Back
আল মুমিন
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
حٰمٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. হা-মী-----ম।
ইরফানুল কুরআন
১. হা-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
Play Share Copy
تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এ কিতাবের অবতারণ আল্লাহ্‌র নিকট থেকে, যিনি সম্মানের মালিক, জ্ঞানময়।
ইরফানুল কুরআন
২. এ কিতাব অবতীর্ণ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে,
Play Share Copy
غَافِرِ الذَّنۡۢبِ وَ قَابِلِ التَّوۡبِ شَدِیۡدِ الۡعِقَابِ ۙ ذِی الطَّوۡلِ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ؕ اِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. পাপ ক্ষমাকারী ও তাওবা কবূলকারী; কঠিন শাস্তিদাতা, মহা পুরস্কারদাতা, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩. যিনি গোনাহ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠিন শাস্তিপ্রদানকারী, মহাদানশীল। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; (সকলের) প্রত্যাবর্তন তাঁরই নিকট।
Play Share Copy
مَا یُجَادِلُ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰہِ اِلَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَلَا یَغۡرُرۡکَ تَقَلُّبُہُمۡ فِی الۡبِلَادِ ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহে বিতর্ক করে না, কিন্তু (করে) কাফিররাই। সুতরাং হে শ্রোতা! শহরগুলোতে তাদের অবাধ বিচরণ। তোমাকে যেন প্রতারিত না করে।
ইরফানুল কুরআন
৪. আল্লাহ্‌র আয়াতের ব্যাপারে কেবল তারাই বিতর্ক করে যারা কুফরী করেছে। সুতরাং দেশে দেশে তাদের (অবাধ) বিচরণ আপনাকে যেন বিভ্রান্ত না করে।
Play Share Copy
کَذَّبَتۡ قَبۡلَہُمۡ قَوۡمُ نُوۡحٍ وَّ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ ۪ وَ ہَمَّتۡ کُلُّ اُمَّۃٍۭ بِرَسُوۡلِہِمۡ لِیَاۡخُذُوۡہُ وَ جٰدَلُوۡا بِالۡبَاطِلِ لِیُدۡحِضُوۡا بِہِ الۡحَقَّ فَاَخَذۡتُہُمۡ ۟ فَکَیۡفَ کَانَ عِقَابِ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় এবং তাদের পরের সম্প্রদায়গুলো অস্বীকার করেছে; এবং প্রত্যেক সম্প্রদায় এ ইচ্ছা করেছে যে, তারা আপন আপন রসূলকে আবদ্ধ করে নেবে এবং মিথ্যা সহকারে বিতর্ক করেছে, এ উদ্দেশ্যে যে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেবে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি অতঃপর কেমন হলো আমার শাস্তি!
ইরফানুল কুরআন
৫. তাদের পূর্বে নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায় এবং তাদের পরে (অন্য) অনেক জাতি (তাদের রাসূলগণকে) মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল। আর প্রত্যেক জাতিই নিজ নিজ রাসূলকে বন্দী (করে হত্যা) করার অভিসন্ধি করেছিল এবং ভিত্তিহীন বিষয়ে তর্কে লিপ্ত হয়েছিল যাতে এর দ্বারা সত্যকে (অর্থাৎ সত্যের প্রভাব) ব্যর্থ করে দিতে পারে। ফলে আমি তাদেরকে (শাস্তিতে) পাকড়াও করেছিলাম। সুতরাং কেমন ছিল (আমার) শাস্তি?
Play Share Copy
وَ کَذٰلِکَ حَقَّتۡ کَلِمَتُ رَبِّکَ عَلَی الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّہُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۘ﴿ؔ۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং এ ভাবেই আপনার রবের বাণী কাফিরদের উপর সত্য প্রমাণিত হলো যে, তারা দোযখবাসী।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর এভাবেই আপনার প্রতিপালকের নির্দেশ তাদের ব্যাপারে পূর্ণ হয়েছিল যারা কুফরী করেছিল। নিশ্চয়ই এরা জাহান্নামী।
Play Share Copy
اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَہٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ وَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ وَ قِہِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. যারা আরশ বহন করে এবং যারা সেটার চতুর্পার্শ্বে রয়েছে তারা আপন রবের প্রশংসা সহকারে তার পবিত্রতা ঘোষণা করে, এবং তাঁর উপর ঈমান আনে, আর মুসলমানদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে-‘হে আমাদের রব! তোমার দয়া ও জ্ঞান সবকিছুকেই পরিবেষ্টিত করে রেখেছে। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করো, যারা তাওবা করেছে এবং তোমার পথ অনুসরণ করেছে এবং তাদেরকে দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করে নাও।
ইরফানুল কুরআন
৭. (ফেরেশতাদের) যারা আরশ বহন করে আছে এবং যারা এর চারপাশ ঘিরে আছে, তারা (সকলে) তাদের প্রতিপালকের স্বপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে, তাঁর উপর ঈমান রাখে এবং ঈমানদারগণের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে; (আরয করে,) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি (তোমার) রহমত ও জ্ঞানে সব কিছুকে বেষ্টন করে আছো। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করে দাও যারা তওবা করেছে এবং তোমার পথ অনুসরণ করেছে, আর তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করো।
Play Share Copy
رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡہُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّہُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِہِمۡ وَ اَزۡوَاجِہِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِہِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. হে আমাদের রব! এবং তাদেরকে বসবাসের বাগানসমূহে প্রবেশ করাও যেগুলোর প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছো এবং তাদের পিতৃপুরুষগণ, স্ত্রীগণ এবং সন্তানগণের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরকেও। নিশ্চয় তুমিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়;
ইরফানুল কুরআন
৮. হে আমাদের প্রতিপালক! আর তাদেরকে (স্থায়ী বসবাসের জন্যে) আদনের উদ্যানসমূহে প্রবেশ করাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছো; আর তাদের পিতৃ-পুরুষ, তাদের পত্নী ও তাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যে যারা পূণ্যবান (তাদেরকেও তাদের সাথে প্রবেশ করাও)। নিশ্চয়ই তুমি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
Play Share Copy
وَ قِہِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنۡ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوۡمَئِذٍ فَقَدۡ رَحِمۡتَہٗ ؕ وَ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. এবং তাদেরকে পাপসমূহের কুফল থেকে রক্ষা করো। এবং যাকে তুমি ওই দিন পাপসমূহের কুফল থেকে রক্ষা করবে, তবে নিঃসন্দেহে তুমি তার প্রতি দয়া করেছো এবং এটাই মহা সাফল্য’।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর তাদেরকে পাপ (-এর শাস্তি) থেকে রক্ষা করো, আর যাকে তুমি সে দিন পাপ (-এর শাস্তি) থেকে রক্ষা করলে, নিশ্চয়ই তুমি তার প্রতি অপার অনুগ্রহই করলে। আর এটাই তো মহাসাফল্য।’
১০
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُنَادَوۡنَ لَمَقۡتُ اللّٰہِ اَکۡبَرُ مِنۡ مَّقۡتِکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ اِذۡ تُدۡعَوۡنَ اِلَی الۡاِیۡمَانِ فَتَکۡفُرُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. নিশ্চয় যেসব লোক কুফর করেছে তাদেরকে আহ্বান করা হবে, ‘অবশ্যই তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অসন্তুষ্টি তদপেক্ষাও বহুগুণ বেশি, যেমন তোমরা আজ নিজেদের সত্তার প্রতি অসন্তুষ্ট, যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি আহ্বান করা হতো, তখন তোমরা কুফর করতে’।
ইরফানুল কুরআন
১০. নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে তাদেরকে ডেকে বলা হবে, ‘(আজ) তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অসন্তোষ তোমাদের নিজেদের প্রতি নিজেদের অসন্তোষের চেয়ে অধিক; যখন তোমাদেরকে ঈমানের দিকে আহ্বান করা হতো তখন তোমরা তা অস্বীকার করতে।’
১১
Play Share Copy
قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَہَلۡ اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. (তারা) বলবে, ‘হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে দু’বার মৃতে পরিণত করেছো এবং দু’বার জীবিত করেছো এখন আমরা আমাদের পাপসমূহ স্বীকার করেছি। সুতরাং আগুন থেকে বের হবারও পথ আছে কি?’
ইরফানুল কুরআন
১১. তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে তুমি দু’বার মৃত্যু দিয়েছো এবং আমাদেরকে দু’বার(ই) জীবন দিয়েছো। (এখন) আমরা আমাদের পাপসমূহ স্বীকার করছি; কাজেই (এ শাস্তি থেকে) নিষ্ক্রমণের কোনো পথ আছে কি?’
