Back
আন নূর
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
سُوۡرَۃٌ اَنۡزَلۡنٰہَا وَ فَرَضۡنٰہَا وَ اَنۡزَلۡنَا فِیۡہَاۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ لَّعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. এটা এক সূরা, যা আমি অবতীর্ণ করেছি এবং আমি সেটার বিধানাবলী অবশ্যই পালনীয় করেছি; আর আমি তাতে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা মনোযোগ দাও।
ইরফানুল কুরআন
১. (এটি) এক (মহান) সূরা যা আমরা অবতীর্ণ করেছি এবং আমরা একে (এ সূরার বিধানকে) আবশ্যক করে দিয়েছি, আর আমরা এতে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা উপদেশ ও হেদায়াত গ্রহণ করতে পারো।
Play Share Copy
اَلزَّانِیَۃُ وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِہِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡہَدۡ عَذَابَہُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. যেই নারী ব্যভিচারিণী হয় এবং যে পুরুষ (হয় ব্যভিচারী) তবে তাদের প্রত্যেককে একশ’ কশা ঘাত করো এবং তোমাদের যেন তাদের প্রতি দয়া না আসে আল্লাহ্‌র দ্বীনে যদি তোমরা ঈমান এনে থাকো আল্লাহ্‌ ও শেষ দিবসের উপর, এবং উচিত যে, তাদের শাস্তির সময় মুসলমানদের একটা দল উপস্থিত থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
২. ব্যভিচারিণী নারী এবং ব্যভিচারী (অবিবাহিত) পুরুষ - তাদের প্রত্যেককে (বিধিবদ্ধ শর্তাবলী সহ ব্যভিচারের অপরাধ সাব্যস্ত হবার পর) একশ বেত্রাঘাত করো (অপরদিকে বিবাহিত পুরুষ ও নারীর ব্যভিচারের শাস্তি প্রস্তরাঘাত, আর এটি মৃত্যুদন্ড)। আর তোমাদের মধ্যে এ দু’জনের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র দ্বীনের (বিধান বাস্তবায়নের) ব্যাপারে সামান্যতম দয়ার উদ্রেক যেন না হয়; যদি তোমরা আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখো। আর মুসলমানদের (বৃহৎ) একটি দল যেন তাদের উভয়ের শাস্তি (কার্যকর হবার মূহুর্ত) প্রত্যক্ষ করে।
Play Share Copy
اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً ۫ وَّ الزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُہَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ ۚ وَ حُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. ব্যভিচারী পুরুষ বিবাহ করবে না, কিন্তু ব্যভিচারিণীকে অথবা অংশীবাদীনীকে এবং ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করবে না, কিন্তু ব্যভিচারী পুরুষ অথবা মুশরিক; আর এ কাজ ঈমানদারদের উপর হারাম।
ইরফানুল কুরআন
৩. ব্যভিচারী পুরুষ ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারী ব্যতীত (কোনো পবিত্র নারীকে) বিবাহ্ (করা পছন্দ) করে না এবং ব্যভিচারিণী(ও) ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ব্যতীত কোনো (সৎকর্মশীল) কাউকে বিবাহ (করা পছন্দ) করে না। আর এ (ব্যভিচার) মুসলমানদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُہَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡہُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّ لَا تَقۡبَلُوۡا لَہُمۡ شَہَادَۃً اَبَدًا ۚ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং যারা পূন্যাত্না রমণীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করবে, অতঃপর চারজন চাক্ষুষ সাক্ষী উপস্থিত করবে না, তবে তাদেরকে আশিটি কশাঘাত করো এবং তাদের কোন সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করো না এবং তারা ফাসিক্বই;
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যারা সতী-সাধ্বী নারীদের প্রতি (ব্যভিচারের) অপবাদ দেয়, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারে না, (মিথ্যা অপবাদের শাস্তি হিসেবে) তোমরা তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করো এবং কখনো তাদের সাক্ষী গ্রহণ করো না। আর এরাই পাপাচারী লোক,
Play Share Copy
اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ وَ اَصۡلَحُوۡا ۚ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. কিন্তু যারা এরপরে তাওবা করে নেয় এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, তবে আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৫. তবে সেসব লোক ছাড়া যারা (মিথ্যা অপবাদ) -এর পর তওবা করেছে এবং (নিজেদেরকে) সংশোধন করেছে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। (তারা পাপাচারীদের মধ্যে গণ্য হবে না, তবে তাদের উপর থেকে মিথ্যা অপবাদ প্রদানের শাস্তি মাফ হবে না)।
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَہُمۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّہُمۡ شُہَدَآءُ اِلَّاۤ اَنۡفُسُہُمۡ فَشَہَادَۃُ اَحَدِہِمۡ اَرۡبَعُ شَہٰدٰتٍۭ بِاللّٰہِ ۙ اِنَّہٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আর ওই সব লোক, যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ দেয়, এবং তাদের নিকট নিজেদের বর্ণনা ছাড়া অন্য কোন সাক্ষী থাকে না, তবে (তাদের মধ্যে) এমন কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য এ হবে যে, সে চারবার সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ্‌র নামে এ মর্মে যে, সে সত্যবাদী।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর (ব্যভিচারের) অপবাদ আরোপ করেছে অথচ তাদের নিকট তারা নিজেরা ব্যতীত কোনো সাক্ষী নেই, তবে এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এরূপ হবে যে, (সে) আল্লাহ্‌র নামে চারবার শপথ করে সাক্ষ্য দিবে যে, সে (অভিযোগ আরোপে) সত্যবাদী।
Play Share Copy
وَ الۡخَامِسَۃُ اَنَّ لَعۡنَتَ اللّٰہِ عَلَیۡہِ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং পঞ্চমবারে এ কথা (বলবে) যে, আল্লাহ্‌র লা’নত হোক তার উপর যদি সে মিথ্যাবাদী হয়।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর পঞ্চমবার এরূপ (বলবে) যে, তার উপর আল্লাহ্‌র অভিসম্পাত যদি সে মিথ্যাবাদী হয়।
Play Share Copy
وَ یَدۡرَؤُا عَنۡہَا الۡعَذَابَ اَنۡ تَشۡہَدَ اَرۡبَعَ شَہٰدٰتٍۭ بِاللّٰہِ ۙ اِنَّہٗ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং স্ত্রীর শাস্তি এভাবে রহিত হবে যে, সে আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, পুরুষ (তার স্বামী) মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর (এভাবে) এ কথা নারীর শাস্তিকেও রহিত করতে পারে যদি সে চারবার আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে (নিজে) সাক্ষ্য দেয় যে, সে (স্বামীটি এ অপবাদ আরোপের ক্ষেত্রে) মিথ্যাবাদী।
Play Share Copy
وَ الۡخَامِسَۃَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰہِ عَلَیۡہَاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং পঞ্চমবারে এ কথা (বলবে) যে, তার উপর আল্লাহ্‌র গযব পতিত হোক, যদি পুরুষ (স্বামী) সত্যবাদী হয়!’
ইরফানুল কুরআন
৯. আর পঞ্চমবার এরূপ (বলবে) যে, তার উপর (অর্থাৎ আমার উপর) আল্লাহ্‌র ক্রোধ বর্ষিত হোক, যদি সে (স্বামী এ অভিযোগ আরোপের ক্ষেত্রে) সত্যবাদী হয়।
১০
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ وَ اَنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তার দয়া তোমাদের উপর না হতো তাহলে তোমাদের রহস্য ফাস করে দিতেন। আর আল্লাহ্‌ হন তাওবা গ্রহণকারী প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া ও অনুগ্রহ না হতো (তবে তোমরা এরূপ অবস্থায় অধিক বিচলিত হতে)। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বড়ই তওবা কবুলকারী, প্রজ্ঞাময়।
১১
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ جَآءُوۡ بِالۡاِفۡکِ عُصۡبَۃٌ مِّنۡکُمۡ ؕ لَا تَحۡسَبُوۡہُ شَرًّا لَّکُمۡ ؕ بَلۡ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ؕ لِکُلِّ امۡرِیًٴ مِّنۡہُمۡ مَّا اکۡتَسَبَ مِنَ الۡاِثۡمِ ۚ وَ الَّذِیۡ تَوَلّٰی کِبۡرَہٗ مِنۡہُمۡ لَہٗ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা এ ‘বড় অপবাদ’ নিয়ে এসেছে তারা তোমাদেরই মধ্যকার একটা দল; সেটাকে নিজেদের জন্য অনিষ্টকর মনে করো না; বরং তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ওই পাপ রয়েছে, সে অর্জন করেছে; এবং তাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি, যে সর্বাপেক্ষা বড় অংশ নিয়েছে (প্রধান ভূমিকা পালন করেছে) তার জন্য মহা শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১১. নিশ্চয়ই যারা (আয়েশা সিদ্দিকা তায়্যিবা তাহিরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার প্রতি) মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছিল (তারাও) তোমাদেরই একটি দল ছিল। তোমরা একে (এ মিথ্যা অপবাদের ঘটনাকে) নিজেদের জন্যে অনিষ্টকর মনে করো না বরং এটি তোমাদের জন্যে কল্যাণকর (হয়েছে)।* তাদের প্রত্যেকের জন্যে সে পরিমাণই গোনাহ্ যেটুকু তারা অর্জন করেছে। আর (মিথ্যা অপবাদ আরোপের ক্ষেত্রে) তাদের মধ্য থেকে যে তাতে প্রধান ভুমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি। * (কেননা তোমাদের জন্যে এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই শরীয়তের বিধান অর্জিত হয়েছে, আর আয়েশা সিদ্দিকা তায়্যিবা তাহিরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার পূতঃপবিত্রতার সাক্ষী হয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ্ যাঁর মাধ্যমে তোমরা তাঁর উচ্চ মর্যাদা জানতে পেরেছো।)
১২
Play Share Copy
لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡہُ ظَنَّ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بِاَنۡفُسِہِمۡ خَیۡرًا ۙ وَّ قَالُوۡا ہٰذَاۤ اِفۡکٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. কেন এমন হয় নি যখন তোমরা সেটা শুনেছিলে- মুসলমান পুরুষগণ এবং মুসলমান নারীগণ নিজেদের (লোকদের) বিষয়ে ভালো ধারণা করতো! এবং বলতো, ‘এতো সুস্পষ্ট অপবাদ!’
