Back
ইয়া-সীন
Jump to Ayah Search
Play Share Copy
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
Play Share Copy
یٰسٓ ۚ﴿۱﴾
কানযুল ঈমান
১. ইয়া-সী---ন।
ইরফানুল কুরআন
১. ইয়া-সীন। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ তা’আলা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামই সম্যক অবগত।)
Play Share Copy
وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ﴿۲﴾
কানযুল ঈমান
২. হিকমতময় ক্বোরআনের শপথ;
ইরফানুল কুরআন
২. শপথ প্রজ্ঞাময় কুরআনের,
Play Share Copy
اِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ۙ﴿۳﴾
কানযুল ঈমান
৩. নিশ্চয় আপনি প্রেরিত-
ইরফানুল কুরআন
৩. নিশ্চয়ই আপনি আবশ্যকীয়ভাবে রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত,
Play Share Copy
عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ؕ﴿۴﴾
কানযুল ঈমান
৪. সরল পথের উপর।
ইরফানুল কুরআন
৪. সরল পথে (অধিষ্ঠিত)।
Play Share Copy
تَنۡزِیۡلَ الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান
৫. সম্মানিত, দয়াময়ের অবতীর্ণ;
ইরফানুল কুরআন
৫. (তা) মহাসম্মানিত, অসীম দয়ালু (প্রতিপালক) সত্তা কর্তৃক অবতীর্ণ,
Play Share Copy
لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اُنۡذِرَ اٰبَآؤُہُمۡ فَہُمۡ غٰفِلُوۡنَ ﴿۶﴾
কানযুল ঈমান
৬. যাতে আপনি ওই সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন, যার পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয় নি। সুতরাং তারা গাফিল।
ইরফানুল কুরআন
৬. যাতে আপনি সতর্ক করতে পারেন এমন এক সম্প্রদায়কে যাদের পিতৃপুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি, ফলে তারা উদাসীন ও অমনোযোগী।
Play Share Copy
لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِہِمۡ فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۷﴾
কানযুল ঈমান
৭. নিশ্চয় তাদের অধিকাংশের উপর বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং তারা ঈমান আনবে না।
ইরফানুল কুরআন
৭. প্রকৃতপক্ষে, তাদের অধিকাংশের জন্যে আমাদের নির্দেশ (সত্য) প্রমাণিত হয়েছে, সুতরাং তারা ঈমান আনয়ন করবে না।
Play Share Copy
اِنَّا جَعَلۡنَا فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ اَغۡلٰلًا فَہِیَ اِلَی الۡاَذۡقَانِ فَہُمۡ مُّقۡمَحُوۡنَ ﴿۸﴾
কানযুল ঈমান
৮. আমি তাদের ঘাড়সমূহে বেড়ী পরিয়ে দিয়েছি, সেগুলো থুতনী পর্যন্ত পৌঁছেছে, সুতরাং তারা ঊর্ধ্বমূখী হয়ে রয়েছে।
ইরফানুল কুরআন
৮. নিশ্চয়ই আমরা তাদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত শৃঙ্খল পরিয়ে দিয়েছি, সুতরাং তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنَا مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ سَدًّا وَّ مِنۡ خَلۡفِہِمۡ سَدًّا فَاَغۡشَیۡنٰہُمۡ فَہُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান
৯. আর আমি তাদের সম্মুখে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং তাদের পেছনে এবং তাদের পেছনে একটা প্রাচীর। আর তাদেরকে উপর থেকে আবৃত করে দিয়েছি; সুতরাং তারা কিছুই দেখতে পায় না।
ইরফানুল কুরআন
৯. আর আমরা তাদের সম্মুখে এক প্রাচীর এবং তাদের পশ্চাতে এক প্রাচীর স্থাপন করেছি। অতঃপর আমরা তাদের (চক্ষুদ্বয়ের) উপর ফেলে দিয়েছি আবরণ, ফলে তারা কিছুই দেখতে পায় না।
১০
Play Share Copy
وَ سَوَآءٌ عَلَیۡہِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَہُمۡ اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۰﴾
কানযুল ঈমান
১০. এবং তাদের পক্ষে এক সমান আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন অথবা না-ই করুন। তারা ঈমান আনার নয়।
ইরফানুল কুরআন
১০. আর তাদের জন্যে উভয়ই সমান, চাই আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন অথবা সতর্ক নাই করুন; তারা ঈমান আনবে না।
১১
Play Share Copy
اِنَّمَا تُنۡذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّکۡرَ وَ خَشِیَ الرَّحۡمٰنَ بِالۡغَیۡبِ ۚ فَبَشِّرۡہُ بِمَغۡفِرَۃٍ وَّ اَجۡرٍ کَرِیۡمٍ ﴿۱۱﴾
কানযুল ঈমান
১১. আপনি তো তাকেই সতর্ক করছেন, যে উপদেশ অনুযায়ী চলে এবং রহমানকে না দেখে ভয় করে। সুতরাং তাকে ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দিন।
ইরফানুল কুরআন
১১. আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করতে পারেন যে উপদেশ মেনে চলে এবং দয়াময় আল্লাহ্কে না দেখে ভয় করে। সুতরাং আপনি তাকে ক্ষমা ও মহাসম্মানজনক প্রতিদানের সুসংবাদ দিন।
১২
Play Share Copy
اِنَّا نَحۡنُ نُحۡیِ الۡمَوۡتٰی وَ نَکۡتُبُ مَا قَدَّمُوۡا وَ اٰثَارَہُمۡ ؕؑ وَ کُلَّ شَیۡءٍ اَحۡصَیۡنٰہُ فِیۡۤ اِمَامٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۱۲﴾
কানযুল ঈমান
১২. নিশ্চয় আমি মৃতদেরকে জীবিত করবো এবং আমি লিপিবদ্ধ করছি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করেছে আবং যে সব নিদর্শন পেছনে রেখে গেছে আর আমি প্রত্যেক বস্তু গণনা করে রেখেছি এক বর্ণনাকারী কিতাবে।
ইরফানুল কুরআন
১২. নিশ্চয়ই আমরাই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং সেসব (কর্ম) লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং এদের প্রভাব (যা পশ্চাতে থেকে যায়)। আর আমরা তো প্রতিটি বস্তু সমুজ্জ্বল কিতাবে (অর্থাৎ লওহে মাহফুযে) সংরক্ষিত রেখেছি।
১৩
Play Share Copy
وَ اضۡرِبۡ لَہُمۡ مَّثَلًا اَصۡحٰبَ الۡقَرۡیَۃِ ۘ اِذۡ جَآءَہَا الۡمُرۡسَلُوۡنَ ﴿ۚ۱۳﴾
কানযুল ঈমান
