بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
وَ الطُّوۡرِ ۙ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. 'ত্বূর’ এর শপথ,
ইরফানুল কুরআন
১. শপথ তূর পর্বতের,
وَ کِتٰبٍ مَّسۡطُوۡرٍ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এবং ওই কিতাবের, যা লিখিত রয়েছে-
ইরফানুল কুরআন
২. আর শপথ লিপিবদ্ধ কিতাবের,
فِیۡ رَقٍّ مَّنۡشُوۡرٍ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. উন্মুক্ত দপ্তরের মধ্যে,
ইরফানুল কুরআন
৩. (যা) উন্মুক্ত পত্রে রয়েছে,
وَّ الۡبَیۡتِ الۡمَعۡمُوۡرِ ۙ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং বায়তুল মা’মূরের,
ইরফানুল কুরআন
৪. আর শপথ বায়তুল মা’মুরের (অর্থাৎ শপথ ফেরেশতা পরিবেষ্টিত জনবহুল আসমানী কা’বার),
وَ السَّقۡفِ الۡمَرۡفُوۡعِ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং সমুন্নত ছাদের,
ইরফানুল কুরআন
৫. আর শপথ উঁচু ছাদের (অর্থাৎ শপথ উঁচু আকাশ বা সমুন্নত আরশের),
وَ الۡبَحۡرِ الۡمَسۡجُوۡرِ ۙ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং অগ্নি প্রজ্জ্বলিত সমুদ্রের-
ইরফানুল কুরআন
৬. আর শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের!
اِنَّ عَذَابَ رَبِّکَ لَوَاقِعٌ ۙ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. নিশ্চয় তোমার রবের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী;
ইরফানুল কুরআন
৭. নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালকের শাস্তি সংঘটিত হবেই।
مَّا لَہٗ مِنۡ دَافِعٍ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. সেটা কেউ দূরীভূত কারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৮. এটি প্রতিহতকারী কেউ নেই।
یَّوۡمَ تَمُوۡرُ السَّمَآءُ مَوۡرًا ۙ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. যে দিন আস্মান আন্দোলিত হবার মতো আন্দোলিত হবে;
ইরফানুল কুরআন
৯. যে দিন প্রচন্ডভাবে আকাশ আন্দোলিত হবে,
وَّ تَسِیۡرُ الۡجِبَالُ سَیۡرًا ﴿ؕ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং পর্বত চলার মতো চলতে থাকবে;
ইরফানুল কুরআন
১০. আর পর্বতরাজি (স্বীয় স্থান ছেড়ে মেঘমালার ন্যায় ধুলিকণা হয়ে) দ্রুত উড়তে থাকবে,
فَوَیۡلٌ یَّوۡمَئِذٍ لِّلۡمُکَذِّبِیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. সুতরাং সে দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য-
ইরফানুল কুরআন
১১. সুতরাং সে দিন দুর্ভোগ মিথ্যাপ্রতিপন্নকারীদের,
الَّذِیۡنَ ہُمۡ فِیۡ خَوۡضٍ یَّلۡعَبُوۡنَ ﴿ۘ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. যারা অসার কার্যকলাপের মধ্যে খেলা করছে।
ইরফানুল কুরআন
১২. যারা (অনর্থক) মিথ্যায় পর্যবসিত হয়ে উদাসীন খেল-তামাশায় মগ্ন।
یَوۡمَ یُدَعُّوۡنَ اِلٰی نَارِ جَہَنَّمَ دَعًّا ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. যে দিন তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সজোরে ধাক্কা দিতে দিতে নিয়ে যাওয়া হবে-
ইরফানুল কুরআন
১৩. যে দিন তাদেরকে জাহান্নামের আগুনের দিকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়া হবে,
ہٰذِہِ النَّارُ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ بِہَا تُکَذِّبُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. ‘এটা হচ্ছে ওই আগুন, যাকে তোমরা অস্বীকার করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. (তাদেরকে বলা হবে,) ‘এটি সেই জাহান্নামের আগুন যা তোমরা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করতে।
اَفَسِحۡرٌ ہٰذَاۤ اَمۡ اَنۡتُمۡ لَا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. তবে কি এটা যাদু? না তোমাদের বোধশক্তি নেই!
ইরফানুল কুরআন
১৫. সুতরাং এটি কি যাদু, নাকি তোমরা দেখতে পাচ্ছো না?
