Back
আয্ যুখরুফ
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
حٰمٓ ۚ﴿ۛ۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হা-মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. হা-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই সম্যক অবগত।)
Play Share Copy
وَ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
কানযুল ঈমান
২. সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ।
ইরফানুল কুরআন
২. শপথ আলোকোজ্জ্বল কিতাবের।
Play Share Copy
اِنَّا جَعَلۡنٰہُ قُرۡءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ۚ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. আমি সেটাকে আরবী ক্বোরআন অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো,
ইরফানুল কুরআন
৩. নিশ্চয়ই আমরা এ কুরআন (নাযিল) করেছি আরবী (ভাষায়) যাতে তোমরা বুঝতে পারো।
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ فِیۡۤ اُمِّ الۡکِتٰبِ لَدَیۡنَا لَعَلِیٌّ حَکِیۡمٌ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং নিশ্চয় নিশ্চয় তা মূল কিতাবের মধ্যে আমার নিকট উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৪. নিশ্চয়ই এটি সংরক্ষিত রয়েছে আমাদের নিকট, সমস্ত কিতাবের মূল (লাওহে মাহফুয বা সংরক্ষিত ফলক)-এ; অবশ্যই (এটি সকল কিতাবের উপর) উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, জ্ঞানগর্ভ।
Play Share Copy
اَفَنَضۡرِبُ عَنۡکُمُ الذِّکۡرَ صَفۡحًا اَنۡ کُنۡتُمۡ قَوۡمًا مُّسۡرِفِیۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তবে কি আমি তোমাদের দিক থেকে উপদেশের পার্শ্ব পাল্টে দেবো (প্রত্যাহার করে নেবো) এজন্য যে, তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী?
ইরফানুল কুরআন
৫. আমরা কি এ উপদেশবাণী তোমাদের নিকট থেকে প্রত্যাহার করে নেবো, কারণ তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়?
Play Share Copy
وَ کَمۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ نَّبِیٍّ فِی الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং আমি কতোই অদৃশ্য বক্তা (নবী) পূর্ববর্তীদের মধ্যে গ্রহণ করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর পূর্ববর্তীদের নিকট আমি কতোই না নবী প্রেরণ করেছিলাম!
Play Share Copy
وَ مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ نَّبِیٍّ اِلَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং তাদের নিকট যে, অদৃশ্যবক্তা (নবী)ই এসেছেন, তারা তাকে নিয়ে বিদ্রূপই করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর এমন কোনো নবীই তাদের নিকট আগমন করেননি যাঁকে তারা উপহাস করেনি।
Play Share Copy
فَاَہۡلَکۡنَاۤ اَشَدَّ مِنۡہُمۡ بَطۡشًا وَّ مَضٰی مَثَلُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. তখন আমি এমন সবকে ধ্বংস করেছি, যারা তাদের থেকেও পাকড়াও ক্ষমতার মধ্যে অধিকতর শক্ত ছিলো এবং পূর্ববর্তীদের অবস্থা গত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর আমরা তাদেরকে ধ্বংস করেছিলাম যারা ছিল এদের (এ মক্কার কাফেরদের) চেয়েও অধিকতর শক্তিশালী। আর পূর্ববর্তী লোকদের অবস্থা (ইতোপূর্বে অনেক জায়গায়) উদ্ধৃত করা হয়েছে।
Play Share Copy
وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ خَلَقَہُنَّ الۡعَزِیۡزُ الۡعَلِیۡمُ ﴿ۙ۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন ‘আস্‌মান ও যমীণ কে সৃষ্টি করেছেন?’ তবে তারা অবশ্যই বলবে যে, সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন ওই সম্মানিত, জ্ঞানময় সত্তা।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (প্রতিপালক)’।
১০
Play Share Copy
الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ مَہۡدًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ فِیۡہَا سُبُلًا لَّعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿ۚ۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তিনিই, যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা করেছেন এবং তোমাদের জন্য তাতে রাস্তা করেছেন যেন তোমরা পথের দিশা পাও।
ইরফানুল কুরআন
১০. যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং এতে করেছেন তোমাদের চলার পথ, যাতে তোমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারো।
১১
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡ نَزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ ۚ فَاَنۡشَرۡنَا بِہٖ بَلۡدَۃً مَّیۡتًا ۚ کَذٰلِکَ تُخۡرَجُوۡنَ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এবং তিনিই, যিনি আস্‌মান থেকে বারি বর্ষণ করেছেন এক পরিমিত পরিমাণে, অতঃপর আমি তা দ্বারা এক মৃত শহরককে জীবিত করে দিয়েছি। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন (প্রয়োজন অনুযায়ী) পরিমিতভাবে। অতঃপর এর দ্বারা আমরা সঞ্জীবিত করেছি নির্জীব শহরকে। এভাবেই তোমাদেরকে (মৃত্যুর পর পৃথিবী থেকে) বের করা হবে।
১২
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَزۡوَاجَ کُلَّہَا وَ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡفُلۡکِ وَ الۡاَنۡعَامِ مَا تَرۡکَبُوۡنَ ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং যিনি সব যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য নৌযানগুলো ও চতুষ্পদ জন্তুগুলো থেকে যানবাহনসমূহ সৃষ্টি করেছেন;
ইরফানুল কুরআন
১২. আর যিনি সব রকমের প্রাণসত্তা সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন নৌযান ও সামুদ্রিক জাহাজ এবং চতুষ্পদজন্তু যাতে তোমরা (সমুদ্র ও স্থলপথে) আরোহণ করতে পারো,
১৩
Play Share Copy
لِتَسۡتَوٗا عَلٰی ظُہُوۡرِہٖ ثُمَّ تَذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ رَبِّکُمۡ اِذَا اسۡتَوَیۡتُمۡ عَلَیۡہِ وَ تَقُوۡلُوۡا سُبۡحٰنَ الَّذِیۡ سَخَّرَ لَنَا ہٰذَا وَ مَا کُنَّا لَہٗ مُقۡرِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. যাতে তোমরা সেগুলোর পিঠের উপর স্থিরভাবে বসতে পারো অতঃপর আপন রবের নি’মাতকে স্মরণ করো যখন সেটার উপর স্থিরভাবে বসে যাও, এবং এভাবে বলো, ‘পবিত্রতা তাঁরই যিনি এ যানকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; অথচ সেটা আমাদের বশীভূত হবার ছিলো না;
ইরফানুল কুরআন
১৩. যাতে তোমরা এদের পৃষ্ঠে (অথবা আসনের উপর) স্থির হয়ে বসতে পারো; অতঃপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিয়ামত স্মরণ করো। যখন তোমরা এতে (এসব বাহনের আসনের উপর) স্থির হয়ে বসো তখন বলো, ‘পূতঃপবিত্র সে সত্তা যিনি এসবকে আমাদের অনুগত করেছেন, অথচ আমরা এগুলোকে আমাদের বশে আনতে পারতাম না।
১৪
Play Share Copy
وَ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا لَمُنۡقَلِبُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং নিশ্চয় আমাদেরকে আপন রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’
১৫
Play Share Copy
وَ جَعَلُوۡا لَہٗ مِنۡ عِبَادِہٖ جُزۡءًا ؕ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَکَفُوۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ؕ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং তারা তার জন্য তার বান্দাদের মধ্য থেকে অংশ স্থির করেছে। নিশ্চয় মানুষ সুস্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর এরা (এসব মুশরিকেরা) তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে (কতিপয়কে তাঁর সন্তান স্থির করে) তাঁর অংশ সাব্যস্ত করেছে। অবশ্যই মানুষ সুষ্পষ্টরূপে বড়ই অকৃতজ্ঞ।
১৬
Play Share Copy
اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا یَخۡلُقُ بَنٰتٍ وَّ اَصۡفٰکُمۡ بِالۡبَنِیۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তিনি কি নিজের জন্য আপন সৃষ্টির মধ্য থেকে কনা সন্তানদেরকেই গ্রহণ করেছেন? আর তোমাদেরকে পুত্র সন্তানদের সাথে খাস করেছেন?