১৩. এবং তাদের নিকট নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করো ওই শহরবাসীদের যখন তাদের নিকট প্রেরিত পুরুষগণ এসেছিলো।
ইরফানুল কুরআন
১৩. আর তাদের নিকট (ঘটনা হিসেবে উত্তর সিরিয়ার প্রাচীন শহর এনতাকিয়া নামক) এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন তাদের নিকট কতিপয় রাসূল আগমন করেছিলেন।
১৪
Play Share Copy
اِذۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡہِمُ اثۡنَیۡنِ فَکَذَّبُوۡہُمَا فَعَزَّزۡنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوۡۤا اِنَّاۤ اِلَیۡکُمۡ مُّرۡسَلُوۡنَ ﴿۱۴﴾
কানযুল ঈমান
১৪. যখন আমি তাদের প্রতি দু’জনকে পাঠিয়েছি, অতঃপর তারা তাদেরকে অস্বীকার করেছে, তারপর আমি তৃতীয় দ্বারা শক্তিশালী করেছি, এখন তারা সবাই বললো, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।।
ইরফানুল কুরআন
১৪. যখন আমরা তাদের নিকট (প্রথমে) দু’জন (রাসূল) পাঠিয়েছিলাম, তখন তারা তাঁদের উভয়কে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছিল। অতঃপর আমরা (তাঁদেরকে) তৃতীয় একজন (রাসূল) দ্বারা শক্তিশালী করেছিলাম। এরপর তাঁরা তিনজন বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি’।
১৫
Play Share Copy
قَالُوۡا مَاۤ اَنۡتُمۡ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا ۙ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ الرَّحۡمٰنُ مِنۡ شَیۡءٍ ۙ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا تَکۡذِبُوۡنَ ﴿۱۵﴾
কানযুল ঈমান
১৫. বললো, ‘তোমরা তো আমাদের মতোই মানুষ এবং রহমান কিছুই অবতীর্ণ করেন নি। তোমরা নিরেট মিথ্যুক।
ইরফানুল কুরআন
১৫. (জনপদের অধিবাসীরা) বললো, ‘তোমরা তো আমাদের মতোই মানুষ, আর দয়াময় আল্লাহ্ কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলছো।’
১৬
Play Share Copy
قَالُوۡا رَبُّنَا یَعۡلَمُ اِنَّاۤ اِلَیۡکُمۡ لَمُرۡسَلُوۡنَ ﴿۱۶﴾
কানযুল ঈমান
১৬. তারা বললো, ‘আমাদের রব জানেন যে, নিঃসন্দেহে অবশ্য আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’।
ইরফানুল কুরআন
১৬. (রাসূলগণ) বললেন, ‘আমাদের প্রতিপালক জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
১৭
Play Share Copy
وَ مَا عَلَیۡنَاۤ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۷﴾
কানযুল ঈমান
১৭. এবং সুস্পষ্টরূপে পৌঁছিয়ে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব।
ইরফানুল কুরআন
১৭. আর সুস্পষ্টরূপে বার্তা পৌঁছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।’
১৮
Play Share Copy
قَالُوۡۤا اِنَّا تَطَیَّرۡنَا بِکُمۡ ۚ لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہُوۡا لَنَرۡجُمَنَّکُمۡ وَ لَیَمَسَّنَّکُمۡ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۸﴾
কানযুল ঈমান
১৮. তারা বললো, ‘আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। নিশ্চয় যদি তোমরা ফিরে না আসো, তা’হলে অবশ্যই আমরা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবো এবং নিশ্চয় আমাদের হাতে তোমাদের উপর বেদনাদায়ক শাস্তি আপতিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
১৮. (জনপদের অধিবাসীরা) বললো, ‘আমাদের কাছে তোমাদের থেকে অমঙ্গল পৌঁছেছে। যদি তোমরা সত্যিই বিরত না হও তবে আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তর নিক্ষেপ করবো এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হবে।’
১৯
Play Share Copy
قَالُوۡا طَآئِرُکُمۡ مَّعَکُمۡ ؕ اَئِنۡ ذُکِّرۡتُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ مُّسۡرِفُوۡنَ ﴿۱۹﴾
কানযুল ঈমান
১৯. তারা বললেন, ‘তোমাদের অমঙ্গল তো তোমাদের সাথে। তোমরা কি এরই উপর ক্ষেপে উঠছো যে, তোমাদেরকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী লোক’।
ইরফানুল কুরআন
১৯. (রাসূলগণ) বললেন, ‘তোমাদের অমঙ্গল তোমাদের সাথেই। এ কি অকল্যাণ যে, তোমাদেরকে নসীহত করা হয়েছে? তোমরা বরং এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’
২০
Play Share Copy
وَ جَآءَ مِنۡ اَقۡصَا الۡمَدِیۡنَۃِ رَجُلٌ یَّسۡعٰی قَالَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوا الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿ۙ۲۰﴾
কানযুল ঈমান
২০. এবং শহরের শেষ প্রান্ত থেকে একজন পুরুষ ছুটে আসলো, বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায় প্রেরিত পুরুষদের অনুসরণ করো!
ইরফানুল কুরআন
২০. আর নগরীর দূর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌঁড়ে এসে বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ করো।
২১
Play Share Copy
اتَّبِعُوۡا مَنۡ لَّا یَسۡـَٔلُکُمۡ اَجۡرًا وَّ ہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۲۱﴾
কানযুল ঈমান
২১. এমন লোকদের অনুসরণ করো, যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চান না এবং তারা সৎপথের উপর রয়েছেন।
ইরফানুল কুরআন
২১. অনুসরণ করো তাঁদের যাঁরা তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় প্রার্থনা করেন না এবং যাঁরা হেদায়াত প্রাপ্ত।
২২
Play Share Copy
وَ مَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۲﴾
কানযুল ঈমান
২২. এবং আমার কি হলো যে, তার ইবাদত করবো না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তাঁরই দিকে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।
ইরফানুল কুরআন
২২. আর আমার কী হয়েছে যে, আমি সে সত্তার ইবাদত করবো না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা (সবাই) তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে?
