بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আলিফ লা---ম মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. আলিফ-লাম-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই সম্যক অবগত।)
غُلِبَتِ الرُّوۡمُ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. রোমবাসীরা পরাজিত হয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
২. রোমানরা পরাজিত হয়েছে (পারস্য কর্তৃক),
فِیۡۤ اَدۡنَی الۡاَرۡضِ وَ ہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ غَلَبِہِمۡ سَیَغۡلِبُوۡنَ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিকটবর্তী ভূ-খণ্ডে এবং নিজেদের পরাজয়ের পর শিগ্গিরই বিজয়ী হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩. নিকটতম ভূমিতে, তবে তাদের পরাজয়ের পর শীঘ্রই তারা বিজয়ী হবে।
فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ لِلّٰہِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَ مِنۡۢ بَعۡدُ ؕ وَ یَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. কয়েক বছরের মধ্যে; নির্দেশ আল্লাহ্রই-পূর্বে ও পরে এবং সেদিন ঈমানদারগণ খুশি হবে,
ইরফানুল কুরআন
৪. কয়েক বছরের মধ্যেই (অর্থাৎ দশ বছরের কম সময়ের মধ্যে)। নির্দেশ তো আল্লাহ্রই (পারস্যদের আধিপত্যের) পূর্বেও এবং (রোমানদের আধিপত্যের) পরেও। আর সেদিন মুমিনগণ হর্ষোৎফুল্ল হবে,
بِنَصۡرِ اللّٰہِ ؕ یَنۡصُرُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. আল্লাহ্র সাহায্যে। তিনি সাহায্য করেন যাকে চান এবং তিনিই হন সম্মানের মালিক, দয়ালু;
ইরফানুল কুরআন
৫. আল্লাহ্র সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
وَعۡدَ اللّٰہِ ؕ لَا یُخۡلِفُ اللّٰہُ وَعۡدَہٗ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ্ আপন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না; কিন্তু বহু লোক জানেনা।
ইরফানুল কুরআন
৬. (এ তো) আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি; আল্লাহ্ নিজ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
یَعۡلَمُوۡنَ ظَاہِرًا مِّنَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚۖ وَ ہُمۡ عَنِ الۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ غٰفِلُوۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. (তারা) জানে চোখের সামনের পার্থিব জীবনকে; এবং তারা আখিরাত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনবহিত।
ইরফানুল কুরআন
৭. তারা তো কেবল পার্থিব বাহ্যিক জীবনকে(ই) জানে আর পরকালের (প্রকৃত জীবনের) ব্যাপারে এরা উদাসীন ও অনবহিত।
اَوَ لَمۡ یَتَفَکَّرُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ ۟ مَا خَلَقَ اللّٰہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ وَ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ بِلِقَآیِٔ رَبِّہِمۡ لَکٰفِرُوۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে নি যে, আল্লাহ্ আসমান ও যমীন এবং যা কিছু সেগুলোর মধ্যখানে রয়েছে, যথাযথভাবেই সৃষ্টি করেছেন ও একটা সৃষ্টি করেছেন এ একটা নির্ধারিত মেয়াদকাল সহকারে? এবং নিশ্চয় অনেক লোক আপন রবের সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করে।
ইরফানুল কুরআন
৮. তারা কি নিজেদের অন্তরে কখনো ভেবে দেখেনি যে, আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে তা যথাযথভাবে এবং নির্ধারিত সময়েই সৃষ্টি করেছেন? কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতে অবিশ্বাসী।
اَوَ لَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَانُوۡۤا اَشَدَّ مِنۡہُمۡ قُوَّۃً وَّ اَثَارُوا الۡاَرۡضَ وَ عَمَرُوۡہَاۤ اَکۡثَرَ مِمَّا عَمَرُوۡہَا وَ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ ؕ فَمَا کَانَ اللّٰہُ لِیَظۡلِمَہُمۡ وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ؕ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে নি? তাহলে দেখতো তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। তারা এদের থেকে বেশী শক্তিশালী ছিলো এবং জমি চাষ করেছে ও আবাদ করেছে এদের আবাদী অপেক্ষা বেশি এবং তাদের রসূল তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছেন। সুতরাং তাদের প্রতি যুল্ম করা আল্লাহ্র কাজ ছিলো না; হাঁ, তারা নিজেরাই নিজেদের প্রাণের উপর অত্যচার করছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না, তাহলে তারা দেখতো যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল? তারা ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী, তারা ভূমিতে চাষাবাদ করতো এবং তারা এদের চেয়েও বেশী পরিমাণ ভূমি আবাদ করতো যা এরা করেছে। অতঃপর তাদের নিকট তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করেছিলেন। বস্তুত আল্লাহ্ এমন নন যে, তাদের প্রতি অন্যায় করবেন, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছিল।
ثُمَّ کَانَ عَاقِبَۃَ الَّذِیۡنَ اَسَآءُوا السُّوۡٓاٰۤی اَنۡ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ کَانُوۡا بِہَا یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. অতঃপর যারা সীমা ছাড়িয়ে মন্দ কাজ করেছে তাদের পরিণাম এ হয়েছে যে, তারা আল্লাহ্র আয়াতগুলোকে অস্বীকার করতে লাগলো এবং সেগুলোর প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতো।
ইরফানুল কুরআন
১০. অতঃপর তাদের পরিণতি খুবই অশুভ হয়েছিল যারা অশুভ কর্ম করেছিল; কারণ তারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল এবং এগুলোকে উপহাস করতো।
