بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
طٰسٓمّٓ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. ত্বোয়া-সী----ম্মী-----ম্।
ইরফানুল কুরআন
১. ত্বোয়া-সীন-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এগুলো উজ্জ্বল কিতাবের আয়াত।
ইরফানুল কুরআন
২. এগুলো (সত্যকে) সুষ্পষ্টকারী কিতাবের আয়াতসমূহ।
لَعَلَّکَ بَاخِعٌ نَّفۡسَکَ اَلَّا یَکُوۡنُوۡا مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এমন যেনো না হয় যে, আপনি আপন প্রাণ-বিনাশী হয়ে যাবেন এ দুঃখে যে, তারা ঈমান আনে নি!
ইরফানুল কুরআন
৩. (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনি হয়তো নিজের (প্রিয়তম) প্রাণটিই বিসর্জন দিয়ে দিবেন (এ চিন্তায়) কারণ, তারা ঈমান আনয়ন করেনি।
اِنۡ نَّشَاۡ نُنَزِّلۡ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ السَّمَآءِ اٰیَۃً فَظَلَّتۡ اَعۡنَاقُہُمۡ لَہَا خٰضِعِیۡنَ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. যদি আমি ইচ্ছা করি তবে আসমান থেক তাদের উপর কোন নিদর্শন অবতারণ করবো, যাতে তাদের উচু উচু গ্রীবাগুলো সেটার সামনে বিনত হয়ে থেকে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪. যদি আমরা ইচ্ছা করি তবে তাদের উপর আকাশ থেকে (এমন) নিদর্শন অবতীর্ণ করবো যে, তাদের গ্রীবাগুলো এর সামনে নত হয়ে পড়বে।
وَ مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ مُحۡدَثٍ اِلَّا کَانُوۡا عَنۡہُ مُعۡرِضِیۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং তাদের নিকট রাহমানের কাছ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে না, কিন্তু (এলে) তা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর তাদের কাছে দয়াময় (আল্লাহ্)-এঁর পক্ষ থেকে নতুন কোনো দিকনির্দেশনা এবং উপদেশ এলেই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
فَقَدۡ کَذَّبُوۡا فَسَیَاۡتِیۡہِمۡ اَنۡۢبٰٓؤُا مَا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. অতঃপর নিশ্চয় তারা অস্বীকার করেছে; সুতরাং অবিলম্বে তাদের উপর ঠাট্টা বিদ্রূপের খবরাদি আসবে।
ইরফানুল কুরআন
৬. সুতরাং তারা তো (সত্যকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে। অতঃপর শীঘ্রই তাদের কাছে এ বিষয়ের সংবাদ পৌঁছবে যা নিয়ে তারা ঠাট্টা করতো।
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اِلَی الۡاَرۡضِ کَمۡ اَنۡۢبَتۡنَا فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ زَوۡجٍ کَرِیۡمٍ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. তারা কি পৃথিবীর দিকে তাকায় নি? আমি তাতে কতো সম্মানজনক জোড়া উদ্গত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর তারা কি পৃথিবীর দিকে লক্ষ্য করে না, আমরা তাতে কতো উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদ্গত করেছি?
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕوَ مَا کَانَ اَکۡثَرُ ہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. নিশ্চয় নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের অধিকাংশই ঈমান আনয়নকারী নয়।
ইরফানুল কুরআন
৮. অবশ্যই এতে (আল্লাহ্র কুদরতের) নিদর্শন রয়েছে কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমানদার নয়।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং নিশ্চয় আপনার রব, তিনি অবশ্য মহা সম্মানিত, দয়াময়।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই মহাপরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
وَ اِذۡ نَادٰی رَبُّکَ مُوۡسٰۤی اَنِ ائۡتِ الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং স্মরণ করুন, যখন আপনার রব মূসাকে আহ্বান করলেন (বললেন) ‘যালিম লোকদের নিকট যাও’।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর (স্মরণ করুন সে ঘটনার কথা) যখন আপনার প্রতিপালক মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে ডেকে বললেন, ‘তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায়ের নিকট গমন করো;
قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ ؕ اَلَا یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. যারা ফিরে’আউনের সম্প্রদায়, তারা কি ভয় করবে না?’
ইরফানুল কুরআন
১১. (অর্থাৎ) ফিরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট। তারা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করে না?’
قَالَ رَبِّ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یُّکَذِّبُوۡنِ ﴿ؕ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. আরয করলো, ‘হে আমার রব, আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে;
ইরফানুল কুরআন
১২. মূসা (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি ভয় পাচ্ছি যে, তারা আমাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করবে।
وَ یَضِیۡقُ صَدۡرِیۡ وَ لَا یَنۡطَلِقُ لِسَانِیۡ فَاَرۡسِلۡ اِلٰی ہٰرُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং আমার বক্ষ সংকুচিত হয়ে পড়ছে আর আমার মুখ চলে না। সুতরাং হারূনকেও রসূল করো।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর (এমন প্রতিকূল পরিবেশে) আমার বক্ষ সংকুচিত হয়ে যায় এবং আমার ভাষা (স্বতঃস্ফুর্তভাবে) চলে না। সুতরাং হারুন (আলাইহিস সালাম)-এঁর নিকটও (জিব্রাঈল আলাইহিস সালামকে ওহী সহকারে) প্রেরণ করুন (যাতে তিনি আমার সাহায্যকারী হতে পারেন)।
وَ لَہُمۡ عَلَیَّ ذَنۡۢبٌ فَاَخَافُ اَنۡ یَّقۡتُلُوۡنِ ﴿ۚ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের একটা অভিযোগ আছে। সুতরাং আমি আশঙ্কা করছি যে, হয় তো তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে’।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর আমার বিরুদ্ধে (ক্বিবতীকে হত্যার) তাদের এক অভিযোগও রয়েছে, কাজেই আমি ভয় পাচ্ছি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।’
قَالَ کَلَّا ۚ فَاذۡہَبَا بِاٰیٰتِنَاۤ اِنَّا مَعَکُمۡ مُّسۡتَمِعُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. বললেন, ‘না, এমন নয়, তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শন নিয়ে যাও, আমি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী’।
ইরফানুল কুরআন
১৫. (আল্লাহ) বলেন, ‘কক্ষনো নয়। অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে গমন করো। অবশ্যই আমি তোমাদের সাথে আছি, (সবকিছু) শুনছি।
فَاۡتِیَا فِرۡعَوۡنَ فَقُوۡلَاۤ اِنَّا رَسُوۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. অতঃপর তোমরা ফির’আউনের নিকট যাও, অতঃপর তাকে বলো, ‘আমরা দু’জন তারই রসূল, যিনি সমগ্র জগতের রব,
ইরফানুল কুরআন
১৬. অতঃপর তোমরা উভয়ে ফেরাউনের নিকট যাও এবং বলো: আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের (প্রেরিত) রাসূল।
اَنۡ اَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ؕ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. যেন তুমি আমাদের সাথে বনী ইস্রাঈলকে ছেড়ে দাও’।
ইরফানুল কুরআন
১৭. (আমাদের দাবী এই যে,) তুমি বনী ইসরাঈলকে (মুক্তি দিয়ে) আমাদের সাথে প্রেরণ করো।’
قَالَ اَلَمۡ نُرَبِّکَ فِیۡنَا وَلِیۡدًا وَّ لَبِثۡتَ فِیۡنَا مِنۡ عُمُرِکَ سِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. সে বললো, ‘আমরা কি তোমাকে আমাদের এখানে শৈশবে লালন পালন করি নি? এবং তুমি আমাদের এখানে নিজ জীবনের কয়েক বছর অতিবাহিত করেছো;
ইরফানুল কুরআন
১৮. (ফেরাউন) বললো, ‘আমরা কি তোমাকে আমাদের তত্ত্বাবধানে শৈশবে লালন-পালন করিনি এবং তুমি কি তোমার জীবনের বহু বছর আমাদের মাঝে কাটাও নি?
وَ فَعَلۡتَ فَعۡلَتَکَ الَّتِیۡ فَعَلۡتَ وَ اَنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তুমি করেছো স্বীয় এই কাজ, যা তুমিই করেছো আর তুমি অকৃতজ্ঞ ছিলে’।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর (এরপরও) তোমার যা করার তা তুমি করেছো (অর্থাৎ এক ক্বিবতীকে হত্যা করেছো।) এবং তুমি অকৃতজ্ঞদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। (আমাদের তত্ত্বাবধান ও অনুগ্রহ ভুলে গেছো।)’
قَالَ فَعَلۡتُہَاۤ اِذًا وَّ اَنَا مِنَ الضَّآلِّیۡنَ ﴿ؕ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. মূসা বললেন, ‘আমি ওই কাজ করেছি যখন আমার নিকট পথের (পরিণামের) খবর ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
২০. মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘যখন আমি সে কাজ করেছিলাম তখন আমি ছিলাম অনবগত (যে, এক ঘুষিতেই তার মৃত্যু হয়ে যাবে)।
فَفَرَرۡتُ مِنۡکُمۡ لَمَّا خِفۡتُکُمۡ فَوَہَبَ لِیۡ رَبِّیۡ حُکۡمًا وَّ جَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অতঃপর আমি তোমাদের এখান থেকে বের হয়ে গিয়েছি যখন তোমাদেরকে ভয় করেছি; অতঃপর আমাকে আমার রব হুকুম দান করেছেন এবং আমাকে পয়গাম্বরদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২১. সুতরাং আমি (সে সময়) তোমাদের (নিয়ন্ত্রণ সীমা) থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম যখন আমি তোমাদের (উদ্দেশ্য) সম্পর্কে ভীত হয়ে পড়েছিলাম। অতঃপর আমার প্রতিপালক আমাকে (নবুয়্যতের) নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং (পরিশেষে) আমাকে রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
وَ تِلۡکَ نِعۡمَۃٌ تَمُنُّہَا عَلَیَّ اَنۡ عَبَّدۡتَّ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ؕ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং এটা এমন এক অনুগ্রহ, যেটার (কথা উল্লেখ করে) তুমি আমাকে খোটা দিচ্ছো (তা হচ্ছে এই) যে, তুমি বনী ইস্রাঈলকে গোলামে পরিণত করে রেখেছো!’
ইরফানুল কুরআন
২২. আর সেটা কি (কোনো) আনুকূল্য যার উল্লেখ তুমি করছো? (এর কারণও এই ছিল) যে, তুমি (আমার পুরো সম্প্রদায়) বনী ইসরাঈলকে দাস বানিয়ে রেখেছিলে।’
قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَ مَا رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ؕ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. ফির’আউন বললো, ‘এবং সমগ্র জগতের রব কি?’
ইরফানুল কুরআন
২৩. ফেরাউন বললো, ‘বিশ্বজগতের প্রতিপালক আবার কী?’