২৩
Play Share Copy
ءَاَتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً اِنۡ یُّرِدۡنِ الرَّحۡمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغۡنِ عَنِّیۡ شَفَاعَتُہُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا یُنۡقِذُوۡنِ ﴿ۚ۲۳﴾
কানযুল ঈমান
২৩. আমি কি আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য খোদাও স্থির করবো? যদি রাহমান আমার কোন ক্ষতি চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না। এবং না তারা আমাকে বাচাতে পারবে;
ইরফানুল কুরআন
২৩. আমি কি সে সত্তা (আল্লাহ্কে) ছেড়ে এমন উপাস্য গ্রহণ করবো, যদি দয়াময় আল্লাহ্ আমাকে কষ্ট দিতে চান তবে না তাদের সুপারিশ আমার কোনো কাজে আসবে, আর না তারা আমাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে?
২৪
Play Share Copy
اِنِّیۡۤ اِذًا لَّفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۲۴﴾
কানযুল ঈমান
২৪. নিশ্চয় তখন তো আমি সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যে হবো।
ইরফানুল কুরআন
২৪. তখন তো আমি অবশ্যই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত হবো।
২৫
Play Share Copy
اِنِّیۡۤ اٰمَنۡتُ بِرَبِّکُمۡ فَاسۡمَعُوۡنِ ﴿ؕ۲۵﴾
কানযুল ঈমান
২৫. নিশ্চয় আমি তোমাদের রবের উপর ঈমান এনেছি। সুতরাং আমার কথা শোন।
ইরফানুল কুরআন
২৫. অবশ্যই আমি তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি, সুতরাং তোমরা আমার কথা (মনোযোগ দিয়ে) শ্রবণ করো।’
২৬
Play Share Copy
قِیۡلَ ادۡخُلِ الۡجَنَّۃَ ؕ قَالَ یٰلَیۡتَ قَوۡمِیۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
কানযুল ঈমান
২৬. তাকে বলা হলো, ‘জান্নাতে প্রবেশ করো’। বললো, ‘কোন মতে আমার সম্প্রদায় যদি জানতো-
ইরফানুল কুরআন
২৬. (কাফেরেরা তাঁকে শহীদ করে ফেললে) তাঁকে বলা হলো, ‘(এসো!) বেহেশতে প্রবেশ করো’। সে বললো, ‘হায়! যদি আমার সম্প্রদায় জানতে পারতো-
২৭
Play Share Copy
بِمَا غَفَرَ لِیۡ رَبِّیۡ وَ جَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُکۡرَمِیۡنَ ﴿۲۷﴾
কানযুল ঈমান
২৭. কীভাবে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’
ইরফানুল কুরআন
২৭. যে, আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমাকে সম্মানিত ও নৈকট্যবানদের মাঝে শামিল করেছেন!’
২৮
Play Share Copy
وَ مَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلٰی قَوۡمِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ مِنۡ جُنۡدٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَ مَا کُنَّا مُنۡزِلِیۡنَ ﴿۲۸﴾
কানযুল ঈমান
২৮. এবং আমি তারপর তার সম্প্রদায়ের উপর আসমান থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করি নি এবং না আমার সেখানে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করার ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
২৮. আর আমরা তাঁর পর তাঁর সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে (ফেরেশতাদের) কোনো বাহিনী অবতীর্ণ করিনি, আর আমরা (তাদেরকে ধ্বংস করার জন্যে ফেরেশতাদেরকে) অবতীর্ণকারীও ছিলাম না।
২৯
Play Share Copy
اِنۡ کَانَتۡ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا ہُمۡ خٰمِدُوۡنَ ﴿۲۹﴾
কানযুল ঈমান
২৯. তা তো কেবল একটা বিকট শব্দ ছিলো, তখনি তারা নির্ধারিত হয়ে রয়ে গেলো।
ইরফানুল কুরআন
২৯. (তাদের শাস্তি) এক বিরাট ধ্বনি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। ব্যস, তখনই তারা (মৃত্যুবরণ করে কয়লার ন্যায়) নিভে গেল।
৩০
Play Share Copy
یٰحَسۡرَۃً عَلَی الۡعِبَادِ ۚؑ مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۳۰﴾
কানযুল ঈমান
৩০. এবং বলা হলো, ‘হায় আফসোস! ওই সব বান্দার জন্য, যখন তাদের নিকট কোন রসূল আসেন, তখন তারা তাদের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপই করে।
ইরফানুল কুরআন
৩০. হায়! (এ) বান্দাদের উপর আফসোস! তাদের নিকট এমন কোনো রাসূল আগমন করেননি যাঁকে তারা উপহাস করেনি।
৩১
Play Share Copy
اَلَمۡ یَرَوۡا کَمۡ اَہۡلَکۡنَا قَبۡلَہُمۡ مِّنَ الۡقُرُوۡنِ اَنَّہُمۡ اِلَیۡہِمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿ؕ۳۱﴾
কানযুল ঈমান
৩১. তারা কি দেখে নি আমি তাদের পূর্বে কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি? তারা এখন তাদের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী নয়।
ইরফানুল কুরআন
৩১. তারা কি দেখেনি, তাদের পূর্বে আমরা কতো সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি? তারা এখন তাদের নিকট ফিরে আসবে না,
৩২
Play Share Copy
وَ اِنۡ کُلٌّ لَّمَّا جَمِیۡعٌ لَّدَیۡنَا مُحۡضَرُوۡنَ ﴿۳۲﴾
কানযুল ঈমান
৩২. এবং যতো আছে সবাইকে আমারই সম্মুখে হাযির করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৩২. কিন্তু, তাদের সকলকেই আমাদের সমীপে উপস্থিত করা হবে।
৩৩
Play Share Copy
وَ اٰیَۃٌ لَّہُمُ الۡاَرۡضُ الۡمَیۡتَۃُ ۚۖ اَحۡیَیۡنٰہَا وَ اَخۡرَجۡنَا مِنۡہَا حَبًّا فَمِنۡہُ یَاۡکُلُوۡنَ ﴿۳۳﴾