اَللّٰہُ یَبۡدَؤُا الۡخَلۡقَ ثُمَّ یُعِیۡدُہٗ ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আল্লাহ্ প্রথমে সৃষ্টি করেন, অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন, তারপর ( তোমরা) তার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
ইরফানুল কুরআন
১১. আল্লাহ্ সৃষ্টিজগতকে প্রথমবার সৃষ্টি করেন। অতঃপর (তিনিই) একে পুনরায় সৃষ্টি করবেন, তখন তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یُبۡلِسُ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীদের আশা ভেঙ্গে পড়বে।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, অপরাধীরা হতাশ হয়ে পড়বে।
وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّہُمۡ مِّنۡ شُرَکَآئِہِمۡ شُفَعٰٓؤُا وَ کَانُوۡا بِشُرَکَآئِہِمۡ کٰفِرِیۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. আর তাদের শরীকগুলো তাদের জন্য সুপারিশকারী হবে না এবং তারা নিজেদের শরীকদের অস্বীকার করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর তাদের (মনগড়া) কোনো অংশীদার তাদের জন্যে সুপারিশ করবে না এবং (শেষ পর্যন্ত) তারা নিজেদের অংশীদারদেরকে(ই) অস্বীকার করবে।
وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یَوۡمَئِذٍ یَّتَفَرَّقُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন পৃথক হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন লোকেরা (নিজ নিজ ক্লেশে) একে অপর থেকে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَہُمۡ فِیۡ رَوۡضَۃٍ یُّحۡبَرُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সুতরাং ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে বাগানের পুষ্পবীথিতে তাদের আতিথ্য করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করছে তাদেরকে জান্নাতের বাগানে সন্তুষ্ট ও হৃষ্টচিত্ত করা হবে।
وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ لِقَآیِٔ الۡاٰخِرَۃِ فَاُولٰٓئِکَ فِی الۡعَذَابِ مُحۡضَرُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং যেসব লোক কাফির হয়েছে এবং আমার আয়াতসমূহকে ও পরকালের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে তাদেরকে শাস্তিতে আবদ্ধ করে রাখা হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর যেসব লোক কুফরী করেছে এবং আমার আয়ামসমূহকে ও পরকালের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে, তাদেরকেই নিদারূণ যন্ত্রণায় উপস্থিত করা হবে।
فَسُبۡحٰنَ اللّٰہِ حِیۡنَ تُمۡسُوۡنَ وَ حِیۡنَ تُصۡبِحُوۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. সুতরাং আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করো যখন তোমাদের সন্ধ্যা হয় এবং যখন সকাল হয়।
ইরফানুল কুরআন
১৭. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো যখন সন্ধ্যায় উপনীত হও (অর্থাৎ মাগরিব ও এশায়) এবং যখন প্রভাতে উপনীত হও (অর্থাৎ ফজরে)।
وَ لَہُ الۡحَمۡدُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ عَشِیًّا وَّ حِیۡنَ تُظۡہِرُوۡنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং প্রশংসা তারই আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে এবং দিনের কিছু অংশ বাকী থাকতে আর যখন তোমাদের দুপুর হয়।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সকল প্রশংসা তো তাঁরই। আর (তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো) অপরাহ্নে (অর্থাৎ আসরে) এবং যখন দ্বি-প্রহরে উপনীত হও (অর্থাৎ যোহরে)।
یُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَ یُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ وَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ وَ کَذٰلِکَ تُخۡرَجُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. তিনি জীবিতকে বের করেন মৃত থেকে এবং মৃতকে বের করেন জীবিত থেকে এবং ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন সেটার মৃত্যুর পর। আর এভাবেই তোমরা উত্থিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. তিনিই মৃত থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান এবং তিনিই জীবন্ত থেকে মৃতের আবির্ভাব ঘটান। আর ভূমিকে তার মৃত অবস্থার পর পুনর্জীবিত ও সতেজ করেন। আর তোমাদেরকে(ও) এভাবেই (কবর থেকে) উত্থিত করা হবে।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ اِذَاۤ اَنۡتُمۡ بَشَرٌ تَنۡتَشِرُوۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে এ যে, তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর তখনই তোমরা মানুষ হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছো।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে এ যে, তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, এরপর এখন তোমরা মানুষ, (পৃথিবীর) সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছো।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ خَلَقَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا لِّتَسۡکُنُوۡۤا اِلَیۡہَا وَ جَعَلَ بَیۡنَکُمۡ مَّوَدَّۃً وَّ رَحۡمَۃً ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তোমাদের জন্য তোমাদেরই জাতি থেকে সঙ্গীনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া স্থাপন করেছেন। নিশ্চয় তাতে নিদর্শনসমূহ রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এও রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদেরই স্বজাতি থেকে সৃষ্টি করেছেন সঙ্গীনীদেরকে, যাতে তোমরা তার নিকট প্রশান্তি লাভ করো। আর তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও অনুগ্রহ সৃজন করেছেন। অবশ্যই এতে (এ সৃষ্টির বিধানে) নিদর্শাবলী রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্যে।