بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ الصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. শপথ তাদের, যারা সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ;
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ সুশৃঙ্খল সারিবদ্ধ দলসমূহের;
فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. অতঃপর তাদের, যারা হাকিয়ে নিয়ে যায়;
ইরফানুল কুরআন
২. অতঃপর মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে নিয়ে যাওয়া অথবা মন্দকর্মে ভৎর্সনাকারী দলসমূহের;
فَالتّٰلِیٰتِ ذِکۡرًا ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. অতঃপর তাদের দলগুলোর, যারা ক্বোরআন পাঠ করে;
ইরফানুল কুরআন
৩. অতঃপর আল্লাহ্র স্মরণে (কুরআন মাজীদ) তেলাওয়াতকারী দলসমূহের;
اِنَّ اِلٰـہَکُمۡ لَوَاحِدٌ ﴿ؕ۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. নিশ্চয় তোমাদের মা’বূদ অবশ্য এক।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ্ একজনই।
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا وَ رَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. মালিক আসমানসমূহ ও যমীনের আর যা কিছু সেগুলোর মধ্যখানে রয়েছে এবং মালিক পূর্ব দিকগুলোর।
ইরফানুল কুরআন
৫. (যিনি) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং (সৃষ্টিজগতে) এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে তার প্রতিপালক এবং সকল উদয়স্থলের প্রতিপালক।
اِنَّا زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِزِیۡنَۃِۣ الۡکَوَاکِبِ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং নিশ্চয় আমি নিম্ন আসমানকে তারকারাজির সাজে সজ্জিত করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৬. অবশ্যই আমরা পৃথিবীর আকাশকে (অর্থাৎ প্রথম আকাশকে) নক্ষত্র ও গ্রহের ভূষণে সুশোভিত করেছি।
وَ حِفۡظًا مِّنۡ کُلِّ شَیۡطٰنٍ مَّارِدٍ ۚ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর (এগুলোকে) সুরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান হতে।
لَا یَسَّمَّعُوۡنَ اِلَی الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰی وَ یُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ کُلِّ جَانِبٍ ٭ۖ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. ঊর্ধ্ব জগতের দিকে কর্ণপাত করতে পারে না এবং তাদের উপর প্রত্যেক দিক থেকে আঘাত হানা হয়;
ইরফানুল কুরআন
৮. এরা (এসব শয়তানেরা) উর্ধ্বজগতের কিছুই শুনতে পারে না এবং তাদের প্রতি সকল দিক থেকে নিক্ষিপ্ত হয় (প্রজ্বলিত অঙ্গার),
دُحُوۡرًا وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তাদেরকে বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য অবিরাম শাস্তি রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
৯. তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্যে, আর তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।
اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَۃَ فَاَتۡبَعَہٗ شِہَابٌ ثَاقِبٌ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. কিন্তু যে এক-আধবার ছো মেরে নিয়ে গেছে, তখন জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পিছু ধাওয়া করেছে।
ইরফানুল কুরআন
১০.তবে কেউ (কোনো শয়তান) একবার হঠাৎ (ফেরেশতাদের কোনো কথা) ছিনিয়ে নিলে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তাকে ধাওয়া করে।
فَاسۡتَفۡتِہِمۡ اَہُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَا ؕ اِنَّا خَلَقۡنٰہُمۡ مِّنۡ طِیۡنٍ لَّازِبٍ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. সুতরাং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তাদের সৃষ্টি কি অধিকতর মজবুত, না আমার অন্যান্য সৃষ্টি- আসমানসমূহ ও ফিরিশ্তাগণ ইত্যাদির?’ নিশ্চয় আমি তাদেরকে আঠাল মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১. তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এরা কি সৃষ্টিতে দৃঢ়তর (এবং কঠিন) না আমরা (আকাশমন্ডলীতে যা কিছু) সৃষ্টি করেছি?’ নিশ্চয়ই আমরা এদেরকে সৃষ্টি করেছি আঠালো মৃত্তিকা হতে।
بَلۡ عَجِبۡتَ وَ یَسۡخَرُوۡنَ ﴿۪۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. বরং আপনি আশ্চর্যবোধ করেছেন এবং তারা হাসি ঠাট্টা করছে;
ইরফানুল কুরআন
১২. বরং আপনি বিস্ময় বোধ করছেন আর এরা উপহাস করছে।
وَ اِذَا ذُکِّرُوۡا لَا یَذۡکُرُوۡنَ ﴿۪۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং বুঝালেও বুঝছে না।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর যখন তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না।
وَ اِذَا رَاَوۡا اٰیَۃً یَّسۡتَسۡخِرُوۡنَ ﴿۪۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন ঠাট্টা বিদ্রূপ করে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর যখন তারা কোনো নিদর্শন দেখে, তারা ঠাট্টা করে,
وَ قَالُوۡۤا اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ۚۖ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং বলে, ‘এতো নয়, কিন্তু সুস্পষ্ট যাদু।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর বলে, ‘এ তো কেবল সুস্পষ্ট যাদু।
ءَ اِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبۡعُوۡثُوۡنَ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. আমরা কি যখন মরে মাটি ও হাড্ডি হয়ে যাবো, তখনও কি আমরা অবশ্য পুনরুত্থিত হবো?
ইরফানুল কুরআন
১৬. আমরা যখন মৃত্যুবরণ করবো এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হবো, তখনো কি নিশ্চিত আমাদেরকে (দ্বিতীয়বার) উত্থিত করা হবে?
اَوَ اٰبَآؤُنَا الۡاَوَّلُوۡنَ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষও কি?’
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও (কি উত্থিত করা হবে)?’
قُلۡ نَعَمۡ وَ اَنۡتُمۡ دَاخِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. আপনি বলুন, ‘হা, এমনি যে, লাঞ্ছিত হবে’।
ইরফানুল কুরআন
১৮. বলে দিন, ‘হ্যাঁ (অবশ্যই), এবং তোমরা (বরং) অপমানিত ও অপদস্ত হবে’।
فَاِنَّمَا ہِیَ زَجۡرَۃٌ وَّاحِدَۃٌ فَاِذَا ہُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. সুতরাং তা তো একটা মাত্র প্রচণ্ড শব্দ। তখনই তারা দেখতে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. সুতরাং ওটা তো কেবল এক (বিকট) ধ্বনির প্রচন্ড ঝাঁকুনি হবে। অতএব অকস্মাৎ সকলে (উঠে) তা প্রত্যক্ষ করবে।
وَ قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَا ہٰذَا یَوۡمُ الدِّیۡنِ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং বলবে, ‘হায়, আমাদের দুর্ভোগ!’ তাদেরকে বলা হবে, ‘এটা বিচারের দিন’।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর তারা বলবে, ‘হায় দুর্ভোগ আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।’
ہٰذَا یَوۡمُ الۡفَصۡلِ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ بِہٖ تُکَذِّبُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এটা হচ্ছে ওই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা অস্বীকার করতে।
ইরফানুল কুরআন
২১. (বলা হবে, ‘হ্যাঁ,) এটাই ফায়সালার দিন, যা তোমরা অস্বীকার করতে।
اُحۡشُرُوا الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا وَ اَزۡوَاجَہُمۡ وَ مَا کَانُوۡا یَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۙ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. হাঁকাও যালিমদের ও তাদের সহচরদেরকে এবং যা কিছুর তারা পূজা করতো-
ইরফানুল কুরআন
২২. এদেরকে একত্রিত করো যারা অন্যায় করেছে এবং এদের সহচর ও অনুসারীদেরকে(ও), আর তাদেরকেও এরা যাদের পূজা করতো (অর্থাৎ বাতিল উপাস্যদেরকেও),
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَاہۡدُوۡہُمۡ اِلٰی صِرَاطِ الۡجَحِیۡمِ ﴿ٙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আল্লাহ্কে ছাড়া। ওই সবকে হাঁকাও দোযখের পথের দিকে।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আল্লাহ্কে ছেড়ে। অতঃপর তাদের সকলকে জাহান্নামের পথে নিয়ে যাও।
وَ قِفُوۡہُمۡ اِنَّہُمۡ مَّسۡئُوۡلُوۡنَ ﴿ۙ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং তাদেরকে থামাও, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তাদেরকে (পুলসিরাতের নিকটে) থামাও; তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
مَا لَکُمۡ لَا تَنَاصَرُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. ‘তোমাদের কি হয়েছে? একে অপরকে কেন সাহায্য করছো না?’