ইরফানুল কুরআন
১৬. (হে কাফেরেরা! তোমাদের চিন্তার সক্ষমতা অনুযায়ী জবাব দাও) ‘তিনি কি নিজের সৃষ্টিজগত থেকে (নিজের জন্যে) কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদেরকে বিশিষ্ট করেছেন পুত্র-সন্তান দ্বারা?’
১৭
Play Share Copy
وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُہُمۡ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحۡمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجۡہُہٗ مُسۡوَدًّا وَّ ہُوَ کَظِیۡمٌ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং যখন তাদের মধ্যে কাউকেও সুসংবাদ দেওয়া হয় ওই বস্তুর, যেটাকে সে রাহমানের গুণ বলেছে, তখন সারাদিন তার মুখ কালো থাকে এবং দুঃখ করে।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অথচ যখন তাদের কাউকে (তার গৃহে কন্যা সন্তান প্রসবের) সংবাদ দেয়া হয়, যাকে তারা দয়াময় (আল্লাহ্)-এঁর সদৃশ মনে করে, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং সে দুঃসহ মর্মযাতনায় ও ক্রোধে ক্লিষ্ট হয়।
১৮
Play Share Copy
اَوَ مَنۡ یُّنَشَّؤُا فِی الۡحِلۡیَۃِ وَ ہُوَ فِی الۡخِصَامِ غَیۡرُ مُبِیۡنٍ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং (তারা কি আল্লাহ্‌র প্রতি এমন সন্তান আরোপ করে), যে অলঙ্কারে লালিত হয় এবং তর্ক-বিতর্ককালে সুস্পষ্ট কথা বলতে পারে না?
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর (আল্লাহ নিজের বিষয়াদিতে অংশীদার ও সহযোগিতার জন্যে এমন সন্তান গ্রহণ করবেন,) যে নাকি অলঙ্কারাদি দ্বারা সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে লালিত-পালিত হয় এবং (কোমল বৈশিষ্ট্য ও লাজুকতার কারণে) তর্ক-বিতর্কে সুষ্পষ্ট (মতামত প্রকাশকারীও) নয়?
১৯
Play Share Copy
وَ جَعَلُوا الۡمَلٰٓئِکَۃَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عِبٰدُ الرَّحۡمٰنِ اِنَاثًا ؕ اَشَہِدُوۡا خَلۡقَہُمۡ ؕ سَتُکۡتَبُ شَہَادَتُہُمۡ وَ یُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং তারা ফিরিশ্‌তাদেরকে, যারা রাহমানেরই বান্দা, ‘নারী জাতি’ সাব্যস্ত করেছে। এরা কি তাদেরকে সৃষ্টি করার সময় উপস্থিত ছিলো? এখন লিপিবদ্ধ করা হবে তাদের সাক্ষ্য এবং তাদের নিকট থেকে জবাব তলব করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর তারা অনুগ্রহশীল (আল্লাহ্)-এঁর বান্দা ফেরেশতাদেরকে নারী গণ্য করেছে। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছিল? (না, সুতরাং) এখন তাদের সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা হবে এবং (কিয়ামতের দিন) তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।
২০
Play Share Copy
وَ قَالُوۡا لَوۡ شَآءَ الرَّحۡمٰنُ مَا عَبَدۡنٰہُمۡ ؕ مَا لَہُمۡ بِذٰلِکَ مِنۡ عِلۡمٍ ٭ اِنۡ ہُمۡ اِلَّا یَخۡرُصُوۡنَ ﴿ؕ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং তারা বলবে, ‘যদি পরম দয়ালু ইচ্ছা করতেন, তবে আমরা সেগুলোর পূজা করতাম না’। তাদের সেটার প্রকৃত রহস্য সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। এভাবেই তারা মনগড়া কথাবার্তা বলে বেড়ায়।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর তারা বলে, ‘যদি পরম দয়াময় চাইতেন, তবে আমরা এদের (এসব মূর্তির) উপাসনা করতাম না’। তাদের এ বিষয়েও কোনো জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের ভিত্তিতে মিথ্যা কথা বলছে।
২১
Play Share Copy
اَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ کِتٰبًا مِّنۡ قَبۡلِہٖ فَہُمۡ بِہٖ مُسۡتَمۡسِکُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. অথবা এর পূর্বে কি আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি, যাকে তারা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছে?
ইরফানুল কুরআন
২১. আমরা কি তাদেরকে এর পূর্বে কোনো কিতাব দিয়েছি যা তারা প্রমাণ হিসেবে আঁকড়ে ধরে আছে?
২২
Play Share Copy
بَلۡ قَالُوۡۤا اِنَّا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِہِمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. বরং তারা বললো, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে একটা ধর্মের উপর পেয়েছি এবং আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছি’।
ইরফানুল কুরআন
২২. (না,) বরং তারা বলে, ‘আমরা তো আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি এক মিল্লাতের (ও মতাদর্শের) অনুসারী এবং আমরা তো তাদেরই পদাঙ্কে (পথ চলে) হেদায়াত প্রাপ্ত।’
২৩
Play Share Copy
وَ کَذٰلِکَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ فِیۡ قَرۡیَۃٍ مِّنۡ نَّذِیۡرٍ اِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوۡہَاۤ ۙ اِنَّا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِہِمۡ مُّقۡتَدُوۡنَ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং এভাবেই আমি তোমাদের পূর্বে যখন কোন শহরে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখন সেখানকার অবস্থাসম্পন্ন লোকেরা এ কথাই বলেছে ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে একটা দ্বীনের উপর পেয়েছি এবং আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছি’।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর এভাবে আমরা আপনার পূর্বে কোনো জনপদে এমন কোনো সতর্ককারী পাঠাইনি যাঁকে সেখানকার নেতৃস্থানীয় ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিরা বলেনি, ‘আমরা তো আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি এক মিল্লাতের (ও মতাদর্শের) অনুসারী এবং আমরা তো তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণকারী’।
২৪
Play Share Copy
قٰلَ اَوَ لَوۡ جِئۡتُکُمۡ بِاَہۡدٰی مِمَّا وَجَدۡتُّمۡ عَلَیۡہِ اٰبَآءَکُمۡ ؕ قَالُوۡۤا اِنَّا بِمَاۤ اُرۡسِلۡتُمۡ بِہٖ کٰفِرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. নবী বলেছেন, ‘এবং তবুও কি, যখন আমি তোমাদের নিকট সেটাই নিয়ে আসবো, যা বেশি সরল পথ হয় সেটার চেয়েও, যার উপর তোমাদের বাপ দাদা ছিলো? তারা বললো, ‘যা কিছু সহকারে তোমরা প্রেরিত হয়েছো আমরা তা মানি না’।
ইরফানুল কুরআন
২৪. (রাসূূল) বলতেন, ‘আমি যদি তোমাদেরকে (এ (মতাদর্শ)-এর চেয়েও উৎকৃষ্ট হেদায়াতের (দ্বীন ও) মতাদর্শ এনে দেই যার উপর তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছিলে?’ তখন তারা বলতো, ‘তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েই প্রেরণ করা হয়েছে আমরা এর অস্বীকারকারী’।
২৫
Play Share Copy
فَانۡتَقَمۡنَا مِنۡہُمۡ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُکَذِّبِیۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. অতঃপর আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি, সুতরাং দেখুন অস্বীকারকারীদের কেমন পরিণাম হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৫. সুতরাং আমরা তাদের থেকে প্রতিশোধ নিয়েছিলাম, অতঃপর আপনি দেখুন, মিথ্যাবাদীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল!