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ اخۡتِلَافُ اَلۡسِنَتِکُمۡ وَ اَلۡوَانِکُمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّلۡعٰلِمِیۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও রংয়ের বিভিন্নতা। নিশ্চয় এতে নিদর্শনাদি রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে জ্ঞানীদের (এবং অনুসন্ধিতসুদের) জন্যে।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖ مَنَامُکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّہَارِ وَ ابۡتِغَآؤُکُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّسۡمَعُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিনে তোমাদের শয়ন করা এবং তার অনুগ্রহ সন্ধান করা। নিশ্চয় তাতে নিদর্শনাদি রয়েছে শ্রবণকারীদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাতে এবং দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা এবং তোমাদের তাঁর অনুগ্রহ (অর্থাৎ রিযিক) অন্বেষণেও। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে (মনোযোগী) শ্রবণকারীর জন্যে।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖ یُرِیۡکُمُ الۡبَرۡقَ خَوۡفًا وَّ طَمَعًا وَّ یُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَیُحۡیٖ بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং তার নিদর্শনাদির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে বিজলী দেখান ভীতি ও আশা সঞ্চারকরূপে এবং আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন সেটার মৃত্যুর পর। নিশ্চয় এতে নিদর্শনাদি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এও রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে বিদ্যুত প্রদর্শন করেন ভীতি এবং আশা সঞ্চারকরূপে। আর আকাশ থেকে (বৃষ্টির) পানি বর্ষণ করেন; অতঃপর এ দ্বারা পৃথিবীকে তার মৃত অবস্থার পর পুনর্জীবিত ও সতেজ করেন। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ تَقُوۡمَ السَّمَآءُ وَ الۡاَرۡضُ بِاَمۡرِہٖ ؕ ثُمَّ اِذَا دَعَاکُمۡ دَعۡوَۃً ٭ۖ مِّنَ الۡاَرۡضِ ٭ۖ اِذَاۤ اَنۡتُمۡ تَخۡرُجُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তার নির্দেশে আসমান ও যমীন স্থির রয়েছে। অতঃপর যখন তোমাদেরকে যমীন থেকে এক আহ্বান করবেন, তখনই তোমরা বের হয়ে পড়বে।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আরও রয়েছে যে, আকাশ ও পৃথিবী তাঁর (নিয়মের) নির্দেশে স্থিতিশীল রয়েছে। অতঃপর যখন তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হতে (ওঠে আসার জন্যে) একবার আহ্বান করবেন, তখন তোমরা তাৎক্ষণিকভাবে (বাইরে) উঠে আসবে।
وَ لَہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ کُلٌّ لَّہٗ قٰنِتُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং তারই, যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার হুকুমের অধীন।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর যা কিছু আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে রয়েছে (সবকিছু) তাঁরই। সকলে তাঁরই আজ্ঞাবহ।
وَ ہُوَ الَّذِیۡ یَبۡدَؤُا الۡخَلۡقَ ثُمَّ یُعِیۡدُہٗ وَ ہُوَ اَہۡوَنُ عَلَیۡہِ ؕ وَ لَہُ الۡمَثَلُ الۡاَعۡلٰی فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং তিনিই হন, যিনি সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেন, অতঃপর সেটাকে পুনর্বার সৃষ্টি করবেন এবং এটা তোমাদের বুঝে, তার জন্য অধিক সহজ হওয়া চাই। এবং তারই জন্য রয়েছে সর্বাপেক্ষা উচ্চ মর্যাদা আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে। এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর তিনিই প্রথমবার সৃষ্টির সূচনা করেন। অতঃপর একে পুনরায় সৃষ্টি করবেন। আর এ (দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা) তাঁর জন্যে খুবই সহজ। আর আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই। আর তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
ضَرَبَ لَکُمۡ مَّثَلًا مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ ؕ ہَلۡ لَّکُمۡ مِّنۡ مَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ مِّنۡ شُرَکَآءَ فِیۡ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ فَاَنۡتُمۡ فِیۡہِ سَوَآءٌ تَخَافُوۡنَہُمۡ کَخِیۡفَتِکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ نُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. তোমাদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন তোমাদের নিজেদেরই অবস্থা থেকে; তোমাদের জন্য কি তোমাদের হাতের সম্পদ দাসদের মধ্যে কেউ অংশীদার আছে তাতে, যা আমি তোমাদেরকে রিয্ক্ব দিয়েছি, অতঃপর তোমরা সবাই তাতে সমান হও? তোমরা কি তাদেরকে ভয় করো, যেমন পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে ভয় করো আমি এভাবে বিস্তারিত নিদর্শনবলী বর্ণনা করি বোধশক্তি সম্পন্নদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২৮. (একত্ববাদের সত্তাকে বুঝানোর জন্যে) তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে একটি উপমা পেশ করেছেন। যারা (অর্থাৎ দাস-দাসী) তোমাদের মালিকানায় রয়েছে তারা কি আমাদের দেয়া সম্পদে তোমাদের অংশীদার, তোমরা (সবাই) কি এতে (এ মালিকানায়) সমান? (এ ছাড়াও) তোমরা কি তাদেরকে সেরূপ ভয় করো যেরূপ তোমরা একে অপরকে ভয় করো? না, এভাবে আমরা বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করি (যে, এ সৃষ্টিজগতে আল্লাহ্রও কোনো অংশীদার নেই)।