ইরফানুল কুরআন
২৫. (তাদেরকে বলা হবে,) ‘তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছো না?’
بَلۡ ہُمُ الۡیَوۡمَ مُسۡتَسۡلِمُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. বরং তারা আজ আত্নসমর্পণ করে আছে।
ইরফানুল কুরআন
২৬. (তারা কী সাহায্য করবে?) বরং আজ তো তারা নিজেরাই ঘাড় নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে।
وَ اَقۡبَلَ بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ یَّتَسَآءَلُوۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং তাদের মধ্যে একে অপরের দিকে মুখ করেছে, পরস্পর পরস্পরকে জিজ্ঞাসাকারী অবস্থায়।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে পরস্পরকে জিজ্ঞেস করবে।
قَالُوۡۤا اِنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَاۡتُوۡنَنَا عَنِ الۡیَمِیۡنِ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. বললো, ‘তোমরা আমাদের ডান দিক থেকে পথভ্রষ্ট করার জন্য আসছিলে’।
ইরফানুল কুরআন
২৮. তারা বলবে, ‘তোমরাই তো আমাদের নিকট ডান দিক থেকে (অর্থাৎ সত্যের উপর থাকার শপথ করে) আগমন করতে।’
قَالُوۡا بَلۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۚ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. জবাব দেবে, ‘তোমরা নিজেরাই ঈমানদার ছিলে না।
ইরফানুল কুরআন
২৯. (তাদের পথভ্রষ্টকারী নেতারা) বলবে, ‘বরং সত্য তো এই যে, তোমরা নিজেরাই ঈমানে বিশ্বাসী ছিলে না,
وَ مَا کَانَ لَنَا عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ سُلۡطٰنٍ ۚ بَلۡ کُنۡتُمۡ قَوۡمًا طٰغِیۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন ক্ষমতা ছিলো না; বরং তোমরা অবাধ্য লোক ছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর না তোমাদের উপর আমাদের কোনো কর্তৃত্ব (এবং নিয়ন্ত্রণ) ছিল। বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অবাধ্য।
فَحَقَّ عَلَیۡنَا قَوۡلُ رَبِّنَاۤ ٭ۖ اِنَّا لَذَآئِقُوۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. সুতরাং সত্য প্রমাণিত হয়ে গেছে আমাদের উপর আমাদের রবের বাণী; আমাদেরকে অবশ্যই স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩১. অতএব আমাদের রবের আদেশ আমাদের বিপক্ষে প্রমাণিত হয়েছে। (এখন) আমাদেরকে (শাস্তির) স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
فَاَغۡوَیۡنٰکُمۡ اِنَّا کُنَّا غٰوِیۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. সুতরাং আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছি, যেহেতু আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম’।
ইরফানুল কুরআন
৩২. সুতরাং আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম পথভ্রষ্ট ।’
فَاِنَّہُمۡ یَوۡمَئِذٍ فِی الۡعَذَابِ مُشۡتَرِکُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. সুতরাং সেদিন তারা সবাই শাস্তির মধ্যে শরীক হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. অতঃপর তারা সেদিন শাস্তিতে (সবাই) পরস্পরের অংশীদার হবে।
اِنَّا کَذٰلِکَ نَفۡعَلُ بِالۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. নিঃসন্দেহে আমরা অপরাধীদের সাথে এমনটিই করে থাকি।
اِنَّہُمۡ کَانُوۡۤا اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا اللّٰہُ ۙ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿ۙ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. নিশ্চয় যখন তাদেরকে বলা হতো, ‘আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী নেই; তখন তারা অহঙ্কার করতো;
ইরফানুল কুরআন
৩৫. নিশ্চয়ই তারা ছিল সেসব লোক যখন তাদেরকে বলা হতো, ‘আল্লাহ্ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই’, তখন তারা অহঙ্কার করতো,
وَ یَقُوۡلُوۡنَ اَئِنَّا لَتَارِکُوۡۤا اٰلِہَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجۡنُوۡنٍ ﴿ؕ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং বলতো, ‘আমরা কি আমাদের উপাস্যগুলোকে ছেড়ে দেবো এক উন্মাদ কবির কথায়?’
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর বলতো, ‘আমরা কি এক উন্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদের বর্জন করবো?’
بَلۡ جَآءَ بِالۡحَقِّ وَ صَدَّقَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. বরং তিনি তো সত্য নিয়ে এসেছেন এবং তিনি রসূলগণের সত্যায়ন করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. (তিনি না উন্মাদ, না কবি) বরং তিনি তো (সত্য) দ্বীন নিয়ে এসেছেন এবং তিনি (আল্লাহ্র) রাসূলগণকে সত্যায়ন করেছেন।
اِنَّکُمۡ لَذَآئِقُوا الۡعَذَابِ الۡاَلِیۡمِ ﴿ۚ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. নিশ্চয় তোমাদেরকে অবশ্য বেদনাদায়ক শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. নিশ্চয়ই তোমরা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
وَ مَا تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. সুতরাং তোমরা আপন কৃতকর্মের প্রতিফল পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিদান দেয়া হবে যা তোমরা করতে।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰہِ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. কিন্তু যারা আল্লাহ্র মনোনীত বান্দা।
ইরফানুল কুরআন
৪০. (হ্যাঁ,) তবে তারা ব্যতীত যারা আল্লাহ্র (মনোনীত) বান্দা, নিজেদেরকে (স্বীয় নাফস এবং এর প্রভাব থেকে) মুক্ত রেখেছে।
اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ رِزۡقٌ مَّعۡلُوۡمٌ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. তাদের জন্য ওই জীবিকা রয়েছে, যা আমার জ্ঞানে রয়েছে-
ইরফানুল কুরআন
৪১. তারাই সেসব লোক যাদের জন্যে (সকাল-সন্ধ্যা) নির্ধারিত রয়েছে বিশেষ রিযিক।
فَوَاکِہُ ۚ وَ ہُمۡ مُّکۡرَمُوۡنَ ﴿ۙ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. ফলমূল; এবং তারা সম্মানিত হবে;
ইরফানুল কুরআন
৪২. (সকল প্রকার) ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত ও মর্যাদাবান,
فِیۡ جَنّٰتِ النَّعِیۡمِ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. শান্তির বাগানসমূহে;
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (অবস্থান করবে) নিয়ামতপূর্ণ ও সুখদ উদ্যানে,
عَلٰی سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. আসনগুলোতে আসীন হবে সামনাসামনি।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. (নূরানি প্রকাশে আবির্ভূত হবে) উঁচু আসনে মুখোমুখী হেলান দিয়ে।
یُطَافُ عَلَیۡہِمۡ بِکَاۡسٍ مِّنۡ مَّعِیۡنٍۭ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. তাদেরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিবেশন করা হবে চোখের সামনে সুরাপূর্ণ মাত্র।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. তাদেরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিবেশন করা হবে সুরাপূর্ণ (পবিত্র) পাত্রে।
بَیۡضَآءَ لَذَّۃٍ لِّلشّٰرِبِیۡنَ ﴿ۚۖ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. সাদা রংয়ের, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. যা হবে শুভ্র উজ্জ্বল, পানকারীদের জন্যে চমৎকার সুস্বাদু।
لَا فِیۡہَا غَوۡلٌ وَّ لَا ہُمۡ عَنۡہَا یُنۡزَفُوۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. না তাতে নেশা থাকবে এবং না সেটার কারণে তাদের মাথা চক্কর দেবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. তাতে কোনো ক্ষতিও হবে না কিংবা মাথাও ঘুরাবে না, আর (পান করার পর) এতে তারা মাতালও হবে না।
وَ عِنۡدَہُمۡ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ عِیۡنٌ ﴿ۙ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং তাদের নিকট থাকবে এমন সব (রমণী), যারা স্বামী ব্যতীত অন্য দিকে চোখ তুলে দেখবে না, বড় বড় আখি সম্পন্নাগণ।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর তাদের পাশে আনত নয়না ডাগর চোখের অধিকারিনী (হুর বসে) থাকবে।
کَاَنَّہُنَّ بَیۡضٌ مَّکۡنُوۡنٌ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. যেন তারা কতগুলো ডিম্ব, গোপনে রক্ষিত।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. (তাদেরকে শুভ্র ও মনোমুগ্ধকর রঙে এমন দেখাবে) যেন তারা ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত ডিম্ব।
فَاَقۡبَلَ بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ یَّتَسَآءَلُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. সুতরাং তাদের মধ্যে একে অপরের দিকে মুখ করবে জিজ্ঞাসাবাদকারীরূপে।
ইরফানুল কুরআন
৫০. অতঃপর তারা (জান্নাতীরা) পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে একে অপরকে (কুশলাদি) জিজ্ঞেস করবে।
قَالَ قَآئِلٌ مِّنۡہُمۡ اِنِّیۡ کَانَ لِیۡ قَرِیۡنٌ ﴿ۙ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. তাদের মধ্যে উক্তিকারী বলবে, ‘আমার এক সঙ্গী ছিলো’।
ইরফানুল কুরআন
৫১. তাদের মধ্যে একজন উক্তিকারী (অপরকে) বলবে, ‘আমার ছিল এক সঙ্গী, (যে পরকালে অবিশ্বাসী ছিল।)
یَّقُوۡلُ اَئِنَّکَ لَمِنَ الۡمُصَدِّقِیۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. আমাকে বলতো, ‘তুমি কি এটাকে সত্য বলে মান্য করো?