২৬
Play Share Copy
وَ اِذۡ قَالَ اِبۡرٰہِیۡمُ لِاَبِیۡہِ وَ قَوۡمِہٖۤ اِنَّنِیۡ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং যখন ইব্রাহীম নিজ পিতা ও নিজ সম্প্রদায়কে বললেন, ‘আমি তোমাদের উপাস্যগুলোর প্রতি অসন্তুষ্ট;
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম তাঁর প্রকৃত চাচা কিন্তু লালন-পালনের কারণে) তাঁর পিতা এবং নিজ সম্প্রদায়কে বললেন, ‘নিশ্চয়ই সেসবের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই তোমরা যাদের পূজা করো,
২৭
Play Share Copy
اِلَّا الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ فَاِنَّہٗ سَیَہۡدِیۡنِ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. তিনি ব্যতীত যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং অবশ্য তিনি শিগ্‌গিরই আমাকে পথ প্রদান করবেন।
ইরফানুল কুরআন
২৭. তবে সে সত্তা ব্যতীত, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং তিনি আমাকে অচিরেই পথ দেখাবেন।’
২৮
Play Share Copy
وَ جَعَلَہَا کَلِمَۃًۢ بَاقِیَۃً فِیۡ عَقِبِہٖ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং সেটাকে আপন বংশধরদের মধ্যে শাশ্বত বাণীরূপে রেখে গেছেন যাতে তারা ফিরে আসতে পারে;
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম তাওহীদের এ মতাদর্শকে) তাঁর বংশধর ও সন্তান-সন্ততির মাঝে স্থায়ী বাণীরূপে রেখে গেছেন, যাতে তারা (আল্লাহ্‌র দিকে) প্রত্যাবর্তন করে।
২৯
Play Share Copy
بَلۡ مَتَّعۡتُ ہٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَہُمۡ حَتّٰی جَآءَہُمُ الۡحَقُّ وَ رَسُوۡلٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে পৃথিবীতে ভোগ করার সুযোগ দিয়েছি এ পর্যন্ত যে, তাদের নিকট সত্য ও সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল তাশরীফ আনয়ন করেন।
ইরফানুল কুরআন
২৯. বরং আমিই তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে (ইবরাহীম আলাইহিস সালামের কারণে এবং তাঁর মাধ্যমে এ পৃথিবীতে) ভোগের সুযোগ দিয়েছি; যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের নিকট সত্য (অর্থাৎ কুরআন) এবং পরিস্কার ও সুস্পষ্টরূপে বর্ণনাকারী রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) আগমন করেছেন।
৩০
Play Share Copy
وَ لَمَّا جَآءَہُمُ الۡحَقُّ قَالُوۡا ہٰذَا سِحۡرٌ وَّ اِنَّا بِہٖ کٰفِرُوۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং যখন তাদের নিকট সত্য আগমন করলো, তখন তারা বললো, ‘এটা যাদু এবং আমরা সেটার অস্বীকারকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর যখন তাদের নিকট সত্য সমাগত তখন বলতে লাগলো, ‘এ তো যাদু, আর আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি’।
৩১
Play Share Copy
وَ قَالُوۡا لَوۡ لَا نُزِّلَ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنُ عَلٰی رَجُلٍ مِّنَ الۡقَرۡیَتَیۡنِ عَظِیۡمٍ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং তারা বললো, ‘কেন অবতীর্ণ করা হয় নি এ ক্বোরআনকে ওই দু’শহরের কোন বড় লোকের উপর?’
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর তারা বলে, ‘এ কুরআন (মক্কা ও তায়েফের) দুই জনপদের কোনো মহান ব্যক্তির প্রতি (অর্থাৎ কোনো নেতা, সরদার বা সমৃদ্ধশালী কারো প্রতি) কেন অবতীর্ণ হলো না?’
৩২
Play Share Copy
اَہُمۡ یَقۡسِمُوۡنَ رَحۡمَتَ رَبِّکَ ؕ نَحۡنُ قَسَمۡنَا بَیۡنَہُمۡ مَّعِیۡشَتَہُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ رَفَعۡنَا بَعۡضَہُمۡ فَوۡقَ بَعۡضٍ دَرَجٰتٍ لِّیَتَّخِذَ بَعۡضُہُمۡ بَعۡضًا سُخۡرِیًّا ؕ وَ رَحۡمَتُ رَبِّکَ خَیۡرٌ مِّمَّا یَجۡمَعُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. আপনার রবের অনুগ্রহ কি তারা বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবন সামগ্রী পার্থিব জীবনে বণ্টন করেছি এবং তাদের মধ্যে এককে অপরের উপর বহু উচ্চ মর্যাদায় মর্যাদাবান করেছি, যাতে একে অপরকে হাসি ঠাট্টার পাত্র করে নেয় এবং আপনার রবের অনুগ্রহ তাদের সঞ্চিত অর্থ ও জনবল থেকে উত্তম।
ইরফানুল কুরআন
৩২. তারা কি আপনার প্রতিপালকের (নবুয়্যতের) রহমত বন্টন করে? আমরাই তাদের মাঝে পার্থিব জীবনে তাদের জীবিকা (সামগ্রী) বন্টন করি এবং আমরাই তাদের মধ্যে একজনকে অপরজনের উপর (উপকরণ ও সম্পদে) মর্যাদায় উন্নীত করি; (তা কি এ জন্যে করি,) যাতে তাদের কতিপয় (ধনাঢ্য) অপর (গরীব) কাউকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে? (দরিদ্রদের এ উপহাসের কারণে তোমরা কাউকেই নবুয়্যতের রহমতের উপযুক্ত মনে করো না।) আর তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সেসব (সম্পদ) থেকে উৎকৃষ্ট যা তারা জমা করে (এবং যা নিয়ে তারা অহঙ্কার করে।)
৩৩
Play Share Copy
وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ النَّاسُ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً لَّجَعَلۡنَا لِمَنۡ یَّکۡفُرُ بِالرَّحۡمٰنِ لِبُیُوۡتِہِمۡ سُقُفًا مِّنۡ فِضَّۃٍ وَّ مَعَارِجَ عَلَیۡہَا یَظۡہَرُوۡنَ ﴿ۙ۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং যদি এটা না হতো যে, সমস্ত লোক এ দ্বীন (অর্থাৎ কুফর এর) উপর হয়ে যাবে, তবে আমি অবশ্যই রহমানের অস্বীকারকারীদের জন্য রূপার ছাদ ও সিড়িসমূহ সৃষ্টি করতাম, যেগুলোর উপর তারা চড়তো;
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর সমস্ত মানুষ (কুফরীর বিষয়ে একমত হয়ে) একই জাতি হয়ে যাবে, এ আশংকা না থাকলে দয়াময় আল্লাহ্কে অস্বীকারকারী সকলের গৃহের জন্যে দিতাম রৌপ্য-নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যেগুলোতে তারা আরোহণ করতো,
৩৪
Play Share Copy
وَ لِبُیُوۡتِہِمۡ اَبۡوَابًا وَّ سُرُرًا عَلَیۡہَا یَتَّکِـُٔوۡنَ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং তাদের ঘরগুলোর জন্য (দিতাম) রূপার দরজাসমূহ এবং রূপার আসন, যেগুলোর সাথে তারা হেলান দিতো।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর (এভাবে) তাদের গৃহের জন্যে (দিতাম রৌপ্যের) দরোজা ও পালঙ্ক , যাতে তারা হেলান দিতো,