اِصۡلَوۡہَا فَاصۡبِرُوۡۤا اَوۡ لَا تَصۡبِرُوۡا ۚ سَوَآءٌ عَلَیۡکُمۡ ؕ اِنَّمَا تُجۡزَوۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তাতে প্রবেশ করো এবং এখন চাই ধৈর্য ধরো, কিংবা না-ই ধরো- উভয়টা তোমাদের জন্য সমান। তোমাদের জন্য সেটারই বিনিময়, যা তোমরা করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
১৬. এতে প্রবেশ করো, অতঃপর ধৈর্য ধারণ করো বা ধৈর্য ধারণ না করো তা তোমাদের জন্যে সমান। তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিদান দেয়া হবে যা তোমরা করতে।’
اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ نَعِیۡمٍ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. নিশ্চয় খোদাভীরুগণ বাগানসমূহে এবং শান্তিতে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. নিশ্চয়ই পরহেযগার লোকেরা থাকবে বেহেশতে এবং অনুগ্রহে।
فٰکِہِیۡنَ بِمَاۤ اٰتٰہُمۡ رَبُّہُمۡ ۚ وَ وَقٰہُمۡ رَبُّہُمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. আপন রবের প্রদত্ত (নি’মাত) এর উপর আনন্দিত; এবং তাদেরকে তাদের রব আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
১৮. তারা খুশী হবে এবং উপভোগ করবে যেসব (নিয়ামত) দ্বারা তাদেরকে তাদের প্রতিপালক অনুগ্রহ করবেন। আর তাদের প্রতিপালক তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন।
کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا ہَنِیۡٓـًٔۢا بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. আহার করো ও পান করো তৃপ্তি সহকারে-আপন কর্মসমূহের পুরস্কাররূপে;
ইরফানুল কুরআন
১৯. (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যা করতে সেসব (নেক) আমলের প্রতিফল স্বরূপ তৃপ্তি সহকারে খাও এবং পান করো’।
مُتَّکِئِیۡنَ عَلٰی سُرُرٍ مَّصۡفُوۡفَۃٍ ۚ وَ زَوَّجۡنٰہُمۡ بِحُوۡرٍ عِیۡنٍ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. তারা আসনসমূহে হেলান দিয়ে বসবে, যেগুলো সারিবদ্ধভাবে সজ্জিত; এবং আমি তাদের বিয়ে দিয়েছি বড় বড় চোখসম্পন্না হূরদের সাথে।
ইরফানুল কুরআন
২০. তারা হেলান দিয়ে বসবে সারিবদ্ধভাবে বিছানো গদির উপর, আর আমরা তাদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করবো গৌরবর্ণের চিত্তাকর্ষক নয়ন বিশিষ্ট হুরদের সাথে।
وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ اتَّبَعَتۡہُمۡ ذُرِّیَّتُہُمۡ بِاِیۡمَانٍ اَلۡحَقۡنَا بِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَ مَاۤ اَلَتۡنٰہُمۡ مِّنۡ عَمَلِہِمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ ؕ کُلُّ امۡرِیًٴۢ بِمَا کَسَبَ رَہِیۡنٌ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং যারা ঈমান এনেছে আর তাদের সন্তানগণ ঈমান সহকারে তাদের অনুসরণ করেছে, আমি তাদের সন্তানদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দিই এবং তাদের কর্মের মধ্যে তাদেরকে কিছু কম দিই নি। প্রত্যেক মানুষ আপন কৃতকর্মের মধ্যে আবদ্ধ।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী, আমরা (জান্নাতের স্তরসমূহে) তাদের সাথে মিলিত করবো তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকেও (তাদের নিজেদের আমল ওই স্তরের নাহলেও, এ হবে কেবল তাদের সৎকর্মশীল পিতামাতার সম্মানার্থে)। আর আমরা তাদের (সৎকর্মশীল পিতামাতার) কর্মফল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করবো না। (তাছাড়া) প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের (প্রতিদান ও শাস্তির) জন্যে দায়ী।
وَ اَمۡدَدۡنٰہُمۡ بِفَاکِہَۃٍ وَّ لَحۡمٍ مِّمَّا یَشۡتَہُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং আমি তাদের সাহায্য করি ফলমূল ও মাংস দ্বারা, যা তারা আকাঙ্ক্ষা করে।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর আমরা তাদেরকে দিতে থাকবো ফলমূল এবং গোশত, যা তারা চাইবে।
