بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
یُسَبِّحُ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ۚ لَہُ الۡمُلۡکُ وَ لَہُ الۡحَمۡدُ ۫ وَ ہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করে যা কিছু আস্মানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে। রাজ্য তাঁরই এবং তাঁরই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আর তিনি সবকিছুর উপর শক্তিমান।
ইরফানুল কুরআন
১. যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে (সবকিছুই) পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আল্লাহ্র। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই এবং সকল প্রশংসাও তাঁরই। আর তিনি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ فَمِنۡکُمۡ کَافِرٌ وَّ مِنۡکُمۡ مُّؤۡمِنٌ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. তিনিই, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ মুসলমান। এবং আল্লাহ্ তোমাদের কর্ম দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
২. তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের এবং কেউ মুমিন। আর তোমরা যা করো আল্লাহ্ তা ভালোভাবেই দেখেন।
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ وَ صَوَّرَکُمۡ فَاَحۡسَنَ صُوَرَکُمۡ ۚ وَ اِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. তিনি আস্মান ও যমীন সত্য সহকারে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, সুতরাং তোমাদের উত্তম আকৃতিই তৈরি করেছেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩. তিনিই আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন প্রজ্ঞা ও অভীষ্ট লক্ষ্য সহকারে। আর (তিনিই) তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে করেছেন উৎকৃষ্টতর। আর তাঁরই দিকে (সকলের) প্রত্যাবর্তন।
یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُسِرُّوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. তিনি জানেন যা কিছু আস্মানসমূহ ও যমীনে রয়েছে এবং জানেন যা কিছু তোমরা গোপন করো এবং প্রকাশ করো; আর আল্লাহ্ অন্তগুলোর কথা জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৪. আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তিনি জানেন এবং তিনি সেসবও জানেন যা তোমরা গোপন করো এবং যা তোমরা প্রকাশ করো। আর আল্লাহ্ অন্তরে রক্ষিত (গোপন) বিষয় সম্পর্কে(ও) সম্যক অবগত।
اَلَمۡ یَاۡتِکُمۡ نَبَؤُا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ قَبۡلُ ۫ فَذَاقُوۡا وَبَالَ اَمۡرِہِمۡ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তোমাদের নিকট কি তাদের খবর আসে নি, যারা তোমাদের পূর্বে কুফর করেছে? এবং নিজেদের কর্মের অশুভ পরিণতি ভোগ করেছে? এবং তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৫. তোমাদের নিকট কি সেসব লোকের বৃত্তান্ত পৌঁছেনি যারা (তোমাদের) পূর্বে কুফরী করেছিল এবং (পৃথিবীতে) তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করেছে? আর (আখেরাতেও) তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
ذٰلِکَ بِاَنَّہٗ کَانَتۡ تَّاۡتِیۡہِمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَقَالُوۡۤا اَبَشَرٌ یَّہۡدُوۡنَنَا ۫ فَکَفَرُوۡا وَ تَوَلَّوۡا وَّ اسۡتَغۡنَی اللّٰہُ ؕ وَ اللّٰہُ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এটা এ জন্য যে, তাদের নিকট তাদের রসূল সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসতেন, তখন তারা বলেছে, ‘মানুষই কি আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করবে?’ সুতরাং তারা কাফির হয়েছে এবং ফিরে গেছে। আর আল্লাহ্ পরোয়া করেন নি। এবং আল্লাহ্ পরোয়াহীন, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিত।
ইরফানুল কুরআন
৬. তা এ জন্যে যে, তাদের নিকট তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আসতেন, তখন তারা বলতো, ‘(আমাদেরই মতো এবং আমাদেরই প্রকৃতির)* মানুষ কি আমাদেরকে হেদায়াত করবে?’ অতঃপর তারা কুফরী করলো এবং (সত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিল। আর এতে আল্লাহ্র কিছুই যায় আসে না; আল্লাহ্ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসা ও গুণগানের উপযুক্ত।
* ‘বাশার’ শব্দের এই অর্থই গ্রহণ করেছেনে তাফসিরকারকগণ। রেফারেন্সর জন্যে দেখুন তাফসিরে তাবারী, আল-কাশ্শাফ, বাগাভী, খাজেন, মাজহারী এবং ফতহুল কাদির ইত্যাদি।
زَعَمَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنۡ لَّنۡ یُّبۡعَثُوۡا ؕ قُلۡ بَلٰی وَ رَبِّیۡ لَتُبۡعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلۡتُمۡ ؕ وَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ یَسِیۡرٌ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. কাফিরগণ বক্লো যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না। আপনি বলুন, ‘কেন নয়, আমার রবের শপথ, তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে, অতঃপর তোমাদের কৃতকর্ম তোমাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর এটা আল্লাহ্র জন্য সহজ।
ইরফানুল কুরআন
৭. কাফেরেরা ধারণা করেছে যে, তাদেরকে কখনো (দ্বিতীয়বার) উত্থিত করা হবে না। বলে দিন, ‘অবশ্যই হবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমাদেরকে অবশ্যই উত্থিত করা হবে, অতঃপর তোমাদেরকে অবহিত করা হবে যা কিছু তোমরা করতে। আর তা আল্লাহ্র পক্ষে খুবই সহজ।’
فَاٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ النُّوۡرِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلۡنَا ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. সুতরাং তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল এবং ওই নূরের উপর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি। এবং আল্লাহ্ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবহিত।
ইরফানুল কুরআন
৮. অতঃপর তোমরা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এবং যে জ্যোতি আমরা অবতীর্ণ করেছি তাতে ঈমান আনয়ন করো। আর আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে জ্ঞাত যা তোমরা করো।
یَوۡمَ یَجۡمَعُکُمۡ لِیَوۡمِ الۡجَمۡعِ ذٰلِکَ یَوۡمُ التَّغَابُنِ ؕ وَ مَنۡ یُّؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ وَ یَعۡمَلۡ صَالِحًا یُّکَفِّرۡ عَنۡہُ سَیِّاٰتِہٖ وَ یُدۡخِلۡہُ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. যেদিন তোমাদেরকে একত্রিত করবেন, সবার একত্রিত হবার দিনে, সেদিন হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হবারই এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে এবং ভালো কাজ করে আল্লাহ্ তাঁর পাপাচারসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে বাগানসমূহে নিয়ে যাবেন, যে গুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবহমান, তারা তাতে স্থায়ীভাবে থাকবে। এটাই মহা সাফল্য।
ইরফানুল কুরআন
৯. যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমাবেশ দিবসে (হাশরের ময়দানে) সমবেত করবেন, সেদিন হবে পরাজয় এবং লোকসান প্রকাশিত হবার দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তবে (আল্লাহ্) এ (আমলনামা) থেকে তার পাপসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। এটিই মহাসাফল্য।
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং যারা কুফর করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারা অগ্নিবাসী, স্থায়ীভাবে তাতে থাকবে। এবং কতই মন্দ পরিণতি।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর যারা কুফরী করে এবং আমাদের আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী; (যারা) এতে চিরকাল অবস্থান করবে। আর কতো মন্দ সে প্রত্যাবর্তনস্থল।
مَاۤ اَصَابَ مِنۡ مُّصِیۡبَۃٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ یُّؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ یَہۡدِ قَلۡبَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আল্লাহ্র নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদই আপতিত হয় না। এবং যে কেউ আল্লাহ্র উপর ঈমান আনে আল্লাহ্ তাঁর অন্তরকে হিদায়ত করবেন এবং আল্লাহ্ সবকিছু জানেন।
ইরফানুল কুরআন
১১. আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত (কারো উপর) কোনো বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহ্র উপর ঈমান আনে তার অন্তরকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করেন। আর আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।
وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّیۡتُمۡ فَاِنَّمَا عَلٰی رَسُوۡلِنَا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং আল্লাহ্র নির্দেশ মান্য করো ও রসূলের নির্দেশ মান্য করো। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে জেনে রেখো যে, আমার রসূলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেওয়াই।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহ্র এবং আনুগত্য করো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে (মনে রেখো) আমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দায়িত্ব কেবল সুস্পষ্টরূপে (বিধিবিধানসমূহ) পৌঁছে দেয়া।
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ؕ وَ عَلَی اللّٰہِ فَلۡیَتَوَکَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. আল্লাহ্, যিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত নেই এবং আল্লাহ্রই উপর যেন ঈমানদারগণ ভরসা করে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আল্লাহ্ (উপাস্য), তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ্ নেই; সুতরাং ঈমানদারগণের আল্লাহ্রই প্রতি ভরসা রাখা উচিত।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ مِنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ وَ اَوۡلَادِکُمۡ عَدُوًّا لَّکُمۡ فَاحۡذَرُوۡہُمۡ ۚ وَ اِنۡ تَعۡفُوۡا وَ تَصۡفَحُوۡا وَ تَغۡفِرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কিছু সংখ্যক স্ত্রী ও সন্তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তাদের থেকে সতর্ক থাকো! এবং যদি মাফ করো, (তাদের দোষত্রুটি) উপেক্ষা করো এবং ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১৪. হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রীগণ এবং তোমাদের সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু। অতএব তাদের থেকে সতর্ক থাকো। আর যদি তোমরা দৃষ্টি এড়িয়ে যাও ও উপেক্ষা করো এবং মার্জনা করে দাও, তবে অবশ্যই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
اِنَّمَاۤ اَمۡوَالُکُمۡ وَ اَوۡلَادُکُمۡ فِتۡنَۃٌ ؕ وَ اللّٰہُ عِنۡدَہٗۤ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্তানগণ হচ্ছে পরীক্ষাই এবং আল্লাহ্র নিকট মহা পুরস্কার রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষা মাত্র। আর আল্লাহ্র নিকট রয়েছে মহাপ্রতিদান।
فَاتَّقُوا اللّٰہَ مَا اسۡتَطَعۡتُمۡ وَ اسۡمَعُوۡا وَ اَطِیۡعُوۡا وَ اَنۡفِقُوۡا خَیۡرًا لِّاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَ مَنۡ یُّوۡقَ شُحَّ نَفۡسِہٖ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো যে পর্যন্ত সম্ভব হয়! এবং ফরমান শ্রবণ করো ও নির্দেশ মান্য করো। আর আল্লাহ্র পথে ব্যয় করো! নিজেদের মঙ্গলের জন্য এবং যাকে স্বীয় প্রাণের লালসা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তবে তারাই সাফল্য লাভকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৬. অতএব তোমরা আল্লাহ্কে যথাসাধ্য ভয় করতে থাকো। আর (তাঁর বিধিবিধান) শ্রবণ করো, আনুগত্য করো এবং (তাঁর পথে) ব্যয় করো, তোমাদেরই কল্যাণের জন্যে। আর যারা নিজ প্রবৃত্তির কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম।
اِنۡ تُقۡرِضُوا اللّٰہَ قَرۡضًا حَسَنًا یُّضٰعِفۡہُ لَکُمۡ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ شَکُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভালো কর্জ প্রদান করো, তবে তিনি তোমাদের জন্য তা দ্বিগুণ করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ্ মূল্যায়নকারী, সহনশীল।
ইরফানুল কুরআন
১৭. যদি তোমরা (একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধচিত্তে) আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান করো, তবে তিনি তোমাদের জন্যে তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ্ গুণগ্রাহী, ধৈর্যশীল,
عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. প্রত্যেক গোপন ও প্রকাশ্যের জ্ঞাতা, মহা সম্মানিত প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
১৮. সমস্ত অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, মহাসম্মানিত, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।