بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
کٓہٰیٰعٓصٓ ۟﴿ۚ۱﴾
কানযুল ঈমান
১. কা-----ফ হা-ইয়া- ‘আঈ---ন সোয়া---দ।
ইরফানুল কুরআন
১. কাফ-হা-ইয়া-আইন-সোয়াদ। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ তা’আলা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই অধিক অবগত।)
ذِکۡرُ رَحۡمَتِ رَبِّکَ عَبۡدَہٗ زَکَرِیَّا ۖ﴿ۚ۲﴾
কানযুল ঈমান
২. এটা হচ্ছে বিবরণ তোমার রবের ওই অনুগ্রহের, যা তিনি আপন বান্দা যাকারিয়ার প্রতি করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
২. এ আলোচনা আপনার প্রতিপালকের রহমতের (যা তিনি) তাঁর (মনোনীত) বান্দা যাকারিয়্যা (আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি (করেছেন),
اِذۡ نَادٰی رَبَّہٗ نِدَآءً خَفِیًّا ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. যখন সে আপন রবকে নীরবে আহ্বান করেছে।
ইরফানুল কুরআন
৩. যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে (বিনম্রভাবে) নিভৃতে আহ্বান করেছিলেন।
قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَ اشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّ لَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে আর মাথা থেকে বার্ধক্যের শিক্ষা প্রকাশ পেয়েছে এবং হে আমার রব! তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনো ব্যর্থ হই নি।
ইরফানুল কুরআন
৪. তিনি আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার অস্থি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং বার্ধক্যের কারণে (আমার) মস্তক অগ্নিশিখার ন্যায় শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে। আর হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে প্রার্থনা করে কখনো আমি বঞ্চিত হইনি।
وَ اِنِّیۡ خِفۡتُ الۡمَوَالِیَ مِنۡ وَّرَآءِیۡ وَ کَانَتِ امۡرَاَتِیۡ عَاقِرًا فَہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. এবং আমার মনে আমার পরে আপন স্বজনদের সম্পর্কে আশঙ্কা রয়েছে; আর আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; সুতরাং আমাকে তোমার নিকট থেকে এমন কাউকে দান করো যে আমার কাজ সম্পাদন করবে।
ইরফানুল কুরআন
৫. আর আমার (মৃত্যুর) পর আমার (বেদ্বীন) স্বগোত্রীয়দেরকে নিয়ে আমি আশঙ্কা করছি (তারা দ্বীনকে নষ্ট করে দেবে); আমার স্ত্রী(ও) বন্ধা, সুতরাং তুমি তোমার (বিশেষ) সান্নিধ্য থেকে আমাকে এক উত্তরাধিকারী (সন্তান) দান করো,
یَّرِثُنِیۡ وَ یَرِثُ مِنۡ اٰلِ یَعۡقُوۡبَ ٭ۖ وَ اجۡعَلۡہُ رَبِّ رَضِیًّا ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. সে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং ইয়া’কূবের বংশধরদের উত্তরাধিকারী হবে; এবং হে আমার রব! তাকে পছন্দনীয় করো’।
ইরফানুল কুরআন
৬. যে আমার উত্তরাধিকারী হবে (ঐশী অনুগ্রহে) এবং (নবুয়্যতের ধারাবাহিকতায়) উত্তরাধিকারী হবে ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম)-এঁর বংশধরদের। আর হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাকে অধিকারী করো তোমার সন্তোষভাজনের।’
یٰزَکَرِیَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُکَ بِغُلٰمِۣ اسۡمُہٗ یَحۡیٰی ۙ لَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ مِنۡ قَبۡلُ سَمِیًّا ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. হে যাকারিয়া! আমি তোমাকে সুসংবাদ শুনাচ্ছি এক পুত্রের, যার নাম ইয়াহ্য়া; এর পূর্বে আমি এ নামে কাউকেও নামকরণ করিনি।
ইরফানুল কুরআন
৭. (এরশাদ হল,) ‘হে যাকারিয়্যা! নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, যার নাম হবে ইয়াহইয়া (আলাইহিস সালাম); এ নাম তাঁর পূর্বে আমরা কাউকেই দেইনি।’
قَالَ رَبِّ اَنّٰی یَکُوۡنُ لِیۡ غُلٰمٌ وَّ کَانَتِ امۡرَاَتِیۡ عَاقِرًا وَّ قَدۡ بَلَغۡتُ مِنَ الۡکِبَرِ عِتِیًّا ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমার পুত্র কোত্থেকে হবে আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা এবং আমি বার্ধক্যের কারণে শুকিয়ে যাবার অবস্থায় পৌছে গেছি’।
ইরফানুল কুরআন
৮. (যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! কিভাবে আমার পুত্র হতে পারে যখন আমার স্ত্রী বন্ধা এবং আমি নিজে (প্রচন্ড দুর্বলতায়) বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি?’
قَالَ کَذٰلِکَ ۚ قَالَ رَبُّکَ ہُوَ عَلَیَّ ہَیِّنٌ وَّ قَدۡ خَلَقۡتُکَ مِنۡ قَبۡلُ وَ لَمۡ تَکُ شَیۡئًا ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. বললেন, ‘এরূপই হবে’। তোমার রব বলেছেন, ‘তা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি এর পূর্বে তোমাকে ওই সময় সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।
ইরফানুল কুরআন
৯. বললেন, ‘(আশ্চর্য হয়ো না,) এরূপই হবে’। তোমার প্রতিপালক ইরশাদ করেছেন, ‘এ আমার জন্যে সহজ এবং নিশ্চয়ই আমি এরপূর্বে তোমাকে(ও) সৃষ্টি করেছি যখন তুমি (একবারেই) কিছুই ছিলে না।’
قَالَ رَبِّ اجۡعَلۡ لِّیۡۤ اٰیَۃً ؕ قَالَ اٰیَتُکَ اَلَّا تُکَلِّمَ النَّاسَ ثَلٰثَ لَیَالٍ سَوِیًّا ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমাকে কোন নিদর্শন দিয়ে দাও’। বললেন, ‘তোমার নিদর্শন এ যে, তুমি তিন রাত দিন মানুষের সাথে বাক্যালাপ করবে না একেবারে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও।
ইরফানুল কুরআন
১০. (যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কোনো নিদর্শন দাও’। ইরশাদ হলো, ‘তোমার নিদর্শন এ যে, তুমি সুস্থ অবস্থায়ও তিন রাত (ও দিন) কারো সাথে কথা বলবে না’।
فَخَرَجَ عَلٰی قَوۡمِہٖ مِنَ الۡمِحۡرَابِ فَاَوۡحٰۤی اِلَیۡہِمۡ اَنۡ سَبِّحُوۡا بُکۡرَۃً وَّ عَشِیًّا ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. অতঃপর আপন সম্প্রদায়ের নিকট মসজিদ থেকে বের হয়ে এলো, তাঁরপর তাদেরকে এলো, তাঁরপর তাদেরকে ইঙ্গিতে বললো, ‘সকল সন্ধ্যায় (আল্লাহ্র) পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকো’।
ইরফানুল কুরআন
১১. অতএব (যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম) ইবাদতখানা থেকে বের হয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট আগমন করলেন, অতঃপর তাদেরকে ইঙ্গিতে সকাল-সন্ধা (আল্লাহ্র) পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বললেন।
یٰیَحۡیٰی خُذِ الۡکِتٰبَ بِقُوَّۃٍ ؕ وَ اٰتَیۡنٰہُ الۡحُکۡمَ صَبِیًّا ﴿ۙ۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. ‘হে ইয়াহ্য়া! কিতাবটা দৃঢ়তাঁর সাথে ধারণ করো’। এবং আমি তাকে শৈশবই নবূয়ত প্রদান করেছি।