১২
Play Share Copy
ذٰلِکُمۡ بِاَنَّہٗۤ اِذَا دُعِیَ اللّٰہُ وَحۡدَہٗ کَفَرۡتُمۡ ۚ وَ اِنۡ یُّشۡرَکۡ بِہٖ تُؤۡمِنُوۡا ؕ فَالۡحُکۡمُ لِلّٰہِ الۡعَلِیِّ الۡکَبِیۡرِ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এটা এ জন্য হলো যে, যখন এক আল্লাহ্‌কে আহ্বান করা হতো তখন তোমরা কুফর করতে এবং যদি তার কোন শরীক স্থির করা হতো তবে তোমরা তা মেনে নিতে। সুতরাং নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা আল্লাহ্‌রই রয়েছে, যিনি সর্বাপেক্ষা উচ্চ, মহান।
ইরফানুল কুরআন
১২. (তাদেরকে বলা হবে, ‘না) এ (চিরস্থায়ী শাস্তি) তো এ কারণেই যে, যখন আল্লাহ্কে এককভাবে আহ্বান করা হতো তখন তোমরা অস্বীকার করতে; আর যদি তাঁর সাথে (কাউকে) অংশীদার সাব্যস্ত করা হতো তখন তোমরা তা মেনে নিতে। সুতরাং (এখন) নির্দেশের কর্তৃত্ব আল্লাহ্‌রই, যিনি (সকলের চেয়ে) সমুচ্চ, মহান।’
১৩
Play Share Copy
ہُوَ الَّذِیۡ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِہٖ وَ یُنَزِّلُ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ رِزۡقًا ؕ وَ مَا یَتَذَکَّرُ اِلَّا مَنۡ یُّنِیۡبُ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. তিনিই হন, যিনি তোমাদেরকে স্বীয় নিদর্শনসমূহ দেখান এবং তোমাদের জন্য আসমান থেকে জীবিকা অবতীর্ণ করেন এবং যারা প্রত্যাবর্তন করে তারাই কেবল উপদেশ মান্য করে।
ইরফানুল কুরআন
১৩. তিনিই, যিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আসমান থেকে রিযিক প্রেরণ করেন। আর উপদেশ কেবল সেই গ্রহণ করে যে বিনয়ের সাথে (আল্লাহ্‌র) অভিমুখী।
১৪
Play Share Copy
فَادۡعُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ وَ لَوۡ کَرِہَ الۡکٰفِرُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. সুতরাং আল্লাহ্‌র বন্দেগী করো নিরেট তাঁরই বান্দা হয়ে যদিও অপছন্দ করে কাফিরগণ।
ইরফানুল কুরআন
১৪. সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করো, তাঁর প্রতি আন্তরিক আনুগত্যে ও সত্য-নিষ্ঠার সাথে, যদিও কাফেরদের তা মনঃপুত নয়।
১৫
Play Share Copy
رَفِیۡعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الۡعَرۡشِ ۚ یُلۡقِی الرُّوۡحَ مِنۡ اَمۡرِہٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖ لِیُنۡذِرَ یَوۡمَ التَّلَاقِ ﴿ۙ۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. সমুচ্চ মর্যাদাদাতা, আরশের অধিপতি, ঈমানের প্রাণ, ওহী প্রেরণ করেন আপন নির্দেশে আপন বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি চান এ জন্য যে, তিনি সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সতর্ক করবেন;
ইরফানুল কুরআন
১৫. সমুচ্চ মর্যাদাদাতা, আরশের অধিপতি, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা আপন নির্দেশে রূহ (অর্থাৎ ওহী) প্রেরণ করেন; যাতে তিনি (লোকদেরকে) সতর্ক করতে পারেন সমবেত হবার দিবস সম্পর্কে,
১৬
Play Share Copy
یَوۡمَ ہُمۡ بٰرِزُوۡنَ ۬ۚ لَا یَخۡفٰی عَلَی اللّٰہِ مِنۡہُمۡ شَیۡءٌ ؕ لِمَنِ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ؕ لِلّٰہِ الۡوَاحِدِ الۡقَہَّارِ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. যেদিন তারা সম্পুর্ণরূপে বের হয়ে পড়বে, সেদিন আল্লাহ্‌র নিকট তাদের কোন অবস্থা গোপন থাকবে না। আজ বাদশাহী কার? ‘এক আল্লাহ্‌, সবার উপর পরাক্রমশালীর’।
ইরফানুল কুরআন
১৬. যে দিন তারা সবাই (কবর থেকে) বের হয়ে আসবে এবং তাদের (ক্রিয়াকলাপের) কিছুই আল্লাহ্‌র নিকট গোপন থাকবে না। (ইরশাদ হবে,) ‘আজ কার রাজত্ব?’ (আবার ইরশাদ হবে,) ‘আল্লাহ্‌রই যিনি একক, সবার উপর পরাক্রমশালী’।
১৭
Play Share Copy
اَلۡیَوۡمَ تُجۡزٰی کُلُّ نَفۡسٍۭ بِمَا کَسَبَتۡ ؕ لَا ظُلۡمَ الۡیَوۡمَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. আজ প্রত্যেক সত্তা আপন কৃতকর্মের প্রতিফল লাভ করবে, আজ কারো প্রতি যুল্‌ম হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শিগ্‌গির হিসাব গ্রহণকারী।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আজ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হবে, আজ কোনো অবিচার হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে তৎপর।
১৮
Play Share Copy
وَ اَنۡذِرۡہُمۡ یَوۡمَ الۡاٰزِفَۃِ اِذِ الۡقُلُوۡبُ لَدَی الۡحَنَاجِرِ کٰظِمِیۡنَ ۬ؕ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ حَمِیۡمٍ وَّ لَا شَفِیۡعٍ یُّطَاعُ ﴿ؕ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. এবং তাদেরকে সতর্ক করো ওই সন্নিকটে আগমনকারী বিপদসঙ্কুল দিন সম্পর্কে যখন হৃদয় কণ্ঠাগত হবে দুঃখ-কষ্টে ভরা। এবং যালিমদের না কোন বন্ধু আছে, না এমন কোন সুপারিশকারী, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর তাদেরকে সতর্ক করে দিন আসন্ন বিপর্যয়ের দিন সম্পর্কে, যখন তীব্র মর্মযন্ত্রণায় প্রাণ কণ্ঠাগত হবে। অত্যাচারীদের জন্যে থাকবে না কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু, আর না কোনো প্রভাব বিস্তার করা সুপারিশকারী যার কথা গ্রাহ্য করা হবে।
১৯
Play Share Copy
یَعۡلَمُ خَآئِنَۃَ الۡاَعۡیُنِ وَ مَا تُخۡفِی الصُّدُوۡرُ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. আল্লাহ্‌ জানেন চোখের কোণার গোপন চুরি সম্পর্কেও এবং যা কিছু বক্ষসমূহে গোপন রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১৯. তিনি অবগত অপব্যবহারকারী চক্ষু সম্পর্কে এবং (সেসব বিষয়েও) যা কিছু অন্তরে লুকায়িত রয়েছে।
২০
Play Share Copy
وَ اللّٰہُ یَقۡضِیۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ لَا یَقۡضُوۡنَ بِشَیۡءٍ ؕ اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং আল্লাহ্‌ সঠিক ফয়সালা করেন এবং তিনি ব্যতীত যাদের পূজা করে তারা কোন কিছুর মীমাংসা করতে পারে না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ই শুনেন দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
২০. আর আল্লাহ্ ন্যায়সংগত ফায়সালা করেন এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তারা যাদের উপাসনা করে সেসব (মূর্তি) কিছুই ফায়সালা করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
২১
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَانُوۡا ہُمۡ اَشَدَّ مِنۡہُمۡ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَاَخَذَہُمُ اللّٰہُ بِذُنُوۡبِہِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ لَہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مِنۡ وَّاقٍ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. তবে কি তারা পৃথিবী-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করে নি? তা হলে দেখতো কেমন পরিণতি হয়েছে তাদের পূর্ববর্তীদের। তাদের ক্ষমতা ও যমীনের মধ্যে তারা যে সব নিদর্শন রেখে গেছে তা এদের চেয়েও অধিকতর। অতঃপর আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাদের পাপগুলোর উপর পাকড়াও করেছেন এবং আল্লাহ্‌ থেকে তাদেরকে রক্ষা করার কেউ নেই।
ইরফানুল কুরআন
২১. তবে কি এরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? তাহলে দেখতো সেসব লোকের পরিণতি কেমন হয়েছিল যারা তাদের পূর্বে ছিল। তারা এদের চেয়ে ক্ষমতায়ও ছিল প্রবলতর এবং কীর্তি ও নিদর্শনাবলীর ক্ষেত্রেও, যা তারা পৃথিবীতে রেখে গিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ্ তাদের অপরাধের কারণে তাদেরকে গ্রাস করেছিলেন। আর আল্লাহ্‌র (শাস্তি) থেকে তাদেরকে রক্ষা করার কেউ ছিল না।
২২
Play Share Copy
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَانَتۡ تَّاۡتِیۡہِمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَکَفَرُوۡا فَاَخَذَہُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّہٗ قَوِیٌّ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এটা এ জন্য যে, তাদের নিকট তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে অতঃপর তারা কুফর করতো। সুতরাং আল্লাহ্‌ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শক্তিশালী, কঠোর শাস্তিদাতা।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর তা এ কারণে যে, তাদের নিকট তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেছিলেন; কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতএব আল্লাহ্ তাদেরকে (শাস্তিতে) পাকড়াও করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহাশক্তিমান, শাস্তি দানে কঠোর।