قَالَ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّوۡقِنِیۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. মূসা বললেন, ‘রব আসমানসমূহ ও যমীণের এবং যা কিছু সেগুলোর মাঝখানে রয়েছে, যদি তোমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকে’।
ইরফানুল কুরআন
২৪. (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘(তিনি) সমস্ত আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু (বিশ্বজগৎ) বিদ্যমান এর প্রতিপালক, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।’
قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَہٗۤ اَلَا تَسۡتَمِعُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. আপন আশপাশের লোকজনকে বললো, ‘তোমরা কি মনোযোগ সহকারে শুনছো না?’
ইরফানুল কুরআন
২৫. সে তার চারপাশে (উপবিষ্ট) পরিষদবর্গকে লক্ষ্য করে বললো, ‘তোমরা কি শুনছো না?’
قَالَ رَبُّکُمۡ وَ رَبُّ اٰبَآئِکُمُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. মূসা বললেন, ‘রব তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতা ও পিতামহদের’।
ইরফানুল কুরআন
২৬. (মূসা আলাইহিস সালাম আরও) বললেন, ‘(তিনিই) তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষগণের(ও) প্রতিপালক’।
قَالَ اِنَّ رَسُوۡلَکُمُ الَّذِیۡۤ اُرۡسِلَ اِلَیۡکُمۡ لَمَجۡنُوۡنٌ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. বললো, ‘তোমাদের এ রসূল, যিনি তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছেন, অবশ্যই বিবেকবান নয়’।
ইরফানুল কুরআন
২৭. (ফেরাউন) বললো, ‘তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রাসূল তো একজন বদ্ধ পাগল’।
قَالَ رَبُّ الۡمَشۡرِقِ وَ الۡمَغۡرِبِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. মূসা বললেন, ‘রব পূর্ব ও পশ্চিমের এবং যা কিছু সে দু’টির মধ্যখানে রয়েছে; যদি তোমাদের বিবেক থাকে’।
ইরফানুল কুরআন
২৮. (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘(তিনি) পূর্ব ও পশ্চিমের এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু (বিশ্বজগৎ) বিদ্যমান এর প্রতিপালক যদি তোমরা (কিছুটা) বুঝতে’।
قَالَ لَئِنِ اتَّخَذۡتَ اِلٰـہًا غَیۡرِیۡ لَاَجۡعَلَنَّکَ مِنَ الۡمَسۡجُوۡنِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. বললো, ‘যদি আমি ব্যতীত অন্য কাউকে তুমি খোদা স্থির করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারারুদ্ধ করবো’।
ইরফানুল কুরআন
২৯. (ফেরাউন) বললো, ‘(হে মূসা!) তুমি যদি আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করো তবে আমি তোমাকে অবশ্যই (গ্রেফতার করে) বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত করবো।’
قَالَ اَوَ لَوۡ جِئۡتُکَ بِشَیۡءٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۚ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. বললেন, ‘তবুও কি, যদি আমি তোমার নিকট কোন সুস্পষ্ট বস্তু নিয়ে আসি?’
ইরফানুল কুরআন
৩০. (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমি তোমার নিকট (অলৌকিক ঘটনা হিসেবে) সুস্পষ্ট কিছু নিয়ে আসলেও?’
قَالَ فَاۡتِ بِہٖۤ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. বললো, ‘তাহলে নিয়ে এসো যদি সত্যবাদী হও’।
ইরফানুল কুরআন
৩১. (ফেরাউন) বললো, ‘তুমি তা উপস্থিত করো যদি তুমি সত্যবাদী হও’।
فَاَلۡقٰی عَصَاہُ فَاِذَا ہِیَ ثُعۡبَانٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ۚۖ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. অতঃপর মূসা আপন লাঠি রাখলেন। তৎক্ষণাৎ সেটা প্রত্যক্ষ অজগর হয়ে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
৩২. অতঃপর (মূসা আলাইহিস সালাম ভুমিতে) তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলেন, আর তৎক্ষণাৎ তা এক সুস্পষ্ট অজগরে পরিণত হলো।
وَّ نَزَعَ یَدَہٗ فَاِذَا ہِیَ بَیۡضَآءُ لِلنّٰظِرِیۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং আপন হাত বের করলেন। সুতরাং তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের দৃষ্টিতে ঝকমক করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর (মূসা আলাইহিস সালাম) নিজের হাত (বাহুমূলে ঢুকিয়ে) বের করলেন, তখনই তা দর্শকদের দৃষ্টিতে (ঝলমলে) শুভ্রতায় পরিণত হলো।
قَالَ لِلۡمَلَاِ حَوۡلَہٗۤ اِنَّ ہٰذَا لَسٰحِرٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. সে তার আশেপাশের নেতৃবর্গকে বললো, নিশ্চয় ইনি সুদক্ষ যাদুকর;
ইরফানুল কুরআন
৩৪. (ফেরাউন) তার আশেপাশে (বসে) থাকা পরিষদবর্গকে বললো, ‘নিঃসন্দেহে এ বড় সুদক্ষ এক যাদুকর।
یُّرِیۡدُ اَنۡ یُّخۡرِجَکُمۡ مِّنۡ اَرۡضِکُمۡ بِسِحۡرِہٖ ٭ۖ فَمَا ذَا تَاۡمُرُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. তিনি চাচ্ছেন তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে আপন যাদুর বলে; এখন তোমাদের পরামর্শ কী?’
ইরফানুল কুরআন
৩৫. সে তোমাদেরকে তার যাদুর (শক্তির) বলে তোমাদের ভুমি থেকে বের করে দিতে চায়। কাজেই (তাঁর ব্যাপারে) তোমাদের অভিমত কী?’
قَالُوۡۤا اَرۡجِہۡ وَ اَخَاہُ وَ ابۡعَثۡ فِی الۡمَدَآئِنِ حٰشِرِیۡنَ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. তারা বললো, ‘তাকে ও তার ভাইকে রুখে রাখো এবং শহরগুলোতে সংগ্রাহকদের পাঠাও,
ইরফানুল কুরআন
৩৬. তারা বললো, ‘তাঁকে এবং তাঁর ভ্রাতাকে (শাস্তির বিধান শুনানো থেকে) কিঞ্চিৎ অবকাশ দাও। আর (সমস্ত) শহরে (যাদুকরদের খোঁজে) সংগ্রাহকদের পাঠাও।
یَاۡتُوۡکَ بِکُلِّ سَحَّارٍ عَلِیۡمٍ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. যেন তারা তোমার নিকট নিয়ে আসে প্রত্যেক বড় জ্ঞানী যাদুকর’।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. তারা সমস্ত দক্ষ যাদুকরদের তোমার নিকট নিয়ে আসবে।’
فَجُمِعَ السَّحَرَۃُ لِمِیۡقَاتِ یَوۡمٍ مَّعۡلُوۡمٍ ﴿ۙ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. অতঃপর একত্র করা হলো যাদুকরদেরকে একটা নির্দিষ্ট দিনের প্রতিশ্রুতির উপর;
ইরফানুল কুরআন
৩৮. অতঃপর সকল যাদুকরকে নির্দিষ্ট দিনের নির্ধারিত সময়ে একত্রিত করা হলো।
وَّ قِیۡلَ لِلنَّاسِ ہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّجۡتَمِعُوۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং লোকদেরকে বলা হলো, ‘তোমরা কি সমবেত হবে?
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর (ফেরাউনের পক্ষ থেকে) লোকদেরকে বলা হলো, ‘তোমরা (এ উপলক্ষে) একত্রিত হচ্ছো,
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَۃَ اِنۡ کَانُوۡا ہُمُ الۡغٰلِبِیۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. হয় তো আমরা ওই যাদুকরদেরই অনুসরণ করবো যদি তারা বিজয়ী হয়’।
ইরফানুল কুরআন
৪০. যাতে আমরা যাদুকরদের (ধর্মের) অনুসরণ করি যদি তারা (মূসা এবং হারুনের উপর) বিজয়ী হয়।’
فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالُوۡا لِفِرۡعَوۡنَ اَئِنَّ لَنَا لَاَجۡرًا اِنۡ کُنَّا نَحۡنُ الۡغٰلِبِیۡنَ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. অতঃপর যখন যাদুকরগণ এলো, তখন তারা ফির’আউনকে বললো, ‘আমরা কি কিছু পারিশ্রমিক পাবো যদি আমরা বিজয়ী হই?’
ইরফানুল কুরআন
৪১. অতঃপর যাদুকরেরা এসে ফেরাউনকে বললো, ‘আমাদের জন্যে (নির্ধারিত) কোনো পুরস্কার আছে কি যদি আমরা (প্রতিযোগিতায়) বিজয়ী হই?’