بَلِ اتَّبَعَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَہۡوَآءَہُمۡ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ۚ فَمَنۡ یَّہۡدِیۡ مَنۡ اَضَلَّ اللّٰہُ ؕ وَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. বরং যালিমগণ আপন খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে বসেছে অজ্ঞতাবশতঃ সুতরাং তাকে কে হিদায়ত করবে, যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেছেন এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
২৯. বরং যারা অন্যায় করেছে তারা অজ্ঞতাবশত (ও পথনির্দেশহীন) নিজেদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে। অতঃপর কে তাকে সৎপথে পরিচালিত করবে যাকে আল্লাহ্ গোমরাহ করেছেন? আর তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী নেই।
فَاَقِمۡ وَجۡہَکَ لِلدِّیۡنِ حَنِیۡفًا ؕ فِطۡرَتَ اللّٰہِ الَّتِیۡ فَطَرَ النَّاسَ عَلَیۡہَا ؕ لَا تَبۡدِیۡلَ لِخَلۡقِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ ٭ۙ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿٭ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. সুতরাং আপন মুখমণ্ডল সোজা করুন আল্লাহ্র ইবাদতের জন্য একমাত্র তারই হয়ে। আল্লাহ্র স্থাপিত বুনিয়াদ, যার উপর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্র বানানো বস্তুকে বিকৃত করো না; এটাই সরল দ্বীন; কিন্তু বহু লোক জানে না;
ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর আপনার মুখমন্ডল আল্লাহ্র আনুগত্যে পূর্ণ একাত্মতায় স্থির রাখুন। আল্লাহ্র (সৃষ্ট ইসলামের) ভিত্তি, যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (তার অনুসরণ করুন)। আল্লাহ্র সৃষ্টির (সহজাত বৈশিষ্ট্যে) কোনো পরিবর্তন নেই। এটাই সরল দ্বীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ (এ বাস্তবতা) জানে না।
مُنِیۡبِیۡنَ اِلَیۡہِ وَ اتَّقُوۡہُ وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿ۙ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. তারই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী হয়ে। আর তাকেই ভয় করো ও নামায ক্বায়েম রাখো এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না;
ইরফানুল কুরআন
৩১. বিশুদ্ধচিত্তে কেবল তাঁরই অভিমুখী হও, তাঁকে ভয় করো, নামায কায়েম করো এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
مِنَ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَہُمۡ وَ کَانُوۡا شِیَعًا ؕ کُلُّ حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡہِمۡ فَرِحُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. তাদের মধ্য থেকে, যারা আপন দ্বীনকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলেছে এবং হয়ে গেছে দলে-উপদলে বিভক্ত। প্রত্যেক দল তাদের নিকট যা রয়েছে তার উপর সন্তুষ্ট।
ইরফানুল কুরআন
৩২. তাদেরও (অর্থাৎ ইহুদী-খৃষ্টানদেরও অন্তর্ভুক্ত হয়ো না) যারা তাদের ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদে উল্লসিত।
وَ اِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوۡا رَبَّہُمۡ مُّنِیۡبِیۡنَ اِلَیۡہِ ثُمَّ اِذَاۤ اَذَاقَہُمۡ مِّنۡہُ رَحۡمَۃً اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ بِرَبِّہِمۡ یُشۡرِکُوۡنَ ﴿ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং যখন মানুষকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন আপন রবকে ডাকে- তারই প্রতি প্রত্যাবর্তনকারী হয়ে; অতঃপর যখন তাদেরকে তার নিকট থেকে রহমতের স্বাদ দান করেন, তখনই তাদের মধ্য থেকে একদল আপন রবের শরীক স্থির করতে আরম্ভ করে,
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর যখন মানুষকে কোনো কষ্ট-দুর্দশা স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে তাঁকে আহ্বান করে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ আস্বাদন করান তখন তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে কিছু লোক নিজ প্রতিপালকের সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে শুরু করে,
لِیَکۡفُرُوۡا بِمَاۤ اٰتَیۡنٰہُمۡ ؕ فَتَمَتَّعُوۡا ٝ فَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. আমার প্রদত্তের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। সুতরাং ভোগ করে নাও; অতঃপর অবিলম্বে জানতে পারবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. ফলে তারা ঐসব নিয়ামত অস্বীকার করে যা আমরা তাদেরকে দিয়েছি। কাজেই তোমরা (জীবনের কিছু মুহূর্ত) উপভোগ করো, অতঃপর অচিরেই তোমরা (তোমাদের পরিণতি) জানতে পারবে।
اَمۡ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡہِمۡ سُلۡطٰنًا فَہُوَ یَتَکَلَّمُ بِمَا کَانُوۡا بِہٖ یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. অথবা আমি কি তাদের নিকট কোন সনদ অবতীর্ণ করেছি যে, তা তাদেরকে আমার শরীক বানানোর কথা বলছে?
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আমি কি তাদের নিকট (এমন) কোনো দলিল অবতীর্ণ করেছি যা এসব (মূর্তিগুলোর) ব্যাপারে সাক্ষীরূপে কথা বলে যাদেরকে তারা আল্লাহ্র অংশীদার সাব্যস্ত করে?
