بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. আলিফ লা----ম মী---ম।
ইরফানুল কুরআন
১. আলিফ-লাম-মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই সম্যক অবগত।)
تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡکِتٰبِ الۡحَکِیۡمِ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এ গুলো বাস্তবজ্ঞানে পরিপূর্ণ কিতাবের আয়াত,
ইরফানুল কুরআন
২. এগুলো জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াতসমূহ,
ہُدًی وَّ رَحۡمَۃً لِّلۡمُحۡسِنِیۡنَ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. পথ নির্দেশনা ও দয়া সৎকর্মপরায়ণদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩. যা সৎকর্মশীলদের জন্যে হেদায়াত ও রহমত,
الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ ہُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. ওই সব লোক, যারা নামায ক্বায়েম রাখে ও যাকাত প্রদান করে এবং আখিরাতের উপর নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে;
ইরফানুল কুরআন
৪. যারা নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় এবং যারা পরকালে বিশ্বাস রাখে।
اُولٰٓئِکَ عَلٰی ہُدًی مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. তারাই আপন রবের হিদায়তের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।
ইরফানুল কুরআন
৫. তারাই তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে হেদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّشۡتَرِیۡ لَہۡوَ الۡحَدِیۡثِ لِیُضِلَّ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ٭ۖ وَّ یَتَّخِذَہَا ہُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. এবং কিছু লোক খেলাধূলার কথাবার্তা ক্রয় করে যেন আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়, না বুঝে এবং সেটাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপরূপে গ্রহণ করে নেয়। তাদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৬. আর মানুষের মাঝে এমন কেউ কেউ রয়েছে যারা অসার বাক্য ক্রয় করে যা নির্বোধ মানুষকে আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করে এবং সে এ (পথ) নিয়ে উপহাস করে। তাদেরই জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
وَ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِ اٰیٰتُنَا وَلّٰی مُسۡتَکۡبِرًا کَاَنۡ لَّمۡ یَسۡمَعۡہَا کَاَنَّ فِیۡۤ اُذُنَیۡہِ وَقۡرًا ۚ فَبَشِّرۡہُ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. এবং যখন তার নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন অহঙ্কার করে ফিরে যায় যেন সে ওইগুলো শুনেই নি, যেন তার কানে বধিরতা রয়েছে। সুতরাং তাকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।
ইরফানুল কুরআন
৭. আর যখন তার নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হয়, তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয় যেন সে তা শুনতেই পায়নি, যেন তার কানে (বধিরতার) আবরণ। সুতরাং তাকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দিন।
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتُ النَّعِیۡمِ ۙ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে শান্তির বাগান;
ইরফানুল কুরআন
৮. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্যে রয়েছে নিয়ামতে ভরা উদ্যান।
خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقًّا ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. তারা সর্বদা সেগুলোতে থাকবে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি হচ্ছে সত্য এবং তিনিই সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
৯. (তারা) এতে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য। আর তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাবান।