৩৫
Play Share Copy
وَ زُخۡرُفًا ؕ وَ اِنۡ کُلُّ ذٰلِکَ لَمَّا مَتَاعُ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ الۡاٰخِرَۃُ عِنۡدَ رَبِّکَ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. এবং বিভিন্ন ধরনের সাজ-সজ্জাও। আর এই যা কিছু রয়েছে সবই পার্থিব জীবনেরই আসবাবপত্র। এবং আখিরাত তোমাদের রবের নিকট পরহেয্‌গারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আর (রৌপ্যের উপর) স্বর্ণ ও মণিমুক্তার সাজসজ্জাও (করে দিতাম) এবং এসব কিছুই পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী ও তুচ্ছ ভোগ-সম্ভার। আর পরকাল (যার সৌন্দর্য ও ভূষণ) রয়েছে আপনার প্রতিপালকের নিকট, কেবল পরহেযগারদের জন্যে।
৩৬
Play Share Copy
وَ مَنۡ یَّعۡشُ عَنۡ ذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ نُقَیِّضۡ لَہٗ شَیۡطٰنًا فَہُوَ لَہٗ قَرِیۡنٌ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং যা রহমানের স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, আমি তার জন্য একটা শয়তান নিয়োগ করি, যাতে সে তার সাথী হয়ে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহ্‌র স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, আমরা তাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত করি এক শয়তান, যে হয় তার সহচর।
৩৭
Play Share Copy
وَ اِنَّہُمۡ لَیَصُدُّوۡنَہُمۡ عَنِ السَّبِیۡلِ وَ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং নিশ্চয় ওই শয়তানগণ তাদেরকে সৎপথে বাধা দেয় এবং এ-ই মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর এরাই (এ শয়তানগুলো) তাদেরকে (হেদায়াতের) পথ থেকে বিরত রাখে, অথচ তারা মনে করে তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত।
৩৮
Play Share Copy
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَنَا قَالَ یٰلَیۡتَ بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَکَ بُعۡدَ الۡمَشۡرِقَیۡنِ فَبِئۡسَ الۡقَرِیۡنُ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. শেষ পর্যন্ত যখন কাফির আমার নিকট আসবে, তখন তার শয়তানকে বলবে, ‘হায়! কোন মতে তোমার ও আমার মধ্যে পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধান থাকতো। সুতরাং কতোই মন্দ সাথী!
ইরফানুল কুরআন
৩৮. অবশেষে যখন সে আমাদের নিকট উপস্থিত হবে তখন (নিজের সঙ্গী শয়তানকে) বলবে, ‘হায়! যদি তোমার ও আমার মাঝে পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকতো। সুতরাং (তুমি ছিলে) কতোই না নিকৃষ্ট সঙ্গী!
৩৯
Play Share Copy
وَ لَنۡ یَّنۡفَعَکُمُ الۡیَوۡمَ اِذۡ ظَّلَمۡتُمۡ اَنَّکُمۡ فِی الۡعَذَابِ مُشۡتَرِکُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং আজ অবশ্য তোমাদের এটা দ্বারা কোন উপকার হবে না, যেহেতু তোমরা যুল্‌ম করেছো তোমরা সবাই শাস্তির মধ্যে অংশীদার।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর আজকের দিনে তোমাদের (এ আকাঙ্ক্ষা) কোনো কাজেই আসবে না, যেহেতু তোমরা (জীবনভর) অন্যায় করেছিলে। (আজ) তোমরা সকলেই শাস্তিতে অংশীদার।
৪০
Play Share Copy
اَفَاَنۡتَ تُسۡمِعُ الصُّمَّ اَوۡ تَہۡدِی الۡعُمۡیَ وَ مَنۡ کَانَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. তবে কি আপনি বধিরদেরকে শুনাবেন, অথবা অন্ধগণকে পথ দেখাবেন এবং ওই সব লোককেও, যারা সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টটার মধ্যে রয়েছে?
ইরফানুল কুরআন
৪০. অতঃপর আপনি কি শুনাতে পারবেন বধিরকে, নাকি হেদায়াতের পথ দেখাতে পারবেন অন্ধ এবং সেসব লোককে যারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে?
৪১
Play Share Copy
فَاِمَّا نَذۡہَبَنَّ بِکَ فَاِنَّا مِنۡہُمۡ مُّنۡتَقِمُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. সুতরাং যদি আমি আপনাকে নিয়ে যাই, তবে তাদের থেকে অবশ্য বদলা নেবো।
ইরফানুল কুরআন
৪১. অতঃপর যদি আমরা আপনাকে (পৃথিবী থেকে) নিয়ে যাই, তবুও আমরা তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো,
৪২
Play Share Copy
اَوۡ نُرِیَنَّکَ الَّذِیۡ وَعَدۡنٰہُمۡ فَاِنَّا عَلَیۡہِمۡ مُّقۡتَدِرُوۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. অথবা আপনাকে দেখাবো যার প্রতিশ্রুতি আমি তাদেরকে দিয়েছি। সুতরাং আমি তাদের উপর বড় শক্তিশালী।
ইরফানুল কুরআন
৪২. অথবা আপনাকে প্রত্যক্ষ করাই (সে শাস্তি) যার অঙ্গীকার আমরা তাদেরকে করেছিলাম, সুতরাং অবশ্যই আমরা তাদের উপর পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।
৪৩
Play Share Copy
فَاسۡتَمۡسِکۡ بِالَّذِیۡۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. সুতরাং দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকুন সেটাকেই, যা আপনার প্রতি ওহী করা হয়েছে। নিশ্চয় আপনি সরল পথে রয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. অতঃপর, আপনি সুদৃঢ়ভাবে আকড়ে থাকুন (এ কুরআন) যা আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আপনি (অধিষ্ঠিত) রয়েছেন সরল পথেই।
৪৪
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَذِکۡرٌ لَّکَ وَ لِقَوۡمِکَ ۚ وَ سَوۡفَ تُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং নিশ্চয় তা হচ্ছে সম্মান আপনার জন্য এবং আপনার সম্প্রদায়ের জন্য। আর অবিলম্বে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আর অবশ্যই এ (কুরআন) আপনার জন্যে এবং আপনার উম্মতের জন্যে মহা সম্মানের। আর (হে মানুষ!) তোমাদেরকে অচিরেই জিজ্ঞেস করা হবে (যে, তোমারা কুরআনের সাথে কীরকম সম্পর্ক স্থাপন করেছিলে।)
৪৫
Play Share Copy
وَ سۡـَٔلۡ مَنۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلۡنَا مِنۡ دُوۡنِ الرَّحۡمٰنِ اٰلِـہَۃً یُّعۡبَدُوۡنَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, যাদেরকে আমি আপনার পূর্বে রসূলরূপে প্রেরণ করেছি, আমি কি রহমান ব্যতীত অন্য কোন খোদা স্থির করেছি, যেগুলোর উপাসনা করা যায়?
