Back
আয যুমার
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَکِیۡمِ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. কিতাব অবতীর্ণ করা আল্লাহ্‌, সম্মানিত ও প্রজ্ঞাময়ের নিকট থেকে।
ইরফানুল কুরআন
১. এ কিতাব অবতীর্ণ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে।
Play Share Copy
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ فَاعۡبُدِ اللّٰہَ مُخۡلِصًا لَّہُ الدِّیۡنَ ؕ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. নিশ্চয় যদি আপনার প্রতি এ কিতাব সত্য সহকারে অবতীর্ণ করেছি; সুতরাং আল্লাহ্‌রই ইবাদত করুন নিরেট তাঁরই বান্দা হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
২. নিশ্চয়ই আমরা আপনার প্রতি (এ) কিতাব সত্য সহকারে অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং আপনি আল্লাহ্‌র ইবাদত করুন তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
Play Share Copy
اَلَا لِلّٰہِ الدِّیۡنُ الۡخَالِصُ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءَ ۘ مَا نَعۡبُدُہُمۡ اِلَّا لِیُقَرِّبُوۡنَاۤ اِلَی اللّٰہِ زُلۡفٰی ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَحۡکُمُ بَیۡنَہُمۡ فِیۡ مَا ہُمۡ فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ۬ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِیۡ مَنۡ ہُوَ کٰذِبٌ کَفَّارٌ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. হাঁ, অকৃত্রিম বন্দেগী শুধু আল্লাহ্‌রই। এবং ওই সব লোক, যারা তাকে ব্যতীত অন্য অভিভাবক গ্রহণ করে বসেছে, তারা বলে, ‘আমরা তো তাদেরকে শুধু এতটুকু কথার জন্য পূজা করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্যে এনে দেবে। আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন ওই বিষয়ে, যাতে তারা মতভেদ করছে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সৎপথ প্রদান করেন না তাকে, যে মিথ্যাবাদী, বড় অকৃতজ্ঞ।
ইরফানুল কুরআন
৩. (লোকজনকে বলে দিন,) ‘শুনো! আনুগত্য ও দাসত্ব একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য। আর (কাফেরদের মধ্যে) যারা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে অন্যকে (অর্থাৎ মূর্তি ও দেবদেবীকে) বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে, তারা (নিজেদের মূর্তিপূজার মিথ্যা সমর্থনের জন্যে) বলে, ‘আমরা এ জন্যে তাদের উপাসনা করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্যে এনে দেবে।’ অবশ্যই আল্লাহ্ তাদের মাঝে সে বিষয়ের ফায়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে হেদায়াত দেন না যে মিথ্যাবাদী, বড় অকৃতজ্ঞ।
Play Share Copy
لَوۡ اَرَادَ اللّٰہُ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا لَّاصۡطَفٰی مِمَّا یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ۙ سُبۡحٰنَہٗ ؕ ہُوَ اللّٰہُ الۡوَاحِدُ الۡقَہَّارُ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আল্লাহ্‌ নিজের জন্য সন্তান গ্রহণ করলে আপন সৃষ্টি থেকে যাকে চাইতেন মনোনীত করে নিতেন। পবিত্রতা তাঁরই। তিনিই হন এক আল্লাহ্‌, সবার উপর বিজয়ী।
ইরফানুল কুরআন
৪. আর আল্লাহ্ (নিজের জন্যে) সন্তান গ্রহণ করতে চাইলে তিনি নিজের সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতেন। তিনি পূতঃপবিত্র, তিনিই আল্লাহ্ যিনি একক, সবার উপর আধিপত্যের অধিকারী।
Play Share Copy
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ۚ یُکَوِّرُ الَّیۡلَ عَلَی النَّہَارِ وَ یُکَوِّرُ النَّہَارَ عَلَی الَّیۡلِ وَ سَخَّرَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اَلَا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفَّارُ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তিনি আসমান ও যমীন সত্য সৃষ্টি করেছেন; রাতকে দিনের উপর আচ্ছাদিত করেন। আর তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি একেকটি নির্ধারিত মেয়াদকালের জন্য পরিভ্রমণ করছে। শুনছো! তিনিই সম্মানের মালিক, ক্ষমাশীল।
ইরফানুল কুরআন
৫. তিনি আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ত্রুটিহীন কৌশল ও পরিকল্পনায়। তিনি রাত্রিকে দিবসের উপর আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রির উপর আচ্ছাদিত করেন। আর সূর্য ও চন্দ্রকে তিনি (একটি নিয়মের) অধীনস্ত করে রেখেছেন। প্রত্যেকেই (অর্থাৎ সমস্ত গ্রহ- নক্ষত্র) নির্দিষ্ট সময়কালে (নিজ নিজ কক্ষ পথে) পরিভ্রমণ করে থাকে। সাবধান! তিনিই (সমস্ত নিয়মের উপর) আধিপত্যশীল, মহাক্ষমাশীল।
Play Share Copy
خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا وَ اَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡاَنۡعَامِ ثَمٰنِیَۃَ اَزۡوَاجٍ ؕ یَخۡلُقُکُمۡ فِیۡ بُطُوۡنِ اُمَّہٰتِکُمۡ خَلۡقًا مِّنۡۢ بَعۡدِ خَلۡقٍ فِیۡ ظُلُمٰتٍ ثَلٰثٍ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ لَہُ الۡمُلۡکُ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ فَاَنّٰی تُصۡرَفُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. তিনি তোমাদেরকে এক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেন। এবং তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তুসমূহ থেকে আট জোড়া অবতারণ করেন। তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের পেটে সৃষ্টি করেন- এক প্রকারের পর আরেক প্রকারে ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনিই হন আল্লাহ্‌ তোমাদের রব, বাদশাহী তাঁরই। তিনিই ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী নেই। অতঃপর কোথায় মুখ ফিরিয়ে যাচ্ছো?
ইরফানুল কুরআন
৬. তিনি তোমাদের সবাইকে একই জৈবিক কোষ থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর এ থেকে এর মতো জোড়া সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তোমাদের জন্যে প্রাণীদের থেকে মোট আট জোড়া (নর ও মাদি) সরবরাহ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে মাতৃগর্ভে সৃষ্টির এক ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপে পর্যায়ক্রমে আকৃতি দান করেন, (এ প্রক্রিয়াকে পূর্ণতা দান করেন) ত্রিবিধ অন্ধকার পর্দায়। তিনিই তোমাদের প্রতিপালক, সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব তাঁরই; তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। অতঃপর (সৃষ্টির এ গোপন বাস্তবতা জানার পরেও) তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো?