ইরফানুল কুরআন
১২. এমনটি কেন হলো না যে, যখন তোমরা একথা (এ মিথ্যা অপবাদ) শুনলে তখন মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীগণ নিজেদের ব্যাপারে সৎ ধারণা করতো এবং (একথা) বলে দিতো যে, ‘এটি সুস্পষ্ট (মিথ্যানির্ভর) অপবাদ?’
১৩
Play Share Copy
لَوۡ لَا جَآءُوۡ عَلَیۡہِ بِاَرۡبَعَۃِ شُہَدَآءَ ۚ فَاِذۡ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِالشُّہَدَآءِ فَاُولٰٓئِکَ عِنۡدَ اللّٰہِ ہُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী কেন উপস্থিত করে নি? সুতরাং যখন সাক্ষী উপস্থিত করে নি, তখন তারাই আল্লাহ্‌র নিকট মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
১৩. এরা (এ সকল অপবাদ প্রদানকারীরা) এ (ডামাডোলের) ঘটনায় চারজন স্বাক্ষী কেন নিয়ে আসেনি? তারা যেহেতু সাক্ষী আনয়ন করতে পারেনি সুতরাং এরাই আল্লাহ্‌র বিধানে মিথ্যাবাদী।
১৪
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ لَمَسَّکُمۡ فِیۡ مَاۤ اَفَضۡتُمۡ فِیۡہِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ۚۖ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তার দয়া তোমাদের উপর দুনিয়া ও আখিরাতে না থাকতো, তাহলে যে চর্চায় তোমরা লিপ্ত হয়েছো তজ্জন্য কঠিন শাস্তি তোমাদেরকে স্পর্শ করতো;
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর যদি দুনিয়া ও আখেরাতে তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ এবং তাঁর রহমত না থাকতো, তবে যে (মিথ্যা অপবাদ) চর্চায় তোমরা মগ্ন ছিলে, তার কারণে অনেক কঠিন শাস্তি তোমাদেরকে স্পর্শ করতো।
১৫
Play Share Copy
اِذۡ تَلَقَّوۡنَہٗ بِاَلۡسِنَتِکُمۡ وَ تَقُوۡلُوۡنَ بِاَفۡوَاہِکُمۡ مَّا لَیۡسَ لَکُمۡ بِہٖ عِلۡمٌ وَّ تَحۡسَبُوۡنَہٗ ہَیِّنًا ٭ۖ وَّ ہُوَ عِنۡدَ اللّٰہِ عَظِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. যখন তোমরা এমন কথা একে অপরের নিকট শুনে নিজেদের মুখে নিয়ে আসছিলে এবং নিজেদের মুখ থেকে তা-ই বের করছিলে যে সম্পর্কে তোমাদের আদৌ জ্ঞান নেই এবং সেটা সহজ (তুচ্ছ) মনে করেছিলে; অথচ সেটা আল্লাহ্‌র নিকট বড় কথা।
ইরফানুল কুরআন
১৫. যখন তোমরা এ বিষয়টি (একে অপরের কাছ থেকে শুনে) নিজেদের রসনায় নিয়ে নিয়েছিলে এবং তোমাদের মুখে এমন কিছু বলেছিলে যার কোনো জ্ঞানই তোমাদের ছিল না এবং একে (এ চর্চাকে) সাধারণ বিষয় মনে করেছিলে; অথচ এটি ছিল আল্লাহ্‌র নিকট অত্যন্ত গুরুতর (ধৃষ্টতা)।
১৬
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَاۤ اِذۡ سَمِعۡتُمُوۡہُ قُلۡتُمۡ مَّا یَکُوۡنُ لَنَاۤ اَنۡ نَّتَکَلَّمَ بِہٰذَا ٭ۖ سُبۡحٰنَکَ ہٰذَا بُہۡتَانٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং কেন এমন হলো না যখন তোমরা শুনেছিলে তখন একথা বলতে, ‘আমাদের জন্য শোভা পায় না এমন কথা বলা। হে আল্লাহ্‌! তোমারই পবিত্রতা! এটাতো গুরুতর অপবাদ!’
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর তোমরা যখন এ (মিথ্যা অপবাদ) শুনেছিলে, তখন তোমরা কেন একথা বললে না, ‘আমাদের জন্যে এ (সমীচিনই) নয় যে, আমরা একথা আমাদের মুখে উচ্চারণ করি?’ (বরং তোমাদের বলা উচিৎ ছিল, ‘হে আল্লাহ্!) তুমি পূতঃপবিত্র (এ বিষয় থেকে, এমন নারীকে স্বীয় সম্মানিত হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের প্রিয়তমা স্ত্রী বানিয়ে দিয়েছো)। এটি অনেক বড় অপবাদ।’
১৭
Play Share Copy
یَعِظُکُمُ اللّٰہُ اَنۡ تَعُوۡدُوۡا لِمِثۡلِہٖۤ اَبَدًا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۚ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন যে, তবে কখনো তোমরা এরূপ বলো না যদি তোমরা ঈমান রাখো।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আল্লাহ্ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন যে, (জীবনেও) কখনো এমন কথার পুনরাবৃত্তি করো না যদি তোমরা ঈমানদার হও।
১৮
Play Share Copy
وَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন আর আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাময়।
১৯
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. ওই সব লোক, যারা চায় যে, মুসলমানদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার হোক, তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে-দুনিয়া ও আখিরাতে এবং আল্লাহ্‌ জানেন আর তোমরা জানো না।
ইরফানুল কুরআন
১৯. নিশ্চয়ই যারা পছন্দ করে যে, মুসলমানদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্যে দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ্ (এমন লোকদের উদ্দেশ্য) জানেন এবং তোমরা জানো না।
২০
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ وَ اَنَّ اللّٰہَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তার দয়া তোমাদের প্রতি না থাকতো, তবে তোমরা সেটার কষ্টের স্বাদ অনুভব করতে আর আল্লাহ্‌ হন তোমাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর যদি তোমাদের প্রতি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের ওসিলায়) আল্লাহ্‌র দয়া ও তাঁর অনুগ্রহ না হতো (তবে তোমাদেরকে পূর্ববর্তী উম্মতদের ন্যায় ধ্বংস করে দেয়া হতো)। কিন্তু আল্লাহ্ অত্যন্ত অনুগ্রহশীল, অসীম দয়ালু।
২১
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّبِعۡ خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ فَاِنَّہٗ یَاۡمُرُ بِالۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ مَا زَکٰی مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّ لٰکِنَّ اللّٰہَ یُزَکِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. হে ঈমানদারগণ! শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। এবং যে শয়তানদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তবে সে তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজেরই কথা বলবে। আর যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তার দয়া তোমাদের প্রতি না থাকতো, তবে তোমাদের মধ্যে কেউই কখনো পবিত্র হতে পারতে না। হাঁ, আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করে দেন এবং আল্লাহ্‌ শুনেন, জানেন।
ইরফানুল কুরআন
২১. হে ঈমানদারগণ! শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, আর কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে সে (শয়তান) নিশ্চিত অশ্লীলতা ও মন্দকাজের (প্রচারের নিমিত্তে) নির্দেশ দেয়। আর যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া ও তাঁর অনুগ্রহ না হতো তবে তোমাদের কেউ কখনোই (এ অপবাদের পাপের কলঙ্ক থেকে) পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ্ যাকে চান পবিত্র করেন, আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
২২
Play Share Copy
وَ لَا یَاۡتَلِ اُولُوا الۡفَضۡلِ مِنۡکُمۡ وَ السَّعَۃِ اَنۡ یُّؤۡتُوۡۤا اُولِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ وَ الۡمُہٰجِرِیۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۪ۖ وَ لۡیَعۡفُوۡا وَ لۡیَصۡفَحُوۡا ؕ اَلَا تُحِبُّوۡنَ اَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰہُ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদাবান ও সামর্থ্যবান তারা যেন এ মর্মে শপথ না করে যে, আত্নীয়-স্বজন, অভাবগ্রস্ত এবং আল্লাহ্‌র পথে হিজরত কারীদেরকে প্রদান করবে না এবং তাদের উচিত যেন ক্ষমা করে দেয় এবং দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি এ কথা পছন্দ করো না যে, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন? এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর তোমাদের মধ্যে মর্যাদার অধিকারী (ধর্মপরায়ণ) এবং (পার্থিব) স্বচ্ছলতার অধিকারী যেন (এখন মিথ্যা অপবাদে অংশীগ্রহণকারী) সেসব নিকটাত্মীয়, অভাবগ্রস্ত এবং আল্লাহ্‌র পথে হিজরতকারীদেরকে (আর্থিক সহায়তা) দান না করার শপথ না করে। তাদের উচিৎ (সে সবের অসদাচরণ) ক্ষমা করে দেয়া এবং (তাদের ত্রুটি) উপেক্ষা করা। তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ্ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন? আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
২৩
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۪ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা অপবাদ আরোপ করে সরলমনা সাধ্বী ঈমানদার নারীদের প্রতি, তাদের উপর লা’নত রয়েছে, দুনিয়া ও আখিরাতে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি;