یَتَنَازَعُوۡنَ فِیۡہَا کَاۡسًا لَّا لَغۡوٌ فِیۡہَا وَ لَا تَاۡثِیۡمٌ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. কে অপরের নিকট থেকে নেয় ওই পানপাত্র, যার মধ্যে না আছে অনর্থক কথাবার্তা, না পাপ।
ইরফানুল কুরআন
২৩. সেথায় তারা পরস্পরে টানাটানি করে আদান-প্রদান করবে (পবিত্র শরাবের) পানপাত্র। এতে (জান্নাতের শরাব পানে) না থাকবে কোনো অসার কথাবার্তা, আর না থাকবে কোনো পাপকর্ম।
وَ یَطُوۡفُ عَلَیۡہِمۡ غِلۡمَانٌ لَّہُمۡ کَاَنَّہُمۡ لُؤۡلُؤٌ مَّکۡنُوۡنٌ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. এবং তাদের সেবক বালকগণ তাদের চতুর্দিকে ঘুরবে, যেন তারা মুক্তা, গোপনে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আর তাদের সেবায় চক্রাকারে নিয়োজিত থাকবে কিশোরেরা, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ।
وَ اَقۡبَلَ بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ یَّتَسَآءَلُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং তাদের মধ্যে একে অপরের দিকে মুখ করেছে জিজ্ঞাসাকারী অবস্থায়।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর তারা একে অপরের অভিমুখী হয়ে পরস্পরের কুশলাদি জিজ্ঞেস করবে।
قَالُوۡۤا اِنَّا کُنَّا قَبۡلُ فِیۡۤ اَہۡلِنَا مُشۡفِقِیۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. তারা বললো, ‘নিশ্চয় আমরা ইতোপূর্বে আমাদের গৃহগুলোর মধ্যে ভীত অবস্থায় ছিলাম।
ইরফানুল কুরআন
২৬. তারা বলবে, ‘নিশ্চয়ই পূর্বে আমরা আমাদের গৃহে (আল্লাহ্র শাস্তির) ভয়ে ভীত ছিলাম।
فَمَنَّ اللّٰہُ عَلَیۡنَا وَ وَقٰىنَا عَذَابَ السَّمُوۡمِ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর আল্লাহ্ আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে ‘লু’-এর শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।
ইরফানুল কুরআন
২৭. অতঃপর আল্লাহ্ আমাদের প্রতি ইহসান করেছেন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়েছেন।
اِنَّا کُنَّا مِنۡ قَبۡلُ نَدۡعُوۡہُ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡبَرُّ الرَّحِیۡمُ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রথম জীবনে তাঁরই ইবাদত করেছিলাম। নিশ্চয় তিনিই অনুগ্রহশীল, দয়ালু’।
ইরফানুল কুরআন
২৮. নিশ্চয়ই আমরা পূর্ব থেকেই তাঁরই ইবাদত করতাম। নিশ্চয়ই তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।’
فَذَکِّرۡ فَمَاۤ اَنۡتَ بِنِعۡمَتِ رَبِّکَ بِکَاہِنٍ وَّ لَا مَجۡنُوۡنٍ ﴿ؕ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. অতঃপর হে মাহবূব! আপনি উপদেশ দিন যে, ‘আপনি আপন রবের অনুগ্রহে না জ্যোতিষী, না উন্মাদ।
ইরফানুল কুরআন
২৯. সুতরাং (হে সম্মানিত হাবীব!) আপনি (তাদেরকে) উপদেশ দিতে থাকুন। আপনার প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও দয়ায় আপনি না গণক (অর্থাৎ না জ্বিনদের মাধ্যমে সংবাদদাতা), আর না উন্মাদ।
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِہٖ رَیۡبَ الۡمَنُوۡنِ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. অথবা তারা কি বলে, ‘ইনি কবি, আমরা তার উপর কালের বিপর্যয়ের অপেক্ষা করছি?’
ইরফানুল কুরআন
৩০. (কাফেরেরা কী) বলে: ‘(সে) কবি, আমরা তাঁর ব্যাপারে আকস্মিক দুর্ঘটনার প্রতীক্ষা করছি?’
قُلۡ تَرَبَّصُوۡا فَاِنِّیۡ مَعَکُمۡ مِّنَ الۡمُتَرَبِّصِیۡنَ ﴿ؕ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. আপনি বলুন, ‘অপেক্ষা করতে থাকো। আমিও তোমাদের অপেক্ষায় আছি’।
ইরফানুল কুরআন
৩১. বলে দিন, ‘তোমরা প্রতীক্ষা করো, আমিও তোমাদের সাথে (তোমাদের ধ্বংসের) প্রতীক্ষা করছি’।
اَمۡ تَاۡمُرُہُمۡ اَحۡلَامُہُمۡ بِہٰذَاۤ اَمۡ ہُمۡ قَوۡمٌ طَاغُوۡنَ ﴿ۚ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. তাদের বিবেকবুদ্ধি কি তাদেরকে এ নির্দেশ দিচ্ছে, না তারা অবাধ্য লোক?
