بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আলিফ লা-----ম মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. আলিফ-লাম-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ مِنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ؕ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. কিতাব অবতীর্ণ করা নিশ্চয় বিশ্ব প্রতিপালকের নিকট থেকে।
ইরফানুল কুরআন
২. এ কিতাব অবতীর্ণ বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىہُ ۚ بَلۡ ہُوَ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکَ لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اَتٰہُمۡ مِّنۡ نَّذِیۡرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ لَعَلَّہُمۡ یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. তারা কি বলে, ‘তারই রচিত?’ (তা নয়) বরং সেটাই সত্য আপনার রবের পক্ষ থেকে, যেন আপনি সতর্ক করেন এমন সব লোককে, যাদের নিকট আপনার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি, এ আশায় যে, তারা সঠিক পথ পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৩. তবে কি কাফের ও মুশরিকেরা বলে, ‘তিনি (রাসূল) তা নিজে রচনা করেছেন?’ বরং তা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য, যাতে আপনি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারেন যাদের নিকট আপনার পূর্বে কোনো সতর্ককারী আসেনি, হয়তো তারা হেদায়াত পাবে।
اَللّٰہُ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ ؕ مَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا شَفِیۡعٍ ؕ اَفَلَا تَتَذَکَّرُوۡنَ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আল্লাহ্, যিনি আসমান ও যমীন এবং যা কিছু সেগুলোর মাঝখানে রয়েছে, ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশের উপর ‘ইস্তিওয়া’ ফরমায়েছেন। তাকে ছেড়ে তোমাদের না আছে কোন সাহায্যকারী এবং না আছে কোন সুপারিশকারী। তবে কি তোমরা ধ্যান করছো না?
ইরফানুল কুরআন
৪. আল্লাহ্ই, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে (তা) ছয় দিনে (অর্থাৎ ছয়টি সময়কালে) সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর (সৃষ্টিজগতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার) সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের জন্যে না কোনো অভিভাবক রয়েছে, আর না কোনো সুপারিশকারী। তবু কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
یُدَبِّرُ الۡاَمۡرَ مِنَ السَّمَآءِ اِلَی الۡاَرۡضِ ثُمَّ یَعۡرُجُ اِلَیۡہِ فِیۡ یَوۡمٍ کَانَ مِقۡدَارُہٗۤ اَلۡفَ سَنَۃٍ مِّمَّا تَعُدُّوۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. কাজের ব্যবস্থাপনা করেন আসমান যমীন পর্যন্ত, অতঃপর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ওই দিন, যার পরিমাণ হাজার বছর তোমাদের হিসেবে।
ইরফানুল কুরআন
৫. তিনি আসমান-জমিন (এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) পরিচালনা করেন। অতঃপর এ নির্দেশ তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করে (এবং প্রত্যাবর্তন করবে) এক দিনে যার পরিমাণ তোমাদের (হিসাবের) গণনায় এক হাজার বছর।
ذٰلِکَ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. ইনি প্রত্যেক গোপন ও প্রকাশ্যের পরিজ্ঞাতা, সম্মান ও করুণাময়;
ইরফানুল কুরআন
৬. তিনিই অদৃশ্য ও দৃশ্যমান অবগত, পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
الَّذِیۡۤ اَحۡسَنَ کُلَّ شَیۡءٍ خَلَقَہٗ وَ بَدَاَ خَلۡقَ الۡاِنۡسَانِ مِنۡ طِیۡنٍ ۚ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. তিনিই, যিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছেন এবং মানব জাতির সৃষ্টির সূচনা মাটি থেকে করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৭. তিনিই প্রত্যেক বস্তুকে উৎকৃষ্টতা ও সৌন্দর্য প্রদান করেছেন, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন মাটি (অর্থাৎ অজৈব বস্তু) থেকে।
ثُمَّ جَعَلَ نَسۡلَہٗ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ مَّآءٍ مَّہِیۡنٍ ۚ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. অতঃপর তার বংশ সৃষ্টি করেন এক তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৮. অতঃপর তিনি তার বংশধারাকে চালিত করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস (অর্থাৎ বীর্য) থেকে;
ثُمَّ سَوّٰىہُ وَ نَفَخَ فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِہٖ وَ جَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ وَ الۡاَفۡـِٕدَۃَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. অতঃপর সেটাকে সুঠাম করেছেন এবং তাতে তার নিকট থেকে রূহ ফুঁকেছেন আর তোমাদেরকে কান ও চক্ষু এবং অন্তরসমূহ দান করেছেন। কতই অল্প কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো!