ইরফানুল কুরআন
২৩. নিশ্চয়ই যারা মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে সাধ্বী নারীদের প্রতি, যারা (অনিষ্টের চিন্তা থেকেও) অনবহিত এবং অনবগত, তারা (উভয় জাহান) দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। আর তাদের জন্যে রয়েছে চরম শাস্তি,
২৪
Play Share Copy
یَّوۡمَ تَشۡہَدُ عَلَیۡہِمۡ اَلۡسِنَتُہُمۡ وَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَرۡجُلُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. যেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তাদেরই রসনাগুলো, তাদের হাতগুলো ও তাদের চরণগুলো যা কিছু তারা করতো সে সম্বন্ধে-
ইরফানুল কুরআন
২৪. যে দিন (স্বয়ং) তাদের জিহ্বা, তাদের হস্ত এবং তাদের চরণ তাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী দিবে যা কিছু তারা করতো,
২৫
Play Share Copy
یَوۡمَئِذٍ یُّوَفِّیۡہِمُ اللّٰہُ دِیۡنَہُمُ الۡحَقَّ وَ یَعۡلَمُوۡنَ اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡحَقُّ الۡمُبِیۡنُ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. সেদিন আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাদের প্রকৃত পুরোপুরি প্রদান করবেন এবং তারা জেনে নেবে যে, আল্লাহ্‌ই সুস্পষ্ট সত্য।
ইরফানুল কুরআন
২৫. সে দিন আল্লাহ্ তাদেরকে (তাদের কৃতকর্মের) প্রাপ্য প্রতিদান পুরোপুরি দেবেন। আর তারা জানবে যে, আল্লাহ্ (নিজেও) সত্য (এবং সত্য) প্রকাশকারী।
২৬
Play Share Copy
اَلۡخَبِیۡثٰتُ لِلۡخَبِیۡثِیۡنَ وَ الۡخَبِیۡثُوۡنَ لِلۡخَبِیۡثٰتِ ۚ وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِکَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا یَقُوۡلُوۡنَ ؕ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অপবিত্র নারীরা অপবিত্র পুরুষদের জন্য এবং অপবিত্র পুরুষগণ অপবিত্র নারীদের জন্য; আর পবিত্র নারীগণ পবিত্র পুরষদের জন্য এবং পবিত্র পুরুষগণ পবিত্র নারীদের জন্য। তারা পবিত্র ওই সব উক্তি থেকে যেগুলো এসব লোক বলছে। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
ইরফানুল কুরআন
২৬. দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্যে (নির্ধারিত) এবং দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্যে। আর (একই ভাবে) সচ্চরিত্র নারী সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্যে (নির্ধারিত) এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্যে। (সুতরাং তোমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের পূতঃপবিত্রতা দেখে খুব ভালোভাবে অনুধাবন করো যে, আল্লাহ্ তাঁর জন্যে তাঁর স্ত্রীও কী পরিমাণ পূতঃপবিত্র বানিয়েছেন।) এ সকল (পবিত্র লোকজন) এ (মিথ্যা অপবাদ) থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত, যা এ (অশ্লীলভাষী) লোকেরা বলে। তাদের জন্যে (তো) ক্ষমা ও মর্যাদা এবং সম্মানজনক জীবিকা (নির্ধারিত) রয়েছে। (তাদের ব্যাপারে জিহ্বা সম্প্রসারিত করে তোমরা কেন নিজেদের মুখ নষ্ট করছো এবং নিজেদের পরকালকে ধ্বংস ও বরবাদ করছো?)
২৭
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ بُیُوۡتِکُمۡ حَتّٰی تَسۡتَاۡنِسُوۡا وَ تُسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَہۡلِہَا ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্যান্য ঘরগুলোতে যেও না যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না নাও এবং সেগুলোর মধ্যে বসবাসকারীদের সালাম না করো। এটা তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা মনোযোগ দাও।
ইরফানুল কুরআন
২৭. হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারো গৃহে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা তাদের অনুমতি লাভ করো এবং (প্রবেশ করার মূহুর্তে) এর অধিবাসীদেরকে সালাম প্রদান করো। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম (উপদেশ), যাতে তোমরা (এর যৌক্তিকতা) চিন্তা-ভাবনা করতে পারো।
২৮
Play Share Copy
فَاِنۡ لَّمۡ تَجِدُوۡا فِیۡہَاۤ اَحَدًا فَلَا تَدۡخُلُوۡہَا حَتّٰی یُؤۡذَنَ لَکُمۡ ۚ وَ اِنۡ قِیۡلَ لَکُمُ ارۡجِعُوۡا فَارۡجِعُوۡا ہُوَ اَزۡکٰی لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. অতঃপর যদি সেগুলোর মধ্যে কাউকেও না পাও। তখনও মালিকদের অনুমতি ব্যতীত সেগুলোতে প্রবেশ করো না এবং যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও!’ তবে ফিরে যাবে। এটা তোমাদের জন্য খুবই পবিত্র। আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্বন্ধে জানেন।
ইরফানুল কুরআন
২৮. অতঃপর যদি তোমরা এতে (এ গৃহে) কাউকে না পাও তবে তোমরা এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদেরকে (এর) অনুমতি দেয়া হয়। আর যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’, তবে তোমরা ফিরে যাবে; এটি তোমাদের জন্যে খুবই উত্তম। আর আল্লাহ্ সে কাজের ব্যাপারে সবিশেষ অবগত যা তোমরা করো।
২৯
Play Share Copy
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ مَسۡکُوۡنَۃٍ فِیۡہَا مَتَاعٌ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা ওই সব ঘরের ভিতর যাবে, যেগুলো বিশেষ করে কারো বসবাসের নয় এবং সেগুলো ভোগ করার ইখতিয়ার তোমাদের রয়েছে; আর আল্লাহ্‌ জানেন যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করো।
ইরফানুল কুরআন
২৯. তোমাদের জন্যে তাতে প্রবেশে কোনো দোষ নেই যে সকল বসতিস্থল (ও ইমারত) কারো স্বতন্ত্র আবাসস্থল নয় (যেমন, হোটেল, সরাইখানা, মুসাফিরখানা এবং এ জাতীয় স্থান, কারণ), এসবে তোমাদের জন্যে সুবিধা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। আর আল্লাহ্ সে সব (বিষয়) জানেন যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করো।
৩০
Play Share Copy
قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِہِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَہُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. মুসলমান পুরুষদেরকে নির্দেশ দিন যেন তারা নিজেদের দৃষ্টিসমূহকে কিছুটা নিচু রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাযত করে। এটা তাদের জন্য খুবই পবিত্র। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র নিকট তাদের কার্যাদির খবর রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; এটি তাদের জন্যে অতি উত্তম। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এ সকল কাজ সম্পর্কে সবিশেষ অবগত যা তারা সম্পন্ন করছে।
৩১
Play Share Copy
وَ قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِہِنَّ وَ یَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَہُنَّ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَ لۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِہِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِہِنَّ ۪ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اٰبَآئِہِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِہِنَّ اَوۡ نِسَآئِہِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡہَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَ لَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِہِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِہِنَّ ؕ وَ تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ جَمِیۡعًا اَیُّہَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং মসুলমান নারীদেরকে নির্দেশ দিন যেন তারা নিজেদের দৃষ্টিগুলোকে কিছুটা নিচু রাখে এবং নিজেদের সতীত্বকে হেফাযত করে আর নিজেদের সাজ-সজ্জাকে প্রদর্শন না করে, কিন্তু যতটুকু স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশ পায় এবং মাথার কাপড় যেন আপন গ্রীবা ও বক্ষদেশের প্রতি ঝুলানো থাকে আর আপন সাজ-সজ্জাকে যেন প্রকাশ না করে, কিন্তু নিজেদের স্বামীর নিকট অথবা আপন পিতা অথবা স্বামীর পিতা, অথবা আপন পুত্রগণ অথবা স্বামীর পুত্রগণ, অথবা আপন ভাই, অথবা আপন ভ্রাতুষ্পুত্রগণ অথবা আপন ভাগিনাগণ অথবা স্বধর্মীয় নারীগণ অথবা নিজেদের হাতের মালিকানাধীন দাসীগণ অথবা যৌন কামনাহীন চাকর অথবা ওই সব বালক (এর নিকট) যারা নারীদের গোপনাঙ্গ সম্বন্ধে অবগত নয়; এবং যেন মাটির উপর সজোরে পদক্ষেপণ না করে, যাতে জানা যায় তাদের গোপন সাজ-সজ্জা। এবং আল্লাহ্‌র দিকে তাওবা করো, হে মুসলমানগণ, তোমরা সকলেই! এ আশায় যে, তোমরা সফলতা অর্জন করবে।