ইরফানুল কুরআন
১২. ‘হে ইয়াহ্ইয়া! (আমাদের) কিতাব (তাওরাত) দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরো’, আমরা তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম প্রজ্ঞা ও (নবুয়্যতের) অন্তর্দৃষ্টি,
وَّ حَنَانًا مِّنۡ لَّدُنَّا وَ زَکٰوۃً ؕ وَ کَانَ تَقِیًّا ﴿ۙ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং আমার নিকট থেকে দয়া ও পবিত্রতা; এবং (সে) পরিপূর্ণ খোদা-ভীতিসম্পন্ন ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর আমার বিশেষ সান্নিধ্য থেকে (তাঁকে দান করেছিলাম) হৃদয়ের কোমলতা, পবিত্রতা ও ধর্মনিষ্ঠতা। আর তিনি ছিলেন পরহেযগার।
وَّ بَرًّۢا بِوَالِدَیۡہِ وَ لَمۡ یَکُنۡ جَبَّارًا عَصِیًّا ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. এবং আপন মাতা-পিতাঁর সাথে সদ্ব্যবহারকারী ছিলো, উদ্ধত ও অবাধ্য ছিলো না।
ইরফানুল কুরআন
১৪. আর তাঁর পিতা-মাতার প্রতি ছিলেন অনুগত (ও কর্তব্যনিষ্ঠ) এবং (সাধারণ বাচ্চাদের ন্যায়) কখনো অবাধ্য ও নাফরমান ছিলেন না।
وَ سَلٰمٌ عَلَیۡہِ یَوۡمَ وُلِدَ وَ یَوۡمَ یَمُوۡتُ وَ یَوۡمَ یُبۡعَثُ حَیًّا ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. এবং শান্তি তাঁরই উপর যেদিন জন্মগ্রহণ করেছে, যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৫. আর শান্তি বর্ষিত হোক ইয়াহইয়ার প্রতি, যেদিন তিনি জন্মলাভ করেছেন, যেদিন তাঁর মৃত্যু হবে এবং যেদিন তাঁকে জীবিত পুনরোত্থিত করা হবে।
وَ اذۡکُرۡ فِی الۡکِتٰبِ مَرۡیَمَ ۘ اِذِ انۡتَبَذَتۡ مِنۡ اَہۡلِہَا مَکَانًا شَرۡقِیًّا ﴿ۙ۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. এবং কিতাবে মরিয়মকে স্মরণ করুন! যখন আপন পরিবারবর্গ থেকে পূর্বদিকে পৃথক একস্থানে চলে গিয়েছিলো;
ইরফানুল কুরআন
১৬. আর (হে সম্মানিত হাবীব! কুরআন মাজীদ) কিতাবে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এঁর বর্ণনা করুন, যখন তিনি তাঁর পরিবারবর্গ থেকে পৃথক হয়ে (ইবাদতের জন্যে নিরালায়) পূর্বদিকের গৃহে অবস্থান নিলেন।
فَاتَّخَذَتۡ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ حِجَابًا ۪۟ فَاَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡہَا رُوۡحَنَا فَتَمَثَّلَ لَہَا بَشَرًا سَوِیًّا ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. অতঃপর তাদের দিক থেকে সেখানে একটা পরদা করে নিলো। তাঁরপর তাঁর প্রতি আমি আপন ‘রূহানী’ প্রেরণ করেছি, সে তাঁর সামনে একজন সুস্থ মানুষ রূপে আত্নপ্রকাশ করলো।
ইরফানুল কুরআন
১৭. অতঃপর তিনি তাদের থেকে (অর্থাৎ পরিবার-পরিজন এবং অন্যান্য মানুষ থেকে) আড়াল হবার জন্যে পর্দা করলেন (যাতে চিরন্তন স্বর্গীয় সৌন্দর্য স্বীয় পর্দা তুলে দেন); তখন আমরা তাঁর নিকট আমাদের রূহ (অর্থাৎ ফেরেশতা জীবরাঈলকে) প্রেরণ করলাম। অতঃপর তিনি তাঁর সামনে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আবির্ভুত হলেন।
قَالَتۡ اِنِّیۡۤ اَعُوۡذُ بِالرَّحۡمٰنِ مِنۡکَ اِنۡ کُنۡتَ تَقِیًّا ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. বললো, ‘আমি তোমার থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় চাচ্ছি যদি তোমার মধ্যে খোদার ভয় থাকে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. (মারইয়াম আলাইহাস সালাম) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমার নিকট থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যদি তুমি (আল্লাহ্কে) ভয় করো’।
قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَا رَسُوۡلُ رَبِّکِ ٭ۖ لِاَہَبَ لَکِ غُلٰمًا زَکِیًّا ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. বললো, ‘আমি তো তোমার রবের প্রেরিত, আমি তোমাকে এক পবিত্র পুত্র প্রদান করবো’।
ইরফানুল কুরআন
১৯. (জীবরাঈল আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমি তো কেবল তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত, (আমি এ জন্যে এসেছি যে,) আমি তোমাকে এক পবিত্র পুত্রসন্তান দান করবো’।
قَالَتۡ اَنّٰی یَکُوۡنُ لِیۡ غُلٰمٌ وَّ لَمۡ یَمۡسَسۡنِیۡ بَشَرٌ وَّ لَمۡ اَکُ بَغِیًّا ﴿۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. বললো, ‘আমার পুত্র কোত্থেকে হবে, আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করে নি, না আমি ব্যভিচারিনী?’
ইরফানুল কুরআন
২০. (মারইয়াম আলাইহাস সালাম) বললেন, ‘কিভাবে আমার পুত্রসন্তান হবে যখন কোনো মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই?’
قَالَ کَذٰلِکِ ۚ قَالَ رَبُّکِ ہُوَ عَلَیَّ ہَیِّنٌ ۚ وَ لِنَجۡعَلَہٗۤ اٰیَۃً لِّلنَّاسِ وَ رَحۡمَۃً مِّنَّا ۚ وَ کَانَ اَمۡرًا مَّقۡضِیًّا ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. বললো, ‘এরূপই হবে’; তোমার রব বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং এ জন্য যে, আমি তাকে মানুষের জন্য নিদর্শন করবো এবং আমার নিকট থেকে একটা অনুগ্রহ; আর এ বিষয় চূড়ান্ত হয়ে গেছে’।
ইরফানুল কুরআন
২১. (জীবরাঈল আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘(আশ্চর্য হয়ো না) এরূপেই হবে, তোমার প্রতিপালক বলেছেন: এ (কাজ) আমার জন্যে সহজ এবং (তা এ জন্যে হবে) যাতে আমরা তাঁকে মানুষের জন্যে নিদর্শন করতে পারি, আর তিনি আমাদের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ। আর এ তো (পূর্ব থেকেই) স্থিরীকৃত বিষয়।
فَحَمَلَتۡہُ فَانۡتَبَذَتۡ بِہٖ مَکَانًا قَصِیًّا ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. তখন মরিয়ম তাকে গর্ভ ধারণ করলো, অতঃপর তাকে নিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
২২. অতঃপর মারইয়াম তাঁকে গর্ভে ধারণ করলেন এবং (লোকালয় থেকে) আড়াল হয়ে দূরবর্তী এক স্থানে চলে গেলেন।
فَاَجَآءَہَا الۡمَخَاضُ اِلٰی جِذۡعِ النَّخۡلَۃِ ۚ قَالَتۡ یٰلَیۡتَنِیۡ مِتُّ قَبۡلَ ہٰذَا وَ کُنۡتُ نَسۡیًا مَّنۡسِیًّا ﴿۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. অতঃপর তাকে প্রসব বেদনা একটা খেজুর বৃক্ষমুলে নিয়ে এলো। বললো, ‘হায়! এর পূর্বে কোন মতে আমি যদি মরে যেতাম এবং লোকের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম’।
ইরফানুল কুরআন
২৩. অতঃপর প্রসব বেদনা তাকে এক খর্জুর বৃক্ষতলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। তিনি (উদ্বিগ্ন অবস্থায়) বলতে লাগলেন, ‘হায় আফসোস! আমি যদি এর পূর্বেই মরে যেতাম এবং সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হয়ে যেতাম!’
