بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
اَلرَّحۡمٰنُ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. পরম দয়ালু;
ইরফানুল কুরআন
১. (তিনি) অসীম অনুগ্রহশীল,
عَلَّمَ الۡقُرۡاٰنَ ؕ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. আপন মাহবূবকে ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
২. যিনি (স্বয়ং রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে) কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন।*
* মক্কার কাফের ও মুশরিকদের এমন অপবাদের জবাবে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালিহী ওয়াসাল্লামকে (আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থণা করছি) কোনো ব্যক্তি গোপনে কুরআন শিখিয়েছেন। রেফারেন্সের জন্যে দেখুন: তাফসীরে বাগাভী, খাযিন, আল-কুশাইরী, আল-বাহরুল মুহীত, আল-জুমাল, ফতহুল কাদীর, আল-মাযহারী, আল-লুবাব, আস-সাভী, আস-সিরাজুল মুনীর, মারাগী, ইদ্বওয়াউল বায়ান এবং মাজমাউল বায়ান ও অন্যান্য।
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. মানবতার প্রাণ মুহাম্মদকে সৃষ্টি করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
৩. তিনিই সৃষ্টি করেছেন (এ পরিপূর্ণ) মানুষ।
عَلَّمَہُ الۡبَیَانَ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. যা সৃষ্টি হয়েছে এবং যা সৃষ্টি হবে সব কিছুর (মা কানা ওয়ামা য়াকুন ) সুস্পষ্ট বিবরণ তাকে শিক্ষা দিয়েছেন;
ইরফানুল কুরআন
৪. তিনিই তাঁকে (অর্থাৎ সত্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে) শিখিয়েছেন যোগাযোগের কৌশল ও বিবৃতির প্রকাশ।** **মুফাস্সীরিনে কেরাম ‘বায়ান’-এর অর্থ গ্রহণ করেছেন পূর্বাপর সকল জ্ঞানের বর্ণনা। উদ্ধৃতির জন্যে দেখুন - তাফসীরে বাগাভী, খাযিন, জুমাল, আল-মাযহারী, আল-লুবাব, যাদুল-মুয়াস্সার, সাভী, আস-সীরাজুল মুনীর, এবং মাজমাউল বায়ান।
اَلشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ بِحُسۡبَانٍ ﴿۪۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. সূর্য ও চন্দ্র নির্ধারিত হিসাব (নিয়ম) অনুসারে রয়েছে,
ইরফানুল কুরআন
৫. সূর্য এবং চন্দ্র আবর্তন করে (তাঁরই) নির্ধারিত হিসেবে।
وَّ النَّجۡمُ وَ الشَّجَرُ یَسۡجُدٰنِ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং তৃণলতা ও গাছ পালা সাজদা করে।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর ভূমিতে বিস্তৃত তৃণলতা এবং সমস্ত বৃক্ষাদি (তাঁকেই) সেজদারত।
وَ السَّمَآءَ رَفَعَہَا وَ وَضَعَ الۡمِیۡزَانَ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. আর আস্মানকে আল্লাহ্ সমুন্নত করেছেন এবং পরিমাপদণ্ড স্থাপন করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তিনিই আকাশকে সমুন্নত করে রেখেছেন এবং (তিনিই ন্যায়বিচারের জন্যে) স্থাপন করেছেন মানদন্ড,
اَلَّا تَطۡغَوۡا فِی الۡمِیۡزَانِ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. যাতে তোমরা পরিমাপে ভারসাম্য লঙ্ঘন না করো।
ইরফানুল কুরআন
৮. যাতে তোমরা ওজনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন না করো।
وَ اَقِیۡمُوا الۡوَزۡنَ بِالۡقِسۡطِ وَ لَا تُخۡسِرُوا الۡمِیۡزَانَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আর ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পরিমাপ প্রতিষ্ঠা করো এবং ওজনে কম দিও না।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর ওজনের ন্যায্য মান প্রতিষ্ঠিত রাখো এবং ওজনে কম করো না।
وَ الۡاَرۡضَ وَضَعَہَا لِلۡاَنَامِ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং পৃথিবী স্থাপন করেছেন সৃষ্টিকূলের জন্য;
ইরফানুল কুরআন
১০. তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন সৃষ্ট জীবের জন্যে।
فِیۡہَا فَاکِہَۃٌ ۪ۙ وَّ النَّخۡلُ ذَاتُ الۡاَکۡمَامِ ﴿ۖ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. তাতে ফলমূল ও আবরণযুক্ত খেজুরসমূহ রয়েছে
ইরফানুল কুরআন
১১. এতে রয়েছে ফলমূল এবং খর্জুর বৃক্ষ যার ফল আবরণযুক্ত,
وَ الۡحَبُّ ذُو الۡعَصۡفِ وَ الرَّیۡحَانُ ﴿ۚ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং ভুসির সাথে শস্যদানা ও সুগন্ধময় ফুল।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর খোসা বিশিষ্ট শস্য-দানা এবং সুগন্ধি (ফল) ফুল।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. সুতরাং হে জিন্ ও মানব! তোমরা উভয় জাতি আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