Play Share Copy
اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যদি তোমরা অকৃতজ্ঞা প্রকাশ করো, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন এবং আপন বান্দাদের অকৃতজ্ঞতা তিনি পছন্দ করেন না। আর যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো তবে তা তোমাদের জন্য পছন্দ করেন। এবং কান বোঝাবাহী সত্তা অন্য কারো বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদেরকে আপন রবেরই দিকে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন যা তোমরা করতে। নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহের কথা জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৭. যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, তবে অবশ্যই আল্লাহ্ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন এবং তিনি তাঁর বান্দাদের অকৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন না। আর যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও (তবে) তিনি তাই তোমাদের জন্যে পছন্দ করেন। আর কোনো ভার বহনকারী দ্বিতীয় কারো ভার বহন করবে না। সুতরাং তোমাদের প্রতিপালকের দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করবেন যা তোমরা করতে। নিশ্চয়ই তিনি অন্তরের (গোপন) বিষয়াদি(ও) সম্যক অবগত।
Play Share Copy
وَ اِذَا مَسَّ الۡاِنۡسَانَ ضُرٌّ دَعَا رَبَّہٗ مُنِیۡبًا اِلَیۡہِ ثُمَّ اِذَا خَوَّلَہٗ نِعۡمَۃً مِّنۡہُ نَسِیَ مَا کَانَ یَدۡعُوۡۤا اِلَیۡہِ مِنۡ قَبۡلُ وَ جَعَلَ لِلّٰہِ اَنۡدَادًا لِّیُضِلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ ؕ قُلۡ تَمَتَّعۡ بِکُفۡرِکَ قَلِیۡلًا ٭ۖ اِنَّکَ مِنۡ اَصۡحٰبِ النَّارِ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. এবং যখন মানুষকে কোন দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করে, তখন আপন রবকে ডাকে তাঁরই প্রতি ঝুকে পড়ে, অতঃপর যখন আল্লাহ্‌ তাকে নিজের নিকট থেকে কোন অনুগ্রহ প্রদান করেন তখন ভুলে যায় তা, যার জন্য পূর্বে ডেকেছিলো এবং আল্লাহ্‌র জন্য সমকক্ষ স্থির করতে থাকে, যাতে সে তাঁর পথ থেকে বিপদগামী করে দেয়। আপনি বলুন, ‘স্বল্প দিন মাত্র স্বীয় কুফরের সাথে ভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি দোযখীদের অন্তর্ভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৮. আর মানুষকে যখন কোনো দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করে তখন সে তার প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে তাঁকে ডাকে। অতঃপর (আল্লাহ্) যখন তাকে নিজের পক্ষ থেকে কোনো অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে (দুর্দশা) ভুলে যায়, যা থেকে পরিত্রাণের জন্যে পূর্বে সাগ্রহে ডেকেছিলে এবং (পুনরায়) আল্লাহ্‌র সাথে (মূর্তিগুলোকে) অংশীদার সাব্যস্ত করতে শুরু করে, (অন্যদেরকেও) তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করবার জন্যে। বলে দিন, ‘(হে কাফের!) তুমি কুফরী অবস্থায় (পার্থিব অর্জনের) সামান্য উপভোগ করে নাও। অবশ্যই তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।’
Play Share Copy
اَمَّنۡ ہُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ الَّیۡلِ سَاجِدًا وَّ قَآئِمًا یَّحۡذَرُ الۡاٰخِرَۃَ وَ یَرۡجُوۡا رَحۡمَۃَ رَبِّہٖ ؕ قُلۡ ہَلۡ یَسۡتَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ وَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ؕ اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. ওই ব্যক্তি, যে আনুগত্যের মধ্যে রাতের মুহূর্তগুলো অতিবাহিত করে- সাজদায় ও দণ্ডায়মান অবস্থায়, আখিরাতকে ভয় করে এবং আপন রবের দয়ার আশা রাখে সেও কি ওই অবাধ্য লোকদের মতো হয়ে যাবে? আপনি বলুন, ‘জ্ঞানীরা ও অজ্ঞলোকেরা কি এক সমান?’ উপদেশ তো তাঁরই মান্য করে যারা বোধশক্তিসম্পন্ন।
ইরফানুল কুরআন
৯. যাই হোক! (এ মুশরিক উত্তম নাকি) সে (মুমিন) যে রাত্রিপ্রহরে দাঁড়িয়ে এবং সেজদাবনত হয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভয় করে এবং স্বীয় প্রতিপালকের অনুগ্রহের প্রত্যাশা করে? বলে দিন, ‘যে জ্ঞান রাখে এবং যে জ্ঞান রাখে না তারা (সবাই) কি সমান হতে পারে?’ উপদেশ তো কেবল জ্ঞানবানই গ্রহণ করে।
১০
Play Share Copy
قُلۡ یٰعِبَادِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوۡا رَبَّکُمۡ ؕ لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا فِیۡ ہٰذِہِ الدُّنۡیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ اَرۡضُ اللّٰہِ وَاسِعَۃٌ ؕ اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ اَجۡرَہُمۡ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. আপনি বলুন, ‘হে আমার বান্দাগণ যারা ঈমান এনেছো! আপন রবকে ভয় করো। যারা কল্যাণকর কাজ করেছে তাদের জন্য এই দুনিয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। এবং আল্লাহ্‌র যমীন প্রশস্ত। ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের অপরিমিত প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০. (হে প্রিয়তম! আমার পক্ষ থেকে) বলে দিন! ‘হে আমার বান্দারা! যারা ঈমান এনেছো! নিজেদের প্রতিপালককে ভয় করো; তাদের জন্যেই রয়েছে কল্যাণ যারা দুনিয়াতে আধ্যাত্মিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। আর আল্লাহ্‌র জমিন প্রশস্ত। নিঃসন্দেহে ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিসীম হিসেবে দেয়া হবে।’
১১
Play Share Copy
قُلۡ اِنِّیۡۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ اللّٰہَ مُخۡلِصًا لَّہُ الدِّیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আপনি বলুন, ‘আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে যেন আল্লাহ্‌রই ইবাদত করি নিরেট তাঁরই বান্দা হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
১১. বলে দিন, ‘আমি আদিষ্ট হয়েছি, আমি যেন আনুগত্যে ও দাসত্বে একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহ্‌র ইবাদত করি।
১২
Play Share Copy
وَ اُمِرۡتُ لِاَنۡ اَکُوۡنَ اَوَّلَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং আমি আদিষ্ট হয়েছি যেন আমি সর্বপ্রথম আত্নসমর্পণ করি’।
ইরফানুল কুরআন
১২. এবং আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি, যেন (তাঁর সৃষ্টিজগতে) সর্বপ্রথম মুসলমান হই।’
১৩
Play Share Copy
قُلۡ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اِنۡ عَصَیۡتُ رَبِّیۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. আপনি বলুন, ‘কাল্পনিকভাবে আমার দ্বারাও যদি অবাধ্যতা সম্পন্ন হয়ে যায়, তবে আমারও আপন রব থেকে এক মহা দিবসের শাস্তির ভয় আছে’।
ইরফানুল কুরআন
১৩. বলে দিন, ‘যদি আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে আমি মহাদিবসের শাস্তির ভয় করি’।
১৪
Play Share Copy
قُلِ اللّٰہَ اَعۡبُدُ مُخۡلِصًا لَّہٗ دِیۡنِیۡ ﴿ۙ۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. আপনি বলুন, ‘আমি আল্লাহ্‌রই ইবাদত করি নিরেট তাঁরই বান্দা হয়ে;
ইরফানুল কুরআন
১৪. বলে দিন, ‘বিশুদ্ধ আনুগত্যে আমি কেবল আল্লাহ্‌রই ইবাদত করি।
১৫
Play Share Copy
فَاعۡبُدُوۡا مَا شِئۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ ؕ قُلۡ اِنَّ الۡخٰسِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ وَ اَہۡلِیۡہِمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اَلَا ذٰلِکَ ہُوَ الۡخُسۡرَانُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সুতরাং তোমরা তার ব্যতীত যাঁরই ইচ্ছা পূজা করো! আপনি বলুন, ‘পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত তারাই, যারা নিজ সত্তার ও নিজ পরিবার পরিজনের ও কিয়ামতের দিন ক্ষতি করে বসেছে। হাঁ,হাঁ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।
ইরফানুল কুরআন
১৫. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যার ইচ্ছা ইবাদত করো।’ বলে দিন, ‘নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যারা কিয়ামতের দিন নিজেদের এবং নিজেদের পরিবারবর্গের ক্ষতিসাধন করবে। মনে রেখো, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।
১৬
Play Share Copy
لَہُمۡ مِّنۡ فَوۡقِہِمۡ ظُلَلٌ مِّنَ النَّارِ وَ مِنۡ تَحۡتِہِمۡ ظُلَلٌ ؕ ذٰلِکَ یُخَوِّفُ اللّٰہُ بِہٖ عِبَادَہٗ ؕ یٰعِبَادِ فَاتَّقُوۡنِ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তাদের উপর আগুনের পাহাড় রয়েছে এবং তাদের নীচেও পাহাড়। তা থেকে আল্লাহ্‌ সতর্ক করেন আপন বান্দাদেরকে। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তাদের জন্যে তাদের উপরেও আগুনের মেঘমালা (আচ্ছাদিত) থাকবে এবং তাদের নিম্নেও থাকবে আগুনের আচ্ছাদন। এ সেই (শাস্তি) যা থেকে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে হুঁশিয়ার করেন, ‘হে আমার বান্দাগণ! আমাকে সবসময় ভয় করতে থাকো।’
১৭
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ اجۡتَنَبُوا الطَّاغُوۡتَ اَنۡ یَّعۡبُدُوۡہَا وَ اَنَابُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ لَہُمُ الۡبُشۡرٰی ۚ فَبَشِّرۡ عِبَادِ ﴿ۙ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং ওই সমস্ত লোক, যারা মূর্তিগুলোর পূজা থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহ্‌ অভিমুখী হয়েছে তাদেরই জন্য সুসংবাদ রয়েছে। সুতরাং সুসংবাদ দিন আমার ওই বান্দাদেরকে;
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর যারা মূর্তিপূজা থেকে বেঁচে থাকে এবং আল্লাহ্‌র অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে শুভসংবাদ। সুতরাং সুসংবাদ দিন আমার বান্দাগণকে।
১৮
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ یَسۡتَمِعُوۡنَ الۡقَوۡلَ فَیَتَّبِعُوۡنَ اَحۡسَنَہٗ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ ہَدٰىہُمُ اللّٰہُ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. যারা কান পেতে কথা শুনে অতঃপর সেটার মধ্যে উত্তমের অনুসরণ করে। এরা হচ্ছে তারাই, যাদের বোধশক্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর এর মধ্যে যা উত্তম তার অনুসরণ করে, তারাই সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ্ হেদায়াত দান করেছেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
১৯
Play Share Copy
اَفَمَنۡ حَقَّ عَلَیۡہِ کَلِمَۃُ الۡعَذَابِ ؕ اَفَاَنۡتَ تُنۡقِذُ مَنۡ فِی النَّارِ ﴿ۚ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. তবে কি ওই ব্যক্তি, যার উপর শাস্তির বাণী অবধারিত হয়েছে, মুক্তি প্রাপ্তদের সমান হয়ে যাবে? তবে কি আপনি সৎপথ প্রদান করে আগুনের উপযোগীকে রক্ষা করে নেবেন?
ইরফানুল কুরআন
১৯. বেশ, যার উপর দন্ডাদেশ অবধারিত হয়ে গিয়েছে; আপনি কি সে ব্যক্তিকে বাঁচাবেন, যে (স্থায়ী) জাহান্নামী হয়ে গিয়েছে?
২০
Play Share Copy
لٰکِنِ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ لَہُمۡ غُرَفٌ مِّنۡ فَوۡقِہَا غُرَفٌ مَّبۡنِیَّۃٌ ۙ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕ وَعۡدَ اللّٰہِ ؕ لَا یُخۡلِفُ اللّٰہُ الۡمِیۡعَادَ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. কিন্তু যে সব লোক আপন রবকে ভয় করে তাদের জন্য বহু প্রাসাদ রয়েছে, যেগুলোর উপর প্রাসাদসমূহ নির্মিত হয়েছে; সেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ্‌ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।
ইরফানুল কুরআন
২০. তবে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্যে (জান্নাতে) রয়েছে সমুন্নত প্রাসাদরাজি যার উপর নির্মিত আরো সুবৃহৎ প্রাসাদ, যার তলদেশে প্রবাহিত নদী। এটি আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার। আল্লাহ্ তাঁর অঙ্গীকার খেলাফ করেন না।
২১
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَسَلَکَہٗ یَنَابِیۡعَ فِی الۡاَرۡضِ ثُمَّ یُخۡرِجُ بِہٖ زَرۡعًا مُّخۡتَلِفًا اَلۡوَانُہٗ ثُمَّ یَہِیۡجُ فَتَرٰىہُ مُصۡفَرًّا ثُمَّ یَجۡعَلُہٗ حُطَامًا ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্‌ আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেছেন অতঃপর তা থেকে যমীনে প্রস্রবণসমূহ প্রবাহিত করেন, অতঃপর তা দ্বারা ফসল উৎপন্ন করেন বিবিধ বর্ণের, অতঃপর তা শুকে যায়, অতঃপর তুমি দেখতে পাও যে, তা পীত বর্ণের হয়ে গেছে, তারপর সেটাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন। নিশ্চয় তাতে মনোযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
২১. (হে মানুষ!) তোমরা কি দেখনি, আল্লাহ্ আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূমিতে স্রোতধারারূপে প্রবাহিত করেন এবং এর মাধ্যমে বিবিধ বর্ণের শস্য উৎপন্ন করেন; অতঃপর তা (পেকে) শুকিয়ে যায়; ফলে (পাকার পর) তুমি একে পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তিনি একে খড়-কুটায় পরিণত করেন। নিশ্চয়ই এতে উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্যে।
২২
Play Share Copy
اَفَمَنۡ شَرَحَ اللّٰہُ صَدۡرَہٗ لِلۡاِسۡلَامِ فَہُوَ عَلٰی نُوۡرٍ مِّنۡ رَّبِّہٖ ؕ فَوَیۡلٌ لِّلۡقٰسِیَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ مِّنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তবে কি ওই ব্যক্তি, যার বক্ষ আল্লাহ্‌ ইসলামের জন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে আপন রবের নিকট থেকে আলোর উপর রয়েছে তাঁরই মতো হয়ে যাবে, যে পাষাণ হৃদয়? সুতরাং দুর্ভোগ তাদেরই, যাদের হৃদয় আল্লাহ্‌র স্মরণের দিক থেকে কঠোর হয়ে গেছে। তারা সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২২. বেশ, আল্লাহ্ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, সে তাঁর প্রতিপালক প্রদত্ত দীপ্তিতে অবস্থান করে। কিন্তু (এর বিপরীতে) সেসব লোকের জন্যে দুর্ভোগ যাদের হৃদয় আল্লাহ্‌র স্মরণ (-এর ফায়েজ) থেকে (বঞ্চিত হয়ে) কঠোর হয়ে গিয়েছে। এরাই সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছে।
২৩
Play Share Copy
اَللّٰہُ نَزَّلَ اَحۡسَنَ الۡحَدِیۡثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِہًا مَّثَانِیَ ٭ۖ تَقۡشَعِرُّ مِنۡہُ جُلُوۡدُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ ۚ ثُمَّ تَلِیۡنُ جُلُوۡدُہُمۡ وَ قُلُوۡبُہُمۡ اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُدَی اللّٰہِ یَہۡدِیۡ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আল্লাহ্‌ অবতীর্ণ করেছেন সর্বাপেক্ষা উত্তম কিতাব, যা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এক ধরনের, পুনঃপুনঃ বর্ণনাসম্পন্ন, সেটার কারণে (ভয়ে) লোম খাড়া হয়ে যায় তাদেরই শরীরের উপর, যারা আপন রবকে ভয় করে, অতঃপর তাদের চামড়া ও হৃদয় নম্র হয়ে পড়ে আল্লাহ্‌র স্মরণের প্রতি আগ্রহে। এটা আল্লাহ্‌র হিদায়ত, পথ প্রদর্শন করেন তাকেই, যাকে চান এবং যাকে আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেন তাকে পথ প্রদর্শনকারী কেউ নেই।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আল্লাহ্ই অবতীর্ণ করেছেন উৎকৃষ্ট বাক্য, এক কিতাব যার কথাগুলো (ছন্দে ও অর্থে) পারস্পরিক সাদৃশ্যপূর্ণ, (যার আয়াতসমূহ) বার বার পাঠ করা হয়; এতে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে (ভাবাবেশে) আল্লাহ্‌র স্মরণে ঝুঁকে পড়ে (বিমোহিত হয়)। এটাই আল্লাহ্‌র হেদায়াত, তিনি যাকে ইচ্ছা এর মাধ্যমে পথপ্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন (অথবা পথভ্রষ্ট অবস্থায় ছেড়ে দেন) তার জন্যে কোনো হেদায়াতকারী নেই।
২৪
Play Share Copy
اَفَمَنۡ یَّتَّقِیۡ بِوَجۡہِہٖ سُوۡٓءَ الۡعَذَابِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَ قِیۡلَ لِلظّٰلِمِیۡنَ ذُوۡقُوۡا مَا کُنۡتُمۡ تَکۡسِبُوۡنَ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. তবে কি ওই ব্যক্তি, যে ক্বিয়ামত দিবসে কঠিন শাস্তির ঢাল পাবে না আপন চেহারা ব্যতীত, মুক্তিপ্রাপ্তদের মতো হয়ে যাবে? এবং যালিমদেরকে বলা হবে, ‘স্বীয় কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করো!’
ইরফানুল কুরআন
২৪. বেশ, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিজ চেহারা দ্বারা (অগ্নিশিখার) কঠিন শাস্তি ঠেকানোর চেষ্টা করবে (কেননা, তার উভয় হাত থাকবে বাধা, তার কী অবস্থা হবে)? আর যালিমদেরকে বলা হবে, ‘আস্বাদন করো সেসব মন্দ কাজের প্রতিফল যা তোমরা করতে’।
২৫
Play Share Copy
کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَاَتٰىہُمُ الۡعَذَابُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. তাদের পূর্ববর্তীগণ অস্বীকার করেছে; অতঃপর তাদের প্রতি শাস্তি এসেছে ওই স্থান থেকেই, যেখান থেকে তাদের খবরও ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
২৫. যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গিয়েছে তারাও (রাসূলগণকে) অস্বীকার করেছিল। ফলে তাদেরকে এমন স্থান থেকে শাস্তি গ্রাস করলো যা তারা ধারণাই করতে পারেনি।
২৬
Play Share Copy
فَاَذَاقَہُمُ اللّٰہُ الۡخِزۡیَ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَ لَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَکۡبَرُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন এবং নিশ্চয় আখিরাতের শাস্তি সর্বাপেক্ষা বড়। কতই ভালো ছিলো যদি তারা জানতো!
ইরফানুল কুরআন
২৬. সুতরাং আল্লাহ্ তাদেরকে পার্থিব জীবনে(ই) অপমান ও লাঞ্ছনা ভোগ করালেন। আর পরকালের শাস্তি তো কঠিনতর, যদি তারা জানতো।
২৭
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ ضَرَبۡنَا لِلنَّاسِ فِیۡ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنِ مِنۡ کُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّہُمۡ یَتَذَکَّرُوۡنَ ﴿ۚ۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং নিশ্চয় আমি লোকদের জন্য এ ক্বোরআনের মধ্যে প্রত্যেক প্রকারের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যেন কোন মতে তারা মনোযোগ দেয়।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর প্রকৃতপক্ষে মানুষের (বোঝার) জন্যে এ কুরআনে আমরা সকল প্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
২৮
Play Share Copy
قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا غَیۡرَ ذِیۡ عِوَجٍ لَّعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. আরবী ভাষার ক্বোরআন, যাতে মোটেই বক্রতা নেই, যাতে তারা ভয় করে।
ইরফানুল কুরআন
২৮. কুরআন আরবী ভাষায় (যা সকল ভাষার চেয়ে সুস্পষ্ট ও বলিষ্ঠ), এতে সামান্যতমও বক্রতা নেই, যাতে তারা পরহেযগারিতা অবলম্বন করতে পারে।
২৯
Play Share Copy
ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا رَّجُلًا فِیۡہِ شُرَکَآءُ مُتَشٰکِسُوۡنَ وَ رَجُلًا سَلَمًا لِّرَجُلٍ ؕ ہَلۡ یَسۡتَوِیٰنِ مَثَلًا ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ ۚ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. আল্লাহ্‌ একটা দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন; একজন দাসের মধ্যে কয়েকজন দুশ্চরিত্র মুনিব শরীক এবং একজনের শুধু একজন মুনিব। তারা উভয়ের অবস্থা কি এক সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, বরং তাদের অধিকাংশই জানেন না।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আল্লাহ্ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমন লোকের (যে কৃতদাস), যার রয়েছে অনেক মালিক, যারা বদমেজাজী এবং পরস্পরে ঝগড়াটে; (অন্যদিকে) আর এক ব্যক্তি যে কেবল একজনেরই দাস; তারা দু’জন কি (নিজেদের) অবস্থার দৃষ্টিকোন থেকে সমান? (কক্ষনো নয়) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য, বরং তাদের অধিকাংশই (আল্লাহ্‌র একত্ববাদের সত্যতা) জানে না।
৩০
Play Share Copy
اِنَّکَ مَیِّتٌ وَّ اِنَّہُمۡ مَّیِّتُوۡنَ ﴿۫۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. নিশ্চয় আপনাকেও ইন্‌তিকাল করতে হবে এবং তাদেরকেও মরতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. (হে সম্মানিত হাবীব!) নিশ্চয়ই (কেবল মাত্র স্বাদ গ্রহণের জন্যে) আপনার নিকট মৃত্যুর আগমন ঘটবে। আর তারা অবশ্যই (স্থায়ী ধ্বংসের জন্যে) মৃত্যুবরণ করবে। (অতঃপর দুই মৃত্যুর পার্থক্য হবে দেখার মতো।)* * যেভাবে ২৯ নং আয়াতে পেশকৃত উপমা অনুসারে দুই ব্যক্তির অবস্থা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে সমান হবে না, সেভাবে বিবৃত হয়েছে যে, হুযুর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের মৃত্যু ও অন্যান্যদের মৃত্যু সমান ও একরকম হবে না। উভয়ের প্রকৃত অবস্থায় বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এ উপমা এজন্যে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, যাতে নবুয়্যতের মর্যাদার সাথে অন্য কারো মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে একইরকম মনে না হয়। যেমন এক মালিকের গোলাম সুস্থ ও নিরাপদ থাকলো এবং বহুসংখ্যক মন্দ স্বভাবের মালিকের গোলাম ধ্বংস হলো। এভাবে হে সম্মানিত হাবীব! আপনি তো একজন মালিকের পছন্দনীয় বান্দা, প্রিয়তম ও নৈকট্যবান রাসূল; সুতরাং তিনি আপনাকে সর্বাবস্থায় নিরাপদ রাখবেন। আর এসব কাফের বহুসংখ্যক মূর্তি এবং অংশীদারের গোলামীতে নিমজ্জিত, সুতরাং এরা তাদেরকেও নিজেদের মতো চিরতরে ধ্বংসে নিমজ্জিত করবে।
৩১
Play Share Copy
ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ عِنۡدَ رَبِّکُمۡ تَخۡتَصِمُوۡنَ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. অতঃপর তোমরা ক্বিয়ামত দিবসে রবের নিকট বাকবিতণ্ডা করবে।
ইরফানুল কুরআন
৩১. অতঃপর নিঃসন্দেহে কিয়ামতের দিন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে পরষ্পরে ঝগড়া করবে। (একদল অপর দলকে বলবে, ‘আমাদেরকে নবুয়্যত ও রিসালাতের মর্যাদা বুঝতে তোমরা বাধা দিয়েছিলে’, তারা উত্তরে বলবে, ‘না, বরং তোমরা নিজেরাই দুর্ভাগা ও পথভ্রষ্ট ছিলে’।)
৩২
Play Share Copy
فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ کَذَبَ عَلَی اللّٰہِ وَ کَذَّبَ بِالصِّدۡقِ اِذۡ جَآءَہٗ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. সুতরাং তার চেয়ে বড় যালিম কে, যে আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে, এবং সত্যকে অস্বীকার করে, যখন তার নিকট আসে। জাহান্নামে কি কাফিরদের ঠিকানা নেই?’
ইরফানুল কুরআন
৩২. সুতরাং তার চেয়ে বড় যালিম আর কে, যে আল্লাহ্‌র প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং সত্যকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে যখন তা তার কাছে প্রতিভাত হয়? কাফেরদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?
৩৩
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡ جَآءَ بِالصِّدۡقِ وَ صَدَّقَ بِہٖۤ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُتَّقُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং যিনি এ সত্য নিয়ে তাশরীফ এনেছেন এবং যারা তাকে বলে মেনে নিয়েছে, তারাই ভীতিসম্পন্ন।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর যে সত্য নিয়ে আগমন করেছে এবং যে একে সত্যায়ন করেছে সে সব লোকই তো মুত্তাকী।
৩৪
Play Share Copy
لَہُمۡ مَّا یَشَآءُوۡنَ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ ذٰلِکَ جَزٰٓوٴُا الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿ۚۖ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. তাদের জন্য রয়েছে, যা তারা চায় আপন রবের নিকট। সৎকর্মপরায়ণদের এটাই পুরস্কার;
ইরফানুল কুরআন
৩৪. তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের নিকট (বিদ্যমান) রয়েছে (সকল নিয়ামতরাজি) যা তারা কামনা করবে। এটাই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান,
৩৫
Play Share Copy
لِیُکَفِّرَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ اَسۡوَاَ الَّذِیۡ عَمِلُوۡا وَ یَجۡزِیَہُمۡ اَجۡرَہُمۡ بِاَحۡسَنِ الَّذِیۡ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. যাতে আল্লাহ্‌ তাদের থেকে মোচন করেন মন্দ থেকে মন্দতর কাজ, যা তারা করেছে এবং তাদেরকে সাওয়াবের পুরস্কার দেন উত্তম থেকে অধিকতর উত্তম কাজের উপর যা তারা সম্পন্ন করতো।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. যাতে আল্লাহ্ তাদের ত্রুটিসমূহ দূর করে দেন যা তারা করেছিল এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করেন সেসব সৎকর্মের জন্যে যা তারা করতো।
৩৬
Play Share Copy
اَلَیۡسَ اللّٰہُ بِکَافٍ عَبۡدَہٗ ؕ وَ یُخَوِّفُوۡنَکَ بِالَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ ؕ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ ﴿ۚ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. আল্লাহ্‌ কি আপন বান্দাদের জন্য যথেষ্ট নন? এবং আপনাকে (তারা) ভয় দেখায় তিনি ব্যতীত অন্যান্যদের এবং যাকে আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ হিদায়তকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আল্লাহ্ কি তাঁর (নৈকট্যবান) বান্দা (সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর জন্যে যথেষ্ট নন? অথচ এরা (এ সব কাফেরেরা) আপনাকে আল্লাহ্‌র পরিবর্তে সেসব মূর্তির ভয় দেখায় (যাদের পূজা তারা করতো)। আর (সত্য অস্বীকারের কারণে) যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেন তার জন্যে কোনো পথপ্রদর্শক নেই।
৩৭
Play Share Copy
وَ مَنۡ یَّہۡدِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ مُّضِلٍّ ؕ اَلَیۡسَ اللّٰہُ بِعَزِیۡزٍ ذِی انۡتِقَامٍ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং যাকে আল্লাহ্‌ হিদায়ত দেন তাকে কেউ পথভ্রষ্টকারী নেই। আল্লাহ্‌ কি সম্মানিত গ্রহণকারী নন?
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর যাকে আল্লাহ্ হেদায়াতের মাধ্যমে অনুগ্রহ করেছেন তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আল্লাহ্ কি মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধগ্রহণকারী নন?
৩৮
Play Share Copy
وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰہُ ؕ قُلۡ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ اَرَادَنِیَ اللّٰہُ بِضُرٍّ ہَلۡ ہُنَّ کٰشِفٰتُ ضُرِّہٖۤ اَوۡ اَرَادَنِیۡ بِرَحۡمَۃٍ ہَلۡ ہُنَّ مُمۡسِکٰتُ رَحۡمَتِہٖ ؕ قُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰہُ ؕ عَلَیۡہِ یَتَوَکَّلُ الۡمُتَوَکِّلُوۡنَ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছেন?’ তবে অবশ্যই তারা বলবে, ‘আল্লাহ্‌’। আপনি বলুন, ‘ভালো, বলোতো, ওইগুলো, যেগুলোর তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত পূজা করছো, যদি আল্লাহ্‌ আমাকে কোন কষ্ট দিতে চান, তবে কি সেগুলো তার প্রেরিত কষ্ট দূরীভূত করতে পারবে? অথবা (যদি) তিনি আমার উপর করুণা করতে চান, তবে কি সেগুলো তার দয়াকে রুখে রাখতে পারবে?’ আপনি বলুন, ‘আল্লাহ্‌ই আমার জন্য যথেষ্ট’। নির্ভরকারীগণ তাঁরই উপর নির্ভর করে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন?’ তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ্’। বলে দিন, ‘বেশ, বল তো, আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তোমরা যেসব মূর্তির পূজা করো, যদি আল্লাহ্ আমার কোনো অনিষ্ট চান, তবে এ সকল (মূর্তি) কি তাঁর (প্রেরিত) অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা যদি তিনি আমাকে অনুগ্রহের মাধ্যমে দয়া করতে চান, তবে কি এ সকল (মূর্তি) তাঁর (প্রেরিত) অনুগ্রহ প্রতিহত করতে পারবে?’ বলে দিন, ‘আমার জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তাঁর প্রতি বিশ্বাসীগণই ভরসা করেন।’
৩৯
Play Share Copy
قُلۡ یٰقَوۡمِ اعۡمَلُوۡا عَلٰی مَکَانَتِکُمۡ اِنِّیۡ عَامِلٌ ۚ فَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. আপনি বলুন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আপন আপন স্থানে কাজ করতে থাকো, আমি আমার কাজ করছি। অতঃপর শিগ্‌গিরই জানতে পারবে-
ইরফানুল কুরআন
৩৯. বলে দিন, ‘হে (আমার) সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের অবস্থানে আমল করতে থাকো, আমি (আমার অবস্থানে) আমল করছি। অতঃপর শীঘ্রই তোমরা (পরিণাম) জানবে (যে),
৪০
Play Share Copy
مَنۡ یَّاۡتِیۡہِ عَذَابٌ یُّخۡزِیۡہِ وَ یَحِلُّ عَلَیۡہِ عَذَابٌ مُّقِیۡمٌ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. কার উপর আসে ওই শাস্তি, যা তাকে লাঞ্ছিত করবে এবং কার উপর অবতীর্ণ হয় শাস্তি, যা স্থায়ী হয়ে থেকে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. কার উপর আসবে শাস্তি যা তাকে লাঞ্ছিত করবে। আর তার উপর স্থায়ী শাস্তি আপতিত হবে।’
৪১
Play Share Copy
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ لِلنَّاسِ بِالۡحَقِّ ۚ فَمَنِ اہۡتَدٰی فَلِنَفۡسِہٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیۡہَا ۚ وَ مَاۤ اَنۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِوَکِیۡلٍ ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি এ কিতাব মানুষের হিদায়ত নিমিত্ত সত্য সহকারে অবতীর্ণ করেছি; সুতরাং যে সৎপথ পেয়েছে, তবে সে নিজের মঙ্গলের জন্য; এবং যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে নিজেরই অনিষ্টের জন্য পথভ্রষ্ট হয়েছে আর আপনি তাদের কিছুরই যিম্মাদার নন।
ইরফানুল কুরআন
৪১. নিশ্চয়ই আমরা আপনার প্রতি মানুষের (হেদায়াতের) জন্যে সত্য সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং যে হেদায়াত পেয়েছে তা তার নিজেরই কল্যাণের জন্যে এবং যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তার নিজেরই ধ্বংসের জন্যে। আর আপনি তাদের জন্যে দায়ী নন।
৪২
Play Share Copy
اَللّٰہُ یَتَوَفَّی الۡاَنۡفُسَ حِیۡنَ مَوۡتِہَا وَ الَّتِیۡ لَمۡ تَمُتۡ فِیۡ مَنَامِہَا ۚ فَیُمۡسِکُ الَّتِیۡ قَضٰی عَلَیۡہَا الۡمَوۡتَ وَ یُرۡسِلُ الۡاُخۡرٰۤی اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. আল্লাহ্‌ প্রাণগুলোকে ওফাত প্রদান করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মৃত্যুবরণ করে না তাদেরকে তাদের নিদ্রার সময়; অতঃপর যার মৃত্যুর নির্দেশে দিয়েছেন সেটাকে রুখে রাখেন এবং অপরটাকে এক নির্দিষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত ছেড়ে দেন। নিশ্চয় নিশ্চয় এতে নিদর্শনাদি রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৪২. আল্লাহ্ই জীবের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং নিদ্রার সময় যাদের মৃত্যু ঘটেনি তাদেরও। অতঃপর তিনি সে প্রাণগুলো রেখে দেন যেগুলোর মৃত্যু তিনি নির্ধারণ করেন এবং অপর (প্রাণ)-গুলো ফিরিয়ে দেন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে তাদের জন্যে যারা পর্যবেক্ষণ করে।
৪৩
Play Share Copy
اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ شُفَعَآءَ ؕ قُلۡ اَوَ لَوۡ کَانُوۡا لَا یَمۡلِکُوۡنَ شَیۡئًا وَّ لَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. তারা কি আল্লাহ্‌র মোকাবেলায় কিছু সুপারিশকারী গ্রহণ করে রেখেছে? আপনি বলুন, ‘যদিও কি তারা কোন কিছুর মালিক না হয় এবং না রাখে বিবেক, তবুও?’
ইরফানুল কুরআন
৪৩. তবে কি তারা আল্লাহ্‌র অনুমতির বিপরীতে কিছু (মূর্তিকে) সুপারিশকারী হিসেবে গ্রহণ করেছে? বলে দিন, ‘যদিও তাদের না আছে কোনো কিছুর মালিকানা, আর না তারা বুদ্ধিমান?’
৪৪
Play Share Copy
قُلۡ لِّلّٰہِ الشَّفَاعَۃُ جَمِیۡعًا ؕ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. আপনি বলুন, ‘সুপারিশ তো সবই আল্লাহ্‌র হাতে। তাঁরই জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব। অতঃপর তোমাদেরকে তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. বলে দিন, ‘সকল সুপারিশ (-এর অনুমতি) আল্লাহ্‌রই কর্তৃত্বে (যা তিনি নিজের নৈকট্যবানদের জন্যে নির্দিষ্ট করে রেখেছেন)। আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর রাজত্বও তাঁরই। অতঃপর তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
৪৫
Play Share Copy
وَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَحۡدَہُ اشۡمَاَزَّتۡ قُلُوۡبُ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ اِذَا ذُکِرَ الَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اِذَا ہُمۡ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং যখন এক আল্লাহ্‌র কথা উল্লেখ করা হয় তখন তাদের অন্তরসমূহ সংকুচিত হয়ে যায়, যারা পরকালের উপর ঈমান আনে না; এবং যখন তিনি ব্যতীত অন্যান্যদের কথা উল্লেখ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লাসিত হয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর যখন শুধু এক আল্লাহ্‌র স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হয় যারা পরকালে বিশ্বাস রাখে না, আর যখন আল্লাহ্‌র পরিবর্তে উল্লেখ করা হয় (তাদের উপাস্য) দেবতাদের, তখনই তারা আনন্দে উল্লসিত হয়।
৪৬
Play Share Copy
قُلِ اللّٰہُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ عٰلِمَ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ اَنۡتَ تَحۡکُمُ بَیۡنَ عِبَادِکَ فِیۡ مَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. আপনি আরয করুন, ‘হে আল্লাহ্‌! আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তুমি আপন বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবে- যে বিষয়ে তারা মতভেদ করতো।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আপনি আরয করুন! ‘হে আল্লাহ্! আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী! অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! তুমিই তোমার বান্দাদের মাঝে (সেসব বিষয়ের) ফায়সালা করবে যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো।’
৪৭
Play Share Copy
وَ لَوۡ اَنَّ لِلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مَا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا وَّ مِثۡلَہٗ مَعَہٗ لَافۡتَدَوۡا بِہٖ مِنۡ سُوۡٓءِ الۡعَذَابِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَ بَدَا لَہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مَا لَمۡ یَکُوۡنُوۡا یَحۡتَسِبُوۡنَ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং যদি যালিমদের জন্য থাকতো যা কিছু যমীনে রয়েছে সবই এবং তদসঙ্গে তার সমান, তবে এসব কিছু তারা ক্বিয়ামত দিবসের মহা শাস্তি থেকে মুক্তিপণরূপে দিয়ে দিতো। এবং তাদের নিকট আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে ওই বিষয় প্রকাশ পেয়েছে, যা তাদের ধারণায় ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর যদি অত্যাচারীদের জন্যে (সমস্ত সম্পদ ও উপভোগ সামগ্রীও) হয় যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে এবং এর সাথে এর সমপরিমাণ (আরো যুক্ত হয়), তবে তারা এগুলো কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তিপণরূপে দিয়ে দেবে। তবুও আল্লাহ্‌র নিকট থেকে তাদের জন্যে প্রকাশ পাবে এমন কিছু (শাস্তি) যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি।
৪৮
Play Share Copy
وَ بَدَا لَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا وَ حَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং তাদের নিকট তাদের অর্জিত মন্দসমূহ প্রকাশ হয়ে গেলো আর তাদের উপর এসে পড়লো তাই, যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করতো।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর তাদের নিকট (সমস্ত) অপকর্ম প্রকাশ হয়ে পড়বে যা তারা অর্জন করে রেখেছে এবং তাদেরকে পরিবেষ্টন করবে (শাস্তি) যা নিয়ে তারা উপহাস করতো।
৪৯
Play Share Copy
فَاِذَا مَسَّ الۡاِنۡسَانَ ضُرٌّ دَعَانَا ۫ ثُمَّ اِذَا خَوَّلۡنٰہُ نِعۡمَۃً مِّنَّا ۙ قَالَ اِنَّمَاۤ اُوۡتِیۡتُہٗ عَلٰی عِلۡمٍ ؕ بَلۡ ہِیَ فِتۡنَۃٌ وَّ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. অতঃপর যখন মানুষকে কোন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন আমাকে ডাকে। অতঃপর যখন তাকে আমার নিকট থেকে কোন নি’মাত দান করি তখন বলে, ‘এটা তো আমি এক জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি’। বরং তাতো পরীক্ষাই, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের জ্ঞান নেই।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. অতঃপর মানুষকে যখন কোনো দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করে তখন তারা আমাদেরকে আহ্বান করে; কিন্তু যখন আমরা তাকে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো নিয়ামত প্রদান করি, তখন সে বলতে থাকে, ‘এ নিয়ামত তো আমার নিকট এসেছে (আমার নিজের) জ্ঞান ও পরিকল্পনায়’। বরং এ এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
৫০
Play Share Copy
قَدۡ قَالَہَا الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. তাদের পূর্ববর্তীগণও এমন বলেছে, সুতরাং তারা যা উপার্জন করতো তা তাদের কোন কাজে আসে নি।
ইরফানুল কুরআন
৫০. প্রকৃতপক্ষে এসব (বিষয়) তারাও বলতো যারা তাদের পূর্বে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে, ফলে যা কিছু তারা অর্জন করেছে তা তাদের কোনো কাজে আসেনি।
৫১
Play Share Copy
فَاَصَابَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا ؕ وَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡ ہٰۤؤُلَآءِ سَیُصِیۡبُہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا ۙ وَ مَا ہُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. সুতরাং তাদের উপর আপতিত হয়েছে তাদের উপার্জনসমূহের মন্দ ফল এবং যারা তাদের মধ্যে যালিম, অবিলম্বে তাদের উপর আপতিত হবে তাদের কৃতকর্মসমূহের মন্দ ফল এবং তারা আয়ত্তের বাইরে যেতে পারে না।
ইরফানুল কুরআন
৫১. সুতরাং তাদের উপর আপতিত হয়েছে সেসব অনিষ্ট যা তারা অর্জন করে রেখেছিল, এবং তাদের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের উপর(ও) অচিরেই তাদের অর্জিত অনিষ্টগুলো আপতিত হবে। আর তারা (আল্লাহ্কে) প্রতিহত করতে পারে না।
৫২
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. তাদের কি জানা নেই যে, আল্লাহ্‌ যার জন্য ইচ্ছা করেন জীবিকা প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শনাদি রয়েছে ঈমানদারদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর তারা কি জানে না, আল্লাহ্ যার জন্যে চান রিযিক প্রশস্ত করেন এবং (যার জন্যে চান) সঙ্কুচিত করেন? নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে (প্রকৃত) ঈমানদারদের জন্যে।
৫৩
Play Share Copy
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. আপনি বলুন, হে আমার ওই বান্দাগণ! যারা নিজেদের আত্নার প্রতি অবিচার করেছো, আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয় তিনিই ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. বলে দিন, ‘হে আমার ওইসব বান্দাগণ, যারা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার করেছে! তোমরা আল্লাহ্‌র রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল গোনাহ ক্ষমা করবেন। অবশ্যই তিনি মহাক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’
৫৪
Play Share Copy
وَ اَنِیۡبُوۡۤا اِلٰی رَبِّکُمۡ وَ اَسۡلِمُوۡا لَہٗ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. এবং আপন রবের প্রতি প্রত্যাবর্তন করো এবং তার নিকট আত্নসমর্পণ করো এর পূর্বে যে, তোমাদের উপর শাস্তি এসে পড়বে অতঃপর তোমাদের সাহায্য করা হবে না।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট তওবা ও সম্পুর্ণ আনুগত্যে প্রত্যাবর্তন করো এবং তাঁর নিকট পরিপুর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করো তোমাদের উপর শাস্তি নেমে আসার পূর্বেই; এরপর তোমাদেরকে কোনো সাহায্য করা হবে না।
৫৫
Play Share Copy
وَ اتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এবং সেটারই অনুসরণ করো যা উত্তম থেকে অধিকতর উত্তম, তোমাদের রবের নিকট থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, এর পূর্বে যে শাস্তি তোমাদের উপর হঠাৎ এসে পড়বে, তখন তোমরা টেরও পাবে না;
ইরফানুল কুরআন
৫৫. আর অনুসরণ করো সে উৎকৃষ্ট (কিতাব)-এর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে; তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার পূর্বেই, তখন তোমরা টেরও পাবে না।
৫৬
Play Share Copy
اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰہِ وَ اِنۡ کُنۡتُ لَمِنَ السّٰخِرِیۡنَ ﴿ۙ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. যাতে কেউ একথা না বলে, ‘হায় আফসোস! ওই সব অপরাধের জন্য, যেগুলোর আমি আল্লাহ্‌ সম্পর্কে করেছি। নিশ্চয় আমি ঠাট্টা-বিদ্রূপই করতাম;
ইরফানুল কুরআন
৫৬. (এমন যেন না হয়,) কেউ একথা বলে, ‘হায় আফসোস সেসব অসম্পূর্ণতা ও অপারগতার যা আমি আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্যের (আনুগত্যের) ক্ষেত্রে করেছি। আর আমি তো উপহাসকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।’
৫৭
Play Share Copy
اَوۡ تَقُوۡلَ لَوۡ اَنَّ اللّٰہَ ہَدٰىنِیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. অথবা বলে, যদি আল্লাহ্‌ আমাকে পথ দেখাতেন তবে আমি খোদাভীরুদের অন্তর্ভুক্ত হতাম;’
ইরফানুল কুরআন
৫৭. অথবা বলে, ‘যদি আল্লাহ্ আমাকে পথ প্রদর্শন করতেন তবে অবশ্যই আমি পরহেযগারদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
৫৮
Play Share Copy
اَوۡ تَقُوۡلَ حِیۡنَ تَرَی الۡعَذَابَ لَوۡ اَنَّ لِیۡ کَرَّۃً فَاَکُوۡنَ مِنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. অথবা বলে, যখন শাস্তি দেখে ‘আহা! কোন মতে যদি আমার প্রত্যাবর্তনের সুযোগ মিলতো, তবে আমি সৎকর্ম করতাম!’
ইরফানুল কুরআন
৫৮. অথবা শাস্তি প্রত্যক্ষ করে বলতে থাকবে, ‘আহা, যদি একবার পার্থিব জীবনে আমার প্রত্যাবর্তন হতো তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হতাম’।
৫৯
Play Share Copy
بَلٰی قَدۡ جَآءَتۡکَ اٰیٰتِیۡ فَکَذَّبۡتَ بِہَا وَ اسۡتَکۡبَرۡتَ وَ کُنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. হাঁ, কেন এমন নয়? নিশ্চয়, তোমার নিকট আমার আয়াতসমূহ এসেছে। অতঃপর তুমি সেগুলোকে অস্বীকার করেছো ও অহঙ্কার করেছো এবং তুমি কাফির ছিলে।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. (প্রতিপালক বলবেন,) ‘হ্যাঁ, আমার আয়াতসমূহ তো নিশ্চিত তোমার নিকট এসেছিল, কিন্তু তুমি সেগুলোকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিলে এবং দাম্ভিকতা দেখিয়েছিলে। আর তুমি ছিলে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত।’
৬০
Play Share Copy
وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیۡنَ کَذَبُوۡا عَلَی اللّٰہِ وُجُوۡہُہُمۡ مُّسۡوَدَّۃٌ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡمُتَکَبِّرِیۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং ক্বিয়ামতের দিন আপনি দেখবেন তাদেরকেই, যারা আল্লাহ্‌ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করেছে যে, তাদের মুখমণ্ডল কালো। অহঙ্কারীদের ঠিকানা কি জাহান্নামের মধ্যে নয়?
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর কিয়ামতের দিন লক্ষ্য করবেন সেসব লোককে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল, তাদের চেহারা কালো বর্ণ ধারণ করবে। অহঙ্কারীদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয়?
৬১
Play Share Copy
وَ یُنَجِّی اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا بِمَفَازَتِہِمۡ ۫ لَا یَمَسُّہُمُ السُّوۡٓءُ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এবং আল্লাহ্‌ রক্ষা করবেন খোদাভীরুদেরকে তাদের মুক্তির স্থানে; না তাদেরকে শাস্তি স্পর্শ করবে এবং না তাদের দুঃখ থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আর যারা পরহেযগারিতা অবলম্বন করেছে তাদেরকে আল্লাহ্ তাদের সাফল্যসহ উদ্ধার করবেন। তাদেরকে কোনো অনিষ্ট স্পর্শ করবে না, আর তারা দুঃখিতও হবে না।
৬২
Play Share Copy
اَللّٰہُ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۫ وَّ ہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ وَّکِیۡلٌ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. আল্লাহ্‌ প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
ইরফানুল কুরআন
৬২. আল্লাহ্ সকল কিছুর সৃষ্টা এবং তিনি সকল কিছুর অভিভাবক।
৬৩
Play Share Copy
لَہٗ مَقَالِیۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. তাঁরই জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের চাবিসমূহ। এবং যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে তারাই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. তাঁরই নিকট আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর চাবিকাঠি। আর যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
৬৪
Play Share Copy
قُلۡ اَفَغَیۡرَ اللّٰہِ تَاۡمُرُوۡٓنِّیۡۤ اَعۡبُدُ اَیُّہَا الۡجٰہِلُوۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. আপনি বলুন, ‘তোমরা কি আমাকে আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে বলছো, হে অজ্ঞ লোকেরা?’
ইরফানুল কুরআন
৬৪. বলে দিন, ‘ওহে মূর্খের দল! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের উপাসনা করতে বলছো?’
৬৫
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ وَ اِلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ لَئِنۡ اَشۡرَکۡتَ لَیَحۡبَطَنَّ عَمَلُکَ وَ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. এবং নিশ্চয় ওহী করা হয়েছে আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি যে, ‘হে শ্রোতা! যদি তুমি আল্লাহ্‌র শরীক স্থির করো, তবে অবশ্যই তোমার সমস্ত কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং অবশ্য তুমি ক্ষতির মধ্যে থাকবে’।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. আর প্রকৃতপক্ষে আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীগণের প্রতি (অর্থাৎ পূর্বে প্রেরিত রাসূলগণের প্রতি এ) প্রত্যাদেশ করা হয়েছে, ‘(হে মানুষ!) যদি তুমি আল্লাহ্‌র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করো তবে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবেই এবং অবশ্যই তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।’
৬৬
Play Share Copy
بَلِ اللّٰہَ فَاعۡبُدۡ وَ کُنۡ مِّنَ الشّٰکِرِیۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. বরং আল্লাহ্‌রই বন্দেগী করো এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও!
ইরফানুল কুরআন
৬৬. সুতরাং তুমি আল্লাহ্‌র ইবাদত করো এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।
৬৭
Play Share Copy
وَ مَا قَدَرُوا اللّٰہَ حَقَّ قَدۡرِہٖ ٭ۖ وَ الۡاَرۡضُ جَمِیۡعًا قَبۡضَتُہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ السَّمٰوٰتُ مَطۡوِیّٰتٌۢ بِیَمِیۡنِہٖ ؕ سُبۡحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. এবং তারা আল্লাহ্‌র সম্মান করে নি যেমনিভাবে করা উচিত ছিলো, এবং তিনি ক্বিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবীকে জড়ো করে ফেলবেন এবং তার ক্ষমতায় সমস্ত আসমানকে জড়ো করা হবে। আর তিনি তাদের শির্ক থেকে পবিত্র ও বহু ঊর্ধ্বে।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. আর তারা আল্লাহ্কে যথোচিত মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করেনি যেরূপ তাঁর প্রাপ্য। আর কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর মুষ্টিতে এবং সমস্ত আকাশমন্ডলী ভাঁজ করা থাকবে তাঁর ডান হাতে (ক্ষমতার মুষ্টিতে)। তিনি পূতঃপবিত্র এবং সেসব কিছু থেকে তিনি ঊর্ধ্বে যেগুলোকে এরা অংশীদার সাব্যস্ত করে।
৬৮
Play Share Copy
وَ نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَصَعِقَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا مَنۡ شَآءَ اللّٰہُ ؕ ثُمَّ نُفِخَ فِیۡہِ اُخۡرٰی فَاِذَا ہُمۡ قِیَامٌ یَّنۡظُرُوۡنَ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে; তখন অজ্ঞান হয়ে পড়বে যারা আসমানসমূহের মধ্যে রয়েছে ও যারা যমীনে, কিন্তু যাকে আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করেন। অতঃপর তাতে দ্বিতীয়বার ফুঁৎকার দেওয়া হবে,তখনই তারা প্রত্যক্ষকারী অবস্থায় দাঁড়িয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. আর সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, ফলে যারা আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে রয়েছে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়বে; তারা ব্যতীত যাদেরকে আল্লাহ্ চাইবেন। অত:পর আবারোও সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে; ফলে তারা সকলে দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে।
৬৯
Play Share Copy
وَ اَشۡرَقَتِ الۡاَرۡضُ بِنُوۡرِ رَبِّہَا وَ وُضِعَ الۡکِتٰبُ وَ جِایۡٓءَ بِالنَّبِیّٖنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ قُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. এবং যমীন উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে আপন রবের জ্যোতিতে আর রাখা হবে কিতাব এবং উপস্থিত করা হবে নবীগণকে আর এ নবী ও তার উম্মতগণ যারা তাদের উপর সাক্ষী হবেন এবং মানুষের মধ্যে সত্য মীমাংসা করে দেওয়া হবে। আর তাদের প্রতি যুল্‌ম হবে না।
ইরফানুল কুরআন
৬৯. আর (বিচারের দিনে) পৃথিবী উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে তার প্রতিপালকের নূরের জ্যোতিতে এবং (সবার আমলনামার) কিতাব রাখা হবে। আর নবীগণকে ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে এবং মানুষের মাঝে সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে ফায়সালা করা হবে। আর তাদের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না।
৭০
Play Share Copy
وَ وُفِّیَتۡ کُلُّ نَفۡسٍ مَّا عَمِلَتۡ وَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. আর প্রত্যেক প্রাণকে তার কৃতকর্মের প্রতিফল পূর্ণরূপেই দেওয়া হবে, এবং তিনি ভালভাবেই জানেন যা তারা করতো।
ইরফানুল কুরআন
৭০. আর প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে, এবং তিনি ভালোভাবেই জানেন যা তারা করে।
৭১
Play Share Copy
وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی جَہَنَّمَ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡہَا فُتِحَتۡ اَبۡوَابُہَا وَ قَالَ لَہُمۡ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمۡ یَاۡتِکُمۡ رُسُلٌ مِّنۡکُمۡ یَتۡلُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتِ رَبِّکُمۡ وَ یُنۡذِرُوۡنَکُمۡ لِقَآءَ یَوۡمِکُمۡ ہٰذَا ؕ قَالُوۡا بَلٰی وَ لٰکِنۡ حَقَّتۡ کَلِمَۃُ الۡعَذَابِ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং কাফিরদেরকে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দলে দলে, শেষ পর্যন্ত, যখন সেখানে পৌঁছবে তখন সেটার দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে এবং সেটার দারোগা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদেরই মধ্য থেকে ওই রসূল আসেন নি, যিনি তোমাদের নিকট তোমাদের রবের আয়াতসমূহ পাঠ করতেন এবং তোমাদেরকে এই দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সতর্ক করতেন?’ তারা বলবে, ‘কেন নয়;’ কিন্তু শাস্তির বাণী কাফিরদের উপর ঠিকভাবে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর অবিশ্বাসীরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, অবশেষে যখন তারা এর নিকট পৌঁছুবে তখন এর প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেয়া হবে এবং এর প্রহরীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য থেকে কোনো রাসূল আসেননি যারা তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাতেন এবং তোমাদেরকে এ দিনের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করতেন?’ এরা বলবে, ‘হ্যাঁ’ (এসেছিলেন)’। বস্তুত কাফেরদের বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছিল।
৭২
Play Share Copy
قِیۡلَ ادۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ فَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. বলা হবে, ‘প্রবেশ করো জাহান্নামের দরজাসমূহে, তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য; সুতরাং কতই নিকৃষ্ট ঠিকানা অহঙ্কারীদের’।
ইরফানুল কুরআন
৭২. তাদেরকে বলা হবে, ‘জাহান্নামের দ্বারসমূহে প্রবেশ করো, (তোমরা) এতে চিরদিন অবস্থানকারী। সুতরাং কতোই না নিকৃষ্ট অহঙ্কারীদের আবাসস্থল!’
৭৩
Play Share Copy
وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ اِلَی الۡجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡہَا وَ فُتِحَتۡ اَبۡوَابُہَا وَ قَالَ لَہُمۡ خَزَنَتُہَا سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ طِبۡتُمۡ فَادۡخُلُوۡہَا خٰلِدِیۡنَ ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং যারা আপন রবকে ভয় করতো তাদের যানবাহনগুলো দলে দলে জান্নাতের দিকে চালিত হবে। শেষ পর্যন্ত যখন সেখানে পৌঁছবে এবং সেটার দ্বারসমূহ উন্মুক্ত থাকবে, এবং সেটার দারোগা তাদেরকে বলবে, ‘সালাম তোমাদের উপর! তোমরা সুখে থাকো। সুতরাং তোমরা জান্নাতে যাও স্থায়ীভাবে অবস্থান করার জন্য’।
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করতো তাদেরকে(ও) দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে; অবশেষে যখন তারা এর নিকটে পৌঁছুবে ও এর দ্বারসমূহ তাদের জন্যে (পূর্ব থেকেই) খুলে দেয়া হবে; তখন এর প্রহরীরা তাদেরকে (অভিবাদন জ্ঞাপন করে) বলবে, ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা সন্তুষ্ট ও আনন্দিত হও। আর স্থায়ী অবস্থানের জন্যে এতে প্রবেশ করো।’
৭৪
Play Share Copy
وَ قَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡ صَدَقَنَا وَعۡدَہٗ وَ اَوۡرَثَنَا الۡاَرۡضَ نَتَبَوَّاُ مِنَ الۡجَنَّۃِ حَیۡثُ نَشَآءُ ۚ فَنِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং তারা বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আমাদের প্রতি (সত্যই) পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির অধিকারী করেছেন যেন আমরা জান্নাতের মধ্যে অবশান করি যেখানেই ইচ্ছা করি; সুতরাং কতই উৎকৃষ্ট পুরস্কার সৎকর্মপরায়ণদের!
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর তারা (এ জান্নাতীরা) বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে উত্তরাধিকারী করেছেন জান্নাতের ভূমির, আমরা (এ) জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা বসবাস করবো।’ সুতরাং কতোই না উত্তম সৎকর্মপরায়ণদের প্রতিদান!
৭৫
Play Share Copy
وَ تَرَی الۡمَلٰٓئِکَۃَ حَآفِّیۡنَ مِنۡ حَوۡلِ الۡعَرۡشِ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ ۚ وَ قُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَ قِیۡلَ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এবং আপনি ফিরিশ্‌তাদেরকে দেখবেন- আরশের চতুপার্শ্বে বৃত্তাকার হয়ে আপন রবের প্রশংসা সহকারে তার পবিত্রতা ঘোষণা করছে; এবং মানুষের মধ্যে সত্য মীমাংসা করে দেওয়া হবে আর বলা হবে যে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি সমগ্র জগতের রব।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. আর (হে হাবীব!) আপনি দেখবেন যে, ফেরেশতারা আরশের চারপাশ ঘিরে রয়েছে, যারা তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে থাকবে। আর সবার মাঝে সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে ফায়সালা করা হবে এবং বলা হবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য, যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক’।