কানযুল ঈমান
৩৩. এবং তাদের একটা নিদর্শন হচ্ছে মৃতভূমি; আমি সেটাক জীবিত করেছি এবং এরপর তা থেকে শস্য উৎপন্ন করেছি, অতঃপর তা থেকে তারা আহার করে।
ইরফানুল কুরআন
৩৩. আর তাদের জন্যে এক নিদর্শন হলো মৃত ভূমি, যাকে আমরা সঞ্জীবিত করেছি এবং আমরা তা থেকে (শস্য) দানা উৎপন্ন করেছি, অতঃপর তারা তা থেকে আহার করে।
৩৪
Play Share Copy
وَ جَعَلۡنَا فِیۡہَا جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ وَّ فَجَّرۡنَا فِیۡہَا مِنَ الۡعُیُوۡنِ ﴿ۙ۳۴﴾
কানযুল ঈমান
৩৪. আর আমি তাতে বাগান সৃষ্টি করেছি- খেজুর ও আঙ্গুরের এবং আমি তাতে কিছু সংখ্যক প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছি;
ইরফানুল কুরআন
৩৪. আর আমরা তাতে তৈরি করেছি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং তাতে উৎসারিত করেছি কিছু প্রস্রবণও,
৩৫
Play Share Copy
لِیَاۡکُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِہٖ ۙ وَ مَا عَمِلَتۡہُ اَیۡدِیۡہِمۡ ؕ اَفَلَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۳۵﴾
কানযুল ঈমান
৩৫. যাতে সেটার ফলমূল থেকে আহার করতে পারে এব সেটা তাদের হাতের তৈরি নয়; তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
ইরফানুল কুরআন
৩৫. যাতে তারা এর ফল থেকে আহার করতে পারে, অথচ তাদের হস্ত তা তৈরি করেনি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
৩৬
Play Share Copy
سُبۡحٰنَ الَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَزۡوَاجَ کُلَّہَا مِمَّا تُنۡۢبِتُ الۡاَرۡضُ وَ مِنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَ مِمَّا لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۶﴾
কানযুল ঈমান
৩৬. পবিত্রতা তাঁরই জন্য, যিনি সব জোড়া সৃষ্টি করেছেন ওই সব বস্তু থেকে, যেগুলোকে ভূমি উৎপন্ন করে এবং তাদের নিজেদের থেকে আর ওই সব বস্তু থেকে, যেগুলো সম্বন্ধে তাদের খবর নেই।
ইরফানুল কুরআন
৩৬. পূতঃপবিত্র সেই সত্তা যিনি সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন; যেগুলো ভূমি উৎপন্ন করে তা থেকে এবং তাদের নিজেদের থেকেও, আর (তাছাড়া) এমন কিছু থেকেও যা তারা জানে না।
৩৭
Play Share Copy
وَ اٰیَۃٌ لَّہُمُ الَّیۡلُ ۚۖ نَسۡلَخُ مِنۡہُ النَّہَارَ فَاِذَا ہُمۡ مُّظۡلِمُوۡنَ ﴿ۙ۳۷﴾
কানযুল ঈমান
৩৭. এবং তাদের জন্য এক নিদর্শন হচ্ছে রাত; আমি সেটার উপর থেকে দিনকে অপসারিত করে নিই; তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে;
ইরফানুল কুরআন
৩৭. আর তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রিও, আমরা তা থেকে (কীভাবে) দিবসকে অপসারিত করি! সুতরাং তখনোই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে!
৩৮
Play Share Copy
وَ الشَّمۡسُ تَجۡرِیۡ لِمُسۡتَقَرٍّ لَّہَا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ﴿ؕ۳۸﴾
কানযুল ঈমান
৩৮. এবং সূর্য ভ্রমণ করে আপন এক অবস্থানের দিকে; এটা হচ্ছে নির্দেশ পরাক্রমশালী, জ্ঞানময়ের।
ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর সূর্য সর্বদা (বিরামহীন) আবর্তন করে আপন নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (প্রতিপালক) কর্তৃক নির্ধারিত।
৩৯
Play Share Copy
وَ الۡقَمَرَ قَدَّرۡنٰہُ مَنَازِلَ حَتّٰی عَادَ کَالۡعُرۡجُوۡنِ الۡقَدِیۡمِ ﴿۳۹﴾
কানযুল ঈমান
৩৯. এবং চাদের জন্য আমি মানযিলসমূহ (তিথি) নির্ধারণ করেছি, অবশেষে তা পুনরায় (তেমনি) হয়ে গেলো যেমন খেজুরের পুরাতন শাখা।
ইরফানুল কুরআন
৩৯. আর আমরা চন্দ্রের জন্যে নির্ধারণ করেছি (গতি ও আবর্তনের) মঞ্জিল; অবশেষে (ক্ষয় হতে হতে পৃথিবীবাসীর কাছে তা) পুরাতন খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে।
৪০
Play Share Copy
لَا الشَّمۡسُ یَنۡۢبَغِیۡ لَہَاۤ اَنۡ تُدۡرِکَ الۡقَمَرَ وَ لَا الَّیۡلُ سَابِقُ النَّہَارِ ؕ وَ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ ﴿۴۰﴾
কানযুল ঈমান
৪০. সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাদকে নাগালে পাওয়া এবং না রাতের পক্ষে সম্ভব দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকটা একেক বৃত্তের মধ্যে সন্তরণ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৪০. (নিজ কক্ষপথ ছেড়ে) সূর্য না পায় চন্দ্রের নাগাল এবং রাত্রি না করে দিবসকে অতিক্রম। আর (গ্রহ-নক্ষত্রের) প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে নিজ নিজ কক্ষপথে।
৪১
Play Share Copy
وَ اٰیَۃٌ لَّہُمۡ اَنَّا حَمَلۡنَا ذُرِّیَّتَہُمۡ فِی الۡفُلۡکِ الۡمَشۡحُوۡنِ ﴿ۙ۴۱﴾
কানযুল ঈমান
৪১. এবং তাদের জন্য একটা নিদর্শন এ যে, আমি তাদের পূর্ব-পুরুষদের পৃষ্ঠদেশের মধ্যে তাদেরকে বোঝাই নৌযানে আরোহণ করিয়েছি।
ইরফানুল কুরআন
৪১. আর তাদের জন্যে এও এক নিদর্শন যে, আমরা তাদের পিতৃপুরুষদেরকে (যারা আদমের সন্তান ছিলেন, তাদেরকে নূহের) নৌকায় আরোহণ করিয়ে ছিলাম (এবং রক্ষা করেছিলাম)।
৪২
Play Share Copy
وَ خَلَقۡنَا لَہُمۡ مِّنۡ مِّثۡلِہٖ مَا یَرۡکَبُوۡنَ ﴿۴۲﴾
কানযুল ঈমান