১৩. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ صَلۡصَالٍ کَالۡفَخَّارِ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ঠনঠনে মাটি থেকে, যেমন পোড়া মাটি।
ইরফানুল কুরআন
১৪. তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় ঠনঠনে শুষ্ক কাঁদামাটি থেকে,
وَ خَلَقَ الۡجَآنَّ مِنۡ مَّارِجٍ مِّنۡ نَّارٍ ﴿ۚ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং জিন্ জাতিকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নি শিখা থেকে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. এবং জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সুতরাং তোমরা উভয় জাতি আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
১৬. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
رَبُّ الۡمَشۡرِقَیۡنِ وَ رَبُّ الۡمَغۡرِبَیۡنِ ﴿ۚ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. উভয় পূর্বের রব এবং উভয় পশ্চিমের রব।
ইরফানুল কুরআন
১৭. (তিনিই) উভয় উদয়াচলের মনিব এবং (তিনিই) উভয় অস্তাচলের মনিব।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. সুতরাং তোমরা উভয় জাতি আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
১৮. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
مَرَجَ الۡبَحۡرَیۡنِ یَلۡتَقِیٰنِ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. তিনি দু’টি সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, যে দু’টি দেখতে মনে হয় পরস্পর মিলিত;
ইরফানুল কুরআন
১৯. তিনিই প্রবাহিত করেন দুই সমুদ্র, যা পরস্পরে মিলিত হয়;
بَیۡنَہُمَا بَرۡزَخٌ لَّا یَبۡغِیٰنِ ﴿ۚ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং রয়েছে উভয়ের মধ্যখানে অন্তরায় যে, একটা অপরটাকে অতিক্রম করতে পারে না।
ইরফানুল কুরআন
২০. এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে এক অন্তরাল, যে (স্ব স্ব) সীমা তারা অতিক্রম করতে পারে না।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
২১. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
یَخۡرُجُ مِنۡہُمَا اللُّؤۡلُؤُ وَ الۡمَرۡجَانُ ﴿ۚ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. ওই দু’টির মধ্য থেকে মুক্তা ও প্রবাল বের হয়।
ইরফানুল কুরআন
২২. উভয় (সমুদ্র) থেকে উৎপন্ন হয় মুক্তা (যার ঝলক সবুজ) এবং প্রবাল (যার রং লাল)।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
২৩. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
وَ لَہُ الۡجَوَارِ الۡمُنۡشَئٰتُ فِی الۡبَحۡرِ کَالۡاَعۡلَامِ ﴿ۚ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং তাঁরই ওই সব চলমান নৌযান, যেগুলোর সমুদ্রের মধ্যে উত্থিত রয়েছে যেমন কতগুলো পর্বত।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তাঁরই (নিয়ন্ত্রণে) সমুদ্রে (নোঙর করা কিংবা) বিচরণশীল পর্বতসম সুউচ্চ পাল বিশিষ্ট নৌযানও।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
২৫. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
کُلُّ مَنۡ عَلَیۡہَا فَانٍ ﴿ۚۖ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. ভূ-পৃষ্ঠের উপর যত কিছু আছে সবকিছুই নশ্বর।
ইরফানুল কুরআন
২৬. যা কিছুই ভূপৃষ্ঠে রয়েছে সবই নশ্বর।
وَّ یَبۡقٰی وَجۡہُ رَبِّکَ ذُو الۡجَلٰلِ وَ الۡاِکۡرَامِ ﴿ۚ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং চিরস্থায়ী হচ্ছেন আপনার রবের সত্তা, যিনি মহামহিম ও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন।
ইরফানুল কুরআন
২৭. অবিনশ্বর কেবল আপনার প্রতিপালকের সত্তাই, যিনি অধিকারী সম্মান ও মর্যাদার এবং অনুগ্রহ ও দয়ার।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
২৮. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
یَسۡـَٔلُہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ کُلَّ یَوۡمٍ ہُوَ فِیۡ شَاۡنٍ ﴿ۚ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. তাঁরই নিকট প্রার্থনা করছে যতকিছু আস্মান সমূহ ও যমীনে রয়েছে। প্রত্যহ তার একেকটি (গুরুত্বপূর্ণ) কাজ রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৯. যা কিছুই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে রয়েছে সকলেই তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে; তিনি প্রতি মুহূর্তে নব মর্যাদায় প্রতিভাত হন।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