ইরফানুল কুরআন
৯. অতঃপর তিনি একে (এ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে) যথার্থ করেছেন এবং এতে তাঁর রূহ (জীবন) ফুঁকে দিয়েছেন। আর তোমাদের জন্যে (মায়ের গর্ভে প্রথমে) তৈরি করেছেন কর্ণ, (অতঃপর) চক্ষু এবং (এরপর) অন্তঃকরণ ও মস্তিস্ক । তোমরা খুব সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
وَ قَالُوۡۤا ءَ اِذَا ضَلَلۡنَا فِی الۡاَرۡضِ ءَ اِنَّا لَفِیۡ خَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ۬ؕ بَلۡ ہُمۡ بِلِقَآیِٔ رَبِّہِمۡ کٰفِرُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং বললো, ‘আমরা যখন মাটিতে মিশে যাবো তবুও কি আমরা নতুন করে সৃষ্ট হবো? বরং তারা আপন রবের সম্মুখে হাযির হওয়ার বিষয়েকে অস্বীকার করে।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর কাফেরেরা বলে, ‘আমরা মৃত্তিকায় পর্যবসিত হলেও কি আমাদেরকে সম্পূর্ণ নতুন করে সৃষ্টি করা হবে?’ বরং তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতকেই অস্বীকার করে।
قُلۡ یَتَوَفّٰىکُمۡ مَّلَکُ الۡمَوۡتِ الَّذِیۡ وُکِّلَ بِکُمۡ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আপনি বলুন, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু প্রদান করে মৃত্যুর ফিরিশ্তা, যে তোমাদের জন্য নিযুক্ত রয়েছে। অতঃপর আপন রবের দিকে ফিরে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
১১. বলে দিন, ‘মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে, যাকে তোমাদের জন্যে নিযুক্ত করা হয়েছে। অতঃপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে আনা হবে।’
وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذِ الۡمُجۡرِمُوۡنَ نَاکِسُوۡا رُءُوۡسِہِمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ رَبَّنَاۤ اَبۡصَرۡنَا وَ سَمِعۡنَا فَارۡجِعۡنَا نَعۡمَلۡ صَالِحًا اِنَّا مُوۡقِنُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং কখনো আপনি দেখবেন, যখন অপরাধী আপন রবের নিকট মাথা নিচের দিকে ঝুকিয়ে থাকবে, হে আমাদের রব! এখন আমরা দেখেছি এবং শুনেছি; আমাদেরকে পুণরায় প্রেরণ করো, যাতে আমরা সৎকাজ করি, আমাদের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস এসে গেছে’।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর আপনি যদি দেখতেন (তবে এতে আশ্চর্যবোধ করতেন), যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সমীপে মাথা ঝুঁকিয়ে দেবে (এবং বলবে:) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম এবং শ্রবণ করলাম, কাজেই আমাদেরকে পুনরায় (পৃথিবীতে) প্রেরণ করুন যাতে আমরা সৎকর্ম করি। নিশ্চয়ই আমরা বিশ্বাসী।
وَ لَوۡ شِئۡنَا لَاٰتَیۡنَا کُلَّ نَفۡسٍ ہُدٰىہَا وَ لٰکِنۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ مِنِّیۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَہَنَّمَ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং আমি যদি ইচ্ছা করতাম তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সেটার প্রতি পথ দেখাতাম, কিন্তু আমার বাণী অবধারিত হয়ে গেছে যে, অবশ্যই আমি জাহান্নামকে ভর্তি করবো ওই সব জিন ও মানব দ্বারা।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর আমরা ইচ্ছা করলে প্রত্যেক আত্মাকে (আমরাই) সৎপথে পরিচালিত করতাম। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে (এ) নির্দেশনা নির্ধারিত যে, আমি অবশ্যই সকল (অস্বীকারকারী) জ্বিন এবং মানুষ দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবো।
فَذُوۡقُوۡا بِمَا نَسِیۡتُمۡ لِقَآءَ یَوۡمِکُمۡ ہٰذَا ۚ اِنَّا نَسِیۡنٰکُمۡ وَ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡخُلۡدِ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. ‘এখন স্বাদ গ্রহণ করো এরই পরিণামে যে, তোমরা তোমাদের এ দিনের উপস্থিতির কথা বিস্মৃত হয়েছিলে। আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছি, এখন স্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে থাকো নিজেদের কৃতকর্মের প্রতিফল!’