قَالَ نَعَمۡ وَ اِنَّکُمۡ اِذًا لَّمِنَ الۡمُقَرَّبِیۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. সে বললো, হাঁ, এবং তখন তোমরা আমার ঘনিষ্ঠ হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪২. (ফেরাউন) বললো, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই তোমরা তখন (পুরস্কার প্রাপ্তদের স্থলে আমার) ঘনিষ্ঠ জনদের মধ্যে গণ্য হবে।’
قَالَ لَہُمۡ مُّوۡسٰۤی اَلۡقُوۡا مَاۤ اَنۡتُمۡ مُّلۡقُوۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. মূসা তাদেরকে বললেন, ‘নিক্ষেপ করো যা তোমাদের নিক্ষেপ করার আছে’।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. মূসা (আলাইহিস সালাম) তাদের (যাদুকরদের) উদ্দেশ্যে বললেন, ‘তোমরা সেসব (যাদু) নিক্ষেপ করো যা নিক্ষেপ করার’।
فَاَلۡقَوۡا حِبَالَہُمۡ وَ عِصِیَّہُمۡ وَ قَالُوۡا بِعِزَّۃِ فِرۡعَوۡنَ اِنَّا لَنَحۡنُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. অতঃপর তারা আপন রশি ও লাঠিগুলো ফেলল আর বললো, ফির’আউনের সম্মানের শপথ! নিশ্চয় বিজয় আমাদেরই’।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. তখন তারা তাদের রশি ও লাঠিগুলো নিক্ষেপ করলো এবং বলতে লাগলো, ‘ফেরাউনের ইজ্জতের কসম! আমরাই বিজয়ী হবো।’
فَاَلۡقٰی مُوۡسٰی عَصَاہُ فَاِذَا ہِیَ تَلۡقَفُ مَا یَاۡفِکُوۡنَ ﴿ۚۖ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. অতঃপর মূসা আপন লাঠি ফেললেন। তখনই তা তাদের কৃত্রিম সৃষ্টিগুলোকে গ্রাস করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. অতঃপর মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলেন। সহসা তা (অজগরে পরিণত হয়ে) সেগুলোকে গিলে ফেলতে লাগলো যেগুলোকে তারা চাতুরীর মাধ্যমে (প্রকৃত অবস্থা হতে) পরিবর্তন করেছিল।
فَاُلۡقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیۡنَ ﴿ۙ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. তখন সাজদাবনত হয়ে পড়লো যাদুকরগণ।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. সুতরাং সমস্ত যাদুকরেরা সেজদায় লুটিয়ে পড়লো।
قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. তারা বললো, ‘আমরা ঈমান আনলাম তারই উপর যিনি সমগ্র জগতের রব;
ইরফানুল কুরআন
৪৭. তারা বলতে লাগলো, ‘আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনলাম,
رَبِّ مُوۡسٰی وَ ہٰرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. যিনি মূসা ও হারূনের রব’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. (যিনি) মূসা এবং হারুন (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর প্রতিপালক।’
قَالَ اٰمَنۡتُمۡ لَہٗ قَبۡلَ اَنۡ اٰذَنَ لَکُمۡ ۚ اِنَّہٗ لَکَبِیۡرُکُمُ الَّذِیۡ عَلَّمَکُمُ السِّحۡرَ ۚ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ۬ؕ لَاُقَطِّعَنَّ اَیۡدِیَکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ وَّ لَاُوصَلِّبَنَّکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۚ۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. ফির’আউন বললো, ‘তোমরা কি তার উপর ঈমান আনলে আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার পূর্বে? নিশ্চয় সে তোমাদের বড়জন, যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং এখনই জেনে নেবে। আমি শপথ করে বলছি। নিশ্চয় আমি তোমাদের এক দিকের হাত ও বিপরীত দিকের পা কর্তন করবো এবং তোমাদের সবাইকে শূলবিদ্ধ করবো’।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. (ফেরাউন) বললো, ‘তোমরা এঁর উপর ঈমান এনেছো আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার আগেই! নিশ্চিত সে (মূসা আলাইহিস সালাম) তোমাদের প্রধান (উস্তাদ), সেই তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। তোমরা অতি শীঘ্রই (নিজের পরিণতি) জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলবো এবং তোমাদের সবাইকে শুলে চড়াবো।’
قَالُوۡا لَا ضَیۡرَ ۫ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا مُنۡقَلِبُوۡنَ ﴿ۚ۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. তারা বললো, ‘কোন ক্ষতি নেই। আমরা আপন রবের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।
ইরফানুল কুরআন
৫০. তারা বললো, ‘(তাতে) কোনো ক্ষতি নেই, আমরা তো আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।
اِنَّا نَطۡمَعُ اَنۡ یَّغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطٰیٰنَاۤ اَنۡ کُنَّاۤ اَوَّلَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿ؕ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. আমাদের আশা যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেবেন এ জন্য যে, আমরা সবার পূর্বে ঈমান এনেছি’।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আমরা দৃঢ় আশা রাখি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের অপরাধ মার্জনা করবেন, কারণ, আমরা (এখন) সর্বাগ্রে ঈমান আনয়নকারী।’
وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی اَنۡ اَسۡرِ بِعِبَادِیۡۤ اِنَّکُمۡ مُّتَّبَعُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং আমি মূসার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, ‘রাতারাতি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হও! নিশ্চয় তোমাদের পিছু ধাওয়া করা হবেই’।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর নিকট প্রত্যাদেশ করেছিলাম, ‘তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে রজনীতে (এখান থেকে) বের হয়ে যাও। তোমাদেরকে অবশ্যই পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।’
فَاَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِی الۡمَدَآئِنِ حٰشِرِیۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. অতঃপর ফির’আউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদের প্রেরণ করলো-
ইরফানুল কুরআন
৫৩. অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করলো।
اِنَّ ہٰۤؤُلَآءِ لَشِرۡ ذِمَۃٌ قَلِیۡلُوۡنَ ﴿ۙ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. ‘এসব লোক ক্ষুদ্র একটা দল।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. (এবং বললো,) ‘এরা (বনী ইসরাঈল) তো ছোট্ট একটি দল।
وَ اِنَّہُمۡ لَنَا لَغَآئِظُوۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এবং নিশ্চয় তারা আমাদের সবার অন্তরে জ্বালা দিচ্ছে;
ইরফানুল কুরআন
৫৫. আর নিঃসন্দেহে তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করছে।
وَ اِنَّا لَجَمِیۡعٌ حٰذِرُوۡنَ ﴿ؕ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এবং নিশ্চয় আমরা সবাই সদা সতর্ক’।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর নিশ্চয়ই আমরাও সকলে সতর্ক এবং সজাগ।’
فَاَخۡرَجۡنٰہُمۡ مِّنۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ ﴿ۙ۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. অতঃপর আমি তাদেরকে বের করে এনেছি বাগান ও প্রস্রবণগুলো থেকে;
ইরফানুল কুরআন
৫৭. অতঃপর আমরা তাদেরকে (অর্থাৎ ফেরাউনের জনগণকে) উদ্যানরাজি এবং প্রস্রবন থেকে বের করে দিলাম।
وَّ کُنُوۡزٍ وَّ مَقَامٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۙ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং ধন-ভাণ্ডার ও উৎকৃষ্ট বাসস্থানগুলো থেকে;
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর ধন-ভান্ডার এবং সুরম্য আবাসস্থল (থেকেও বের করে দিলাম)।
کَذٰلِکَ ؕ وَ اَوۡرَثۡنٰہَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ؕ۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. আমি অনুরূপই করেছি এবং তাদের উত্তরাধিকারী করেছি বনী ইস্রাঈলকে।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. (আমরা) এভাবে (করেছিলাম) এবং আমি বনী ইসরাঈলকে (এসব কিছু)-এর উত্তরাধিকারী বানিয়ে ছিলাম।
فَاَتۡبَعُوۡہُمۡ مُّشۡرِقِیۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. অতঃপর ফির’আউনীগণ তাদের পিছু ধাওয়া করলো সূর্যোদয় কালে।
ইরফানুল কুরআন
৬০. অতঃপর সূর্যোদয়কালে তারা (অর্থাৎ ফেরাউনের জনগণ) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করলো।
فَلَمَّا تَرَآءَ الۡجَمۡعٰنِ قَالَ اَصۡحٰبُ مُوۡسٰۤی اِنَّا لَمُدۡرَکُوۡنَ ﴿ۚ۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. অতঃপর যখন মুখোমুখি হলো উভয় দল, তখন মূসার সাথীরা বললো, ‘তারা তো আমাদেরক ধরে ফেললো!’
ইরফানুল কুরআন
৬১. অতঃপর যখন দু’দল সামনাসামনি হয়ে গেল, (তখন) মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর সাথীগণ বললো, ‘আমরা তো (এখন) ধরা পড়ে গেলাম’।
قَالَ کَلَّا ۚ اِنَّ مَعِیَ رَبِّیۡ سَیَہۡدِیۡنِ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. মূসা বললেন, ‘এমনই নয়। নিশ্চয় আমার রব আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে এখন পথ প্রদান করছেন’।
ইরফানুল কুরআন
৬২. (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘কক্ষনো না, অবশ্যই আমার সাথে আমার প্রতিপালক রয়েছেন, তিনি এখনই আমাকে (মুক্তির) পথ দেখাবেন।’
فَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی اَنِ اضۡرِبۡ بِّعَصَاکَ الۡبَحۡرَ ؕ فَانۡفَلَقَ فَکَانَ کُلُّ فِرۡقٍ کَالطَّوۡدِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ۚ۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. অতঃপর আমি মূসাকে ওহী করলাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করো’। সুতরাং তখনই সমুদ্র বিভক্ত হয়ে গেলো; অতঃপর প্রত্যেক অংশ (এমনই) হয়ে গেলো যেমন বিশাল পাহাড়।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. অতঃপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করলাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করো’। ফলে সমুদ্র (বারোটি অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল এবং প্রত্যেক অংশ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।
وَ اَزۡلَفۡنَا ثَمَّ الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿ۚ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. এবং আমি সেখানে অপর দলটিকে উপনীত করলাম।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর আমরা অন্যান্যদের (অর্থাৎ ফেরাউন এবং তার সাথীদের) সেখানে উপনীত করলাম।
وَ اَنۡجَیۡنَا مُوۡسٰی وَ مَنۡ مَّعَہٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۚ۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. এবং আমি রক্ষা করলাম মূসা ও তার সমস্ত সাথীকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. এবং আমরা মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথে থাকা সকলকে উদ্ধার করলাম।
ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿ؕ۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. অতঃপর অপর দলটাকে নিমজ্জিত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. এরপর (ফেরাউন এবং তার জনগণের) অন্য দলটিকে ডুবিয়ে দিলাম।
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. নিশ্চয় এর মধ্যে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. অবশ্যই এতে (এ ঘটনাতে আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. এবং নিশ্চয় তোমাদের রব; তিনিই পরম দয়ালু, সম্মানিত।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই মহাপরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
وَ اتۡلُ عَلَیۡہِمۡ نَبَاَ اِبۡرٰہِیۡمَ ﴿ۘ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. এবং তাদের নিকট পাঠ করো ইব্রাহীমের সংবাদ;
ইরফানুল কুরআন
৬৯. আর আপনি তাদেরকে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর ঘটনাও পাঠ করে শোনান।
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡہِ وَ قَوۡمِہٖ مَا تَعۡبُدُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. যখন সে আপন পিতা ও আপন সম্প্রদায়কে বললো, ‘তোমরা কিসের পূজা করছো?’
ইরফানুল কুরআন
৭০. যখন তিনি তাঁর বাবা* এবং নিজ সম্প্রদায়কে বললেন, ‘তোমরা কিসের পূজা করো?’* তিনি প্রকৃত বাবা ছিলেন না, তিনি ছিলেন চাচা। ইনিই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে লালন পালন করেছিলেন, যার কারণে তাকে বাবা বলে ডাকতেন। তার নাম আযর। ইবরাহীম আলাইহিস সালামের প্রকৃত বাবার নাম তারাখ।
قَالُوۡا نَعۡبُدُ اَصۡنَامًا فَنَظَلُّ لَہَا عٰکِفِیۡنَ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. তারা বললো, ‘আমরা প্রতিমাগুলোর পূজা করছি এবং সেগুলোর সামনে আসন পেতে রয়েছি’।
ইরফানুল কুরআন
৭১. তারা বললো, ‘আমরা মূর্তির উপাসনা করি এবং আমরা এতে (এদের আরাধনা ও খেদমতে) নিমগ্ন থাকি’।
قَالَ ہَلۡ یَسۡمَعُوۡنَکُمۡ اِذۡ تَدۡعُوۡنَ ﴿ۙ۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. বললেন, ‘সেগুলো কি তোমাদের কথা শুনতে পায়, যখন তোমরা ডাকো?