وَ اِذَاۤ اَذَقۡنَا النَّاسَ رَحۡمَۃً فَرِحُوۡا بِہَا ؕ وَ اِنۡ تُصِبۡہُمۡ سَیِّئَۃٌۢ بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ اِذَا ہُمۡ یَقۡنَطُوۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং যখন আমি মানুষকে রহমতের স্বাদ প্রদান করি তখন তারা সেটার উপর খুশী হয়ে যায় এবং যখন তাদের নিকট কোন দুর্দশা পৌছে ওই কাজের বদলা হিসেবে, যা তাদের হাত অগ্রে প্রেরণ করেছে, তখনই তারা হতাশ পয়ে পড়ে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর যখন আমরা মানুষকে অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করাই তখন তারা এতে উৎফুল্লিত হয়। আর যখন তাদেরকে কোনো দুঃখ-দুর্দশায় পেয়ে বসে তাদের কৃতকর্মের (গোনাহের) কারণে যা তারা ইতোমধ্যেই সম্পাদন করেছে, তখন তারা তৎক্ষণাৎ হতাশ হয়ে পড়ে।
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰہَ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং তারা কি দেখে নি যে, আল্লাহ্ রিয্ক্ব প্রশস্ত করেন যার জন্য চান, এবং সংকুচিত করেন যার জন্য চান। নিশ্চয় তাতে নিদর্শনসমূহ রয়েছে ঈমানদারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. তারা কি দেখেনি আল্লাহ্ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন এবং (যার জন্যে ইচ্ছা) সংকুচিত করেন? নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে।
فَاٰتِ ذَاالۡقُرۡبٰی حَقَّہٗ وَ الۡمِسۡکِیۡنَ وَ ابۡنَالسَّبِیۡلِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ لِّلَّذِیۡنَ یُرِیۡدُوۡنَ وَجۡہَ اللّٰہِ ۫ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. সুতরাং আত্নীয়কে তার প্রাপ্য দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকে। এটা উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. অতঃপর আপনি নিকটাত্মীয়কে তার অধিকার প্রদান করতে থাকুন, আর অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও (তাদের অধিকার প্রদান করুন)। তা-ই তাদের জন্যে শ্রেয় যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে। আর তারাই লক্ষ্য অর্জনকারী।
وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ رِّبًا لِّیَرۡبُوَا۠ فِیۡۤ اَمۡوَالِ النَّاسِ فَلَا یَرۡبُوۡا عِنۡدَ اللّٰہِ ۚ وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ زَکٰوۃٍ تُرِیۡدُوۡنَ وَجۡہَ اللّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُضۡعِفُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং তোমরা যে বস্তু অধিক নেওয়ার জন্য দাও, যাতে দাতার সম্পদ বৃদ্ধি পায়, তবে তা আল্লাহ্র নিকট বৃদ্ধি পাবে না এবং তোমরা যা খয়রাত দাও, আল্লাহ্র সন্তুষ্টি চেয়ে, তবে তাদেরই জন্য রয়েছে দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর তোমরা সুদের উপর যা ধার দাও মানুষের সম্পদে মিশে (তোমাদের সম্পদ) বৃদ্ধি পাবে বলে, আল্লাহ্র নিকট তা বৃদ্ধি পাবে না, বরং সেসব সম্পদ যা তোমরা যাকাত (ও দান) হিসেবে (কেবল) আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্যে দিয়ে থাকো - সুতরাং এসকল লোকেরাই (আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নিজেদের সম্পদ) অধিক পরিমাণে বৃদ্ধিকারী।
اَللّٰہُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ ثُمَّ رَزَقَکُمۡ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ؕ ہَلۡ مِنۡ شُرَکَآئِکُمۡ مَّنۡ یَّفۡعَلُ مِنۡ ذٰلِکُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ ؕ سُبۡحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. আল্লাহ্, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যেও কি কেউ এমন আছে, যে ওই সব কাজ থেকে কিছু করতে পারে? তিনি পবিত্র ও বহু ঊর্দ্ধে তাদের শির্ক থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. আল্লাহ্ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের (নিজেদের মনগড়া) অংশীদারদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে যে এসবের কোনো একটি (কাজ) করতে পারে? তিনি (আল্লাহ্) পূতঃপবিত্র, সমুচ্চ মহান সেসব কিছু থেকে যেগুলোকে তারা (তাঁর) অংশীদার সাব্যস্ত করে।
ظَہَرَ الۡفَسَادُ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ بِمَا کَسَبَتۡ اَیۡدِی النَّاسِ لِیُذِیۡقَہُمۡ بَعۡضَ الَّذِیۡ عَمِلُوۡا لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি- স্থলে ও জলে ওই সব কুকর্মের কারণে যেগুলো মানুষের হাতগুলো অর্জন করেছে, যাতে তাদেরকে তাদের কোন কোন কর্মের স্বাদ গ্রহণ করান, যাতে তারা ফিরে আসে।
ইরফানুল কুরআন
৪১. স্থল ও জলভাগে সেসব (গোনাহের) কারণে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে যা মানুষের হস্তসমূহ অর্জন করেছে, যার ফলে (আল্লাহ্) তাদের কিছু (মন্দ) কর্মের স্বাদ আস্বাদন করান যা তারা করে, যাতে তারা ফিরে আসে।
