Back
আত তাহরীম
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰہُ لَکَ ۚ تَبۡتَغِیۡ مَرۡضَاتَ اَزۡوَاجِکَ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী) আপনি নিজের উপর কেন হারাম করে নিচ্ছেন। ওই বস্তুকে, যা আল্লাহ্‌ আপনার জন্য হালাল করেছেন? আপন বিবিগণের সন্তুষ্টি চাচ্ছেন। আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
১. হে (সম্মানিত) নবী! আপনি কেন নিজেকে (মধু পান থেকে) বিরত রাখছেন, যা আল্লাহ্ আপনার জন্যে বৈধ করেছেন? আপনি (কতোভাবেই না) আপনার স্ত্রীদেরকে সন্তুষ্ট করতে চাচ্ছেন! আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
قَدۡ فَرَضَ اللّٰہُ لَکُمۡ تَحِلَّۃَ اَیۡمَانِکُمۡ ۚ وَ اللّٰہُ مَوۡلٰىکُمۡ ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য তোমাদের শপথগুলোর পতন (সেগুলো থেকে মুক্তিলাভের ব্যবস্থা) নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের মুনিব এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
২. (হে ঈমানদারগণ!) আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের শপথ হতে (কাফ্ফারার মাধ্যমে) মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ তোমাদের সাহায্যকারী ও অভিভাবক, তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।
Play Share Copy
وَ اِذۡ اَسَرَّ النَّبِیُّ اِلٰی بَعۡضِ اَزۡوَاجِہٖ حَدِیۡثًا ۚ فَلَمَّا نَبَّاَتۡ بِہٖ وَ اَظۡہَرَہُ اللّٰہُ عَلَیۡہِ عَرَّفَ بَعۡضَہٗ وَ اَعۡرَضَ عَنۡۢ بَعۡضٍ ۚ فَلَمَّا نَبَّاَہَا بِہٖ قَالَتۡ مَنۡ اَنۡۢبَاَکَ ہٰذَا ؕ قَالَ نَبَّاَنِیَ الۡعَلِیۡمُ الۡخَبِیۡرُ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. এবং যখন নবী আপন এক বিবিকে একটা গোপন কথা বলেছিলেন; অতঃপর যখন সে তা প্রকাশ করে দিলো, আর আল্লাহ্‌ও তা নবীর নিকট প্রকাশ করে দিলেন। অতঃপর নবী সে বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু এড়িয়ে গেলেন। সুতরাং যখন নবী তাকে সে সম্পর্কে খবর দিলেন, তখন সে বললো, ‘হুযূরকে কে বলেছেন? এরশাদ করলেন, ‘আমাকে যিনি সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবহিত তিনি বলেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৩. আর যখন (সম্মানিত) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন, কিন্তু যখন তিনি তা অন্যকে বলে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ্ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এ বিষয়ে কিছু অংশ ব্যক্ত করলেন এবং কিছু অংশ (ব্যক্ত করা থেকে) এড়িয়ে গেলেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তাকে তা (গোপন বিষয় প্রকাশ করার বিষয়ে) জানালে তিনি বললেন, ‘আপনাকে কে তা অবহিত করলো?’ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আমাকে অবহিত করেছেন মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ (প্রতিপালক)’।
Play Share Copy
اِنۡ تَتُوۡبَاۤ اِلَی اللّٰہِ فَقَدۡ صَغَتۡ قُلُوۡبُکُمَا ۚ وَ اِنۡ تَظٰہَرَا عَلَیۡہِ فَاِنَّ اللّٰہَ ہُوَ مَوۡلٰىہُ وَ جِبۡرِیۡلُ وَ صَالِحُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ بَعۡدَ ذٰلِکَ ظَہِیۡرٌ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. (হে) নবীর বিবিদ্বয়! যদি আল্লাহ্‌র দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তন করো, যেহেতু নিশ্চয় তোমাদের অন্তর সঠিক পথ থেকে কিছুটা সরে গেছে এবং যদি তাঁর ব্যাপারে তোমরা জোট বাধো, (একে অপরকে সাহায্য করো,) তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাঁর সাহায্যকারী এবং জিবরাঈল ও সৎকর্মপরায়ণ মু’মিনগণ! এবং এরপর ফিরিশ্‌তাগণ সাহায্যকারী রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৪. যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহ্‌র নিকট তওবা করো (তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম), কেননা তোমাদের উভয়ের হৃদয় তো (একই বিষয়ের প্রতি) ঝুঁকে পড়েছে। যদি তোমরা উভয়ে এ বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করো (তবে তা সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের জন্যে দুশ্চিন্তার কারণ)। সুতরাং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই তাঁর বন্ধু ও সাহায্যকারী এবং জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ও সৎকর্মশীল মুমিনগণও। আর এরপর (সকল) ফেরেশতাও (তাঁর) সাহায্যকারী।
Play Share Copy
عَسٰی رَبُّہٗۤ اِنۡ طَلَّقَکُنَّ اَنۡ یُّبۡدِلَہٗۤ اَزۡوَاجًا خَیۡرًا مِّنۡکُنَّ مُسۡلِمٰتٍ مُّؤۡمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تٰٓئِبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰٓئِحٰتٍ ثَیِّبٰتٍ وَّ اَبۡکَارًا ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তাঁর রবের জন্য এটা সম্ভব যে, যদি তিনি (নবী) তোমাদেরকে তালাক্ব দিয়ে দেন, তবে তাকে তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চেয়ে উত্তম বিবি প্রদান করবেন- যারা অনুগত ঈমানদার, আদবসম্পন্ন, তাওবাকারী, ইবাদতকারী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
ইরফানুল কুরআন
৫. যদি তিনি তোমাদেরকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবত তাঁর প্রতিপালক তাঁকে তোমাদের স্থলে তোমাদের চেয়ে উৎকৃষ্টতর স্ত্রী প্রদান করবেন, (যারা হবে) আত্মসমর্পণকারী, বিশ্বাসী, অনুগত, তওবাকারী, ইবাদতকারী, রোযাদার, (কতিপয়) পূর্বে বিবাহিতা এবং (কতিপয়) কুমারী।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ اَہۡلِیۡکُمۡ نَارًا وَّ قُوۡدُہَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ عَلَیۡہَا مَلٰٓئِکَۃٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعۡصُوۡنَ اللّٰہَ مَاۤ اَمَرَہُمۡ وَ یَفۡعَلُوۡنَ مَا یُؤۡمَرُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. হে ঈমানদারগণ! নিজেদেরকে ও নিজেদের পরিবারবর্গকে ওই আগুন থেকে রক্ষা করো যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর, যার উপর কঠোর নির্মম ফিরিশ্‌তাগণ নিয়োজিত রয়েছেন যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশ অমান্য করে না এবং যা তাদের প্রতি আদেশ হয়, তাই করে।
ইরফানুল কুরআন
৬. হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো অগ্নি থেকে, যার ইন্ধন মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছেন নির্মম হৃদয় বিশিষ্ট শক্তিশালী ফেরেশতাগণ, যারা কোনোও বিষয় অমান্য করেন না যা আল্লাহ্ তাদেরকে নির্দেশ দেন। আর তারা তাই সম্পাদন করেন যা করতে তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَا تَعۡتَذِرُوا الۡیَوۡمَ ؕ اِنَّمَا تُجۡزَوۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. হে কাফিরগণ! আজ বাহানা তৈরী করো না। তোমরা ওই প্রতিফল পাবে, যা তোমরা করতে!
ইরফানুল কুরআন
৭. হে কাফেরগণ! আজ তোমরা কোনো অজুহাত পেশ করো না। তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিদান দেয়া হবে যা তোমরা করতে।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا ؕ عَسٰی رَبُّکُمۡ اَنۡ یُّکَفِّرَ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ یُدۡخِلَکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۙ یَوۡمَ لَا یُخۡزِی اللّٰہُ النَّبِیَّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ ۚ نُوۡرُہُمۡ یَسۡعٰی بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ بِاَیۡمَانِہِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَتۡمِمۡ لَنَا نُوۡرَنَا وَ اغۡفِرۡ لَنَا ۚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌র প্রতি এমন তাওবা করো যা আগামীর জন্য উপদেশ হয়ে যায় অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ তোমাদের থেকে মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে ওই বাগানসমূহে নিয়ে যাবেন, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান; যেদিন আল্লাহ্‌ তা’আলা অপমানিত করবেন না নবী ও তাঁর সঙ্গেকার ঈমানদারদেরকে; তাদের আলো দৌড়াতে থাকবে তাদের সম্মুখে এবং তাদের ডান দিকে, ‘আরয করবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের নূরকে পরিপূর্ণ করে দাও এবং আমাদেরকে ক্ষমা করো। নিশ্চয় তোমার প্রত্যেক কিছুর উপর তা রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট প্রত্যাবর্তন করো, পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ প্রত্যাবর্তন; সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের পাপ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবিষ্ট করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ্ (তাঁর) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এবং যারা (জাহিরী ও বাতিনীভাবে) তাঁর সাথে রয়েছেন সেসব ঈমানদারগণকে লজ্জা দেবেন না। তাদের জ্যোতি তাদের সম্মুখে এবং তাদের দক্ষিণপার্শ্বে (আলোচ্ছটায়) দ্রুত ধাবিত হতে থাকবে। তারা আরয করবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান করো এবং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।’
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ جَاہِدِ الۡکُفَّارَ وَ الۡمُنٰفِقِیۡنَ وَ اغۡلُظۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ مَاۡوٰىہُمۡ جَہَنَّمُ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)! কাফিরদের বিরুদ্ধে ও মুনাফিক্বদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন আর তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম এবং কতোই মন্দ পরিণতি!
ইরফানুল কুরআন
৯. হে (সম্মানিত) নবী! আপনি কাফের এবং মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম, আর তা কতো নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
১০
Play Share Copy
ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوا امۡرَاَتَ نُوۡحٍ وَّ امۡرَاَتَ لُوۡطٍ ؕ کَانَتَا تَحۡتَ عَبۡدَیۡنِ مِنۡ عِبَادِنَا صَالِحَیۡنِ فَخَانَتٰہُمَا فَلَمۡ یُغۡنِیَا عَنۡہُمَا مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا وَّ قِیۡلَ ادۡخُلَا النَّارَ مَعَ الدّٰخِلِیۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. আল্লাহ্ কাফিরদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন- নূহের স্ত্রী ও লূতের স্ত্রী; তারা দু’জনই আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নৈকট্যের দু’জন উপযুক্ত বান্দার বিবাহে ছিলো। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করলো। সুতরাং তারা (হযরত নূহ ও হযরত লূত) আল্লাহ্‌র সম্মুখে তাদের কোন কাজে আসে নি এবং বলে দেওয়া হলো, তোমরা উভয় নারী জাহান্নামে প্রবেশ করো প্রবেশকারীদের সাথে।
ইরফানুল কুরআন
১০. আল্লাহ্ কাফেরদের জন্যে দৃষ্টান্ত পেশ করছেন নূহ এবং লূত (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর স্ত্রীদ্বয় (ওয়াহিলা এবং ওয়ায়ি’লা)-এর। এরা উভয়ে আমাদের বান্দাদের মধ্যে দু’জন সৎকর্মপরায়ণ বান্দার সাথে বিবাহ বন্ধনে ছিল। কিন্তু তারা উভয়েই তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সুতরাং আল্লাহ্‌র (শাস্তির) সামনে তারা তাদের কোনো কাজে আসেননি এবং তাদেরকে বলা হলো, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করো’।
১১
Play Share Copy
وَ ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا امۡرَاَتَ فِرۡعَوۡنَ ۘ اِذۡ قَالَتۡ رَبِّ ابۡنِ لِیۡ عِنۡدَکَ بَیۡتًا فِی الۡجَنَّۃِ وَ نَجِّنِیۡ مِنۡ فِرۡعَوۡنَ وَ عَمَلِہٖ وَ نَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং আল্লাহ্‌ মুসলমানদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন- ফির’আউনের বিবি, যখন সে আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমার জন্য তোমার নিকট জান্নাতে ঘর তৈরী করো এবং আমাকে ফির’আঊন ও তাঁর কর্ম থেকে মুক্তি দাও আর আমাকে যালিম লোকদের থেকে মুক্তি দান করো।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর আল্লাহ্ মুমিনগণের জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন ফেরাউনের স্ত্রী (আসিয়া বিনতে মাযাহিম)-এঁর। যখন তিনি আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার জন্যে বেহেশতে তোমার সান্নিধ্যে এক গৃহ নির্মাণ করো এবং আমাকে উদ্ধার করো ফেরাউন এবং তার দুষ্কৃতি থেকে এবং আমাকে উদ্ধার করো অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকেও।’
১২
Play Share Copy
وَ مَرۡیَمَ ابۡنَتَ عِمۡرٰنَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا فَنَفَخۡنَا فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِنَا وَ صَدَّقَتۡ بِکَلِمٰتِ رَبِّہَا وَ کُتُبِہٖ وَ کَانَتۡ مِنَ الۡقٰنِتِیۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং ইম্‌রানের কন্যা মরিয়ম, যে আপন সতীত্বকে রক্ষা করেছিলো। তখন আমি তাঁর মধ্যে আমার নিকট থেকে ‘রূহ’ ফুঁৎকার করেছি এবং সে আপন রবের বাণীসমূহ এবং তাঁর কিতাবসমূহের সত্যায়ন করলো আর অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত হলো।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর (আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন) ইমরানের কন্যা মারইয়ামের, যিনি তাঁর নিজের নিষ্কলুষতা এবং পরিশুদ্ধতা রক্ষা করেছিলেন, ফলে আমরা (তাঁর) জামার উপরিভাগের উন্মুক্ত অংশে আমাদের রূহ্ ফুঁকে দিয়েছিলাম। আর তিনি তাঁর প্রতিপালকের ফরমানসমূহ এবং তাঁর (নাযিলকৃত) কিতাবসমূহের সত্যায়ন করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।