فَنَادٰىہَا مِنۡ تَحۡتِہَاۤ اَلَّا تَحۡزَنِیۡ قَدۡ جَعَلَ رَبُّکِ تَحۡتَکِ سَرِیًّا ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. অতঃপর তাকে তাঁর নিম্নদেশ থেকে আহ্বান করলো, ‘তুমি দুঃখ করো না, নিশ্চয় তোমার রব তোমার নিম্নদেশে একটা নহর প্রবাহিত করে দিয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
২৪. অতঃপর (জীবরাঈল অথবা স্বয়ং ঈসা আলাইহিস সালাম) তাঁর নিম্ন দিক থেকে তাকে আহ্বান করলেন, ‘চিন্তিত হয়ো না, তোমার প্রতিপালক তোমার পাদদেশে এক স্রোতধারা সৃষ্টি করেছেন (অথবা উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন মানুষকে সৃষ্টি করে তোমার নিচে শুইয়ে দিয়েছেন)।
وَ ہُزِّیۡۤ اِلَیۡکِ بِجِذۡعِ النَّخۡلَۃِ تُسٰقِطۡ عَلَیۡکِ رُطَبًا جَنِیًّا ﴿۫۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. এবং খেজুর বৃক্ষের গোড়া ধরে নিজের দিকে নাড়া দাও, তখন তোমার উপর তাজা-পাকা খেজুরসমূহ ঝরে পড়বে।
ইরফানুল কুরআন
২৫. আর খেজুর কান্ডকে তোমার দিকে নাড়া দাও, এটি তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দেবে।
فَکُلِیۡ وَ اشۡرَبِیۡ وَ قَرِّیۡ عَیۡنًا ۚ فَاِمَّا تَرَیِنَّ مِنَ الۡبَشَرِ اَحَدًا ۙ فَقُوۡلِیۡۤ اِنِّیۡ نَذَرۡتُ لِلرَّحۡمٰنِ صَوۡمًا فَلَنۡ اُکَلِّمَ الۡیَوۡمَ اِنۡسِیًّا ﴿ۚ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. সুতরাং তুমি আহার করো এবং পান করো আর চোখ জুড়াও। অতঃপর যদি তুমি কোন মানুষ দেখো তবে বলে দিও, ‘আমি আজ ‘রাহমান’ (পরম দয়ালু আল্লাহ্) এর উদ্দেশ্যে রোযার মান্নত করেছি, সুতরাং আজ কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলবো না’।
ইরফানুল কুরআন
২৬. সুতরাং তুমি খাও এবং পান করো এবং (নিজের সুন্দর, কমনীয় সন্তানকে দেখে) চক্ষু শীতল করো। অতঃপর যদি তুমি কোনও মানুষকে দেখো তবে (ইশারায়) বলে দিও, ‘আমি পরম করুণাময় (আল্লাহ্)-এঁর উদ্দেশ্যে (নিশ্চুপ থাকার) রোযা মান্নত করেছি; সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সাথে কথা বলবো না।’
فَاَتَتۡ بِہٖ قَوۡمَہَا تَحۡمِلُہٗ ؕ قَالُوۡا یٰمَرۡیَمُ لَقَدۡ جِئۡتِ شَیۡئًا فَرِیًّا ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. অতঃপর তাকে কোলে নিয়ে আপন সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো। তারা বললো, ‘হে মরিয়ম! নিশ্চয় তুমি অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ করে বসেছো।
ইরফানুল কুরআন
২৭. অতঃপর তিনি তাঁকে (কোলে) নিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের নিকট আসলেন। তারা বলতে লাগলো, ‘হে মারইয়াম! অবশ্যই তুমি অদ্ভুত কিছু নিয়ে উপস্থিত হয়েছো!
یٰۤاُخۡتَ ہٰرُوۡنَ مَا کَانَ اَبُوۡکِ امۡرَ اَ سَوۡءٍ وَّ مَا کَانَتۡ اُمُّکِ بَغِیًّا ﴿ۖۚ۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. হে হারূনের বোন! তোমার পিতা মন্দ লোক ছিলো না এবং না তোমার মাতা ব্যভিচারিনী’।
ইরফানুল কুরআন
২৮. হে হারুনের বোন! না তোমার পিতা খারাপ মানুষ ছিলেন আর না তোমার মাতা ছিলেন ব্যভিচারিণী।’
فَاَشَارَتۡ اِلَیۡہِ ؕ قَالُوۡا کَیۡفَ نُکَلِّمُ مَنۡ کَانَ فِی الۡمَہۡدِ صَبِیًّا ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. এর জবাবে মরিয়ম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করলো। তারা বললো, ‘আমরা কিভাবে কথা বলবো তাঁরই সাথে, যে দোলনায় শিশু?’
ইরফানুল কুরআন
২৯. তখন মারইয়াম সন্তানের দিকে ইশারা করলেন। তারা বলতে লাগলো, ‘আমরা কীভাবে তার সাথে কথা বলবো, যে (এখনো) দোলনার শিশু?’
قَالَ اِنِّیۡ عَبۡدُ اللّٰہِ ۟ؕ اٰتٰنِیَ الۡکِتٰبَ وَ جَعَلَنِیۡ نَبِیًّا ﴿ۙ۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. শিশুটি বললো, ‘আমি আল্লাহ্র বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী) করেছেন,
ইরফানুল কুরআন
৩০. (শিশু নিজে নিজে) বলে উঠলেন, ‘অবশ্যই আমি আল্লাহ্র বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
وَّ جَعَلَنِیۡ مُبٰرَکًا اَیۡنَ مَا کُنۡتُ ۪ وَ اَوۡصٰنِیۡ بِالصَّلٰوۃِ وَ الزَّکٰوۃِ مَا دُمۡتُ حَیًّا ﴿۪ۖ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. আর তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন আমি যেখানেই থাকি না কেন এবং আমাকে নামায ও যাকাতের তাকীদ দিয়েছেন যতদিন আমি জীবিত থাকি,
ইরফানুল কুরআন
৩১. আর আমি যেখানেই থাকিনা কেন তিনি আমাকে আপাদমস্তক কল্যাণময় করেছেন। আর যতদিন আমি জীবিত থাকি, তিনি আমাকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন।
وَّ بَرًّۢا بِوَالِدَتِیۡ ۫ وَ لَمۡ یَجۡعَلۡنِیۡ جَبَّارًا شَقِیًّا ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. আর আমার মায়ের সাথে সদ্ব্যবহারকারী এবং আমাকে উদ্ধত ও হতভাগ্য করেন নি;
ইরফানুল কুরআন
৩২. আর (আমাকে) করেছেন নিজ মাতার প্রতি সদাচরণকারী, আর আমাকে উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
وَ السَّلٰمُ عَلَیَّ یَوۡمَ وُلِدۡتُّ وَ یَوۡمَ اَمُوۡتُ وَ یَوۡمَ اُبۡعَثُ حَیًّا ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং ওই শাস্তি আমার প্রতি যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর যেদিন জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো’।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর আমার প্রতি শান্তি, যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমাকে জীবিত উত্থিত করা হবে।’
ذٰلِکَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ ۚ قَوۡلَ الۡحَقِّ الَّذِیۡ فِیۡہِ یَمۡتَرُوۡنَ ﴿۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. এ-ই হচ্ছে ঈসা, মরিয়ম তনয়। সত্য কথা, যাতে তারা সন্দেহ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৪. এরূপই মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিস সালাম)। (এটিই) সত্য বিষয়, যে বিষয়ে এরা সন্দেহ পোষণ করে।
مَا کَانَ لِلّٰہِ اَنۡ یَّتَّخِذَ مِنۡ وَّلَدٍ ۙ سُبۡحٰنَہٗ ؕ اِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿ؕ۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. আল্লাহ্র জন্য শোভা পায় না যে, তিনি কাউকে আপন সন্তান স্থির করবেন। পবিত্রতা তাঁরই। যখন কোন কাজের নির্দেশ দেন তখন এভাবেই সেটার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হয়ে যা!’ সেটা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৩৫. আল্লাহ্র শান এ নয় যে, তিনি (কাউকে নিজের) পুত্র হিসেবে গ্রহণ করবেন; তিনি (এ থেকে) পূতঃপবিত্র। যখন তিনি কোনো কিছু স্থির করেন তখন একে কেবল এ নির্দেশই দেন যে, ‘হও’, অতঃপর তা হয়ে যায়।
وَ اِنَّ اللّٰہَ رَبِّیۡ وَ رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡہُ ؕ ہٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. এবং ঈসা বললো, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ রব আমার ও তোমাদের। সুতরাং তাঁরই বন্দেগী করো। এ পথই সোজা সরল।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক; সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদত করো। এটিই সরল পথ।
فَاخۡتَلَفَ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَیۡنِہِمۡ ۚ فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ مَّشۡہَدِ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ ﴿۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. অতঃপর দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করলো; সুতরাং এক মহা দিবসের উপস্থিতি থেকে কাফিরদের জন্য ধ্বংস (অবধারিত)।