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلُ ؕ کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّشۡرِکِیۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. আপনি বলুন, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করে দেখো কেমন পরিণতি হয়েছে পূর্ববর্তীদের?’ তাদের মধ্যে অনেকে মুশরিক ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪২. বলুন, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো পূর্ববর্তী লোকদের পরিণাম কেমন (ভয়ংকর) হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক।’
فَاَقِمۡ وَجۡہَکَ لِلدِّیۡنِ الۡقَیِّمِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ یَوۡمٌ لَّا مَرَدَّ لَہٗ مِنَ اللّٰہِ یَوۡمَئِذٍ یَّصَّدَّعُوۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. সুতরাং আপন মুখমণ্ডল সোজা করো ইবাদতের জন্য এরই পূর্বে যে, ওই দিন এসে পড়বে যা আল্লাহ্র দিক থেকে অপসারিত হবার নয়। সেদিন পৃথক হয়ে বিভক্ত হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. সুতরাং আপনি আপনার (সমুজ্জ্বল) চেহারা সরল দ্বীনের প্রতি বিদ্যমান রাখুন, সেদিনের পূর্বে, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আগত যে দিন (কখনো) প্রত্যাহুত হবার নয়। সেদিন সকলে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
مَنۡ کَفَرَ فَعَلَیۡہِ کُفۡرُہٗ ۚ وَ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِاَنۡفُسِہِمۡ یَمۡہَدُوۡنَ ﴿ۙ۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. যে কুফর করে তার কুফরের শাস্তি তারই উপর বর্তায়; আর যারা সৎকাজ করে তারা নিজেদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে;
ইরফানুল কুরআন
৪৪. যে তা অস্বীকার করে, তার অস্বীকৃতি (-এর মন্দ প্রতিফল) তার জন্যেই আর যে সৎকাজ করে সে (জান্নাতে) তার নিজের সুখ-শয্যার জন্যেই করে,
لِیَجۡزِیَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. যাতে পুরস্কার দেন তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে স্বীয় অনুগ্রহ থেকে। নিশ্চয় তিনি কাফিরদেরকে ভালবাসেন না।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. যাতে তিনি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে প্রতিদান দেন যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং নেক আমল করে। নিশ্চয়ই তিনি কাফেরদেরকে বন্ধু মনে করেন না।
وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ یُّرۡسِلَ الرِّیَاحَ مُبَشِّرٰتٍ وَّ لِیُذِیۡقَکُمۡ مِّنۡ رَّحۡمَتِہٖ وَ لِتَجۡرِیَ الۡفُلۡکُ بِاَمۡرِہٖ وَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِہٖ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং তার নিদর্শনাদি থেকে যে, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন, সুসংবাদবাহীরূপে এবং এ জন্য যে, তোমাদেরকে আপন অনুগ্রহের স্বাদ গ্রহণ করাবেন এবং এ জন্য যে, নৌযান তার নির্দেশে চলবে এবং এজন্য যে, তোমরা তার অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং এ জন্য যে, তোমরা কৃতজ্ঞ হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এও রয়েছে যে, তিনি (বৃষ্টির) সুসংবাদ প্রদানকারী বায়ু প্রেরণ করেন যাতে তিনি (বৃষ্টির ফলশ্রুতিতে) তোমাদেরকে তাঁর রহমত দ্বারা ঐশ্বর্যমন্ডিত করতে পারেন; আর যাতে তাঁর নির্দেশে (এ বায়ু দ্বারা) নৌযানও চলতে পারে। আর (এ সবকিছু) এ জন্যে যে, যাতে তোমরা (কৃষি ও বাণিজ্যের আকারে) তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং তোমরা (এভাবে) কৃতজ্ঞ হও।
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ رُسُلًا اِلٰی قَوۡمِہِمۡ فَجَآءُوۡہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَانۡتَقَمۡنَا مِنَ الَّذِیۡنَ اَجۡرَمُوۡا ؕ وَ کَانَ حَقًّا عَلَیۡنَا نَصۡرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের পূর্বে কতো রসূল তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছি। সুতরাং তারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছেন। অতঃপর আমি অপরাধীদের নিকট থেকে বদলা নিয়েছি এবং আমার বদান্যতার দায়িত্বেই রয়েছে মুসলমানদের সাহায্য করা।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর আমরা তো আপনার পূর্বে রাসূলগণকে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম এবং তারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছিলেন। অতঃপর আমরা (মিথ্যাপ্রতিপন্নকারী) অপরাধীদের উপর প্রতিশোধ নিয়েছিলাম। আর মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমাদের উদার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
اَللّٰہُ الَّذِیۡ یُرۡسِلُ الرِّیٰحَ فَتُثِیۡرُ سَحَابًا فَیَبۡسُطُہٗ فِی السَّمَآءِ کَیۡفَ یَشَآءُ وَ یَجۡعَلُہٗ کِسَفًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِہٖ ۚ فَاِذَاۤ اَصَابَ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖۤ اِذَا ہُمۡ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ ﴿ۚ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. আল্লাহ্, যিনি প্রেরণ করেন বায়ুসমূহ, যেগুলো সঞ্চালিত করে মেঘমালাকে, অতঃপর তিনি সেটাকে ছড়িয়ে দেন আসমানে যেমনই ইচ্ছা করেন এবং সেটাকে খণ্ড বিখণ্ড করেন। অতঃপর তুমি দেখতে পাও যে, সেটার মধ্য থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হচ্ছে। অতঃপর যখন সেটা পৌঁছান আপন বান্দাদের মধ্যে যার দিকে ইচ্ছা করেন, তখনই তারা খুশী উদ্যাপন করে;