ইরফানুল কুরআন
৭২. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘এরা কি তোমাদেরকে শুনে যখন তোমরা (তাদেরকে) ডাকো?
اَوۡ یَنۡفَعُوۡنَکُمۡ اَوۡ یَضُرُّوۡنَ ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. অথবা তোমাদের উপকার কিংবা অপকার করে?’
ইরফানুল কুরআন
৭৩. অথবা এরা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?’
قَالُوۡا بَلۡ وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا کَذٰلِکَ یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. তারা বললো, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে এরূপই করতে পেয়েছি’।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. তারা বললো, ‘(তাতো জানিনা) তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এরূপই করতে দেখেছি’।
قَالَ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا کُنۡتُمۡ تَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۙ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. বললেন, ‘তোমরা কি দেখছো এ গুলোকে, যেগুলোর পূজা করছো-
ইরফানুল কুরআন
৭৫. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘তোমরা কি (কখনো এর প্রকৃত বিষয়ে) চিন্তা করেছো যার পূজা তোমরা করছো?
اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمُ الۡاَقۡدَمُوۡنَ ﴿۫ۖ۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. তোমরা ও তোমাদের পূর্বেকার পিতৃ-পুরুষরা?
ইরফানুল কুরআন
৭৬. তোমরা অথবা তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা? (কখনো কি ভেবে দেখেছো?)
فَاِنَّہُمۡ عَدُوٌّ لِّیۡۤ اِلَّا رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. নিশ্চয় এগুলো সবই আমার শত্রু, জগতসমূহের রব ব্যতীত;
ইরফানুল কুরআন
৭৭. সুতরাং বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক ব্যতীত এসব (মূর্তি) আমার দুশমন। (তিনিই আমার উপাস্য।)
الَّذِیۡ خَلَقَنِیۡ فَہُوَ یَہۡدِیۡنِ ﴿ۙ۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. তিনিই, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং তিনি আমাকে পথ প্রদান করবেন।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে হেদায়াত দিয়েছেন।
وَ الَّذِیۡ ہُوَ یُطۡعِمُنِیۡ وَ یَسۡقِیۡنِ ﴿ۙ۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. এবং তিনিই, যিনি আমাকে আহার করান এবং পান করান;
ইরফানুল কুরআন
৭৯. আর তিনিই আমাকে আহার্য এবং পানীয় সরবরাহ করেন।
وَ اِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِ ﴿۪ۙ۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন;
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর যখন আমি অসুস্থ হই তিনিই আমাকে সুস্থতা দান করেন।
وَ الَّذِیۡ یُمِیۡتُنِیۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡنِ ﴿ۙ۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং তিনি মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন;
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তিনিই আমাকে (দ্বিতীয়বার) জীবন দান করবেন।।
وَ الَّذِیۡۤ اَطۡمَعُ اَنۡ یَّغۡفِرَ لِیۡ خَطِیۡٓئَتِیۡ یَوۡمَ الدِّیۡنِ ﴿ؕ۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. এবং তিনিই, যার প্রতি আমার আশা যে, আমার অপরাধসমূহ ক্বিয়ামত দিবসে ক্ষমা করবেন।
ইরফানুল কুরআন
৮২. আর আমি প্রত্যাশা করি যে, কিয়ামত দিবসে তিনিই আমার ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিবেন।
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ حُکۡمًا وَّ اَلۡحِقۡنِیۡ بِالصّٰلِحِیۡنَ ﴿ۙ۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. হে আমার অব! আমাকে হুকুম দান করো এবং আমাকে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করে দাও যারা তোমার খাস নৈকট্যের উপযোগী;
ইরফানুল কুরআন
৮৩. হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান এবং সৎকর্মে পূর্ণতা দান করো এবং যারা তোমার বিশেষ নৈকট্যের উপযুক্ত আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করো।
وَ اجۡعَلۡ لِّیۡ لِسَانَ صِدۡقٍ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿ۙ۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. এবং আমার সত-প্রসিদ্ধি প্রতিষ্ঠিত রাখো পরবর্তীদের মধ্যে;
ইরফানুল কুরআন
৮৪. আর পরবর্তীতে আগমনকারীদের মাঝেও আমার সুখ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতা জারী রাখো।
وَ اجۡعَلۡنِیۡ مِنۡ وَّرَثَۃِ جَنَّۃِ النَّعِیۡمِ ﴿ۙ۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এবং আমাকে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করো, যারা সুখময় বাগান সমূহের উত্তরাধিকারী;
ইরফানুল কুরআন
৮৫. আমাকে নিয়ামত-বিশিষ্ট কাননের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
وَ اغۡفِرۡ لِاَبِیۡۤ اِنَّہٗ کَانَ مِنَ الضَّآلِّیۡنَ ﴿ۙ۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. এবং আমার বাবাকে ক্ষমা করো, নিশ্চয় সে পথভ্রষ্ট;
ইরফানুল কুরআন
৮৬. আর আমার পিতাকে ক্ষমা করে দাও, তিনি তো পথভ্রষ্টদের মধ্যে গণ্য।
وَ لَا تُخۡزِنِیۡ یَوۡمَ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿ۙ۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. এবং আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যেদিন সবাই পুনরুত্থিত হবে;
ইরফানুল কুরআন
৮৭. আর আমাকে (সেদিন) অপমানিত করো না যেদিন মানুষকে (কবর থেকে) পুনরুত্থিত করা হবে,
یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ مَالٌ وَّ لَا بَنُوۡنَ ﴿ۙ۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. যেদিন না ধন-সম্পদ কাজে আসবে না পুত্রগণ;
ইরফানুল কুরআন
৮৮. যেদিন কোনো সম্পদ কিংবা সন্তান-সন্ততি উপকারে আসবে না।
اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰہَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ﴿ؕ۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. কিন্তু ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহ্র সম্মুখে হাযির হয়েছে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. তবে কেবল সেই ব্যক্তি (উপকৃত হবে) যে আল্লাহ্র নিকট বিশুদ্ধ ও প্রশান্ত অন্তঃকরণ নিয়ে উপস্থিত হবে।’
وَ اُزۡلِفَتِ الۡجَنَّۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. এবং নিকটবর্তী করা হবে জান্নাতকে পরহেয্গারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৯০. আর (সেদিন) পরহেযগারদের নিকটবর্তী করা হবে জান্নাত।
وَ بُرِّزَتِ الۡجَحِیۡمُ لِلۡغٰوِیۡنَ ﴿ۙ۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. এবং প্রকাশ করা হবে দোযখকে পথভ্রষ্টদের জন্য;
ইরফানুল কুরআন
৯১. আর পথভ্রষ্টদের সামনে উন্মোচন করা হবে জাহান্নাম।
وَ قِیۡلَ لَہُمۡ اَیۡنَمَا کُنۡتُمۡ تَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۙ۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. এবং তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় তারা, যাদের তোমরা পূজা করতে,
ইরফানুল কুরআন
৯২. আর তাদেরকে বলা হবে, ‘সেসব (মূর্তি) কোথায় যাদের তোমরা ইবাদত করতে?
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ ہَلۡ یَنۡصُرُوۡنَکُمۡ اَوۡ یَنۡتَصِرُوۡنَ ﴿ؕ۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. আল্লাহ্ ব্যতীত? তারা কি তোমাদের সাহায্য করবে, অথবা প্রতিশোধ নেবে?’
ইরফানুল কুরআন
৯৩. আল্লাহ্ ছাড়া কি তারা তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারে অথবা নিজেদেরকে (জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে) সাহায্য করতে পারে?’
فَکُبۡکِبُوۡا فِیۡہَا ہُمۡ وَ الۡغَاوٗنَ ﴿ۙ۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. অতঃপর অধোমুখী করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে তাদেরকে এবং সমসত পথভ্রষ্টকে;
ইরফানুল কুরআন
৯৪. সুতরাং এসব (মূর্তি) এবং পথভ্রষ্ট লোকদেরকে অধোমূখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
وَ جُنُوۡدُ اِبۡلِیۡسَ اَجۡمَعُوۡنَ ﴿ؕ۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. এবং ইবলীসের বাহিনীর সকলকেও।
ইরফানুল কুরআন
৯৫. এবং ইবলিসের বাহিনীর সকলকেও (জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।)
قَالُوۡا وَ ہُمۡ فِیۡہَا یَخۡتَصِمُوۡنَ ﴿ۙ۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. তারা বলবে এবং তারা তাতে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হবে,
ইরফানুল কুরআন
৯৬. এরা (এ পথভ্রষ্ট লোকেরা দোযখে) পরস্পরে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে বলবে,
تَاللّٰہِ اِنۡ کُنَّا لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۙ۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. ‘আল্লাহ্র শপথ! নিশ্চয় আমরা সুস্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম,
ইরফানুল কুরআন
৯৭. ‘আল্লাহ্র কসম! আমরা তো স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিলাম,
اِذۡ نُسَوِّیۡکُمۡ بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. যখন (আমরা) তোমাদেরকে সমস্ত জাহানের রবের সমকক্ষ স্থির করতাম।
ইরফানুল কুরআন
৯৮. যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের সমকক্ষ গণ্য করতাম।
وَ مَاۤ اَضَلَّنَاۤ اِلَّا الۡمُجۡرِمُوۡنَ ﴿۹۹﴾
কানযুল ঈমান
৯৯. এবং আমাদেরকে অপরাধীগণই পথভ্রষ্ট করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৯৯. আর আমাদেরকে (এসব) অপরাধীরা ছাড়া কেউ পথভ্রষ্ট করেনি।
فَمَا لَنَا مِنۡ شَافِعِیۡنَ ﴿۱۰۰﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১০০. সুতরাং এখন আমাদের কোন সুপারিশোকারী নেই;
ইরফানুল কুরআন
১০০. সুতরাং (আজ) আমাদের কোনো সুপারিশকারী নেই,
وَ لَا صَدِیۡقٍ حَمِیۡمٍ ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান
১০১. এবং না কোন সহানুভূতিশীল বন্ধু।
ইরফানুল কুরআন
১০১. না কোনো সহৃদয় বন্ধু।
فَلَوۡ اَنَّ لَنَا کَرَّۃً فَنَکُوۡنَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
কানযুল ঈমান
১০২. সুতরাং কোন মতে যদি আমাদের ফিরে যাবার সুযোগ ঘটতো! তাহলে আমরা মুসলমান হয়ে যেতাম’।
ইরফানুল কুরআন
১০২. হায়! যদি আমাদের একবার (পৃথিবীতে) প্রত্যাবর্তনের সুযোগ হতো, তবে আমরা মু’মিন হয়ে যেতাম।’
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۰۳﴾
কানযুল ঈমান
১০৩. নিশ্চয় এতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে ঈমানদার ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১০৩. অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۰۴﴾
কানযুল ঈমান
১০৪. এবং নিশ্চয় আপনার রব, তিনিই পরম সম্মানিত, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১০৪. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই মহাপরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
کَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوۡحِۣ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۰۵﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১০৫. নূহের সম্প্রদায় পয়গাম্বরগণকে অস্বীকার করেছে,
ইরফানুল কুরআন
১০৫. নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায়ও রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
اِذۡ قَالَ لَہُمۡ اَخُوۡہُمۡ نُوۡحٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۰۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০৬. যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক নূহ বলেছিলো, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?