ইরফানুল কুরআন
৫২. সে (আমাকে) বলতো: তুমিও কি (এসব বিষয়ে) বিশ্বাসী ও সত্যায়নকারীদের অন্তর্ভুক্ত?
ءَ اِذَا مِتۡنَا وَ کُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَ اِنَّا لَمَدِیۡنُوۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. আমরা কি যখম মরে মাটি ও অস্থিতে পরিণত হবো তবুও কি আমাদেরকে প্রতিদান- প্রতিফল দেওয়া হবে?’
ইরফানুল কুরআন
৫৩. যখন আমরা মৃত্যুবরণ করবো এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হবো তখনও কি (সে অবস্থায়) আমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে?’
قَالَ ہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّطَّلِعُوۡنَ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. (আল্লাহ্) বলবেন, ‘তোমরা কি উকি দিয়ে দেখবে?’
ইরফানুল কুরআন
৫৪. অতঃপর সে (জান্নাতী) বলবে, ‘তোমরা কি উঁকি দিয়ে (তাকে) দেখবে (যে, সে কি অবস্থায় রয়েছে)?’
فَاطَّلَعَ فَرَاٰہُ فِیۡ سَوَآءِ الۡجَحِیۡمِ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. অতঃপর উকি দিয়ে দেখবে, তখন তারা জ্বলন্ত আগুনের মধ্যভাগে দেখতে পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. অতঃপর সে উঁকি দেবে এবং তাকে দেখতে পাবে জাহান্নামের (একেবারে) মধ্যখানে।
قَالَ تَاللّٰہِ اِنۡ کِدۡتَّ لَتُرۡدِیۡنِ ﴿ۙ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. বলবে, ‘আল্লাহ্র শপথ! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংস করেছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. (সে তাকে) বলবে, ‘আল্লাহ্র কসম! তুমি তো আমাকেও প্রায় ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলে।
وَ لَوۡ لَا نِعۡمَۃُ رَبِّیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُحۡضَرِیۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. আমার রব অনুগ্রহ না করলে অবশ্যই আমাকেও ধরে উপস্থিত করা হতো।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ যদি না থাকতো তবে আমিও (তোমাদের সাথে আযাবে) উপস্থিত ব্যক্তিদের মাঝে গণ্য হতাম।’
اَفَمَا نَحۡنُ بِمَیِّتِیۡنَ ﴿ۙ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. তবে কি আমাদেরকে মরতে হবে না?
ইরফানুল কুরআন
৫৮. সুতরাং (জান্নাতীরা আনন্দের সাথে জিজ্ঞেস করবে) ‘এখন আমরা মৃত্যুবরণ করবো না তো?
اِلَّا مَوۡتَتَنَا الۡاُوۡلٰی وَ مَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِیۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. কিন্তু আমাদের প্রথম মৃত্যুই, আর আমাদের উপর শাস্তি হবে না!’
ইরফানুল কুরআন
৫৯. আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত (যা আমরা অতিক্রম করে এখানে এসেছি), আমাদের উপর কখনো শাস্তি আরোপ করা হবে না।’
اِنَّ ہٰذَا لَہُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. নিশ্চয় এটাই মহা সাফল্য।
ইরফানুল কুরআন
৬০. নিশ্চয়ই এই তো মহাসাফল্য।
لِمِثۡلِ ہٰذَا فَلۡیَعۡمَلِ الۡعٰمِلُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এমনই কথার জন্য কর্মপরায়ণদের কর্ম করা উচিত।
ইরফানুল কুরআন
৬১. এরূপ (সাফল্যের) জন্যে আমলকারীদের উচিত আমল করা।
اَذٰلِکَ خَیۡرٌ نُّزُلًا اَمۡ شَجَرَۃُ الزَّقُّوۡمِ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. সুতরাং এ আপ্যায়ন কি উত্তম, না ‘যাক্কুম’ বৃক্ষ?
ইরফানুল কুরআন
৬২. ব্যস! এ (জান্নাতের) আতিথেয়তা উত্তম না কি যাক্কুম বৃক্ষ?
اِنَّا جَعَلۡنٰہَا فِتۡنَۃً لِّلظّٰلِمِیۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. নিশ্চয় আমি সেটাকে যালিমদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. নিশ্চয়ই আমরা একে (এ বৃক্ষকে) যালিমদের জন্যে বানিয়েছি শাস্তিস্বরূপ।
اِنَّہَا شَجَرَۃٌ تَخۡرُجُ فِیۡۤ اَصۡلِ الۡجَحِیۡمِ ﴿ۙ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. নিশ্চয় তা একটা বৃক্ষ, যা জাহান্নামের মূল থেকে উদগত হয়;
ইরফানুল কুরআন
৬৪. নিশ্চয়ই এ এক বৃক্ষ যা জাহান্নামের সর্বনিম্ন তলদেশ থেকে বের হয়।
طَلۡعُہَا کَاَنَّہٗ رُءُوۡسُ الشَّیٰطِیۡنِ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. সেটার মুকুল যেন শয়তানদের মাথা।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. এর সূচাগ্র মুকুল যেন (কুৎসিত) শয়তানের মাথা।
فَاِنَّہُمۡ لَاٰکِلُوۡنَ مِنۡہَا فَمَالِـُٔوۡنَ مِنۡہَا الۡبُطُوۡنَ ﴿ؕ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. অতঃপর নিশ্চয় তারা তা থেকে আহার করবে তারপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. সুতরাং এরা (জাহান্নামীরা) এ থেকেই খাদ্য গ্রহণ করবে এবং এ দ্বারাই উদর পূর্ণ করবে।
ثُمَّ اِنَّ لَہُمۡ عَلَیۡہَا لَشَوۡبًا مِّنۡ حَمِیۡمٍ ﴿ۚ۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. অতঃপর নিশ্চয় তাদের জন্য সেটার উপর ফুটন্ত পানির মিশ্রণ থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. অতঃপর অবশ্যই তাদের জন্যে (এ খাবার)-এর সাথে থাকবে (পূঁজ) মিশ্রিত ফুটন্ত পানি (যা নাড়িভূঁড়িকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে)।
ثُمَّ اِنَّ مَرۡجِعَہُمۡ لَا۠ اِلَی الۡجَحِیۡمِ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে অবশ্য প্রজ্জ্বলিত আগুনের দিকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. অতঃপর অবশ্যই (খাবারের পর পুনরায়) তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকেই।
اِنَّہُمۡ اَلۡفَوۡا اٰبَآءَہُمۡ ضَآلِّیۡنَ ﴿ۙ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. নিশ্চয় তারা আপন পিতৃপুরুষকে পথভ্রষ্ট পেয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
৬৯. নিশ্চয়ই তারা তাদের পিতৃপুরুষগণকে পেয়েছিল বিপথগামী।
فَہُمۡ عَلٰۤی اٰثٰرِہِمۡ یُہۡرَعُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. সুতরাং তারা তাদের পদাঙ্কের উপর ধাবিত হচ্ছে।
ইরফানুল কুরআন
৭০. অতঃপর তারা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণে ধাবিত হয়েছিল।
وَ لَقَدۡ ضَلَّ قَبۡلَہُمۡ اَکۡثَرُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿ۙ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং নিশ্চয় তাদের পূর্বে বহু পূর্ববর্তী লোক পথভ্রষ্ট হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর প্রকৃতপক্ষে তাদের পূর্বেও পূর্ববর্তীদের অধিকাংশ পথভ্রষ্ট হয়েছিল।
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا فِیۡہِمۡ مُّنۡذِرِیۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. এবং নিশ্চয় আমি তাদের মধ্যে সতর্ককারী প্রেরণ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর অবশ্যই আমরা তাদের মাঝেও সতর্ককারী প্রেরণ করেছিলাম।
فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ ﴿ۙ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. সুতরাং লক্ষ্য করো যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে তাদের কী পরিণতি হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
৭৩. সুতরাং লক্ষ্য করুন, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল,
اِلَّا عِبَادَ اللّٰہِ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. কিন্তু আল্লাহ্র মনোনীত বান্দাগণ (তাদের থেকে স্বতন্ত্র)।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. তবে আল্লাহ্র একনিষ্ঠ ও মনোনীত বান্দাগণ ব্যতীত।
وَ لَقَدۡ نَادٰىنَا نُوۡحٌ فَلَنِعۡمَ الۡمُجِیۡبُوۡنَ ﴿۫ۖ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এবং নিশ্চয় আমাকে নূহ আহ্বান করেছিলো, অতঃপর আমি কতম উত্তম সাড়াদাতা!