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর আপনার পূর্বে যে রাসূলগণকে প্রেরণ করেছিলাম তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন, আমরা কি দয়াময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য স্থির করেছিলাম যার উপাসনা করা যায়?
৪৬
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِہٖ فَقَالَ اِنِّیۡ رَسُوۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাদি সহকারে ফির’আউন ও তার পরিষদবর্গের প্রতি প্রেরণ করেছি, তখন তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় আমি তার রসূল, যিনি সমগ্র জাহানের মালিক।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর আমরা তো মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে আমাদের নিদর্শনাবলীসহ ফেরাউন এবং তার পরিষদবর্গের নিকট পাঠিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি সারা জাহানের প্রতিপালকের প্রেরিত রাসূল’।
৪৭
Play Share Copy
فَلَمَّا جَآءَہُمۡ بِاٰیٰتِنَاۤ اِذَا ہُمۡ مِّنۡہَا یَضۡحَکُوۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. অতঃপর যখন সে তাদের নিকট আমার নিদর্শনসমূহ নিয়ে এলো, তখনই তারা সেগুলো নিয়ে বিদ্রূপ করতে লাগলো।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. অতঃপর যখন তিনি আমাদের নিদর্শনাবলী নিয়ে তাদের নিকট আগমন করলেন, তখনই তারা সেসব (নিদর্শনাবলী) নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগলো।
৪৮
Play Share Copy
وَ مَا نُرِیۡہِمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍ اِلَّا ہِیَ اَکۡبَرُ مِنۡ اُخۡتِہَا ۫ وَ اَخَذۡنٰہُمۡ بِالۡعَذَابِ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাই তা পূর্বাপেক্ষা বড় হয়; এবং আমি তাদেরকে মুসীবতে গ্রেফতার করেছি, যাতে তারা ফিরে আসে
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর আমরা তাদেরকে এমন কোনো নিদর্শনাবলী দেখাইনি যা তার পূর্ববর্তী সাদৃশ্যপূর্ণ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিল না। আর (পরিশেষে) আমরা তাদেরকে (অনেকবার) শাস্তিতে গ্রাস করলাম যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে।
৪৯
Play Share Copy
وَ قَالُوۡا یٰۤاَیُّہَ السّٰحِرُ ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ بِمَا عَہِدَ عِنۡدَکَ ۚ اِنَّنَا لَمُہۡتَدُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং তারা বললো, ‘হে যাদুকর! আমাদের জন্য আপন রবের নিকট প্রার্থনা করো ওই অঙ্গীকার রক্ষার জন্য যা তিনি তোমার সাথে করেছেন। নিশ্চয় আমরা সৎপথে আসবো।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর তারা বলতে লাগলো, ‘হে যাদুকর! তুমি আমাদের জন্যে তোমার প্রতিপালকের নিকট অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রার্থনা করো যা তিনি তোমার সাথে করেছেন। (তাহলে) অবশ্যই আমরা সৎপথ অবলম্বন করবো।’
৫০
Play Share Copy
فَلَمَّا کَشَفۡنَا عَنۡہُمُ الۡعَذَابَ اِذَا ہُمۡ یَنۡکُثُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে ওই মুসীবত অপসারণ করে দিয়েছি তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ফেলেছে।
ইরফানুল কুরআন
৫০. অতঃপর যখন (মূসার দোয়ার কারণে) তাদের থেকে আমরা শাস্তি দূর করলাম তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে লাগলো।
৫১
Play Share Copy
وَ نَادٰی فِرۡعَوۡنُ فِیۡ قَوۡمِہٖ قَالَ یٰقَوۡمِ اَلَیۡسَ لِیۡ مُلۡکُ مِصۡرَ وَ ہٰذِہِ الۡاَنۡہٰرُ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِیۡ ۚ اَفَلَا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿ؕ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং ফির’আউন আপন সম্প্রদায়ের মধ্যে আহ্বান করলো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমার জন্য কি মিশরের বাদশাহী নেই এবং এসব নদ-নদীও, যেগুলো আমার নিম্নদেশে প্রবহামান? তবে কি তোমরা দেখতে পাচ্ছো না?
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে (অহঙ্কারবশত) ডাকতে লাগলো, (এবং) বলতে লাগলো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! মিশর রাজ্য কি আমার নিয়ন্ত্রণে নয়? আর এ স্রোতধারাগুলো যা আমার (অট্রালিকাসমূহের) পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত (আমার নয় কি?) সুতরাং তোমরা কি দেখছো না?
৫২
Play Share Copy
اَمۡ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡ ہٰذَا الَّذِیۡ ہُوَ مَہِیۡنٌ ۬ۙ وَّ لَا یَکَادُ یُبِیۡنُ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. অথবা আমি উত্তম তার চেয়ে যে হীন। এবং সে কথা সুস্পষ্টভাবে বলছে বলে মনে হয় না’।
ইরফানুল কুরআন
৫২. (এটা কি বাস্তব নয় যে,) আমি উত্তম এ ব্যক্তি হতে যে তুচ্ছ এবং মূল্যহীন এবং স্পষ্টভাবে কথা বলতেও অক্ষম?
৫৩
Play Share Copy
فَلَوۡ لَاۤ اُلۡقِیَ عَلَیۡہِ اَسۡوِرَۃٌ مِّنۡ ذَہَبٍ اَوۡ جَآءَ مَعَہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ مُقۡتَرِنِیۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. সুতরাং তার উপর কোন স্থাপন করা হলো না স্বর্ণের কঙ্কন? অথবা তার সাথে ফিরিশ্‌তাগণ আসতো, যারা তার সাথে থাকতো!
ইরফানুল কুরআন
৫৩. অতঃপর (যদি তিনি সত্যিকার রাসূল হন তবে পরিধানের জন্যে) তাঁকে কেন স্বর্ণের কাঁকন দেয়া হলো না, অথবা তার সাথে দলবদ্ধভাবে (পর্যায়ক্রমে) ফেরেশতারা কেন আগমন করে না?’