২৩
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَا وَ سُلۡطٰنٍ مُّبِیۡنٍ ﴿ۙ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে আপন নিদর্শনসমূহ ও সুস্পষ্ট সনদ সহকারে প্রেরণ করেছি;
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর নিশ্চয় আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে আমাদের নিদর্শনাবলী এবং সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে প্রেরণ করেছিলাম,
২৪
Play Share Copy
اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ ہَامٰنَ وَ قَارُوۡنَ فَقَالُوۡا سٰحِرٌ کَذَّابٌ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. ফির’আউন, হামান ও ক্বারূনের প্রতি; অতঃপর তারা বললো, ‘এ’তো যাদুকর, বড় মিথ্যাবাদী’।
ইরফানুল কুরআন
২৪. ফেরাউন, হামান ও কারূনের নিকট। কিন্তু তারা বলেছিল, ‘সে তো যাদুকর, চরম মিথ্যাবাদী’।
২৫
Play Share Copy
فَلَمَّا جَآءَہُمۡ بِالۡحَقِّ مِنۡ عِنۡدِنَا قَالُوا اقۡتُلُوۡۤا اَبۡنَآءَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ وَ اسۡتَحۡیُوۡا نِسَآءَہُمۡ ؕ وَ مَا کَیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. অতঃপর যখন সে তাদের প্রতি আমার নিকট থেকে সত্য নিয়ে এসেছে, তখন বললো, ‘যারা তার উপর ঈমান এনেছে তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করো এবং নারীদেরকে জীবিত রাখো!’ আর কাফিরদের ষড়যন্ত্র তো নয়, কিন্তু উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরাফিরা করা মাত্র।
ইরফানুল কুরআন
২৫. অতঃপর যখন তারা আমাদের নিকট থেকে সত্যের বার্তা নিয়ে তাদের কাছে উপস্থিত হলো, তখন তারা বললো, ‘হত্যা করো তাদের পুত্রদেরকে যারা তাদের সাথে ঈমান এনেছে এবং তাদের কন্যাদেরকে জীবিত ছেড়ে দাও’। কিন্তু কাফেরদের প্রতারণাপূর্ণ ষড়যন্ত্র কেবল ব্যর্থই হয়েছিল।
২৬
Play Share Copy
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ ذَرُوۡنِیۡۤ اَقۡتُلۡ مُوۡسٰی وَ لۡیَدۡعُ رَبَّہٗ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یُّبَدِّلَ دِیۡنَکُمۡ اَوۡ اَنۡ یُّظۡہِرَ فِی الۡاَرۡضِ الۡفَسَادَ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. এবং ফির’আউন বললো, ‘আমাকে ছেড়ে দাও আমি মূসাকে হত্যা করবো এবং সে আপন রবকে আহ্বান করুক! আমি আশঙ্কা করছি যে, সে তোমাদের ধর্মে পরিবর্তন ঘটাবে অথবা যমীনের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়াবে।
ইরফানুল কুরআন
২৬. আর ফেরাউন বললো, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করি, আর সে তার প্রতিপালকের শরণাপন্ন হোক। আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের দ্বীনের পরিবর্তন ঘটাবে অথবা (মিশর) রাজ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।’
২৭
Play Share Copy
وَ قَالَ مُوۡسٰۤی اِنِّیۡ عُذۡتُ بِرَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ مِّنۡ کُلِّ مُتَکَبِّرٍ لَّا یُؤۡمِنُ بِیَوۡمِ الۡحِسَابِ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং মূসা বললো, ‘আমি তোমাদের ও আমার রবের আশ্রয় নিচ্ছি প্রত্যেক ওই দাম্ভিক থেকে, যে হিসাবের দিনকে বিশ্বাস করে না’।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর মূূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমি আমার এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় নিচ্ছি প্রত্যেক দাম্ভিক ব্যক্তি হতে যে হিসাব-দিবসে বিশ্বাস করে না’।
২৮
Play Share Copy
وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤۡمِنٌ ٭ۖ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَکۡتُمُ اِیۡمَانَہٗۤ اَتَقۡتُلُوۡنَ رَجُلًا اَنۡ یَّقُوۡلَ رَبِّیَ اللّٰہُ وَ قَدۡ جَآءَکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ اِنۡ یَّکُ کَاذِبًا فَعَلَیۡہِ کَذِبُہٗ ۚ وَ اِنۡ یَّکُ صَادِقًا یُّصِبۡکُمۡ بَعۡضُ الَّذِیۡ یَعِدُکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِیۡ مَنۡ ہُوَ مُسۡرِفٌ کَذَّابٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং ফির’আউনী সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক মুসলিম ব্যক্তি, যে আপন ঈমানকে গোপন রাখতো বললো, ‘তোমরা একজন লোককে কি এ জন্যই হত্যা করছো যে, তিনি বলেন- আমার রব আল্লাহ্‌; অথচ নিশ্চয় তিনি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ তোমাদের নিকট তোমাদের রবের নিকট থেকে নিয়ে এসেছেন? এবং যদি এ কথা মনে করা হয় যে, তিনি ভুল বলছেন, তবে তার ভুল বলার অশুভ পরিণাম তাঁরই উপর বর্তাবে, আর যদি তিনি সত্যবাদী হন, তবে তোমাদেরকেও স্পর্শ করবে এমন কিছু, যার প্রতিশ্রুতি তিনি তোমাদেরকে দিচ্ছেন’। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পথ প্রদান করেন না তাকেই, যে সীমা লঙ্ঘনকারী, মহা মিথ্যাবাদী।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর ফেরাউনের বংশের এক মুমিন ব্যক্তি বললো, যে নিজের ঈমান গোপন রেখেছিল, ‘তোমরা কি এক ব্যক্তিকে (কেবল) এ কারণে হত্যা করছো যে, তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিপালক আল্লাহ্’, অথচ তিনি তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন? আর যদি (ধরেও নেয়া হয়) তিনি মিথ্যাবাদী, তবে তাঁর মিথ্যার বোঝা তাঁরই, আর যদি তিনি সত্যবাদী হন তবে যে পরিমাণ শাস্তির অঙ্গীকার তিনি তোমাদেরকে করছেন তা তোমাদের কাছে পৌঁছবেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না, যে সীমা অতিক্রমকারী, নিরেট মিথ্যাবাদী।
২৯
Play Share Copy
یٰقَوۡمِ لَکُمُ الۡمُلۡکُ الۡیَوۡمَ ظٰہِرِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۫ فَمَنۡ یَّنۡصُرُنَا مِنۡۢ بَاۡسِ اللّٰہِ اِنۡ جَآءَنَا ؕ قَالَ فِرۡعَوۡنُ مَاۤ اُرِیۡکُمۡ اِلَّا مَاۤ اَرٰی وَ مَاۤ اَہۡدِیۡکُمۡ اِلَّا سَبِیۡلَ الرَّشَادِ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. হে আমার সম্প্রদায়! আজ বাদশাহী তোমাদেরই; তোমরাই এই ভূমিতে আধিপত্য রাখো। তবে আল্লাহ্‌র শাস্তি থেকে আমাদেরকে কে রক্ষা করবে, যদি আমাদের উপর এসে পড়ে? ফির’আউন বললো, ‘আমি তো তোমাদেরকে তা-ই বুঝাই, যা আমার বুঝে আসে। আর আমি তোমাদেরকে তা-ই বলি, যা মঙ্গলেরই পথ’।
ইরফানুল কুরআন
২৯. হে আমার সম্প্রদায়! আজ তোমাদের রাজত্ব, (তোমরাই মিশরের) ভূমিতে ক্ষমতায় আসীন। অতঃপর কে আমাদেরকে আল্লাহ্‌র শাস্তি থেকে বাচাঁবে যদি এ (শাস্তি) আমাদের উপর এসে পড়ে?’ ফেরাউন বললো, ‘আমি তোমাদেরকে কেবল সে কথাই বুঝাই যা আমি নিজে (সঠিকভাবে) বুঝি। আর আমি তোমাদেরকে কল্যাণের পথ ব্যতীত (অন্য কোনো পথ) দেখাই না।
৩০
Play Share Copy
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ مِّثۡلَ یَوۡمِ الۡاَحۡزَابِ ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং ওই ঈমানদার লোক বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের উপর পূর্ববর্তী সম্প্রদায়গুলোর দিনের মত আশঙ্কা করছি;
ইরফানুল কুরআন
৩০. আর ঈমান আনা ব্যক্তিটি বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের উপরও (পূর্ববর্তী) সম্প্রদায়সমূহের ন্যায় দুর্দশার দিনের (শাস্তির) ভয় করি,
৩১
Play Share Copy
مِثۡلَ دَاۡبِ قَوۡمِ نُوۡحٍ وَّ عَادٍ وَّ ثَمُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ ؕ وَ مَا اللّٰہُ یُرِیۡدُ ظُلۡمًا لِّلۡعِبَادِ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. যেমন রীতি গত হয়েছে নূহের সম্প্রদায়, ‘আদ, সামূদ ও তাদের পর অন্যান্যদের; এবং আল্লাহ্‌ বান্দাদের উপর যুল্‌ম চান না।
ইরফানুল কুরআন
৩১. যেমনটি ঘটেছিল নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সম্প্রদায়, ’আদ, সামূদ এবং (তাদের) পরবর্তীদের ব্যাপারে। আর আল্লাহ্ (তাঁর) বান্দাদের প্রতি কখনোই কোনো অবিচার করতে চান না।
৩২
Play Share Copy