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আর নূহ (আলাইহিস সালাম) নিশ্চিত আমাদেরকে আহ্বান করেছিলেন, সুতরাং আমরা কতোই না উত্তম সাড়াদানকারী!
وَ نَجَّیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗ مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۫ۖ۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর আমরা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারবর্গকে মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।
وَ جَعَلۡنَا ذُرِّیَّتَہٗ ہُمُ الۡبٰقِیۡنَ ﴿۫ۖ۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. এবং আমি তাঁরই বংশধরকে বিদ্যমান রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. আর আমরা কেবল তাঁরই বংশধরদেরকে উত্তরসূরী বানিয়েছি।
وَ تَرَکۡنَا عَلَیۡہِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۫ۖ۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং আমি পরবর্তীদের মধ্যে তার প্রশংসা বিদ্যমান রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর পরবর্তীতে আগমনকারীদের (অর্থাৎ নবীগণ ও উম্মতদের) মাঝে আমরা তাঁর পুণ্যময় স্মরণ বহাল রেখেছি।
سَلٰمٌ عَلٰی نُوۡحٍ فِی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক বিশ্ববাসীদের মধ্যে,
ইরফানুল কুরআন
৭৯. শান্তি বর্ষিত হোক নূহ (আলাইহিস সালাম )-এঁর প্রতি, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে।
اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. নিশ্চয় আমি এভাবে পুরস্কৃত করি সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
৮০. নিশ্চয়ই আমরা সৎকর্মপরায়ণদেরকে এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।
اِنَّہٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. নিশ্চয় সে আমার উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পূর্ণ ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৮১. নিশ্চয়ই তিনি আমাদের (পরিপূর্ণ) ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. অতঃপর আমি অন্যান্যদেরকে নিমজ্জিত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৮২. অতঃপর আমরা অন্যদেরকে নিমজ্জিত করেছিলাম।
وَ اِنَّ مِنۡ شِیۡعَتِہٖ لَاِبۡرٰہِیۡمَ ﴿ۘ۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. এবং নিশ্চয় ইব্রাহীম তাঁরই দলে অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. নিশ্চয়ই ইবরাহীম (আলাইহিস সালামও) ছিলেন তাঁর অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত।
اِذۡ جَآءَ رَبَّہٗ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. যখন আপন রবের নিকট উপস্থিত হলো অন্যান্যদের থেকে মুক্ত হৃদয় নিয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. যখন তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হলেন পরিশুদ্ধ ও অবনত চিত্তে,
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡہِ وَ قَوۡمِہٖ مَاذَا تَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۚ۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. যখন সে আপন বাপ ও আপন সম্প্রদায়কে বলেছিলেন; ‘তোমরা কিসের পূজা করছো?
ইরফানুল কুরআন
৮৫. যখন তিনি তাঁর পিতা (যিনি প্রকৃতপক্ষে ছিলেন চাচা, লালন-পালনের কারণে তিনি তাকে পিতা বলে সম্বোধন করতেন) এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘তোমরা কিসের উপাসনা করো?
اَئِفۡکًا اٰلِہَۃً دُوۡنَ اللّٰہِ تُرِیۡدُوۡنَ ﴿ؕ۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. তোমরা কি মিথ্যা অপবাদের মাধ্যমে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য খোদা চাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
৮৬. অপবাদ তৈরী করে তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত (মিথ্যা) উপাস্যদের চাচ্ছো?
فَمَا ظَنُّکُمۡ بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. সুতরাং তোমাদের কি ধারণা জগতসমূহের রব সম্বন্ধে?’
ইরফানুল কুরআন
৮৭. বেশ! বিশ্ব-জাহানের প্রতিপালকের ব্যাপারে তোমাদের ধারণা কী?’
فَنَظَرَ نَظۡرَۃً فِی النُّجُوۡمِ ﴿ۙ۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. অতঃপর সে তারকারাজির প্রতি একবার দৃষ্টিপাত করলো।
ইরফানুল কুরআন
৮৮. অতঃপর (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তাদেরকে সন্দেহে পতিত করার উদ্দেশ্যে) একবার তারকারাজির দিকে তাকালেন,
فَقَالَ اِنِّیۡ سَقِیۡمٌ ﴿۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. অতঃপর বললো, ‘আমি অসুস্থ হয়ে পড়বো।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. অতঃপর বললেন, ‘আমি অসুস্থ, (তোমাদের সাথে মেলায় যেতে পারবো না।)’
فَتَوَلَّوۡا عَنۡہُ مُدۡبِرِیۡنَ ﴿۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
৯০. সুতরাং তারা তাঁকে পশ্চাতে রেখে (মেলায়) চলে গেল।
فَرَاغَ اِلٰۤی اٰلِہَتِہِمۡ فَقَالَ اَلَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿ۚ۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. তারপর সে গোপনে তাদের উপাস্যগুলোর দিকে গেলো। অতঃপর বললো, ‘তোমরা কি আহার করো না?
ইরফানুল কুরআন
৯১. অতঃপর তিনি (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) চুপিসারে তাদের দেবতাগুলোর নিকট গমন করলেন এবং বললেন, ‘তোমরা কি আহার করো না?
مَا لَکُمۡ لَا تَنۡطِقُوۡنَ ﴿۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. তোমাদের কি হলো যে, তোমরা কথা বলছো না?’
ইরফানুল কুরআন
৯২. তোমাদের কী হলো যে, তোমরা কথা বলছো না?’
فَرَاغَ عَلَیۡہِمۡ ضَرۡبًۢا بِالۡیَمِیۡنِ ﴿۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. অতঃপর লোকদের অগোচরে সেগুলোকে ডান হাতে মারতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
৯৩. অতঃপর (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) সবলে সেগুলোকে আঘাত হানতে লাগলেন (এবং চূর্ণবিচূর্ণ করলেন)।
فَاَقۡبَلُوۡۤا اِلَیۡہِ یَزِفُّوۡنَ ﴿۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. তখন কাফিরগণ তার প্রতি সবেগে ছুটে আসলো।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. অতঃপর লোকেরা (মেলা থেকে ফিরে) তাঁর দিকে ছুটে এলো।
قَالَ اَتَعۡبُدُوۡنَ مَا تَنۡحِتُوۡنَ ﴿ۙ۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. বললেন, ‘তোমরা কি নিজেদের হাতের গড়া (মূর্তি) গুলোর পূজা করছো?
ইরফানুল কুরআন
৯৫. ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম তাদেরকে) বললেন, তোমরা কি উপাসনা করো এগুলোর (এ প্রাণহীন পাথরের) যেগুলো তোমরা নিজেরাই খোদাই করে নির্মাণ করো?