৫৪
Play Share Copy
فَاسۡتَخَفَّ قَوۡمَہٗ فَاَطَاعُوۡہُ ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمًا فٰسِقِیۡنَ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. অতঃপর সে তার সম্প্রদায়কে বোকা বানিয়ে ফেললো, অতঃপর তারা তার কথা মত চললো; নিশ্চয় তারা নির্দেশ অমান্যকারী লোক ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. সুতরাং (এসব বক্তব্য দ্বারা) সে তার সম্প্রদায়কেও বোকা বানিয়ে দিল, ফলে এ লোকেরা তার কথা মেনে নিল। অবশ্য এরা তো ছিল অবাধ্য সম্প্রদায়।
৫৫
Play Share Copy
فَلَمَّاۤ اٰسَفُوۡنَا انۡتَقَمۡنَا مِنۡہُمۡ فَاَغۡرَقۡنٰہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. অতঃপর যখন তারা ওই কাজ করলো, যার কারণে আমার ক্রোধ তাদের উপর এসে পড়লে তখন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম, অতঃপর আমি তাদের সবাইকে নিমজ্জিত করলাম।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. অতঃপর যখন তারা (মূসা আলাইহিস সালামের শানে বেয়াদবি করে) আমাদেরকে ক্রোধান্বিত করে দিলো, (তখন) আমরা তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম এবং তাদের সবাইকে ডুবিয়ে দিলাম।
৫৬
Play Share Copy
فَجَعَلۡنٰہُمۡ سَلَفًا وَّ مَثَلًا لِّلۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. সুতরাং আমি তাদেরকে করে দিলাম অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত পরবর্তীদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. সুতরাং আমরা তাদেরকে করে রাখলাম অতীত ইতিহাস এবং পরবর্তীতে আগমনকারীদের জন্যে উপদেশ গ্রহণের দৃষ্টান্ত।
৫৭
Play Share Copy
وَ لَمَّا ضُرِبَ ابۡنُ مَرۡیَمَ مَثَلًا اِذَا قَوۡمُکَ مِنۡہُ یَصِدُّوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. অতঃপর যখন মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়, তখনই আপনার সম্প্রদায় তাকে নিয়ে বিদ্রূপ করতে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর যখন মারইয়াম তনয় (ঈসা আলাইহিমাস সালাম)-এঁর দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়, তখন আপনার সম্প্রদায় (-এর লোকেরা উপহাস প্রদর্শনে) এ নিয়ে হাসতে থাকে,
৫৮
Play Share Copy
وَ قَالُوۡۤاءَ اٰلِہَتُنَا خَیۡرٌ اَمۡ ہُوَ ؕ مَا ضَرَبُوۡہُ لَکَ اِلَّا جَدَلًا ؕ بَلۡ ہُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُوۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং বলে, ‘আমাদের উপাস্য উত্তম, না তিনি?’ তারা আপনাকে কেবল এ কথা বলেছে অন্যায়ভাবে বিতর্কের উদ্দেশ্যে বরং তারা হচ্ছে ঝগড়াটে লোক।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. এবং বলে, ‘আমাদের উপাস্যগুলো উত্তম নাকি যন্ত্রণাদায়ক দিবসের শাস্তির দুর্ভোগ।
৫৯
Play Share Copy
اِنۡ ہُوَ اِلَّا عَبۡدٌ اَنۡعَمۡنَا عَلَیۡہِ وَ جَعَلۡنٰہُ مَثَلًا لِّبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ؕ۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. সে তো নয়, কিন্তু একজন বান্দা, যার উপর আমি অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে আমি বনী ইস্রাঈলের জন্য আশ্চর্যকর নমুনা করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. তিনি (ঈসা আলাইহিস সালাম) তো ছিলেন একজন (সম্মানিত) বান্দা যাঁর প্রতি আমরা অনুগ্রহ করেছিলাম এবং তাঁকে করেছিলাম বনী ইসরাঈলের জন্যে (আমাদের ক্ষমতার) দৃষ্টান্ত।
৬০
Play Share Copy
وَ لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنَا مِنۡکُمۡ مَّلٰٓئِکَۃً فِی الۡاَرۡضِ یَخۡلُفُوۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে যমীনে তোমাদের পরিবর্তে ফিরিশ্‌তাদেরকে বসবাস করাতাম’।
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর যদি আমরা চাইতাম তবে পৃথিবীতে তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম, যারা হতো তোমাদের স্থলাভিষিক্ত।
৬১
Play Share Copy
وَ اِنَّہٗ لَعِلۡمٌ لِّلسَّاعَۃِ فَلَا تَمۡتَرُنَّ بِہَا وَ اتَّبِعُوۡنِ ؕ ہٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এবং নিশ্চয় ঈসা ক্বিয়ামতের সংবাদ, সুতরাং কখনো ক্বিয়ামত সম্পর্কে সন্দেহ করো না এবং আমার অনুসারী হও! এটা সোজা পথ।।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আর অবশ্যই তিনি (ঈসা আলাইহিম সালাম আসমান থেকে অবতরণকালে) হবেন কিয়ামতের (নিকটবর্তী) নিদর্শন। অতঃপর তোমরা এতে কখনোই সন্দেহ করো না এবং আমার অনুসরণ করতে থাকো। এটিই সরলপথ।
৬২
Play Share Copy
وَ لَا یَصُدَّنَّکُمُ الشَّیۡطٰنُ ۚ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং কখনো শয়তান যেন তোমাদেরকে বাধা না দেয়। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর শয়তান যেন তোমাদেরকে কখনোই (এ পথ থেকে) নিবৃত্ত না করে। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
৬৩
Play Share Copy
وَ لَمَّا جَآءَ عِیۡسٰی بِالۡبَیِّنٰتِ قَالَ قَدۡ جِئۡتُکُمۡ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ لِاُبَیِّنَ لَکُمۡ بَعۡضَ الَّذِیۡ تَخۡتَلِفُوۡنَ فِیۡہِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এবং যখন ঈসা সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এলো, তখন সে বললো, ‘আমি তোমাদের নিকট ‘হিকমত’ নিয়ে এসেছি এবং এ জন্যে যে, আমি তোমাদের নিকট বর্ণনা করবো এমন কিছু কথা, যেগুলোতে তোমরা মতভেদ করছো। সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. আর যখন ঈসা (আলাইহিস সালাম) সুষ্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট আগমন করেছি প্রজ্ঞা ও জ্ঞান নিয়ে এবং (এ আগমনের উদ্দেশ্য,) যেসব বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করো যাতে সেগুলো তোমাদের জন্যে সুষ্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিতে পারি। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
৬৪
Play Share Copy
اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ رَبِّیۡ وَ رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡہُ ؕ ہٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ আমার রব ও তোমাদের রব। সুতরাং তাঁরই ইবাদত করো! এটা সোজা পথ।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। সুতরাং তাঁরই ইবাদত করো; এটিই সরলপথ।’
৬৫
Play Share Copy
فَاخۡتَلَفَ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَیۡنِہِمۡ ۚ فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡ عَذَابِ یَوۡمٍ اَلِیۡمٍ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. অতঃপর ওই সব দল পরস্পর বিরোধী হয়ে গেলো। সুতরাং যালিমদের জন্য দুর্ভোগ রয়েছে এক বেদনাদায়ক দিবসের শাস্তি থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. অতঃপর তাদের মাঝে (পরস্পরেই) বিভিন্ন দল হয়ে গেল। সুতরাং যালিমদের জন্যে রয়েছে তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে, (আমলের) প্রতিদানস্বরূপ যা তোমরা করতে।
৬৬
Play Share Copy
ہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا السَّاعَۃَ اَنۡ تَاۡتِیَہُمۡ بَغۡتَۃً وَّ ہُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. তারা কিসের অপেক্ষায় রয়েছে? কিন্তু ক্বিয়ামতের- তা তাদের উপর হঠাৎ করে এসে যাবে এবং তারা টেরও পাবে না।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. এরা কি (কেবল এ জন্যে) অপেক্ষা করছে যে, তাদের নিকট কিয়ামত আকস্মিকভাবে উপনীত হবে, আর তারা বুঝতেও পারবে না?