৪২. এবং তাদের জন্য অনুরূপ নৌযানসমূহ সৃষ্টি করে দিয়েছি, যেগুলোতে তারা আরোহণ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৪২. আর আমরা তাদের জন্যে সৃষ্টি করেছি (নৌকার মতো) অনুরূপ (অপরাপর বাহন) যাতে তারা আরোহণ করে।
৪৩
Play Share Copy
وَ اِنۡ نَّشَاۡ نُغۡرِقۡہُمۡ فَلَا صَرِیۡخَ لَہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یُنۡقَذُوۡنَ ﴿ۙ۴۳﴾
কানযুল ঈমান
৪৩. এবং আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন এমন কেউ নেই, যে তাদের ফরিয়াদ শুনে সাড়া দেবে এবং না তাদেরকে রক্ষা করা হবে;
ইরফানুল কুরআন
৪৩. আর আমরা ইচ্ছা করলে তাদেরকে ডুবিয়ে দিতে পারি। তখন তাদের না কোনো সাহায্যকারী থাকবে আর না কোনভাবেই তারা পরিত্রাণ পাবে,
৪৪
Play Share Copy
اِلَّا رَحۡمَۃً مِّنَّا وَ مَتَاعًا اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۴۴﴾
কানযুল ঈমান
৪৪. কিন্তু আমার নিকট থেকে দয়া ও একটা সময় পর্যন্ত ভোগ করতে দেওয়া।
ইরফানুল কুরআন
৪৪. আমাদের অনুগ্রহ ব্যতীত এবং (এ) বিধান একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত।
৪৫
Play Share Copy
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمُ اتَّقُوۡا مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡکُمۡ وَ مَا خَلۡفَکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۴۵﴾
কানযুল ঈমান
৪৫. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ভয় করো তাকে, যা তোমাদের সম্মুখে আছে এবং যা তোমাদের পেছনে আগমনকারী এ আশায় যে, তোমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে;’ তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘(এ শাস্তিকে) ভয় করো যা তোমাদের সম্মুখে এবং যা তোমাদের পশ্চাতে রয়েছে, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পারো।’
৪৬
Play Share Copy
وَ مَا تَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍ مِّنۡ اٰیٰتِ رَبِّہِمۡ اِلَّا کَانُوۡا عَنۡہَا مُعۡرِضِیۡنَ ﴿۴۶﴾
কানযুল ঈমান
৪৬. এবং যখনই তাদের রবের নিদর্শনসমূহ থেকে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসে, তখন তা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীর যে নিদর্শনই তাদের কাছে আসে, তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৪৭
Play Share Copy
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اَنۡفِقُوۡا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ ۙ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنُطۡعِمُ مَنۡ لَّوۡ یَشَآءُ اللّٰہُ اَطۡعَمَہٗۤ ٭ۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۴۷﴾
কানযুল ঈমান
৪৭. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌ প্রদত্ত সম্পদ থেকে তার পথে কিছু ব্যয় করো’, তখন কাফিরগণ মুসলমানদেরকে বলে, ‘আমরা কি তাকেই আহার করাবো, যাকে আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে আহার করাতেন?’ তোমরা তো সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যেই রয়েছো।
ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করো’, তখন অবিশ্বাসীরা বিশ্বাসীগণকে বলে, ‘আমরা কি সে (গরীব) বক্তিকে খাওয়াবো যাকে আল্লাহ্ চাইলে (নিজেই) খাওয়াতে পারেন?’ তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে (আটকা) পড়ে আছো।
৪৮
Play Share Copy
وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی ہٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۴۸﴾
কানযুল ঈমান
৪৮. এবং বলে, ‘কবে আসবে এ প্রতিশ্রুতি, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর তারা বলে, ‘(কিয়ামতের) এ অঙ্গীকার কখন পূর্ণ হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’
৪৯
Play Share Copy
مَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً تَاۡخُذُہُمۡ وَ ہُمۡ یَخِصِّمُوۡنَ ﴿۴۹﴾
কানযুল ঈমান
৪৯. অপেক্ষা করছে না, কিন্তু একটা বিকট শব্দের, যা তাদেরকে পেয়ে বসবে যখন তারা দুনিয়ার বাক বিতন্দর মধ্যে ব্যস্ত থাকবে।
ইরফানুল কুরআন
৪৯. এরা কেবল এক বিকট ধ্বনিরই অপেক্ষা করছে যা তাদেরকে (অকস্মাৎ) গ্রাস করবে যখন তারা পরস্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকবে।
৫০
Play Share Copy
فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ تَوۡصِیَۃً وَّ لَاۤ اِلٰۤی اَہۡلِہِمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۵۰﴾
কানযুল ঈমান
৫০. তখন তারা না ওসীয়ত করতে পারবে, এবং না আপন ঘরে ফিরে যেতে পারবে।
ইরফানুল কুরআন
৫০. অতঃপর না তারা ওসিয়ত করতে সমর্থ হবে, আর না তারা নিজেদের পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতে পারবে।
৫১
Play Share Copy
وَ نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَاِذَا ہُمۡ مِّنَ الۡاَجۡدَاثِ اِلٰی رَبِّہِمۡ یَنۡسِلُوۡنَ ﴿۵۱﴾
কানযুল ঈমান
৫১. এবং ফুঁৎকার দেওয়া হবে শিঙ্গায়, তখনই তারা কবরগুলো থেকে আপন রবের প্রতি ছুটে আসবে।
ইরফানুল কুরআন