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর আপনি মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা(ও) যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে আর সাধারণতঃ প্রকাশমান (অংশ) ব্যতীত নিজেদের সৌন্দর্য-শোভা প্রকাশ না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় পরিহিত ওড়না (এবং চাদর) দ্বারা তাদের গ্রীবা এবং বক্ষ(ও) আবৃত রাখে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য-শোভা তাদের স্বামী, তাদের পিতা, তাদের শ্বশুর, তাদের পুত্র, তাদের স্বামীর পুত্র, তাদের ভ্রাতা, তাদের ভ্রাতুষ্পুত্র, তাদের ভগ্নিপুত্র, তাদের (স্বধর্মজাত, মুসলমান) নারী, মালিকানাধীন কৃতদাসী, যৌন-কামনা রহিত পুরুষ অথবা নারীদের আচ্ছাদিত বিষয়াদি সম্পর্কে অনবগত শিশু ব্যতীত (অন্য) কারো নিকট প্রকাশ না করে (তারা ব্যতীক্রম)। আর (চলার সময়) তারা যেন (ভুপৃষ্ঠে এমনভাবে) পদক্ষেপ না ফেলে যাতে (পায়ের ঝঙ্কারের কারণে) তাদের সে সৌন্দর্য প্রকাশ হয়ে পড়ে যা তারা (শরীয়তের বিধানের আলোকে) লুকিয়ে রাখছে। আর হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করো যাতে তোমরা (এ সকল বিধি-বিধান পালন করে) সফলতা লাভ করতে পারো।
৩২
Play Share Copy
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং বিবাহ সম্পাদন করে দাও তোমাদের মধ্যে তাদেরই, যারা বিবাহ বিহীন রয়েছে আর নিজেদের উপযুক্ত দাস এবং দাসীদেরও। যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে আল্লাহ্‌ তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন আপন অনুগ্রহ থেকে। এবং আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, জ্ঞানী।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর তোমরা তোমাদের মধ্যেকার পুরুষ ও নারীদের বিবাহ সম্পাদন করো যারা (বিবাহের বয়স হওয়া সত্বেও) অবিবাহিত জীবন যাপন করছে; এবং তোমাদের উপযুক্ত দাস-দাসীদেরও (বিবাহ সম্পাদন করো)। যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয় (তবে) আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আর আল্লাহ্ বড়ই প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
৩৩
Play Share Copy
وَ لۡیَسۡتَعۡفِفِ الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ نِکَاحًا حَتّٰی یُغۡنِیَہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ الۡکِتٰبَ مِمَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ فَکَاتِبُوۡہُمۡ اِنۡ عَلِمۡتُمۡ فِیۡہِمۡ خَیۡرًا ٭ۖ وَّ اٰتُوۡہُمۡ مِّنۡ مَّالِ اللّٰہِ الَّذِیۡۤ اٰتٰىکُمۡ ؕ وَ لَا تُکۡرِہُوۡا فَتَیٰتِکُمۡ عَلَی الۡبِغَآءِ اِنۡ اَرَدۡنَ تَحَصُّنًا لِّتَبۡتَغُوۡا عَرَضَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ مَنۡ یُّکۡرِہۡہُّنَّ فَاِنَّ اللّٰہَ مِنۡۢ بَعۡدِ اِکۡرَاہِہِنَّ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং তারা যেন সংযত থাকে, যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না এ পর্যন্ত যে, আল্লাহ্‌ আপন অনুগ্রহে তাদেরকে সামর্থ্যবান করে দেবেন। আর তোমাদের হাতের মালিকানাধীণ দাস দাসীদের মধ্য থেকে যারা এটা চায় যে, কিছু অর্থ রোজগারের শর্তের ভিত্তিতে তাদেরকে মুক্ত বলে লিখে দাও, তবে লিখে দেও যদি তাদের মধ্যে কোন মঙ্গল জানতে পারো এবং এ কথার উপর তাদেরকে সাহায্য করো আল্লাহ্‌র ওই সম্পদ থেকে, যা তোমাদেরকে প্রদান করেছেন এবং তোমাদের পার্থিব জীবনের কিছু ধন সম্পদের লালসায় নিজেদের দাসীদেরকে ব্যভিচার করতে বাধ্য করো না, যখন তারা সতীত্ব রক্ষা করতে চায়। যে ব্যক্তি তাদেরকে বাধ্য করবে, তবে তাদের উপর জবর-দস্তির পর, আল্লাহ্‌ তো ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর যারা (আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে) বিবাহে অসমর্থ তারা যেন পবিত্রতা অবলম্বন করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ্ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করেন। আর তোমাদের অধিকারভুক্ত (দাস-দাসী)-দের মধ্যে যারা (কিছু সম্পদ উপার্জন করে দেয়ার শর্তে) লিখিত চুক্তিবদ্ধ (অর্থাৎ স্বাধীন) হতে চায়, তাদেরকে (উল্লেখিত শর্তে) লিখিত চুক্তিবদ্ধ (স্বাধীন) করে দাও, যদি তোমরা তাদের মধ্যে কল্যাণ দেখো। আর তোমরা (নিজেরাও) তাদেরকে (স্বাধীন করার জন্যে) আল্লাহ্ যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে দান করো। আর তোমরা নিজেদের দাসীদেরকে পার্থিব জীবনের লাভের জন্যে ব্যভিচারে বাধ্য করো না, যেখানে তারা পূণ্যশীলতায় (অথবা বিবাহের নিরাপত্তায়) থাকতে চায়। আর যে কেউ তাদেরকে বাধ্য করে, তাদের বাধ্য হয়ে যাওয়ার পর(ও) আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
৩৪
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ وَّ مَثَلًا مِّنَ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি আর এমন কিছু লোকের বিবরণ, যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে এবং ভীতিসম্পন্নদের জন্য উপদেশ।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট ও সমুজ্জ্বল আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি আর সেসব লোকদের কিছু দৃষ্টান্ত (অর্থাৎ আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার ঘটনার ন্যায় মারইয়াম ও ইউসুফ আলাইহিমাস সালামের ঘটনা) যারা তোমাদের পূর্বে অতিবাহিত হয়েছেন। আর (এটি) পরহেযগারদের জন্যে উপদেশ।
৩৫
Play Share Copy
اَللّٰہُ نُوۡرُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ مَثَلُ نُوۡرِہٖ کَمِشۡکٰوۃٍ فِیۡہَا مِصۡبَاحٌ ؕ اَلۡمِصۡبَاحُ فِیۡ زُجَاجَۃٍ ؕ اَلزُّجَاجَۃُ کَاَنَّہَا کَوۡکَبٌ دُرِّیٌّ یُّوۡقَدُ مِنۡ شَجَرَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ زَیۡتُوۡنَۃٍ لَّا شَرۡقِیَّۃٍ وَّ لَا غَرۡبِیَّۃٍ ۙ یَّکَادُ زَیۡتُہَا یُضِیۡٓءُ وَ لَوۡ لَمۡ تَمۡسَسۡہُ نَارٌ ؕ نُوۡرٌ عَلٰی نُوۡرٍ ؕ یَہۡدِی اللّٰہُ لِنُوۡرِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ یَضۡرِبُ اللّٰہُ الۡاَمۡثَالَ لِلنَّاسِ ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. আল্লাহ্‌ নূর আসমানসমূহ ও যমীনের। তার নূরের উপমা এমনই যেমন একটা দীপাধার, যার মধ্যে রয়েছে প্রদীপ। ওই প্রদীপ একটা ফানুসের মধ্যে স্থাপিত। ওই ফানুস যেন একটি নক্ষত্র, মুক্তার মতো উজ্জ্বল হয় রবকতময় বৃক্ষ যায়তূন দারা, যা না প্রাচ্যের, না প্রতীচ্যের; এর নিকটবর্তী যে, সেটার তৈল প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠবে যদিও আগুন সেটাকে স্পর্শ না করে। নূরের উপর নূর। আল্লাহ্‌ আপন নূরের পথ বাত্‌লিয়ে দেন যাকে ইচ্ছা করেন; এবং আল্লাহ্‌ উপমাসমূহ বর্ণনা করেন মানুষের জন্য। আর আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি। তাঁর জ্যোতির দৃষ্টান্ত যেন (নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম-রূপে পৃথিবীতে বিরাজমান) চেরাগদানী (সদৃশ পবিত্র বক্ষ), যাতে (নবুয়্যতের) প্রদীপ (দীপ্যমান)। (এ) প্রদীপখানা (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের কলব নামক) দীপাধারে রক্ষিত। (এ) দীপাধার (আল্লাহ্‌র নূরের প্রতিফলনে এতোটাই জাজ্বল্যমান) যেন এক উদ্ভাসিত উজ্জ্বল তারকা। (এ নবুয়্যতের প্রদীপ) যা পবিত্র যয়তূনের বরকতময় বৃক্ষ থেকে (অর্থাৎ পবিত্র জগতের বরকতময় ওহীর সংযোগের মাধ্যমে অথবা আম্বিয়া ও রাসূলগণের বরকতময় নবুয়্যতের বৃক্ষ থেকে) প্রজ্বলিত হয়; (কেবল) প্রাচ্যে নয় এবং প্রতীচ্যেও নয়, (বরং স্বীয় নূরের প্রবাহের প্রশস্ততায় মহাবিশ্ব ও জগৎব্যাপী)। এমন মনে হয় যেন এর তেল (নিজেই) চমকিত হয়, যদিও এখনো একে (আল্লাহ্‌র ওহী ও ঐশী অলৌকিক ঘটনার) আগুন স্পর্শও করেনি। (তিনি) জ্যোতির উপর জ্যোতি (অর্থাৎ পবিত্র অস্তিত্বের নূরের উপর নবূয়্যতের নূর, যেন এ সত্তাযুগল নূরের প্রতিচ্ছবি)। আল্লাহ্ যাকে চান নিজের জ্যোতি (বিষয়ে পরিচয় লাভ) পর্যন্ত পৌঁছান। আল্লাহ্ মানুষের (হেদায়াতের) জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন। আল্লাহ্ সকল কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।
৩৬
Play Share Copy
فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰہُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡہَا اسۡمُہٗ ۙ یُسَبِّحُ لَہٗ فِیۡہَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَالِ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সেসব ঘরের মধ্যে, যেগুলোকে সমুন্নত করার জন্য আল্লাহ্‌র নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেগুলোর মধ্যে তার নাম নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করে সকলা ও সন্ধ্যায়,
ইরফানুল কুরআন
৩৬. (আল্লাহ্‌র এ জ্যোতি) এমনসব গৃহে (মসজিদ ও কেন্দ্রসমূহে প্রতিভাত হয়) যেগুলোকে (মর্যাদা ও অবস্থানের দিক থেকে) সমুন্নত করার জন্যে এবং যেগুলোতে আল্লাহ্‌র নামের স্মরণ করার নির্দেশ আল্লাহ্ দিয়েছেন। (এগুলো সেসব ঘর,) এতে (আল্লাহ্‌র প্রিয় বান্দাগণ) সকাল-সন্ধায় তাঁর তাসবীহ্ পাঠ করে।
৩৭
Play Share Copy
رِجَالٌ ۙ لَّا تُلۡہِیۡہِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡہِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ ﴿٭ۙ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. ওই সব লোক, যাদেরকে অমনোযোগী করে না কোন ব্যবসা-বাণিজ্য, না বেচা-কেনা আল্লাহ্‌র স্মরণ থেকে এবং নামায কায়েম রাখা ও যাকাত প্রদান করা থেকে; তারা ভয় করে ওই দিনকে, যেদিন উল্টে যাবে অন্তর ও চোখসমূহ,
ইরফানুল কুরআন
৩৭. (এ জ্যোতি বহনকারী আল্লাহ্‌র) সেসব বান্দা যাদেরকে না ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহ্‌র স্মরণ থেকে উদাসীন করে, আর না নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত আদায় করা থেকে; (বরং পার্থিব দায়িত্ব আদায় করার মাঝেও) তারা (সব সময়) সে দিনকে ভয় করে, যে দিনে (ভয়ের কারণে) অন্তর এবং চক্ষু (সব কিছু) হত-বিহ্বল হয়ে পড়বে,
৩৮
Play Share Copy
لِیَجۡزِیَہُمُ اللّٰہُ اَحۡسَنَ مَا عَمِلُوۡا وَ یَزِیۡدَہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. যাতে আল্লাহ্‌ তাদেরকে প্রতিদান দেন, তাদের সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজের এবং আপন অনুগ্রহে তাদেরকে পুরস্কার বেশী দেন; আর আল্লাহ্‌ জীবিকা দান করেন যাকে চান অপরিমিত পরিমাণে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. যাতে আল্লাহ্ তাদেরকে (নেক) আমলের প্রতিদান দেন যা তারা করেছে। আর স্বীয় অনুগ্রহ থেকে তাদেরকে আরো (উপঢৌকন) বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ্ যাকে চান সীমাহীন জীবিকা (ও রসদ) দিয়ে অনুগ্রহ করেন।
৩৯
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُہُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَہٗ لَمۡ یَجِدۡہُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰہَ عِنۡدَہٗ فَوَفّٰىہُ حِسَابَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং যারা কাফির হয়েছে তাদের কর্ম এমনই, যেমন কোন মরুভূমিতে রোদে চমকিত বালু পিপাসার্ত সেটাকে পানি মনে করে। শেষ পর্যন্ত যখন সেটার নিকট আসলো তখন দেখতে পেলো। সেটা কিছুই নয় এবং আল্লাহ্‌কে নিজের নিকটে পেলো। অতঃপর তিনি তার হিসাব পূর্ণমাত্রায় দিলেন; এবং আল্লাহ্‌ দ্রুত হিসাব গ্রহণ করেন;
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর কাফেরদের আমল বিরান ভুমির মরীচিকাসম, যাকে পিপাসার্ত লোক পানি মনে করে, অবশেষে যখন সে এর নিকট আসে তখন তাতে কিছু(ই) পায় না। (এভাবে সে পরকালে) আল্লাহ্কে নিজের নিকট পাবে, কিন্তু আল্লাহ্ তার পূর্ণ হিসাব (দুনিয়াতেই) চুকিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ শীঘ্রই হিসাব নেবেন।
৪০
Play Share Copy
اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰہُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُہَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَہٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىہَا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰہُ لَہٗ نُوۡرًا فَمَا لَہٗ مِنۡ نُّوۡرٍ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. অথবা যেমন অন্ধকাররাশি কোন সমুদ্রের জলাশয়ের মধ্যে, সেটার উপর ঢেউ, ঢেউয়ের উপর আরো ঢেউ, সেটার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ; অন্ধকারপুঞ্জ রয়েছে একের উপর এক। যখন আপন হাত বের করে তখন তা দেখা যায় বলে মনে হয় না এবং আল্লাহ্‌ যাকে আলো দান করেন না, তার জন্য কোথাও আলো নেই।
ইরফানুল কুরআন
৪০. অথবা (কাফেরদের কৃতকর্ম) সাগরের সুগভীর আঁধারের ন্যায়, যাকে তরঙ্গের পর তরঙ্গ আচ্ছাদিত করে রেখেছে, (এবং) যার উর্ধ্বদেশে মেঘমালা, (স্তরে স্তরে এ) অন্ধকারের উপর রয়েছে অপর অন্ধকার। (সমূদ্রে ডুবন্ত কোনো ব্যক্তি) যখন নিজের হাত তুলে ধরে তখন একে (কেউই) দেখতে পায় না। আর যার জন্যে আল্লাহ্ (হেদায়াতের) নূর তৈরীই করেননি তার জন্যে (কোথাও) নূর নেই।
৪১
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یُسَبِّحُ لَہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ الطَّیۡرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ کُلٌّ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَہٗ وَ تَسۡبِیۡحَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. আপনি কি দেখেন নি যে, আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করে যা কিছু আসমানসমূহে ও যমীনে রয়েছে এবং পাখীকুল পাখা সম্প্রসারিত করে? সবাই জেনে রেখেছে আপন নামায ও আপন পবিত্রতা ঘোষণার পদ্ধতি এবং আল্লাহ্‌ তাদের কর্মসমূহ জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৪১. তুমি কি দেখো না যে, যারা আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে রয়েছে তারা (সকলে) আল্লাহ্‌রই তাসবীহ পাঠ করে, আর পাখিরা(ও শুন্যে) পালক ছড়িয়ে (তাঁরই তাসবীহ পাঠ করে)। সকলেই (আল্লাহ্‌র সমীপে) নিজেদের নামায এবং নিজেদের তাসবীহ্ পাঠের পদ্ধতি জানে। আর আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্যক অবগত যা তারা সম্পাদন করে।
৪২
Play Share Copy
وَ لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ اِلَی اللّٰہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. আর আল্লাহ্‌রই রাজত্ব আসমানসমূহ ও যমীনের; এবং আল্লাহ্‌রই প্রতি প্রত্যাবর্তন।
ইরফানুল কুরআন
৪২. আর সমস্ত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহ্‌রই এবং তাঁরই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।
৪৩
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یُزۡجِیۡ سَحَابًا ثُمَّ یُؤَلِّفُ بَیۡنَہٗ ثُمَّ یَجۡعَلُہٗ رُکَامًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِہٖ ۚ وَ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ جِبَالٍ فِیۡہَا مِنۡۢ بَرَدٍ فَیُصِیۡبُ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَصۡرِفُہٗ عَنۡ مَّنۡ یَّشَآءُ ؕ یَکَادُ سَنَا بَرۡقِہٖ یَذۡہَبُ بِالۡاَبۡصَارِ ﴿ؕ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্‌ ধীরে ধীরে সঞ্চালন করেন মেঘমালাকে, অতঃপর সেগুলোকে পরস্পর একত্র করেন, অতঃপর সেগুলোকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তুমি দেখতে পাও যে, সেটার মধ্য থেকে বারিধারা বর্ষিত হয় এবং আসমান থেকে, তাতে যে বরফের পাহাড় রয়েছে, তা থেকে কিছু শিলা বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর সেগুলোকে যার উপর ইচ্ছা বর্ষণ করেন; এবং যার দিক থেকে ইচ্ছা করেন সেগুলোকে ফিরিয়ে দেন। সেটার বিদ্যুৎ ঝলক দৃষ্টি শক্তিকে কেড়ে নেওয়ার উপক্রম হয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. তুমি কি দেখোনি যে, আল্লাহ্ই মেঘমালাকে (প্রথমে) ধীরে ধীরে সঞ্চালন করেন, অতঃপর (খন্ডে খন্ডে বিভক্ত) মেঘমালাকে পরস্পরে মিলিয়ে দেন এবং পরে একে পুঞ্জীভুত করেন? অতঃপর তুমি দেখ যে, তা থেকে নির্গত হয় বারিধারা। আর আসমানে (অর্থাৎ শূন্যমন্ডলে দৃশ্যমান) পাহাড়সম মেঘমালা থেকে তিনি বর্ষণ করেন শিলাবৃষ্টি। অতঃপর যাকে চান তা দ্বারা আঘাত করেন, যার থেকে চান তা ফিরিয়ে দেন। (অধিকন্তু এ মেঘমালা থেকে বিদ্যুৎও সৃষ্টি করেন।) মনে হয়, (মেঘের) এ বিদ্যুৎ চমক দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেবে।
৪৪
Play Share Copy
یُقَلِّبُ اللّٰہُ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَعِبۡرَۃً لِّاُولِی الۡاَبۡصَارِ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. আল্লাহ্‌ পরিবর্তন ঘটান রাত দিনের। নিশ্চয় তাতে বুঝার ক্ষেত্র রয়েছে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আর আল্লাহ্ রজনী এবং দিবসের (একটির উপর আরেকটির ) পরিবর্তন ঘটান। আর নিশ্চয়ই এতে (মহা) নির্দেশনা রয়েছে বুদ্ধিমান ও অর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্নদের জন্যে।