৬৭
Play Share Copy
اَلۡاَخِلَّآءُ یَوۡمَئِذٍۭ بَعۡضُہُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ؕ۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. অন্তরঙ্গ বন্ধুরা সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, পরহেয্‌গারগণ ব্যতীত।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. সমস্ত বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজন সেদিন একে অপরের শত্রু হয়ে যাবে, কেবল পরহেযগারগণ ব্যতীত। (তাদের বন্ধুত্ব ও নৈকট্য ফলপ্রসু হবে।)
৬৮
Play Share Copy
یٰعِبَادِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡکُمُ الۡیَوۡمَ وَ لَاۤ اَنۡتُمۡ تَحۡزَنُوۡنَ ﴿ۚ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. তাদেরকে বলা হবে, ‘হে আমার বান্দারা! আজ তোমাদের না কোন ভয় আছে, না তোমাদের কোন দুঃখ;
ইরফানুল কুরআন
৬৮. (তাদেরকে বলা হবে,) ‘হে আমার (নৈকট্যপ্রাপ্ত) বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোনো ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না।’
৬৯
Play Share Copy
اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ کَانُوۡا مُسۡلِمِیۡنَ ﴿ۚ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. যেসব লোক আমার নিদর্শনগুলোর উপর ঈমান এনেছে এবং মুসলমান ছিলো!
ইরফানুল কুরআন
৬৯. (তারা) সেসব লোক যারা আমাদের আয়াতসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং সর্বদা (আমাদের প্রতি) অনুগত ছিল।
৭০
Play Share Copy
اُدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ اَنۡتُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ تُحۡبَرُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. ‘প্রবেশ করো জান্নাতে তোমরা ও তোমাদের স্ত্রীগণ এবং তোমাদের সমাদর করা হবে’।
ইরফানুল কুরআন
৭০. তোমরা এবং তোমাদের সঙ্গী-সাথীবৃন্দ* (সবাই) জান্নাতে প্রবেশ করো। (জান্নাতের নিয়ামতরাজি, প্রশান্তি ও সন্তুষ্টি সহকারে) তোমাদেরকে সম্মানিত করা হবে। * মুফাস্সিরীনে কেরাম আয়াতের কারীমার ‘আযওয়াজুকুম’ শব্দের অর্থ স্ত্রীগণ ব্যতীত “নৈকট্যবান সঙ্গী”ও করেছেন। যেমন ইমাম কুরতুবী তাফসীরুল জামে লিআহকামিল কুরআনে (১৪:১১), ইমাম ইবনে কাছীর তাফসীরুল কুরআনিল আযীমে (৪:১৩৪) এবং ইমাম শাওকানী তাফসীরু ফাতহিল কাদীরে (৫:৫৬৩) বর্ণনা করেছেন। এগুলোর ভিত্তিতে ‘আযওয়াজ’ শব্দের অর্থ স্ত্রীগণের পরিবর্তে “সঙ্গী-সাথীবৃন্দ” করা হয়েছে।
৭১
Play Share Copy
یُطَافُ عَلَیۡہِمۡ بِصِحَافٍ مِّنۡ ذَہَبٍ وَّ اَکۡوَابٍ ۚ وَ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡہِ الۡاَنۡفُسُ وَ تَلَذُّ الۡاَعۡیُنُ ۚ وَ اَنۡتُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿ۚ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে স্বর্ণের পেয়ালা ও পাত্রসমূহ সহকারে এবং তাতে থাকবে যা মন চাইবে এবং যা দ্বারা চক্ষু আনন্দ পাবে; আর তাতে তোমরা সর্বদা থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৭১. তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে স্বর্ণের থালা এবং পানপাত্র নিয়ে। আর সেখানে (বিদ্যমান) থাকবে সবকিছুই যা অন্তর কামনা করবে এবং (যা দ্বারা) চক্ষু শীতল হবে। আর তোমরা সেখানে থাকবে চিরদিন।
৭২
Play Share Copy
وَ تِلۡکَ الۡجَنَّۃُ الَّتِیۡۤ اُوۡرِثۡتُمُوۡہَا بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. আর এটা হচ্ছে ওই জান্নাত, তোমাদেরকে যারই উত্তরাধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর (হে পরহেযগারগণ!) এটিই জান্নাত, তিনি (ঈসা আলাইহিস সালাম)?’ তারা কেবল বাক-বিতন্ডার উদ্দেশ্যেই আপনাকে এ কথা বলে। বস্তুত এরা এক বিতন্ডাকারী সম্প্রদায়।
৭৩
Play Share Copy
لَکُمۡ فِیۡہَا فَاکِہَۃٌ کَثِیۡرَۃٌ مِّنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. তোমাদের জন্য তাতে প্রচুর ফলমূল রয়ছে, সেগুলো থেকে তোমরা আহার করবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. সেখানে তোমাদের জন্যে রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করতে থাকবে।
৭৪
Play Share Copy
اِنَّ الۡمُجۡرِمِیۡنَ فِیۡ عَذَابِ جَہَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ ﴿ۚۖ۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. নিশ্চয় অপরাধী জাহান্নামের শাস্তিতে স্থায়ীভাবে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে অবস্থান করবে চিরদিন,
৭৫
Play Share Copy
لَا یُفَتَّرُ عَنۡہُمۡ وَ ہُمۡ فِیۡہِ مُبۡلِسُوۡنَ ﴿ۚ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. তা তাদের উপর থেকে কখনো হ্রাস করা হবে না এবং তারা তাতে হতাশ হয়ে থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. যা তাদের জন্যে লাঘব করা হবে না এবং এতে তারা অন্তহীন নিরাশ হয়ে পড়ে থাকবে।
৭৬
Play Share Copy
وَ مَا ظَلَمۡنٰہُمۡ وَ لٰکِنۡ کَانُوۡا ہُمُ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং আমি তাদের প্রতি কোন যুল্‌ম করি নি। হাঁ, তারা নিজেরাই যালিম ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আর আমরা তাদের প্রতি অত্যাচার করিনি, বরং তারা নিজেরাই অত্যাচারী।
৭৭
Play Share Copy
وَ نَادَوۡا یٰمٰلِکُ لِیَقۡضِ عَلَیۡنَا رَبُّکَ ؕ قَالَ اِنَّکُمۡ مّٰکِثُوۡنَ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. এবং তারা ডেকে বলবে, ‘হে মালিক! তোমার রব যেন আমাদেরকে নিঃশেষ করে দেন!’ তিনি বলবেন, ‘তোমাদেরকে তো অবস্থান করতে হবে’।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. আর তারা চিৎকার করে (জাহান্নামের প্রহরীদেরকে) আহ্বান করবে, ‘হে মালিক! আপনার প্রতিপালক যেন আমাদেরকে মৃত্যু দান করেন, (সেটাই ভালো)।’ সে বলবে, ‘(এখন) তোমরা (এ অবস্থাতেই) চিরদিন অবস্থান করবে’।
৭৮
Play Share Copy
لَقَدۡ جِئۡنٰکُمۡ بِالۡحَقِّ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَکُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِہُوۡنَ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট সত্য এনেছি, কিন্তু তোমাদের মধ্যে অধিকাংশ সত্য পছন্দ করে না।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আমরা তো তোমাদের নিকট সত্য নিয়ে আগমন করেছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যকে অপছন্দ করেছিলে।
৭৯
Play Share Copy
اَمۡ اَبۡرَمُوۡۤا اَمۡرًا فَاِنَّا مُبۡرِمُوۡنَ ﴿ۚ۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. তারা কি তাদের ধারণায় কোন কাজের স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিয়েছে? অতঃপর আমি আপন কাজে স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. তারা (মক্কার কাফেরেরা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পনা) চূড়ান্ত করে ফেলেছে কি? তবে আমরা(ও) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।
৮০
Play Share Copy
اَمۡ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّا لَا نَسۡمَعُ سِرَّہُمۡ وَ نَجۡوٰىہُمۡ ؕ بَلٰی وَ رُسُلُنَا لَدَیۡہِمۡ یَکۡتُبُوۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. তারা কি এ ধারণায় রয়েছে যে, ‘আমি তাদের গোপন কথা ও পরামর্শ শুনতে পাই না?’ হাঁ, কেন নয়! এবং আমার ফিরিশ্‌তাগণ তাদের নিকট লিপিবদ্ধ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৮০. তারা কি মনে করে যে, আমরা তাদের গোপন কথা এবং তাদের কানাঘুষা শুনতে পাই না? কেন নয়? (অবশ্যই শুনতে পাই।) আর আমাদের প্রেরিত ফেরেশতাগণও তাদের নিকট অবস্থান করে লিপিবদ্ধ করছে।
৮১
Play Share Copy
قُلۡ اِنۡ کَانَ لِلرَّحۡمٰنِ وَلَدٌ ٭ۖ فَاَنَا اَوَّلُ الۡعٰبِدِیۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. আপনি বলুন, ‘অসম্ভব কল্পনায়, রহমানের যদি কোন সন্তান থাকতো, তবে সর্বপ্রথম আমি তার ইবাদত করতাম।
ইরফানুল কুরআন
৮১. বলে দিন, ‘(অসম্ভব ধরে নিলেও) যদি দয়াময় আল্লাহ্‌র কোনো পুত্র থাকতো (অথবা সন্তানাদি) তবে আমি হতাম (তাঁর) ইবাদতকারীদের অগ্রণী’।
৮২
Play Share Copy
سُبۡحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. পবিত্রতা আস্‌মানসমূহ ও যমীনের রবের, আরশাধিপতির, ওইসব কথা থেকে যেগুলো এরা রচনা করছে।
ইরফানুল কুরআন
৮২. আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, আরশের অধিপতি সুমহান, পূতঃপবিত্র সেসব বিষয়াদি থেকে যা তারা আরোপ করে।
৮৩
Play Share Copy
فَذَرۡہُمۡ یَخُوۡضُوۡا وَ یَلۡعَبُوۡا حَتّٰی یُلٰقُوۡا یَوۡمَہُمُ الَّذِیۡ یُوۡعَدُوۡنَ ﴿۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. সুতরাং আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন- তারা অনর্থক কথাবার্তা বলতে থাকুক এবং ক্রীড়া তামাশা করুক এ পর্যন্ত যে, তারা ওই দিনকে পাবে, যার প্রতিশ্রুতি তাদের সাথে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. সুতরাং তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা অসার বাক-বিতন্ডায় এবং অনর্থক ক্রীড়া-কৌতুকে মত্ত থাকুক, সেদিনের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত যেদিনের অঙ্গীকার তাদেরকে করা হচ্ছে।
৮৪
Play Share Copy
وَ ہُوَ الَّذِیۡ فِی السَّمَآءِ اِلٰہٌ وَّ فِی الۡاَرۡضِ اِلٰہٌ ؕ وَ ہُوَ الۡحَکِیۡمُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. এবং তিনিই আস্‌মানবাসীদের খোদা এবং পৃথিবীবাসীদের খোদা। আর তিনিই প্রজ্ঞা ও জ্ঞানময়।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. আর সে সত্তাই আসমানেও উপাস্য এবং পৃথিবীতেও উপাস্য। আর তিনি প্রজ্ঞাবান, সর্বজ্ঞ
৮৫
Play Share Copy
وَ تَبٰرَکَ الَّذِیۡ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ۚ وَ عِنۡدَہٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. এবং মহা বরকতময় তিনি, যার জন্যই হচ্ছে রাজত্ব আস্‌মানসমূহ ও যমীনের এবং যা কিছু উভয়ের মধ্যখানে রয়েছে এবং তাঁরই নিকট রয়েছে ক্বিয়ামতের জ্ঞান এবং তোমাদেরকে তাঁরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৮৫. আর সে সত্তা কতো মহান বরকতের অধিকারী, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং এ দু’য়ের মাঝে সবকিছুর সার্বভৌম অধিকারী। আর কিয়ামতের (সময়ের) জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে এবং তোমরা তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে।
৮৬
Play Share Copy
وَ لَا یَمۡلِکُ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنۡ شَہِدَ بِالۡحَقِّ وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. এবং এরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত যেগুলোর পূজা করছে, সেগুলো সুপারিশের ক্ষমতা রাখে না। হাঁ, সুপারিশের ক্ষমতা তাদেরই রয়েছে যারা সত্যের সাক্ষ্য দিয়েছে এবং জ্ঞান রাখে।
ইরফানুল কুরআন
৮৬. আর আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তারা (কাফেরেরা) যাদের পূজা করে, তারা (তো) সুপারিশের (কোনো) ক্ষমতাই রাখে না, তবে তারা ব্যতীত যারা (বিশ্বাসের সাথে) সাক্ষ্য প্রদান করেছে এবং সত্য উপলব্ধি করেছে (তারা শাফায়াতের অধিকার লাভ করবে)।
৮৭
Play Share Copy
وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَہُمۡ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰہُ فَاَنّٰی یُؤۡفَکُوۡنَ ﴿ۙ۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. এবং যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে?’ তবে অবশ্যই বলবে- ‘আল্লাহ্‌’। সুতরাং কোথায় উল্টো দিকে ফিরে যাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
৮৭. আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছেন?’ তখন অবশ্যই তারা বলবে, ‘আল্লাহ্’। অতঃপর তারা কোথায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছে?
৮৮
Play Share Copy
وَ قِیۡلِہٖ یٰرَبِّ اِنَّ ہٰۤؤُلَآءِ قَوۡمٌ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۘ۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. আমার রসূলের এ উক্তির শপথ- ‘হে আমার রব! এসব লোক ঈমান আনে না।
ইরফানুল কুরআন
৮৮. আর (সম্মানিত হাবীব)-এঁর এ কথার শপথ, ‘হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তারা সেসব লোক যারা (কোনোভাবেই) ঈমানই আনয়ন করবে না।’
৮৯
Play Share Copy
فَاصۡفَحۡ عَنۡہُمۡ وَ قُلۡ سَلٰمٌ ؕ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. সুতরাং তাদেরকে উপেক্ষা করুণ এবং বলুন! ‘ব্যাস, সালাম’। ভবিষ্যতে তারা জেনে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৮৯. সুতরাং (হে আমার প্রিয়তম!) আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং (এরূপ) বলুন, ‘(কেবল আমাদের) সালাম’; অতঃপর শীঘ্রই তারা (তাদের পরিণতি) জানতে পারবে।