وَ اللّٰہُ خَلَقَکُمۡ وَ مَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. অথচ আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের কর্মগুলোকেও’।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. অথচ আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা (কিছু তৈরি) করো।’
قَالُوا ابۡنُوۡا لَہٗ بُنۡیَانًا فَاَلۡقُوۡہُ فِی الۡجَحِیۡمِ ﴿۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. তারা বললো, ‘তার জন্য একটা ইমারত তৈরী করো। তারপর তাকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করো।
ইরফানুল কুরআন
৯৭. তারা বললো, ‘(পুড়িয়ে দেয়ার নিমিত্তে) তাঁর জন্যে এক ইমারত নির্মাণ করো, অতঃপর তাঁকে (এতে) প্রখর জ্বলন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ করো।’
فَاَرَادُوۡا بِہٖ کَیۡدًا فَجَعَلۡنٰہُمُ الۡاَسۡفَلِیۡنَ ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. অতঃপর তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে চাইলো। আমি তাদেরকে অতিশয় হেয় করে দিলাম।
ইরফানুল কুরআন
৯৮. সুতরাং তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর বিরুদ্ধে এক চক্রান্তের সংকল্প করলো, কিন্তু আমরা তাদেরকে অপদস্ত করে দিলাম (ফলশ্রতিতে জ্বলন্ত অগ্নি সুশীতল উদ্যানে রূপান্তরিত হয়ে গেলো)।
وَ قَالَ اِنِّیۡ ذَاہِبٌ اِلٰی رَبِّیۡ سَیَہۡدِیۡنِ ﴿۹۹﴾
কানযুল ঈমান
৯৯. এবং বললো, ‘আমি আপন রবের দিকে চললাম। এখন তিনি আমাকে পথ প্রদান করবেন।
ইরফানুল কুরআন
৯৯. এরপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমি (হিজরত করে) আমার প্রতিপালকের দিকে গমন করলাম, তিনি অবশ্যই আমাকে সৎপথে পরিচালিত করবেন।’ (এরপর তিনি সিরিয়ার দিকে হিজরত করলেন।)
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰۰﴾
কানযুল ঈমান
১০০. হে আমার রব! আমাকে উপযুক্ত সন্তান দান করো!
ইরফানুল কুরআন
১০০.(আর পবিত্র ভূমিতে পৌঁছে দোয়া করলেন,) ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ (পুত্র) দান করো।’
فَبَشَّرۡنٰہُ بِغُلٰمٍ حَلِیۡمٍ ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান
১০১. সুতরাং আমি তাকে সুসংবাদ শুনালাম। এক বুদ্ধিসম্পন্ন সন্তানের।
ইরফানুল কুরআন
১০১. সুতরাং আমরা তাঁকে বড় ধৈর্যশীল এক পুত্র (ইসমাইল আলাইহিস সালাম)-এঁর সুসংবাদ দিলাম।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَہُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُکَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
কানযুল ঈমান
১০২. অতঃপর যখন সে তার সঙ্গে কাজ করার উপযুক্ত হলো, তখন (ইব্রাহীম) বললো, ‘হে আমার পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন তুমি দেখো তোমার অভিমত কি? বললো, ‘হে আমার পিতা! করুন যা আপনি আদিষ্ট হচ্ছেন, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে অবিলম্বে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন’।
ইরফানুল কুরআন
১০২. অতঃপর যখন তিনি (ইসমাইল আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে দৌঁড়ে চলার সক্ষম (বয়সে উপনীত) হলেন, তখন (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন। ‘হে আমার পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি; সুতরাং ভেবে দেখো, তোমার কী অভিমত?’ (ইসমাইল আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘হে আমার পিতা! আপনি যে কাজে আদিষ্ট হয়েছেন তা (দ্রুত) সম্পন্ন করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্য ধারণকারীদের মধ্যে পাবেন।’
فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَ تَلَّہٗ لِلۡجَبِیۡنِ ﴿۱۰۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০৩. অতঃপর যখন উভয়ে আমার নির্দেশের প্রতি আত্নসমর্পণ করলো এবং পিতা পুত্রকে মাথার উপর ভর করে শায়িত করলো, ওই সময়কার অবস্থা জিজ্ঞাসা করো না;
ইরফানুল কুরআন
১০৩. অতঃপর যখন উভয়ে (আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির কাছে) আনুগত্য প্রকাশ করলেন এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁকে কাত করে শায়িত করলেন, (পরবর্তী দৃশ্য বর্ণিত হয়নি)
وَ نَادَیۡنٰہُ اَنۡ یّٰۤاِبۡرٰہِیۡمُ ﴿۱۰۴﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১০৪. এবং আমি তাকে আহ্বান করলাম, ‘হে ইব্রাহীম!
ইরফানুল কুরআন
১০৪. তখন আমরা তাঁকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহীম!
قَدۡ صَدَّقۡتَ الرُّءۡیَا ۚ اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۰۵﴾
কানযুল ঈমান
১০৫. নিশ্চয় তুমি স্বপ্নকে সত্য করে দেখালে। আমি এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
১০৫. তুমি তো তোমার স্বপ্ন (কতোই না চমৎকারভাবে) বাস্তবিকই সত্যে রূপান্তরিত করে দেখালে।’ এভাবেই আমরা আত্মিক পরিশুদ্ধদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। (সুতরাং তোমাকে ঘনিষ্ট বন্ধুর মর্যাদায় সৌভাগ্যবান করা হয়েছে।)
اِنَّ ہٰذَا لَہُوَ الۡبَلٰٓـؤُا الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۰۶﴾
কানযুল ঈমান
১০৬. নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১০৬. নিশ্চয়ই তা ছিল এক সুস্পষ্ট কঠিন পরীক্ষা।
وَ فَدَیۡنٰہُ بِذِبۡحٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۰۷﴾
কানযুল ঈমান
১০৭. এবং আমি এক মহান ক্বোরবানী তার বিনিময়ে দিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
১০৭. আর আমরা এক মহান কুরবানীর মাধ্যমে এর প্রতিদান দিয়েছি।
وَ تَرَکۡنَا عَلَیۡہِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۱۰۸﴾ۖ
কানযুল ঈমান
১০৮. এবং আমি পরবর্তীদের মধ্যে তার প্রশংসা স্থায়ী রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
১০৮. আমরা পরবর্তীদের মাঝে তাঁর পবিত্র স্মরণ বহাল রেখেছি।
سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ ﴿۱۰۹﴾
কানযুল ঈমান
১০৯. শান্তি বর্ষিত হোক ইব্রাহীমের উপর।
ইরফানুল কুরআন
১০৯. ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১১০. আমি এভাবেই পুরস্কৃত করি সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
১১০. আমরা এভাবেই আত্মিক পরিশুদ্ধদের পুরস্কার প্রদান করে থাকি।
اِنَّہٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১১. নিশ্চয় সে আমার উন্নততর মর্যাদার, পূর্ণ ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
১১১. নিশ্চয়ই তিনি আমাদের (পরিপূর্ণ) ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
وَ بَشَّرۡنٰہُ بِاِسۡحٰقَ نَبِیًّا مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১১২. এবং আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাক্বের, যে অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবী, আমার বিশেষ নৈকট্যের উপযোগীদের অন্যতম।
ইরফানুল কুরআন
১১২. আর আমরা (ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পর) তাঁকে সুসংবাদ দিলাম ইসহাক (আলাইহিস সালাম)-এঁর, (তিনিও) সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম এক নবী ছিলেন।
وَ بٰرَکۡنَا عَلَیۡہِ وَ عَلٰۤی اِسۡحٰقَ ؕ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِہِمَا مُحۡسِنٌ وَّ ظَالِمٌ لِّنَفۡسِہٖ مُبِیۡنٌ ﴿۱۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১১৩. এবং আমি বরকত অবতীর্ণ করেছি তার উপর এবং ইসহাক্বের উপর; আর উভয়ের বংশধরদের মধ্যে কেউ কেউ সৎকর্মকারী এবং কেউ কেউ আপন প্রাণের উপর সুস্পষ্ট যুল্মকারী।
ইরফানুল কুরআন
১১৩. আর আমরা তাঁর প্রতি এবং ইসহাক (আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি বরকত দান করেছিলাম এবং তাঁদের উভয়ের বংশধরদের মধ্যে সৎকর্মপরায়ণও রয়েছে এবং নিজের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারীও রয়েছে।