৪৫
Play Share Copy
وَ اللّٰہُ خَلَقَ کُلَّ دَآبَّۃٍ مِّنۡ مَّآءٍ ۚ فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی بَطۡنِہٖ ۚ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی رِجۡلَیۡنِ ۚ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰۤی اَرۡبَعٍ ؕ یَخۡلُقُ اللّٰہُ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং আল্লাহ্‌ ভূ-পৃষ্ঠে প্রত্যেক বিচরণকারী জীবজন্তকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর সেগুলোর মধ্যে কতেক নিজ পেটের উপর ভর দিয়ে চলে, এবং সেগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক দু’পায়ে চলে, আর সেগুলোর মধ্যে কিছু চার পায়ে চলে। আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেন যা চান। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্‌ সবকিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর আল্লাহ্ সকল বিচরণশীল জীব (অর্থাৎ বিচরণশীল প্রাণীর রাসায়নিক) সৃষ্টি (সূচনা) করেছেন পানি থেকে। অতঃপর এদের কিছু তাদের পেটে ভর দিয়ে চলে, কিছু দু’পায়ে চলে এবং কিছু চলে চার পায়ে। আল্লাহ্ যা চান সৃষ্টি করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
৪৬
Play Share Copy
لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ ؕ وَ اللّٰہُ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. নিশ্চয় আমি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী নিদর্শনসমূহ এবং আল্লাহ্‌ যাকে চান সরল পথ দেখান।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আমরা তো সুস্পষ্ট সমুজ্জ্বল নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি। আর আল্লাহ্ (এগুলোর মাধ্যমে) যাকে চান সরল পথে হেদায়াত দান করেন।
৪৭
Play Share Copy
وَ یَقُوۡلُوۡنَ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ بِالرَّسُوۡلِ وَ اَطَعۡنَا ثُمَّ یَتَوَلّٰی فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ؕ وَ مَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং তারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ্‌ ও রসূলের উপর এবং নির্দেশ মান্য করেছি’। অতঃপর কিছু সংখ্যক লোক তাদের মধ্যে থেকে এরপর ফিরে যায় এবং তারা মুসলমান নয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর তারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর উপর ঈমান আনয়ন করেছি এবং আমরা আনুগত্য করছি’। কিন্তু এরপর (একথা বলার পর) তাদের একদল (নিজেদের স্বীকৃতি থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়। বস্তুতঃ এরা মুমিন(ই) নয়।
৪৮
Play Share Copy
وَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَہُمۡ اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং যখন আহ্বান করা হয় আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের দিকে এ জন্য যে, রসূল তাদের মধ্যে মীমাংসা করবেন, তখনই তাদের একটা দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর যখন এদেরকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দিকে আহ্বান করা হয় যাতে তিনি তাদের মাঝে ফায়সালা করে দিতে পারেন, তখন তাদের একদল (রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের দরবারে আগমন করা থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৪৯
Play Share Copy
وَ اِنۡ یَّکُنۡ لَّہُمُ الۡحَقُّ یَاۡتُوۡۤا اِلَیۡہِ مُذۡعِنِیۡنَ ﴿ؕ۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং যদি তাদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়, তবে তার দিকে ছুটে আসে মান্যকারীরূপে।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর তারা যদি সত্যাশ্রয়ী হতো তবে তারা অনুগত হয়ে তাঁর (অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) নিকট ছুটে আসতো।
৫০
Play Share Copy
اَفِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ اَمِ ارۡتَابُوۡۤا اَمۡ یَخَافُوۡنَ اَنۡ یَّحِیۡفَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ وَ رَسُوۡلُہٗ ؕ بَلۡ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. তাদের অন্তরসমূহে কী ব্যাধি আছে, না (তারা) সংশোয় পোষণ করে? না এ ভয় করে যে, আল্লাহ্‌ ও রসূল তাদের উপর যুল্‌ম করবেন? বরং তারা নিজেরাই যালিম’।
ইরফানুল কুরআন
৫০. তাদের অন্তরে কি (কপটতার) ব্যাধি রয়েছে? অথবা তারা (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহীওয়াসাল্লামের ব্যাপারে) সন্দেহ পোষণ করে? অথবা তারা এ ভয় করে যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তাদের প্রতি যুলুম করবেন? (না) বরং তারা নিজেরাই যালিম।
৫১
Play Share Copy
اِنَّمَا کَانَ قَوۡلَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذَا دُعُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَہُمۡ اَنۡ یَّقُوۡلُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ؕ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. মুসলমানদের উক্তি তো এই যখন আল্লাহ্‌ ও রসূলের দিকে আহ্বান করা হয়, এ জন্য যে, রসূল তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন, তখন তারা আরয করে, ‘আমরা শ্রবণ করলাম এবং হুকুম মান্য করলাম’। আর এসব লোকই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
৫১. ঈমানদারদের বক্তব্য তো কেবল এ যে, যখন তাদেরকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি আহ্বান করা হয় যাতে তিনি তাদের মাঝে ফায়সালা করে দিতে পারেন, তখন তারা এমন কিছুই বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং (সম্পূর্ণরূপে) আনুগত্য করেছি’। আর তারাই সফলকাম।
৫২
Play Share Copy
وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَخۡشَ اللّٰہَ وَ یَتَّقۡہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং যারা নির্দেশ মান্য করে আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করে আর সাবধানতা অবলম্বন করে, তবে এসব লোকই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করে ও আল্লাহ্কে ভয় করে এবং তাঁর ব্যাপারে সাবধান থাকে, তারাই লক্ষ্য অর্জনকারী।
৫৩
Play Share Copy
وَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰہِ جَہۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ لَئِنۡ اَمَرۡتَہُمۡ لَیَخۡرُجُنَّ ؕ قُلۡ لَّا تُقۡسِمُوۡا ۚ طَاعَۃٌ مَّعۡرُوۡفَۃٌ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং তারা আল্লাহ্‌র শপথ করেছে, নিজেদের শপথ চূড়ান্ত প্রচেষ্টা সহকারে, এ মর্মে যে, আপনি যদি তাদেরকে নির্দেশ দেন তবে তারা অবশ্যই জিহাদে বের হবে। আপনি বলুন, ‘তোমরা শপথ করো না! শরীয়ত অনুযায়ী হুকুম পালন করা উচিত। আল্লাহ্‌ জানেন যা তোমরা করছো’।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর তারা সুদৃঢ়ভাবে আল্লাহ্‌র শপথ করে বলে যে, যদি আপনি তাদেরকে আদেশ দেন তবে তারা (জিহাদের জন্যে) অবশ্যই বের হবে। আপনি বলে দিন, ‘তোমরা শপথ করো না (বরং) বিধানসম্মত পন্থায় আনুগত্য (পোষণ করো)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা সম্পর্কে সম্যক অবগত যা তোমরা করো।’
৫৪
Play Share Copy
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡہِ مَا حُمِّلَ وَ عَلَیۡکُمۡ مَّا حُمِّلۡتُمۡ ؕ وَ اِنۡ تُطِیۡعُوۡہُ تَہۡتَدُوۡا ؕ وَ مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. আপনি বলুন, ‘নির্দেশ মান্য করো আল্লাহ্‌র এবং নির্দেশ মান্য করো রসূলের’। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে রসূলের দায়িত্বে তাই রয়েছে, যা তার উপর অপরিহার্য করা হয়েছে এবং তোমাদের উপর তাই রয়েছে, যার ভার তোমাদের উপর অর্পিত হয়েছে। আর যদি রসূলের আনুগত্য করো, তবে সৎপথ পাবে। এবং রসূলের দায়িত্ব নয়, কিন্তু স্পষ্টভাবে পৌছিয়ে দেওয়া।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. বলে দিন, ‘তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহ্‌র এবং আনুগত্য করো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর। অতঃপর যদি তোমরা (আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও তবে (জেনে রেখো) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি অর্পিত দায়িত্বের জন্যে তিনি দায়ী আর তোমাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। আর যদি তোমরা তাঁর আনুগত্য করো তবে হেদায়াত লাভ করবে। আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি তো দায়িত্ব কেবল (বিধিবিধান) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।’