ইরফানুল কুরআন
৩২. তবে কি তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা তাদেরকে এ (বুদ্ধিহীন) বিষয়ে প্ররোচিত করে, নাকি তারা অবাধ্য ও বিদ্রোহী সম্প্রদায়?
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ تَقَوَّلَہٗ ۚ بَلۡ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۚ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. অথবা তারা কি বলে, ‘তিনি এ ক্বোরআন রচনা করে নিয়েছেন? বরং তারা ঈমান রাখে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. নাকি তারা বলে, ‘তিনি (রাসূল) এ (কুরআন) নিজে উদ্ভাবন করেছেন?’ (তা নয়) বরং তারা (সত্যে) বিশ্বাসী নয়।
فَلۡیَاۡتُوۡا بِحَدِیۡثٍ مِّثۡلِہٖۤ اِنۡ کَانُوۡا صٰدِقِیۡنَ ﴿ؕ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. সুতরাং তারা যেন এমন একটা বাণী নিয়ে আসে, যদি তারা সত্যবাদী হয়!
ইরফানুল কুরআন
৩৪. অতঃপর তাদের উচিত, তারা যেন (এ কুরআন)-এর অনুরূপ কোনো রচনা নিয়ে আসে, যদি তারা সত্যবাদী হয়।
اَمۡ خُلِقُوۡا مِنۡ غَیۡرِ شَیۡءٍ اَمۡ ہُمُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿ؕ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. তারা কি কোন মূল থেকে সৃষ্ট নয়, না তারা স্রষ্টা?
ইরফানুল কুরআন
৩৫. তারা কি কোনো কিছু ছাড়াই সৃজিত, নাকি তারা নিজেরাই স্রষ্টা?
اَمۡ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ بَلۡ لَّا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿ؕ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. না কি আস্মান ও যমীনকে তারাই সৃষ্টি করেছে? বরং তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. নাকি তারা নিজেরাই আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? (তা নয়,) বরং তারা (সত্যে) বিশ্বাসই রাখে না।
اَمۡ عِنۡدَہُمۡ خَزَآئِنُ رَبِّکَ اَمۡ ہُمُ الۡمُصَۜیۡطِرُوۡنَ ﴿ؕ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. আপনার রবের ভাণ্ডার কি তাদের নিকট রয়েছে, না তারা নিয়ন্তা?
ইরফানুল কুরআন
৩৭. নাকি তাদের নিকট রয়েছে আপনার প্রতিপালকের ধনভান্ডার অথবা তারাই এর তত্ত্বাবধায়ক?
اَمۡ لَہُمۡ سُلَّمٌ یَّسۡتَمِعُوۡنَ فِیۡہِ ۚ فَلۡیَاۡتِ مُسۡتَمِعُہُمۡ بِسُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ؕ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. না কি তাদের নিকট কোন সিড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা শুনে নেয়? থাকলে তাদের শ্রবণকারী সুস্পষ্ট সনদ নিয়ে আসুক!
ইরফানুল কুরআন
৩৮. নাকি তাদের নিকট কোনো সিঁড়ি আছে, (যাতে আরোহণ করে) তারা কান লাগিয়ে (আকাশের কথাবার্তা) শ্রবণ করে? তাহলে তাদের সেই শ্রবণকারী সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসুক।
اَمۡ لَہُ الۡبَنٰتُ وَ لَکُمُ الۡبَنُوۡنَ ﴿ؕ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. তবে কি কন্যাগণ তাঁরই, আর পুত্রগণ তোমাদের?
ইরফানুল কুরআন
৩৯. তবে কি কন্যা সন্তান তাঁর (আল্লাহ্র) জন্যে, আর তোমাদের জন্যে পুত্র সন্তান?
اَمۡ تَسۡـَٔلُہُمۡ اَجۡرًا فَہُمۡ مِّنۡ مَّغۡرَمٍ مُّثۡقَلُوۡنَ ﴿ؕ۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. তবে কি আপনি তাদের নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছেন? ফলে তারা করের বোঝায় চাপা পড়ে আছে!
ইরফানুল কুরআন
৪০. নাকি আপনি তাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চান যে, তারা ঋণের বোঝায় নুয়ে পড়েছে?
اَمۡ عِنۡدَہُمُ الۡغَیۡبُ فَہُمۡ یَکۡتُبُوۡنَ ﴿ؕ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. না কি তাদের নিকট অদৃশ্য জ্ঞান আছে, যা তারা বিধি লিপিবদ্ধ করে?
ইরফানুল কুরআন
৪১. নাকি তাদের কাছে অদৃশ্য কিছু (জ্ঞান) রয়েছে যে, তারা লিখে রাখে?
اَمۡ یُرِیۡدُوۡنَ کَیۡدًا ؕ فَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ہُمُ الۡمَکِیۡدُوۡنَ ﴿ؕ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. অথবা তারা কি কোন চক্রান্তের ইচ্ছা করছে? অতঃপর কাফিরদেরই উপর চক্রান্ত আপতিত হয়।
ইরফানুল কুরআন
৪২. অথবা তারা কি (আপনার বিরুদ্ধে) কোনো ষড়যন্ত্র করতে চায়? যারা কুফরী করেছে তারা নিজেরাই নিজেদের ষড়যন্ত্রের শিকার হবে।
اَمۡ لَہُمۡ اِلٰہٌ غَیۡرُ اللّٰہِ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. না কি আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের অন্য কোন খোদা আছে? আল্লাহ্রই পবিত্রতা তাদের শির্ক থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. নাকি আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের অন্য কোনো উপাস্য আছে? আল্লাহ্ সেসব কিছু থেকে পূতঃপবিত্র যাকে তারা (আল্লাহ্র) অংশীদার সাব্যস্ত করে।
وَ اِنۡ یَّرَوۡا کِسۡفًا مِّنَ السَّمَآءِ سَاقِطًا یَّقُوۡلُوۡا سَحَابٌ مَّرۡکُوۡمٌ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং যদি আস্মান থেকে কোন টুকরা পতিত হতে দেখে তবে বলবে, ‘তা তো পুঞ্জিভূত মেঘ!’
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আর তারা আকাশ থেকে কোনো টুকরা (তাদের উপর) পড়তে দেখলেও বলবে, ‘এ তো পুঞ্জীভূত মেঘ’।
فَذَرۡہُمۡ حَتّٰی یُلٰقُوۡا یَوۡمَہُمُ الَّذِیۡ فِیۡہِ یُصۡعَقُوۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. সুতরাং আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন যে পর্যন্ত না তারা তাদের ওই দিনের সাক্ষাৎ পায়, যেদিন তারা বেহুশ হয়ে পড়বে।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. সুতরাং তাদেরকে (স্বীয় অবস্থার উপর) ছেড়ে দিন যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তাদের সে দিনের দেখা পায় যেদিন তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে,
یَوۡمَ لَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُمۡ کَیۡدُہُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿ؕ۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. যেদিন তাদের চক্রান্ত কোন কাজে আসবে না, না তাদের সাহায্য করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. যে দিন তাদের ষড়যন্ত্র তাদের কোনো কাজে আসবে না এবং তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
وَ اِنَّ لِلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا عَذَابًا دُوۡنَ ذٰلِکَ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং নিশ্চয় যালিমদের জন্য এর পূর্বে একটা শাস্তি আছে, কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশের নিকট খবর নেই।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর নিশ্চয়ই যারা অত্যাচার করে তাদের জন্যে এ শাস্তি ছাড়াও আরো শাস্তি রয়েছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
وَ اصۡبِرۡ لِحُکۡمِ رَبِّکَ فَاِنَّکَ بِاَعۡیُنِنَا وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ حِیۡنَ تَقُوۡمُ ﴿ۙ۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং হে মাহবূব! আপনি আপন রবের আদেশের উপর স্থির থাকুন। কারণ, নিশ্চয় আপনি আমার রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছেন। এবং আপন রবের প্রশংসাকারী হয়ে তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন! যখন আপনি দণ্ডায়মায় হোন।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর (হে সম্মানিত হাবীব! তাদের কথায় চিন্তিত হবেন না।) আপনি আপনার প্রতিপালকের আদেশের অপেক্ষায় ধৈর্য ধারণ করতে থাকুন। নিশ্চয় আপনি (সর্বদা) আমাদের চোখের সামনেই (রয়েছেন)।
* আর আপনি আপনার প্রতিপালকের সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করুন, যখনই আপনি দন্ডায়মান হোন।
* আর যদি এ অত্যাচারীরা তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়, তবে কী হবে, আমরা তো আপনার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়েই নেই না। আর আমরা সবসময় আপনাকেই দেখি।
وَ مِنَ الَّیۡلِ فَسَبِّحۡہُ وَ اِدۡبَارَ النُّجُوۡمِ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং রাতের কিছু অংশে তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং তারকা গুলোর পৃষ্ঠ প্রদর্শনের সময়।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর রাতেও তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং (শেষ রজনীতেও) যখন তারকারাজি বিবর্ণ হয়ে যায়।