ইরফানুল কুরআন
১০৬. যখন তাদের (জ্ঞাতি) ভাই নূহ (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۰۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১০৭. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত, বিশ্বস্ত হই;
ইরফানুল কুরআন
১০৭. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে বিশ্বস্ত এক রাসূল (হয়ে এসেছি)।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۰۸﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০৮. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১০৮. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۰۹﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১০৯. এবং আমি তোমাদের নিকট এর উপর কোন প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
১০৯. আর আমি তোমাদের নিকট এ (সত্য প্রচারের) জন্যে কোনো প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো (কেবল) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকটেই রয়েছে।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۱۰﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১১০. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো’।
ইরফানুল কুরআন
১১০. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মেনে চলো।’
قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ لَکَ وَ اتَّبَعَکَ الۡاَرۡذَلُوۡنَ ﴿۱۱۱﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১১১. তারা বললো, ‘আমরা কি তোমারই উপর ঈমান নিয়ে আসবে, অথচ তোমার সাথে ইতর লোকেরা রয়েছে?’
ইরফানুল কুরআন
১১১. তারা বললো, ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো, যেখানে (সমাজের) সবচেয়ে নীচু এবং তুচ্ছ (শ্রেণীর) লোকেরা তোমার অনুসরণ করছে?’
قَالَ وَ مَا عِلۡمِیۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১২. বললেন, ‘আমি কি জানি তাদের কাজ কি?’
ইরফানুল কুরআন
১১২. নূহ (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমার জ্ঞানের সাথে তাদের (পেশাগত) কাজের কী সম্পর্ক আছে?
اِنۡ حِسَابُہُمۡ اِلَّا عَلٰی رَبِّیۡ لَوۡ تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۱۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৩. তাদের হিসাব-নিকাশ তো আমার রবের নিকটই, যদি তোমাদের অনুভূতি থাকে।
ইরফানুল কুরআন
১১৩. তাদের হিসাব গ্রহণ তো কেবল আমার প্রতিপালকেরই কাজ। হায়! যদি তোমরা বুঝতে (যে, প্রকৃত সম্মান ও অপমান কী?)
وَ مَاۤ اَنَا بِطَارِدِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۱۴﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৪. এবং আমি মুসলমানদেরকে দূরে সরিয়ে দেবার নই।
ইরফানুল কুরআন
১১৪. আর আমি মু’মিনদের বিতাড়নকারী নই।
اِنۡ اَنَا اِلَّا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۱۵﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১১৫. আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারীই’।
ইরফানুল কুরআন
১১৫. আমি তো কেবল একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’
قَالُوۡا لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہِ یٰنُوۡحُ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمَرۡجُوۡمِیۡنَ ﴿۱۱۶﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১১৬. তারা বললো, ‘হে নূহ! যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তোমার প্রতি পাথর বর্ষণ করা হবে;’।
ইরফানুল কুরআন
১১৬. তারা বললো, ‘হে নূহ! তুমি যদি (এসব কথা বলা থেকে) নিবৃত্ত না হও তবে তোমাকে অবশ্যই কঙ্কর নিক্ষেপ করা হবে।’
قَالَ رَبِّ اِنَّ قَوۡمِیۡ کَذَّبُوۡنِ ﴿۱۱۷﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১১৭. আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমার সম্প্রদায় আমাকে অস্বীকার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
১১৭. নূহ (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় আমাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে।
فَافۡتَحۡ بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَہُمۡ فَتۡحًا وَّ نَجِّنِیۡ وَ مَنۡ مَّعِیَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১১৮. সুতরাং তুমি আমার মধ্যে ও তাদের মধ্যে পূর্ণ মীমাংসা করে দাও এবং আমাকে ও আমার সঙ্গেকার মুসলমানদের মুক্তি দাও’।
ইরফানুল কুরআন
১১৮. সুতরাং তুমি আমার এবং তাদের মাঝে ফায়সালা করে দাও। আর আমাকে এবং আমার সাথে যে সব মু’মিন রয়েছে তাদেরকে উদ্ধার করো।’
فَاَنۡجَیۡنٰہُ وَ مَنۡ مَّعَہٗ فِی الۡفُلۡکِ الۡمَشۡحُوۡنِ ﴿۱۱۹﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১১৯. অতঃপর আমি রক্ষা করেছি তাকে ও তার সাথীদেরকে ভর্তি নৌযানের মধ্যে।
ইরফানুল কুরআন
১১৯. অতঃপর আমরা তাঁকে এবং তাঁর সাথে যারা নৌকায় (আরোহী) ছিল তাদেরকে উদ্ধার করলাম।
ثُمَّ اَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ الۡبٰقِیۡنَ ﴿۱۲۰﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১২০. অতঃপর এর পরে আমি অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জিত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১২০. অতঃপর আমরা অবশিষ্ট লোকজনকে ডুবিয়ে দিলাম।
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۲۱﴾
কানযুল ঈমান
১২১. নিশ্চয় তাতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১২১. অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۲۲﴾
কানযুল ঈমান
১২২. এবং নিশ্চয় আপনার রবই পরম সম্মানিত, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১২২. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই মহাপরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
کَذَّبَتۡ عَادُۨ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۲۳﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১২৩. ‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে;
ইরফানুল কুরআন
১২৩. ‘আদ (সম্প্রদায়ও) রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
اِذۡ قَالَ لَہُمۡ اَخُوۡہُمۡ ہُوۡدٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۲۴﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১২৪. যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক হূদ বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করো না?
ইরফানুল কুরআন
১২৪. যখন তাদের (জ্ঞাতি) ভাই হুদ (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۲۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১২৫. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র বিশ্বস্ত রসূল হই;
ইরফানুল কুরআন
১২৫. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসূল (হয়ে এসেছি)।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۲۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১২৬. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১২৬. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۲۷﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১২৭. এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকট প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জগতের রব।
ইরফানুল কুরআন
১২৭. আর আমি তোমাদের নিকট এ (সত্য প্রচারের) জন্যে কোনো প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো (কেবল) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকটেই রয়েছে।
اَتَبۡنُوۡنَ بِکُلِّ رِیۡعٍ اٰیَۃً تَعۡبَثُوۡنَ ﴿۱۲۸﴾
কানযুল ঈমান
১২৮. তোমরা কি প্রত্যেক উচ্চস্থানের উপর একেকটা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছো পথচারীদের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য?
ইরফানুল কুরআন
১২৮. তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছো (কেবল) অহঙ্কার ও শখের বশবর্তী হয়ে?
وَ تَتَّخِذُوۡنَ مَصَانِعَ لَعَلَّکُمۡ تَخۡلُدُوۡنَ ﴿۱۲۹﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১২৯. এবং মজবুত প্রাসাদ বেছে নিছো এ আশায় যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবে?
ইরফানুল কুরআন
১২৯. আর তোমরা (জলাধার বিশিষ্ট) সুদৃঢ় প্রাসাদ নির্মাণ করছো এ আশায় যে, তোমরা (পৃথিবীতে) চিরকাল অবস্থান করবে?
وَ اِذَا بَطَشۡتُمۡ بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৩০. এবং যখনই কাউকে পাকড়াও করো তখন খুবই নির্মমভাবে পাকড়াও করে থাকো।
ইরফানুল কুরআন
১৩০. আর যখন তোমরা কাউকে পাকড়াও করো তখন পাকড়াও করো নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۳۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৩১. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো, এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১৩১. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ اتَّقُوا الَّذِیۡۤ اَمَدَّکُمۡ بِمَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৩২. এবং তাকে ভয় করো যিনি তোমাদের সাহায্য করেছেন ওই সমস্ত বস্তু দ্বারা যেগুলো তোমাদের জানা আছে।
ইরফানুল কুরআন
১৩২. আর ভয় করো সে সত্তা (আল্লাহ্)-কে যিনি তোমাদেরকে এমন কিছু দিয়ে সাহায্য করেছেন যা তোমরা জানো।
اَمَدَّکُمۡ بِاَنۡعَامٍ وَّ بَنِیۡنَ ﴿۱۳۳﴾ۚۙ
কানযুল ঈমান
১৩৩. তোমাদের সাহায্য করেছেন চতুষ্পদ পশু, পুত্রগণ,
ইরফানুল কুরআন
১৩৩. তিনি তোমাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু এবং সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করেছেন।
وَ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ ﴿۱۳۴﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৩৪. এবং বাগানগুলো ও প্রস্রবণসমূহ দ্বারা।
ইরফানুল কুরআন
১৩৪. উদ্যানরাজি এবং প্রস্রবণমূহের মাধ্যমে(ও)।
اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۳۵﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৩৫. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আশঙ্কা করছি এক মহা দিবসের শাস্তির।
ইরফানুল কুরআন
১৩৫. নিশ্চিত আমি তোমাদের জন্যে মহা দিবসের শাস্তির আশংকা করছি।’
قَالُوۡا سَوَآءٌ عَلَیۡنَاۤ اَوَ عَظۡتَ اَمۡ لَمۡ تَکُنۡ مِّنَ الۡوٰعِظِیۡنَ ﴿۱۳۶﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৩৬. তারা বললো, ‘আমাদের নিকট সমান- চাই আপনি উপদেশ দিন অথবা উপদেশদাতাদের মধ্যে নাই হোন।
ইরফানুল কুরআন
১৩৬. তারা বললো, ‘আমাদের নিকট সবই সমান, তুমি নসিহত করো অথবা নসিহত না করো। (আমরা বিশ্বাস করি না।)
اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا خُلُقُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۱۳۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৩৭. এ’তো নয়, কিন্তু ওই পূর্ববর্তীদের রীতি;
ইরফানুল কুরআন
১৩৭. এ তো পূর্ববর্তী লোকদের রীতিনীতি মাত্র (যা আমরা পরিহার করতে পারবো না)।
وَ مَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِیۡنَ ﴿۱۳۸﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৩৮. এবং আমাদের শাস্তি হবার নয়’।
ইরফানুল কুরআন
১৩৮. আর আমাদের উপর শাস্তি আরোপ করা হবে না।’
فَکَذَّبُوۡہُ فَاَہۡلَکۡنٰہُمۡ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۳۹﴾
কানযুল ঈমান
১৩৯. অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। সুতরাং আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি। নিশ্চয় তাতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১৩৯. সুতরাং তারা তাঁকে (অর্থাৎ হুদ আলাইহিস সালামকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করলো। ফলে আমরা তাদেরকে ধ্বংস করে দিলাম। অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۴۰﴾
কানযুল ঈমান
১৪০. এবং নিশ্চয় আপনার রবই পরম সম্মানিত দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৪০. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
کَذَّبَتۡ ثَمُوۡدُ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۴۱﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১৪১. সামূদ সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে;
ইরফানুল কুরআন
১৪১. সামূদ (সম্প্রদায়ও) রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল।
اِذۡ قَالَ لَہُمۡ اَخُوۡہُمۡ صٰلِحٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۴۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪২. যখন তাদেরকে তাদের স্বোগোত্রীয় লোক সালিহ্ বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?