৫১. আর (যখন দ্বিতীয়বার) সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে বের হয়ে তাদের প্রতিপালকের দিকে ছুটে আসবে।
৫২
Play Share Copy
قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَا مَنۡۢ بَعَثَنَا مِنۡ مَّرۡقَدِنَا ٜۘؐ ہٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ وَ صَدَقَ الۡمُرۡسَلُوۡنَ ﴿۵۲﴾
কানযুল ঈমান
৫২. বলবে, ‘হায়, আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রা থেকে জাগ্রত করলো! এটা হচ্ছে তাই, যার প্রতিশ্রুতি রাহমান দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছেন’।
ইরফানুল কুরআন
৫২. (হাশরের দিনের ভয়াবহতা দেখে) তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দূর্ভাগ্য! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে জাগ্রত করলো? (এ জীবিত হওয়া) তো তাই, যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ্ দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্যই বলেছিলেন।’
৫৩
Play Share Copy
اِنۡ کَانَتۡ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا ہُمۡ جَمِیۡعٌ لَّدَیۡنَا مُحۡضَرُوۡنَ ﴿۵۳﴾
কানযুল ঈমান
৫৩. তা’ তো হবে না, কিন্তু এক বিকট শব্দ, তখনই তারা সবাই আমার সম্মুখে হাযির হয়ে যাবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৩. তা হবে কেবল এক বিকট ধ্বনি, তখনই তাদের সবাইকে তৎক্ষণাৎ আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে।
৫৪
Play Share Copy
فَالۡیَوۡمَ لَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا وَّ لَا تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۵۴﴾
কানযুল ঈমান
৫৪. সুতরাং আজ কোন আত্নার উপর কোন যুল্‌ম হবে না এবং তোমরা কেবল আপন কৃতকর্মের প্রতিফলই পাবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৪. অতঃপর আজকের দিনে কোনো আত্মার প্রতি সামান্যতমও অবিচার করা হবে না; আর তোমরা যা করতে কেবল তারই প্রতিদান দেয়া হবে।
৫৫
Play Share Copy
اِنَّ اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ الۡیَوۡمَ فِیۡ شُغُلٍ فٰکِہُوۡنَ ﴿ۚ۵۵﴾
কানযুল ঈমান
৫৫. নিশ্চয় জান্নাতবাসীগণ আজ মনের আনন্দে শান্তি ভোগ করছে।
ইরফানুল কুরআন
৫৫. নিশ্চয়ই এদিন জান্নাতের অধিবাসীগণ (তাদের) পছন্দনীয় মনোরঞ্জনের আনন্দ-ব্যস্ততা (যেমন সাক্ষাৎ, ভোজ, আধ্যাত্মিক সংগীত এবং অন্যান্য নিয়ামত) আস্বাদন করতে থাকবে।
৫৬
Play Share Copy
ہُمۡ وَ اَزۡوَاجُہُمۡ فِیۡ ظِلٰلٍ عَلَی الۡاَرَآئِکِ مُتَّکِـُٔوۡنَ ﴿۵۶﴾
কানযুল ঈমান
৫৬. তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ ছায়াসমূহে রয়েছে আসমানসমূহে হেলান দিয়ে।
ইরফানুল কুরআন
৫৬. তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ প্রশান্তির সুশীতল ছায়ায় উঁচু আসনে হেলান দিয়ে বসবে।
৫৭
Play Share Copy
لَہُمۡ فِیۡہَا فَاکِہَۃٌ وَّ لَہُمۡ مَّا یَدَّعُوۡنَ ﴿ۚۖ۵۷﴾
কানযুল ঈমান
৫৭. তাদের জন্য তাতে ফলমূল রয়েছে এবং তাতে তাদের জন্য রয়েছে যা তারা চাইবে।
ইরফানুল কুরআন
৫৭. তাদের জন্যে তাতে থাকবে (সকল প্রকারের) ফলমূল এবং তারা যা চাইবে তার সকল কিছইু (বিদ্যমান) থাকবে।
৫৮
Play Share Copy
سَلٰمٌ ۟ قَوۡلًا مِّنۡ رَّبٍّ رَّحِیۡمٍ ﴿۵۸﴾
কানযুল ঈমান
৫৮. তাদের উপর হবে ‘সালাম’, বলা হবে- পরম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে।
ইরফানুল কুরআন
৫৮. ‘(তোমাদের উপর) শান্তি বর্ষিত হোক!’ পরম করুণাময় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে (তাদেরকে) জানানো হবে (এ) সম্ভাষণ।
৫৯
Play Share Copy
وَ امۡتَازُوا الۡیَوۡمَ اَیُّہَا الۡمُجۡرِمُوۡنَ ﴿۵۹﴾
কানযুল ঈমান
৫৯. আর ‘আজ পৃথক হয়ে যাও হে অপরাধীরাস!’
ইরফানুল কুরআন
৫৯. আর ‘হে অপরাধীগণ! তোমরা আজ (সৎকর্মশীলদের থেকে) পৃথক হয়ে যাও।’
৬০
Play Share Copy
اَلَمۡ اَعۡہَدۡ اِلَیۡکُمۡ یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ اَنۡ لَّا تَعۡبُدُوا الشَّیۡطٰنَ ۚ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿ۙ۶۰﴾
কানযুল ঈমান
৬০. হে আদম সন্তানগণ! আমি কি তোমাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করি নি- শয়তানকে পূজা করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
ইরফানুল কুরআন
৬০. হে আদম সন্তান! আমরা কি তোমাদের থেকে এ অঙ্গীকার গ্রহণ করিনি যে, শয়তানের দাসত্ব করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু;
৬১
Play Share Copy
وَّ اَنِ اعۡبُدُوۡنِیۡ ؕؔ ہٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۶۱﴾
কানযুল ঈমান
৬১. এবং আমার বন্দেগী করো। এটা সোজা পথ।
ইরফানুল কুরআন
৬১. আর একমাত্র আমারই ইবাদত করতে থাকো? এটিই সরল পথ।
৬২
Play Share Copy
وَ لَقَدۡ اَضَلَّ مِنۡکُمۡ جِبِلًّا کَثِیۡرًا ؕ اَفَلَمۡ تَکُوۡنُوۡا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۲﴾
কানযুল ঈমান
৬২. এবং নিশ্চয় সে তোমাদের মধ্যে অনেক সৃষ্টিকে পথভ্রষ্ট করে দিয়েছে। তবুও কি তোমাদের বিবেক ছিলো না?
ইরফানুল কুরআন
৬২. আর নিশ্চয়ই সে তোমাদের অনেককেই পথভ্রষ্ট করেছে, সুতরাং তোমরা কি বুদ্ধি রাখো না?
