Back
আন নাযি’আত
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
وَ النّٰزِعٰتِ غَرۡقًا ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. শপথ তাদেরই, যারা কঠোরতার সাথে প্রাণ টেনে নেয়,
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ তাদের (অর্থাৎ ফেরেশতাগণের) যারা নির্মমভাবে (কাফেরদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে তাদের প্রাণ) ছিনিয়ে নেন, (অথবা শপথ সে শক্তির তরঙ্গমালার যা পদার্থকে বিদীর্ণ করে রাসায়নিক বন্ধনগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে,)
Play Share Copy
وَّ النّٰشِطٰتِ نَشۡطًا ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং নম্রতার সাথে বন্ধন খুলে দেয়,
ইরফানুল কুরআন
২. আর শপথ সে (ফেরেশতা) সকলের, যারা অত্যধিক কোমলতার সাথে এবং মৃদুভাবে খুলে ফেলেন (মুমিনদের প্রাণের) বন্ধন, অথবা শপথ সে শক্তির তরঙ্গমালার যা পদার্থের মধ্যকার রাসায়নিক বন্ধনগুলো আলতোভাবে এবং মৃদুভাবে ভেঙ্গে দেয়,)
Play Share Copy
وَّ السّٰبِحٰتِ سَبۡحًا ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং সহজভাবে সন্তরণ করে,
ইরফানুল কুরআন
৩. আর শপথ সে (ফেরেশতা) সকলের যারা দ্রুততার সাথে (আসমান ও যমিনের মাঝখানে) সন্তরণরত থাকেন, (অথবা শপথ সে শক্তির তরঙ্গমালার যা শূন্যে ও আকাশমন্ডলে অবাধে ঘোরাফেরা করে,)
Play Share Copy
فَالسّٰبِقٰتِ سَبۡقًا ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. অতঃপর সম্মুখে ধাবিত হয়ে দ্রুত পৌঁছে যায়;
ইরফানুল কুরআন
৪. অতঃপর শপথ সে (ফেরেশতা) সকলের যারা দ্রুত গতিতে ঝাঁপ দিয়ে (অন্যদের) অগ্রে চলেন, (অথবা, শপথ সে শক্তির তরঙ্গমালার যা গতি, বল এবং শোষণ ক্ষমতায় অতিক্রম করে যায় অন্যান্য তরঙ্গমালাকে,)
Play Share Copy
فَالۡمُدَبِّرٰتِ اَمۡرًا ۘ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. অতঃপর কাজের ব্যবস্থাপনা করে যে, কাফিরদের উপর অবশ্য শাস্তি আপতিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫. অতঃপর শপথ সে (ফেরেশতা) সকলের যারা সুচারুরূপে পরিচালনা করেন বিভিন্ন বিষয়, (অথবা, শপথ সে শক্তির তরঙ্গমালার, যা পারস্পারিক গতি এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে, মহাবিশ্বের শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে, পরিচালনার ভারসাম্য ও সুস্থিতি বজায় রাখে,)
Play Share Copy
یَوۡمَ تَرۡجُفُ الرَّاجِفَۃُ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. যেদিন কম্পনকারী কম্পন করবে,
ইরফানুল কুরআন
৬. (যখন তাদেরকে মহাবিশ্বের শৃঙ্খলা ব্যবস্থা তছনছ করে ধ্বংস করার আদেশ দেওয়া হবে,) সেদিন (বিশ্বজগতের) গতিশীল সমস্ত কিছু প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে প্রকম্পিত হবে,
Play Share Copy
تَتۡبَعُہَا الرَّادِفَۃُ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. তার পশ্চাতে আসবে পশ্চাতে আগমনকারী,
ইরফানুল কুরআন
৭. পশ্চাতে আগমনকারী আরো এক প্রচন্ড ভূকম্পন তার পশ্চাতে আগমন করবে।
Play Share Copy
قُلُوۡبٌ یَّوۡمَئِذٍ وَّاجِفَۃٌ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. কত হৃদয় সেদিন ধড়ফড় করতে থাকবে;
ইরফানুল কুরআন
৮. সেদিন (মানুষের) অন্তরাত্মা ভয়ে ও উৎকন্ঠায় সন্ত্রস্ত হবে।
Play Share Copy
اَبۡصَارُہَا خَاشِعَۃٌ ۘ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. চক্ষুগুলো উপরের দিকে উঠাতে পারবে না।
ইরফানুল কুরআন
৯. তাদের দৃষ্টি (ভীতি ও আতঙ্কে) নত হবে।
১০
Play Share Copy
یَقُوۡلُوۡنَ ءَاِنَّا لَمَرۡدُوۡدُوۡنَ فِی الۡحَافِرَۃِ ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. কাফিররা বলে, ‘আমাদেরকে কি পুনরায় উল্টো দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে-
ইরফানুল কুরআন
১০. কাফেরেরা বলে: ’আমাদেরকে কি পূর্বের জীবনে ফিরিয়ে নেয়া হবে?
১১
Play Share Copy
ءَ اِذَا کُنَّا عِظَامًا نَّخِرَۃً ﴿ؕ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আমরা কি যখন গলিত হাড় হয়ে যাবো?
ইরফানুল কুরআন
১১. যখন আমরা পঁচা-(ফাঁপা) অস্থিতে পরিণত হবো (তখনো কি আমাদেরকে জীবিত করা হবে)?’
১২
Play Share Copy
قَالُوۡا تِلۡکَ اِذًا کَرَّۃٌ خَاسِرَۃٌ ﴿ۘ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. (তারা) বললো, ‘এমনি তো এ প্রত্যাবর্তন নিরেট ক্ষতিই’।
ইরফানুল কুরআন
১২. তারা বলে: ‘এ (প্রত্যাবর্তন) তো তখন এক বিরাট সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন হবে’।
১৩
Play Share Copy
فَاِنَّمَا ہِیَ زَجۡرَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. অতঃপর তা তো নয়, কিন্তু একটা প্রচণ্ড ধমক,
ইরফানুল কুরআন
১৩. তবে তো এ একটিমাত্র প্রচন্ড ভয়াবহ বিস্ফোরণ-ধ্বনিতে (বিশ্বজগতের সকল কিছু) বিদীর্ণ হয়ে যাবে।
১৪
Play Share Copy
فَاِذَا ہُمۡ بِالسَّاہِرَۃِ ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তখনি তারা খোলা মাঠে এসে পড়বে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. অতঃপর তারা (সবাই) তৎক্ষণাৎ (হাশরের) উন্মুক্ত ময়দানে এসে জড়ো হবে।
১৫
Play Share Copy
ہَلۡ اَتٰىکَ حَدِیۡثُ مُوۡسٰی ﴿ۘ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. (হে হাবীব) আপনার নিকট কি মূসার বৃত্তান্ত এসেছে?
ইরফানুল কুরআন
১৫. আপনার কাছে কি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর বৃত্তান্ত পৌঁছেছে,
১৬
Play Share Copy
اِذۡ نَادٰىہُ رَبُّہٗ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی ﴿ۚ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যখন তাঁকে তার রব পবিত্র উপত্যকা ‘তূওয়া’র মধ্যে ডাক দিয়ে বললেন,
ইরফানুল কুরআন
১৬. যখন তাঁর প্রতিপালক তাঁকে পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় ডেকেছিলেন?
১৭
Play Share Copy
اِذۡہَبۡ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّہٗ طَغٰی ﴿۫ۖ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. ফির’আঊনের নিকট যাও! সে মাথাচাড়া দিয়েছে’।
ইরফানুল কুরআন
১৭. (এবং আদেশ দিয়েছিলেন:) ‘ফিরাউনের নিকট যাও, সে অবাধ্য হয়ে গিয়েছে’।
১৮
Play Share Copy
فَقُلۡ ہَلۡ لَّکَ اِلٰۤی اَنۡ تَزَکّٰی ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. অতঃপর তাকে বলো, ‘তোমার কি এদিকে আগ্রহ আছে যে, তুমি পবিত্র হবে-
ইরফানুল কুরআন
১৮. অতঃপর (তাকে) বলো: ‘তুমি কি চাও যে, তুমি পবিত্র হও?
১৯
Play Share Copy
وَ اَہۡدِیَکَ اِلٰی رَبِّکَ فَتَخۡشٰی ﴿ۚ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. আর তোমাকে (আমি) তোমার রবের দিকে পথ প্রদর্শন করবো, যেন তুমি ভয় করো?’
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর (তুমি কি চাও যে) আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ প্রদর্শন করি, যাতে তুমি (তাঁকে) ভয় করো?’
২০
Play Share Copy
فَاَرٰىہُ الۡاٰیَۃَ الۡکُبۡرٰی ﴿۫ۖ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. অতঃপর মূসা তাকে খুব বড় নিদর্শন দেখালো।
ইরফানুল কুরআন
২০. অতঃপর মূসা (আলাইহিস সালাম) তাকে মহানিদর্শন প্রদর্শন করলেন।
২১
Play Share Copy
فَکَذَّبَ وَ عَصٰی ﴿۫ۖ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অতঃপর সে অস্বীকার করলো এবং অমান্য করলো।
ইরফানুল কুরআন
২১. কিন্তু সে তা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করলো এবং অমান্য করলো।
২২
Play Share Copy
ثُمَّ اَدۡبَرَ یَسۡعٰی ﴿۫ۖ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. অতঃপর পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো, নিজ প্রচেষ্টায় লেগে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
২২. অতঃপর সে (সত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়ে (মুসা আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে) অপচেষ্টা শুরু করলো।
২৩
Play Share Copy
فَحَشَرَ فَنَادٰی ﴿۫ۖ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. অতঃপর লোকজনকে একত্রিত করলো। তারপর আহ্বান করলো।
ইরফানুল কুরআন
২৩. সুতরাং সে লোকজনকে জড়ো করলো এবং ডাকতে লাগলো,
২৪
Play Share Copy
فَقَالَ اَنَا رَبُّکُمُ الۡاَعۡلٰی ﴿۫ۖ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. অতঃপর বললো, ‘আমি তোমাদের সর্বোচ্চ রব’।
ইরফানুল কুরআন
২৪. তারপর সে বললো: ‘আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ ও সমুন্নত প্রতিপালক’।
২৫
Play Share Copy
فَاَخَذَہُ اللّٰہُ نَکَالَ الۡاٰخِرَۃِ وَ الۡاُوۡلٰی ﴿ؕ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. অতঃপর আল্লাহ্‌ তাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের শাস্তিতে পাকড়াও করলেন।
ইরফানুল কুরআন
২৫. অতঃপর আল্লাহ্ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার (দ্বৈত) শাস্তিতে পাকড়াও করলেন।
২৬
Play Share Copy
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّمَنۡ یَّخۡشٰی ﴿ؕ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. নিশ্চয় এর মধ্যে শিক্ষা লাভ হয় তারই, যে ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
২৬. নিশ্চয় এতে (এ ঘটনায়) তার জন্যে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ উপদেশ রয়েছে, যে (আল্লাহ্কে) ভয় করে।
২৭
Play Share Copy
ءَاَنۡتُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمِ السَّمَآءُ ؕ بَنٰہَا ﴿ٝ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. তোমাদের বুঝ মতে, তোমাদের সৃষ্টি করা কি দুঃসাধ্য, না আস্‌মানের (সৃষ্টি)? আল্লাহ্‌ সেটা তৈরি করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
২৭. তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কি অধিক কঠিন, নাকি (সমগ্র) মহাবিশ্ব, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন?
২৮
Play Share Copy
رَفَعَ سَمۡکَہَا فَسَوّٰىہَا ﴿ۙ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. সেটার ছাদ উঁচু করেছেন অতঃপর সেটাকে বরাবর করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২৮. তিনি (অসীম মহাশূন্য সৃষ্টি করে) বিশ্বজগতের স্তর (তারকামন্ডল) সমুন্নত করেছেন, অতঃপর (সংযুক্তি, গঠন, কার্যাবলী ও গতিশীলতা) এগুলোকে সংযত, সুবিন্যস্ত এবং স্থিতিশীল করেছেন।
২৯
Play Share Copy
وَ اَغۡطَشَ لَیۡلَہَا وَ اَخۡرَجَ ضُحٰہَا ﴿۪۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. সেটার রাতকে অন্ধকারময়ী করেছেন এবং সেটার আলোককে চমকিত করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
২৯. আর তিনিই আসমানী মহাশূন্যের রাতকে (অর্থাৎ সমগ্র মহাশূন্য জগতকে রাতের ন্যায়) অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং (এ শূন্যমন্ডল থেকে) এসব (নক্ষত্র)-এর জ্যোতি (সৃষ্টি করে) বিকীর্ণ করেছেন।
৩০
Play Share Copy
وَ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ ذٰلِکَ دَحٰىہَا ﴿ؕ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং পরে যমীনকে প্রসারিত করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর তিনিই (এ সূর্য নামক নক্ষত্র থেকে) পরবর্তীতে পৃথিবীকে পৃথক করে কেন্দ্রীভূক্ত শক্তি দিয়ে সজোরে নিক্ষেপ করেছেন (এবং বাসযোগ্য আবাসে পরিণত করতে বিস্তৃত করে দিয়েছেন)।
৩১
Play Share Copy
اَخۡرَجَ مِنۡہَا مَآءَہَا وَ مَرۡعٰہَا ﴿۪۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. সেটার মধ্য থেকে সেটার পানি এবং চারা বের করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
৩১. তিনিই পৃথিবী থেকে এর জলভাগকে (পৃথক করে) নির্গত করেছেন আর (বাকী শুকনো স্থলভাগে) উদ্ভিদ রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন।
৩২
Play Share Copy
وَ الۡجِبَالَ اَرۡسٰہَا ﴿ۙ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং পাহাড়গুলোকে জমিয়ে রেখেছেন;
ইরফানুল কুরআন
৩২. এবং তিনিই পৃথিবী থেকে (বিভিন্ন উপাদান পরস্পরে একত্রিত করে) দৃঢ়ভাবে দাঁড় করিয়েছেন অনড় পর্বতমালা।
৩৩
Play Share Copy
مَتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِاَنۡعَامِکُمۡ ﴿ؕ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. তোমাদের নিজেদের এবং তোমাদের পশুগুলোর উপকারার্থে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. (এ সব কিছুই তিনি করেছেন) তোমাদের এবং তোমাদের চতুষ্পদ পশুদের ভোগের জন্যে।
৩৪
Play Share Copy
فَاِذَا جَآءَتِ الطَّآمَّۃُ الۡکُبۡرٰی ﴿۫ۖ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. তারপর যখন এসে পড়বে সেই সাধারণ বিপদ, যা সর্বাধিক ভয়ঙ্কর,
ইরফানুল কুরআন
৩৪. অতঃপর তখন (বিশ্বজগতের ক্রমবর্ধমান) বিবর্তনে (তার চূড়ান্ত সময়ে) সবকিছুর উপর আধিপত্যশীল মহা বিপর্যয় (কিয়ামত) সংঘটিত হবে।
৩৫
Play Share Copy
یَوۡمَ یَتَذَکَّرُ الۡاِنۡسَانُ مَا سَعٰی ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. সেদিন মানুষ স্মরণ করবে যা চেষ্টা করেছিলো,
ইরফানুল কুরআন
৩৫. সেদিন মানুষ স্মরণ করবে তার নিজের (প্রতিটি) প্রচেষ্টা এবং কর্মের কথা।
৩৬
Play Share Copy
وَ بُرِّزَتِ الۡجَحِیۡمُ لِمَنۡ یَّرٰی ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং জাহান্নামকে প্রতিটি প্রত্যক্ষকারীর সামনে প্রকাশ করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. প্রত্যেক অবলোকনকারীর কাছে জাহান্নামকে সুস্পষ্ট করে দেয়া হবে।
৩৭
Play Share Copy
فَاَمَّا مَنۡ طَغٰی ﴿ۙ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. অতঃপর সে ব্যক্তি অবাধ্যতা প্রকাশ করেছে
ইরফানুল কুরআন
৩৭. অতঃপর যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করলো,
৩৮
Play Share Copy
وَ اٰثَرَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
৩৮. এবং পার্থিব জীবনকে (আখেরাতের উপরে) প্রাধান্য দিল,
৩৯
Play Share Copy
فَاِنَّ الۡجَحِیۡمَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی ﴿ؕ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. সুতরাং নিশ্চয় জাহান্নামই তার ঠিকানা।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. তবে অবশ্যই জাহান্নামই হবে (তার) ঠিকানা।
৪০
Play Share Copy
وَ اَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَ نَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ﴿ۙ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. আর ওই ব্যক্তি, যে আপন রবের সামনে দাঁড়াবার ভয় করেছে এবং নাফ্‌সকে কু-প্রবৃত্তি থেকে বিরত রেখেছে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. আর যে ব্যক্তি নিজ প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড়ানোর ভয় রাখলো এবং (নিজ) সত্তাকে (মন্দ) লালসা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখলো,
৪১
Play Share Copy
فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی ﴿ؕ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. তবে, নিশ্চয় জান্নাতই তার ঠিকানা।
ইরফানুল কুরআন
৪১. তবে নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে (তার) ঠিকানা।
৪২
Play Share Copy
یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ السَّاعَۃِ اَیَّانَ مُرۡسٰہَا ﴿ؕ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. (হে হাবীব!) আপনাকে ক্বিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে- ‘তা কোন সময়ের জন্য নির্ধারিত রয়েছে?’
ইরফানুল কুরআন
৪২. (কাফেরেরা) আপনাকে কিয়ামত স¤পর্কে জিজ্ঞেস করে, ‘তা কখন সংঘটিত হবে?’
৪৩
Play Share Copy
فِیۡمَ اَنۡتَ مِنۡ ذِکۡرٰىہَا ﴿ؕ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক?
ইরফানুল কুরআন
৪৩. সুতরাং এর (নির্ধারিত সময়) উল্লেখ সম্পর্কে আপনার কী উদ্বেগ ?
৪৪
Play Share Copy
اِلٰی رَبِّکَ مُنۡتَہٰىہَا ﴿ؕ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. আপনার রব পর্যন্তই সেটার শেষ।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. এর সমাপ্তি তো কেবল আপনার পালনকর্তার পর্যন্ত (অর্থাৎ প্রারম্ভের মত সমাপ্তিতেও তাঁরই একত্ব রয়ে যাবে)।
৪৫
Play Share Copy
اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُنۡذِرُ مَنۡ یَّخۡشٰہَا ﴿ؕ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. আপনি শুধু তো তাকেই ভীতি প্রদর্শনকারী, যে তাতে ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আপনি তো কেবল সে ব্যক্তিকে সতর্ককারী, যে এর ভয় রাখে।
৪৬
Play Share Copy
کَاَنَّہُمۡ یَوۡمَ یَرَوۡنَہَا لَمۡ یَلۡبَثُوۡۤا اِلَّا عَشِیَّۃً اَوۡ ضُحٰہَا ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. যেদিন তারা সেটাকে দেখবে, তখন (মনে করবে) যেন দুনিয়ার মধ্যে (তারা) অবস্থান করে নি, কিন্তু একটা মাত্র সন্ধ্যা কিংবা এর একটা পূর্বাহ্ন মাত্র।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. অতএব যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন (তাদের মনে হবে) তারা যেন (পৃথিবীতে) কেবলমাত্র এক সন্ধ্যা বা তার এক সকাল অবস্থান করেছে।