ইরফানুল কুরআন
১৪. অতঃপর তোমরা (এখন) স্বাদ গ্রহণ করো, কারণ তোমরা তোমাদের এই দিনের সাক্ষাতকে ভুলে গিয়েছিলে। আমিও তোমাদেরকে বিস্মৃত হয়েছি। আর তোমরা যা করছিলে তোমাদের সেসব কর্মের বিনিময়ে স্থায়ী শাস্তির স্বাদ ভোগ করতে থাকো।
اِنَّمَا یُؤۡمِنُ بِاٰیٰتِنَا الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِّرُوۡا بِہَا خَرُّوۡا سُجَّدًا وَّ سَبَّحُوۡا بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ وَ ہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿ٛ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. আমার আয়াতগুলোর উপর কেবল তারাই ঈমান আনে, যাদেরকে যখনই সেগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তখন সাজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং আপন রবের প্রশংসা করতে করতে তার পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং অহঙ্কার করে না।
ইরফানুল কুরআন
১৫. অতঃপর তারাই আমার আয়াতের উপর ঈমান আনয়ন করে যারা এর (এ আয়াতের) মাধ্যমে উপদিষ্ট হলে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করে। আর তারা অহঙ্কার করে না।
تَتَجَافٰی جُنُوۡبُہُمۡ عَنِ الۡمَضَاجِعِ یَدۡعُوۡنَ رَبَّہُمۡ خَوۡفًا وَّ طَمَعًا ۫ وَّ مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তাদের পার্শ্বদেশগুলো পৃথক থাকে শয্যাসমূহ থেকে এবং আপন রবকে ডাকতে থাকে ভীত ও আশাবাদী হয়ে আর আমার প্রদত্ত থেকে কিছু দান খয়রাত করে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তাদের পার্শ্বদেশসমূহ তাদের শয্যা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাদের প্রতিপালককে আশংকা ও আশায় (উভয় অবস্থার মিশ্রণে) আহ্বান করে এবং আমার প্রদত্ত রিযিক থেকে (আমার পথে) ব্যয় করে।
فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٌ مَّاۤ اُخۡفِیَ لَہُمۡ مِّنۡ قُرَّۃِ اَعۡیُنٍ ۚ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. সুতরাং কোন ব্যক্তির জানা নেই যে নয়নাভিরাম তাদের জন্য লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, পুরস্কারস্বরূপ তাদের কৃতকর্মের।
ইরফানুল কুরআন
১৭. সুতরাং কেউ জানে না তাদের জন্যে নয়নপ্রীতিকর কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তা হবে এর প্রতিদান যেসব (সৎকর্ম) তারা করতো।
اَفَمَنۡ کَانَ مُؤۡمِنًا کَمَنۡ کَانَ فَاسِقًا ؕؔ لَا یَسۡتَوٗنَ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. তবে কি যে ঈমানদার সে তাঁরই মতো হয়ে যাবে, যে নির্দেশ অমান্যকারী? এরা সমান নয়।
ইরফানুল কুরআন
১৮. যে ব্যক্তি ঈমানদার, সে কি তার মতো হতে পারে যে নাফরমান? (না,) এরা (দু’জন) সমান হতে পারে না।
اَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَلَہُمۡ جَنّٰتُ الۡمَاۡوٰی ۫ نُزُلًۢا بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য বসবাস করার বাগান রয়েছে, তাদের কৃতকর্মসমূহের বিনিময়ে আপ্যায়নরূপে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. সুতরাং যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করছে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) তাদের আপ্যায়নে ও সম্মানে রয়েছে স্থায়ী প্রশান্তির উদ্যানসমূহ, সেসবের প্রতিদানে যেসব (আমল) তারা করতো।
وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ فَسَقُوۡا فَمَاۡوٰىہُمُ النَّارُ ؕ کُلَّمَاۤ اَرَادُوۡۤا اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَاۤ اُعِیۡدُوۡا فِیۡہَا وَ قِیۡلَ لَہُمۡ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ النَّارِ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ بِہٖ تُکَذِّبُوۡنَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. রইলো ওই সমস্ত লোক, যারা নির্দেশ অমান্যকারী, তাদের ঠিকানা হচ্ছে আগুন। যখনই তারা তা থেকে বের হতে চাইবে তখন তাদেরকে তাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর তাদেরকে বলা হবে, ‘আস্বাদন করো ওই আগুনের শাস্তি, যাকে তোমরা অস্বীকার করতে’।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর যারা নাফরমানী করেছে তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান থেকে পলায়ন করতে চাইবে তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, ‘জাহান্নামের অগ্নি-শাস্তি আস্বাদন করতে থাকো যা তোমরা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতে’।
وَ لَنُذِیۡقَنَّہُمۡ مِّنَ الۡعَذَابِ الۡاَدۡنٰی دُوۡنَ الۡعَذَابِ الۡاَکۡبَرِ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং অবশ্যই আমি তাদেরকে আস্বাদন করাবো কিছু নিকটস্থ শাস্তি ওই মহাশাস্তির পূর্বে যেটার প্রত্যক্ষকারী আশা করবে যে, এখনই ফিরে আসবে।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর আমরা অবশ্যই তাদেরকে (পরকালের) গুরুশাস্তির পূর্বে (পার্থিব) লঘুশাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবো; যাতে তারা (কুফরী) থেকে ফিরে আসে।
وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ ذُکِّرَ بِاٰیٰتِ رَبِّہٖ ثُمَّ اَعۡرَضَ عَنۡہَا ؕ اِنَّا مِنَ الۡمُجۡرِمِیۡنَ مُنۡتَقِمُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং ওই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিকতর যালিম কে, যাকে তার রবের আয়তগুলো দ্বারা উপদেশ দেওয়া হয়েছে, অতঃপর সে সেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে? নিশ্চয়, আমি অপরাধীদের থেকে বদলা নিয়ে থাকি।
ইরফানুল কুরআন
২২. তার চেয়ে বড় জালিম আর কে যে তার প্রতিপালকের আয়াতসমূহ দ্বারা উপদিষ্ট হয়, অতঃপর তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? আমরা অবশ্যই অপরাধীদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করি।
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ فَلَا تَکُنۡ فِیۡ مِرۡیَۃٍ مِّنۡ لِّقَآئِہٖ وَ جَعَلۡنٰہُ ہُدًی لِّبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ۚ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে কিতাব দান করেছি, সুতরাং আপনি তার সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহ করবেন না! এবং আমি তাকে বনী ইস্রাঈলের জন্য ‘পথ নির্দেশনা’ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর আমরা তো মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে (তাওরাত) কিতাব প্রদান করেছিলাম; সুতরাং আপনি তাঁর সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহে থাকবেন না (এ সাক্ষাৎ মিরাজ রজনীতে সংঘটিত হওয়ার পথে), আর আমি একে বনী ইসরাঈলের জন্যে পথনির্দেশ বানিয়েছিলাম।
وَ جَعَلۡنَا مِنۡہُمۡ اَئِمَّۃً یَّہۡدُوۡنَ بِاَمۡرِنَا لَمَّا صَبَرُوۡا ۟ؕ وَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং আমি তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক ইমাম করেছি, যারা আমার নির্দেশে পথ বাতলিয়ে দিতো যখন তারা ধৈর্য ধারণ করলো। এবং তারা আমার আয়াতগুলোর উপর দৃঢ় বিশ্বাস করতো।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর আমরা তাদের মধ্য থেকে কিছু ইমাম ও নেতা মনোনিত করেছিলাম যারা আমার নির্দেশে পথ-প্রদর্শন করতো যখন তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল। আর তারা ছিল আমার নিদর্শনাবলীতে দৃঢ় বিশ্বাসী।
اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ یَفۡصِلُ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فِیۡمَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. নিশ্চয় আপনার রব ক্বিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন যেসব বিষয়ে তারা বিরোধ করতো।
ইরফানুল কুরআন
২৫. নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালকই তাদের মাঝে কিয়ামতের দিন (সেসব বিষয়ের) ফায়সালা করবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো।
اَوَ لَمۡ یَہۡدِ لَہُمۡ کَمۡ اَہۡلَکۡنَا مِنۡ قَبۡلِہِمۡ مِّنَ الۡقُرُوۡنِ یَمۡشُوۡنَ فِیۡ مَسٰکِنِہِمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ ؕ اَفَلَا یَسۡمَعُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং তাদের কি এতেও হিদায়ত হলো না যে, আমি তাদের পূর্বে কতো মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি, আজ যাদের বাসস্থানগুলোতে এরা বিচরণ করছে? নিশ্চয় নিশ্চয় এতে নিদর্শনাদি রয়েছে। তবে কি তারা শুনছে না?
ইরফানুল কুরআন
২৬. তাদেরকে কি (এ বিষয়ও) পথ-নির্দেশ করলো না যে, তাদের পূর্বে আমরা ধ্বংস করেছি কতো উম্মতকেই যাদের বাস-ভূমিতে (এখন) এরা চলাফেরা করছে? নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে, তারা কি শুনে না?
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّا نَسُوۡقُ الۡمَآءَ اِلَی الۡاَرۡضِ الۡجُرُزِ فَنُخۡرِجُ بِہٖ زَرۡعًا تَاۡکُلُ مِنۡہُ اَنۡعَامُہُمۡ وَ اَنۡفُسُہُمۡ ؕ اَفَلَا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿ؓ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং তারা কি দেখে না যে, আমি পানি প্রেরণ করি শুষ্ক ভূমির প্রতি, অতঃপর তা দ্বারা শস্য উদগত করি, যা থেকে তাদের চতুষ্পদ প্রাণীগুলো এবং তারা নিজেরা আহার করে? তবে কি তারা লক্ষ্য করে না?
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর তারা কি দেখেনি, আমি পানি প্রবাহিত করি অনুর্বর ভূমির দিকে, অতঃপর আমি তা থেকে শস্য উদ্গত করি, যা থেকে তাদের চতুষ্পদ প্রাণী আহার্য গ্রহণ করে এবং তারা নিজেরাও? তবু কি তারা লক্ষ্য করে না?
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی ہٰذَا الۡفَتۡحُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং তারা বলে, ‘এ মীমাংসা কবে হবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও!’
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর তারা জিজ্ঞেস করে, ‘কখন হবে এই ফায়সালা যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
قُلۡ یَوۡمَ الۡفَتۡحِ لَا یَنۡفَعُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِیۡمَانُہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আপনি বলুন, ‘মীমাংসার দিনে কাফিরদেরকে তাদের ঈমান আনা উপকৃত করবে না এবং না তাদেরকে অবকাশ দেওয়া হবে’।
ইরফানুল কুরআন
২৯. বলে দিন, ‘ফায়সালার দিন না কাফেরদের তাদের ঈমান উপকারে আসবে, আর না তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে।’
فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّہُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. সুতরাং তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং অপেক্ষা করুন; নিশ্চয় তাদেরকেও অপেক্ষা করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং অপেক্ষা করুন। আর তারাও অপেক্ষা করছে।