৫৫
Play Share Copy
وَعَدَ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَیَسۡتَخۡلِفَنَّہُمۡ فِی الۡاَرۡضِ کَمَا اسۡتَخۡلَفَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ۪ وَ لَیُمَکِّنَنَّ لَہُمۡ دِیۡنَہُمُ الَّذِی ارۡتَضٰی لَہُمۡ وَ لَیُبَدِّلَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ خَوۡفِہِمۡ اَمۡنًا ؕ یَعۡبُدُوۡنَنِیۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ بِیۡ شَیۡئًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ بَعۡدَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. আল্লাহ্‌ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদেরকে, যারা তোমাদের মধ্যে ঈমান এনেছে এবং সৎ কর্ম করেছে যে, অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে খিলাফত প্রদান করবেন যেমনি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে দিয়েছেন; এবং অবশ্যই তাদের জন্য সুদৃঢ় করে দেবন তাদের ওই দ্বীনকে, যা তাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তী ভয় ভীতিকে নিরাপত্তায় বদলে দেবেন। আমার ইবাদত করবে, আমার শরীক কাউকেও দাঁড় করাবে না। আর যারা এর পড়ে অকৃতজ্ঞ হবে, তবে সে সব লোকই নির্দেশ অমান্যকারি।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদেরকে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (যা পূর্ণ করা এবং পালন করা উম্মতের জন্যে আবশ্যক): তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে (শাসনাধিকারের আমানত) খেলাফত দান করবেন যেমন তিনি শাসন-ক্ষমতা (লাভের অধিকার) দান করেছিলেন তাদেরকে যারা তাদের পূর্বে গত হয়েছে। আর (আধিপত্য ও ক্ষমতার মাধ্যমে) তাদের জন্যে তাদের দ্বীনকে মজবুত ও সুদৃঢ় করে দেবেন যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন। আর তিনি অবশ্যই (এ দৃঢ়তার মাধ্যমে) তাদের পূর্ববর্তী ভীতিকর অবস্থাকে (যা তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুর্বলতার কারণে ছিল) তাদের জন্যে শান্তি ও নিরাপত্তার অবস্থায় পরিবর্তন করে দেবেন। তারা (নির্ভয়ে) আমার ইবাদত করবে, আমার সাথে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করবে না (অর্থাৎ কেবল আমার নির্দেশ ও নিয়মের অনুগামী থাকবে)। আর এরপর যে অকৃতজ্ঞ হয় (অর্থাৎ আমার বিধি-বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও তা অস্বীকার করে) তবে তারাই হবে পাপাচারী (ও নাফরমান)।
৫৬
Play Share Copy
وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. আর নামায কায়েম রাখো, যাকাত দাও এবং রসূলের আনুগত্য করো এ আশায় যে, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর নামায (আদায়ের বিধান) প্রতিষ্ঠা করো ও যাকাত আদায় (করার ব্যবস্থা) করতে থাকো এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর (পরিপূর্ণ) আনুগত্য করো যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পারো (অর্থাৎ যাতে তোমাদের আধিপত্য, ক্ষমতা, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার নিয়ামত বহাল রাখা যায়)।
৫৭
Play Share Copy
لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مُعۡجِزِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۚ وَ مَاۡوٰىہُمُ النَّارُ ؕ وَ لَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. কখনো কাফিরদেরকে মনে করবেন না যে, তারা কখনো আমার আয়ত্বের বাইরে যেতে পারবে পৃথিবীতে। এবং তাদের ঠিকানা আগুনই; আর অবশ্য কতোই নিকৃষ্ট পরিণাম!
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর কখনো এ ধারণা করো না যে, অস্বীকারকারী ও অকৃতজ্ঞরা পৃথিবীতে (তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ্কে) অক্ষম করে দেবে। আর তাদের ঠিকানা জাহান্নাম এবং তা খুবই মন্দ ঠিকানা।
৫৮
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَبۡلُغُوا الۡحُلُمَ مِنۡکُمۡ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّہِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوۡرٰتٍ لَّکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ وَ لَا عَلَیۡہِمۡ جُنَاحٌۢ بَعۡدَہُنَّ ؕ طَوّٰفُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ بَعۡضُکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হাতের সম্পদ দাস এবং ওই সব ছেলেমেয়ের, যারা তোমাদের মধ্যে এখনো যৌবনে পদার্পণ করেনি- তিনটি সময়ে, তোমাদের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়া উচিতঃ ফজরের নামাযের পূর্বে এবং যখন তোমরা আপন পোশাক খুলে রাখো দ্বি-প্রহরে, আর এশা নামাযের পর। এ তিন সময় তোমাদের লজ্জার। এ তিন সময়ের পর তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, না তাদের উপর; (তারা তো) আসা যাওয়া করে তোমাদের নিকট, একে অপরের নিকট। আল্লাহ্‌ এভাবে তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের অধীনস্থ (দাস-দাসী) এবং তোমাদের সন্তান যারা (এখনো) বয়োপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তোমাদের নিকট (আগমনে) তিন অবস্থায় অনুমতি প্রার্থনা করে: (এক) ফযর নামাযের পূর্বে, (দুই) দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা (বিশ্রামের জন্যে) বস্ত্র শিথিল করো এবং (তিন) এশার নামাযের পর (যখন তোমরা নিদ্রার উদ্দেশ্যে বিছানায় গমণ করো, এ) তিনটি (সময়) তোমাদের জন্যে গোপনীয়তা। এ (সময়গুলো) ব্যতীত অন্য সময়ে তোমাদের জন্যে কিংবা তাদের জন্যে কোনো দোষ নেই। (কেননা অন্যান্য সময়ে) তোমাদেরকে সচরাচর একে অপরের নিকট যাতায়াত করতে হয়। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে বিধানাবলী সুস্পষ্ট করে দেন। আর আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাময়।
৫৯
Play Share Copy
وَ اِذَا بَلَغَ الۡاَطۡفَالُ مِنۡکُمُ الۡحُلُمَ فَلۡیَسۡتَاۡذِنُوۡا کَمَا اسۡتَاۡذَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. এবং যখন তোমাদের মধ্যে সন্তানরা যৌবনে পৌছে যায় তখন তারাও যেন অনুমতি প্রার্থণা করে যেমন তাদের পূর্ববর্তীগণ অনুমতি প্রার্থনা করেছে। আল্লাহ্‌ এভাবে তোমাদের নিকট আপন আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন; এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. আর যখন তোমাদের সন্তান-সন্ততি বয়োপ্রাপ্ত হয়, তখন তারা যেন (তোমাদের নিকট আগমনে) অনুমতি প্রার্থনা করে, যেমন তাদের পূর্ববর্তীরা (অর্থাৎ বয়োজ্যেষ্ঠরা) অনুমতি প্রার্থনা করতো। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধানাবলী খুবই সুস্পষ্ট করে দেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
৬০
Play Share Copy
وَ الۡقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَآءِ الّٰتِیۡ لَا یَرۡجُوۡنَ نِکَاحًا فَلَیۡسَ عَلَیۡہِنَّ جُنَاحٌ اَنۡ یَّضَعۡنَ ثِیَابَہُنَّ غَیۡرَ مُتَبَرِّجٰتٍۭ بِزِیۡنَۃٍ ؕ وَ اَنۡ یَّسۡتَعۡفِفۡنَ خَیۡرٌ لَّہُنَّ ؕ وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং বৃদ্ধা-ঘরে অবস্থানকারী নারীগণ, যাদের বিবাদের আশা নেই, তাদের উপর কোন পাপ নেই তাদের বহিরাভরণ খুলে রাখলে, যখন সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। আর তা থেকেও বিরত থাকা তাদের জন্য আরো অধিক উত্তম। এবং আল্লাহ্‌ শুনেন, জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর গৃহাবস্থিত বৃদ্ধা নারী, যারা (এখন আর) বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্যে কোনো অপরাধ নেই যদি তারা নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে নিজেদের (উপর আচ্ছাদনকারী অতিরিক্ত) বহির্বাস খুলে রাখে। আর যদি তারা (আরো) খোদাভীতি অবলম্বন করে (অর্থাৎ আচ্ছাদনের অতিরিক্ত বস্ত্রও খুলে না রাখে) তবে তাদের জন্যে উত্তম। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৬১
Play Share Copy
لَیۡسَ عَلَی الۡاَعۡمٰی حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡاَعۡرَجِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلَی الۡمَرِیۡضِ حَرَجٌ وَّ لَا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا مِنۡۢ بُیُوۡتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اٰبَآئِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اُمَّہٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اِخۡوَانِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخَوٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَعۡمَامِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ عَمّٰتِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ اَخۡوَالِکُمۡ اَوۡ بُیُوۡتِ خٰلٰتِکُمۡ اَوۡ مَا مَلَکۡتُمۡ مَّفَاتِحَہٗۤ اَوۡ صَدِیۡقِکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَاۡکُلُوۡا جَمِیۡعًا اَوۡ اَشۡتَاتًا ؕ فَاِذَا دَخَلۡتُمۡ بُیُوۡتًا فَسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ تَحِیَّۃً مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُبٰرَکَۃً طَیِّبَۃً ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. না অন্ধের জন্য বাধা বিপত্তি আছে, না খোড়ার জন্য বাধা বিপত্তি আছে, না রুগ্নের জন্য বাধা বিপত্তি আছে এবং না তোমাদের মধ্যে কারো জন্য (বাধা আছে) এতে যে, তোমরা আহার করবে আপন সন্তানদের ঘরে, অথবা আপন পিতার ঘরে, অথবা আপন মাতার ঘরে অথবা আপন ভাইয়ের নিকট অথবা আপন বোনদের নিকট অথবা আপন চাচাদের নিকট অথবা আপন ফুফুদের ঘরে অথবা আপন মামাদের নিকট অথবা আপন খালাদের ঘরে অথবা যেখানকার চাবিসমূহ তোমাদের হাতের মুঠোয় রয়েছে অথবা আপন বন্ধুদের নিকট; তোমাদের প্রতি কোন দোষারোপ নেই একত্রে আহার করলে অথবা পৃথক পৃথকভাবে; অতঃপর যখন কোন ঘরে প্রবেশ করো তখন আপন লোকদের প্রতি সালাম করো সাক্ষাতের সময় মঙ্গল কামনা স্বরূপ, (যা) আল্লাহ্‌র নিকট থেকে কল্যাণময়, পবিত্র। এভাবেই আল্লাহ্‌ তোমাদের নিকট আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।
ইরফানুল কুরআন
৬১. অন্ধের জন্যে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, আর না খোড়ার জন্যে দূষণীয়, আর না অসুস্থের জন্যে কোনো গোনাহ্ রয়েছে, আর না স্বয়ং তোমাদের জন্যে (কোনো ক্ষতি আছে) যদি তোমরা তোমাদের গৃহে আহার করো কিংবা তোমাদের বাপ-দাদাদের গৃহে, তোমাদের মায়েদের গৃহে, তোমাদের ভাইদের গৃহে, তোমাদের বোনদের গৃহে, তোমাদের চাচাদের গৃহে, ফুফুদের গৃহে, তোমাদের মামাদের গৃহে, তোমাদের খালাদের গৃহে, অথবা যেসব গৃহের চাবি তোমাদের হাতে রয়েছে (অর্থাৎ যেগুলোতে মালিকের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্যে সকল প্রকার হস্তক্ষেপের অনুমতি রয়েছে) অথবা তোমাদের বন্ধুদের গৃহে (আহার করায় ক্ষতি নেই)। তোমাদের উপর এ বিষয়ে কোনো অপরাধ নেই যদি তোমরা একত্রে আহার করো কিংবা পৃথক পৃথকভাবে। অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করো তখন তোমাদের (গৃহের অধিবাসীদের) প্রতি সালাম পেশ করো। (এটি) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে কল্যাণকর, পবিত্র অভিবাদন। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধানাবলী সুস্পষ্ট করে দেন যাতে তোমরা (শরীয়তের বিধান ও জীবনের শিষ্টাচার) বুঝতে পারো।
৬২
Play Share Copy
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ اِذَا کَانُوۡا مَعَہٗ عَلٰۤی اَمۡرٍ جَامِعٍ لَّمۡ یَذۡہَبُوۡا حَتّٰی یَسۡتَاۡذِنُوۡہُ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَاۡذِنُوۡنَکَ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ فَاِذَا اسۡتَاۡذَنُوۡکَ لِبَعۡضِ شَاۡنِہِمۡ فَاۡذَنۡ لِّمَنۡ شِئۡتَ مِنۡہُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَہُمُ اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. ঈমানদাররা হচ্ছে তারাই, যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং যখন রসূলের নিকট এমন কোন কাজের ব্যাপারে হাযির হয়ে থাকে, যার জন্য তাদেরকে একত্র করা হয়, তখন সরে পড়ে না যতক্ষণ না তার নিকট থেকে অনুমতি নেয়। ওই সব লোক, যারা আপনার নিকট অনুমতি চাচ্ছে, তারাই ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের উপর ঈমান আনে। অতঃপর যখন তারা আপনার নিকট অনুমতি চায় তাদের কোন কাজের জন্য, তখন আপনি তাদের মধ্য থেকে যাকে চান অনুমতি দিয়ে দিন এবং তাদের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৬২. ঈমানদার তো তারাই যারা আল্লাহ্‌র প্রতি এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করেছে এবং তারা তাঁর সাথে কোনো সমষ্টিগত কাজে হাযির হলে সেখান থেকে প্রস্থান করে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা (বিশেষ কোনো অজুহাতের কারণে) তাঁর নিকট থেকে অনুমতি গ্রহণ করে (অর্থাৎ উম্মতের মাঝে একত্রিকরণ ও একীভুতকরণের কাজে আন্তরিকতার সাথে অংশগ্রহণ করে। হে সম্মানিত রাসূল!) নিশ্চয় যারা (আপনার সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত কর্তৃত্ব মেনে) আপনার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে, তারাই আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী। অতঃপর যখন তাঁরা আপনার কাছে তাদের নিজেদের কোনো প্রয়োজনে (চলে যাবার) অনুমতি প্রার্থনা করে, তখন (আপনিই সর্বোচ্চ সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ) আপনি তাদের মধ্যে যাকে খুশি যাওয়ার অনুমতি দিন এবং তাদের জন্যে আল্লাহ্ পাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন (আপনার অনুমতি সাপেক্ষে মজলিস ছেড়ে যাওয়া সত্তেও, যেন এমন না হয় যে, এর জন্যেও তাদেরকে পাকড়াও করা হয়)। নিশ্চয় আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
৬৩
Play Share Copy
لَا تَجۡعَلُوۡا دُعَآءَ الرَّسُوۡلِ بَیۡنَکُمۡ کَدُعَآءِ بَعۡضِکُمۡ بَعۡضًا ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ یَتَسَلَّلُوۡنَ مِنۡکُمۡ لِوَاذًا ۚ فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. রসূলের আহ্বানকে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে তেমনি স্থির করো না যেমন তোমরা একে অপরকে ডেকে থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জানেন যারা তোমাদের মধ্যে চুপে চুপে বের হয়ে যায় কোন কিছুর আড়াল গ্রহণ করে। সুতরাং যারা রসূলদের আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেনো ভয় করে যে, কোন বিপর্যয় তাদেরকে পেয়ে বসবে, অথবা তাদের উপর বেদনাদায়ক শাস্তি আপতিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. (হে মুসলমানেরা!) তোমরা রাসূলের আহ্বানকে তোমাদের পরস্পরে আহ্বানের মতো গণ্য করো না। (রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে আহ্বান করা যখন তোমাদের পারস্পরিক আহ্বানের মতো নয়, তখন স্বয়ং রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের সত্তা কিভাবে তোমাদের মতো হতে পারে?) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদেরকে (ভালোভাবে) জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে একে অপরের আড়ালে (রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের দরবার থেকে) চুপিসারে সরে পড়ে। সুতরাং যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর (শিষ্টাচারের বিষয়ে) বিরোধিতা করে তারা যেন সতর্ক হয় যে, (ইহকালেই) তাদের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে অথবা (পরকালে) তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি গ্রাস করবে।
৬৪
Play Share Copy
اَلَاۤ اِنَّ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ قَدۡ یَعۡلَمُ مَاۤ اَنۡتُمۡ عَلَیۡہِ ؕ وَ یَوۡمَ یُرۡجَعُوۡنَ اِلَیۡہِ فَیُنَبِّئُہُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. শুনে নাও! নিশ্চয় আল্লাহ্‌রই যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে। নিশ্চয় তিনি জানেন যে অবস্থায় তোমরা আছো এবং ওই দিনকে, যেদিন তারা তার প্রতি প্রত্যাবর্তিত হবে, অতঃপর তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করেছে এবং আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. খবরদার! যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে রয়েছে (সবকিছু) আল্লাহ্‌রই। তিনি অবশ্যই অবগত যে অবস্থায় তোমরা রয়েছো (ঈমানে হোক অথবা কপটতায়)। আর যে দিন মানুষকে তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তিত করা হবে, তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন যাকিছু তারা করতো। আর আল্লাহ্ সকল কিছু ভালোভাবে জানেন।