অন্তর, কান এবং চোখগুলোর উপর আল্লাহ্ মোহর করে দিয়েছেন এবং তারাই অলসতাঁর মধ্যে পড়ে আছে।
ইরফানুল কুরআন
১০৮. তারা সেসব লোক আল্লাহ্ যাদের অন্তর, যাদের কর্ণ এবং যাদের চক্ষু মোহর করে দিয়েছেন এবং এসব লোকেরাই (পরকালের পরিণতি থেকে) উদাসীন রয়েছে।
لَاجَرَمَ اَنَّہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۱۰۹﴾
কানযুল ঈমান
১০৯. এখন তো এমনি হলো! তারা আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত।
ইরফানুল কুরআন
১০৯. এটি প্রকৃত সত্য যে, নিশ্চয়ই এ লোকেরাই পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیۡنَ ہَاجَرُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا فُتِنُوۡا ثُمَّ جٰہَدُوۡا وَ صَبَرُوۡۤا ۙ اِنَّ رَبَّکَ مِنۡۢ بَعۡدِہَا لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১১০. অতঃপর নিশ্চয় আপনার রব তাদেরই জন্য, যারা নির্যাতিত হবার পর আপন ঘর ছেড়েছে, অতঃপর জিহাদ করেছে এবং ধৈর্যশীল রয়েছে, নিশ্চয় আপনার রবের পর অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১১০. অতঃপর আপনার প্রতিপালক তাদের জন্যে; যারা পরীক্ষায় (এবং কষ্টে) নিমজ্জিত হবার পর হিজরত করেছে (অর্থাৎ আল্লাহ্র নিমিত্তে নিজের স্বদেশ ছেড়েছে), অতঃপর জিহাদ করেছে এবং (উদ্বেগে) ধৈর্য ধারণ করেছে। (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনার প্রতিপালক এরপর মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
یَوۡمَ تَاۡتِیۡ کُلُّ نَفۡسٍ تُجَادِلُ عَنۡ نَّفۡسِہَا وَ تُوَفّٰی کُلُّ نَفۡسٍ مَّا عَمِلَتۡ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۱۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১১. যে দিন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেরই পক্ষে যুক্তি পেশ করতে আসবে এবং প্রত্যেক আত্নাকে তাঁর কৃতকর্মের পূর্ণফল দেওয়া হবে এবং তাদের উপর যুল্ম করা হবে না।
ইরফানুল কুরআন
১১১. (স্মরণ করুন) সে দিন যখন প্রত্যেক ব্যক্তি কেবল নিজের পক্ষে (আত্মপক্ষ সমর্থনে) বিবাদকারী হিসেবে উপস্থিত হবে, আর প্রত্যেককে পুরোপুরো প্রতিদান দেয়া হবে, যা কিছু সে করবে। আর তাদের উপর কোনো যুলুম করা হবে না।
وَ ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا قَرۡیَۃً کَانَتۡ اٰمِنَۃً مُّطۡمَئِنَّۃً یَّاۡتِیۡہَا رِزۡقُہَا رَغَدًا مِّنۡ کُلِّ مَکَانٍ فَکَفَرَتۡ بِاَنۡعُمِ اللّٰہِ فَاَذَاقَہَا اللّٰہُ لِبَاسَ الۡجُوۡعِ وَ الۡخَوۡفِ بِمَا کَانُوۡا یَصۡنَعُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১১২. এবং আল্লাহ্ দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেছেনঃ একটা জনপদ, যা নিরাপদে ও নিশ্চিন্ত ছিলো; সব দিক থেকে সেটার জীবনোপকরণ প্রচুর পরিমাণে আসতো। অতঃপর তারা আল্লাহ্র অনুগ্রহসমূহের প্রতি অকৃতজ্ঞা প্রকাশ করতে লাগলো। তখন আল্লাহ্ সেটাকে এই শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করালেন যে, তাকে ক্ষুধা ও ভীতির পোশাক পরালেন- তাদের কৃতকর্মের পরিণাম স্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
১১২. আর আল্লাহ্ এমন এক জনপদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেছেন, যা (খুবই) নিরাপদ ও পরিতৃপ্তি সহকারে (আবাদ) ছিল, এর রিযিক এর (অধিবাসীদের) নিকট সর্বদিক থেকে অবারিত ও প্রচুর পরিমাণে আসতো; অতঃপর এ জনপদ (-বাসীরা) আল্লাহ্র নিয়ামতের অকৃতজ্ঞ হয়েছিল, তখন আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষুধা এবং ভীতির শাস্তির পোশাক পরিধান করিয়ে দিয়েছিলেন, সেসব কর্মের কারণে যা তারা করতো।