৬৩
Play Share Copy
ہٰذِہٖ جَہَنَّمُ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۶۳﴾
কানযুল ঈমান
৬৩. এটা হচ্ছে ওই জাহান্নাম, যেটার প্রতিশ্রুতি তোমাদের সাথে ছিলো।
ইরফানুল কুরআন
৬৩. এই সেই জাহান্নাম যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।
৬৪
Play Share Copy
اِصۡلَوۡہَا الۡیَوۡمَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ ﴿۶۴﴾
কানযুল ঈমান
৬৪. আজ সেটার মধ্যে যাও; নিজেদের কুফরের প্রতিফলস্বরূপ।
ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর আজ এ জাহান্নামেই প্রবেশ করো, কারণ তোমরা কুফরী করতে।
৬৫
Play Share Copy
اَلۡیَوۡمَ نَخۡتِمُ عَلٰۤی اَفۡوَاہِہِمۡ وَ تُکَلِّمُنَاۤ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ تَشۡہَدُ اَرۡجُلُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۶۵﴾
কানযুল ঈমান
৬৫. আজ আমি তাদের মুখগুলোর উপর মোহর করে দেবো এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে আর তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
ইরফানুল কুরআন
৬৫. আজ আমরা এদের মুখে মোহর এঁটে দেবো এবং এদের হস্ত আমাদের সাথে কথা বলবে, আর এদের চরণযুগল এদের কৃতকর্মের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে।
৬৬
Play Share Copy
وَ لَوۡ نَشَآءُ لَطَمَسۡنَا عَلٰۤی اَعۡیُنِہِمۡ فَاسۡتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَاَنّٰی یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۶۶﴾
কানযুল ঈমান
৬৬. এবং আমি যদি ইচ্ছা করতাম তবে তাদের চোখগুলোকে বিলীন করে দিতাম; অতঃপর তারা লম্ফ দিয়ে রাস্তার দিকে যেতো, তখন তারা কিছুই দেখতো না।
ইরফানুল কুরআন
৬৬. আর যদি আমরা চাইতাম তবে এদের চোখের নিশানা পর্যন্ত মুছে দিতাম, তখন রাস্তায় ছুটতে গেলে এরা কিভাবে দেখতে পেতো?
৬৭
Play Share Copy
وَ لَوۡ نَشَآءُ لَمَسَخۡنٰہُمۡ عَلٰی مَکَانَتِہِمۡ فَمَا اسۡتَطَاعُوۡا مُضِیًّا وَّ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۶۷﴾
কানযুল ঈমান
৬৭. এবং আমি ইচ্ছা করলে তাদের ঘরে বসা অবস্থায় তাদের আকৃতিগুলো বিকৃত করে দিতাম তখন তারা না আগে বাড়তে পারতো, না পেছনে ফিরে আসতে পারতো।
ইরফানুল কুরআন
৬৭. আর যদি আমরা চাইতাম তবে এদের স্ব স্ব স্থানেই এদের আকৃতি পরিবর্তন করে দিতাম, তখন এরা না সামনে চলতে পারতো, আর না পিছনে ফিরে আসতে পারতো।
৬৮
Play Share Copy
وَ مَنۡ نُّعَمِّرۡہُ نُنَکِّسۡہُ فِی الۡخَلۡقِ ؕ اَفَلَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান
৬৮. এবং যাকে আমি দীর্ঘায়ু প্রদান করি তাকে সৃষ্টিগত গঠনের মধ্যে উল্টো দিকে ফিরিয়ে দিই। তবুও কি তারা বুঝে না?
ইরফানুল কুরআন
৬৮. আর যাকে আমরা দীর্ঘ জীবন দান করি, শক্তি ও স্বভাবে (শৈশব এবং দুর্বলতার দিকে) তার অবনতি ঘটাই। তবুও কি এরা বুঝে না?
৬৯
Play Share Copy
وَ مَا عَلَّمۡنٰہُ الشِّعۡرَ وَ مَا یَنۡۢبَغِیۡ لَہٗ ؕ اِنۡ ہُوَ اِلَّا ذِکۡرٌ وَّ قُرۡاٰنٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ۙ۶۹﴾
কানযুল ঈমান
৬৯. এবং আমি তাকে কাব্য রচনা করা শেখাই নি এবং না তা শোভা পায় তার মর্যাদার জন্য। তা তো নয়, কিন্তু উপদেশ সুস্পষ্ট ক্বোরআনই;
ইরফানুল কুরআন
৬৯. আর আমরা তাঁকে (অর্থাৎ সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে) কাব্য রচনা করতে শিখাইনি, আর তা তাঁর জন্যে শোভনীয়ও নয়। এ (কিতাব) তো কেবল উপদেশ, হেদায়াত এবং সুস্পষ্ট কুরআন,
৭০
Play Share Copy
لِّیُنۡذِرَ مَنۡ کَانَ حَیًّا وَّ یَحِقَّ الۡقَوۡلُ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۷۰﴾
কানযুল ঈমান
৭০. যাতে সতর্ক করে যে জীবিত থাকে তাকে; এবং (যাতে) কাফিরদের উপর বাণী অবধারিত হয়ে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৭০. যাতে তিনি সতর্ক করতে পারেন জীবিতদেরকে এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা সত্য প্রমাণিত হতে পারে।
৭১
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَرَوۡا اَنَّا خَلَقۡنَا لَہُمۡ مِّمَّا عَمِلَتۡ اَیۡدِیۡنَاۤ اَنۡعَامًا فَہُمۡ لَہَا مٰلِکُوۡنَ ﴿۷۱﴾
কানযুল ঈমান
৭১. এবং তারা কি দেখে নি যে, আমি আপন হাতের তৈরীকৃত চতুষ্পদ জন্তু তাদের জন্য সৃষ্টি করেছি, অতঃপর এরা সেগুলোর মালিক?
ইরফানুল কুরআন
৭১. তারা কি দেখেনি যে, আমরা আমাদের কুদরতী হাতে (সৃষ্টি জগতে) তাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, সুতরাং তারা এগুলোর অধিকারী?