سَنَفۡرُغُ لَکُمۡ اَیُّہَ الثَّقَلٰنِ ﴿ۚ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. শীঘ্রই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে আমি তোমাদের হিসাবের ইচ্ছা করি, হে উভয় ভারী দল!
ইরফানুল কুরআন
৩১. হে (মানুষ ও জ্বিনের) দুই দল! অচিরেই আমরা মনোনিবেশ করবো তোমাদের হিসাবের দিকে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৩২. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ اِنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ اَنۡ تَنۡفُذُوۡا مِنۡ اَقۡطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ فَانۡفُذُوۡا ؕ لَا تَنۡفُذُوۡنَ اِلَّا بِسُلۡطٰنٍ ﴿ۚ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. হে জিন্ ও ইন্সান দল! যদি তোমাদের পক্ষে এটা সম্ভবপর হয় যে, তোমরা আস্মানসমূহ ও যমীনের প্রান্তগুলো থেকে বের হয়ে যাবে, তা’হলে বের হয়ে যাও! বের হয়ে যেখানেই যাবে সেখানে তাঁরই রাজত্ব বিরাজমান।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. হে জ্বিন ও মানবকুল! তোমরা যদি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা অতিক্রম করতে (এবং সৃষ্টি জগতকে অধীনস্ত করতে) সক্ষম হও তবে অতিক্রম করো। তোমরা (আকাশমন্ডলীর) যে স্থানই অতিক্রম করবে, সেখানেও তাঁরই রাজত্ব।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৪. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
یُرۡسَلُ عَلَیۡکُمَا شُوَاظٌ مِّنۡ نَّارٍ ۬ۙ وَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنۡتَصِرٰنِ ﴿ۚ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. তোমাদের উভয়ের উপর ছোড়া হবে ধোয়াবিহীন অগ্নিশিখা এবং শিখাবিহীন কালো ধোয়া; তখন তোমরা প্রতিশোধ নিতে পারবে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. তোমাদের উভয়ের প্রতি প্রেরণ করা হবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ এবং (শিখাবিহীন) ধুম্রকুঞ্জ, তখন তোমাদের কেউই তা থেকে বাচঁতে পারবে না।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৬. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فَاِذَا انۡشَقَّتِ السَّمَآءُ فَکَانَتۡ وَرۡدَۃً کَالدِّہَانِ ﴿ۚ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. অতঃপর যখন আস্মান বিদীর্ণ হবে তখন তা গোলাপ ফুলের ন্যায় হয়ে যাবে; যেমন নিরেট লাল।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. অতঃপর যখন আকাশ ফেটে পড়বে তখন তা দগ্ধ-তেলের (কিংবা রক্তিম চামড়ার) ন্যায় গোলাপী হয়ে যাবে,
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৮. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یُسۡـَٔلُ عَنۡ ذَنۡۢبِہٖۤ اِنۡسٌ وَّ لَا جَآنٌّ ﴿ۚ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. সুতরাং ওই দিন পাপীর পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে না কোন্ মানুষ ও জিন্ থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. সুতরাং সে দিন না কোনো মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে আর না কোনো জ্বিনকে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৪০. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
یُعۡرَفُ الۡمُجۡرِمُوۡنَ بِسِیۡمٰہُمۡ فَیُؤۡخَذُ بِالنَّوَاصِیۡ وَ الۡاَقۡدَامِ ﴿ۚ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. অপরাধীগণকে তাদের চেহারা দ্বারাই চেনা যাবে। সুতরাং মাথা ও পাগুলো ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪১. অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের কালো হয়ে যাওয়া চেহারা দেখে। অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করে টেনে নেয়া হবে মাথার ঝুঁটি এবং পা ধরে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৪২. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
ہٰذِہٖ جَہَنَّمُ الَّتِیۡ یُکَذِّبُ بِہَا الۡمُجۡرِمُوۡنَ ﴿ۘ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. এটা হচ্ছে ওই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীগণ অস্বীকার করে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (তাদেরকে বলা হবে:) ‘এই সেই জাহান্নাম যা অপরাধীরা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতো’।
یَطُوۡفُوۡنَ بَیۡنَہَا وَ بَیۡنَ حَمِیۡمٍ اٰنٍ ﴿ۚ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. তারা প্রদক্ষিণ করবে তাতে এবং চরম পর্যায়ের জ্বলন্ত-ফুটন্ত পানিতে।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. তারা তাতে (অর্থাৎ দোযখে) এবং ফুটন্ত গরম পানিতে ঘুরপাক খেতে থাকবে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. অতঃপর আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৪৫. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
وَ لِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ جَنَّتٰنِ ﴿ۚ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং যে ব্যক্তি আপন রবের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করে তার জন্য দু’টি জান্নাত রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর যে তাঁর প্রতিপালকের সম্মুখে (সাক্ষাতের জন্যে) উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۙ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৪৭. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
ذَوَاتَاۤ اَفۡنَانٍ ﴿ۚ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. (উভয়ই) বহু শাখা-প্রশাখা সম্পন্ন (বৃক্ষে পূর্ণ)।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. উভয়ই (সবুজ-শ্যামল) শাখা-পল্লব বিশিষ্ট (উদ্যান)।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৪৯. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِمَا عَیۡنٰنِ تَجۡرِیٰنِ ﴿ۚ۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. উভয়ের মধ্যে দু’টি প্রস্রবণ প্রবহমান।
ইরফানুল কুরআন
৫০. এ দু’টোতে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫১. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِمَا مِنۡ کُلِّ فَاکِہَۃٍ زَوۡجٰنِ ﴿ۚ۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল দু’ দু’ প্রকারের হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫২. এ দু’টোতে রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই দুই প্রকার।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫৩. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
مُتَّکِـِٕیۡنَ عَلٰی فُرُشٍۭ بَطَآئِنُہَا مِنۡ اِسۡتَبۡرَقٍ ؕ وَ جَنَا الۡجَنَّتَیۡنِ دَانٍ ﴿ۚ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. এবং এমনসব বিছানার উপর হেলান দিয়ে বসবে, যেগুলোর আস্তরণ মোটা রেশমের, এবং উভয়ের ফলমূল এতই ঝুকে পড়বে যে, নিচে থেকে আহরণকারী আহরণ করতে পারবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. জান্নাতের অধিবাসীরা হেলান দিয়ে বসবে উৎকৃষ্ট আস্তর ও পুরো রেশম বিশিষ্ট আসনে। আর উভয় উদ্যানের ফল ঝুঁকে থাকবে (তাদের) নিকটে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫৫. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِنَّ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ ۙ لَمۡ یَطۡمِثۡہُنَّ اِنۡسٌ قَبۡلَہُمۡ وَ لَا جَآنٌّ ﴿ۚ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. ওই সব বিছানার উপর এমন স্ত্রীগণ থাকবে, যারা স্বামী ব্যতীত অন্য কারো প্রতি চক্ষু উচু করে দৃষ্টিপাত করে না, তাদের পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করে নি কোন মানুষ এবং না (কোন) জিন্।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর তাতে থাকবে আনত নয়না (হুর), যাদেরকে পূর্বে না কোনো মানুষ স্পর্শ করেছে আর না কোনো জ্বিন।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫৭. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
کَاَنَّہُنَّ الۡیَاقُوۡتُ وَ الۡمَرۡجَانُ ﴿ۚ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. যেন তারা পদ্মরাগ ও প্রবাল।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৫৯. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
ہَلۡ جَزَآءُ الۡاِحۡسَانِ اِلَّا الۡاِحۡسَانُ ﴿ۚ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. উত্তম কাজের প্রতিদান কি? কিন্তু উত্তম কাজই।
ইরফানুল কুরআন
৬০. পুণ্যের প্রতিদান পুণ্য ব্যতীত আর কী হতে পারে?
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৬১. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
وَ مِنۡ دُوۡنِہِمَا جَنَّتٰنِ ﴿ۚ۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং ওই দু’টি ব্যতীত আরো দু’টি জান্নাত আছে;
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর (তাদের জন্যে) এ দু’টো ব্যতীত আরো দু’টো উদ্যানও রয়েছে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۙ۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৬৩. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
مُدۡہَآ مَّتٰنِ ﴿ۚ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. (এ জান্নাত দু’টির মধ্যে) গাঢ় সবুজ থেকে কালো বর্ণের ঝলক বিচ্ছুরিত হচ্ছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. এ দু’টো ঘন সবুজে কিছুটা কালচে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৬৫. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِمَا عَیۡنٰنِ نَضَّاخَتٰنِ ﴿ۚ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. ওই দু’টিতে দু’টি প্রস্রবন রয়েছে উচ্ছলিত।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. এ দু’টোতে(ও) রয়েছে দু’টো প্রস্রবণ, যা প্রবাহিত হবে উচ্ছলিত বেগে।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৬৭. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِمَا فَاکِہَۃٌ وَّ نَخۡلٌ وَّ رُمَّانٌ ﴿ۚ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. ওই দু’টিতে রয়েছে ফলমূল, খেজুরসমূহ এবং আনার।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. এ দু’টোতে(ও) রয়েছে ফল, খর্জুর এবং ডালিম।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৬৯. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
فِیۡہِنَّ خَیۡرٰتٌ حِسَانٌ ﴿ۚ۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ত্রীগণ অভ্যাসে সতী, আকৃতিতে উত্তম।
ইরফানুল কুরআন
৭০. এগুলোতে(ও) রয়েছে উত্তম চরিত্রের অধিকারিণী, সুন্দরী (হুরগণ)।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৭১. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
حُوۡرٌ مَّقۡصُوۡرٰتٌ فِی الۡخِیَامِ ﴿ۚ۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. হূরসমূহ রয়েছে তাবুসমূহের মধ্যে, পর্দানশীন।
ইরফানুল কুরআন
৭২. এ হুরগণ তাবুতে সুরক্ষিত।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৭৩. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
لَمۡ یَطۡمِثۡہُنَّ اِنۡسٌ قَبۡلَہُمۡ وَ لَا جَآنٌّ ﴿ۚ۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. তাদের পূর্বে তাদের গায়ে হাত লাগায় নি কোন মানুষ এবং না কোন জিন্।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. তাদেরকে পূর্বে না কোনো মানুষ স্পর্শ করেছে, আর না কোনো জ্বিন।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿ۚ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৭৫. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
مُتَّکِـِٕیۡنَ عَلٰی رَفۡرَفٍ خُضۡرٍ وَّ عَبۡقَرِیٍّ حِسَانٍ ﴿ۚ۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. হেলান দেওয়া অবস্থায় সবুজ বিছানাসমূহ ও কারুকার্যকৃত সুন্দর চাদরসমূহের উপর।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. (জান্নাতের অধিবাসীগণ) হেলান দিয়ে (বসে) থাকবে সবুজ গালিচার উপরে গদিতে ও উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায়।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّکُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. সুতরাং আপন রবের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৭৭. অতঃপর (হে জ্বিন ও মানব সমাজ!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
تَبٰرَکَ اسۡمُ رَبِّکَ ذِی الۡجَلٰلِ وَ الۡاِکۡرَامِ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. মহা বরকতময় আপনার রবের নাম, যিনি মহামহিম ও সম্মানিত।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. কতো বরকতময় আপনার প্রতিপালকের নাম, যিনি অধিকারী সম্মান ও মর্যাদার এবং দয়া ও অনুগ্রহের!