وَ لَقَدۡ مَنَنَّا عَلٰی مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ ﴿۱۱۴﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৪. এবং আমি মূসা ও হারূনের প্রতি অনুগ্রহ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১৪. আর আমরা অবশ্যই মূসা এবং হারুন (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর প্রতিও অনুগ্রহ করেছিলাম।
وَ نَجَّیۡنٰہُمَا وَ قَوۡمَہُمَا مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۱۱۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৫. এবং তাদেরকে উভয়কে ও তাদের সম্প্রদায়কে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১৫. এবং আমরা তাঁদেরকে এবং তাঁদের সম্প্রদায়কে মহাসংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম।
وَ نَصَرۡنٰہُمۡ فَکَانُوۡا ہُمُ الۡغٰلِبِیۡنَ ﴿۱۱۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৬. এবং আমি তাদের সাহায্য করেছি। সুতরাং তারাই বিজয়ী হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১১৬. আর আমরা তাঁদেরকে সাহায্য করেছিলাম, সুতরাং তাঁরাই হয়েছিল বিজয়ী।
وَ اٰتَیۡنٰہُمَا الۡکِتٰبَ الۡمُسۡتَبِیۡنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৭. এবং আমি তাদের উভয়কে সুস্পষ্ট কিতাব দান করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১৭. এবং আমরা তাঁদের উভয়কে সুস্পষ্ট ও আলোকোজ্জ্বল কিতাব (তাওরাত) প্রদান করেছিলাম।
وَ ہَدَیۡنٰہُمَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ ﴿۱۱۸﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৮. এবং তাদেরকে সোজা পথ প্রদর্শন করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১৮. এবং আমরা তাঁদের উভয়কে পরিচালিত করেছিলাম সরল পথে।
وَ تَرَکۡنَا عَلَیۡہِمَا فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১১৯. এবং পরবর্তীদের মধ্যে তাদের প্রশংসাকে স্থায়ী রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
১১৯. আর আমরা পরবর্তীদের মাঝে উভয়ের পুণ্যময় স্মরণ(ও) সমুন্নত রেখেছি।
سَلٰمٌ عَلٰی مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ ﴿۱۲۰﴾
কানযুল ঈমান
১২০. শান্তি বর্ষিত হোক মূসা ও হারূনের উপর।
ইরফানুল কুরআন
১২০. শান্তি বর্ষিত হোক মূসা এবং হারুন (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর উপর।
اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۲۱﴾
কানযুল ঈমান
১২১. নিশ্চয় আমি এভাবেই পুরস্কৃত করি সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
১২১. নিশ্চয়ই আমরা এভাবেই সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
اِنَّہُمَا مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۲۲﴾
কানযুল ঈমান
১২২. নিশ্চয় তারা উভয়ে আমার উন্নততর মর্যাদাশীল, পূর্ণ ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
১২২. নিশ্চয়ই তাঁরা উভয়েই ছিলেন আমার (পরিপূর্ণ) ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
وَ اِنَّ اِلۡیَاسَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۲۳﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১২৩. এবং নিশ্চয় ইলিয়াস পয়গাম্বরদের অন্যতম।
ইরফানুল কুরআন
১২৩. আর নিশ্চয়ই ইলইয়াস (আলাইহিস সালামও) ছিলেন রাসূলগণের মধ্যে একজন।
اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِہٖۤ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۲۴﴾
কানযুল ঈমান
১২৪. যখন সে আপন সম্প্রদায়কে বললো, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?
ইরফানুল কুরআন
১২৪. যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اَتَدۡعُوۡنَ بَعۡلًا وَّ تَذَرُوۡنَ اَحۡسَنَ الۡخَالِقِیۡنَ ﴿۱۲۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১২৫. তোমরা কি ‘বা’আল’ এর পূজা করছো। আর বর্জন করছো সর্বাপেক্ষা উত্তম স্রষ্টা।
ইরফানুল কুরআন
১২৫. তোমরা কি পূজা করছো বা’আল (নামক মূর্তি)-এর এবং পরিত্যাগ করছো সবচেয়ে উত্তম স্রষ্টাকে
اللّٰہَ رَبَّکُمۡ وَ رَبَّ اٰبَآئِکُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۱۲۶﴾
কানযুল ঈমান
১২৬. আল্লাহ্কে, যিনি রব তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের?
ইরফানুল কুরআন
১২৬. আল্লাহ্কে, যিনি তোমাদেরও প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদেরও প্রতিপালক?’
فَکَذَّبُوۡہُ فَاِنَّہُمۡ لَمُحۡضَرُوۡنَ ﴿۱۲۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১২৭. অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। সুতরাং তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে;
ইরফানুল কুরআন
১২৭. তখন এরা (এ বা’আলবাক সম্প্রদায়) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল ইলইয়াস (আলাইহিস সালাম)-কে; অতঃপর তাদেরকেও উপস্থিত করা হবে (জাহান্নামের শাস্তিতে),
اِلَّا عِبَادَ اللّٰہِ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۱۲۸﴾
কানযুল ঈমান
১২৮. কিন্তু আল্লাহ্র মনোনীত বান্দাগণ (তাদের থেকে স্বতন্ত্র)।
ইরফানুল কুরআন
১২৮. আল্লাহ্র মনোনীত বান্দাগণ ব্যতীত।
وَ تَرَکۡنَا عَلَیۡہِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۱۲۹﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১২৯. এবং আমি পরবর্তীদের মধ্যে তার প্রশংসা স্থায়ী রেখেছি;
ইরফানুল কুরআন
১২৯. আর আমরা তাঁর পুণ্যময় স্মরণকেও পরবর্তীদের মাঝে বহাল রেখেছি।
سَلٰمٌ عَلٰۤی اِلۡ یَاسِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾
কানযুল ঈমান
১৩০. শান্তি বর্ষিত হোক ইলিয়াসের উপর।
ইরফানুল কুরআন
১৩০. শান্তি বর্ষিত হোক ইলইয়াসের উপর।
اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۳۱﴾
কানযুল ঈমান
১৩১. নিশ্চয় আমি এভাবেই পুরস্কৃত করি সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
১৩১. নিশ্চয়ই আমরা এভাবেই সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
اِنَّہٗ مِنۡ عِبَادِنَا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۳۲﴾
কানযুল ঈমান
১৩২. নিশ্চয় সে আমার উন্নত মর্যাদাশীল, পূর্ণ ঈমানদার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
১৩২. নিশ্চয়ই তিনি আমাদের (পরিপূর্ণ) ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
وَ اِنَّ لُوۡطًا لَّمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۳۳﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৩৩. এবং নিশ্চয় লূত পয়গাম্বদের অন্যতম।
ইরফানুল কুরআন
১৩৩. আর নিশ্চয়ই লূত (আলাইহিস সালামও) ছিলেন রাসূলগণের মধ্যে একজন।
اِذۡ نَجَّیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۳۴﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৩৪. যখন আমি তাকে ও তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করেছি;
ইরফানুল কুরআন
১৩৪. যখন আমরা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সকলকে উদ্ধার করেছিলাম,
اِلَّا عَجُوۡزًا فِی الۡغٰبِرِیۡنَ ﴿۱۳۵﴾
কানযুল ঈমান
১৩৫. কিন্তু এক বৃদ্ধা, যে পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলো।
ইরফানুল কুরআন
১৩৫. সে বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
ثُمَّ دَمَّرۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿۱۳۶﴾
কানযুল ঈমান
১৩৬. অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি ধ্বংস করে ফেলেছি।
ইরফানুল কুরআন
১৩৬. অতঃপর আমরা অন্যদেরকে ধ্বংস করেছিলাম।
وَ اِنَّکُمۡ لَتَمُرُّوۡنَ عَلَیۡہِمۡ مُّصۡبِحِیۡنَ ﴿۱۳۷﴾
কানযুল ঈমান
১৩৭. এবং নিশ্চয় তোমরা তাদেরকে অতিক্রম করছো সকালে
ইরফানুল কুরআন
১৩৭. আর তোমরা তো অবশ্যই অতিক্রম করো তাদের (ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদ, মক্কা থেকে সিরিয়ার দিকে গমন করার সময়) সকালেও,
وَ بِالَّیۡلِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۳۸﴾
কানযুল ঈমান
১৩৮. এবং রাতে। তবে কি তোমাদের বিবেক নেই?
ইরফানুল কুরআন
১৩৮. আর রাতেও। এরপরও কি তোমরা বুঝো না?