ইরফানুল কুরআন
১৪২. যখন তাদের (জ্ঞাতি) ভাই সালেহ (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۴۳﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪৩. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র বিশ্বস্ত রসূল হই;
ইরফানুল কুরআন
১৪৩. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসূল (হয়ে এসেছি)।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۴۴﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৪. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১৪৪. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۴۵﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৪৫. এবং আমি তোমাদের নিকট এর উপর কোন প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো তারই নিকট যিনি সমগ্র জগতের রব।
ইরফানুল কুরআন
১৪৫. আর আমি তোমাদের নিকট এ (সত্য প্রচারের) জন্যে কোনো প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো (কেবল) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকটেই রয়েছে।
اَتُتۡرَکُوۡنَ فِیۡ مَا ہٰہُنَاۤ اٰمِنِیۡنَ ﴿۱۴۶﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪৬. তোমাদেরকে কি এখানকার নি’মাতগুলোর মধ্যে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হবে-
ইরফানুল কুরআন
১৪৬. তোমাদেরকে কি এতে (তোমাদের জন্যে প্রস্তুত এসব পার্থিব নিয়ামতে চিরদিনের জন্যে) নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে ছেড়ে দেওয়া হবে?
فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ ﴿۱۴۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৪৭. বাগান এবং প্রস্রবণসমূহ
ইরফানুল কুরআন
১৪৭. (অর্থাৎ এখানকার) উদ্যানরাজি এবং প্রস্রবণসমূহে?
وَّ زُرُوۡعٍ وَّ نَخۡلٍ طَلۡعُہَا ہَضِیۡمٌ ﴿۱۴۸﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৮. এব শস্যক্ষেত্রাদি ও এমন খেজুরসমূহের মধ্যে, যেগুলোর গুচ্ছ সুকোমল?
ইরফানুল কুরআন
১৪৮. আর শস্যক্ষেত্র এবং খর্জুর বাগানে যার গুচ্ছ কোমল ও মনোরম?
وَ تَنۡحِتُوۡنَ مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا فٰرِہِیۡنَ ﴿۱۴۹﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৪৯. এবং তোমরা তো পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করছো নৈপূণ্যের সাথে।
ইরফানুল কুরআন
১৪৯. আর তোমরা তো নৈপুণ্যের সাথে (প্রস্তরময়) পাহাড় কেটে গৃহ নির্মাণ করছো।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۵۰﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৫০. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১৫০. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ لَا تُطِیۡعُوۡۤا اَمۡرَ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۱۵۱﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫১. এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের কথা মতো চলো না;
ইরফানুল কুরআন
১৫১. আর সীমা অতিক্রমকারীদের আদেশ মান্য করো না,
الَّذِیۡنَ یُفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا یُصۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۲﴾
কানযুল ঈমান
১৫২. ওই সব লোক, যারা পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়ায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না।
ইরফানুল কুরআন
১৫২. যারা পৃথিবীতে অশান্তি ছড়ায় এবং (সমাজের জন্যে) গঠনমূলক কিছু করে না।’
قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مِنَ الۡمُسَحَّرِیۡنَ ﴿۱۵۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৫৩. তারা বললো, আপনার উপর তো যাদুর প্রভাব পড়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৫৩. তারা বললো, ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্ত।
مَاۤ اَنۡتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا ۚۖ فَاۡتِ بِاٰیَۃٍ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۵۴﴾
কানযুল ঈমান
১৫৪. আপনি তো আমাদেরই মতো মানুষ। কাজেই, কোন নিদর্শন উপস্থিত করুন যদি সত্যবাদী হোন।
ইরফানুল কুরআন
১৫৪. তুমি তো আমাদের মতোই একজন মানুষ। সুতরাং কোনো নিদর্শন নিয়ে আসো যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
قَالَ ہٰذِہٖ نَاقَۃٌ لَّہَا شِرۡبٌ وَّ لَکُمۡ شِرۡبُ یَوۡمٍ مَّعۡلُوۡمٍ ﴿۱۵۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৫৫. তিনি বললেন, ‘এটা উষ্ট্রী একদিন এটার পানি পানের পালা আর একটা নির্ধারিত দিন তোমাদের পালা।
ইরফানুল কুরআন
১৫৫. (সালেহ আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘(সে নিদর্শন) এ যে উষ্ট্রী, এর জন্যে পানি পানের একটি সময় (নির্ধারিত) আর একটি সুনির্দিষ্ট দিন তোমাদের পানের জন্যে।
وَ لَا تَمَسُّوۡہَا بِسُوۡٓءٍ فَیَاۡخُذَکُمۡ عَذَابُ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۵۶﴾
কানযুল ঈমান
১৫৬. এবং সেটাকে অনিষ্ট সহকারে স্পর্শ করো না। করলে, তোমাদের উপর মহা দিবসের শাস্তি এসে পড়বে’।
ইরফানুল কুরআন
১৫৬. আর অনিষ্ট কল্পে একে স্পর্শ করবে না, করলে মহাদিবসের (কঠিন) শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে।’
فَعَقَرُوۡہَا فَاَصۡبَحُوۡا نٰدِمِیۡنَ ﴿۱۵۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৫৭. এর জবাবে, তারা সেটার পায়ের গোছগুলো কেটে ফেললো; অতঃপর সকালে অনুশোচনা করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
১৫৭. অতঃপর তারা এর পা কেটে দিল (এবং একে মেরে ফেললো), পরিণামে তারা (নিজেদের কাজের জন্যে) অনুতপ্ত হলো।
فَاَخَذَہُمُ الۡعَذَابُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۵۸﴾
কানযুল ঈমান
১৫৮. অতঃপর তাদের শাস্তি গ্রাস করে নিলো। নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মসুলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১৫৮. অতঃপর তাদেরকে শাস্তি গ্রাস করলো। অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۵۹﴾
কানযুল ঈমান
১৫৯. এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৫৯. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
کَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوۡطِۣ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۶۰﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১৬০. লূতের সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে।
ইরফানুল কুরআন
১৬০. লূত সম্প্রদায়ও রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
اِذۡ قَالَ لَہُمۡ اَخُوۡہُمۡ لُوۡطٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۶۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৬১. যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক লূত বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?
ইরফানুল কুরআন
১৬১. যখন তাদের (জ্ঞাতি) ভাই লূত (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۶۲﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬২. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র বিশ্বস্ত রসূল হই;
ইরফানুল কুরআন
১৬২. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসূল (হয়ে এসেছি)।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۶۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৬৩. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১৬৩. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۴﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৬৪. এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকটে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
১৬৪. আর আমি তোমাদের নিকট এ (সত্য প্রচারের) জন্যে কোনো প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো (কেবল) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকটেই রয়েছে।
اَتَاۡتُوۡنَ الذُّکۡرَانَ مِنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৬৫. তোমরা কি সৃষ্টির মধ্যে পুরুষদের সাথে বলাৎকার করছো?
ইরফানুল কুরআন
১৬৫. তোমরা কি (নিজেদের যৌনাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থে) সমগ্র বিশ্ব জাহানের অধিবাসীদের মধ্যে কেবল পুরুষদের কাছেই গমন করো?
وَ تَذَرُوۡنَ مَا خَلَقَ لَکُمۡ رَبُّکُمۡ مِّنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ عٰدُوۡنَ ﴿۱۶۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬৬. এবং বর্জন করছো তাদেরকই, যাদেরকে তোমাদের জন্য তোমাদের রব পত্নি তৈরী করেছেন; বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী’।
ইরফানুল কুরআন
১৬৬. আর বর্জন করো তোমাদের স্ত্রীদেরকে যাদেরকে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন? তোমরা তো বরং (অবাধ্যতায়) সীমা অতিক্রমকারী সম্প্রদায়। ’
قَالُوۡا لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہِ یٰلُوۡطُ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمُخۡرَجِیۡنَ ﴿۱۶۷﴾
কানযুল ঈমান
১৬৭. তারা বললো, ‘হে লূত! যদি আপনি নিবৃত্ত না হন তাহলে অবশ্যই আপনি নির্বাসিত হবেন’।
ইরফানুল কুরআন
১৬৭. তারা বললো, ‘হে লূত! যদি তুমি (এসব বলা থেকে) নিবৃত্ত না হও তবে তুমি অবশ্যই নির্বাসিত হবে।’
قَالَ اِنِّیۡ لِعَمَلِکُمۡ مِّنَ الۡقَالِیۡنَ ﴿۱۶۸﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৬৮. তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের এ কর্মকে ঘৃণা করি।
ইরফানুল কুরআন
১৬৮. (লূত আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘তোমাদের কর্মকান্ডে যারা অসন্তুষ্ট আমি অবশ্যই তাদের একজন।’
رَبِّ نَجِّنِیۡ وَ اَہۡلِیۡ مِمَّا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۶۹﴾
কানযুল ঈমান
১৬৯. হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তাদের অপকর্ম থেকে রক্ষা করো’।
ইরফানুল কুরআন
১৬৯. ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে এবং আমার পরিবারকে তারা যা করছে এ (কাজের পরিণতি) থেকে রক্ষা করুন।’
فَنَجَّیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۷۰﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৭০. অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারের সবাইকে রক্ষা করলাম;
ইরফানুল কুরআন
১৭০. অতঃপর আমরা তাঁকে এবং তাঁর পূরো পরিবারকে রক্ষা করলাম,
اِلَّا عَجُوۡزًا فِی الۡغٰبِرِیۡنَ ﴿۱۷۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৭১. কিন্তু এক বৃদ্ধা; সে পেছনে রয়ে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
১৭১. এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পিছনে থেকে যাওয়াদের অন্তর্ভুক্ত।
ثُمَّ دَمَّرۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿۱۷۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৭২. অতঃপর আমি অন্যান্যদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
১৭২. অতঃপর আমরা অপর সকলকে ধ্বংস করলাম।
وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡہِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ ﴿۱۷۳﴾
কানযুল ঈমান
১৭৩. এবং আমি তাদের উপর এক বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। সুতরাং তা কতোই ক্ষতিকর বর্ষণ ছিলো ভয়-প্রদর্শিতদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
১৭৩. আর আমরা তাদের উপর (পাথর)-বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। কাজেই ভীত-সন্ত্রস্তদের উপর সে বৃষ্টি কতোই না বিধ্বংসী।
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۷۴﴾
কানযুল ঈমান
১৭৪. নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১৭৪. অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۷۵﴾
কানযুল ঈমান
১৭৫. এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৭৫. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
کَذَّبَ اَصۡحٰبُ لۡـَٔـیۡکَۃِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۷۶﴾ۚۖ
কানযুল ঈমান
১৭৬. ‘বন’-বাসীগণ রসূলগণকে অস্বীকার করেছে,
ইরফানুল কুরআন
১৭৬. আইকার অধিবাসীগণও (যারা জঙ্গলে বসবাস করতো) রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল।
اِذۡ قَالَ لَہُمۡ شُعَیۡبٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۷۷﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৭৭. যখন তাদেরকে শু’আয়ব বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?’
