Back
আত তাকবীর
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
اِذَا الشَّمۡسُ کُوِّرَتۡ ۪ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. যখন সূর্যরশ্মিকে মুড়িয়ে ফেলা হবে,
ইরফানুল কুরআন
১. যখন সূর্য ভাঁজ করে নিষ্প্রভ করা হবে,
Play Share Copy
وَ اِذَا النُّجُوۡمُ انۡکَدَرَتۡ ۪ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং যখন তারকাপুঞ্জ ঝরে পড়বে,
ইরফানুল কুরআন
২. এবং যখন তারকারাজি (তাদের ছায়াপথ থেকে) খসে পড়বে,
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡجِبَالُ سُیِّرَتۡ ۪ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. আর যখন পাহাড় পর্বতকে চলমান করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৩. এবং যখন পর্বতমালাকে (ধূলায় পরিণত করে বায়ুমন্ডলে) সবেগে চালিত করা হবে,
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡعِشَارُ عُطِّلَتۡ ۪ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আর যখন পূর্ণগর্ভা উষ্ট্রীগুলো বাধাহীন অবস্থায় ফিরবে,
ইরফানুল কুরআন
৪. এবং যখন পূর্ণ-গর্ভা উষ্ট্রীগুলো উপেক্ষিত অবস্থায় ছুটোছুটি করতে থাকবে (অর্থাৎ কেউ তাদের পরিচর্যা করবে না),
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡوُحُوۡشُ حُشِرَتۡ ۪ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং যখন বন্য পশুগুলোকে একত্রিত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৫. এবং যখন হিংস্র প্রাণীগুলোকে (প্রচন্ড ভীত অবস্থায়) জড়ো করা হবে,
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡبِحَارُ سُجِّرَتۡ ۪ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. আর যখন সমুদ্রকে উত্তপ্ত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৬. আর যখন (সমস্ত) সমুদ্র ও নদ-নদী স্ফীত করা হবে,
Play Share Copy
وَ اِذَا النُّفُوۡسُ زُوِّجَتۡ ۪ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. আর যখন আত্নাগুলোকে জুড়ে দেয়া হবে,
ইরফানুল কুরআন
৭. আর যখন রূহসমূহকে (দেহের সাথে) একত্রিত করা হবে,
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡمَوۡءٗدَۃُ سُئِلَتۡ ۪ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং যখন জীবন্ত প্রোথিতা (কন্যা-সন্তান) কে জিজ্ঞাসা করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
৮. আর যখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
Play Share Copy
بِاَیِّ ذَنۡۢبٍ قُتِلَتۡ ۚ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
৯. কোন্ অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?
১০
Play Share Copy
وَ اِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتۡ ﴿۪ۙ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. যখন আমলনামা খোলা হবে,
ইরফানুল কুরআন
১০. আর যখন আমলনামা উন্মোচিত করা হবে,
১১
Play Share Copy
وَ اِذَا السَّمَآءُ کُشِطَتۡ ﴿۪ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আর যখন আস্‌মানকে সেটার আপন স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে,
ইরফানুল কুরআন
১১. এবং যখন আকাশের স্তরগুলোকে বিদীর্ণ-বিচ্ছিন্ন করে তাদের স্থান থেকে অপসারণ করা হবে,
১২
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡجَحِیۡمُ سُعِّرَتۡ ﴿۪ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. আর যখন জাহান্নামকে অগ্নি প্রজ্ব্বলিত করা হবে,
ইরফানুল কুরআন
১২. এবং যখন জাহান্নাম (-এর আগুন) দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে,
১৩
Play Share Copy
وَ اِذَا الۡجَنَّۃُ اُزۡلِفَتۡ ﴿۪ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং যখন বেহেশ্‌তকে নিকটে আনা হবে,
ইরফানুল কুরআন
১৩. এবং যখন জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে,
১৪
Play Share Copy
عَلِمَتۡ نَفۡسٌ مَّاۤ اَحۡضَرَتۡ ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তখন প্রত্যেক আত্না অবগত হবে সে সম্পর্কে, যা সে উপস্থিত করেছে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. তখন প্রত্যেকেই জানতে পারবে সে কী নিয়ে এসেছে।
১৫
Play Share Copy
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالۡخُنَّسِ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সুতরাং তারই শপথ, যা প্রত্যাবর্তন করে,
ইরফানুল কুরআন
১৫. সুতরাং আমি শপথ করছি সেসব (বিশ্ব পরিমন্ডল)-এর, যা (দৃশ্যমান হওয়ার পর) পশ্চাতে অপসৃত হয়।
১৬
Play Share Copy
الۡجَوَارِ الۡکُنَّسِ ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. সোজা চলে, স্থিত থাকে,
ইরফানুল কুরআন
১৬. যা বিনা বাধায় চলতে থাকে, (অতঃপর দৃশ্যমান হওয়ার পরে) দৃষ্টির আড়াল হয়ে যায়,
১৭
Play Share Copy
وَ الَّیۡلِ اِذَا عَسۡعَسَ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং রাতের (শপথ), যখন পৃষ্ঠ প্রদান করে,
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর শপথ রাত্রির যখন এর অন্ধকার দূর হতে শুরু করে,
১৮
Play Share Copy
وَ الصُّبۡحِ اِذَا تَنَفَّسَ ﴿ۙ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. আর প্রভাতের (শপথ), যখন শ্বাস গ্রহণ করে,
ইরফানুল কুরআন
১৮. এবং শপথ প্রভাতের যখন এর আলো ফুটতে শুরু করে,
১৯
Play Share Copy
اِنَّہٗ لَقَوۡلُ رَسُوۡلٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. নিশ্চয় এটা সম্মানিত প্রেরিতের বাণী,
ইরফানুল কুরআন
১৯. নিশ্চয় এই (কুরআন) সর্বাধিক সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাসূলের (পঠিত) বাণী,
২০
Play Share Copy
ذِیۡ قُوَّۃٍ عِنۡدَ ذِی الۡعَرۡشِ مَکِیۡنٍ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. যে শক্তিশালী, আরশাধিপতির দরবারে সম্মানিত,
ইরফানুল কুরআন
২০. যিনি (সত্যের আহ্বানে, রিসালাতের প্রচারে ও আধ্যাত্মিক দক্ষতায়) সুদৃঢ় ও শক্তিশালী, (এবং) আরশের অধিপতি মহান প্রতিপালকের নিকট অতীব সম্মানিত ও উচ্চ মর্যাদার (এবং গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্বের) অধিকারী।
২১
Play Share Copy
مُّطَاعٍ ثَمَّ اَمِیۡنٍ ﴿ؕ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. সেখানে তার আদেশ পালন করা হয়, (যে) আমানতদার।
ইরফানুল কুরআন
২১. (সমগ্র জগতের জন্যে) যার আনুগত্য করা বাধ্যতামূলক (কেননা তাঁর আনুগত্যই আল্লাহ্‌র আনুগত্য), যিনি তাঁর আস্থায় বিশ্বস্ত (ওহী এবং আসমান ও যমিনের আল্লাহ্‌র সমস্ত পবিত্র রহস্যের আধার)।
২২
Play Share Copy
وَ مَا صَاحِبُکُمۡ بِمَجۡنُوۡنٍ ﴿ۚ۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং তোমাদের মুনিব, (যিনি তোমাদের সাথে আছেন), পাগল নন,
ইরফানুল কুরআন
২২. আর (হে লোকেরা!) তোমাদেরকে তাঁর (পবিত্র) সাহচর্য দানে ধন্যকারী এ সত্তা (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) উন্মাদ নন (তিনি যা কিছু বলেন তা সত্য)।
২৩
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ رَاٰہُ بِالۡاُفُقِ الۡمُبِیۡنِ ﴿ۚ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং নিশ্চয় তিনি তাকে আলোকিত প্রান্তে দেখলেন,
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর নিশ্চয়ই তিনি তাঁকে (আরশের মালিকের সেই পরম সৌন্দর্যকে, অনন্ত শূন্যের) অত্যুজ্বল সীমানায় অবলোকন করেছেন।* * হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস, আনাস বিন মালেক, ইকরামা, আবু সালামা, দ্বাহ্হাক, আবুল আলিয়া, হাসান, কা’ব আল আহবার, শারিক বিন আবদুল্লাহ এবং শা’বী এবং প্রমুখ (রাদ্বীআল্লাহু আনহুম) গণের বর্ণনা থেকে এ অনুবাদ করা হয়েছে; যা বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে জারীর, বাগুভী এবং হাদীসের অন্যান্য অনেক ইমাম বর্ণনা করেছেন এবং আরও অনেক তফসীরবিদ ইমামগণও এটি গ্রহণ করেছেন।
২৪
Play Share Copy
وَ مَا ہُوَ عَلَی الۡغَیۡبِ بِضَنِیۡنٍ ﴿ۚ۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং এ নবী অদৃশ্য বিষয় বর্ণনা করার ব্যাপারে কৃপণ নন।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তিনি (অর্থাৎ মহিমান্বিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) অদৃশ্যের (সংবাদ প্রকাশের) ব্যাপারে কখনোই কার্পণ্য করেন না। (আরশের মহান মালিক তাঁকে কোনো কিছুতেই অসম্পূর্ণ রাখেননি।)
২৫
Play Share Copy
وَ مَا ہُوَ بِقَوۡلِ شَیۡطٰنٍ رَّجِیۡمٍ ﴿ۙ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং ক্বোরআন বিতাড়িত শয়তানের বাণী নয়।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর এ (কুরআন) কখনোই কোনো অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।
২৬
Play Share Copy
فَاَیۡنَ تَذۡہَبُوۡنَ ﴿ؕ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. সুতরাং তোমরা কোন দিকে যাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
২৬. এরপর, (হে হতভাগ্যরা! নিজেদের এতো মূল্যবান সম্পদকে উপেক্ষা করে) তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো?
২৭
Play Share Copy
اِنۡ ہُوَ اِلَّا ذِکۡرٌ لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এটা তো উপদেশই সারা বিশ্বের জন্য;
ইরফানুল কুরআন
২৭. এ (কুরআন) তো সমগ্র জগতের জন্যে (অবতীর্ণ) উপদেশ।
২৮
Play Share Copy
لِمَنۡ شَآءَ مِنۡکُمۡ اَنۡ یَّسۡتَقِیۡمَ ﴿ؕ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. তারই জন্য, যে তোমাদের মধ্যে সোজা-সরল হতে চায়।
ইরফানুল কুরআন
২৮. তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সরল পথে চলতে চায় তার জন্যে (এ প্রস্রবণ থেকে হেদায়াত লাভ সহজতর হতে পারে)।
২৯
Play Share Copy
وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আর তোমরা কি চাইবে, কিন্তু এটাই যা চান আল্লাহ্‌, সারা বিশ্বের রব।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আর তোমরা কেবলমাত্র তাই চাইতে পারো যা আল্লাহ্ তা’আলা চান, যিনি সমস্ত জাহানের পালনকর্তা।