وَ لَقَدۡ جَآءَہُمۡ رَسُوۡلٌ مِّنۡہُمۡ فَکَذَّبُوۡہُ فَاَخَذَہُمُ الۡعَذَابُ وَ ہُمۡ ظٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১১৩. এবং নিঃসন্দেহে তাদের নিকট তাদেরই মধ্য থেকে একজন রসূল তাশরীফ এনেছেন। অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। সুতরাং তাদেরকে শাস্তি গ্রাস করলো এবং তারা অন্যায়কারী ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১১৩. আর নিশ্চয়ই তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল আগমন করেছিলেন, তখন তারা তাঁকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল। অতঃপর তাদেরকে শাস্তি এসে পাকড়াও করলো, আর তারা ছিল যালিম।
فَکُلُوۡا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اشۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ اِیَّاہُ تَعۡبُدُوۡنَ ﴿۱۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১১৪. অতঃপর আল্লাহ্র প্রদত্ত হালাল পবিত্র জীবিকা থেকে আহার করো এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো যদি তোমরা তাঁর ইবাদত করে থাকো।
ইরফানুল কুরআন
১১৪. অতঃপর যে হালাল ও পবিত্র রিযিক তোমাদেরকে আল্লাহ্ দান করেছেন, তোমরা তা থেকে খাও এবং আল্লাহ্র নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে থাকো, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করো।
اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃَ وَ الدَّمَ وَ لَحۡمَ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ اُہِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰہِ بِہٖ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১১৫. তোমাদের উপর তো এগুলো হারাম করেছেন- মড়া, রক্ত, শূকর-গোশ্ত এবং সেটা, যা যবেহকালে আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য কারো নাম নেওয়া হয়েছে, অতঃপর যে অনন্যোপায় হয়, না অভিলাষী হয়ে এবং না সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১১৫. তিনি তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন কেবল মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস এবং (সেসব প্রাণী) যবেহ করার সময় যার উপর আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। অতঃপর যে ব্যক্তি নিরুপায় অবস্থায় (অর্থাৎ চুড়ান্ত অপারগ অবস্থায়) রয়েছে, না (স্বাদ গ্রহণে আল্লাহ্র বিধান থেকে) অবাধ্য হয়েছে আর না (অপারগতার বিধানের ক্ষেত্রে) সীমালঙ্ঘনকারী; তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَا تَصِفُ اَلۡسِنَتُکُمُ الۡکَذِبَ ہٰذَا حَلٰلٌ وَّ ہٰذَا حَرَامٌ لِّتَفۡتَرُوۡا عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ لَا یُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۱۶﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১১৬. এবং তোমাদের জিহ্বা মিথ্যারোপ করার কারণে, আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা রচনা করার জন্য তোমরা বলোনা, ‘এটা হালাল এবং এটার হারাম’ নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা রচনা করে তাদের মঙ্গল হবে না।
ইরফানুল কুরআন
১১৬. আর এমন মিথ্যা বলো না যা তোমাদের জিহ্বা বলতে থাকে, ‘এটি হালাল এবং এটি হারাম’, এভাবে তোমরা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা অপবাদ রচনা করে থাকো। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা অপবাদ রচনা করে তারা (কখনো) সফলতা পাবে না।
مَتَاعٌ قَلِیۡلٌ ۪ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১১৭. (তোমাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে) অল্প সুখ- সম্ভোগ মাত্র; এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
ইরফানুল কুরআন
১১৭. সুখ-সম্ভোগ সামান্য, কিন্তু তাদের জন্যে শাস্তি (বড়ই) যন্ত্রণাদায়ক।