ইরফানুল কুরআন
১৭৭. যখন শুয়াইব (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কি (আল্লাহ্কে) ভয় করো না?
اِنِّیۡ لَکُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۷۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৭৮. নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র বিশ্বস্ত রসূল;
ইরফানুল কুরআন
১৭৮. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসূল (হয়ে এসেছি)।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۷۹﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৭৯. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
১৭৯. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۸۰﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৮০. এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো তারই নিকট যিনি সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
১৮০. আর আমি তোমাদের নিকট এ (সত্য প্রচারের) জন্যে কোনো প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো (কেবল) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের কাছেই রয়েছে।
اَوۡفُوا الۡکَیۡلَ وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُخۡسِرِیۡنَ ﴿۱۸۱﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮১. মাপ পূর্ণ করো এবং (মাপে) ঘাটতিকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
ইরফানুল কুরআন
১৮১. মাপে পূর্ণমাত্রায় দাও এবং (মানুষের অধিকার) বিনষ্টকারীতে পরিণত হয়ো না।
وَ زِنُوۡا بِالۡقِسۡطَاسِ الۡمُسۡتَقِیۡمِ ﴿۱۸۲﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮২. এবং সঠিক দাড়ি পাল্লায় ওজন করো।
ইরফানুল কুরআন
১৮২. আর ওজন করো সঠিক দাঁড়িপাল্লায়।
وَ لَا تَبۡخَسُوا النَّاسَ اَشۡیَآءَہُمۡ وَ لَا تَعۡثَوۡا فِی الۡاَرۡضِ مُفۡسِدِیۡنَ ﴿۱۸۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮৩. এবং লোকদের বস্তুসমূহে কম করে দিও না আর পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে বেড়িয়ো না।
ইরফানুল কুরআন
১৮৩. আর লোকদেরকে তাদের প্রাপ্যবস্তু (ওজনে) কম দিও না এবং (এরকম নৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে) পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।
وَ اتَّقُوا الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ وَ الۡجِبِلَّۃَ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۱۸۴﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৮৪. আর তাকে ভয় করো যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং পূর্ববর্তী সৃষ্টিকেও’।
ইরফানুল কুরআন
১৮৪. আর ওই সত্তা (আল্লাহ্)-কে ভয় করো যিনি তোমাদেরকে এবং পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন।’
قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مِنَ الۡمُسَحَّرِیۡنَ ﴿۱۸۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৮৫. তারা বললো, ‘আপনার উপর যাদুর প্রভাব পড়েছে;
ইরফানুল কুরআন
১৮৫. তারা বললো, ‘(হে শুয়াইব!) তুমি তো যাদুগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
وَ مَاۤ اَنۡتَ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا وَ اِنۡ نَّظُنُّکَ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۱۸۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
১৮৬. আপনি তো আমাদের মতোই একজন মানুষ এবং নিশ্চয় আমরা আপনাকে মিথ্যাবাদী মনে করি।
ইরফানুল কুরআন
১৮৬. আর তুমি তো আমাদের মতোই একজন মানুষ, আমরা তোমাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদীদের অন্যতম বিবেচনা করি।
فَاَسۡقِطۡ عَلَیۡنَا کِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۸۷﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৮৭. সুতরাং আমাদের উপর আসমানের কোন একটা খণ্ড ফেলে দিন যদি আপনি সত্যবাদী হোন’।
ইরফানুল কুরআন
১৮৭. সুতরাং আকাশের এক খন্ড আমাদের উপর ফেলে দাও, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
قَالَ رَبِّیۡۤ اَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮৮. তিনি বললেন, ‘আমার রব তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে ভালো জানেন’।
ইরফানুল কুরআন
১৮৮. (শুয়াইব আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমার প্রতিপালক ঐসব (প্রতারণা) সম্পর্কে খুবই অবগত যা তোমরা করছো।’
فَکَذَّبُوۡہُ فَاَخَذَہُمۡ عَذَابُ یَوۡمِ الظُّلَّۃِ ؕ اِنَّہٗ کَانَ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۸۹﴾
কানযুল ঈমান
১৮৯. অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। পরে তাদেরকে মেঘ-ছায়াচ্ছন্ন দিনের শাস্তি গ্রাস করলো। নিশ্চয় তা মহা দিবসের শাস্তি ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১৮৯. সুতরাং তারা শুয়াইব (আলাইহিস সালাম)-কে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করলো। অতঃপর তাদেরকে আচ্ছন্নতার দিনের শাস্তি এসে গ্রাস করলো। নিশ্চয়ই তা ছিল এক ভয়ঙ্কর দিবসের শাস্তি।
اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا کَانَ اَکۡثَرُہُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۹۰﴾
কানযুল ঈমান
১৯০. নিশ্চয় এতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১৯০. অবশ্যই এতে (এ ঘটনায় আল্লাহ্র ক্ষমতার) মহান নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মু’মিন ছিল না।
وَ اِنَّ رَبَّکَ لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۹۱﴾
কানযুল ঈমান
১৯১. এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৯১. আর নিশ্চিত আপনার প্রতিপালকই পরাক্রমশালী, অসীম দয়ালু।
وَ اِنَّہٗ لَتَنۡزِیۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۹۲﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৯২. এবং নিশ্চয় এই ক্বোরআন জগতসমূহের রবের অবতীর্ণ।
ইরফানুল কুরআন
১৯২. আর অবশ্যই এ (কুরআন) বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক কর্তৃক অবতীর্ণ।
نَزَلَ بِہِ الرُّوۡحُ الۡاَمِیۡنُ ﴿۱۹۳﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৯৩. সেটাকে ‘রুহুল আমীন’ নিয়ে অবতরণ করেছেন—
ইরফানুল কুরআন
১৯৩. রূহুল আমিন (জীব্রাঈল আলাইহিস সালাম) এটি নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
عَلٰی قَلۡبِکَ لِتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُنۡذِرِیۡنَ ﴿۱۹۴﴾
কানযুল ঈমান
১৯৪. আপনার হৃদয়ের উপর, যাতে আপনি সতর্ক করেন,
ইরফানুল কুরআন
১৯৪. আপনার (সর্বাধিক প্রজ্বলিত) অন্তরে, যাতে আপনি (নাফরমানদের) জন্যে সতর্ককারী হতে পারেন।
بِلِسَانٍ عَرَبِیٍّ مُّبِیۡنٍ ﴿۱۹۵﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৯৫. সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
ইরফানুল কুরআন
১৯৫. (এটি অবতীর্ণ হয়েছে) সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
وَ اِنَّہٗ لَفِیۡ زُبُرِ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۱۹۶﴾
কানযুল ঈমান
১৯৬. এবং নিশ্চয় সেটার চর্চা পূর্ববর্তী কিতাবখণ্ডের মধ্যে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৯৬. আর অবশ্যই তা পূর্ববর্তী উম্মতদের কিতাবেও (উল্লেখ) রয়েছে।
اَوَ لَمۡ یَکُنۡ لَّہُمۡ اٰیَۃً اَنۡ یَّعۡلَمَہٗ عُلَمٰٓؤُا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿۱۹۷﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৯৭. এবং এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন ছিলো না যে, এ নবীকে বনী ইস্রাঈলের আলিমগণ জানে।
ইরফানুল কুরআন
১৯৭. আর তাদের জন্যে কি (কুরআনে পাক এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম -এঁর নবুয়্যতের সত্যতার) এ দলিল (যথেষ্ট) নয় যে, একে বনী ইসরাঈলের আলেমগণ(ও) স্বীকৃতি দেন?
وَ لَوۡ نَزَّلۡنٰہُ عَلٰی بَعۡضِ الۡاَعۡجَمِیۡنَ ﴿۱۹۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
১৯৮. এবং যদি আমি সেটাকে কোন অনারব ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ করতাম;
ইরফানুল কুরআন
১৯৮. আর যদি আমরা একে অনারব (অর্থাৎ আজমীদের) কারো প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
فَقَرَاَہٗ عَلَیۡہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۹۹﴾ؕ
কানযুল ঈমান
১৯৯. অতঃপর সে তা তাদেরকে পাঠ করে শুনাতো, তবুও সেটার উপর ঈমান আনতো না।
ইরফানুল কুরআন
১৯৯. আর সে তা তাদের নিকট পাঠ করতো, তবু(ও) এরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করতো না।
کَذٰلِکَ سَلَکۡنٰہُ فِیۡ قُلُوۡبِ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۲۰۰﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২০০. আমি এভাবেই অস্বীকার করাকে সঞ্চার করে দিয়েছি অপরাধীদের অন্তরে।
ইরফানুল কুরআন
২০০. এভাবেই আমরা অপরাধীদের অন্তরে একে (এ অস্বীকার) সুদৃঢ়ভাবে সঞ্চার করেছি।
لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ حَتّٰی یَرَوُا الۡعَذَابَ الۡاَلِیۡمَ ﴿۲۰۱﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২০১. তারা সেটার উপর ঈমান আনবে না যতক্ষণ না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে;
ইরফানুল কুরআন
২০১. তারা এতে ঈমান আনবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
فَیَاۡتِیَہُمۡ بَغۡتَۃً وَّ ہُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲۰۲﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২০২. অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের উপর এসে পড়বে, আর তাদের খবরও হবে না;
ইরফানুল কুরআন
২০২. অতঃপর সে (শাস্তি) তাদের নিকট অকস্মাৎ এসে পড়বে আর তারা কিছু অনুধাবনও করবে না।
فَیَقُوۡلُوۡا ہَلۡ نَحۡنُ مُنۡظَرُوۡنَ ﴿۲۰۳﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২০৩. অতঃপর বলবে, ‘আমাদেরকে কি কিছু অবকাশ দেওয়া হবে?’