৭২
Play Share Copy
وَ ذَلَّلۡنٰہَا لَہُمۡ فَمِنۡہَا رَکُوۡبُہُمۡ وَ مِنۡہَا یَاۡکُلُوۡنَ ﴿۷۲﴾
কানযুল ঈমান
৭২. এবং সেগুলোকে তাদের জন্য নরম (বশীভূত) করে দিয়েছি। সুতরাং কতেকের উপর আরোহণ করে এবং কতেককে আহার করে।
ইরফানুল কুরআন
৭২. আর আমরা এগুলোকে (এ চতুষ্পদ জন্তুগুলোকে) তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। সুতরাং এগুলোর কতক তাদের বাহন এবং এগুলোর কতককে তারা ভক্ষণ করে।
৭৩
Play Share Copy
وَ لَہُمۡ فِیۡہَا مَنَافِعُ وَ مَشَارِبُ ؕ اَفَلَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۷۳﴾
কানযুল ঈমান
৭৩. এবং তাদের জন্য সেগুলোর মধ্যে কয়েক প্রকার উপকারিতা এবং পানীয় বস্তুসমূহ রয়েছে। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
ইরফানুল কুরআন
৭৩. আর এগুলোতে তাদের জন্যে রয়েছে অন্যান্য উপকারিতা এবং পানীয়। তবু কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
৭৪
Play Share Copy
وَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اٰلِہَۃً لَّعَلَّہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿ؕ۷۴﴾
কানযুল ঈমান
৭৪. এবং তারা আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য খোদা সাব্যস্ত করে নিয়েছে, এ আশায় যে, তাদেরকে সাহায্য করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৪. আর তারা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে মূর্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে এ আশায় যে, তাদেরকে সাহায্য করা হবে।
৭৫
Play Share Copy
لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَہُمۡ ۙ وَ ہُمۡ لَہُمۡ جُنۡدٌ مُّحۡضَرُوۡنَ ﴿۷۵﴾
কানযুল ঈমান
৭৫. সেগুলো তাদের সাহায্য করতে পারে না এবং সেগুলো তাদের বাহিনী, সবাইকে গ্রেফতার করে হাযির করা হবে।
ইরফানুল কুরআন
৭৫. এ মূর্তিগুলো তাদেরকে সাহায্য করতে অক্ষম; আর এরা (কাফের-মুশরিকেরা) এদের বাহিনী হবে যাদেরকে (একত্রে জাহান্নামে) উপস্থিত করা হবে।
৭৬
Play Share Copy
فَلَا یَحۡزُنۡکَ قَوۡلُہُمۡ ۘ اِنَّا نَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ ﴿۷۶﴾
কানযুল ঈমান
৭৬. অতএব, আপনি তাদের কথায় দুঃখ করবেন না, নিশ্চয় আমি জানি যা তারা গোপন করে এবং প্রকাশ করে।
ইরফানুল কুরআন
৭৬. অতঃপর তাদের কথা আপনাকে যেন দুঃখ না দেয়। নিশ্চয়ই আমরা জানি যা কিছু তারা গোপন করে এবং যাকিছু তারা প্রকাশ করে।
৭৭
Play Share Copy
اَوَ لَمۡ یَرَ الۡاِنۡسَانُ اَنَّا خَلَقۡنٰہُ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ فَاِذَا ہُوَ خَصِیۡمٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۷۷﴾
কানযুল ঈমান
৭৭. এবং মানুষ কি দেখেনি যে, আমি তাকে পানির ফোঁটা (শুক্রবিন্দু) থেকে সৃষ্টি করেছি? অতঃপর সে (হয়ে যায়) প্রকাশ্য ঝগড়াটে।
ইরফানুল কুরআন
৭৭. মানুষ কি দেখেনা যে, আমরা তাকে সৃষ্টি করেছি একবিন্দু শুক্রাণু থেকে? অথচ সে হয়ে গেছে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী।
৭৮
Play Share Copy
وَ ضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّ نَسِیَ خَلۡقَہٗ ؕ قَالَ مَنۡ یُّحۡیِ الۡعِظَامَ وَ ہِیَ رَمِیۡمٌ ﴿۷۸﴾
কানযুল ঈমান
৭৮. এবং আমার জন্য উপমা রচনা করে আর নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে গেছে। বললো, ‘এমন কে আছে যে অস্থিগুলোতে প্রাণ সঞ্চার করবে যখন সেগুলো একেবারে পচে গলে যায়?’
ইরফানুল কুরআন
৭৮. আর সে (নিজে) আমাদের সম্পর্কে উপমা বর্ণনা করতে শুরু করেছে এবং নিজের সৃষ্টির (প্রকৃত) বিষয় ভুলে গিয়েছে। সে বলে, ‘কে প্রাণ সঞ্চার করবে অস্থিতে, যখন এগুলো পচে গলে যাবে?’
৭৯
Play Share Copy
قُلۡ یُحۡیِیۡہَا الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَہَاۤ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ؕ وَ ہُوَ بِکُلِّ خَلۡقٍ عَلِیۡمُۨ ﴿ۙ۷۹﴾
কানযুল ঈমান
৭৯. আপনি বলুন! ‘সেগুলো তিনিই জীবিত করবেন, যিনি প্রথম বার সেগুলো সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁরই নিকট প্রত্যেক সৃষ্টি সম্বন্ধে জ্ঞান রয়েছে;
ইরফানুল কুরআন
৭৯. বলে দিন, ‘তিনিই এগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করবেন যিনি এগুলোকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেক সৃষ্টিকে উত্তমরূপে জানেন।’
৮০
Play Share Copy
الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الشَّجَرِ الۡاَخۡضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنۡتُمۡ مِّنۡہُ تُوۡقِدُوۡنَ ﴿۸۰﴾
কানযুল ঈমান
৮০. যিনি তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন সৃষ্টি করেছেন, তখনই তোমরা তা দ্বারা আগুন জ্বালিয়ে থাকো।
ইরফানুল কুরআন
৮০. তিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। অতঃপর তোমরা তা থেকে আগুন প্রজ্বলিত করো।
৮১
Play Share Copy
اَوَ لَیۡسَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنۡ یَّخۡلُقَ مِثۡلَہُمۡ ؕ؃ بَلٰی ٭ وَ ہُوَ الۡخَلّٰقُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۸۱﴾
কানযুল ঈমান
৮১. এবং যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি সেগুলোর মতো আরো সৃষ্টি করতে পারেন না? কেন নয়? আর তিনিই হন মহান স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
ইরফানুল কুরআন
৮১. আর যিনি আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি এদের মতো (দ্বিতীয়বার) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ, অবশ্যই। আর তিনি মহান স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
৮২
Play Share Copy
اِنَّمَاۤ اَمۡرُہٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَیۡئًا اَنۡ یَّقُوۡلَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۸۲﴾
কানযুল ঈমান
৮২. তার কাজ তো এ যে, যখন কোন কিছু করতে চান তখন সেটার উদ্দেশে বলেন, ‘হয়ে যা’। তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়।
ইরফানুল কুরআন
৮২. তাঁর (সৃষ্টির) নির্দেশ কেবল এ যে, যখন তিনি কোনো কিছু (সৃষ্টির) ইচ্ছা করেন তখন তাকে বলেন, ‘হও’, ততক্ষণাৎ তা (অস্তিত্বশীল বা প্রকাশমান) হয়ে যায় (এবং হতে থাকে)।
৮৩
Play Share Copy
فَسُبۡحٰنَ الَّذِیۡ بِیَدِہٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۸۳﴾
কানযুল ঈমান
৮৩. সুতরাং পবিত্রতা তাঁরই, যার হাতে প্রত্যেক কিছুর ক্ষমতা রয়েছে এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
ইরফানুল কুরআন
৮৩. অতএব পূতঃপবিত্র সত্তা তিনি যার (কুদরতী) হাতে সকল কিছুর রাজত্ব। আর তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।