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আল্লাহ্ই, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, ফলে তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি একে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন। এরপর তিনি একে (বিভিন্ন স্তরে) ভেঙে টুকরো টুকরো করেন; অতঃপর আপনি দেখতে পান যে, এ থেকে বৃষ্টি নির্গত হয়। এরপর তিনি যখন একে তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের নিকট ইচ্ছা পৌঁছে দেন, তখন তৎক্ষণাৎ তারা হয় হর্ষোৎফুল্ল।
وَ اِنۡ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یُّنَزَّلَ عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ لَمُبۡلِسِیۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. যদিও তা অবতীর্ণ হবার পূর্বে তারা নিরাশ হয়ে ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. যদিও তাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণের পূর্বে তারা ছিল নিরাশ।
فَانۡظُرۡ اِلٰۤی اٰثٰرِ رَحۡمَتِ اللّٰہِ کَیۡفَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ لَمُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ۚ وَ ہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. সুতরাং আল্লাহ্র রহমতের চিহ্ন দেখো, কীভাবে ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন সেটার মৃত্যুর পর। নিশ্চয় তিনি মৃতদেরকে জীবিত করবেন এবং তিনি সবকিছু করতে পারেন।
ইরফানুল কুরআন
৫০. সুতরাং আপনি আল্লাহ্র রহমতের প্রভাবের দিকে লক্ষ্য করুন, কিভাবে তিনি মৃত অবস্থার পর ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন। এভাবেই তিনি নিশ্চিত মৃতকেও জীবনদানকারী। আর তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
وَ لَئِنۡ اَرۡسَلۡنَا رِیۡحًا فَرَاَوۡہُ مُصۡفَرًّا لَّظَلُّوۡا مِنۡۢ بَعۡدِہٖ یَکۡفُرُوۡنَ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং যদি আমি কোন বায়ু প্রেরণ করি, যার ফলে তারা ক্ষেতের শস্যকে হলুদ বর্ণের দেখে, তবে অবশ্যই এরপর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর যদি আমরা (শুকনো) বায়ু প্রেরণ করি এবং তারা দেখে যে, (তাদের) শস্য পীতবর্ণ ধারণ করেছে, তখন তারা (পূর্বের সকল নিয়ামতকে) অস্বীকার করতে শুরু করে।
فَاِنَّکَ لَا تُسۡمِعُ الۡمَوۡتٰی وَ لَا تُسۡمِعُ الصُّمَّ الدُّعَآءَ اِذَا وَلَّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এ জন্য যে, আপনি মৃতদেরকে শুনান যখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে ফিরে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৫২. (হে হাবীব!) নিশ্চিতরূপে আপনি না এ মৃতদেরকে (অর্থাৎ ঈমানের সঞ্জীবনী থেকে বঞ্চিত কাফেরদেরকে) আপনার আহ্বান শুনাতে পারবেন, আর না (সত্যের আহ্বান শ্রবণ থেকে বঞ্চিত) বধিরদেরকে শুনাতে পারবেন; যখন তারা (আপনার থেকেই) মুখ ফিরিয়ে চলে যায়।*
* এখানে ‘আল-মাওতা’ (মৃত) এবং ‘আস-সুম্ম’ (বধির) দ্বারা কাফেরদের উদ্দেশ্য করা হয়েছে। সাহাবা ও তাবেয়ীন থেকেও এরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে। বিভিন্ন তাফসীরের উদ্ধৃতি লক্ষণীয়; তাফসীরুল লুবাব লি ইবনে আদিল দামেশকী, তাফসীরুল তাবারী, তাফসীরুল কুরতুবী, তাফসীরুল বাগভী, যাদুল মুয়াস্সার লি ইবনিল জাওযী, তাফসীরে ইবনে কাসীর, আদ দুররুল মানসুর লিস সূয়ূতী এবং ফাতহুল কাদীর লিশ শাওকানী।
وَ مَاۤ اَنۡتَ بِہٰدِ الۡعُمۡیِ عَنۡ ضَلٰلَتِہِمۡ ؕ اِنۡ تُسۡمِعُ اِلَّا مَنۡ یُّؤۡمِنُ بِاٰیٰتِنَا فَہُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং না আপনি অন্ধগণকে তাদের পথভ্রষ্টটা থেকে সঠিক পথে নিয়ে আসেন। কাজেই, আপনি তো তাকেই শুনান, যে আমার আয়াতগুলোর প্রতি ঈমান আনে, অতঃপর তারা হয় আত্নসমর্পণকারী ।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর আপনি (অন্তর্দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত এসব) অন্ধদেরকেও গোমরাহী থেকে হেদায়াতের পথে আনতে পারবেন না। আপনি তো কেবল (বোধসম্পন্ন এবং তা গ্রহণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন) লোকদেরকে শুনাতে পারবেন যারা আমাদের আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করে। সুতরাং তারাই আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান। তাদেরকে ব্যতীত আর কাউকে আপনি শুনাতে পারবেন না)।
اَللّٰہُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ ضُؔعۡفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۡۢ بَعۡدِ ضُؔعۡفٍ قُوَّۃً ثُمَّ جَعَلَ مِنۡۢ بَعۡدِ قُوَّۃٍ ضُؔعۡفًا وَّ شَیۡبَۃً ؕ یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیۡمُ الۡقَدِیۡرُ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. আল্লাহ্, যিনি তোমাদেরকে প্রথমে দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে শক্তিহীনতার অবস্থা থেকে শক্তিতে আনয়ন করেন; অতঃপর শক্তির পর দুর্বলতা ও বার্ধক্য দিয়েছেন। তিনি সৃষ্টি করেন যা ইচ্ছা করেন এবং তিনিই জ্ঞান ও ক্ষমতার অধিকারী।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. আল্লাহ্ তিনিই যিনি তোমাদেরকে দুর্বল বস্তু (অর্থাৎ বীর্য) থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তিনি দুর্বলতার পর (যৌবনের) শক্তিমত্তা দান করেছেন, অতঃপর শক্তিমত্তার পর দুর্বলতা ও বার্ধক্যে উপনীত করেন। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ یُقۡسِمُ الۡمُجۡرِمُوۡنَ ۬ۙ مَا لَبِثُوۡا غَیۡرَ سَاعَۃٍ ؕ کَذٰلِکَ کَانُوۡا یُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এবং যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা শপথ করবে এ মর্মে যে, তারা অবস্থান করে নি, কিন্তু এক মুহূর্তকাল মাত্র। তারা এভাবেই মুখ নিচের দিকে করে চলে যেতো।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. আর যে দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, অপরাধীরা শপথ করবে যে, তারা (পৃথিবীতে) এক মুহূর্তেরও বেশি অবস্থানই করেনি। এভাবে তারা (পৃথিবীতেও সত্য থেকে) ফিরে থাকতো।
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ وَ الۡاِیۡمَانَ لَقَدۡ لَبِثۡتُمۡ فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ اِلٰی یَوۡمِ الۡبَعۡثِ ۫ فَہٰذَا یَوۡمُ الۡبَعۡثِ وَ لٰکِنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এবং বললো তারাই, যাদেরকে জ্ঞান ও ঈমান প্রদান করা হয়েছে, ‘নিশ্চয় তোমরা অবস্থান করেছিলে আল্লাহ্র লিপির মধ্যে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত। সুতরাং এটাই হচ্ছে ওই দিন পুনরুত্থানের; কিন্তু তোমরা জানতে না’।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর যাদেরকে জ্ঞান ও ঈমান দ্বারা ধন্য করা হয়েছে তারা (এসব লোকদেরকে) বলবে, ‘প্রকৃতপক্ষে তোমরা আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী (এক মুহূর্ত নয় বরং) উত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছো। সুতরাং এ হলো উত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা জানতেই না।’
فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یَنۡفَعُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مَعۡذِرَتُہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یُسۡتَعۡتَبُوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. অতএব, সেদিন যালিমদের উপকারে আসবে না তাদের ওযর আপত্তি এবং না তাদেরকে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. অতঃপর সে দিন অত্যাচারীদের আপত্তি কোনো কাজেই আসবে না, আর (আল্লাহ্কে) সন্তুষ্ট করতে তাদেরকে বলাও হবে না।
وَ لَقَدۡ ضَرَبۡنَا لِلنَّاسِ فِیۡ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنِ مِنۡ کُلِّ مَثَلٍ ؕ وَ لَئِنۡ جِئۡتَہُمۡ بِاٰیَۃٍ لَّیَقُوۡلَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا مُبۡطِلُوۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং নিশ্চয় আমি মানুষের জন্য এ ক্বোরআনের মধ্যে প্রত্যেক প্রকারের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি। এবং যদি আপনি তাদের নিকট কোন নিদর্শন আনেন, তবে অবশ্যই কাফির বলবে, ‘তোমরা তো বাতিলেরই উপর রয়েছো’।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর প্রকৃতপক্ষে আমরা মানুষের জন্যে এ কুরআনে সকল প্রকার উপমা বর্ণনা করেছি। আর যদি আপনি তাদের নিকট (প্রকাশ্য) কোনো নিদর্শন নিয়ে আসেন, তখনও এসব কাফেরেরা নিশ্চিত বলবে, ‘তোমরা তো মিথ্যাশ্রয়ী ও প্রতারণাকারী’।
کَذٰلِکَ یَطۡبَعُ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. আল্লাহ্ এভাবে মোহর করে দেন অজ্ঞলোকদের হৃদয়গুলোর উপর।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. এভাবে আল্লাহ্ তাদের অন্তর সীলমোহর করে দিয়েছেন, যারা (সত্য) জানে না।
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ لَا یَسۡتَخِفَّنَّکَ الَّذِیۡنَ لَا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. সুতরাং ধৈর্য ধরুন! নিশ্চয় আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য এবং আপনাকে যেন বিচলিত না করে ওই সব লোক, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে না
ইরফানুল কুরআন
৬০. সুতরাং আপনি ধৈর্য ধারণ করুন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য। যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে না (তাদের গোমরাহীর দুশ্চিন্তা ও হেদায়াতের ভাবনার কারণে) তারা যেন আপনাকে দুর্বল করে না দেয়। (হে জগতের প্রাণ! তাদের কুফরীকে আপনার অন্তরের দুশ্চিন্তা বানাবেন না।)