ইরফানুল কুরআন
২০৩. তখন তারা বলবে, ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’
اَفَبِعَذَابِنَا یَسۡتَعۡجِلُوۡنَ ﴿۲۰۴﴾
কানযুল ঈমান
২০৪. তবে কি তারা আমার শাস্তিকে ত্বরান্বিত করছে?
ইরফানুল কুরআন
২০৪. তারা কি আমাদের শাস্তির দ্রুততা কামনা করছে?
اَفَرَءَیۡتَ اِنۡ مَّتَّعۡنٰہُمۡ سِنِیۡنَ ﴿۲۰۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২০৫. ভালো দেখো তো, যদি আমি কয়েকটা বছর তাদেরকে ভোগ করতে দিই;
ইরফানুল কুরআন
২০৫. বলুন তো, যদি আমরা তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ বিলাস করতে দেই।
ثُمَّ جَآءَہُمۡ مَّا کَانُوۡا یُوۡعَدُوۡنَ ﴿۲۰۶﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২০৬. অতঃপর তাদের উপর তা এসে পড়ে, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে;
ইরফানুল কুরআন
২০৬. অতঃপর তাদের নিকট ঐ (শাস্তি) এসে পৌঁছে যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হতো,
مَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یُمَتَّعُوۡنَ ﴿۲۰۷﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২০৭. তবে কি তাদের কাজে আসবে, যা তারা ভোগ করে এসেছিলো?
ইরফানুল কুরআন
২০৭. (কাজেই) ঐ সকল ভোগবিলাস (তাদের শাস্তি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে) কী কাজে আসবে?
وَ مَاۤ اَہۡلَکۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ اِلَّا لَہَا مُنۡذِرُوۡنَ ﴿۲۰۸﴾٭ۖۛ
কানযুল ঈমান
২০৮. এবং আমি এমন কোন বস্তিকে ধ্বংস করি না যার জন্য সতর্ককারী ছিলো না-
ইরফানুল কুরআন
২০৮. আর সতর্ককারী প্রেরণ ব্যতীত আমরা কোনো জনপদ ধ্বংস করিনি।
ذِکۡرٰی ۟ۛ وَ مَا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۲۰۹﴾
কানযুল ঈমান
২০৯. উপদেশের জন্য; এবং আমি যুল্ম করি না।
ইরফানুল কুরআন
২০৯. (আর এও) উপদেশের জন্যে এবং আমরা অত্যাচারী ছিলাম না।
وَ مَا تَنَزَّلَتۡ بِہِ الشَّیٰطِیۡنُ ﴿۲۱۰﴾
কানযুল ঈমান
২১০. এবং এ ক্বোরআনকে নিয়ে শয়তান অবতীর্ণ হয় নি।
ইরফানুল কুরআন
২১০. আর শয়তান এ (কুরআন) নিয়ে অবতরণ করেনি।
وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لَہُمۡ وَ مَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ ﴿۲۱۱﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২১১. এবং তারা এর উপযোগীও নয় আর না তারা এমন করতে পারে।
ইরফানুল কুরআন
২১১. আর না (এটি) তাদের জন্যে সমীচিন, না এরা (এর) সামর্থ্য রাখে।
اِنَّہُمۡ عَنِ السَّمۡعِ لَمَعۡزُوۡلُوۡنَ ﴿۲۱۲﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২১২. তাদেরকে তো শ্রবণ করার স্থান থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২১২. নিশ্চয়ই তাদেরকে (এ ঐশী বাণী) শ্রবণ করা থেকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছে।
فَلَا تَدۡعُ مَعَ اللّٰہِ اِلٰـہًا اٰخَرَ فَتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُعَذَّبِیۡنَ ﴿۲۱۳﴾ۚ
কানযুল ঈমান
২১৩. অতএব, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য খোদার পূজা করো না। করলে তোমার উপর শাস্তি হবে।
ইরফানুল কুরআন
২১৩. অতঃপর (হে আমার বান্দা!) তুমি আল্লাহ্র সাথে অন্য কোনো উপাস্যের উপাসনা করো না, করলে তুমি হবে শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
وَ اَنۡذِرۡ عَشِیۡرَتَکَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ ﴿۲۱۴﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২১৪. এবং হে মাহবূব! আপন নিকটাত্নীয়বর্গকে সতর্ক করুন।
ইরফানুল কুরআন
২১৪. আর (ওহে সম্মানিত হাবীব!) আপনি আপনার নিকটাত্মীয়বর্গকে (আমাদের শাস্তির ব্যাপারে) সতর্ক করুন।
وَ اخۡفِضۡ جَنَاحَکَ لِمَنِ اتَّبَعَکَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۱۵﴾ۚ
কানযুল ঈমান
২১৫. এবং আপন দয়ার ডানা প্রসারিত করুন আপন অনুসারী মুসলমানদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২১৫. আর আপনার (অনুগ্রহ ও সহানুভুতির) বাহু সেসব মুমিনদের জন্যে প্রসারিত করুন যারা আপনাকে অনুসরণ করে।
فَاِنۡ عَصَوۡکَ فَقُلۡ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۱۶﴾ۚ
কানযুল ঈমান
২১৬. সুতরাং যদি তারা আপনার নির্দেশ অমান্য করে, তবে বলে দিন, ‘আমি তোমাদের কর্মগুলোর সাথে সম্পর্কহীন’।
ইরফানুল কুরআন
২১৬. সুতরাং তারা যদি আপনার নির্দেশ অমান্য করে তবে বলে দিন, ‘আমি ঐসব (মন্দ) কাজে অসন্তুষ্ট যেগুলো তোমরা করছো’।
وَ تَوَکَّلۡ عَلَی الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ ﴿۲۱۷﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২১৭. এবং তারই উপর নির্ভর করুন, যিনি পরম সম্মানিত দয়ালু;
ইরফানুল কুরআন
২১৭. আর ভরসা করুন পরাক্রমশালী অসীম দয়ালু (প্রতিপালক)-এঁর উপর,
الَّذِیۡ یَرٰىکَ حِیۡنَ تَقُوۡمُ ﴿۲۱۸﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২১৮. যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দণ্ডায়ময়ান হোন’।
ইরফানুল কুরআন
২১৮. যিনি আপনাকে (নির্জন রাতেও) দেখেন যখন আপনি (তাহাজ্জুদের নামাযে) দন্ডায়মান হোন,
وَ تَقَلُّبَکَ فِی السّٰجِدِیۡنَ ﴿۲۱۹﴾
কানযুল ঈমান
২১৯. এবং নামাযীদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থে ভ্রমণকেও।
ইরফানুল কুরআন
২১৯. আর সেজদাকারীদের মাঝেও আপনার আবর্তন লক্ষ্য করেন।
اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۲۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২২০. নিশ্চয় তিনি শুনেন, জানেন।
ইরফানুল কুরআন
২২০. অবশ্যই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ہَلۡ اُنَبِّئُکُمۡ عَلٰی مَنۡ تَنَزَّلُ الشَّیٰطِیۡنُ ﴿۲۲۱﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২২১. আমি কি তোমাদেরকে বলে দেবো- কার নিকট অবতীর্ণ হয় শয়তানগণ?
ইরফানুল কুরআন
২২১. আমি কি তোমাদেরকে বলে দেবো শয়তানেরা কাদের নিকট অবতীর্ণ হয়?
تَنَزَّلُ عَلٰی کُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیۡمٍ ﴿۲۲۲﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২২২. তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক জঘন্য অপবাদ-রটনাকারী পাপীর নিকট;
ইরফানুল কুরআন
২২২. তারা অবতীর্ণ হয় প্রতিাট (অপবাদ দানকারী) মিথ্যাবাদী, পাপীর নিকট,
یُّلۡقُوۡنَ السَّمۡعَ وَ اَکۡثَرُہُمۡ کٰذِبُوۡنَ ﴿۲۲۳﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২২৩. শয়তানগণ তাদের শ্রুত কথা এদের প্রতি নিক্ষেপ করে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
২২৩. যারা শোনাকথা (তাদের কানে) নিক্ষেপ করে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
وَ الشُّعَرَآءُ یَتَّبِعُہُمُ الۡغَاوٗنَ ﴿۲۲۴﴾ؕ
কানযুল ঈমান
২২৪. এবং কবিগণের অনুসরণ পথভ্রষ্টরাই করে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
২২৪. আর কবিদেরকে অনুসরণ করে পথভ্রষ্টরাই।
اَلَمۡ تَرَ اَنَّہُمۡ فِیۡ کُلِّ وَادٍ یَّہِیۡمُوۡنَ ﴿۲۲۵﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২২৫. আপনি কি দেখেন নি যে, তারা প্রত্যেকটি উপত্যকায় হতাশার মধ্যে ঘুরে বেড়ায়?
ইরফানুল কুরআন
২২৫. আর আপনি কি দেখেননি, এরা (এ কবিরা) সকল (খেয়ালী) উপত্যকায় (উদ্দেশ্যহীন) হতাশায় ঘুরে বেড়ায়? (সত্যিকারার্থে তাদের চিত্তাকর্ষণ ও গাম্ভীর্য নেই বরং তারা শাব্দিক ও কাল্পনিক উদ্যমতায় মত্ত ও উল্লসিত থাকে।)
وَ اَنَّہُمۡ یَقُوۡلُوۡنَ مَا لَا یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۲۲۶﴾ۙ
কানযুল ঈমান
২২৬. এবং তারা তা বলে যা করে না;
ইরফানুল কুরআন
২২৬. আর তারা (এমন কথা) বলে, যা তারা (নিজেরা) করে না,
اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ ذَکَرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا وَّ انۡتَصَرُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُوۡا ؕ وَ سَیَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَیَّ مُنۡقَلَبٍ یَّنۡقَلِبُوۡنَ ﴿۲۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২২৭. কিন্তু ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, আল্লাহ্কে অধিক পরিমাণে স্মরণ করেছে এবং প্রতিশোধ গ্রহন করেছেন এর পর যে, তাদের উপর যুল্ম হয়েছে এবং এখন জানতে চায় যালিমগণ যে, কোন পার্শ্বের উপর তার পলট খাবে।
ইরফানুল কুরআন
২২৭. সেসব (কবিরা) ব্যতীত যারা ঈমান আনে, নেক আমল করে, আল্লাহ্কে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে (অর্থাৎ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম-এঁর প্রশংসাকারীতে পরিণত হয়) এবং নিজেরা অত্যাচারিত হওয়ার পর (অত্যাচারীদের প্রতি কবিতার ভাষায়) প্রতিশোধ গ্রহণ করে। (আর নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে ইসলাম এবং অত্যাচারিতদের প্রতিহত করে বরং তাদের উদ্যম বাড়িয়ে দেয়। এ ধরণের কাব্যচর্চা নিন্দনীয় নয়।) আর অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে (মৃত্যুর পর) তারা কোন্ প্রত্যাবর্তনের স্থলে প্রত্যাবর্তন করছে।