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ بِغَیۡرِ عَمَدٍ تَرَوۡنَہَا وَ اَلۡقٰی فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِکُمۡ وَ بَثَّ فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ دَآبَّۃٍ ؕ وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَنۡۢبَتۡنَا فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ زَوۡجٍ کَرِیۡمٍ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. তিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন এমন সব স্তম্ভ ব্যতীত, যেগুলো তোমরা দেখতে পাও এবং পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন নোঙ্গরসমূহ যাতে তোমাদেরকে নিয়ে কম্পন না করে এবং তাতে প্রত্যেক প্রকারের জীব জন্তু জড়িয়ে দিয়েছেন। আর আমি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর পৃথিবীতে প্রত্যেক উৎকৃষ্ট জোরা উদগত করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১০. তিনি আকাশমন্ডলী নির্মাণ করেছেন স্তম্ভ ছাড়াই, (যেমন) তোমরা তা দেখছো। আর তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন উঁচু মজবুত পর্বতমালা যাতে (আবর্তনের সময়) তোমাদেরকে নিয়ে তা কেঁপে না উঠে এবং তিনি এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার জীবজন্তু। আর আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তাতে সকল প্রকার উৎকৃষ্ট ও কল্যাণকর উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
ہٰذَا خَلۡقُ اللّٰہِ فَاَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقَ الَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ ؕ بَلِ الظّٰلِمُوۡنَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. এ’তো আল্লাহ্র সৃষ্ট! আমাকে তা দেখাও, যা তিনি ব্যতীত অন্যরা সৃষ্টি করেছে; বরং যালিমগণ সুস্পষ্ট ভ্রান্তিতে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
১১. এ হলো আল্লাহ্র সৃষ্টি। সুতরাং (হে মুশরিকেরা!) আমাকে দেখাও আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যেরা কী সৃষ্টি করেছে। বরং সীমালঙ্ঘনকারীরা তো প্রকাশ্য গোমরাহীতে রয়েছে।
وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا لُقۡمٰنَ الۡحِکۡمَۃَ اَنِ اشۡکُرۡ لِلّٰہِ ؕ وَ مَنۡ یَّشۡکُرۡ فَاِنَّمَا یَشۡکُرُ لِنَفۡسِہٖ ۚ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. এবং নিশ্চয় আমি লোক্বমানকে হিকমত দান করেছি (আর বলেছি,) ‘আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণার্থে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে; এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ অভাবমুক্ত, সকল প্রকার প্রশংসায় প্রশংসিত।
ইরফানুল কুরআন
১২. আর নিশ্চয় আমি লুকমানকে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা প্রদান করেছিলাম এবং (তাকে বলেছিলাম:) ‘আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা আদায় করো; আর যে কৃতজ্ঞতা আদায় করে সে নিজের কল্যাণের জন্যেই কৃতজ্ঞতা আদায় করে। আর যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তবে নিশ্চিত আল্লাহ্ অভাবমুক্ত, (নিজেই) প্রশংসা ও স্তুতির অধিকারী।
وَ اِذۡ قَالَ لُقۡمٰنُ لِابۡنِہٖ وَ ہُوَ یَعِظُہٗ یٰبُنَیَّ لَا تُشۡرِکۡ بِاللّٰہِ ؕؔ اِنَّ الشِّرۡکَ لَظُلۡمٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং স্মরণ করুণ! যখন লোক্বমান আপন পুত্রকে বললো এবং সে উপদেশ দিচ্ছিলো, ‘হে আমার পুত্র! কাউকেও আল্লাহ্র শরীক করো না; নিশ্চয় শির্ক চরম যুল্ম।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর (স্মরণ করুন) যখন লুকমান তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন এবং তাকে উপদেশ দিচ্ছিলেন, ‘হে আমার পুত্র! আল্লাহ্র সাথে শরীক করো না। নিশ্চয়ই শির্ক অনেক বড় অন্যায়।’
وَ وَصَّیۡنَا الۡاِنۡسَانَ بِوَالِدَیۡہِ ۚ حَمَلَتۡہُ اُمُّہٗ وَہۡنًا عَلٰی وَہۡنٍ وَّ فِصٰلُہٗ فِیۡ عَامَیۡنِ اَنِ اشۡکُرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیۡکَ ؕ اِلَیَّ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং আমি মানুষকে তার মাতা পিতা সম্বন্ধে তাকীদ দিয়েছি তার মাতা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে দুর্বলতার উপর দুর্বলতা সহ্য করে এবং তার দুধ ছাড়ানো দু’বছরের মধ্যে। এও যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো আমার এবং আপন মাতা পিতার; শেষ পর্যন্ত আমারই নিকট আসতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর আমরা মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে (সদাচরণের) জোরালো নির্দেশ দিয়েছি, যাকে তার জননী কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে (স্বীয় গর্ভে) বহন করেছেন এবং যার দুধ ছাড়াতেও দুবছর লাগে। (আর তাকে এ নির্দেশ দিয়েছি:) ‘আমার প্রতি এবং তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (তোমার) প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে।’
وَ اِنۡ جَاہَدٰکَ عَلٰۤی اَنۡ تُشۡرِکَ بِیۡ مَا لَیۡسَ لَکَ بِہٖ عِلۡمٌ ۙ فَلَا تُطِعۡہُمَا وَ صَاحِبۡہُمَا فِی الدُّنۡیَا مَعۡرُوۡفًا ۫ وَّ اتَّبِعۡ سَبِیۡلَ مَنۡ اَنَابَ اِلَیَّ ۚ ثُمَّ اِلَیَّ مَرۡجِعُکُمۡ فَاُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং যদি তারা উভয় তোমার উপর প্রচেষ্টা চালায় যেন তুমি আমার সমকক্ষ দাঁড় করাও এমন বস্তুকে যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মান্য করো না এবং পৃথিবীতে সৎভাবে তাদের সাথে বসবাস করবে; আর তারই পথে চলো, যে আমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছে; অতঃপর আমারই প্রতি তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে, তখন আমি বলে দেবো যা তোমরা করছিলে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর যদি তাদের উভয়ে তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে, যার (সত্যতার) কোনো জ্ঞান তোমার কাছে নেই, তাহলে তাদের আনুগত্য করো না। তবে পার্থিব বিষয়ে তাদেরকে উত্তম সাহচর্য প্রদান করো। আর (আকীদা ও পরকালীন বিষয়ে) এমন লোকের আনুগত্য করো যে বিশুদ্ধচিত্তে আমার অভিমুখী হয়েছে ও আমার প্রতি আনুগত্যের পথ গ্রহণ করেছে। অতঃপর আমার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, তখন আমি তোমাদেরকে সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করবো যা তোমরা করতে।
یٰبُنَیَّ اِنَّہَاۤ اِنۡ تَکُ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ فَتَکُنۡ فِیۡ صَخۡرَۃٍ اَوۡ فِی السَّمٰوٰتِ اَوۡ فِی الۡاَرۡضِ یَاۡتِ بِہَا اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَطِیۡفٌ خَبِیۡرٌ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. ‘হে আমার পুত্র! মন্দকাজ যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা কঙ্করময় ভূমিতে কিংবা আসমানগুলোতে অথবা যমীনের মধ্যে যেখানেই থাকুক না কেন, আল্লাহ্ সেটা উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ প্রত্যেক সুক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাতা, অবহিত।
ইরফানুল কুরআন
১৬. (লুকমান বললেন,) ‘হে আমার পুত্র! কোনো বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা কোনো পাথরে (লুকায়িত) থাকে অথবা আকাশমন্ডলীতে অথবা পৃথিবীতে, (তখনও) আল্লাহ্ একে (কিয়ামতের দিন হিসাবের জন্যে) উপস্থাপন করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সূক্ষ্মদর্শী, সর্বাধিক অবগত।
یٰبُنَیَّ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ وَ اۡمُرۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ انۡہَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ اصۡبِرۡ عَلٰی مَاۤ اَصَابَکَ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ مِنۡ عَزۡمِ الۡاُمُوۡرِ ﴿ۚ۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. হে আমার পুত্র! নামায ক্বায়েম রাখো এবং সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর অসৎকর্মে নিষেধ করো এবং যে বিপদাপদ তোমার উপর আপতিত হয় সেটার উপর ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয় এগুলো সাহসিকতার কাজ।
ইরফানুল কুরআন
১৭. হে আমার পুত্র! নামায কায়েম করো, সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং অসৎ কর্মে নিষেধ করো আর তোমার দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই তা খুবই দৃঢ়সংকল্পের কাজ।
وَ لَا تُصَعِّرۡ خَدَّکَ لِلنَّاسِ وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ کُلَّ مُخۡتَالٍ فَخُوۡرٍ ﴿ۚ۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. অন্য কারো সাথে কথা বলার মধ্যে আপন মুখমণ্ডল বক্র করো না এবং পৃথিবীতে অহঙ্কার করে বিচরণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ পছন্দ করেন না কোন উদ্ধত, অহঙ্কারীকে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. আর (অহঙ্কারবশতঃ) মানুষজন থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিও না এবং পৃথিবীতে দম্ভভরে বিচরণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অহঙ্কারী, দম্ভভরে বিচরণকারীকে পছন্দ করেন না।
وَ اقۡصِدۡ فِیۡ مَشۡیِکَ وَ اغۡضُضۡ مِنۡ صَوۡتِکَ ؕ اِنَّ اَنۡکَرَ الۡاَصۡوَاتِ لَصَوۡتُ الۡحَمِیۡرِ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. এবং মধ্যম চলনে বিচরণ করো আর আপন কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয় সমস্ত স্বরের মধ্যে অপ্রীতিকর স্বর হচ্ছে গর্দভের।
ইরফানুল কুরআন
১৯. আর চলাফেরায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। নিশ্চয়ই সুরের মধ্যে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’
اَلَمۡ تَرَوۡا اَنَّ اللّٰہَ سَخَّرَ لَکُمۡ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ اَسۡبَغَ عَلَیۡکُمۡ نِعَمَہٗ ظَاہِرَۃً وَّ بَاطِنَۃً ؕ وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یُّجَادِلُ فِی اللّٰہِ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ وَّ لَا ہُدًی وَّ لَا کِتٰبٍ مُّنِیۡرٍ ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. তোমরা কি দেখো নি যে, আল্লাহ্ তোমাদের জন্য কাজে নিয়োজিত করেছেন যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে এবং তোমাদেরকে পূর্ণমাত্রায় দিয়েছেন আপন অনুগ্রহসমূহ, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে। এবং কোন কোন মানুষ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করে এমনই যে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে বিবেক, না কোন সমুজ্জ্বল কিতাব।
ইরফানুল কুরআন
২০. (হে লোকেরা!) তোমরা কি দেখো নি, আল্লাহ্ তোমাদের অনুগত করেছেন যা কিছু আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে রয়েছে এবং তিনি তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নিয়ামত সম্পূর্ণ করেছেন? আর মানুষের মাঝে কেউ কেউ এমন(ও) রয়েছে যারা আল্লাহ্র ব্যাপারে ঝগড়া করে; জ্ঞান ব্যতীত, হেদায়াত ব্যতীত এবং সমুজ্জ্বল কিতাব (-এর দলিল) ব্যতীত।
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمُ اتَّبِعُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ قَالُوۡا بَلۡ نَتَّبِعُ مَا وَجَدۡنَا عَلَیۡہِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوۡ کَانَ الشَّیۡطٰنُ یَدۡعُوۡہُمۡ اِلٰی عَذَابِ السَّعِیۡرِ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘সেটার অনুসরণ করো, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন!’ তখন বলে, ‘বরং আমরা তো সেটার অনুসরণ করবো, যার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি’। যদিও শয়তান তাদেরকে দোযখের শাস্তির দিকে আহবান করে থাকে, তবুও?
ইরফানুল কুরআন
২১. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘অনুসরণ করো এ কিতাব যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন’। তখন তারা বলে, ‘(না) বরং আমরা তো অনুসরণ করবো যার উপর (যে পথে) আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি’, যদিও শয়তান তাদেরকে দোযখের শাস্তির দিকেই আহ্বান করে।
وَ مَنۡ یُّسۡلِمۡ وَجۡہَہٗۤ اِلَی اللّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ عَاقِبَۃُ الۡاُمُوۡرِ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং যে কেউ আপন মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্র দিকে অবনত করে দেয় এবং হয় সৎকর্মপরায়ণগণ, তবে সে নিশ্চয় এক মজবুত গ্রন্থি দৃঢ়ভাবে ধারণ করেছে এবং আল্লাহ্রই দিকে হচ্ছে সব কাজের শেষ পরিণতি।
ইরফানুল কুরআন
২২. যে ব্যক্তি নিজকে আল্লাহ্র আনুগত্যে সমর্পণ করে আর সে (নিজের কর্ম ও মননে) আধ্যাত্বিক উৎকর্ষতারও অধিকারী হয়, তবে সে মজবুত হাতলকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরেছে। আর সকল কর্মকান্ডের পরিণাম তো আল্লাহ্রই দিকে।
وَ مَنۡ کَفَرَ فَلَا یَحۡزُنۡکَ کُفۡرُہٗ ؕ اِلَیۡنَا مَرۡجِعُہُمۡ فَنُنَبِّئُہُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. এবং যে কেউ কুফর করে, তবে আপনি তার কুফরের কারণে দুঃখিত হবেন না। তাদেরকে আমারই দিকে ফিরে যেতে হবে অতঃপর আমি তাদেরকে বলে দেবো যা তারা করতো। নিশ্চয় আল্লাহ্ অন্তরগুলোর কথা জানেন।
ইরফানুল কুরআন
২৩. আর কেউ কুফরী করলে, (হে সম্মানিত হাবীব!) তার কুফরী যেন আপনাকে চিন্তান্বিত না করে। তাদের প্রত্যাবর্তনও আমারই দিকে। আমি তাদেরকে অবগত করবো যেসব কর্মকান্ড তারা করতো। নিশ্চয় আল্লাহ্ ভালোভাবে অবগত যা অন্তরে (লুকায়িত) রয়েছে।
نُمَتِّعُہُمۡ قَلِیۡلًا ثُمَّ نَضۡطَرُّہُمۡ اِلٰی عَذَابٍ غَلِیۡظٍ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. আমি তাদেরকে কিছু ভোগ করতে দেবো অতঃপর তাদেরকে অসহায় করে কঠিন শাস্তির দিকে নিয়ে যাবো।
ইরফানুল কুরআন
২৪. আমরা তাদেরকে (পৃথিবীতে) সামান্য ভোগবিলাস প্রদান করবো; অতঃপর তাদেরকে বাধ্য করবো কঠিন শাস্তির দিকে ধাবিত হতে।
وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰہُ ؕ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কে সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন?’ তবে অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ্’। আপনি বলুন, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য’। বরং তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক জানে না।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ্’। আপনি বলুন, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই’, বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡغَنِیُّ الۡحَمِیۡدُ ﴿۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. আল্লাহ্রই যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ্ই অভাবমুক্ত, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিত।
ইরফানুল কুরআন
২৬. যা কিছু আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে রয়েছে তা (সব) আল্লাহ্রই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই স্বয়ং-সম্পূর্ণ, (নিজেই) প্রশংসা ও স্তুতির অধিকারী।
وَ لَوۡ اَنَّ مَا فِی الۡاَرۡضِ مِنۡ شَجَرَۃٍ اَقۡلَامٌ وَّ الۡبَحۡرُ یَمُدُّہٗ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ سَبۡعَۃُ اَبۡحُرٍ مَّا نَفِدَتۡ کَلِمٰتُ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. এবং যদি পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে সবই কলম হয়ে যায় আর সমুদ্র তার কালি হয়, এরপর আরো সাতটি সমুদ্র, তবুও আল্লাহ্র বাণীসমূহ নিঃশেষ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ইরফানুল কুরআন
২৭. আর যদি পৃথিবীতে যতো বৃক্ষ রয়েছে (সব) কলম হয় আর সমুদ্র হয় (সমুজ্জ্বল) কালি এবং এর সাথে আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হয়; তবুও আল্লাহ্র বাক্যাবলী শেষ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
مَا خَلۡقُکُمۡ وَ لَا بَعۡثُکُمۡ اِلَّا کَنَفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌۢ بَصِیۡرٌ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. তোমাদের সবাইকে সৃষ্টি করা ও ক্বিয়ামতে উঠানো তেমনি যেমন একটি প্রাণকে। নিশ্চয় আল্লাহ্ শুনেন, দেখেন।
ইরফানুল কুরআন
২৮. তোমাদের সবাইকে সৃষ্টি করা এবং (মৃত্যুর পর) তোমাদের সবাইকে পুনরুত্থিত করা (আল্লাহ্র ক্ষমতার জন্যে) কেবল এক ব্যক্তিকে (সৃষ্টি করা এবং পুনরুত্থান) করার মতো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَ یُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ وَ سَخَّرَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ۫ کُلٌّ یَّجۡرِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی وَّ اَنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. ওহে শ্রোতা! তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্ রাতকে আনেন দিনের অংশে এবং দিনকে করেন রাতের অংশে। এবং তিনি সূর্য ও চাঁদকে কাজে নিয়োজিত করেছেন? প্রত্যেকটি একেকটি নির্ধারিত মেয়াদ কাল পর্যন্ত বিচরণ করে। এবং এই যে, আল্লাহ্ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
২৯. আপনি কি দেখেননি আল্লাহ্ রাত্রিকে দিবসে প্রবেশ করান এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবেশ করান? আর (তিনি) সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মের অধীন করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করছে এক নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত। আর তোমরা যা করছো সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে আল্লাহ্ অবগত।
ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡحَقُّ وَ اَنَّ مَا یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِ الۡبَاطِلُ ۙ وَ اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡکَبِیۡرُ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এটা এ জন্য যে, আল্লাহ্ই সত্য এবং তিনি ব্যতীত যাদের তারা পূজা করছে সবই বাতিল এবং এ জন্য যে, আল্লাহ্ই উচ্চ মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী।
ইরফানুল কুরআন
৩০. তা এ জন্যে যে, আল্লাহ্ই সত্য। আর আল্লাহ্ ব্যতীত এরা যার উপাসনা করে তা মিথ্যা। আর আল্লাহ্, তিনি তো সর্বোচ্চ, মহান।
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ الۡفُلۡکَ تَجۡرِیۡ فِی الۡبَحۡرِ بِنِعۡمَتِ اللّٰہِ لِیُرِیَکُمۡ مِّنۡ اٰیٰتِہٖ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوۡرٍ ﴿۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. তুমি কি দেখো নি যে, নৌযান সমুদ্রে বিচরণ করে আল্লাহ্র অনুগ্রহে, যাতে তিনি তোমাদেরকে আপন কিছু নিদর্শন দেখান? নিশ্চয় তাতে নিদর্শনাদি রয়েছে প্রত্যেক বড় ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞদের জন্য।
ইরফানুল কুরআন
৩১. আপনি কি দেখেননি, আল্লাহ্র অনুগ্রহে নৌযানগুলো সাগরে চলাচল করে, যা দ্বারা তিনি তোমাদেরকে তাঁর কিছু নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করেন? নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে প্রত্যেক কঠোর ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে।
وَ اِذَا غَشِیَہُمۡ مَّوۡجٌ کَالظُّلَلِ دَعَوُا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ ۬ۚ فَلَمَّا نَجّٰہُمۡ اِلَی الۡبَرِّ فَمِنۡہُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ؕ وَ مَا یَجۡحَدُ بِاٰیٰتِنَاۤ اِلَّا کُلُّ خَتَّارٍ کَفُوۡرٍ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং যখন তাদের উপর এসে পড়ে কোন ঢেউ পর্বতমালার মতো, তখন আল্লাহ্কে ডাকে শুধু তারই উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে। অতঃপর যখন তাদেরকে স্থলের দিকে রক্ষা করে নিয়ে আসেন, তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরল পথে থাকে। আর আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করবে কেবল প্রত্যেক চরম বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই।
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর যখন সাগরের তরঙ্গ (পর্বতমালা, মেঘমালা অথবা) চাঁদোয়ার ন্যায় তাদেরকে আচ্ছন্ন করে তখন এরা (এ কাফের ও মুশরিকেরা) আল্লাহ্কে তাঁর একান্ত আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্তে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে রক্ষা করে স্থলভাগে পৌঁছান তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যম পন্থায় (অর্থাৎ হেদায়াতের পথে) গমনকারী হয়; কেবল বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমাদের নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّکُمۡ وَ اخۡشَوۡا یَوۡمًا لَّا یَجۡزِیۡ وَالِدٌ عَنۡ وَّلَدِہٖ ۫ وَ لَا مَوۡلُوۡدٌ ہُوَ جَازٍ عَنۡ وَّالِدِہٖ شَیۡئًا ؕ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ٝ وَ لَا یَغُرَّنَّکُمۡ بِاللّٰہِ الۡغَرُوۡرُ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. হে লোকেরা! আপন রবকে ভয় করো এবং ওই দিনকে ভয় করো, যেদিন কোন পিতা আপন সন্তানের উপকারে আসবে না এবং না কোন উপযুক্ত সন্তান তার পিতার কোন উপকারে আসবে। নিশ্চয় আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। সুতরাং তোমাদেরকে যেন কিছুতেই প্রতারিত না করে পার্থিব জীবন। এবং কিছুতেই যেন তোমাদেরকে আল্লাহ্র সহনশীলতার সুবাদে প্রবঞ্চিত না করে ওই বড় প্রবঞ্চক।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। আর সেদিনের ভয় করো যেদিন না কোনো পিতা নিজ পুত্রের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে, আর না কোনো পুত্র নিজ পিতার পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য। সুতরাং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে যেন কখনো ধোঁকায় পতিত না করে এবং প্রতারণা দানকারী (শয়তান) তোমাদেরকে আল্লাহ্র ব্যাপারে প্রবঞ্চিত না করে।
اِنَّ اللّٰہَ عِنۡدَہٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ ۚ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی الۡاَرۡحَامِ ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَکۡسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌۢ بِاَیِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. নিশ্চয় আল্লাহ্র নিকট রয়েছে ক্বিয়ামতের জ্ঞান ও বর্ষণ করেন বৃষ্টি এবং জানেন যা কিছু ময়দানের গর্ভের রয়েছে, আর কেউ জানে না কাল কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন ভূ-খণ্ডে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, সব বিষয়ে খবরদাতা।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্রই নিকট রয়েছে। আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনিই জানেন যা কিছু রয়েছে জরায়ুতে। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞানী, সবকিছু অবগত। (অর্থাৎ সত্তাগতভাবে অবগত, অন্যের খবর রাখেন, নিজে নিজে সকল বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। আর যাকে পছন্দ করেন সংবাদ প্রদানও করেন।)