ইরফানুল কুরআন
৩৭. অতঃপর সেসব দল পরস্পরে মতবিরোধ শুরু করে দিল; সুতরাং দুর্ভোগ কাফেরদের জন্যে (কিয়ামতের) মহাদিবসের আগমন কালে।
اَسۡمِعۡ بِہِمۡ وَ اَبۡصِرۡ ۙ یَوۡمَ یَاۡتُوۡنَنَا لٰکِنِ الظّٰلِمُوۡنَ الۡیَوۡمَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. কত শুনবে এবং কত দেখবে যেদিন আমার নিকট হাযির হবে! কিন্তু আজ যালিমগণ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. যেদিন তারা আমাদের নিকট উপস্থিত হবে সেদিন তারা (কান খুলে) স্পষ্টই শুনবে এবং (বিস্মিত নয়নে) দেখবে! কিন্তু যালিমেরা আজ স্পষ্ট গোমরাহীতে (ডুবে) আছে।
وَ اَنۡذِرۡہُمۡ یَوۡمَ الۡحَسۡرَۃِ اِذۡ قُضِیَ الۡاَمۡرُ ۘ وَ ہُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ وَّ ہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং তাদেরকে সতর্ক করুন পরিতাপের দিন সম্পর্কে, যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আর তারা অলসতাঁর মধ্যে রয়েছে ও মানছে না।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর তাদেরকে সতর্ক করে দিন পরিতাপের (ও অপমানের) দিবস সম্পর্কে, যখন (সমস্ত) বিষয়ের মীমাংসা করে দেয়া হবে। কিন্তু তারা উদাসীন (অবস্থায়) পড়ে আছে এবং ঈমান আনয়নই করছে না।
اِنَّا نَحۡنُ نَرِثُ الۡاَرۡضَ وَ مَنۡ عَلَیۡہَا وَ اِلَیۡنَا یُرۡجَعُوۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. নিশ্চয় পৃথিবী এবং যা কিছু সেটার উপর রয়েছে-সব কিছুর মালিক আমিই হবো এবং তারা আমারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. নিশ্চয়ই চূড়ান্ত উত্তরাধিকারী আমরাই, জমিনের এবং এর উপরিভাগে যারা রয়েছে এদেরও। আর (সবকিছু) আমাদেরই নিকট ফিরিয়ে আনা হবে।
وَ اذۡکُرۡ فِی الۡکِتٰبِ اِبۡرٰہِیۡمَ ۬ؕ اِنَّہٗ کَانَ صِدِّیۡقًا نَّبِیًّا ﴿۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং কিতাবে ইব্রাহীমকে স্মরণ করো! নিশ্চয় সে ছিলো অতীব সত্যবাদী, অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর আপনি কিতাবে (অর্থাৎ কুরআন মাজীদে) ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম)-এঁর কথা বর্ণনা করুন; নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী ।
اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡہِ یٰۤاَبَتِ لِمَ تَعۡبُدُ مَا لَا یَسۡمَعُ وَ لَا یُبۡصِرُ وَ لَا یُغۡنِیۡ عَنۡکَ شَیۡئًا ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. যখন আপন পিতাকে বললো, ‘হে আমার পিতা! কেন এমন কিছুর পূজা করছো, যা না শুনতে পায়, না দেখতে পায় এবং না তোমার কোন কাজে আসে?
ইরফানুল কুরআন
৪২. যখন তিনি তাঁর পিতা (অর্থাৎ চাচা আযর, যে তাঁর পিতা তারাখের ইন্তেকালের পর তাঁকে লালন-পালন করেছিলেন, তাকে) বললেন, ‘হে আমার পিতা! তুমি কেন এসবের (এ মূর্তির ) উপাসনা করছো, যারা শুনতে পায় না, দেখতেও পায় না, আর তোমার থেকে (কষ্টদায়ক) কিছু দূরও করতে পারে না?
یٰۤاَبَتِ اِنِّیۡ قَدۡ جَآءَنِیۡ مِنَ الۡعِلۡمِ مَا لَمۡ یَاۡتِکَ فَاتَّبِعۡنِیۡۤ اَہۡدِکَ صِرَاطًا سَوِیًّا ﴿۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. হে আমার পিতা! নিশ্চয় আমার নিকট ওই জ্ঞান এসেছে যা তোমার নিকট আসে নি। সুতরাং তুমি আমার অনুসরণ করো, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাবো।
ইরফানুল কুরআন
৪৩. হে পিতা! নিশ্চয়ই আমার নিকট (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) জ্ঞান এসেছে যা তোমার নিকট আসেনি, সুতরাং তুমি আমাকে অনুসরণ করো, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাবো।
یٰۤاَبَتِ لَا تَعۡبُدِ الشَّیۡطٰنَ ؕ اِنَّ الشَّیۡطٰنَ کَانَ لِلرَّحۡمٰنِ عَصِیًّا ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. হে আমার পিতা! শয়তানের বান্দা হয়ো না! নিঃসন্দেহে শয়তান রাহমান (পরম করুণাময়) এর অবাধ্য।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. হে পিতা! শয়তানের উপাসনা করো না, নিশ্চয়ই শয়তান মহাঅনুগ্রহশীল (আল্লাহ্)-এঁর অবাধ্য।
یٰۤاَبَتِ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اَنۡ یَّمَسَّکَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ فَتَکُوۡنَ لِلشَّیۡطٰنِ وَلِیًّا ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. হে আমার পিতা! আমি এই আশঙ্কা করছি যে, তোমাকে পরম করুণাময়ের কোন শাস্তি স্পর্শ করবে। তখন তুমি শয়তানের সাথী হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. হে পিতা! আমি আশংকা করছি, তোমাকে মহাঅনুগ্রহশীলের শাস্তি স্পর্শ করবে এবং তুমি শয়তানের সাথী হয়ে পড়বে।’
قَالَ اَرَاغِبٌ اَنۡتَ عَنۡ اٰلِہَتِیۡ یٰۤـاِبۡرٰہِیۡمُ ۚ لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہِ لَاَرۡجُمَنَّکَ وَ اہۡجُرۡنِیۡ مَلِیًّا ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. বললো, ‘তুমি কি আমার খোদাগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো হে ইব্রাহীম? নিশ্চয়, যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে আমি তোমার উপর পাথর বর্ষণ করবো এবং আমার নিকট থেকে দীর্ঘকালের জন্য সম্পর্কহীন হয়ে যাও।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. (আযর) বললো, ‘হে ইবরাহীম! তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো? যদি বাস্তবিকই তুমি (এ বিরোধিতা থেকে) নিবৃত্ত না হও, তবে আমি তোমাকে অবশ্যই প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করবো। তুমি চিরতরে আমার নিকট থেকে দূর হয়ে যাও।’
قَالَ سَلٰمٌ عَلَیۡکَ ۚ سَاَسۡتَغۡفِرُ لَکَ رَبِّیۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ بِیۡ حَفِیًّا ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. বললো, ‘ব্যাস্। তোমার প্রতি সালাম, অবিলম্বে আমি তোমার জন্য আমার রবের নিকট ক্ষমা-প্রার্থনা করবো। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহশীল।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. (ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘(আচ্ছা) তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি তবুও আমার প্রতিপালকের নিকট তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবো। নিশ্চয়ই তিনি আমার প্রতি খুবই মেহেরবান (হয়তো তিনি তোমাকে হেদায়াত দান করবেন)।
وَ اَعۡتَزِلُکُمۡ وَ مَا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ وَ اَدۡعُوۡا رَبِّیۡ ۫ۖ عَسٰۤی اَلَّاۤ اَکُوۡنَ بِدُعَآءِ رَبِّیۡ شَقِیًّا ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং আমি পৃথক হয়ে যাবো তোমাদের থেকে আর ওই সব থেকে, যেগুলোর তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত পূজা করছো এবং আমি আমার রবেরই ইবাদত করবো। এটা সন্নিকটে যে, আমি আমার রবের বন্দেগী দ্বারা হতভাগ্য হবো না’।
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর আমি পৃথক হয়ে যাচ্ছি তোমাদের (সবার) থেকে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যেসব (মূর্তি)-এর উপাসনা করছো তাদের থেকেও; আর (একাগ্রচিত্তে) আমি আমার প্রতিপালকের ইবাদতে নিয়োজিত হচ্ছি। আশা করি, আমার প্রতিপালকের ইবাদত করে আমি (তাঁর অনুগ্রহ থেকে) বঞ্চিত হবো না।’
