بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ السَّمَآءِ وَ الطَّارِقِ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আস্মানের শপথ, এবং রাতে আগমনকারীর;
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ আকাশের (অসীম ব্যপ্তি ও অনন্তশূন্যের) এবং শপথ রাতে (দৃশ্যমান) আগন্তুকের।
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الطَّارِقُ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং আপনি কি কিছু জেনেছেন, সে-ই রাতে আগমনকারী কি?
ইরফানুল কুরআন
২. আর আপনি কি জানেন, রাতে (দৃশ্যমান) আগন্তুক কী?
النَّجۡمُ الثَّاقِبُ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. (তা হচ্ছে) অত্যন্ত উজ্জ্বল তারকা।
ইরফানুল কুরআন
৩. (এর দ্বারা উদ্যেশ্য) মহাশূন্যের প্রতিটি বলয় (হতে পারে তা একটি তারকা অথবা একটি গ্রহ অথবা মহাশূন্যের বস্তুনিচয়ের কোনো একটি বলয়) যা জ্বলজ্বল করে (শূণ্যমন্ডল) উদ্ভাসিত করে।*
* “নাজমুস সাকীব” অথবা “প্রজ্বলিত নক্ষত্র” দ্বারা মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সত্তাকেও বোঝানো হয়েছে, যিনি “সিরাজাম মুনীরা” অর্থাৎ “আলোকোজ্জ্বল সূর্য” মহিমায় রিসালাতের আকাশে উদ্ভাসিত হয়ে জুলুম ও অন্ধকারাচ্ছন্নতায় রোগাক্রান্ত বিশ্বজাহানকে ঈমানের নূর দ্বারা আলোকিত করেছেন। (আশ শিফা, কাযী আয়াদ্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি।)
اِنۡ کُلُّ نَفۡسٍ لَّمَّا عَلَیۡہَا حَافِظٌ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এমন কোন আত্না নেই, যার উপর হিফাযতকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৪. প্রত্যেক মানবাত্মার উপরই একজন প্রহরী (নিয়োজিত) রয়েছে।
فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ مِمَّ خُلِقَ ؕ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. সুতরাং উচিত যেন মানুষ গভীর চিন্তা করে যে, কোন্ জিনিস দ্বারা (তাকে) সৃষ্টি করা হয়েছে!
ইরফানুল কুরআন
৫. অতএব মানুষের চিন্তা (এবং অনুসন্ধান) করা উচিত যে, কোন্ বস্তু থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে!
خُلِقَ مِنۡ مَّآءٍ دَافِقٍ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. লাফিয়ে পড়া পানি দ্বারা,
ইরফানুল কুরআন
৬. তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি (অর্থাৎ শক্তিশালী এবং গতিশীল সৃষ্টি উপাদান শুক্র) থেকে।
یَّخۡرُجُ مِنۡۢ بَیۡنِ الصُّلۡبِ وَ التَّرَآئِبِ ؕ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যা নির্গত হয় পিঠ ও বুকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৭. যা পৃষ্ঠদেশ এবং কটিদেশের অস্থির মধ্যবর্তী অংশ (শ্রোণীচক্র বা মেরুদন্ডের নিচের অংশ ও নিতম্বের মধ্যকার অস্থিকাঠামো) থেকে অগ্রসর হয়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
اِنَّہٗ عَلٰی رَجۡعِہٖ لَقَادِرٌ ؕ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. নিশ্চয় আল্লাহ্ তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার উপর ক্ষমতাবান।
ইরফানুল কুরআন
৮. নিশ্চয়ই তিনি একে (এ জীবনকে) পুনরায় ফিরিয়ে আনতেও সক্ষম,
یَوۡمَ تُبۡلَی السَّرَآئِرُ ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. যেদিন গোপন কথাগুলোর যাচাই হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯. যেদিন গোপন রহস্যগুলো প্রকাশ করা হবে।
فَمَا لَہٗ مِنۡ قُوَّۃٍ وَّ لَا نَاصِرٍ ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তখন মানুষের নিকট না কোন ক্ষমতা থাকবে, না কোন সাহায্যকারী।
ইরফানুল কুরআন
১০. তারপর মানুষের নিকট না (নিজস্ব) কোনো ক্ষমতা থাকবে আর না কেউ (তার) সাহায্যকারী হবে।
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الرَّجۡعِ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আস্মানের শপথ, যা থেকে বৃষ্টি নামে,
ইরফানুল কুরআন
১১. শপথ সে ঊর্ধ্ব জগতের যা পুনরায় তার প্রারম্ভিক অবস্থায় ফিরে যাবে,
وَ الۡاَرۡضِ ذَاتِ الصَّدۡعِ ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং যমীনের শপথ, যা বিদীর্ণ হয়,
ইরফানুল কুরআন
১২. এবং শপথ সে পৃথিবীর যা বিদীর্ণ হবে।
اِنَّہٗ لَقَوۡلٌ فَصۡلٌ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. নিশ্চয় ক্বোরআন একটা মীমাংসাকারী বাণী;
ইরফানুল কুরআন
১৩. নিশ্চয়ই এটি মীমাংসাকারী (অকাট্য) বাণী।
وَّ مَا ہُوَ بِالۡہَزۡلِ ﴿ؕ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং কোন হাসি-ঠাট্টার কথা নয়।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর এটি উপহাসের বিষয় নয়!
اِنَّہُمۡ یَکِیۡدُوۡنَ کَیۡدًا ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. নিশ্চয় কাফিরগণ নিজেদের সাধ্যমত ষড়যন্ত্র চালিয়ে থাকে,
ইরফানুল কুরআন
১৫. নিঃসন্দেহে এ সকল (কাফের) প্রতারণাপূর্ণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
وَّ اَکِیۡدُ کَیۡدًا ﴿ۚۖ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং আমি স্বীয় গোপন তদবীর করি।
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর আমি আমার পরিকল্পনা বর্ণনা করছি।
فَمَہِّلِ الۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡہِلۡہُمۡ رُوَیۡدًا ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. সুতরাং তোমরা কাফিরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে সামান্য সুযোগ দাও।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অতঃপর আপনি কাফেরদেরকে (ক্ষণিকের) অবকাশ দিন, (কিন্তু খুব বেশি নয়,) তাদেরকে (আরো) কিছুটা ছাড় দিন।