وَ عَلَی الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا حَرَّمۡنَا مَا قَصَصۡنَا عَلَیۡکَ مِنۡ قَبۡلُ ۚ وَ مَا ظَلَمۡنٰہُمۡ وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১১৮. এবং বিশেষ করে ইহুদীদের উপর আমি হারাম করেছি ওই সব বস্তু, যা পূর্বে আপনাকে আমি (পড়ে) শুনিয়েছি এবং আমি তাদের উপর যুল্ম করি নি। হাঁ, তারাই তাদের আত্নাসমূহের উপর যুলুম করছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১১৮. আর ইহুদীদের জন্যে আমরা সেসব বস্তুই হারাম করে দিয়েছিলাম যা আমরা পূর্বে আপনাকে বর্ণনা করেছি এবং আমরা তাদের প্রতি যুলুম করিনি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের আত্মার প্রতি যুলুম করতো।
ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیۡنَ عَمِلُوا السُّوۡٓءَ بِجَہَالَۃٍ ثُمَّ تَابُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ وَ اَصۡلَحُوۡۤا ۙ اِنَّ رَبَّکَ مِنۡۢ بَعۡدِہَا لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১১৯. অতঃপর নিশ্চয় আপনার রব তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে বসেছে; অতঃপর এর পড়ে তাওবা করেছে এবং (নিজেদেরকে) সংশোধন করে নিয়েছে, নিশ্চয় আপনার রব এরপর অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১১৯. বাস্তবিকই আপনার প্রতিপালক সেসব লোকদের জন্যে, যারা অজ্ঞতার মাধ্যমে ভুল করেছে, এরপর তওবা করেছে এবং (নিজের) অবস্থাকে সংশোধন করে নিয়েছে; নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক এরপর মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
اِنَّ اِبۡرٰہِیۡمَ کَانَ اُمَّۃً قَانِتًا لِّلّٰہِ حَنِیۡفًا ؕ وَ لَمۡ یَکُ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۱۲۰﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১২০. নিশ্চয় ইব্রাহীম এক ‘ইমাম’ ছিলো; আল্লাহ্র অনুগত এবং সবার থেকে আলাদা; এবং মুশরিক ছিলো না;
ইরফানুল কুরআন
১২০. নিশ্চয়ই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম একক সত্তায়) ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহ্র অত্যন্ত অনুগত, সকল বাতিল থেকে দূরে (কেবল তাঁরই দিকে নিবিষ্ট)। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
شَاکِرًا لِّاَنۡعُمِہٖ ؕ اِجۡتَبٰہُ وَ ہَدٰىہُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۱۲۱﴾
কানযুল ঈমান
১২১. তাঁর অনুগ্রহের উপর কৃতজ্ঞ, আল্লাহ্ তাকে বেছে নিয়েছেন এবং তাকে সোজা পথ প্রদর্শন করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
১২১. তিনি ছিলেন (আল্লাহ্র) নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী। আল্লাহ্ তাঁকে বাছাই করে (নিজ সমীপে বিশেষ মনোনীত করে) নিয়েছেন। আর তাঁকে সরল পথের দিকে হেদায়াত দান করেছেন।
وَ اٰتَیۡنٰہُ فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً ؕ وَ اِنَّہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ لَمِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۲۲﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১২২. আর আমি তাকে দুনিয়ায় মঙ্গল দিয়েছি এবং নিঃসন্দেহে আখিরাতে সে নৈকট্যের উপযোগী।
ইরফানুল কুরআন
১২২. আর আমরা তাকে দুনিয়াতে(ও) কল্যাণ দান করেছি এবং নিশ্চয়ই তিনি পরকালে(ও) সৎকর্মশীলদের মধ্যে পরিগণিত হবেন।
ثُمَّ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ اَنِ اتَّبِعۡ مِلَّۃَ اِبۡرٰہِیۡمَ حَنِیۡفًا ؕ وَ مَا کَانَ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۱۲۳﴾
কানযুল ঈমান
১২৩. অতঃপর আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি যে, ‘ইব্রাহীমের দ্বীনের অনুসরণ করুন, যে প্রত্যেক বাতিল থেকে পৃথক ছিলো এবং মুশরিক ছিলো না’।
ইরফানুল কুরআন
১২৩. অতঃপর (হে সম্মানিত হাবীব!) আমরা আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, ‘আপনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর দ্বীনের অনুসরণ করুন, যা ছিল সকল বাতিল থেকে পৃথক। আর তিনি মুশরিকদের মধ্যে ছিলেন না।’
اِنَّمَا جُعِلَ السَّبۡتُ عَلَی الَّذِیۡنَ اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ ؕ وَ اِنَّ رَبَّکَ لَیَحۡکُمُ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فِیۡمَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۱۲۴﴾
কানযুল ঈমান
১২৪. শনিবারকে তো তাদের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যারা এ সম্বন্ধে মতভেদকারী হয়ে গেছে। এবং নিশ্চয় আপনার রব ক্বিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন যে বিষয়ে তারা মতভেদ করতো।
ইরফানুল কুরআন
১২৪. শনিবার পালন কেবল তাদের জন্যে নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছিল যারা এতে মতবিরোধ করেছিল। আর নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মাঝে সেসব (বিষয়ের) ফায়সালা করবেন, যাতে তারা মতবিরোধ করতো।
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡہُمۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ وَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۲۵﴾
কানযুল ঈমান
১২৫. (আপনি) আপন রবের পথের দিকে আহ্বান করুন পরিপক্ক কলা-কৌশল ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে ওই পন্থায় তর্ক করুন, যা সর্বাধিক উত্তম হয়। নিশ্চয় আপনার রব তাকে ভালভাবে জানেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি ভালভাবে জানেন সৎপথ প্রাপ্তদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
১২৫. (হে সম্মানিত রাসূল!) আপনি আপনার প্রতিপালকের পথের দিকে প্রজ্ঞা ও উৎকৃষ্ট উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করুন। আর তাদের সাথে আলোচনা(ও) এমন পন্থায় করুন, যা অতিশয় সুন্দর। নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক তাকে(ও) খুব ভালোভাবে জানেন যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে। আর তিনি হেদায়াতপ্রাপ্ত লোকদেরকে(ও) ভালোভাবেই জানেন।
وَ اِنۡ عَاقَبۡتُمۡ فَعَاقِبُوۡا بِمِثۡلِ مَا عُوۡقِبۡتُمۡ بِہٖ ؕ وَ لَئِنۡ صَبَرۡتُمۡ لَہُوَ خَیۡرٌ لِّلصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۲۶﴾
কানযুল ঈমান
১২৬. এবং যদি তোমরা শাস্তি দাও, তবে এমনই শাস্তি দাও যেমন তোমাদেরকে কষ্ট দিয়েছিলো এবং যদি তোমরা ধৈর্যধারণ করো, তবে নিঃসন্দেহে ধৈর্যশীলদের জন্য ধৈর্য সর্বাধিক উত্তম।
ইরফানুল কুরআন
১২৬. আর যদি তোমরা শাস্তি দিতে চাও, তবে এমন পরিমাণ শাস্তি দাও, যে পরিমাণ কষ্ট তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, তবে অবশ্যই তিনি ধৈর্যধারণকারীদের জন্যে উত্তম।
وَ اصۡبِرۡ وَ مَا صَبۡرُکَ اِلَّا بِاللّٰہِ وَ لَا تَحۡزَنۡ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا تَکُ فِیۡ ضَیۡقٍ مِّمَّا یَمۡکُرُوۡنَ ﴿۱۲۷﴾
কানযুল ঈমান
১২৭. আর হে মাহবূব! আপনি ধৈর্যধারণ করুন এবং আপনার ধৈর্য আল্লাহ্রই সাহায্যক্রমে, আর তাদের জন্য দুঃখ করবেন না এবং তাদের প্রতাঁরণার কারণে আপনি মনঃক্ষুণ্ণ হবেন না।
ইরফানুল কুরআন
১২৭. আর (হে সম্মানিত হাবীব!) ধৈর্য ধারণ করুন এবং আপনার ধৈর্য ধারণ করা আল্লাহ্রই সাথে। আর আপনি তাদের (অবাধ্যতার) উপর চিন্তিত হবেন না। আর আপনি তাদের প্রতারণাপূর্ণ কাজ থেকে (আপনার প্রশস্ত বক্ষে) সংকীর্ণতা(ও) অনুভব করবেন না।
اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا وَّ الَّذِیۡنَ ہُمۡ مُّحۡسِنُوۡنَ ﴿۱۲۸﴾
কানযুল ঈমান
১২৮. নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদের সাথে আছেন, যারা ভয় করে এবং সৎকর্ম করে।
ইরফানুল কুরআন
১২৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদেরকে স্বীয় (বিশেষ) সাহচর্যের দ্বারা অনুগ্রহ করেন, যে তাক্বওয়ার অধিকারী হয়েছে এবং তাদেরকে যারা ইহসানের(ও) অধিকারী।