فَلَمَّا اعۡتَزَلَہُمۡ وَ مَا یَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ۙ وَہَبۡنَا لَہٗۤ اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ ؕ وَ کُلًّا جَعَلۡنَا نَبِیًّا ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. অতঃপর যখন তাদের থেকে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের অন্যান্য উপাস্যগুলো থেকে পৃথক হয়ে গেলো তখন আমি তাকে ইসহাক্ব এবং ইয়া’ক্বূবকে দান করেছি আর প্রত্যেককে অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী) করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. অতঃপর যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদের থেকে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের উপাসনা তারা করতো সেসব (মূর্তির সাহচর্য) থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক হয়ে গেলেন, (তখন) আমরা তাঁকে অনুগ্রহ করলাম (পুত্র) ইসহাক এবং (পৌত্র) ইয়াকুব (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর মাধ্যমে এবং তাঁদের উভয়কেই আমরা নবী করলাম।
وَ وَہَبۡنَا لَہُمۡ مِّنۡ رَّحۡمَتِنَا وَ جَعَلۡنَا لَہُمۡ لِسَانَ صِدۡقٍ عَلِیًّا ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. এবং আমি তাদেরকে আপন অনুগ্রহ দান করেছি আর তাদের জন্য সত্য সমুচ্চ খ্যাতি রেখেছি।
ইরফানুল কুরআন
৫০. আর আমরা তাঁদেরকে দান করলাম আমাদের (বিশেষ) রহমত এবং (সমস্ত ঐশী ধর্মানুসারীদের) রসনায় অলঙ্করণে সমুচ্চ করলাম তাদের স্তুতি।
وَ اذۡکُرۡ فِی الۡکِتٰبِ مُوۡسٰۤی ۫ اِنَّہٗ کَانَ مُخۡلَصًا وَّ کَانَ رَسُوۡلًا نَّبِیًّا ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং কিতাবের মধ্যে মূসাকে স্মরণ করুন। নিশ্চয় সে মনোনীত ছিলো এবং রসূল ছিলো, অদৃশ্যের সংবাদসমূহ বর্ণনাকারী।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর (এ) কিতাবে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর বর্ণনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন (প্রবৃত্তির প্রভাব থেকে মুক্ত) বিশুদ্ধচিত্ত এবং ছিলেন রেসালাতের অধিকারী নবী।
وَ نَادَیۡنٰہُ مِنۡ جَانِبِ الطُّوۡرِ الۡاَیۡمَنِ وَ قَرَّبۡنٰہُ نَجِیًّا ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. এবং আমি তাকে তূর পর্বতের ডান দিক থেকে আহ্বান করেছি আর তাকে আপন রহস্য বলার জন্য নিকটবর্তী করেছি।
ইরফানুল কুরআন
৫২. আর আমরা তাঁকে আহ্বান করেছিলাম তূর (পর্বত)-এর ডান দিক থেকে এবং তাঁকে (বিশেষ) নৈকট্য দিয়ে অনুগ্রহ করেছিলাম গুঢ়তত্ত্ব আলোচনার উদ্দেশ্যে।
وَ وَہَبۡنَا لَہٗ مِنۡ رَّحۡمَتِنَاۤ اَخَاہُ ہٰرُوۡنَ نَبِیًّا ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. এবং নিজ অনুগ্রহে তাকে তাঁর ভাই হারূনকে দান করেছি, অদৃশ্যের সংবাদসমূহ বর্ণনাকারী (নবী) রূপে।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর আমরা আমাদের অনুগ্রহে নবীরূপে তাঁকে দান করলাম তাঁর ভাই হারুন (আলাইহিস সালাম)-কে (যাতে তিনি তাঁর কাজে সাহায্যকারী হতে পারেন)।
وَ اذۡکُرۡ فِی الۡکِتٰبِ اِسۡمٰعِیۡلَ ۫ اِنَّہٗ کَانَ صَادِقَ الۡوَعۡدِ وَ کَانَ رَسُوۡلًا نَّبِیًّا ﴿ۚ۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. এবং কিতাবের মধ্যে ইস্মাঈলকে স্মরণ করুন! নিশ্চয় সে প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী ছিলো এবং রসূল ছিলো, অদৃশ্যের সংবাদসমূহ বর্ণনাকারী;
ইরফানুল কুরআন
৫৪. আর আপনি (এ) কিতাবে বর্ণনা করুন ইসমাঈল (আলাইহি সালাম)-এঁর কথা; নিশ্চয়ই তিনি (তাঁর) অঙ্গীকারে ছিলেন সত্যাশ্রয়ী এবং ছিলেন রেসালাতের অধিকারী নবী।
وَ کَانَ یَاۡمُرُ اَہۡلَہٗ بِالصَّلٰوۃِ وَ الزَّکٰوۃِ ۪ وَ کَانَ عِنۡدَ رَبِّہٖ مَرۡضِیًّا ﴿۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. এবং আপন পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিতো; আর আপন রবের নিকট পছন্দীয় ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি স্বীয় প্রতিপালকের সমীপে ছিলেন সন্তোষভাজনের স্তরে সমাসীন।
وَ اذۡکُرۡ فِی الۡکِتٰبِ اِدۡرِیۡسَ ۫ اِنَّہٗ کَانَ صِدِّیۡقًا نَّبِیًّا ﴿٭ۙ۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. এবং কিতাবের মধ্যে ইদ্রীসকে স্মরণ করুন! নিঃসন্দেহে সে অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ ছিলো, অদৃশ্যের সংবাদসমূহ বর্ণনাকারী’।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর (এ) কিতাবে আলোচনা করুন ইদরিস (আলাইহিস সালাম)-এঁর কথা; নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী।
وَّ رَفَعۡنٰہُ مَکَانًا عَلِیًّا ﴿۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. এবং আমি তাকে উচ্চ স্থানের উপর উঠিয়ে নিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. আর আমরা তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছিলাম সমুচ্চ স্থানে।
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ النَّبِیّٖنَ مِنۡ ذُرِّیَّۃِ اٰدَمَ ٭ وَ مِمَّنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوۡحٍ ۫ وَّ مِنۡ ذُرِّیَّۃِ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ اِسۡرَآءِیۡلَ ۫ وَ مِمَّنۡ ہَدَیۡنَا وَ اجۡتَبَیۡنَا ؕ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُ الرَّحۡمٰنِ خَرُّوۡا سُجَّدًا وَّ بُکِیًّا ﴿ٛ۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. এরা হচ্ছে তারাই, অদৃশ্যের সংবাদদাতাগণের মধ্য থেকে আদম সন্তানদের থেকে, যাদের উপর আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাদের মধ্যে যাদেরকে আমি নূহের সাথে আরোহণ করিয়েছিলাম, এবং ইব্রাহীম ও ইয়া’কূবের বংশধরদের মধ্য থেকে আর তাদেরই মধ্য থেকে, যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করে নিয়েছি, যখন তাদের নিকট রাহমানের আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তারা সাজদায় লুটিয়ে পড়ে সাজদারত ও ক্রন্দনরত হয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. এরাই তাঁরা, যাঁদেরকে আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন; নবীগণের মধ্যে আদম (আলাইহিস সালাম) এবং সেসব (মুমিন) ব্যক্তিবর্গের সন্তানদের যাদেরকে আমরা (মহাপ্লাবন থেকে বাঁচাতে) নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম; আর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও ইসরাঈল (অর্থাৎ ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) এবং সেসব (মনোনীত) ব্যক্তিবর্গের বংশধরকে যাদেরকে আমরা হেদায়াত দান করেছিলাম এবং মনোনীত করেছিলাম। যখন তাদের নিকট অনুগ্রহশীল (আল্লাহ্)-এঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা (অত্যধিক) ক্রন্দনে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।
فَخَلَفَ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ خَلۡفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوۃَ وَ اتَّبَعُوا الشَّہَوٰتِ فَسَوۡفَ یَلۡقَوۡنَ غَیًّا ﴿ۙ۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. অতঃপর তাদের পর তাদের স্থলে ওই অপদার্থ উত্তরাধিকারীগণ এলো, যারা নামাযগুলো নষ্ট করেছে এবং নিজেদের কুপ্রবৃত্তিগুলোর অনুসরণ করেছে, সুতরাং অবিলম্বে তারা দোযখের মধ্যে ‘গায়্য’ এর জঙ্গল পাবে;
ইরফানুল কুরআন
৫৯. অতঃপর তাদের স্থলাভিষিক্ত হলো অযোগ্য উত্তরসূরীরা যারা নামায পরিত্যাগ করলো এবং কুপ্রবৃত্তির অনুগামী হলো। সুতরাং অচিরেই তারা পরকালের (দোযখের ‘গাই’ উপত্যকার) শাস্তির মুখোমুখি হবে।
اِلَّا مَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ وَ لَا یُظۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ﴿ۙ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. কিন্তু যারা তাওবাকারী হয়েছে এবং ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে; তাহলে এসব লোক জান্নাতে যাবে এবং তাদের কোন ক্ষতি করা হবে না;
ইরফানুল কুরআন
৬০. তবে তারা ব্যতীত যারা তওবা করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে। তারাই প্রবেশ করবে জান্নাতে এবং তাদের প্রতি কোনোই যুলুম করা হবে না।
جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ عِبَادَہٗ بِالۡغَیۡبِ ؕ اِنَّہٗ کَانَ وَعۡدُہٗ مَاۡتِیًّا ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. বসবাসের জন্য বাগানসমূহ, যেগুলোর প্রতিশ্রুতি রাহমান স্বীয় বান্দাদেরকে অদৃশ্যে দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তাঁর প্রতিশ্রুতি আগমনকারী।
ইরফানুল কুরআন
৬১. (তারা থাকবে) চিরসবুজ উদ্যানে, যার অঙ্গীকার অনুগ্রহশীল (আল্লাহ্) তাঁর বান্দাদেরকে অদৃশ্যভাবে করেছেন। নিশ্চয়ই তাঁর অঙ্গীকার অত্যাসন্ন।
لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَ لَہُمۡ رِزۡقُہُمۡ فِیۡہَا بُکۡرَۃً وَّ عَشِیًّا ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. তারা তাতে কোন অসার বাক্য শুনবে না, কিন্তু (শুনবে) ‘সালাম’ এবং তাদের জন্য তাতে তাদের জীবিকা রয়েছে সকাল-সন্ধ্যায়।
ইরফানুল কুরআন
৬২. তারা তাতে অনর্থক কোনো বাক্য শুনবে না, (চতুর্দিক থেকে) শান্তির সম্ভাষণ ব্যতীত। তাতে সকাল-বিকাল তাদের জন্যে (বিদ্যমান) থাকবে তাদের জীবনোপকরণ।
تِلۡکَ الۡجَنَّۃُ الَّتِیۡ نُوۡرِثُ مِنۡ عِبَادِنَا مَنۡ کَانَ تَقِیًّا ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এটা হচ্ছে ওই বাগান, যার অধিকারী আমি আপন বান্দাদের মধ্য থেকে তাকেই করবো, যে খোদাভীরু থাকে।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. এটি সে জান্নাত, যার উত্তরাধিকার বানাবো আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে তাকে, যে পরহেযগার।
وَ مَا نَتَنَزَّلُ اِلَّا بِاَمۡرِ رَبِّکَ ۚ لَہٗ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡنَا وَ مَا خَلۡفَنَا وَ مَا بَیۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ مَا کَانَ رَبُّکَ نَسِیًّا ﴿ۚ۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. এবং (জিব্রাইল মাহবূবের নিকট আরয করলো), ‘আমরা ফিরিশ্তারা অবতরণ করি না, কিন্তু হুযূরের রবের নির্দেশক্রমে যা কিছু আমাদের সামনে রয়েছে এবং যা আমাদের পেছনে রয়েছে আর যা এর মধ্যখানে রয়েছে তা তাঁরই; এবং হুযূরের রব ভুলে যান না।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর (হে জীবরাঈল, আমার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে বলো,) ‘আমরা আপনার প্রতিপালকের নির্দেশ ব্যতীত (জমিনে) অবতরণ করতে পারি না। যা কিছু আমাদের সম্মুখে ও যা কিছু আমাদের পশ্চাতে রয়েছে এবং যা কিছু এর অন্তর্বর্তী, (সবকিছু) তাঁরই। আর আপনার প্রতিপালক (আপনার প্রতি) কখনো বিস্মরণপ্রবণ নন।
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا فَاعۡبُدۡہُ وَ اصۡطَبِرۡ لِعِبَادَتِہٖ ؕ ہَلۡ تَعۡلَمُ لَہٗ سَمِیًّا ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. আসমানসমূহ ও যমীণ এবং যা কিছু এ দু’এর মধ্যবর্তী রয়েছে সবকিছুরই মালিক; সুতরাং তাঁরই ইবাদিত করো এবং তাঁর বন্দেগীর উপর অবিচল থাকো। তুমি তাঁর নামের অন্য কাউকে জানো?
ইরফানুল কুরআন
৬৫. (তিনি) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে তার প্রতিপালক। সুতরাং তাঁরই ইবাদত করুন এবং তাঁরই ইবাদতে অটল থাকুন। আপনি কি তাঁর সম-নামের কাউকে জানেন?’
وَ یَقُوۡلُ الۡاِنۡسَانُ ءَ اِذَا مَا مِتُّ لَسَوۡفَ اُخۡرَجُ حَیًّا ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. এবং মানুষ বলে, ‘আমি যখন মরে যাবো তখন কি অবিলম্বে জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবো?’
ইরফানুল কুরআন
৬৬. আর মানুষ বলে, ‘যখন আমরা মৃত্যুবরণ করবো, তখন কি শীঘ্রই পুনরুত্থিত করা হবে?’
اَوَ لَا یَذۡکُرُ الۡاِنۡسَانُ اَنَّا خَلَقۡنٰہُ مِنۡ قَبۡلُ وَ لَمۡ یَکُ شَیۡئًا ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. এবং মানুষেরকি স্মরণ নেই যে, আমি এর পূর্বে তাকে সৃষ্টি করেছি আর সে কিছুই ছিলো না?
ইরফানুল কুরআন
৬৭. মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমরা তাকে ইতিপূর্বেও সৃষ্টি করেছিলাম যখন সে কিছুই ছিল না?
فَوَ رَبِّکَ لَنَحۡشُرَنَّہُمۡ وَ الشَّیٰطِیۡنَ ثُمَّ لَنُحۡضِرَنَّہُمۡ حَوۡلَ جَہَنَّمَ جِثِیًّا ﴿ۚ۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. সুতরাং আপনার রবের শপথ! আমি তাদেরকে এবং শয়তানদের সবাইকে পরিবেষ্টিত করে আনবো এবং তাদেরকে দোযখের আশেপাশে হাযির করবো, হাটুর উপর ভয় করে পতিত অবস্থায়।
ইরফানুল কুরআন
৬৮. সুতরাং শপথ আপনার প্রতিপালকের, (কিয়ামতের দিন) আমরা তাদেরকে এবং (সমস্ত) শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করবোই, অতঃপর অবশ্যই এদেরকে জাহান্নামের চারপাশে নতজানু অবস্থায় উপস্থিত করবো।
ثُمَّ لَنَنۡزِعَنَّ مِنۡ کُلِّ شِیۡعَۃٍ اَیُّہُمۡ اَشَدُّ عَلَی الرَّحۡمٰنِ عِتِیًّا ﴿ۚ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. অতঃপর আমি প্রত্যেক দল থেকে বের করবো। যে তাদের মধ্যে পরম করুণাময়ের প্রতি সর্বাধিক অবাধ্য হবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৯. এরপর আমরা প্রত্যেক দল থেকে এমন ব্যক্তিকে বাছাই করে বের করবোই, যে তাদের মধ্যে অনুগ্রহশীল (আল্লাহ্)-এঁর সর্বাধিক নাফরমান এবং অবাধ্য।
ثُمَّ لَنَحۡنُ اَعۡلَمُ بِالَّذِیۡنَ ہُمۡ اَوۡلٰی بِہَا صِلِیًّا ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. অতঃপর আমি ভালভাবে জানি তাদেরকে, যারা এ আগুনে ভূনার অধিক উপযোগী।
ইরফানুল কুরআন
৭০. অতএব আমরা তাদেরকে ভালোভাবেই জানি, যারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবার অধিক উপযুক্ত।
وَ اِنۡ مِّنۡکُمۡ اِلَّا وَارِدُہَا ۚ کَانَ عَلٰی رَبِّکَ حَتۡمًا مَّقۡضِیًّا ﴿ۚ۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং তোমাদের মধ্যে কেউ এমন নেই, যে দোযখ অতিক্রম করবে না। আপনার রবের দায়িত্বে এটা অবশ্যই স্থিরকৃত বিষয়।
ইরফানুল কুরআন
৭১. আর তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই জাহান্নামের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এ (অঙ্গীকার) সম্পূর্ণরূপে আপনার প্রতিপালকের এখতিয়ারে, যা অবশ্যই পূর্ণ হবে।
ثُمَّ نُنَجِّی الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا وَّ نَذَرُ الظّٰلِمِیۡنَ فِیۡہَا جِثِیًّا ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. অতঃপর আমি ভয়সম্পন্নদেরকে উদ্ধার করে নেবো এবং যালিমদেরকে তাতে ছেড়ে দেবো নতজানু অবস্থায়।
ইরফানুল কুরআন
৭২. পরে আমরা পরহেযগারদেরকে উদ্ধার করবো এবং যালিমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দেবো।
وَ اِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا ۙ اَیُّ الۡفَرِیۡقَیۡنِ خَیۡرٌ مَّقَامًا وَّ اَحۡسَنُ نَدِیًّا ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়তসমুহ পাঠ করা হয় তখন কাফিরগণ মুসলমানদেরকে বলে, ‘কোন দলের অবস্থান শ্রেষ্ঠ এবং মজলিস উত্তম?’
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর যখন তাদের নিকট আমাদের সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন কাফেরেরা ঈমানদারদেরকে বলে, ‘(পৃথিবীতেই দেখে নাও! আমাদের) উভয় দলের মধ্যে কার আবাসস্থল উত্তম এবং মজলিস সুন্দরতম।’
وَ کَمۡ اَہۡلَکۡنَا قَبۡلَہُمۡ مِّنۡ قَرۡنٍ ہُمۡ اَحۡسَنُ اَثَاثًا وَّ رِءۡیًا ﴿۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি, যারা তাদের চেয়েও সামগ্রী এবং বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর তাদের পূর্বে আমরা কতোই না সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, যারা সম্পদে এবং জাঁক-জমকে ছিল (তাদের থেকেও) শ্রেষ্ঠতর ।
قُلۡ مَنۡ کَانَ فِی الضَّلٰلَۃِ فَلۡیَمۡدُدۡ لَہُ الرَّحۡمٰنُ مَدًّا ۬ۚ حَتّٰۤی اِذَا رَاَوۡا مَا یُوۡعَدُوۡنَ اِمَّا الۡعَذَابَ وَ اِمَّا السَّاعَۃَ ؕ فَسَیَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ ہُوَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضۡعَفُ جُنۡدًا ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. আপনি বলুন! যারা বিভ্রান্তিতে থাকে পরম করুণাময় তাদেরকে প্রচুর ঢেলে দেন এ পর্যন্ত যে, যখন তারা দেখে নেয় ওই বিষয়, যার তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তা শাস্তি হোক অথবা ক্বিয়ামত। অতঃপর শীঘ্রই জানতে পারবে-কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট এবং কার সৈন্যদল দুর্বল।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. বলে দিন, ‘যে ব্যক্তি গোমরাহীতে লিপ্ত রয়েছে, করুণাময় (আল্লাহ্ও) তাকে যথেষ্ট অবকাশ দিতে থাকেন; এমনকি অবশেষে তারা প্রত্যক্ষ করবে, যে বিষয়ে তাদেরকে অঙ্গীকার করা হয়েছিল, শাস্তি হোক আর কিয়ামতই হোক; তখন তারা জানতে পারবে, আবাসস্থলের দিক থেকে কে নিকৃষ্ট এবং দলবলেও দুর্বল।’
وَ یَزِیۡدُ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اہۡتَدَوۡا ہُدًی ؕ وَ الۡبٰقِیٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَیۡرٌ عِنۡدَ رَبِّکَ ثَوَابًا وَّ خَیۡرٌ مَّرَدًّا ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. এবং যারা সৎপথ পেয়েছে আল্লাহ্ তাদের জন্য হিদায়ত আরো বৃদ্ধি করবেন এবং চিরস্থায়ী সৎকর্মগুলোর সর্বোকৃষ্ট প্রতিদান ও সর্বাপেক্ষা উত্তম পরিণাম রয়েছে তোমার রবের নিকট।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. আল্লাহ্ হেদায়াতপ্রাপ্ত লোকদের হেদায়াত আরো বৃদ্ধি করে দেন, আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রতিদানে ও সাওয়াবের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসেবেও উৎকৃষ্টতর।
اَفَرَءَیۡتَ الَّذِیۡ کَفَرَ بِاٰیٰتِنَا وَ قَالَ لَاُوۡتَیَنَّ مَالًا وَّ وَلَدًا ﴿ؕ۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. তবে কি আপনি তাকে দেখেছেন যে আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে এবং বলে, ‘আমাকে অবশ্যই ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দেওয়া হবে’।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন, যে আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করলো এবং বলতে লাগলো, ‘আমাকে (কিয়ামতের দিন এরূপেই) অবশ্যই সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দেয়া হবে?’
اَطَّلَعَ الۡغَیۡبَ اَمِ اتَّخَذَ عِنۡدَ الرَّحۡمٰنِ عَہۡدًا ﴿ۙ۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. সে কি অদৃশ্যকে উকি মেরে দেখে এসেছে কিংবা পরম করুণাময়ের নিকট কোন অঙ্গীকার করে রেখেছে?
ইরফানুল কুরআন
৭৮. সে কি অদৃশ্য বিষয়ে অবগত, নাকি সে করণাময় (আল্লাহ্)-এঁর নিকট থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে?
کَلَّا ؕ سَنَکۡتُبُ مَا یَقُوۡلُ وَ نَمُدُّ لَہٗ مِنَ الۡعَذَابِ مَدًّا ﴿ۙ۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. কখনো নয়। এখন আমি লিখে রাখবো যা তারা বলে এবং তাকে খুব দীর্ঘ শাস্তি প্রদান করবো;
ইরফানুল কুরআন
৭৯. কক্ষনো নয়! আমরা সবকিছু লিখে রাখবো, যা সে বলছে; আর তার শাস্তি (ক্রমাগত) বৃদ্ধিই করতে থাকবো।
وَّ نَرِثُہٗ مَا یَقُوۡلُ وَ یَاۡتِیۡنَا فَرۡدًا ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. এবং যে সব বিষয় বলছে সেগুলোর আমিই মালিক থাকবো এবং আমার নিকট একাই আসবে।
ইরফানুল কুরআন
৮০. আর সে যা বলছে (মৃত্যুর পর) তা থাকবে আমাদেরই অধিকারে এবং সে আমাদের নিকট আগমন করবে একাকী (সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিবিহীন)।
وَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اٰلِہَۃً لِّیَکُوۡنُوۡا لَہُمۡ عِزًّا ﴿ۙ۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য খোদা স্থির করে বসেছে যাতে সেগুল তাদেরকে শক্তি যোগায়;
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর তারা আল্লাহ্ ব্যতীত (আরো কতিপয়) উপাস্য গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সম্মানের কারণ হয়।
کَلَّا ؕ سَیَکۡفُرُوۡنَ بِعِبَادَتِہِمۡ وَ یَکُوۡنُوۡنَ عَلَیۡہِمۡ ضِدًّا ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. কখনো নয়; অবিলম্বে তারা ওদের বন্দেগীর কথা অস্বীকার করবে এবং তাদের বিরোধী হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৮২. কক্ষনো (এমন) নয়, অচিরেই এরা (এসব ভ্রান্ত উপাস্যরা নিজেরা) তাদের ইবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের দুশমনে পরিণত হবে।
اَلَمۡ تَرَ اَنَّـاۤ اَرۡسَلۡنَا الشَّیٰطِیۡنَ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ تَؤُزُّہُمۡ اَزًّا ﴿ۙ۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. আপনি কি প্রত্যক্ষ করেন নি আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে শয়তানদের প্রেরণ করেছি যে, তারা তাদেরকে খুব প্রলুব্ধ করছে?
ইরফানুল কুরআন
৮৩. আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমরা কাফেরদের নিকট শয়তানদেরকে পাঠিয়েছি? তারা (ইসলামের বিরোধিতায়) তাদেরকে সবসময় উৎসাহ দিতে থাকে।
فَلَا تَعۡجَلۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ اِنَّمَا نَعُدُّ لَہُمۡ عَدًّا ﴿ۚ۸۴﴾
কানযুল ঈমান
৮৪. সুতরাং আপনি তাদের বিষয়ে তাড়াতাড়ি করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি।
ইরফানুল কুরআন
৮৪. সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে (শাস্তির ব্যাপারে) তাড়াহুড়া করবেন না, আমরা তো নিজেরাই তাদের (পরিণতির) জন্যে দিন গণনা করছি।
یَوۡمَ نَحۡشُرُ الۡمُتَّقِیۡنَ اِلَی الرَّحۡمٰنِ وَفۡدًا ﴿ۙ۸۵﴾
কানযুল ঈমান
৮৫. যে দিন আমি খোদাভীরুদেরকে পরম করুণাময়ের প্রতি মেহমান বানিয়ে নিয়ে যাবো;
ইরফানুল কুরআন
৮৫. যেদিন আমরা করুণাময় (আল্লাহ্)-এঁর নিকট পরহেযগারদেরকে সমবেত করবো (সম্মানিত অতিথিরূপে) বাহনে করে;
وَّ نَسُوۡقُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ اِلٰی جَہَنَّمَ وِرۡدًا ﴿ۘ۸۶﴾
কানযুল ঈমান
৮৬. এবং অপরাধীদেরকে জাহান্নামের দিকে খেদায়ে নিয়ে যাবো তৃষ্ণাতুর অবস্থায়;;
ইরফানুল কুরআন
৮৬. এবং অপরাধীদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবো পিপাসার্ত অবস্থায় ;
لَا یَمۡلِکُوۡنَ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنۡدَ الرَّحۡمٰنِ عَہۡدًا ﴿ۘ۸۷﴾
কানযুল ঈমান
৮৭. লোকেরা সুপারিশের মালিক নয়, কিন্তু ওই সব লোক, যারা পরম দয়াময়ের নিকট অঙ্গীকার করে রেখেছে।
ইরফানুল কুরআন
৮৭. (সেদিন) কেউ শাফায়াতের অধিকারী হবে না, তারা ব্যতীত যারা দয়াময় (আল্লাহ্র শাফায়াত)-এর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে।
وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا ﴿ؕ۸۸﴾
কানযুল ঈমান
৮৮. এবং কাফিরগণ বললো, ‘পরম দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন’।
ইরফানুল কুরআন
৮৮. আর (কাফেরেরা) বলে, ‘দয়াময় (আল্লাহ্ নিজের জন্যে) সন্তান গ্রহণ করেছেন’।
لَقَدۡ جِئۡتُمۡ شَیۡئًا اِدًّا ﴿ۙ۸۹﴾
কানযুল ঈমান
৮৯. নিঃসন্দেহে তোমরা চরম সীমার ভারী কথা নিয়ে এসেছো;
ইরফানুল কুরআন
৮৯. (ওহে কাফেরেরা!) তোমরা তো খুবই ভয়াবহ এবং অদ্ভুত বিষয় (মুখে) এনেছো।
تَکَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرۡنَ مِنۡہُ وَ تَنۡشَقُّ الۡاَرۡضُ وَ تَخِرُّ الۡجِبَالُ ہَدًّا ﴿ۙ۹۰﴾
কানযুল ঈমান
৯০. এতে আসমান বিদীর্ণ হয়ে পড়ার উপক্রম হবে এবং পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে আর পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে;
ইরফানুল কুরআন
৯০. দূরে নয় যে, এ (মিথ্যা অপবাদের) কারণে আসমান ফেটে পড়বে, জমিন বিদীর্ণ হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধ্বসে পড়বে-
اَنۡ دَعَوۡا لِلرَّحۡمٰنِ وَلَدًا ﴿ۚ۹۱﴾
কানযুল ঈমান
৯১. এ জন্য যে, তারা পরম করুণাময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করেছে;
ইরফানুল কুরআন
৯১. যে, তারা দয়াময় (আল্লাহ্)-এঁর সন্তান গ্রহণের দাবী করেছে।
وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لِلرَّحۡمٰنِ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا ﴿ؕ۹۲﴾
কানযুল ঈমান
৯২. এবং পরম দয়াময়ের জন্য শোভা পায় না যে, তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন।
ইরফানুল কুরআন
৯২. আর দয়াময় (আল্লাহ্)-এঁর মর্যাদায় সমীচিন নয় যে, তিনি (কাউকে নিজের) সন্তানরূপে গ্রহণ করবেন।
اِنۡ کُلُّ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحۡمٰنِ عَبۡدًا ﴿ؕ۹۳﴾
কানযুল ঈমান
৯৩. আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে যত কিছু আছে সবই তাঁর সামনে বান্দারূপে হাযির হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৩. আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে (বসবাসরত ফেরেশতা, জ্বিন কিংবা মানুষ) সবাই দয়াময় আল্লাহ্র নিকট কেবল বান্দারূপেই আগমনকারী।
لَقَدۡ اَحۡصٰہُمۡ وَ عَدَّہُمۡ عَدًّا ﴿ؕ۹۴﴾
কানযুল ঈমান
৯৪. নিশ্চয় তিনি তাদের সংখ্যা জানেন এবং তাদেরকে একেকটি করে গণনা করে রেখেছেন।
ইরফানুল কুরআন
৯৪. তিনি (আল্লাহ্) তো তাদেরকে তাঁর (জ্ঞানের) বেষ্টনীতে রেখেছেন এবং তাদেরকে (এক এক করে) সম্পূর্ণরূপে গণনা করে রেখেছেন।
وَ کُلُّہُمۡ اٰتِیۡہِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فَرۡدًا ﴿۹۵﴾
কানযুল ঈমান
৯৫. আর তাদের মধ্যে প্রত্যেকটি ক্বিয়ামত দিবসে তাঁরই সম্মুখে একাকী হাযির হবে।
ইরফানুল কুরআন
৯৫. আর কিয়ামতের দিনে তাদের প্রত্যেকেই তাঁর নিকট আসবে একাকী নিঃসঙ্গ অবস্থায়।
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَیَجۡعَلُ لَہُمُ الرَّحۡمٰنُ وُدًّا ﴿۹۶﴾
কানযুল ঈমান
৯৬. নিশ্চয় ওই সব লোক যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে অবিলম্বে তাদের জন্য পরম করুণাময় (পরস্পরের মধ্যে) ভালবাসা সৃষ্টি করে দেবেন।
ইরফানুল কুরআন
৯৬. নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, দয়াময় (আল্লাহ্) তাদের জন্যে (মানুষের) অন্তরে সৃষ্টি করবেন ভালোবাসা।
فَاِنَّمَا یَسَّرۡنٰہُ بِلِسَانِکَ لِتُبَشِّرَ بِہِ الۡمُتَّقِیۡنَ وَ تُنۡذِرَ بِہٖ قَوۡمًا لُّدًّا ﴿۹۷﴾
কানযুল ঈমান
৯৭. অতঃপর আমি এ ক্বোরআনকে আপনার ভাষায় এ জন্য সহজ করেছি যেন আপনি ভীতিসম্পন্নদেরকে সুসংবাদ দেন এবং ঝগড়াটে লোকদেরকে তাঁর ভয় প্রদর্শন করেন।
ইরফানুল কুরআন
৯৭. সুতরাং নিশ্চয়ই আমরা একে (এ কুরআনকে) আপনার ভাষাতেই সহজ করে দিয়েছি যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দিতে পারেন এবং এর দ্বারা কলহপ্রিয় সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারেন।
وَ کَمۡ اَہۡلَکۡنَا قَبۡلَہُمۡ مِّنۡ قَرۡنٍ ؕ ہَلۡ تُحِسُّ مِنۡہُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَوۡ تَسۡمَعُ لَہُمۡ رِکۡزًا ﴿۹۸﴾
কানযুল ঈমান
৯৮. আর আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করে দিয়েছি! আপনি কি তাদের মধ্যে কাউকেও দেখতে পাচ্ছেন অথবা তাদের কোন ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাচ্ছেন?
ইরফানুল কুরআন
৯৮. আর তাদের পূর্বে আমরা কতো সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি! আপনি কি তাদের কারো অস্তিত্ব খুঁজে পান অথবা তাদের কারো ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পান?