وَ یٰقَوۡمِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ یَوۡمَ التَّنَادِ ﴿ۙ۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্য ওই দিনের আশঙ্কা করছি, যেদিন উচ্চস্বরে আহ্বান করা হবে;
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে আশংকা করি আর্তনাদ দিবসের (অর্থাৎ কিয়ামতের),
৩৩
Play Share Copy
یَوۡمَ تُوَلُّوۡنَ مُدۡبِرِیۡنَ ۚ مَا لَکُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مِنۡ عَاصِمٍ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. যে দিন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করবে; আল্লাহ্‌ থেকে তোমাদেরকে কেউ রক্ষাকারী নেই; এবং যাকে আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ পথ প্রদর্শনকারী নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. যে দিন তোমরা পশ্চাতে ফিরে পলায়ন করবে এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্ (-এঁর শাস্তি) থেকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না। আর আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্যে কোনো হেদায়াতদাতা ও পথপ্রদর্শক নেই।
৩৪
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ جَآءَکُمۡ یُوۡسُفُ مِنۡ قَبۡلُ بِالۡبَیِّنٰتِ فَمَا زِلۡتُمۡ فِیۡ شَکٍّ مِّمَّا جَآءَکُمۡ بِہٖ ؕ حَتّٰۤی اِذَا ہَلَکَ قُلۡتُمۡ لَنۡ یَّبۡعَثَ اللّٰہُ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ رَسُوۡلًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰہُ مَنۡ ہُوَ مُسۡرِفٌ مُّرۡتَابُۨ ﴿ۚۖ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এবং নিশ্চয় এর পূর্বে তোমাদের নিকট ইয়ূসূফ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে; অতঃপর তোমরা তার আনীত বিষয়ে সন্দেহের মধ্যেই ছিলে। শেষ পর্যন্তই যখন তিনি ইন্‌তিকাল করেছেন, তখন তোমরা বলছো, ‘এখন অবশ্যই আল্লাহ্‌ কোন রসূল প্রেরণ করবেন না’। আল্লাহ্‌ এভাবে পথভ্রষ্ট করেন তাকেই, যে সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর (হে মিশরের অধিবাসীরা!) তোমাদের নিকট তো পূর্বেও ইউসূফ (আলাইহিস সালাম) এসেছিলেন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে। অথচ তোমরা সর্বদা এ (নিদর্শনাবলীর) ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করতে যা তিনি তোমাদের নিকট নিয়ে এসেছিলেন। এমনকি যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন তখন তোমরা বলতে লাগলে, ‘এখন তাঁর পরে আল্লাহ্ কখনো কোনো রাসূল প্রেরণ করবেন না’। এভাবেই আল্লাহ্ তাকে পথভ্রষ্ট করেন যে সীমা অতিক্রমকারী, সংশয়বাদী,
৩৫
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰہِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰہُمۡ ؕ کَبُرَ مَقۡتًا عِنۡدَ اللّٰہِ وَ عِنۡدَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ کَذٰلِکَ یَطۡبَعُ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ قَلۡبِ مُتَکَبِّرٍ جَبَّارٍ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ সম্পর্কে ঝগড়া করে, এমন কোন দলীল প্রমাণ ছাড়াই, যা তারা লাভ করেছে; কতই কঠোর ঘৃণার কথা আল্লাহ্‌র নিকট এবং ঈমানদারদের নিকট! আল্লাহ্‌হ এভাবেই মোহর করে দেন। অহঙ্কারী ও অবাধ্য ব্যক্তির সমগ্র অন্তরের উপর।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. যারা নিজেদের কাছে কোনো দলিল-প্রমাণ না থাকা সত্তেও আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়; (তাদের এ তর্ক) আল্লাহ্‌র দৃষ্টিতে এবং ঈমানদারগণের দৃষ্টিতে অত্যন্ত অপছন্দনীয় (বিষয়)। এভাবে আল্লাহ্ প্রত্যেক অহঙ্কারী (এবং) উদ্ধতের অন্তর মোহরাঙ্কিত করে দেন।’
৩৬
Play Share Copy
وَ قَالَ فِرۡعَوۡنُ یٰہَامٰنُ ابۡنِ لِیۡ صَرۡحًا لَّعَلِّیۡۤ اَبۡلُغُ الۡاَسۡبَابَ ﴿ۙ۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং ফির’আউন বললো, ‘হে হামান! আমার জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ করো, হয়তো আমি রাস্তাগুলো পর্যন্ত পৌঁছে যাবো।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর ফেরাউন বললো, ‘হে হামান! আমার জন্যে নির্মাণ করো সুউচ্চ এক ইমারত যাতে (আরোহণ করে) আমি পৌঁছুতে পারি পথে,
৩৭
Play Share Copy
اَسۡبَابَ السَّمٰوٰتِ فَاَطَّلِعَ اِلٰۤی اِلٰہِ مُوۡسٰی وَ اِنِّیۡ لَاَظُنُّہٗ کَاذِبًا ؕ وَ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِفِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ عَمَلِہٖ وَ صُدَّ عَنِ السَّبِیۡلِ ؕ وَ مَا کَیۡدُ فِرۡعَوۡنَ اِلَّا فِیۡ تَبَابٍ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. কি ধরণের রাস্তা? আসমান সমূহের রাস্তা। অতঃপর মূসার খোদাকে উকি মেরে দেখবো এবং নিশ্চয় আমার ধারণায় তো সে মিথ্যাবাদী’। এবং এভাবে ফির’আউনের দৃষ্টিতে তার মন্দ কাজকে সুশোভিত করে দেখানো হয়েছে এবং তাকে সরল পথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আর ফির’আউনের ষড়যন্ত্র ধ্বংস হবারই ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আকাশমন্ডলীতে আরোহণের পথে, অতঃপর যেন উঁকি দিয়ে দেখতে পাই মূসার ইলাহ্কে। তবে আমি তো তাঁকে মিথ্যাবাদীই মনে করি।’ আর এভাবে ফেরাউনের জন্যে তার মন্দ কর্মকে শোভনীয় করা হয়েছিল এবং তাকে (আল্লাহ্‌র) পথ থেকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছিল। আর ফেরাউনের ষড়যন্ত্র কেবল বিপর্যয়ই ছিল।
৩৮
Play Share Copy
وَ قَالَ الَّذِیۡۤ اٰمَنَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوۡنِ اَہۡدِکُمۡ سَبِیۡلَ الرَّشَادِ ﴿ۚ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং ওই ঈমানদার ব্যক্তি বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়, আমার অনুসরণ করো। আমি তোমাদেরকে কল্যাণের পথ বাতলিয়ে দেবো।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর মুমিন ব্যক্তিটি বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমাকে আনুসরণ করো, আমি তোমাদেরকে উত্তম ও সৎপথে পরিচালিত করবো।
৩৯
Play Share Copy
یٰقَوۡمِ اِنَّمَا ہٰذِہِ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا مَتَاعٌ ۫ وَّ اِنَّ الۡاٰخِرَۃَ ہِیَ دَارُ الۡقَرَارِ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. হে আমার সম্প্রদায়! এ দুনিয়ার জীবন তো কিছুদিন ভোগ করা মাত্র। আর নিশ্চয় ওই পরবর্তী (জগৎ) হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস’।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. হে আমার সম্প্রদায়! পার্থিব এ জীবন তো কেবল (অস্থায়ী) উপভোগ ছাড়া কিছুই নয় এবং অবশ্যই পরকালই হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস। وَ یٰقَوۡمِ مَا لِیۡۤ اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی النَّجٰوۃِ وَ تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَی النَّارِ ﴿ؕ۴۱﴾
৪০
Play Share Copy
مَنۡ عَمِلَ سَیِّئَۃً فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَہَا ۚ وَ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا مِّنۡ ذَکَرٍ اَوۡ اُنۡثٰی وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ یُرۡزَقُوۡنَ فِیۡہَا بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. যে মন্দ কাজ করে, সে প্রতিফল পাবে না, কিন্তু (পাবে) ততটুকুই। আর যে সৎকর্ম করে পুরুষ হোক কিংবা নারী এবং সে যদি হয় মুসলমান, তবে তারা জান্নাতে প্রবিষ্ট হবে। সেখানে অগণিত রিয্‌ক্ব পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. যে মন্দ কর্ম করে তাকে এর সমপরিমাণ প্রতিদানই দেয়া হবে। আর পুরুষ কিংবা নারীর যে কেউই সৎকর্ম করে এবং মুমিন হয়, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তাদেরকে দেয়া হবে অপরিমিত রিযিক।
৪১
Play Share Copy
وَ یٰقَوۡمِ مَا لِیۡۤ اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی النَّجٰوۃِ وَ تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَی النَّارِ ﴿ؕ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং হে আমার সম্প্রদায়! আমার কি হলো, আমি তোমাদেরকে আহ্বান করছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে ডাকছো দোযখের দিকে!
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর হে আমার সম্প্রদায়! আমার কী হলো যে, আমি তোমাদেরকে আহ্বান করছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে আহ্বান করছো জাহান্নামের দিকে?
৪২
Play Share Copy
تَدۡعُوۡنَنِیۡ لِاَکۡفُرَ بِاللّٰہِ وَ اُشۡرِکَ بِہٖ مَا لَیۡسَ لِیۡ بِہٖ عِلۡمٌ ۫ وَّ اَنَا اَدۡعُوۡکُمۡ اِلَی الۡعَزِیۡزِ الۡغَفَّارِ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. আমাকে ডাকছো যেন আমি আল্লাহ্‌কে অস্বীকার করি এবং এমন কিছুকে তার শরীক দাড় করাই, যা আমার জ্ঞানে নেই। আর আমি তোমাদেরকে ওই মহা সম্মানিত, অতিশয় ক্ষমাশীলদের প্রতি আহ্বান করছি।
ইরফানুল কুরআন
৪২. তোমরা আমাকে আহ্বান করছো যেন আমি আল্লাহ্কে অস্বীকার করি এবং তাঁর সমকক্ষ কিছু দাঁড় করাই, যার সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞানই নেই; পক্ষান্তরে আমি তোমাদেরকে আহ্বান করছি পরাক্রমশালী আল্লাহ্‌র দিকে, যিনি মহাক্ষমাশীল।
৪৩
Play Share Copy
لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدۡعُوۡنَنِیۡۤ اِلَیۡہِ لَیۡسَ لَہٗ دَعۡوَۃٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَا فِی الۡاٰخِرَۃِ وَ اَنَّ مَرَدَّنَاۤ اِلَی اللّٰہِ وَ اَنَّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ہُمۡ اَصۡحٰبُ النَّارِ ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. নিজে নিজেই প্রমাণিত হলো যে, যার প্রতি আমাকে আহ্বান করছো, তাকে ডাকা কোন কাজের নয় দুনিয়াতে, না আখিরাতে আর এই আমার প্রত্যাবর্তন আল্লাহ্‌ দিকেই আর এও যে, সীমালঙ্ঘনকারীরাই হচ্ছে দোযখী।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. সত্য তো এ যে, তোমরা আমাকে যার দিকে আহ্বান করছো, তা না পার্থিব জীবনে আহ্বানযোগ্য, আর না পরকালীন জীবনে। বস্তুত আমাদের প্রত্যাবর্তন তো আল্লাহ্‌রই দিকে, আর নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরাই জাহান্নামের অধিবাসী।
৪৪
Play Share Copy
فَسَتَذۡکُرُوۡنَ مَاۤ اَقُوۡلُ لَکُمۡ ؕ وَ اُفَوِّضُ اَمۡرِیۡۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بَصِیۡرٌۢ بِالۡعِبَادِ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. অতঃপর শীঘ্রই ওই সময় আসছে, যার সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে বলছি; সেটাকে তোমরা স্মরণ করবে এবং আমি আপন কর্ম আল্লাহ্‌র দিকে সোপর্দ করছি। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ বান্দাদেরকে দেখছেন।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. সুতরাং তোমরা অচিরেই (এ কথাগুলো) স্মরণ করবে যা আমি তোমাদেরকে বলছি। আর আমি আমার বিষয়াদি আল্লাহ্‌র সমীপে সমর্পণ করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বান্দাদের সর্বদ্রষ্টা।’
৪৫
Play Share Copy
فَوَقٰىہُ اللّٰہُ سَیِّاٰتِ مَا مَکَرُوۡا وَ حَاقَ بِاٰلِ فِرۡعَوۡنَ سُوۡٓءُ الۡعَذَابِ ﴿ۚ۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. অতঃপর আল্লাহ্‌ তাকে রক্ষা করেছেন, তাদের প্রতারণার অনিষ্টাদি থেকে এবং ফির’আউনের অনুসারীদেরকে কঠিন শাস্তি ঘিরে রেখেছে।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. অতঃপর আল্লাহ্ তাকে রক্ষা করলেন তাদের অনিষ্ট থেকে যে ষড়যন্ত্র তারা করেছিল এবং ফেরাউনের লোকজনকে পরিবেষ্টন করলো জঘন্য শাস্তি।
৪৬
Play Share Copy
اَلنَّارُ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡہَا غُدُوًّا وَّ عَشِیًّا ۚ وَ یَوۡمَ تَقُوۡمُ السَّاعَۃُ ۟ اَدۡخِلُوۡۤا اٰلَ فِرۡعَوۡنَ اَشَدَّ الۡعَذَابِ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. আগুন, যার উপর তাদেরকে সকাল ও সন্ধ্যায় উপস্থিত করা হয়। এবং যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন নির্দেশ দেওয়া হবে ‘ফির’আউনের অনুসারীদের কঠিনতর শাস্তিতে প্রবিষ্ট করো’।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. জাহান্নামের অগ্নির সম্মুখে তাদেরকে উপস্থিত করা হয় সকাল ও সন্ধায়। আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন (বলা হবে,) ‘ফেরাউনের লোকজনকে কঠিনতম শাস্তিতে নিক্ষেপ করো’।
৪৭
Play Share Copy
وَ اِذۡ یَتَحَآجُّوۡنَ فِی النَّارِ فَیَقُوۡلُ الضُّعَفٰٓؤُا لِلَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُنَّا لَکُمۡ تَبَعًا فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّغۡنُوۡنَ عَنَّا نَصِیۡبًا مِّنَ النَّارِ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং যখন তারা আগুনের মধ্যে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হবে, তখন দুর্বলরা তাদেরকে বলবে, যারা বড় সেজে বসতো, ‘আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম সুতরাং তোমরা কি আমাদের নিকট থেকে আগুনের কিছু অংশ হ্রাস করে নেবে?’
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর যখন তারা জাহান্নামে পরস্পরে বিবাদ করবে, তখন দুর্বলেরা সেসব লোকদেরকে বলবে, যারা (পার্থিব জীবনে) অহঙ্কার করে বেড়াতো, ‘আমরা তো তোমাদেরই অনুসারী ছিলাম, কাজেই জাহান্নামের আগুনের (অন্তত) কিছু অংশ কি তোমরা আমাদের থেকে অপসারণ করবে?’
৪৮
Play Share Copy
قَالَ الَّذِیۡنَ اسۡتَکۡبَرُوۡۤا اِنَّا کُلٌّ فِیۡہَاۤ ۙ اِنَّ اللّٰہَ قَدۡ حَکَمَ بَیۡنَ الۡعِبَادِ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. ওই দাম্ভিকরা বলবে, ‘আমরা সবাই তো আগুনের মধ্যে রয়েছি; নিশ্চয় আল্লাহ্‌ বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে ফেলেছেন’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. অহঙ্কারীরা বলবে, ‘আমরা সকলেই তো এতে (এই জাহান্নামে) পড়ে আছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বান্দাদের মাঝে চুড়ান্ত ফায়সালা করে ফেলেছেন।’
৪৯
Play Share Copy
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ فِی النَّارِ لِخَزَنَۃِ جَہَنَّمَ ادۡعُوۡا رَبَّکُمۡ یُخَفِّفۡ عَنَّا یَوۡمًا مِّنَ الۡعَذَابِ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. এবং যারা আগুনের মধ্যে রয়েছে তারা সেটার দারোগাদেরকে বলবে, ‘আপন রবের নিকট প্রার্থনা করো যেন আমাদের উপর শাস্তির একটি দিন হালকা করে দেন’।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. আগুনে জ্বলতে থাকা লোকেরা জাহান্নামের প্রহরীদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করো, তিনি যেন আমাদের থেকে অন্তত এক দিনের শাস্তি লাঘব করেন’।
৫০
Play Share Copy
قَالُوۡۤا اَوَ لَمۡ تَکُ تَاۡتِیۡکُمۡ رُسُلُکُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ؕ قَالُوۡا فَادۡعُوۡا ۚ وَ مَا دُعٰٓؤُا الۡکٰفِرِیۡنَ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. তারা বলবে, ‘তোমাদের রসূলগণ কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আনতেন না?’ তারা বলবে, ‘কেন নয়?’ বলবে, ‘সুতরাং তোমরাই প্রার্থনা করো!’ এবং কাফিরদের প্রার্থনা নয়, কিন্তু উদ্দেশ্যহীনভাবে (ব্যর্থ হয়ে) ফেরার জন্যই।
ইরফানুল কুরআন
৫০. তারা বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে তোমাদের রাসূলগণ আসেননি?’ তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই’। (তখন প্রহরীরা) বলবে, ‘তোমরা নিজেরাই প্রার্থনা করো’। তবে কাফেরদের প্রার্থনা (সর্বদা) বৃথাই হয়।
৫১
Play Share Copy
اِنَّا لَنَنۡصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡاَشۡہَادُ ﴿ۙ۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. নিশ্চয় নিশ্চয় আমি আপন রসূলগণকে সাহায্য করবো এবং ঈমানদারগণকেও পার্থিব জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগণ দণ্ডায়মান হবে।
ইরফানুল কুরআন
৫১. অবশ্যই আমরা আমাদের রাসূলগণকে এবং ঈমানদারগণকে পার্থিব জীবনেও সাহায্য করি এবং সেদিনও (সাহায্য করবো) যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে।
৫২
Play Share Copy
یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ الظّٰلِمِیۡنَ مَعۡذِرَتُہُمۡ وَ لَہُمُ اللَّعۡنَۃُ وَ لَہُمۡ سُوۡٓءُ الدَّارِ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. যে দিন যালিমদেরকে তাদের ওযর আপত্তি কোন উপকার করবে না এবং তাদের জন্য অভিসম্পাত রয়েছে আর তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস।
ইরফানুল কুরআন
৫২. যেদিন অত্যাচারীদের অযুহাত কোনো কাজেই আসবে না। আর তাদের জন্যে রয়েছে অভিশাপ এবং (জাহান্নামের) নিকৃষ্ট আবাস।
৫৩
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡہُدٰی وَ اَوۡرَثۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡکِتٰبَ ﴿ۙ۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে পথ নির্দেশনা দান করেছি আর বনী ইস্রাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর নিশ্চয়ই আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে দান করেছিলাম হেদায়াত (-এর কিতাব) এবং (তাঁর পরে) বনী ইসরাঈলকে উত্তরাধিকারী করেছিলাম (এ কিতাবের),
৫৪
Play Share Copy
ہُدًی وَّ ذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের হিদায়ত ও উপদেশের নিমিত্ত।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. যা হেদায়াত ও উপদেশ, জ্ঞানীদের জন্যে।
৫৫
Play Share Copy
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ اسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِکَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ بِالۡعَشِیِّ وَ الۡاِبۡکَارِ ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. সুতরাং হে মাহবূব! আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য এবং আপন লোকদের গুণাহর ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আর আপন রবের প্রশংসা সহকারে সকালে ও সন্ধ্যায় তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. অতঃপর আপনি ধৈর্য ধরুন, নিশ্চই আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার সত্য। আর আপনার উম্মতের গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।* আর সকালে ও সন্ধায় আপনার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন। * ‘লি যাম্বিকা’র সাথে “উম্মত” শব্দটি মুযাফ যা উহ্য রয়েছে। এ কারণে এর ভিত্তিতে এখানে ‘ওয়াসতাগফির লি যাম্বিকা’র দ্বারা উদ্দেশ্য হলো উম্মতের গোনাহ। ইমাম নাসাফী, ইমাম কুরতুবী এবং আল্লামা শাউকানী এ অর্থ বর্ণনা করেছেন। উদ্ধৃতি দেখুন, ১. (ওয়াসতাগফির লি যাম্বিকা) অর্থাৎ ‘লিযাম্বি উম্মাতিকা’ আপনার উম্মতের গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (নাসাফী, মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাকায়িকুত তাবিল, ৪:৩৫৯) ২.(ওয়াসতাগফির লি যাম্বিকা) কেউ কেউ বলেন, ‘লিযাম্বি উম্মাতিকা’ মুযাফকে উহ্য করে মুযাফে ইলাইহিকে তার স্থলবর্তী করে দেয়া হয়েছে। ‘ওয়াসতাগফির লি যাম্বিকা’র ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো উম্মতের গোনাহ। এখানে মুযাফকে উহ্য করে মুযাফে ইলাইহিকে তার স্থলাভিষিক্ত করে দেয়া হয়েছে। (কুরতুবী, আল-জামী লি আহকামিল কুরআন, ১৫:৩২৪) ৩. কেউ কেউ বলেছেন, ‘লিযাম্বিকা লিযাম্বি উম্মাতিকা ফি হাক্কিকা’, এও বলা হয়েছে যে, ‘লিযাম্বিকা’ অর্থাৎ আপনি আপনার দিক থেকে উম্মতের সংঘটিত গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। “(ইবনে হাইয়্যান আন্দুলূসী, আল-বাহরুল মুহীত, ৭:৪৭১)”। ৪. (ওয়াস্তাগফির লি যাম্বিকা) বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আপনার উম্মতের গোনাহ; আর তা এ কারণে যে, এখানে মুযাফ উহ্য রয়েছে। “(আল্লামা শাউক্বানী, আল-ফাতহুল কাদীর, ৪:৪৯৭)”
৫৬
Play Share Copy
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰہِ بِغَیۡرِ سُلۡطٰنٍ اَتٰہُمۡ ۙ اِنۡ فِیۡ صُدُوۡرِہِمۡ اِلَّا کِبۡرٌ مَّا ہُمۡ بِبَالِغِیۡہِ ۚ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এমন কোন দলীল ছাড়াই, যা তারা পেয়েছে, তাদের অন্তরে নেই, কিন্তু (আছে) এমন এক অহঙ্কারের উন্মাদনা, যা পর্যন্ত তারা পৌঁছবে না। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি শুনেন, দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. নিশ্চয়ই যারা নিজেদের কাছে কোনো দলিল-প্রমাণ না থাকা সত্তেও আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়, তাদের অন্তরে রয়েছে কেবল অহঙ্কার। তারা এ (যথার্থ শ্রেষ্ঠত্বের) ব্যাপারে সফলকাম হবে না। অতঃপর আপনি (তাদের অনিষ্ট থেকে) আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করুন; নিশ্চয়ই তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
৫৭
Play Share Copy
لَخَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اَکۡبَرُ مِنۡ خَلۡقِ النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি মানবকুলের সৃষ্টি অপেক্ষা অনেক বড়; কিন্তু বহু লোক জানে না।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি তো মানব সৃষ্টির চেয়ে অনেক বড়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
৫৮
Play Share Copy
وَ مَا یَسۡتَوِی الۡاَعۡمٰی وَ الۡبَصِیۡرُ ۬ۙ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ لَا الۡمُسِیۡٓءُ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَتَذَکَّرُوۡنَ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এবং অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান নয়; আর না ওই সব লোক যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে এবং অসৎকর্মপরায়ণ। কত কম ধ্যানই করছো!
ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর অন্ধ এবং চক্ষুষ্মান সমান নয়। সুতরাং (এভাবে) যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে (তারা) এবং মন্দকর্ম সম্পদানকারীরাও (সমান) নয়। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করো।
৫৯
Play Share Copy
اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ لَّا رَیۡبَ فِیۡہَا وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. নিশ্চয় নিশ্চয় ক্বিয়ামত আগমনকারী, তাতে কোন সন্দেহ নেই; কিন্তু বহুলোক ঈমান আনে না।
ইরফানুল কুরআন
৫৯. নিশ্চয়ই কিয়ামতের আগমন অবশ্যম্ভাবী, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না।
৬০
Play Share Copy
وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَہَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ ﴿۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. এবং তোমাদের রব বলেছেন, আমার নিকট প্রার্থনা করো, আমি গ্রহণ করবো। নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আমার ইবাদত থেকে অহঙ্কারে বিমুখ হয়, তারা অবিলম্বে জাহান্নামে যাবে লাঞ্ছিত হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৬০. আর তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি অবশ্যই তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদত থেকে বিমুখ হয়েছে, শীঘ্রই তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’
৬১
Play Share Copy
اَللّٰہُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الَّیۡلَ لِتَسۡکُنُوۡا فِیۡہِ وَ النَّہَارَ مُبۡصِرًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. আল্লাহ্‌, যিনি তোমাদের জন্য রাত সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা সেটার মধ্যে আরাম পাও এবং দিন সৃষ্টি করেছেন চক্ষুগুলো খোলার জন্য। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু বহু মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আল্লাহ্ই, যিনি তোমাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন রজনী যাতে তোমরা এতে বিশ্রাম করতে পারো এবং দেখার জন্যে দিবসকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
৬২
Play Share Copy
ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۘ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۫ۚ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. তিনিই হন আল্লাহ্‌, তোমাদের রব, প্রত্যেক কিছুর স্রষ্টা, তিনি ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী নেই। সুতরাং কোথায় যাচ্ছো বিপরীতমুখী হয়ে?
ইরফানুল কুরআন
৬২. এ আল্লাহ্ই তোমাদের প্রতিপালক, যিনি সকল কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং তোমরা কোথায় উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়াচ্ছো?
৬৩
Play Share Copy
کَذٰلِکَ یُؤۡفَکُ الَّذِیۡنَ کَانُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ یَجۡحَدُوۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এ ভাবেই বিপরীতমুখী হয় ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. এভাবেই বিপরীতমুখী হতো তারা যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করতো।
৬৪
Play Share Copy
اَللّٰہُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَکُمۡ فَاَحۡسَنَ صُوَرَکُمۡ وَ رَزَقَکُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ ۚۖ فَتَبٰرَکَ اللّٰہُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. আল্লাহ্‌, যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে স্থির করেছেন আর আসমানকে ছাদ; এবং তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন। সুতরাং তোমাদের আকৃতিগুলোকে উৎকৃষ্ট করেছেন। আর তোমাদেরকে পবিত্র বস্তুসমূহ জীবিকারূপে দিয়েছেন। তিনিই হন আল্লাহ্‌, তোমাদের রব। সুতরাং বড়ই মঙ্গলময় হন আল্লাহ্‌, রব সমগ্র জাহানের।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আল্লাহ্ই, যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন আবাসস্থল এবং আকাশকে করেছেন ছাদ। আর তিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতিকে করেছেন সুন্দর এবং পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদেরকে দিয়েছেন রিযিক। এ আল্লাহ্ই তোমাদের প্রতিপালক। সুতরাং আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহের অধিকারী, যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক।
৬৫
Play Share Copy
ہُوَ الۡحَیُّ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ فَادۡعُوۡہُ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. তিনিই চিরঞ্জীব; তিনি ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী নেই। সুতরাং তার ইবাদত করো নিরেট তাঁরই বান্দা হয়ে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি সমগ্র জাহানের রব।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. তিনিই চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। অতএব তোমরা তাঁরই ইবাদত করো তাঁর জন্যে আন্তরিক আনুগত্য ও নিষ্ঠার সাথে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।
৬৬
Play Share Copy
قُلۡ اِنِّیۡ نُہِیۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ لَمَّا جَآءَنِیَ الۡبَیِّنٰتُ مِنۡ رَّبِّیۡ ۫ وَ اُمِرۡتُ اَنۡ اُسۡلِمَ لِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. আপনি বলুন, ‘আমাকে নিষেধ করা হয়েছে সেগুলোর পূজা করতে, যেগুলোর তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত পূজা করছো যখন আমার নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আমার রবের নিকট থেকে এসেছে। আর আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন রব্বুল আলামীনের সম্মুখে আত্নসমর্পণ করি।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. বলে দিন, ‘আমাকে নিষেধ করা হয়েছে সে সবের উপাসনা করতে, আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যেসব মূর্তির উপাসনা তোমরা করো, যখন আমার নিকট আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী এসেছে। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের আনুগত্য করি।’
৬৭
Play Share Copy
ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَۃٍ ثُمَّ یُخۡرِجُکُمۡ طِفۡلًا ثُمَّ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَشُدَّکُمۡ ثُمَّ لِتَکُوۡنُوۡا شُیُوۡخًا ۚ وَ مِنۡکُمۡ مَّنۡ یُّتَوَفّٰی مِنۡ قَبۡلُ وَ لِتَبۡلُغُوۡۤا اَجَلًا مُّسَمًّی وَّ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. তিনিই হন, যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর পানির ফোঁটা থেকে, অতঃপর রক্তপিণ্ড থেকে অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে। অতঃপর তোমাদেরকে স্থায়ী রাখেন যেন আপন যৌবনে উপনীত হও, অতঃপর এ জন্য যে, বৃদ্ধ হও এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে পূর্বেই উঠিয়ে নেওয়া হয়। আর একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পৌঁছবে, এবং এ জন্য যে, তোমরা অনুধাবন করতে পারবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. তিনিই তোমাদের (রাসায়নিক জীবনের) সৃষ্টির সূচনা করেছেন মৃত্তিকা থেকে, অতঃপর (জৈবিক জীবনের সূচনা) এক শুক্রবিন্দু (অর্থাৎ এক ভ্রুণকোষ) থেকে, পরে মায়ের গর্ভাশয়ে ঝুলন্ত বস্তুপিন্ড থেকে, পরিশেষে তিনিই তোমাদেরকে নবজাতকরূপে ভূমিষ্ঠ করান; অতঃপর (তোমাদেরকে পরিচর্যা করেন) যাতে তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ করো। তারপর (তোমাদেরকে জীবনের মেয়াদ প্রদান করেন) যাতে তোমরা বৃদ্ধ হও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ (বার্ধ্যক্যের) পূর্বেই মৃত্যুবরণ করো এবং (এসব কিছুই এ জন্যে করেন) যাতে তোমরা (স্ব স্ব) নির্ধারিত কাল প্রাপ্ত হও এবং যাতে তোমরা উপলদ্ধি করতে পারো।
৬৮
Play Share Copy
ہُوَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ۚ فَاِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. তিনিই হন, যিনি জীবিত রাখেন ও মৃত্যু ঘটান। অতঃপর যখন কোন নির্দেশ দেন, তবে সেটার উদ্দেশ্যে এটাই বলেন, ‘হয়ে যা’। তখনই তা হয়ে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। অতঃপর যখন তিনি কোনো কাজের ফায়সালা করেন তখন কেবল একে বলেন, ‘হও’, তখন তা হয়ে যায়।
৬৯
Play Share Copy
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِ اللّٰہِ ؕ اَنّٰی یُصۡرَفُوۡنَ ﴿ۖۛۚ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. আপনি কি দেখেন নি ওইসব লোককে, যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহের মধ্যে ঝগড়া করে? কোথায় তাদেরকে ফেরানো হচ্ছে।
ইরফানুল কুরআন
৬৯. আপনি কি দেখেননি তাদেরকে যারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্ক করে? তারা কোথায় উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে?
৭০
Play Share Copy
الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِالۡکِتٰبِ وَ بِمَاۤ اَرۡسَلۡنَا بِہٖ رُسُلَنَا ۟ۛ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. ওই সব লোক, যারা অস্বীকার করেছে কিতাবকে এবং যা আমি আপন রসূলগণের সাথে প্রেরণ করেছি; তারা অবিলম্বে জানতে পারবে।
ইরফানুল কুরআন
৭০. যারা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে কিতাব এবং সেসব যা (নিদর্শনাবলী) সহ আমরা আমাদের রাসূলগণকে প্রেরণ করেছিলাম, তারা অচিরেই (তাদের পরিণতি) জানতে পারবে,
৭১
Play Share Copy
اِذِ الۡاَغۡلٰلُ فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ وَ السَّلٰسِلُ ؕ یُسۡحَبُوۡنَ ﴿ۙ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. যখন তাদের ঘাড়সমূহে বেড়ী থাকবে এবং শৃঙ্খলসমূহ হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে;
ইরফানুল কুরআন
৭১. যখন তাদের গলদেশে বেড়ী ও শৃংখল থাকবে এবং তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে
৭২
Play Share Copy
فِی الۡحَمِیۡمِ ۬ۙ ثُمَّ فِی النَّارِ یُسۡجَرُوۡنَ ﴿ۚ۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. ফুটন্ত পানির মধ্যে; অতঃপর আগুনে বিদগ্ধ করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭২. ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর (জ্বালানী হিসেবে) নিক্ষেপ করা হবে অগ্নিতে।
৭৩
Play Share Copy
ثُمَّ قِیۡلَ لَہُمۡ اَیۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تُشۡرِکُوۡنَ ﴿ۙ۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় গেছে সেগুলো যেগুলোকে তোমরা শরীক বলতে।–
ইরফানুল কুরআন
৭৩. অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় সেসব (মূর্তি) যাদেরকে তোমরা অংশীদার সাব্যস্ত করতে,
৭৪
Play Share Copy
مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا بَلۡ لَّمۡ نَکُنۡ نَّدۡعُوۡا مِنۡ قَبۡلُ شَیۡئًا ؕ کَذٰلِکَ یُضِلُّ اللّٰہُ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. আল্লাহ্‌র মোকাবেলায়?’ তারা বলবে, ‘সেগুলো তো আমাদের নিকট থেকে হারিয়ে গেছে; বরং আমরা ইতোপূর্বে কিছুর পূজাই করতাম না’। আল্লাহ্‌ এভাবেই পথভ্রষ্ট করেন কাফিরদেরকে।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আল্লাহ্ ব্যতীত?’ তারা বলবে, ‘তারা আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে, বস্তুত আমরা তো পূর্বে কোনো কিছুরই উপাসনা করতাম না’। এভাবে আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পথভ্রষ্ট করেন।
৭৫
Play Share Copy
ذٰلِکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَفۡرَحُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَمۡرَحُوۡنَ ﴿ۚ۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. এটা এরই পরিণাম যে, তোমরা যমীনে মিথ্যার উপর খুশী হতে; এবং এরই পরিণাম যে, তোমরা দম্ভ করতে।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. এ (শাস্তি) এর বিনিময়ে যে, পৃথিবীতে তোমরা অযথা আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এর বিনিময়েও যে, তোমরা অহঙ্কার করতে।
৭৬
Play Share Copy
اُدۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ فَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. যাও জাহান্নামের দ্বারসমূহে তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য! সুতরাং কতই মন্দ ঠিকানা অহঙ্কারীদের!
ইরফানুল কুরআন
৭৬. প্রবেশ করো জাহান্নামের প্রবেশদ্বারে, এতে চিরস্থায়ী বসবাসকারীরূপে। সুতরাং কতোই না নিকৃষ্ট অহঙ্কারীদের ঠিকানা!
৭৭
Play Share Copy
فَاصۡبِرۡ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ ۚ فَاِمَّا نُرِیَنَّکَ بَعۡضَ الَّذِیۡ نَعِدُہُمۡ اَوۡ نَتَوَفَّیَنَّکَ فَاِلَیۡنَا یُرۡجَعُوۡنَ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. সুতরাং আপনি ধৈর্যধারণ করুন! নিশ্চয় আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য। অতএব, যদি আমি আপনাকে দেখিয়ে দিই এমন কিছু বস্তু, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে প্রদান করি, অথবা আপনাকে পূর্বেই ওফাত দিই- উভয় অবস্থাতেই তাদেরকে আমার দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. সুতরাং আপনি ধৈর্য ধরুন, নিশ্চই আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার সত্য। অতঃপর যদি আমরা আপনাকে এর (এ শাস্তির) কিছু অংশ দেখাই, যার অঙ্গীকার আমরা তাদেরকে করেছি অথবা আপনাকে (এর পূর্বে) দৃশ্যমান জীবন থেকে প্রস্থান করাই, তবে (উভয় অবস্থাতেই) তারা আমাদের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে।
৭৮
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا رُسُلًا مِّنۡ قَبۡلِکَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ قَصَصۡنَا عَلَیۡکَ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ لَّمۡ نَقۡصُصۡ عَلَیۡکَ ؕ وَ مَا کَانَ لِرَسُوۡلٍ اَنۡ یَّاۡتِیَ بِاٰیَۃٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ۚ فَاِذَا جَآءَ اَمۡرُ اللّٰہِ قُضِیَ بِالۡحَقِّ وَ خَسِرَ ہُنَالِکَ الۡمُبۡطِلُوۡنَ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং নিশ্চয় আমি আপনার পূর্বে কত সংখ্যক রসূল প্রেরণ করেছি, যাদের মধ্যে কারো কারো অবস্থাদি আপনার নিকট বর্ণনা করেছি এবং কারো কারো অবস্থাদি বর্ণনা করি নি এবং কোন রসূলের জন্য শোভা পায় না যে, কোন নিদর্শন নিয়ে আসবেন আল্লাহ্‌র নির্দেশে ব্যতিরেকে। অতঃপর যখন আল্লাহ্‌র নির্দেশ আসবে তখন সত্য মীমাংসাই করে দেওয়া হবে এবং মিথাশ্রয়ীদের সেখানেই ক্ষতি।
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর আমরা তো আপনার পূর্বে বহু রাসূল প্রেরণ করেছিলাম, তাঁদের কারো কারো অবস্থাদি আমরা আপনার নিকট বর্ণনা করেছি এবং তাঁদের কারো কারো অবস্থাদি (এখনো পর্যন্ত) আপনার নিকট বর্ণনা করিনি। আর কোনো রাসূলের পক্ষেই এ (সম্ভব) ছিল না যে, আল্লাহ্‌র অনুমতি ব্যতীত তাঁরা কোনো নিদর্শন উপস্থিত করে। অতঃপর যখন আল্লাহ্‌র নির্দেশ এসে গেল (এবং) সত্য ও ন্যায়ের ফায়সালা হয়ে গেল, তখন বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
৭৯
Play Share Copy
اَللّٰہُ الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَنۡعَامَ لِتَرۡکَبُوۡا مِنۡہَا وَ مِنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿۫۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. আল্লাহ্‌, যিনি তোমাদের জন্য চতুষ্পদ প্রাণীসমূহ সৃষ্টি করেন; যাতে কোনটার উপর আরোহণ করো এবং কোনটার মাংস আহার করো।
ইরফানুল কুরআন
৭৯. আল্লাহ্ই, যিনি তোমাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন চতুষ্পদজন্তু, যাতে এগুলোর কোনোটার উপর তোমরা আরোহণ করো এবং এগুলোর কোনোটি তোমরা আহার করো।
৮০
Play Share Copy
وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَنَافِعُ وَ لِتَبۡلُغُوۡا عَلَیۡہَا حَاجَۃً فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ وَ عَلَیۡہَا وَ عَلَی الۡفُلۡکِ تُحۡمَلُوۡنَ ﴿ؕ۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং তোমাদের জন্য সেগুলোর মধ্যে কতই উপকার রয়েছে এবং এ জন্যই যেন তোমরা সেগুলোর পিঠের উপর আপন অন্তরের উদ্দেশ্যাবলীতে পৌঁছতে পারো এবং সেগুলোর উপর ও নৌযানগুলোর উপর আরোহণ করো।
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর এগুলোতে তোমাদের জন্যে রয়েছে অনেক উপকার, যাতে তোমরা এগুলোতে আরোহণ করে (আরো) প্রয়োজনীয় স্থানে পৌঁছুতে পারো যা তোমাদের অন্তরে (প্রোথিত) রয়েছে, আর (এ যে,) তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয় এগুলোর উপর এবং নৌযানের উপর।
৮১
Play Share Copy
وَ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِہٖ ٭ۖ فَاَیَّ اٰیٰتِ اللّٰہِ تُنۡکِرُوۡنَ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং তিনি তোমাদেরকে আপন নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র কোন্‌ নিদর্শঙ্কে অস্বীকার করবে?
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর তিনি তোমাদেরকে দেখিয়ে থাকেন তাঁর (অনেক) নিদর্শনাবলী। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র কোন্ কোন্ নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?
৮২
Play Share Copy
اَفَلَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡہُمۡ وَ اَشَدَّ قُوَّۃً وَّ اٰثَارًا فِی الۡاَرۡضِ فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. তারা কি যমীনে ভ্রমণ করে নি? তাহলে দেখতো তাদের পূর্ববর্তীদের কেমন পরিণতি হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে অধিক ছিলো এবং তাদের শক্তিও। আর পৃথিবীতে নিদর্শনসমূহও তাদের চেয়ে বেশি। সুতরাং তা তাদের কি কাজে আসলো, যা তারা উপার্জন করেছে?
ইরফানুল কুরআন
৮২. সুতরাং তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি, তাহলে তারা দেখতে পেতো সেসব লোকদের পরিণাম কেমন হয়েছিল যারা তাদের পূর্বে গত হয়েছে? তারা এদের থেকে (সংখ্যায়ও) ছিল অধিক এবং শক্তিতে(ও) ছিল প্রবলতর এবং কীর্তিতেও (ছিল অনেক অগ্রসরমান), যা তারা পৃথিবীতে রেখে গেছে। কিন্তু যা কিছু তারা অর্জন করতো তা তাদের কোনো কাজেই আসলো না।
৮৩
Play Share Copy
فَلَمَّا جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَرِحُوۡا بِمَا عِنۡدَہُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ وَ حَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. সুতরাং যখন তাদের নিকট তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসলেন, তখন তারা তা নিয়েই উল্লাসিত ছিলো, যা তাদের নিকট পার্থিব জ্ঞান ছিলো আর তাদেরই উপর উলটে পড়লো যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করতো।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. অতঃপর যখন তাদের নিকট তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করতেন, তখন তারা তাদের (পার্থিব) জ্ঞান ও দক্ষতার অহঙ্কার করতো। আর (এ অবস্থাতেই) তাদেরকে (এ শাস্তি) বেষ্টন করলো যা নিয়ে তারা উপহাস করতো।
৮৪
Play Share Copy
فَلَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَحۡدَہٗ وَ کَفَرۡنَا بِمَا کُنَّا بِہٖ مُشۡرِکِیۡنَ ﴿۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি দেখলো তখন বললো, ‘আমরা এক আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনেছি এবং যাকে তার শরীক স্থির করতাম তাকে অস্বীকার করলাম’।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. অতঃপর যখন তারা আমাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করলো, তখন তারা বলতে লাগলো, ‘আমরা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম যিনি এক এবং সেসব অস্বীকার করলাম যাদেরকে আমরা তাঁর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতাম।’
৮৫
Play Share Copy
فَلَمۡ یَکُ یَنۡفَعُہُمۡ اِیۡمَانُہُمۡ لَمَّا رَاَوۡا بَاۡسَنَا ؕ سُنَّتَ اللّٰہِ الَّتِیۡ قَدۡ خَلَتۡ فِیۡ عِبَادِہٖ ۚ وَ خَسِرَ ہُنَالِکَ الۡکٰفِرُوۡنَ ﴿۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. সুতরাং তাদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসে নি যখন তারা আমার শাস্তি দেখে নিলো। আল্লাহ্‌র এ বিধান, যা তার বান্দাদের মধ্যে চলে এসেছে এবং সেখানে কাফিরগণ ক্ষতির মধ্যেই রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮৫. অতঃপর যখন তারা আমাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করলো তখন তাদের ঈমান আনয়ন তাদের কোনো কাজেই আসলো না। আল্লাহ্‌র (এই) রীতি, যা তাঁর বান্দাদের মাঝে চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফেরেরা (সর্বদা) ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।