وَ اِنَّ یُوۡنُسَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۳۹﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৩৯. এবং নিশ্চয় ইয়ূনূসও পয়গাম্বরদের অন্যতম।
ইরফানুল কুরআন
১৩৯. আর ইউনুস (আলাইহিস সালামও) বাস্তবিকই ছিলেন রাসূলগণের একজন।
اِذۡ اَبَقَ اِلَی الۡفُلۡکِ الۡمَشۡحُوۡنِ ﴿۱۴۰﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪০. যখন বোঝাই নৌ-যানের দিকে বের হয়ে পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৪০. যখন তিনি বোঝাই নৌযানের দিকে ছুটে গেলেন,
فَسَاہَمَ فَکَانَ مِنَ الۡمُدۡحَضِیۡنَ ﴿۱۴۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪১. অতঃপর লটারীতে যোগদান করলো। সুতরাং সে নিক্ষিপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো।
ইরফানুল কুরআন
১৪১. অতঃপর (নৌযানটি ঘূর্ণাবর্তে আটকে গেলে) তারা লটারী করলো, তখন তিনি (লটারীতে) পরাভূত হলেন। (অর্থাৎ লটারীতে তাঁর নাম উঠলো এবং লোকেরা তাঁকে সাগরে ফেলে দিল।)
فَالۡتَقَمَہُ الۡحُوۡتُ وَ ہُوَ مُلِیۡمٌ ﴿۱۴۲﴾
কানযুল ঈমান
১৪২. অতঃপর তাকে মৎস্য গিলে ফেলেলো এবং সে নিজেকে নিজে তিরষ্কার করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
১৪২. অতঃপর বৃহদাকার মৎস তাঁকে গিলে ফেললো এবং তিনি (নিজেকে) ধিক্কার দিতে লাগলেন।
فَلَوۡ لَاۤ اَنَّہٗ کَانَ مِنَ الۡمُسَبِّحِیۡنَ ﴿۱۴۳﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪৩. তবে যদি সে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী না হতো,
ইরফানুল কুরআন
১৪৩. অতঃপর যদি তিনি (আল্লাহ্র) পত্রিতা ও মহিমা ঘোষণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হতেন,
لَلَبِثَ فِیۡ بَطۡنِہٖۤ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۱۴۴﴾ۚؒ
কানযুল ঈমান
১৪৪. তবে অবশ্য সেটার পেটে অবস্থান করতো ওই দিন পর্যন্ত, যেদিন লোকদেরকে উঠানো হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৪৪. তবে তিনি (এ মৎস)-এর উদরে থাকতেন সেদিন পর্যন্ত যেদিন লোকদেরকে (কবর থেকে) উত্থিত করা হবে।
فَنَبَذۡنٰہُ بِالۡعَرَآءِ وَ ہُوَ سَقِیۡمٌ ﴿۱۴۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৫. অতঃপর আমি তাকে (তৃণহীন) প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম এবং সে ছিলো অসুস্থ।
ইরফানুল কুরআন
১৪৫. অতঃপর আমরা তাঁকে নিক্ষেপ করলাম (সাগরের তীরে) তৃণহীন প্রান্তরে, যখন তিনি ছিলেন অসুস্থ।
وَ اَنۡۢبَتۡنَا عَلَیۡہِ شَجَرَۃً مِّنۡ یَّقۡطِیۡنٍ ﴿۱۴۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৬. এবং আমি তার উপর লাউ গাছ উদগত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১৪৬. অতঃপর আমরা তাঁর উপর (লাউয়ের) লতানো এক গাছ উদ্গত করলাম।
وَ اَرۡسَلۡنٰہُ اِلٰی مِائَۃِ اَلۡفٍ اَوۡ یَزِیۡدُوۡنَ ﴿۱۴۷﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৭. এবং আমি তাকে লক্ষ মানুষের প্রতি প্রেরণ করেছি, বরং আরো অধিক।
ইরফানুল কুরআন
১৪৭. আর আমরা তাঁকে (মুসল নগরীতে নিনাওয়া সম্প্রদায়ের) এক লক্ষ কিংবা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম।
فَاٰمَنُوۡا فَمَتَّعۡنٰہُمۡ اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۱۴۸﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৪৮. অতঃপর তারা ঈমান নিয়ে এলো, তারপর আমি তাদেরকে একটা সময় পর্যন্ত ভোগ করতে দিলাম।
ইরফানুল কুরআন
১৪৮. অতঃপর (শাস্তির চিহ্ন দেখে) তারা ঈমান আনয়ন করলো, ফলে আমরা তাদেরকে কিছুকালের জন্যে কল্যাণ দান করলাম।
فَاسۡتَفۡتِہِمۡ اَلِرَبِّکَ الۡبَنَاتُ وَ لَہُمُ الۡبَنُوۡنَ ﴿۱۴۹﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪৯. সুতরাং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তোমাদের রবের জন্য কি কন্যাগণ, আর তাদের জন্য পুত্রগণ?’
ইরফানুল কুরআন
১৪৯. সুতরাং তাদেরকে (মক্কার কাফেরদেরকে) জিজ্ঞেস করুন, ‘আপনার প্রতিপালকের জন্যে কি কন্যাসন্তান এবং তাদের জন্যে পুত্রসন্তান?
اَمۡ خَلَقۡنَا الۡمَلٰٓئِکَۃَ اِنَاثًا وَّ ہُمۡ شٰہِدُوۡنَ ﴿۱۵۰﴾
কানযুল ঈমান
১৫০. অথবা আমি কি ফিরিশ্তাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি আর তখন তারা উপস্থিত ছিলো?’
ইরফানুল কুরআন
১৫০. আমরা কি ফেরেশতাদেকে নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছি, আর সে সময় এরা (সেখানে) উপস্থিত ছিল?’
اَلَاۤ اِنَّہُمۡ مِّنۡ اِفۡکِہِمۡ لَیَقُوۡلُوۡنَ ﴿۱۵۱﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫১. শুনছো! নিশ্চয় তারা তাদের মিথ্যাপবাদ থেকে বলছে
ইরফানুল কুরআন
১৫১. শুনে রাখো! তারা নিশ্চয়ই নিজেদের মনগড়া কথা বলে যে,
وَلَدَ اللّٰہُ ۙ وَ اِنَّہُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۵۲﴾
কানযুল ঈমান
১৫২. যে, আল্লাহ্র সন্তান আছে। এবং নিশ্চয় নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
১৫২. আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়েছেন, নিশ্চিত তারা মিথ্যাবাদী।
اَصۡطَفَی الۡبَنَاتِ عَلَی الۡبَنِیۡنَ ﴿۱۵۳﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৫৩. তিনি কি কন্যা সন্তান পছন্দ করেছেন পুত্র সন্তান ছেড়ে?
ইরফানুল কুরআন
১৫৩. তিনি কি পুত্রসন্তানের বিপরীতে কন্যাসন্তান পছন্দ করেছেন? (মক্কার কাফেরদের আকীদা তাদের যুক্তি ও মানসিকতার ভাষায় খন্ডন করা হচ্ছে।)
مَا لَکُمۡ ۟ کَیۡفَ تَحۡکُمُوۡنَ ﴿۱۵۴﴾
কানযুল ঈমান
১৫৪. তোমাদের কী হয়েছে? কেমন বিচার করছো?
ইরফানুল কুরআন
১৫৪. তোমাদের কী হয়েছে? তোমরা কেমন বিচার করছো?
اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৫৫. তবে কি তোমরা ধ্যান করছো না?
ইরফানুল কুরআন
১৫৫. তোমরা কি চিন্তা করো না?
اَمۡ لَکُمۡ سُلۡطٰنٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۵۶﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫৬. অথবা তোমাদের জন্য কি কোন সুস্পষ্ট দলীল- প্রমাণ আছে?
ইরফানুল কুরআন
১৫৬. তোমাদের নিকট কি (নিজেদের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠার পেছনে) সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ আছে?
فَاۡتُوۡا بِکِتٰبِکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۵۷﴾
কানযুল ঈমান
১৫৭. সুতরাং আপন কিতাব আনো যদি তোমরা সত্যবাদী হও!
ইরফানুল কুরআন
১৫৭. তোমাদের প্রামাণিক গ্রন্থ নিয়ে আসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
وَ جَعَلُوۡا بَیۡنَہٗ وَ بَیۡنَ الۡجِنَّۃِ نَسَبًا ؕ وَ لَقَدۡ عَلِمَتِ الۡجِنَّۃُ اِنَّہُمۡ لَمُحۡضَرُوۡنَ ﴿۱۵۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫৮. এবং তারা তাঁর মধ্যে ও জিন্দের মধ্যে আত্নীয়তার সম্পর্ক স্থির করেছে এবং নিশ্চয় জিন্দের জানা আছে যে, তাদেরকে অবশ্য উপস্থিত করা হবে;
ইরফানুল কুরআন
১৫৮. আর তারা তো আল্লাহ্ এবং জ্বিনদের মাঝে(ও) আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থির করেছে, অথচ জ্বীনেরা জানে যে, তাদেরকেও (আল্লাহ্র সমীপে) অবশ্যই উপস্থিত করা হবে।
سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۱۵۹﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫৯. পবিত্রতা আল্লাহ্রই ওই সব কথা থেকে, যেগুলো তারা বলে;
ইরফানুল কুরআন
১৫৯. আল্লাহ্ এসব বিষয় থেকে পূতঃপবিত্র, যেসব তারা উচ্চারণ করে।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰہِ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۱۶۰﴾
কানযুল ঈমান
১৬০. কিন্তু আল্লাহ্র মনোনীত বান্দাগণ।
ইরফানুল কুরআন
১৬০. কিন্তু আল্লাহ্র একনিষ্ঠ ও মনোনীত বান্দাগণ (এ ধরণের কথা বলেন না, তাঁরা তাদের মত নয়)।
فَاِنَّکُمۡ وَ مَا تَعۡبُدُوۡنَ ﴿۱۶۱﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬১. সুতরাং তোমরা এবং যা কিছুর তোমরা আল্লাহ্কে ব্যতীত পূজা করছো;
ইরফানুল কুরআন
১৬১. সুতরাং তোমরা এবং যা কিছুর (অর্থাৎ মূর্তির) উপাসনা তোমরা করো,
مَاۤ اَنۡتُمۡ عَلَیۡہِ بِفٰتِنِیۡنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬২. তোমরা তার বিরুদ্ধে কাউকেও বিভ্রান্তকারী নও;
ইরফানুল কুরআন
১৬২. তোমরা সকলে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে কাউকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না,
اِلَّا مَنۡ ہُوَ صَالِ الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۶۳﴾
কানযুল ঈমান
১৬৩. কিন্তু তাকেই, যে প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৬৩. তাকে ছাড়া যে জাহান্নামে পতনোন্মুখ।
وَ مَا مِنَّاۤ اِلَّا لَہٗ مَقَامٌ مَّعۡلُوۡمٌ ﴿۱۶۴﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬৪. এবং ফিরিশ্তাগণ বলে, ‘আমাদের মধ্যে প্রত্যেকের একটা স্থান নির্ধারিত রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৬৪. আর (ফেরেশতাগণ বলেন:) ‘আমাদেরও সকলের স্থান নির্ধারিত;
وَّ اِنَّا لَنَحۡنُ الصَّآفُّوۡنَ ﴿۱۶۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৬৫. এবং নিশ্চয় আমরা পাখা সম্প্রসারিত করে নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।
ইরফানুল কুরআন
১৬৫. আর আমরা তো অবশ্যই স্বয়ং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান;
وَ اِنَّا لَنَحۡنُ الۡمُسَبِّحُوۡنَ ﴿۱۶۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬৬. এবং নিশ্চয় আমরা তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী’।
ইরফানুল কুরআন
১৬৬. আর আমরা অবশ্যই স্বয়ং (আল্লাহ্র) স্তুতিতে ব্যস্ত থাকি।’
وَ اِنۡ کَانُوۡا لَیَقُوۡلُوۡنَ ﴿۱۶۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬৭. এবং নিশ্চয় তারা বলতো,
ইরফানুল কুরআন
১৬৭. আর তারা অবশ্য বলতো,
لَوۡ اَنَّ عِنۡدَنَا ذِکۡرًا مِّنَ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۱۶۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬৮. ‘যদি আমাদের নিকট পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকতো,
ইরফানুল কুরআন
১৬৮. ‘যদি আমাদের নিকট(ও) পূর্ববর্তী লোকদের কোনো উপদেশ (-এর কিতাব) থাকতো,
لَکُنَّا عِبَادَ اللّٰہِ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۱۶۹﴾
কানযুল ঈমান
১৬৯. তবে আমরা অবশ্য আল্লাহ্র মনোনীত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
ইরফানুল কুরআন
১৬৯. তবে আমরা(ও) অবশ্যই আল্লাহ্র একনিষ্ঠ ও মনোনীত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’
فَکَفَرُوۡا بِہٖ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۷۰﴾
কানযুল ঈমান
১৭০. অতঃপর তারা সেটা অস্বীকারকারী হলো; সুতরাং অবিলম্বে তারা জেনে নেবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭০. কিন্তু (এখন) তারা একে (এ কুরআনকে) অস্বীকার করলো। সুতরাং তারা অচিরেই (নিজেদের পরিণতি) জানবে।
وَ لَقَدۡ سَبَقَتۡ کَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۷۱﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১৭১. এবং নিশ্চয় আমার বাণী পূর্বে স্থির হয়েছে আমার প্রেরিত বান্দাদের জন্য
ইরফানুল কুরআন
১৭১. আর অবশ্যই আমাদের নির্দেশ আমাদের প্রেরিত বান্দাদের (অর্থাৎ রাসূলগণের) ব্যাপারে পূর্বে স্থির হয়েছে যে,
اِنَّہُمۡ لَہُمُ الۡمَنۡصُوۡرُوۡنَ ﴿۱۷۲﴾۪
কানযুল ঈমান
১৭২. যে, নিশ্চয় তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭২. নিশ্চিত তাঁরাই সাহায্য প্রাপ্ত।
وَ اِنَّ جُنۡدَنَا لَہُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۱۷۳﴾
কানযুল ঈমান
১৭৩. এবং নিঃসন্দেহে আমারই বাহিনী বিজয়ী হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭৩. আর অবশ্যই আমার বাহিনীই হবে বিজয়ী।
فَتَوَلَّ عَنۡہُمۡ حَتّٰی حِیۡنٍ ﴿۱۷۴﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৭৪. সুতরাং একটা কালের জন্য আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন!
ইরফানুল কুরআন
১৭৪. সুতরাং আপনি কিছু সময় পর্যন্ত তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
وَّ اَبۡصِرۡہُمۡ فَسَوۡفَ یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۷۵﴾
কানযুল ঈমান
১৭৫. এবং তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন যে, শীঘ্রই তারা প্রত্যক্ষ করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭৫. আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন, সুতরাং তারা অচিরেই (নিজেদের পরিণতি) দেখবে।
اَفَبِعَذَابِنَا یَسۡتَعۡجِلُوۡنَ ﴿۱۷۶﴾
কানযুল ঈমান
১৭৬. তবে কি তারা আমার শাস্তিকে ত্বরান্বিত করতে চাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
১৭৬. আর তারা কি আমাদের শাস্তি ত্বরান্বিত করতে চায়?
فَاِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِہِمۡ فَسَآءَ صَبَاحُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ ﴿۱۷۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭৭. অতঃপর যখন নেমে আসবে তাদের আঙ্গিনায়, তখন সতর্ককৃতদের কতোই মন্দ প্রভাত হবে!
ইরফানুল কুরআন
১৭৭. অতঃপর যখন এ (শাস্তি) তাদের সম্মুখে নেমে আসবে, তখন কতোই না মন্দ হবে তাদের প্রভাত যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল!
وَ تَوَلَّ عَنۡہُمۡ حَتّٰی حِیۡنٍ ﴿۱۷۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৭৮. এবং একটা সময়সীমা পর্যন্ত আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন
ইরফানুল কুরআন
১৭৮. অতএব আপনি কিছু সময় পর্যন্ত তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
وَّ اَبۡصِرۡ فَسَوۡفَ یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
কানযুল ঈমান
১৭৯. এবং অপেক্ষা করুন যে, তারা অনতিবিলম্বে প্রত্যক্ষ করবে।
ইরফানুল কুরআন
১৭৯.আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন, সুতরাং তারা অচিরেই (নিজেদের পরিণতি) দেখতে পাবে।
سُبۡحٰنَ رَبِّکَ رَبِّ الۡعِزَّۃِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮০. পবিত্রতা আপনার রবের জন্য, মহা সম্মানিত রবের জন্য তাদের উক্তিগুলো থেকে।
ইরফানুল কুরআন
১৮০. পবিত্র আপনার প্রতিপালক, মর্যাদার অধিকারী; এ (বিষয়) থেকে পবিত্র যা তারা আরোপ করে।
وَ سَلٰمٌ عَلَی الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۸۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮১. এবং শান্তি বর্ষিত হোক পয়গাম্বরগণের প্রতি,
ইরফানুল কুরআন
১৮১. আর শান্তি বর্ষিত হোক (সকল) রাসূলগণের উপর!
وَ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۸۲﴾
কানযুল ঈমান
১৮২. এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
১৮২. আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক।