Back
ফাতের
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ جَاعِلِ الۡمَلٰٓئِکَۃِ رُسُلًا اُولِیۡۤ اَجۡنِحَۃٍ مَّثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ؕ یَزِیۡدُ فِی الۡخَلۡقِ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, ফিরিশ্‌তাদেরকে বার্তাবাহককারী, যাদের দু’ দু’ তিন তিন ও চার চার পাখা রয়েছে; সৃষ্টিতে বৃদ্ধি করেন যা ইচ্ছা করেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছুর উপর শক্তিমান।
ইরফানুল কুরআন
১. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই যিনি আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর (সমস্ত অনন্তের) সৃষ্টিকর্তা, যিনি বার্তাবাহক নিযুক্ত করেন ফেরেশতাদেরকে যারা দুই দুই, তিন তিন এবং চার চার ডানা বিশিষ্ট। আর সৃষ্টিকে যেমন ইচ্ছা বৃদ্ধি (এবং প্রশস্ত) করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
Play Share Copy
مَا یَفۡتَحِ اللّٰہُ لِلنَّاسِ مِنۡ رَّحۡمَۃٍ فَلَا مُمۡسِکَ لَہَا ۚ وَ مَا یُمۡسِکۡ ۙ فَلَا مُرۡسِلَ لَہٗ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. আল্লাহ্‌ যার রহমত মানুষের মধ্যে উন্মুক্ত করেন, তা’তে কেউ বাধা সৃষ্টিকারী নেই এবং তিনি যা কিছু রুদ্ধ করেন, তখন তার রুদ্ধ করার পর সেটাকে কেউ উন্মুক্তকারী নেই এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
২. আল্লাহ্ মানুষের জন্যে (স্বীয় ধনভান্ডারের) কোনো অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা রোধ করতে পারেনা এবং তিনি কিছু রুদ্ধ করলে কেউ তা মুক্ত করতে পারেনা। আর তিনিই পরাক্রমশালী, বড়ই প্রজ্ঞাবান।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ؕ ہَلۡ مِنۡ خَالِقٍ غَیۡرُ اللّٰہِ یَرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۫ۖ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. হে মানবকূল! তোমাদের উপর আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে স্মরণ করো। আল্লাহ্‌ ব্যতীত কি অন্য কোন সৃষ্টিকর্তাও আছে যে আসমান ও যমীন থেকে তোমাদেরকে জীবিকা প্রদান করে? তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং তোমরা কোথায় যাচ্ছো পৃষ্ঠদেশ কুজো করে?
ইরফানুল কুরআন
৩. হে মানুষ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ অবিরাম স্মরণ করো। আল্লাহ্ ছাড়া কি অন্য কোনো স্রষ্টা রয়েছে যে তোমাদেরকে আসমান এবং জমিন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। সুতরাং তোমরা কোথায় বিপথে চালিত হচ্ছো?
Play Share Copy
وَ اِنۡ یُّکَذِّبُوۡکَ فَقَدۡ کُذِّبَتۡ رُسُلٌ مِّنۡ قَبۡلِکَ ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. এবং যদি এরা আপনাকে অস্বীকার করে, তবে নিশ্চয় আপনার পূর্বে কতো রসূলকেই অস্বীকার করা হয়েছে এবং সমস্ত কাজ আল্লাহ্‌রই দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
ইরফানুল কুরআন
৪. আর যদি তারা আপনাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে তবে আপনার পূর্বেও অনেক রাসূলকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করা হয়েছিল। আর সকল বিষয় আল্লাহ্‌রই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ٝ وَ لَا یَغُرَّنَّکُمۡ بِاللّٰہِ الۡغَرُوۡرُ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. হে মানবকূল! নিশ্চয় আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং কখনো যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে পার্থিব জীবন; এবং কিছুতেই যেন তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র নির্দেশের উপর প্রতারণা না করে ওই বড় প্রতারক।
ইরফানুল কুরআন
৫. হে মানুষ! নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার সত্য। সুতরাং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে যেন কখনো প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক শয়তান যেন আল্লাহ্‌র ব্যাপারে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে।
Play Share Copy
اِنَّ الشَّیۡطٰنَ لَکُمۡ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوۡہُ عَدُوًّا ؕ اِنَّمَا یَدۡعُوۡا حِزۡبَہٗ لِیَکُوۡنُوۡا مِنۡ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ؕ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তোমরাও তাকে শত্রু মনে করো। সেতো আপন দলকে এ জন্যই আহ্বান করে যেন তারা দোযখীদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
ইরফানুল কুরআন
৬. শয়তান নিশ্চিত তোমাদের শত্রু; সুতরাং তোমরাও (তার বিরোধিতার মাধ্যমে) তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করো। সে তো তার দলবলকে কেবল এজন্যেই আহ্বান করে যে, তারা যেন জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
Play Share Copy
اَلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. কাফিরদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে এবং যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।
ইরফানুল কুরআন
৭. যারা অবিশ্বাস করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান।
Play Share Copy
اَفَمَنۡ زُیِّنَ لَہٗ سُوۡٓءُ عَمَلِہٖ فَرَاٰہُ حَسَنًا ؕ فَاِنَّ اللّٰہَ یُضِلُّ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ۫ۖ فَلَا تَذۡہَبۡ نَفۡسُکَ عَلَیۡہِمۡ حَسَرٰتٍ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. তবে কি সে-ই, যার দৃষ্টিতে তার মন্দ কর্ম শোভন করা হয়েছে, অতঃপর সে সেটাকে উত্তম মনে করেছে, সে কি হিদায়ত প্রাপ্তের মতো হয়ে যাবে? এ কারণে, আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেন যাকে চান এবং সৎপথ প্রদান করেন যাকে চান। সুতরাং আপনার প্রাণ যেন তাদের জন্য আক্ষেপের মধ্যে না যায়। আল্লাহ্‌ ভালোভাবে জানেন যা কিছু তারা করে থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৮. সুতরাং যার জন্যে তার মন্দকর্ম সুশোভিত করে দেখানো হয় এবং সে একে (সত্যিকারভাবেই) উত্তম মনে করতে থাকে, (সে কি সৎকর্মশীল মুমিনের ন্যায়?)। সুতরাং অবশ্যই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। কাজেই (হে জগতের প্রাণ!) তাদের জন্যে আক্ষেপ ও মনস্তাপে যেন আপনার প্রাণ ওষ্ঠাগত না হয়। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে আল্লাহ্‌ তা ভালো করেই জানেন।
Play Share Copy
وَ اللّٰہُ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ الرِّیٰحَ فَتُثِیۡرُ سَحَابًا فَسُقۡنٰہُ اِلٰی بَلَدٍ مَّیِّتٍ فَاَحۡیَیۡنَا بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ کَذٰلِکَ النُّشُوۡرُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং আল্লাহ্‌, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, যা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর আমি সেটাকে কোন নির্জীব শহরের দিকে পরিচালিত করি তারপর, তা দ্বারা আমি যমীনকে জীবন দান করি সেটার মৃত্যুর পর। এ রূপেই হচ্ছে হাশরে পুনরুত্থান।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর আল্লাহ্‌ই প্রেরণ করেন বায়ু যা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে একত্রিত করে। অতঃপর আমরা একে (এ মেঘমালাকে) নির্জীব এবং অনুর্বর ভূমির দিকে পরিচালিত করি। অতএব আমরা এর দ্বারা এ ধরিত্রীকে মৃত অবস্থার পর সঞ্জীবিত করি। এভাবেই (মৃতদেরকে) পুনরুত্থিত করা হবে।
১০
Play Share Copy
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡعِزَّۃَ فَلِلّٰہِ الۡعِزَّۃُ جَمِیۡعًا ؕ اِلَیۡہِ یَصۡعَدُ الۡکَلِمُ الطَّیِّبُ وَ الۡعَمَلُ الصَّالِحُ یَرۡفَعُہٗ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَمۡکُرُوۡنَ السَّیِّاٰتِ لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ؕ وَ مَکۡرُ اُولٰٓئِکَ ہُوَ یَبُوۡرُ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. যে কেউ সম্মান চায়, তবে সম্মান তো সব আল্লাহ্‌রই হাতে। তাঁরই দিকে আরোহণ করে পবিত্র বাণীসমূহ এবং যেই সৎকাজ আছে তা সেটাকে উন্নীত করে। এবং ওইসব লোক, যারা মন্দ চক্রান্ত করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। এবং তাদের চক্রান্ত বিনষ্ট হবে।
ইরফানুল কুরআন
১০. যে কেউ সম্মান চায়, তবে সকল সম্মান তো আল্লাহ্‌রই। তাঁরই সমীপে পবিত্র বাণীসমূহ সমুত্থিত হয় এবং তা সৎকর্মের (স্তরগুলোর) উন্নয়ন সাধন করে। আর যারা মন্দ কর্মের ফন্দি আঁটে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং তাদের প্রতারণা ও ফন্দি ব্যর্থ হবেই।
১১
Play Share Copy
وَ اللّٰہُ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ جَعَلَکُمۡ اَزۡوَاجًا ؕ وَ مَا تَحۡمِلُ مِنۡ اُنۡثٰی وَ لَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلۡمِہٖ ؕ وَ مَا یُعَمَّرُ مِنۡ مُّعَمَّرٍ وَّ لَا یُنۡقَصُ مِنۡ عُمُرِہٖۤ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ یَسِیۡرٌ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর পানি বিন্দু থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে করেছেন জোড়া জোড়া এবং কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং না সে প্রস্রব করে, কিন্তু তার জ্ঞাতসারে। এবং যে দীর্ঘায়ুকে আয়ু প্রদান করা হয় কিংবা যে কারো আয়ু হ্রাস করা হয়- এ সবই একটা কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহ্‌র জন্য সহজ।
ইরফানুল কুরআন
১১. আর আল্লাহ্‌ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হতে (অর্থাৎ অজৈব বস্তু হতে), অতঃপর শুক্রবিন্দু থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে করেছেন যুগল। আর তাঁর অজ্ঞাতসারে কোনো নারী গর্ভ ধারণও করে না এবং সন্তানও প্রসব করে না; আর কোনো বয়স্ক ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধিও করা হয় না এবং তার আয়ু হ্রাসও করা হয় না, তবে (এসব কিছু) সংরক্ষিত রয়েছে কিতাবে (লওহে মাহফুজে)। নিশ্চয়ই তা আল্লাহ্‌র জন্যে অতি সহজ।
১২
Play Share Copy
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡبَحۡرٰنِ ٭ۖ ہٰذَا عَذۡبٌ فُرَاتٌ سَآئِغٌ شَرَابُہٗ وَ ہٰذَا مِلۡحٌ اُجَاجٌ ؕ وَ مِنۡ کُلٍّ تَاۡکُلُوۡنَ لَحۡمًا طَرِیًّا وَّ تَسۡتَخۡرِجُوۡنَ حِلۡیَۃً تَلۡبَسُوۡنَہَا ۚ وَ تَرَی الۡفُلۡکَ فِیۡہِ مَوَاخِرَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِہٖ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং সমুদ্র দু’টি একরূপ নয়। এটা সুমিষ্ট, খুব মিষ্ট পানি, যার পানি সুপেয় এবং এটা লোনা, তিক্ত। এবং প্রত্যেকটা থেকে তোমরা আহার করছো তাজা গোশত এবং বের করছো পরিধান করার এক গয়না। আর তুমি নৌযানগুলোকে তাতে দেখো যে, সেগুলো পানির বুকে চিরে চলাচল করে, যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পারো। এবং কোন মতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর সমুদ্র (বা নদী) দু’টি এক রকম নয়। একটি সুমিষ্ট, পিপাসা নিবারণকারী, সুপেয়, আর অপরটি লোনা, খুবই তিক্ত। আর তোমরা প্রতিটি থেকে আহার করো তাজা গোশত; এবং আহরণ করো (মুক্তা, মারজান এবং প্রবাল সম্বলিত) অলংকার যা তোমরা পরিধান করো। আর তোমরা লক্ষ্য করো এতে নৌকা (এবং জাহাজসমূহ পানি) ভেদ করে চলাচল করে, যাতে তোমরা (সমুদ্রে বাণিজ্যপথে) তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।
১৩
Play Share Copy
یُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَ یُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۙ وَ سَخَّرَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ۫ۖ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ لَہُ الۡمُلۡکُ ؕ وَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مَا یَمۡلِکُوۡنَ مِنۡ قِطۡمِیۡرٍ ﴿ؕ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. রাতকে প্রবেশ করান দিনের অংশে এবং দিনকে প্রবেশ করান রাতের অংশে। এবং তিনি কাজে নিয়োজিত করেছেন সূর্য ও চাদকে। প্রত্যেকটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছে। তিনিই আল্লাহ্‌, তোমাদের রব, বাদশাহী তাঁরই। এবং তিনি ব্যতীত যেগুলোর তোমরা পূজা করছো, সেগুলোর খেজুর-আটির আবরণেরও মালিক নয়।
ইরফানুল কুরআন
১৩. তিনি রাত্রিকে প্রবিষ্ট করান দিবসে আর দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রিতে। আর তিনি সূর্য এবং চন্দ্রকে (একটি নিয়মের) অধীনস্ত করে রেখেছেন। সকল কিছুই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবর্তিত। তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌ এরকমই, সমস্ত রাজত্ব তাঁরই। আর তোমরা তাঁকে ব্যতীত যাদেরকে ডাকো তারা খর্জুর বীজের শীর্ণ আবরণেরও অধিকারী নয়।
১৪
Play Share Copy
اِنۡ تَدۡعُوۡہُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡا دُعَآءَکُمۡ ۚ وَ لَوۡ سَمِعُوۡا مَا اسۡتَجَابُوۡا لَکُمۡ ؕ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یَکۡفُرُوۡنَ بِشِرۡکِکُمۡ ؕ وَ لَا یُنَبِّئُکَ مِثۡلُ خَبِیۡرٍ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. তোমরা সেগুলোকে আহ্বান করলে সেগুলো তোমাদের আহ্বান শুনে না এবং যদি শুনছে বলে ধরে নেওয়া হয়, তবে তোমাদের চাহিদা মেটাতে পারে না। এবং ক্বিয়ামত দিবসে সেগুলো তোমাদের শির্ককে অস্বীকার করবে। এবং তোমাকে কিছুই বলবে না ওই বর্ণনাকারীর মতো।
ইরফানুল কুরআন
১৪. (হে মুশরিকেরা!) যদি তোমরা তাদেরকে ডাকো, তারা (এসব মূর্তি) তোমাদের ডাক শুনে না; আর যদি (ধরে নেয়া হয়) তারা শুনে, তবে তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে পারে না। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের অংশীদার করাকে তারা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করবে। আর তোমাকে সর্বজ্ঞ আল্লাহ্‌র ন্যায় আর কেউ অবহিত করবেন না।
১৫
Play Share Copy
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ اِلَی اللّٰہِ ۚ وَ اللّٰہُ ہُوَ الۡغَنِیُّ الۡحَمِیۡدُ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. হে মানবকূল! তোমরা সবই আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী, আর আল্লাহ্‌ই অভাবমুক্ত, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিত।
ইরফানুল কুরআন
১৫. হে মানুষ! তোমরা সবাই আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী; কিন্তু আল্লাহই অমুখাপেক্ষী, প্রশংসা ও গুণগানের সর্বাধিক উপযুক্ত।
১৬
Play Share Copy
اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ﴿ۚ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তিনি চাইলে তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন, এবং নতুন সৃষ্টি নিয়ে আসবেন।
ইরফানুল কুরআন
১৬. তিনি চাইলে তোমাদেরকে ধ্বংস করবেন এবং নতুন সৃষ্টি আনয়ন করবেন।
১৭
Play Share Copy
وَ مَا ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ بِعَزِیۡزٍ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং এটা আল্লাহ্‌র জন্য কঠিন কিছু নয়।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর তা আল্লাহ্‌র জন্যে মোটেই কোনো কঠিন কিছু নয়।
১৮
Play Share Copy
وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ وَ اِنۡ تَدۡعُ مُثۡقَلَۃٌ اِلٰی حِمۡلِہَا لَا یُحۡمَلۡ مِنۡہُ شَیۡءٌ وَّ لَوۡ کَانَ ذَا قُرۡبٰی ؕ اِنَّمَا تُنۡذِرُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ ؕ وَ مَنۡ تَزَکّٰی فَاِنَّمَا یَتَزَکّٰی لِنَفۡسِہٖ ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং কোন বোঝা বহনকারী প্রাণ অন্যের বোঝা বহন করবে না। এবং যদি কোন বোঝাধারী আপন বোঝা বহন করার জন্য কাউকে ডাকে, তবে তার বোঝা থেকে কেউ কিছুই বহন করবে না, যদিও নিকটাত্নীয় হয়। হে মাহবূব! আপনার সতর্ক করা তাদেরই উপকারে আসে যারা না দেখে আপন রবকে ভয় করে এবং নামায ক্বায়েম রাখে। আর যে পবিত্র হয়েছে, তবে সে নিজেরই কল্যাণার্থে পবিত্র হয়েছে। এবং আল্লাহ্‌রই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর কোনো বোঝা বহনকারী অপরের (গোনাহের) বোঝা বহন করবে না। আর যদি বোঝায় নিমজ্জিত কেউ (অপরকে) তার বোঝার ভাগ নেয়ার জন্যে ডাকে, তবে নিকটাত্মীয় হলেও তার কোনো বোঝাই সে বহন করবে না। (হে হাবীব!) আপনি তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করতে পারেন যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখেই ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। আর যে কেউ পবিত্রতা অর্জন করে সে তো তার নিজের কল্যাণের জন্যেই পবিত্রতা অর্জন করে। আর আল্লাহ্‌রই দিকে প্রত্যাবর্তন।
১৯
Play Share Copy
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡاَعۡمٰی وَ الۡبَصِیۡرُ ﴿ۙ۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান;
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান হয় না;
২০
Play Share Copy
وَ لَا الظُّلُمٰتُ وَ لَا النُّوۡرُ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং না অন্ধকারসমূহ ও আলো।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর না (সমান হয়) অন্ধকার এবং আলো।
২১
Play Share Copy
وَ لَا الظِّلُّ وَ لَا الۡحَرُوۡرُ ﴿ۚ۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. আর না ছায়া এবং না প্রখর রোদ।
ইরফানুল কুরআন
২১. আর না ছায়া এবং না রৌদ্র্র।
২২
Play Share Copy
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡاَحۡیَآءُ وَ لَا الۡاَمۡوَاتُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُسۡمِعُ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَاۤ اَنۡتَ بِمُسۡمِعٍ مَّنۡ فِی الۡقُبُوۡرِ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং সমান নয় জীবিতরা ও মৃতরা। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শুনান যাকে চান। এবং আপনি শুনান না তাদেরকে, যারা কবরগুলোতে পড়ে আছে।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর না সমান হয় জীবিত এবং মৃত। অবশ্যই আল্লাহ যাকে চান শ্রবণ করান। আর আপনার দায়িত্ব নয় তাদেরকে শুনানো যারা কবরে (সমাধিস্থ) রয়েছে। (অর্থাৎ কাফেরদেরকে আপনার কথা মানতে বাধ্য করার দায়িত্ব আপনার নয়।)* * এখানে ‘মান ফিল কুবুর’ (কবরে সমাধিস্থ) দ্বারা কাফেরদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। তাফসীরের ইমামগণ সাহাবা ও তাবেয়ীন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে এরূপ অর্থই বর্ণনা করেছেন। রেফারেন্স হিসেবে দেখুন, তাফসীরুল লুবাব লি ইবনে আদিল দামেশকী, তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরুল বাগভী, যাদুল মুয়াস্সার লি ইবনিল জাওযী, তাফসীরুল খাযিন, তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরুল লুবাব লি আবি হাফস হাম্বলী, আদ্ দুররুল মানসুর লিস সুয়ুতী এবং ফাতহুল কাদীর লিশ শাওকানী।
২৩
Play Share Copy
اِنۡ اَنۡتَ اِلَّا نَذِیۡرٌ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আপনি তো হোন এই সতর্ককারী।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আপনি তো কেবল সর্তককারী।
২৪
Play Share Copy
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ اُمَّۃٍ اِلَّا خَلَا فِیۡہَا نَذِیۡرٌ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. হে মাহবূব! নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং যে কোন সম্প্রদায়ই ছিলো, সবটির মধ্যে একজন সতর্ককারী গত হয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
২৪. নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে সত্য ও হেদায়াত সহকারে সুসংবাদদাতা এবং (পরকালের) সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; আর এমন কোনো উম্মাহ (বা সম্প্রদায়) নেই যাদের মাঝে কোনো (না কোনো) সর্তককারীর আগমন ঘটেনি।
২৫
Play Share Copy
وَ اِنۡ یُّکَذِّبُوۡکَ فَقَدۡ کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ۚ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ وَ بِالزُّبُرِ وَ بِالۡکِتٰبِ الۡمُنِیۡرِ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং যদি এরা আপনাকে অস্বীকার করে, তবে তাদের পূর্ববর্তীগণও অস্বীকার করেছে। তাদের নিকট তাদের রসূলগণ এসেছেন সুস্পষ্ট প্রমাণাদি ও পুস্তিকাদি ও দীপ্তিমান কিতাব নিয়ে।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর এরা যদি আপনাকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে, তবে এদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল। তাদের নিকটে(ও) আগমন করেছিলেন তাদের রাসূলগণ, সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী, সহীফা ও দীপ্তিমান কিতাবসহ।
২৬
Play Share Copy
ثُمَّ اَخَذۡتُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَکَیۡفَ کَانَ نَکِیۡرِ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. অতঃপর আমি কাফিরদেরকে পাকড়াও করেছি। সুতরাং কেমন হলো আমার অস্বীকার?
ইরফানুল কুরআন
২৬. অতঃপর আমি ওই কাফেরদেরকে (শাস্তির মাধ্যমে) গ্রাস করেছিলাম। সুতরাং (তাদের) আমাকে অস্বীকার করা কেমন (ভয়ানক) প্রমাণিত হলো!
২৭
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَخۡرَجۡنَا بِہٖ ثَمَرٰتٍ مُّخۡتَلِفًا اَلۡوَانُہَا ؕ وَ مِنَ الۡجِبَالِ جُدَدٌۢ بِیۡضٌ وَّ حُمۡرٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہَا وَ غَرَابِیۡبُ سُوۡدٌ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্‌ আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর আমি তা দ্বারা বিচিত্র বর্ণের ফলমূল উৎপন্ন করেছি এবং পর্বতগুলোর মধ্যে রয়েছে পথসমূহ-সাদা ও লাল, বিভিন্ন রঙ এর এবং কিছু নিকষ কালো।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আপনি কি দেখেননি, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি অবতরণ করে থাকেন? অতঃপর আমরা তা থেকে বিচিত্র বর্ণের ফলমূল উদ্গত করি। আর (এভাবে) পর্বতমালায়ও বিচিত্র বর্ণের গিরিপথ রয়েছে যাদের রং শুভ্র ও লাল, আর রয়েছে নিকষ কালো (গিরিপথ)ও।
২৮
Play Share Copy
وَ مِنَ النَّاسِ وَ الدَّوَآبِّ وَ الۡاَنۡعَامِ مُخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہٗ کَذٰلِکَ ؕ اِنَّمَا یَخۡشَی اللّٰہَ مِنۡ عِبَادِہِ الۡعُلَمٰٓؤُا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ غَفُوۡرٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং মানবকূল, জন্তুসমূহ ও চতুষ্পদ পশুগুলোর রঙ এমনিতেই নানা ধরনের। আল্লাহ্‌কে তার বান্দাদের মধ্যে তারাই ভয় করে, যারা জ্ঞানসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সম্মানিত, ক্ষমাশীল।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর এভাবে মানুষ, পশু ও চতুষ্পদ জন্তুর মাঝেও বৈচিত্র রয়েছে। সুতরাং আল্লাহ্‌র বান্দাদের মধ্যে তারাই তাঁকে ভয় করে যারা (অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে এসব বাস্তবতার) জ্ঞান রাখে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, মহাক্ষমাশীল।
২৯
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّ عَلَانِیَۃً یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ ﴿ۙ۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র কিতাব পাঠ করে; নামায কায়েম রাখে এবং আমার প্রদত্ত সম্পদ থেকে কিছু আমার পথে ব্যয় করে- গোপনে ও প্রকাশ্যে, তারা এমনি ব্যবসার আশাবাদী যাতে কখনো লোকসান নেই;
ইরফানুল কুরআন
২৯. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্‌র কিতাব তেলাওয়াত করে, নামায কায়েম রাখে এবং আমরা তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা আশা রাখে (পরকালীন) এমন বাণিজ্যের যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না,
৩০
Play Share Copy
لِیُوَفِّیَہُمۡ اُجُوۡرَہُمۡ وَ یَزِیۡدَہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّہٗ غَفُوۡرٌ شَکُوۡرٌ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. যাতে তাদের প্রতিদান তাদেরকে পূর্ণমাত্রায় দেন এবং আপন অনুগ্রহে আরো অধিক দান করেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, মূল্যায়নকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩০. যাতে আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেন এবং স্বীয় অনুগ্রহ থেকে তাদেরকে আরও বেশি দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, কৃতজ্ঞতা গ্রহণকারী।
৩১
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ ہُوَ الۡحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِعِبَادِہٖ لَخَبِیۡرٌۢ بَصِیۡرٌ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. এবং ওই কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, তাই সত্য, নিজের পূর্ববর্তী কিতাবাদির সত্যতা ঘোষণা করে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ আপন বান্দাদের খবর রাখেন, দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর এ কিতাব (কুরআন) যা আমরা আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণরূপে অবগত, সর্বদ্রষ্টা।
৩২
Play Share Copy
ثُمَّ اَوۡرَثۡنَا الۡکِتٰبَ الَّذِیۡنَ اصۡطَفَیۡنَا مِنۡ عِبَادِنَا ۚ فَمِنۡہُمۡ ظَالِمٌ لِّنَفۡسِہٖ ۚ وَ مِنۡہُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ۚ وَ مِنۡہُمۡ سَابِقٌۢ بِالۡخَیۡرٰتِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَضۡلُ الۡکَبِیۡرُ ﴿ؕ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. অতঃপর আমি কিতাবের উত্তরাধিকারী করলাম আপন মনোনীত বান্দাদেরকে। সুতরাং তাদের মধ্যে কেউ আপন প্রাণের প্রতি অত্যাচার করে এবং তাদের মধ্যে কেউ মধ্যম চালচলনের, আর তাদের মধ্যে কেউ এমন রয়েছে, যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশে সৎকর্মগুলোর মধ্যে অগ্রগামী হয়ে গেছে। এটা মহা অনুগ্রহ।
ইরফানুল কুরআন
৩২. অতঃপর আমরা এ কিতাব (কুরআন)-এর উত্তরাধিকারী করলাম তাদেরকে যাদেরকে আমরা আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি (অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের উম্মতকে)। সুতরাং তাদের কেউ নিজের প্রতি অন্যায়কারী, তাদের কেউ মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের কেউ আল্লাহ্‌র নির্দেশে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। এটিই (অগ্রগতি এবং নিখুঁত হবার) মহাঅনুগ্রহ।
৩৩
Play Share Copy
جَنّٰتُ عَدۡنٍ یَّدۡخُلُوۡنَہَا یُحَلَّوۡنَ فِیۡہَا مِنۡ اَسَاوِرَ مِنۡ ذَہَبٍ وَّ لُؤۡلُؤًا ۚ وَ لِبَاسُہُمۡ فِیۡہَا حَرِیۡرٌ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. তারা বসবাসের বাগানসমূহে প্রবেশ করবে; তাদেরকে সেগুলোর মধ্যে স্বর্ণের কঙ্কন ও মুক্তা পরানো হবে এবং সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমী।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. (চিরকাল বসবাসের জান্নাত) আদনের উদ্যানসমূহ, যাতে তারা প্রবেশ করবে। সেখানে তাদেরকে স্বর্ণ ও মুক্তা নির্মিত কাঁকন দ্বারা সুসজ্জিত করা হবে এবং সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।
৩৪
Play Share Copy
وَ قَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡۤ اَذۡہَبَ عَنَّا الۡحَزَنَ ؕ اِنَّ رَبَّنَا لَغَفُوۡرٌ شَکُوۡرُۨ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং বলেব, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই নিমিত্ত, যিনি আমাদের দুঃখ দূরীভূত করেছেন। নিশ্চয় আমাদের রব ক্ষমাশীল, মূল্যায়নকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর তারা বলবে, ‘সমস্ত কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা আল্লাহ্‌র, যিনি আমাদের সকল দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন। নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালক মহাক্ষমাশীল, কৃতজ্ঞতা গ্রহণকারী;
৩৫
Play Share Copy
الَّذِیۡۤ اَحَلَّنَا دَارَ الۡمُقَامَۃِ مِنۡ فَضۡلِہٖ ۚ لَا یَمَسُّنَا فِیۡہَا نَصَبٌ وَّ لَا یَمَسُّنَا فِیۡہَا لُغُوۡبٌ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. তিনিই যিনি আমাদেরকে আরামের স্থানে অবতরণ করিয়েছেন, আপন অনুগ্রহে; যেখানে না কোন কষ্ট আমাদেরকে স্পর্শ করে, না সেখানে আমাদেরকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করে’।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. যিনি আমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে স্থায়ী আবাসস্থল দিয়েছেন যেখানে আমাদেরকে না কোনো ক্লেশ স্পর্শ করবে, আর না কোনো অবসাদ স্পর্শ করবে।
৩৬
Play Share Copy
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَہُمۡ نَارُ جَہَنَّمَ ۚ لَا یُقۡضٰی عَلَیۡہِمۡ فَیَمُوۡتُوۡا وَ لَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمۡ مِّنۡ عَذَابِہَا ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ کُلَّ کَفُوۡرٍ ﴿ۚ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং যারা কুফর করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। না তাদের প্রতি আদেশ আসবে যে, মরে যাবে এবং না তাদের উপর সেটার শাস্তি কিছুটা হাল্কা করা হবে। আমি এভাবেই শাস্তি দিই প্রত্যেক বড় অকৃতজ্ঞকে।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর যারা কুফরী করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদের জন্যে না (মৃত্যুর) ফায়সালা করা হবে যে, তারা মৃত্যু বরণ করবে, আর না তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে। এভাবেই আমরা প্রত্যেক অবাধ্যকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
৩৭
Play Share Copy
وَ ہُمۡ یَصۡطَرِخُوۡنَ فِیۡہَا ۚ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا نَعۡمَلۡ صَالِحًا غَیۡرَ الَّذِیۡ کُنَّا نَعۡمَلُ ؕ اَوَ لَمۡ نُعَمِّرۡکُمۡ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیۡہِ مَنۡ تَذَکَّرَ وَ جَآءَکُمُ النَّذِیۡرُ ؕ فَذُوۡقُوۡا فَمَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ نَّصِیۡرٍ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং তারা তাতে আর্তনাদ করে বলতে থাকবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করো যেন আমরা সৎকাজ করি, সেটারই বিপরীত, যা আমরা পূর্বে করতাম। আমি কি তোমাদেরকে ওই জীবন দান করিনি, যাতে অনুধাবন করতো যার অনুধাবন ক্ষমতা আছে এবং সতর্ককারী তোমাদের নিকট তাশরীফ এনেছিলেন। সুতরাং এখন স্বাদ গ্রহণ করো; যেহেতু যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর তারা ওই দোযখে চিৎকার করবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে (এখান থেকে) বের করো। (এখন) আমরা সৎকর্ম করবো; (পূর্বে) আমরা যা করতাম এর বিপরীতে।’ (আল্লাহ্ বলবেন:) ‘আমরা কি তোমাদেরকে পর্যাপ্ত দীর্ঘ জীবন দান করিনি যে, এতে কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে চাইলে সে তা করতে পারতো? আর (এরপরও) তোমাদের নিকট সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং এখন (শাস্তির) স্বাদ গ্রহণ করো; আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’
৩৮
Play Share Copy
اِنَّ اللّٰہَ عٰلِمُ غَیۡبِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জ্ঞাত আসমানসমূহ ও যমীনের প্রত্যেক অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে। নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহের কথা জানেন।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ে অবগত। নিঃসন্দেহে অন্তরে যা (লুকায়িত) রয়েছে সে বিষয়ে তিনি সম্যক অবগত।
৩৯
Play Share Copy
ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَکُمۡ خَلٰٓئِفَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَمَنۡ کَفَرَ فَعَلَیۡہِ کُفۡرُہٗ ؕ وَ لَا یَزِیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ کُفۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ اِلَّا مَقۡتًا ۚ وَ لَا یَزِیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ کُفۡرُہُمۡ اِلَّا خَسَارًا ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. তিনিই, যিনি তোমাদেরকে যমীণের মধ্যে পূর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন। সুতরাং যে কুফর করে, তার কুফরের অশুভ পরিণাম তাঁরই উপর বর্তাবে; এবং কাফিরদের জন্য তাদের কুফর তাদের রবের নিকট কেবল অসন্তুষ্টিই বৃদ্ধি করবে; এবং কাফিরদের জন্য তাদের কুফর বৃদ্ধি করবে না, কিন্তু ক্ষতিই।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে (পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের) প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং যে কুফরী করে, তার কুফরীর দায় তারই হবে। আর কাফেরদের কুফরী তাদের প্রতিপালকের অসন্তুষ্টিই কেবল বৃদ্ধি করে এবং কাফেরদের কুফরী তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
৪০
Play Share Copy
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ شُرَکَآءَکُمُ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ اَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ اَمۡ لَہُمۡ شِرۡکٌ فِی السَّمٰوٰتِ ۚ اَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ کِتٰبًا فَہُمۡ عَلٰی بَیِّنَتٍ مِّنۡہُ ۚ بَلۡ اِنۡ یَّعِدُ الظّٰلِمُوۡنَ بَعۡضُہُمۡ بَعۡضًا اِلَّا غُرُوۡرًا ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. আপনি বলুন, ‘ভালো, বলতো! তোমাদের ওই শরীকগণ, যাদেরকে আল্লাহ্‌ ব্যতীত পূজা করো, আমাকে দেখাও! তারা যমীন থেকে কোন অংশটা সৃষ্টি করেছে অথবা আসমানসমূহের মধ্যে তাদের কোন অংশ আছে? না আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যে, তারা সেটার সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহের উপর রয়েছে? বরং যালিমগণ পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে কেবল প্রতারণারই প্রতিশ্রুতি দেয়।
ইরফানুল কুরআন
৪০. বলুন, ‘আল্লাহ্ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা করো তোমাদের সেসব অংশীদারদেরকে কি তোমরা দেখেছো? আমাকে দেখাও পৃথিবীতে তারা কী সৃষ্টি করেছে। অথবা আকাশমন্ডলীর (সৃষ্টির) মাঝে তাদের কোনো অংশ রয়েছে কী? অথবা আমরা কি তাদেরকে কোনো কিতাব দিয়েছি যার প্রমাণের উপর এরা নির্ভর করে?’ (কিছুই না) বরঞ্চ অত্যাচারীরা একে অপরকে ধোঁকা ছাড়া কোনো প্রতিশ্রুতিই দেয় না।
৪১
Play Share Copy
اِنَّ اللّٰہَ یُمۡسِکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ اَنۡ تَزُوۡلَا ۬ۚ وَ لَئِنۡ زَالَتَاۤ اِنۡ اَمۡسَکَہُمَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ধরে রেখেছেন আসমানসমূহ ও যমীনকে যাতে নড়াচড়া না করে। এবং যদি সেগুলো স্থানচ্যুত হয়ে যায় তবে সেগুলোকে কে রুখে রাখবে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত? নিশ্চয় তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
ইরফানুল কুরআন
৪১. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে (তাঁর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার মাধ্যমে) ধরে রেখেছেন যাতে তারা (স্ব-স্ব স্থান এবং কক্ষপথ থেকে) স্থানচ্যুত না হয়। আর যদি এরা উভয়েই স্থানচ্যুত হতে থাকে তবে তাঁর পরে কেউই এদেরকে ধরে রাখতে পারবে না। নিশ্চয়ই তিনি অতি সহনশীল, মহাক্ষমাপরায়ণ।
৪২
Play Share Copy
وَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰہِ جَہۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ لَئِنۡ جَآءَہُمۡ نَذِیۡرٌ لَّیَکُوۡنُنَّ اَہۡدٰی مِنۡ اِحۡدَی الۡاُمَمِ ۚ فَلَمَّا جَآءَہُمۡ نَذِیۡرٌ مَّا زَادَہُمۡ اِلَّا نُفُوۡرَۨا ﴿ۙ۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. এবং তারা আল্লাহ্‌র শপথ করেছে, আপন শপথগুলোর মধ্যে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা সহকারে যে, যদি তাদের নিকট কোন সতর্ককারী আসে, তবে তারা অবশ্যই কোন না কোন দল অপেক্ষা অধিকতর সৎপথের অনুসারী হবে। অতঃপর যখন তাদের নিকট সতর্ককারী তাশরীফ আনলেন, তখন তিনি তাদের জন্য কেবল ঘৃণা করাই বৃদ্ধি করেন-
ইরফানুল কুরআন
৪২. আর তারা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহ্‌র শপথ করতো যে, যদি তাদের কাছে কোনো সতর্ককারী আসে তবে তারা অবশ্যই অন্য সকল সম্প্রদায় অপেক্ষা সৎপথের অধিকতর অনুসারী হবে। অতঃপর যখন তাদের নিকট সতর্ককারী (সর্বশেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) আগমন করলেন তখন তা কেবল সত্য থেকে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করলো।
৪৩
Play Share Copy
اسۡتِکۡـبَارًا فِی الۡاَرۡضِ وَ مَکۡرَ السَّیِّیَٴ ؕ وَ لَا یَحِیۡقُ الۡمَکۡرُ السَّیِّیٴُ اِلَّا بِاَہۡلِہٖ ؕ فَہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا سُنَّتَ الۡاَوَّلِیۡنَ ۚ فَلَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰہِ تَبۡدِیۡلًا ۬ۚ وَ لَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰہِ تَحۡوِیۡلًا ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. যমীনের মধ্যে অহঙ্কার করা এবং মন্দ ষড়যন্ত্রের কারণে। মন্দ ষড়যন্ত্রের কুফল ষড়যন্ত্রকারীদের উপরই আপতিত হয়। সুতরাং তারা কিসের অপেক্ষায় রয়েছে? কিন্তু সেটারই, যা পূর্ববর্তীদের বেলায় অনুসৃত প্রথাই ছিলো। সুতরাং তুমি কখনো আল্লাহ্‌র বিধানে পরিবর্তন পাবে না এবং কখনো আল্লাহ্‌র আইনে কোন ব্যতিক্রমও পাবে না।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. (তারা) পৃথিবীতে নিজেদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা এবং কুট ষড়যন্ত্র বিস্তার (বেছে নিয়েছিল)। আর কুট ষড়যন্ত্র কেবল এর পরিকল্পনাকারীকেই পরিবেষ্টন করে। সুতরাং তারা পূর্ববর্তীদের (শাস্তির) বিধান ব্যতীত (অন্য কিছুরই) প্রতীক্ষা করছে না। কাজেই আপনি আল্লাহ্‌র বিধানে কখনোই কোনো পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহ্‌র বিধানে কোনো ব্যতিক্রম (ও বিচ্যুতি) খুঁজেও পাবেন না।
৪৪
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ وَ کَانُوۡۤا اَشَدَّ مِنۡہُمۡ قُوَّۃً ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰہُ لِیُعۡجِزَہٗ مِنۡ شَیۡءٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّہٗ کَانَ عَلِیۡمًا قَدِیۡرًا ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. এবং তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে নি? তাহলে দেখতো তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে এবং তারা এদের অপেক্ষা শক্তিতে অধিকতর শক্ত ছিলো। এবং আল্লাহ্‌ এমন নন যে, তার আয়ত্ব থেকে কোন কিছু বের হতে পারে- আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে। নিশ্চয় তিনি জ্ঞানময়, শক্তিমান।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. এরা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি, অতঃপর দেখেনি সেসব লোকেদের পরিণাম কেমন হয়েছিল যারা তাদের পূর্বে গত হয়েছে? অথচ তারা ছিল এদের চেয়ে আরো অধিক শক্তিশালী। আর আল্লাহ্ এমন নন যে, আকাশমন্ডলীতে কোনো কিছু কিংবা পৃথিবীতে (এমন কিছু রয়েছে যা) তাঁকে অক্ষম করতে পারে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
৪৫
Play Share Copy
وَ لَوۡ یُؤَاخِذُ اللّٰہُ النَّاسَ بِمَا کَسَبُوۡا مَا تَرَکَ عَلٰی ظَہۡرِہَا مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّ لٰکِنۡ یُّؤَخِّرُہُمۡ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُہُمۡ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِعِبَادِہٖ بَصِیۡرًا ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং যদি আল্লাহ্‌ মানবকুলকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতেন, তবে পৃথিবীপৃষ্ঠে বিচরণকারীকেই ছাড়তেন না, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তাদের প্রতিশ্রুতি আসবে, তখন নিশ্চয় আল্লাহ্‌র সমস্ত বান্দা তার দৃষ্টিভুক্ত।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর আল্লাহ্ যদি মানুষকে (শাস্তিতে) পাকড়াও করতেন তাদের (মন্দ) কর্মের কারণে যা তারা সম্পাদন করেছে, তবে ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোনো বিচরণশীল কাউকেই তিনি রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদেরকে এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর তাদের নির্ধারিত কাল এসে গেলে অবশ্যই আল্লাহ্ হবেন তাঁর বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা।